১৩১টি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে কোন শিক্ষার্থীই ভর্তি হননি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

 

দেশের ১৩১টি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হননি কোনো শিক্ষার্থী। কলেজের মান নিয়ে প্রশ্ন,বলছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড।

দেশের ১৩১টি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে কোনো শিক্ষার্থীই ভর্তি হননি। আরেকদিকে এসএসসি ও সমমানের ফলাফলে জিপিএ ফাইভ পেয়েও পছন্দের ভালো মানের কলেজে ভর্তির সুযোগ পাননি ১২ হাজার ১৬০ জন শিক্ষার্থী।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড বলছে, প্রথম দফায় না পারলে পরবর্তী দুই দফায় সুযোগ রয়েছে, এমনকি চতুর্থবার বিশেষ সুযোগের চিন্তাও করছে সরকার। আর ঐ ১৩১টি কলেজের মান নিয়ে প্রশ্ন নিয়ে থাকায় সেখানে কেউ ভর্তি হয়নি বলে মনে করে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড।

সারা দেশে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিযোগ্য কলেজ রয়েছে ৪ হাজার ৭৬২টি, ভর্তিযোগ্য আসন রয়েছে ২৫ লাখ ৩০ হাজার ৩০৩টি। অথচ গেল ৮ই জানুয়ারি ভর্তি প্রক্রিয়া শুরুর পর প্রথম দফার ফলাফলে দেখা গেছে, একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী পায়নি ১৩১টি কলেজ।

একাদশে ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সর্বনিম্ন ৫টি কলেজ ও সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই তারা তুলনামূলক ভালো কলেজগুলোতে আবেদন করায় বেঁধেছে বিপত্তি।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় উপ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, প্রত্যেক বিষয়ে ৮০ এর উপরে নাম্বার পেলেও জিপিএ-৫ আবার ৯০ এর উপরে নাম্বার পেলেও জিপিএ-৫।

কেউ যদি নাম্বারটা দেখে বিবেচনা করতো যে সে কোন কলেজে ভর্তি হতে পারবে তাহলে আর কোন সমস্যা হতো না। ঢাকা বোর্দের চারটা কলেজে প্রায় চার হাজারের মত ভর্তি হয়ে গেছে, এরা আমাদের অ্যাপস এর মধ্যে আসে নাই। তাদের আসনগুলো আমাদের অ্যাপসে ফাঁকা দেখাচ্ছে। এরা জিপিএ-৫ পাওয়া,কিন্তু তারা কোন আবেদনই করে নাই।

ভর্তি প্রক্রিয়া শুরুর পর প্রথম দফার ফলাফলে আরও দেখা গেছে, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন ১ লাখ ১৮ হাজার ৯১৫ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ১২ হাজারের ওপর শিক্ষার্থীই জিপিএ ফাইভ পাওয়া।

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা ২০২১-এর ফলাফলে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা বোর্ড ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পাস করেছে ২০ লাখ ৯৬ হাজার ৫৪৬ জন। জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ জন। সেক্ষেত্রে মোট উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর চেয়ে কলেজগুলোতে একাদশ শ্রেণিতে ৪ লাখ ৩৩ হাজার ৭৫৭টি আসন বেশি রয়েছে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় উপ কমিটির সভাপতি বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যেগুলো আসলে কোচিং সেন্টারের মত। এগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না। এ কারণে শিক্ষার্থীদের সেসব কলেজ পছন্দ না। কেউ যদি আবেদনই না করে বা কলেজের নামই না দেয় সেখানে আমাদের কিছু করার নাই।

৭ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্যায়ে অনলাইনে ভর্তির আবেদন করা যাবে, ফল প্রকাশ হবে ১০ ফেব্রুয়ারি। ১৩ই ফেব্রুয়ারি তৃতীয় দফায় আবেদন গ্রহণের পর ১৫ই ফেব্রুয়ারি ফল প্রকাশ হবে। ১৯ থেকে ২৪শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কলেজগুলোতে ভর্তি কার্যক্রম চলবে। দোসরা মার্চ থেকে একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে।

Print

সম্পর্কিত পোস্ট

''আপনার মতামত দিন''

ডিএনবি নিউজ ২৪.কম