ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ
নেত্রকোণার দুর্গাপুরে ব্রিজ থেকে লাফিয়ে এক নারী আত্মহত্যা চেষ্টা করেছেন। রবিবার সকালে সোমেশ্বরী নদীর বিরিশিরি ব্রিজে এই ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধারের পর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় স্থানীয় পুলিশ সদস্যরা।
ওই নারীর নাম ফাতেমা আক্তার জয়া (২৬) বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ। পাশাপাশি ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকার নবী হোসেনের স্ত্রী বলেও একটি সূত্রে জানা গেছে। তবে কীভাবে এই কিশোরী দুর্গাপুরে এসেছে এবং তার প্রকৃত পরিচয় নিশ্চিত পুলিশ তদন্ত অব্যাহত রেখেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে স্থানীয় কয়েকজন ব্যস্ততম বিরিশিরি ব্রীজের উপরে হঠাৎ একটি কিশোরীকে হাটাহাটি করতে দেখেন। হঠাৎ কোন কিছু বোঝার আগেই ওই কিশোরী ব্রিজ থেকে লাফিয়ে পড়ে। স্থানীয়রা দ্রুত ব্রীজের নিচে ছুটে গিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ওই কিশোরীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। টনাস্থলের ভিডিও ধারণ করতে গেলে কথিত ফাতেমা বাহিনীর বাধার মুখে পড়ে সংবাদকর্মীে এক পর্যায়ে সংবাদকর্মীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালান ফাতেমা আক্তারের বড় মেয়ে।
হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, ব্রিজ থেকে লাফিয়ে পড়ার কারণে ডান হাতের উপরে এবং কমরে মারাত্মকভাবে জখম হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হতে পারে।
এই দিকে আরেকটি ভিডিওতে স্থানীয়দের সাথে ওই কিশোরীর কথোপকথনে জানিয়েছেন তিনি ঢাকা থেকে ফাতেমার কাছে আসছিলেন। তবে কেনো আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন এব্যাপারে কিছুই বলেননি।
দুর্গাপুর থানার উপ-পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম জানান, কিশোরীর প্রকৃত পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছি। এই কিশোরী একেক সময় একেক পরিচয় দিয়ে বিভ্রান্তি করার চেষ্টা করছে। তবে কি কারনে এই আত্মহত্যার চেষ্টা এব্যাপারে কোন কিছুই এখনো জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর মাসে ১৭ তারিখ ঢাকা থেকে কাজের কথা বলে দুর্গাপুর এনে স্থানীয় ফাতেমা আক্তারের বাসায় আটকে রেখে অনৈতিক কাজে বাধ্য করার অভিযোগ তুলেছেন বিথী নামের আরেক কিশোরী। ওই কিশোরী ফাতেমা আক্তারের বাড়ি থেকে পালিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছিলেন। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে পৌর শহরের মাঝে অনৈতিক কাজের আস্তানা খুলে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে কথিত ফাতেমা আক্তার। স্থানীয় এই নিয়ে আন্দোলন মানববন্ধন করেও কোনো প্রতিকার হয়নি।