ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ
নেত্রকোনার দুর্গাপুরের পল্লীতে একটি শীল পরিবার ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে। ঐ ঘটনার জের ধরে আবু দারদা(৩৪) নামের বসত বাড়িতে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেদম মারধর ও মাথায় কুপিয়ে মারাত্বক জখমের ঘটনা ঘটে।
৬ মার্চ রোববার বাকলজোড়া ইউনিয়নের রামনগর গ্রামে দিবাগত রাত ১২টার দিকে এ মারধরের ঘটনাটি ঘটে। এরপর রাতেই গুরুতর আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
ভুক্তভোগীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মারধরের শিকার আবু দারদা এর পূর্বের নাম দয়াল শীল ছিল। আবু দারদা এক মাস আগে শীল ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেন। তিনি বাকলজোড়া ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের মৃত হিরেন্দ্র চন্দ্র শীলের পুত্র। ইসলাম ধর্ম গ্রহন করার পর তার নাম রাখেন আবু দারদা। তার এক ছেলে সন্তান ও দুই মেয়ে রয়েছে তাদেরকেউ ইসলাম ধর্ম গ্রহন করানো হয়েছে। ইসলাম ধর্ম গ্রহন করার পর থেকেই প্রতিবেশী,হরেকৃষ্ণ, হস্ত রঞ্জন,শিবানী মোহেন্দ্র দাস সহ আরও কয়েকজন সব সময় তাদের অবজ্ঞা অত্যাচার উৎপিরণ করতো। এমনকি নামাজের জায়গাতে মল-মূত্র ফেলে রাখতো।
আবু দারদা’র স্ত্রী বর্তমান আনোয়ারা বলেন, ইসলাম ধর্ম গ্রহন করার পর থেকেই আমরা যখন নামায আদায় করতাম ঐ সময় তারা নানান ভাবে আমাদেরকে ত্যাক্ত বিরক্ত করে যেতো। সব সময়ই অত্যাচার করতো। সোমবার রাতে প্রতিবেশী হরেকৃষ্ণ, হস্ত রঞ্জন,শিবানী, মোহেন্দ্র দাস দেশিও অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। এতে আবু দারদা’কে মাথায় কুপিয়ে মারাতœক ভাবে আহত করেন। এ সময় আবু দারদা ও তার স্ত্রী চিৎকার শুরু করে। তাঁদের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী তাদেরকে উদ্ধার করে রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন।
এ নিয়ে দুর্গাপুর থানার ওসি (ভার:) মীর মাহবুবুর রহমান বলেন, এখনো এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।