ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:
পরিবেশ অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা করে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া দুই প্রতারককে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তারা হলেন- মো. ইমতিয়াজ আহম্মেদ খান ওরফে ইমরুল কায়েস ওরফে জুম্মান খান এবং মো. আরাফাত ওরফে লিটন।
এসময় তাদের কাছ থেকে ৫টি মোবাইল ফোন, ১৫টি সিম কার্ড ও টার্গেটকৃত প্রতিষ্ঠানের মোবাইল নম্বর লেখা সম্বলিত ডায়েরী ২টি। গত মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার ইমতিয়াজ পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক নজরুল ইসলাম খান বলে নিজেকে পরিচয় দিতেন বলে জানান ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ।
তিনি বলেন, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার সুবর্ণ ভূমি রিসোর্টের ম্যানেজার মো. এনামুল কবির। ওই রিসোর্টের হেড অফিস ঢাকার বিজয়নগরে। গত ১৩ আগস্ট এনামুল হেড অফিসে অবস্থানের সময় প্রতারক ইমতিয়াজ ফোন দিয়ে নিজেকে পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তা পরিচয় দেন। ইমতিয়াজ ফোনে বলেন ম্যাজিস্ট্রেটসহ ২৭ জন তার রিসোর্টে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে যাবেন। তবে দুপুরের খাবার জন্য ৩০ হাজার টাকা দিলে তারা যাবেন না। পরবর্তীতে রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ প্রতারক ইমতিয়াজকে ২৫ হাজার টাকা দেয়। গত ১৪ আগস্ট রিসোর্টের পরিবেশ ছাড়পত্রের জন্য ২৭ হাজার টাকা নেন ইমতিয়াজ। পরবর্তীতে পরিবেশ ছাড়পত্রের জন্য যোগাযোগ করা হলে ইমতিয়াজের মোবাইল নম্বর বন্ধ পায় রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় গত ২১ আগস্ট ডিএমপির পল্টন মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করে সুবর্ণ ভূমি রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ। গ্রেফতারকৃত আসামিরা প্রথমে ফেসবুক পেইজ, ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন হাসপাতাল, হোটেল, রিসোর্টসহ বিভিন্ন শিল্প কারখানা কর্তৃপক্ষের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে। এরপর তাদের সংগ্রহে থাকা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নামে রেজিস্ট্রেশনকৃত ও নগদ অ্যাকাউন্ট খোলা সিম দ্বারা টার্গেটকৃত প্রতিষ্ঠানের ফোন দিতেন। নিজেকে পরিবেশ অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে টার্গেটকৃত প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সসহ বিভিন্ন কাগজপত্র সমস্যা রয়েছে উল্লেখ করে। পরে ওই প্রতিষ্ঠানে ভ্রাম্যমান আদালত চালানোর ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে মোবাইল বন্ধ করে দিতেন।
ডিবির সাইবার কর্মকর্তা তারেক এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে বলেন, অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি যে কোন পরিচয়ে ফোন করুন না কেন তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া। প্রয়োজনে পরিচয় দেওয়া ব্যক্তির প্রতিষ্ঠান বা দফতরের ওয়েবসাইট থেকে পরিচয় বা মোবাইল নম্বর নিশ্চিত হওয়া। সকল ধরণের অনুমোদন নিয়ে প্রতিষ্ঠান করা। প্রতারিত হলে দ্রুত পুলিশের সহায়তা নেওয়া এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।