দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকায় উন্নয়ন দৃশ্যমান এবং দেশের মানুষ এর সুফল পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিজয়ের ৫০ বছরে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হওয়া বড় অর্জন। আজ রোববার (২ জানুয়ারী) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের স্বীকৃতি প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও সরকারের ধারাবাহিকতায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ উদযাপন উপলক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের উদ্যোগে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজন করা হয় এ অনুষ্ঠানের। সেখানে স্পিকার এ কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, তিনটি মানদণ্ড পূরণ করে বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ হয়েছে। এটিকে জাতিসংঘ মিরাকল বলে অভিহিত করেছেন। বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে সংবিধান প্রণয়ন করেছিলেন। তিনি মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়ে দেশে উন্নয়নের ভিত রচনা করেছিলেন। সেই ভিত থেকে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন তারই উত্তরসূরি শেখ হাসিনা। বলেন, ২০০৯ সালে দারিদ্র ছিল ৪০ শতাংশ, সেখান থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ২১ শতাংশ। শিক্ষার হার বেড়েছে। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হবে। দেশ থেকে মঙ্গা দূর হয়েছে। আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি।
স্পিকার আরও বলেন, পিতার আদর্শকে ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের ৪১তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। ২০২১ সালের রূপকল্পের আলোকে এগিয়েছে দেশ। কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ডিজিটাল দেশ গঠনে এগিয়ে যাচ্ছে। ৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হবে বাংলাদেশ।