ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:
আমাদের পিঠ ঠেকে গেছে, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে তেলের দাম বাধ্য হয়েই বাড়িয়েছে সরকার। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে দেশেও তেলের দাম কমানো হবে বলে জানান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
শনিবার (৬ আগস্ট) সকালে গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনকে ব্যাপক লোকসানের হাত থেকে বাঁচাতেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যত্রতত্র ডিজেল ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা ছাড়া উপায় নেই। দেশবাসীকে ধৈর্য ধরতেই হবে। জ্বালানি তেলের নতুন দাম সমাজের সবার কাছে সহনীয় হবে না। অর্থনীতির স্বার্থেই সরকারের কাছে মূল্যবৃদ্ধি ছাড়া উপায় ছিল না।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে কলকাতায় ডিজেলের বাজারমূল্য ১১৪ টাকা প্রতি লিটার, যদি ৯৪ টাকা করে ডলার হয়। এখন ডলারের দাম তো আরও বেড়ে গেছে, সেখানে আমরা ডিজেল বিক্রি করেছি ৮০ টাকায়। এই বিরাট ব্যবধানের কারণে বিশাল পরিমাণ তেল অবৈধভাবে পাচার হওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকে। বিজিবিকে বলা হয়েছে এবং সীমান্ত কড়া পাহারা বসানো হয়েছে।
নসরুল হামিদ বলেন, সব দেশেই দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আরব আমিরাতের কথা যদি বলি সেখানে ডিজেলের এখনকার দাম ১২২ টাকা করে। আমাদের অবস্থা হয়েছে জাহাজের দাম বেড়ে গেছে, তেলের দাম লাগামহীন হয়ে গেছে। কিছুটা সীমিত হলেও আরেকটু যদি বেশি কমত তাহলে আমাদের এই পর্যায়ে যেতে হতো না, আমাদের পিঠ ঠেকে গেছে।
জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি বার বার বলে আসছি আপনারা সাশ্রয়ী হন, তেল কম ব্যবহার করেন, গাড়ি কম ব্যবহার করেন। কারণ, যানবাহন সেক্টরে সবচেয়ে বেশি ডিজেল ব্যবহার করা হয়। মাত্র ১০ শতাংশ ডিজেল ব্যবহার হতো বিদ্যুতে। আমি মনে করি, এখনো যানবহন নিয়ন্ত্রণ করার সময় আছে।