ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক:
আমেরিকান ম্যাগাজিন “ফরেন পলিসি” পাকিস্তানের খনিজ সম্পদের প্রতি মার্কিন সরকারের প্রত্যাশা সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
ইসনার উদ্ধৃতি দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, রাশিয়ার সাথে যুদ্ধের সময় কিয়েভে পাঠানো সাহায্যের টাকা ফেরত নেওয়ার অজুহাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় প্রশাসন যখন ইউক্রেন সরকারের সাথে খনিজ সম্পদ বিষয়ে চুক্তি সম্পাদনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং এখনও কোন ফল পায়নি, তখন আমেরিকান ম্যাগাজিন “ফরেন পলিসি” পাকিস্তানের খনিজ সম্পদের ব্যাপারে ওয়াশিংটনের আগ্রহের বিষয়টি তুলে ধরেছে।
“ফরেন পলিসি”র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এরিক মেয়ার খনি খাতে বিনিয়োগ সংক্রান্ত একটি শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য ইসলামাবাদে একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের সাথে এক বৈঠকে মেয়ার বলেন যে আমেরিকান কোম্পানিগুলি পাকিস্তানের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।
ফরেন পলিসির মতে, মার্কিন কংগ্রেসের আইন প্রণেতারা পাকিস্তানের খনিজ সম্পদ আহরণে আমেরিকার ইচ্ছা সম্পর্কে ইউক্রেনের মতোই একই রকম সংকেত পাঠাচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে। মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে পাকিস্তান পার্লামেন্টের যৌথ কমিটির সভাপতি জ্যাক বার্গম্যান সম্প্রতি বলেছেন যে খনিজ এলাকা পাকিস্তানের সাথে অংশীদারিত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হতে পারে।
২০২৩ সালের পর পাকিস্তান সফরকারী মার্কিন কংগ্রেসের কর্মকর্তাদের প্রথম প্রতিনিধি দলের অংশ হিসেবে বার্গম্যান গত সপ্তাহে ইসলামাবাদ সফর করেন।
পাকিস্তানের খনিজ সম্পদের মধ্যে রয়েছে তামা ও সোনার বিশাল মজুদ, সেইসাথে লিথিয়ামের মতো অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ এবং অনুমান করা হয় যে এর আয়তন প্রায় ৬০০,০০০ বর্গকিলোমিটার জুড়ে যা যুক্তরাজ্যের আয়তনের দ্বিগুণ। যদিও পাকিস্তানের খনিজ সম্পদের মূল্য বর্তমানে ৮ ট্রিলিয়ন ডলার বলে অনুমান করা হচ্ছে এবং ইসলামাবাদ দীর্ঘদিন ধরে তার খনিজ সম্পদ নিয়ে গর্ব করে আসছে, কিন্তু সেগুলো কাজে লাগাতে ইচ্ছুক বিনিয়োগকারীদের খুঁজে পেতে বেগ পেতে হচ্ছে।
ফরেন পলিসি মনে করে যে এই পরিস্থিতিতে, মার্কিন সরকারের এই ধরনের বিনিয়োগের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ ইসলামাবাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস করেন যে খনি খাতে বিনিয়োগ আন্তর্জাতিক অর্থায়নের উপর দেশের নির্ভরতা কমাতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদী অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে পারে।#
সূত্র: পার্সটুডে