পবিত্র ভূমিতে ইসরায়েলের কোনো স্থান নেই: হামাস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

গত ৭ অক্টোবর ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা যে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছেন তাকে ‘সবেমাত্র শুরু’ বলে ঘোষণা করেছেন ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সিনিয়র নেতা গাজি হামাদ। তিনি বলেন, ইসরাইল ধ্বংস হয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত একই ধরনের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ হামলা একের পর আসতেই থাকবে।

গাজি হামাদ এলবিসি নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আরো বলেন, “আমাদের ভূমিতে ইসরাইলের কোনো স্থান নেই। আমরা এই অবৈধ রাষ্ট্রকে নিশ্চিহ্ন করে দেব, কারণ এটি নিরাপত্তাগত, সামরিক ও রাজনৈতিক বিপর্যয় সৃষ্টি করছে।”

গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে হামাস ও ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের যোদ্ধারা ‘আল-আকসা তুফান’ অভিযান শুরু করেন। ওই অভিযানে সাড়ে তিনশ’র বেশি সেনাসহ ১,৪০০ ইসরাইলি নিহত হয়। ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা শত শত ইসরাইলিকে বন্দি করে নিয়ে গাজ্জায় ফিরে যান। গাজি হামাদ ওই ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, “আমরা ইসরাইলকে একটি শিক্ষা দিয়েছি এবং এই শিক্ষার পুনরাবৃত্তি হতে থাকবে।”

অভিযানে ইসরাইলি বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষতি করার কোনো ইচ্ছা হামাসের ছিল না বলে তিনি উল্লেখ করেন। গাজি হামাদ বলেন, “হামাস বেসামরিক নাগরিকদের কোনো ক্ষতি করতে চায়নি কিন্তু বাস্তবে কিছু জটিলতা তৈরি হয়েছিল। তবে যা হয়েছে তার পুরোটাই ছিল ন্যায়সঙ্গত।”

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনিদের অভিযানে পরাজিত ও অপমানিত ইসরাইল হামাসের সঙ্গে পেরে না উঠে নিরপরাধ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের ওপর প্রতিশোধ নেয়ার কাজ শুরু করে। সেদিন থেকে গাজ্জা উপত্যকার ওপর ইসরাইলি পাশবিক বোমাবর্ষণে ৩,৬০০ জনের বেশি শিশুসহ অন্তত ৮,৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

ইহুদিবাদী সেনারা বর্তমানে গাজ্জায় স্থল অভিযান চালাচ্ছে। ওই অভিযানে তারা ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের প্রচণ্ড প্রতিরোধের সম্মুখীন হচ্ছে। মঙ্গলবার একদিনেই অন্তত ১৬ ইসরাইলি সৈন্য নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছে তেল আবিব। গতকাল (বুধবার) ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা বহু ইসরাইলি ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান ধ্বংস করার কথা ঘোষণা করেছে। তবে ইসরাইল এখনও বুধবারের ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ প্রকাশ করেনি। ইসরাইল নিজের নিহত সেনাদের সংখ্যা কমিয়ে প্রচার করছে বলেও ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা ঘোষণা করেছেন।

সূত্র : পার্সটুডে

Print

সম্পর্কিত পোস্ট

''আপনার মতামত দিন''

ডিএনবি নিউজ ২৪.কম