ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:
গাজায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সরাসরি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইয়েমেনের সশস্ত্র সংঠন, হুতি। সেই লক্ষ্যে নিজেদের সামরিক শাখায় নিয়োগ দিয়েছে নতুন সদস্য। গোষ্ঠিটিতে যোগ দেয়া যোদ্ধাদের নিয়ে রাজধানী সানায় হয় নজরকাড়া কুচকাওয়াজ।
নিজেদের শক্তিমত্তা আর ফিলিস্তিনিদের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন প্রদর্শন করতে ইয়েমেনের রাজধানী সানায় বিশাল এই কুচকাওয়াজের আয়োজন সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতির। হাতে রাইফেল আর ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে যাতে অংশ নেন সংগঠনের নতুন সদস্যরা। মূলত ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াতে নিজেদের সামরিক শক্তি আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নেয় গোষ্ঠীটি। তাদের সে ডাকে সাড়া দিয়ে সামরিক শাখায় যোগ দিয়েছে তরুণ-যুবক থেকে শুরু করে নানা শ্রেনিপেশার মানুষ।
গাজায় ইহুদিদের আগ্রাসনের জবাবে মধ্যপ্রাচ্যের যেকয়টি সংগঠন সরাসরি ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে হামাসের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে তাদের মধ্যে হুতিরা অন্যতম। ইয়েমেন থেকেই ছুড়েছে দূরপাল্লার মিসাইল, ড্রোন। লোহিত সাগর থেকে আটক করেছে তেলআবিবের মালিকানাধীন পণ্যবাহী একটি জাহাজও। যুদ্ধবিরতির মেয়াদ না বাড়িয়ে আবারও ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা শুরু করেছে ইহুদি সেনারা। এর একদিন পরই প্যারেডের আয়োজন করে শত্রু পক্ষকে নিজেদের সক্ষমতার জানান দিলো হুতিরা।
এ ব্যাপারে হুতির রাজনৈতিক শাখার নেতা মুহাম্মদ আলি আল হুতি বলেন, আব্দুল মালিক আল হুতির ডাকে ইয়েমেনের হাজার হাজার নাগরিক পবিত্র আল আকসা রক্ষায় ফিলিস্তিনে তাদের মুজাহিদিন ভাইদের সাথে যোগ দিতে প্রস্তুত। এই জনসমাগম তাদের সেই প্রস্তুতি এবং ইসলামের অন্যতম পবিত্র স্থানের বর্তমান পরিস্থিতির প্রতি তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করছে।
তিনি বলেন, ইয়েমেনের ভূমিতে একদল বিশ্বস্ত সেনাবাহিনী রয়েছে। আমরা, আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইদের কখনই পরিত্যাগ করবো না। বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত এবং দখলদারদের ফিলিস্তিনের ভূমি থেকে বিতারিত না করা পর্যন্ত আমরা এই লড়াই চালিয়ে যাবো।
সম্প্রতি হুতিদের সামরিক শক্তি কয়েক গুণ বেড়েছে। ইরানের সহায়তায় যোগ হয়েছে দূরপাল্লার নানা সমরাস্ত্র। এখন বাড়াচ্ছে লোকবলও।