ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং ভর্তুকি ব্যয় কমাতে গত ৫ আগস্ট তেলের দাম বৃদ্ধি করে সরকার । যার ফলে দেশের পরিবহন খরচ বেড়ে খরচ বেড়ে যাওয়ায় ভাড়াও বৃদ্ধি করা হয়েছে। অবশেষে ডিজেলের আগাম কর মওকুফ এবং আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
যার ফলে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) ও অন্য ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান হ্রাসকৃত শুল্ক হারে ডিজেল আমদানি করতে পারবে। তবে যতটা শুল্ক কমানো হয়েছে তাতে লিটারে দুই টাকা দাম কমতে পারে বলে জানিয়েছে জ্বালানি বিভাগ।
তবে বাজারে এখনই জ্বালানির দাম কমছে না। সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) কেনা তেলে শুল্ক কমায় তখন দাম কমানো হবে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, যতটুকু কর কমেছে, তাতে লিটারে দুই টাকা কমতে পারে। এতে বাজারে তেমন প্রভাব পড়বে না।
তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পদক্ষেপটি স্থায়ী নয়। বিপিসিকে দেউলিয়াত্বের হাত থেকে বাঁচাতে এটা করতে হয়েছে। অবশ্যই এটা সমন্বয় করা হবে। সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ বলছে, সব ধরনের কর প্রত্যাহার করলে প্রতি লিটার ডিজেলের মূল্য কম করে হলেও ৩৬ টাকা কমানো সম্ভব। কারণে, বর্তমানে লিটারপ্রতি ১১৪ টাকার ডিজেল থেকে ৩৬ টাকা কর আদায় করছে সরকার।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট রাতে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় সরকার। ওই দিন রাত ১২টা থেকেই বর্ধিত মূল্য কার্যকর করা হয়। নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি লিটার ডিজেল ৮০ টাকা থেকে ৩৪ টাকা বেড়ে ১১৪ টাকা, কেরোসিন ৩৪ টাকা বেড়ে ১১৪ টাকা, অকটেন ৪৬ টাকা বেড়ে ১৩৫ টাকা এবং পেট্রল ৪৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩০ টাকা করা হয়েছে।