হজরত হাসান বসরি রহ এর পরকাল ভাবনা ও কিছু উপদেশ

মুযযাম্মিল হক উমায়ের

তিনি বলতেন, প্রকৃত বিনয়ী হলো ওই ব্যক্তি যে, ঘর থেকে বের হওয়ার পর যার সাথেই দেখা হয়, তাকেই সে নিজের চেয়ে শ্রেষ্ঠ মনে করে৷

তিনি বলতেন, যে ব্যক্তি গুনাহের কাজ করে তওবা করে নেয়, আল্লাহ তায়ালা তাঁকে নিকটে নিয়ে নেন৷ এভাবে সে যতো তওবা করবে, আল্লাহ তায়ালা তাঁকে নিকটবর্তী করতে থাকেন৷

তিনি বলতেন, মৃত ব্যক্তির উত্তরাধীকারীদের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট হলো সেসব লোক, যারা মৃত ব্যক্তির জন্য কান্না তো ঠিকই করে কিন্তু মৃত ব্যক্তির রেখে যাওয়া ঋণ থেকে মৃত ব্যক্তিকে মুক্ত করে না৷

তিনি বলতেন, একজন মানুষের সাথে শত্রুতা পোষণ করে এক হাজার মানুষের ভালোবাসা ক্রয় করো না৷ শত্রুতা এমন খারাপ জিনিস৷

তিনি বলতেন, লোভ-লালসা আলেমদেরকে ত্রুটিযুক্ত বানিয়ে দেয়৷ সুতরাং এই রোগ থেকে বিশেষকরে আলেমদের পরহেজ করা উচিত৷

তিনি কসম খেয়ে বলতেন, যে ব্যক্তি অর্থ-সম্পদকে সম্মান করেছে, আল্লাহ তায়ালা তাকে অপমান-অপদস্ত করেছেন৷

তিনি বলতেন, দুনিয়া হলো তোমাদের বাহন৷ যদি তোমরা তাকে বাহন হিসাবে ব্যবহার করতে পারো, তাহলে সে তোমাদেরকে উপরে ওঠিয়ে রাখবে৷ আর যদি দুনিয়া তোমাদের উপর চড়ে বসে, তখন সে তোমাদেরকে ধ্বংস করে ছাড়বে৷

তিনি বলতেন, আমি এমন কাউকে দেখিনি যে দুনিয়া সন্ধান করে পরকাল পেয়ে গেছে৷ তবে এমন অনেক মানুষ দেখিছি, যারা পরকাল সন্ধান করে দুনিয়াও পেয়ে গেছেন৷

তিনি বলতেন, যদি আল্লাহ তায়ালার কোন বাধ্যগত বান্দার সাথে তোমাদের শত্রুতা সৃষ্টি হয়ে যায়, তাহলে তাঁর সাথে শত্রুতা করা থেকে বিরত থাকো৷ কারণ, আল্লাহ তায়ালা তাঁকে তোমাদের হাতে সপর্দ করবেন না৷

আর যদি আল্লাহ তায়ালার নাফরমান কোন বান্দার সাথে তোমাদের শত্রুতা সৃষ্টি হয়ে যায়, তবেও তার সাথে শত্রুতা করা থেকে বিরত থাকো৷ কারণ, আল্লাহ তায়ালার নাফরমানি করার কারণে আল্লাহ তায়ালা নিজেই তার থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য যতেষ্ট৷ তোমরা অযথা তার সাথে শত্রুতা করে নিজেদেরকে কষ্টে ফেলো না৷

সূত্র: আকওয়ালে সালফ

Print

সম্পর্কিত পোস্ট

''আপনার মতামত দিন''

ডিএনবি নিউজ ২৪.কম