একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে ভালোবাসার ধুকধুকানি বেড়ে যায়

মৌসুমী-ওমর সানি

প্রেম-ভালোবাসা চিরন্তন। দেবদাস-পার্বতী, লাইলী-মজনুসহ অসংখ্য কালজয়ী প্রেমিকজুটি সৃষ্টি করেছেন ইতিহাস। সমাজের প্রতিটি নারী-পুরুষের মতো তারকারাও প্রেম-ভালোবাসার বাইরে নন। ভালোবাসার দুর্নিবার আকর্ষণ তাদের জীবন-যাত্রায় ব্যাপক প্রভাব ফেলে। দেশের অনেক তারকা পর্দার মতো বাস্তব জীবনে ভালোবেসে ঘর বেঁধেছেন। দেশের সফল তারকা জুটির মধ্যে ওমর সানি-মৌসুমী জুটি অন্যতম। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে নন্দিত এই তারকা জুটি রাইজিংবিডিকে শুনিয়েছেন তাদের প্রেম-বিয়ের গল্প।

প্রথম ভালোলাগা, প্রথম প্রেমের অনুভূতির স্মৃতিচারণ করেন মৌসুমী বলেন—‘‘সানির প্রথম সিনেমা ‘চাঁদের আলো’ দেখেই তাকে ভালো লেগে যায়। বিশেষ করে ওর ম্যানলি ভাবটা আমাকে দারুণভাবে আকৃষ্ট করে। পরে একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বুকের ভেতর ভালোবাসার ধুকধুকানি আরো বেড়ে যায়। কিন্তু কখনো সরাসরি বলতে পারিনি। আকারে ইঙ্গিতে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু ওর হাব-ভাব দেখে ঠিকই বুঝতে পেরেছিলাম ও আমাকে ভালোবাসে। একদিন সকালে আমার অনুমান সত্যি হলো। কারণ সেদিন সকালে আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। আমি মনে মনে এই দিনটির অপেক্ষা করলেও সেদিন সানির কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়ে হেসে দিয়েছিলাম। সানি বলেছিল, ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’। তখন সানিকে খুব নার্ভাস লাগছিল। তাই হেসে দিয়েছিলাম। এর পর থেকেই দুজন-দুজনেক বোঝা শুরু।’’

দাম্পত্য জীবনের ২৫ বছর পার করছেন ওমর সানি-মৌসুমী। সংসার জীবনের বোঝাপড়ার কথা জানিয়ে মৌসুমী বলেন, ‘আসলে সব সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে যে বিষয়টি খুব জরুরি তা হলো—সত্য বলতে জানা। সানিকে আমি বিশ্বাস করি, সে কখনো আমার কাছে মিথ্যা বলে না। যে কারণে কে কী বলল, সেটা আমার কাছে বড় বিষয় নয়, সানি কী বলল সেটাই আমি জানতে চাই।’

সংসার জীবনে পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস ও সম্মান গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন ওমর সানি। তিনি বলেন, ‘সংসার জীবনে বিশ্বাস ও সম্মানটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। মিডিয়াতে এটা আরো বেশি দরকার, কারণ এখানে কাজ করতে গেলে নানাজন নানা কথা বলেন। আমি গর্ব করি যে মৌসুমী ক্যারিয়ারে আমার চেয়ে এগিয়ে। বিষয়টিকে আমি সম্মান করি। আমি সব সময় পাশে থাকার চেষ্টা করি।’

ওমর সানির কোন বিষয়টি বেশি প্রিয়? এমন প্রশ্নের জবাবে মৌসুমী বলেন—‘সানি অন্যদের মতো নয়। যে কারণেই দীর্ঘ সময় আমরা সুখ-শান্তিতে একই ছাদের নিচে বসবাস করছি। আজ পর্যন্ত সানিকে নিয়ে কোনো অভিযোগ করতে হয়নি। সানির সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হচ্ছে, খুব সহজে মানুষকে ভালোবাসে, বিশ্বাস করে। যত সহজে রাগে, তার চেয়ে তার দ্রুত রাগ কমে যায়। মানুষকে ক্ষমা করে দেয়। এটি আমার খুব পছন্দ।’

একই প্রশ্নের উত্তরে ওমর সানি বলেন, ‘আমার সবচেয়ে ভালো লাগে, তার অসাধারণ ব্যক্তিত্ব। এ ছাড়া মৌসুমীর নাচ ও অভিনয়ের মধ্যে নিজস্বতা রয়েছে। সব মিলিয়ে সে ভালোবাসার মতোই একজন মানুষ।’

 

ঢাকা/আলো 

Print

সম্পর্কিত পোস্ট

২ মন্তব্য

ডিএনবিনিউজ২৪.কম বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১ ৯:৪৩ at ৯:৪৩ পূর্বাহ্ণ

hh

Reply
ডিএনবিনিউজ২৪.কম বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১ ৯:৪৩ at ৯:৪৩ পূর্বাহ্ণ

Hi

Reply

''আপনার মতামত দিন''

ডিএনবি নিউজ ২৪.কম