পাকিস্তানের কেপিতে বন্যা, পাঞ্জাবে পাহাড়ি ঢলে ৮ মৃত্যু

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ভারি বৃষ্টিতে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ায় দেখা দেওয়া বন্যায় ও পাঞ্জাবে পাহাড়ি ঢলে ছয় স্কুলগামী শিশুসহ আট জনের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার এসব ঘটনার পাশাপাশি দেশটির বহু অংশে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে ডন অনলাইন জানিয়েছে।

খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অবিরাম মুষলধারায় বৃষ্টি হতে থাকায় আপার দির ও সোয়াত জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে, অন্তত ছয় শিশু বন্যার পানিতে ভেসে গিয়ে মারা গেছে আর বৃষ্টিজনিত বিভিন্ন ঘটনায় আরও নয় জন আহত হয়েছে।

আপার দিরের কাসাই শাহিকোতে বন্যার পানিতে ভেসে যাওয়া ছড়ায় পাঁচ স্কুলগামী শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শিশুরা স্কুল থেকে ফেরার সময় বাড়তে থাকা পানির তোড়ে ভেসে যায়। তাদের মধ্যে দুই জোড়া ভাই-বোন ও অপর একটি শিশু রয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।

পানি নেমে যাওয়ার পর চার শিশুর মৃতদেহ পাওয়া গেলেও অপরজনের লাশ পাওয়া যায়নি, তবে সন্ধান অব্যাহত আছে।

এর আগে সামারবাগ জেলার একটি গ্রামে আরেকটি জলধারায় আরেক শিশু ডুবে মারা যায়। স্থানীয়দের চেষ্টায় সেখান থেকে শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

মিনগোরাতে হড়কা বানে কয়েকশ স্কুল শিক্ষার্থী আটকা পড়ার পর স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করে সামরিক বাহিনীর টিম ও উদ্ধারকারী দলগুলো।

পাঞ্জাব প্রদেশের উদ্ধারকারী সংস্থা জানিয়েছে, পাহাড় থেকে নেমে ঢলে ডেরা গাজি খানে একজন ও রাজনপুরে আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে।

এদের নিয়ে গত দুই সপ্তাহে পাঞ্জাবে বৃষ্টিজনিত বিভিন্ন ঘটনায় অন্তত ৩৮ জনের মৃত্যু হল।

ডন জানিয়েছে, প্রদেশটিতে পাহাড়ি ঢলে স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, রাস্তা, বৈদ্যুতিক খুঁটি ও সেচ প্রকল্পের খালও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যা দুর্গত কয়েক হাজার মানুষ সিন্ধু নদের তীরে ও সিন্ধু মহাসড়কে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। আশপাশের লোকালয়গুলো কোমর সমান পানিতে ডুবে আছে।

পাকিস্তানজুড়ে অস্বাভাবিক ভারি বৃষ্টি ও ব্যাপক বন্যায় জুলাই থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৮৩০ জনের মৃত্যু, অন্তত এক হাজার ৩৪৮ জন আহত ও কয়েক হাজার লোক গৃহহীন হয়েছে এবং অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

Print

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *