ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:
নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের জাগিরপাড়া গ্রামে প্রায় পঁচিশ বছর পূর্বে নির্মান করা ব্রীজটি নির্মানের দুই বছরের মধ্যেই ধ্বসে পড়লেও আজো মেরামত করা হয়নি। ধ্বসে পড়া ব্রীজটি ওই এলাকার মানুষের জনভোগান্তির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে, এ যেন দেখার কেউ নেই।
দীর্ঘদিনের ধসে পড়া ব্রীজটি পুণনির্মাণ না হওয়ায় জনমনে দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ। বিচ্ছিন্ন গ্রামীণ সড়কটিতে আজও মাটি পড়েনি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এ ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অনেকটাই উদাসীন বলে জানান এলাকাবাসী।আশপাশের অন্তত বিশটি গ্রামের মানুষের ভরসা এই রাস্তাটি।। সোমবার দুপুরে সরেজমিন ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
গত বছরের বন্যার তোরে ব্রীজটির দু‘পাশের মাটি সরে যাওয়ায় আরো হেলে পড়ার ফলে গ্রামীণ জনপদের লোকজন চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। বিশেষ করে ওই ইউনিয়নের এলজিএসপি (লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট) প্রকল্পের অর্থায়নে নির্মিত বিভিন্ন জায়গার বক্স কালভার্ট গুলোরও নাজুক অবস্থা বিরাজ করছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে ওই ধসে পড়া সেতুটি নির্মাণের এখনও কোন উদ্যোগ নেয়নি বলে জানান স্থানীয়রা। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারহীন জাগিরপাড়া গ্রামের ভেতর দিয়ে একমাত্র গ্রামীণ রাস্তাটি বসতিদের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বর্ষা মৌসুমে অনেকটাই ঘরবন্দি দিন কাটে আশপাশের লোকজনের। প্রায় পচিশ বছর ধরে এভাবে পড়ে থাকা ব্রীজটি কবে আলোর মুখ দেখবে এমন আশঙ্কা ভুক্তভোগীদের। বছরের পর বছর শেষ হলেও ওই জনগুরুত্বপূর্ণ ব্রীজটি সংস্কারের কাজে হাত দেয়নি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। এতে দক্ষিন জাগিরপাড়া, নাওদ্বারা, জাঙ্গালিয়াকান্দা, গাঁওকান্দিয়া, কান্দাপাড়া, ভাদুয়া, গৌরাখালী, চিতলী চড়পাড়া, মুন্সিপাড়া, নন্দেরচটি, বন্ধউষান, আটলা সহ প্রায় বিশটি গ্রামের মানুষের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল মতিন মোতালেব জানান, আমি ইতোমধ্যে ইউপি সদস্যদের নিয়ে পরিদর্শন করেছি। ব্রীজটি ভাঙতে প্রায় তিন লক্ষ টাকা লেগে যায়। তাই স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের কাছে বার বার ঘুরেও এর কোন সুরাহা পাইনি।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলাম মৃধা জানান, ওই জায়গাতে নতুন করে ব্রীজ করতে গেলে যে পরিমান বরাদ্দ প্রয়োজন তা না দেয়ায় ঝুলে আছে। এ নিয়ে ইস্টিমিট করে পাঠিয়েছি বরাদ্দ আসলে অবশ্যই অগ্রাধীকার ভিত্তিতে কাজ শুরু করা হবে।