ইউনিয়ন পরিষদের অনুমতি ছাড়া যত্রযত্র ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান করা যাবে না: মন্ত্রণালয়

ইউনিয়ন পরিষদের অনুমতি ছাড়া যত্রযত্র ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা বাড়ি নির্মাণ করা যাবে না। সারা দেশের ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার জন্য সমন্বিত পথনকশা (রোডম্যাপ) প্রণয়ন করছে সরকার। এই পথনকশা প্রণয়ের আগে কোথাও কোনো ধর্মীয় স্থাপনা বা বাড়ি নির্মাণ করতে হলে সংশ্লিস্টদের ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অনুমতি বা ছাড়পত্র নিতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা, রেবেকা মমিন, মো. শাহে আলম, মো. ছানোয়ার হোসেন ও আব্দুস সালাম মূর্শেদী এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কমিটি সূত্র জানায়, সারাদেশে ইউনিয়ন পরিষদ আওতাধীন এলাকাকে একটি পরিকল্পিত পরিকল্পনার আওতায় আনতে একটি পথনকশা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। এই পথনকশা প্রণয়ন করার আগে কোন ব্যক্তি চাইলেই যত্রযত্র কোন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা বসতভিটা বা কোনো স্থাপনা নির্মাণ করতে পারবে না। যদি কোন ব্যক্তি কোন স্থাপনা করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন -সেক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদের অনুমতি নেওয়ার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।

সূত্র আরো জানায়, এর আগে সংসদীয় কমিটির পরামর্শ অনুযায়ী স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে সমন্বিত পথনকশা প্রণয়নে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সরকারের এই সিদ্ধান্ত সঠিকভাবে যাতে অনুসরণ করা হয় সেজন্য সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে তাগিদ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে ইতোপূর্বে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য বলা হয়।

এদিকে কমিটির আগামী বৈঠকে ‘আমার গ্রাম আমার শহর’-এর কার্যক্রম বাস্তবায়নের হালনাগাদ তথ্য প্রজেকশনের মাধ্যমে উপস্থাপনের জন্য বলা হয়েছে।

Print

সম্পর্কিত পোস্ট

''আপনার মতামত দিন''

ডিএনবি নিউজ ২৪.কম