ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন স্থানে ১৭টি অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১০টি এবং উত্তর সিটিতে সাতটি হাট বসবে।
ঢাকা উত্তরে সিটির অধীনে হাটগুলো হচ্ছে গাবতলী, বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং ব্লক-ই এফ জি এইচ এলাকার খালি জায়গা, মিরপুর সেকশন-৬ ইস্টার্ন হাউজিংয়ের খালি জায়গা, উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টর এলাকার বৃন্দাবন থেকে উত্তর দিকে বিজিএমইএ পর্যন্ত খালি জায়গা, ভাটারা সাইদ নগর, কাওলা শিয়ালডাঙ্গাসংলগ্ন খালি জায়গা, ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৩০০ ফিট সড়কসংলগ্ন উত্তর পাশের সালাম স্টিল, যমুনা হাউজিং কোম্পানি ও ব্যক্তিগত মালিকানাধীন খালি জায়গা এবং মোহাম্মদপুরের বছিলায় ৪০ ফুট রাস্তাসংলগ্ন খালি জায়গা।
অপরদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটির অধীনে হাটগুলো হচ্ছে মেরাদিয়া বাজারসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, দনিয়া কলেজ মাঠসংলগ্ন খালি জায়গা, ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনালসংলগ্ন উন্মুক্ত জায়গা, উত্তর শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজার মৈত্রী সংঘের ক্লাবসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, হাজারীবাগ এলাকার ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি মাঠসংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা, আমুলিয়া মডেল টাউনের আশপাশের খালি জায়গা, লালবাগের রহমতগঞ্জ ক্লাবসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, শ্যামপুর-কদমতলী ট্রাকস্ট্যান্ডসংলগ্ন খালি জায়গা, লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাবসংলগ্ন খালি জায়গা, কমলাপুর স্টেডিয়ামসংলগ্ন বিশ্বরোডের আশপাশের এলাকা এবং পোস্তগোলা শ্মশানঘাটসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা। এর বাইরে সারুলিয়া স্থায়ী হাটও চালু থাকবে।
এসব এলাকায় হাটের পাশাপাশি চালু থাকবে ডিএনসিসির ডিজিটাল হাট। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এবারও অনলাইন হাটকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। সে লক্ষ্যে তৃতীয়বারের মতো ডিজিটাল পশুর হাট চালু রাখা হবে। ডিএনসিসির ডিজিটাল হাটে ই-ক্যাব এবং বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএফএ) অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানের খামারিরা পশু বিক্রি করতে পারবেন।
এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন অস্থায়ী হাটের ইজারার শিডিউল ঘোষণা করেছে গত ১৩ এপ্রিল। দরপত্র বিক্রির শেষ তারিখ ছিল ৮ মে এবং জমা দেওয়ার তারিখ ছিল ৯ মে।
ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, নগর ভবন ও উত্তর সিটির ১০টি আঞ্চলিক অফিস থেকে দরপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আঞ্চলিক কার্যালয়ে দরপত্র জমা না নেওয়ায় অনেকেই গুলশানে নগর ভবনে গিয়ে সময়মতো দরপত্র জমা দিতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছেন।
দরপত্র জমা না দিতে পারা কয়েকজন জানান, উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টর এলাকার বৃন্দাবন থেকে উত্তর দিকে বিজিএমইএ পর্যন্ত খালি জায়গার জন্য হাটের সিডিউল জমা দিতে উত্তরায় সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক অফিস-১-এ গেলে তারা শিডিউল জমা নেননি। সেখান থেকে গুলশান নগর ভবনে জমা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। উত্তরা থেকে নগর ভবনে রওনা হয়েও যানজটের কারণে সময়মতো পৌঁছাতে না পারায় তারা শিডিউল জমা দিতে পারেননি বলে জানান। তাই, পুনরায় সিডিউল জমার সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ করেন তারা।
এ ব্যাপারে ডিএনসিসির আঞ্চলিক অফিস-১-এর নির্বাহী কর্মকর্তা জুলকার নায়ন বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা কারো কাছ থেকে এখনও কোনো মৌখিক বা লিখিত অভিযোগ পাইনি। যেহেতু এটি প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তার হাতে, তাই তাঁকে জানালে হয়তো একটা সমাধান হতে পারে।’