ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :
নরসিংদী জেলার শীর্ষস্থানীয় আলেমেদ্বীন, জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম গনেরগাঁও শাহী ঈদগাহ কমপ্লেক্সে মাদরাসার শায়খুল হাদিস ও মুহতামিম হাফেজ মাওলানা আহমদ আলী ইন্তেকাল করেছেন।
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মরহুমের জামাতা মুফতি সাকিবুল ইসলাম কাসেমী আওয়ার ইসলামকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আজ মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুর সোয়া দুইটার দিকে তিনি রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬৫ বছর।
এর আগে গতরাত থেকে তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করলে আজ ভোরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।’
তিনি জানান, আজ রাত ১০টায় হাফেজ মাওলানা আহমদ আলী রহ. -এর নিজ হাতে সাজানো ইলমি বাগান জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম গনেরগাঁও শাহী ঈদগাহ কমপ্লেক্স ময়দানেই প্রবীণ এই আলেমের জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। জানাযার নামাজে ইমামতি করবেন তার একমাত্র সাহেবজাদা হাফেজ নেয়ামতুল্লাহ। এরপর মরহুমের অসিয়ত অনুযায়ী গনেরগাঁও শাহী ঈদগাহ কমপ্লেক্স কবরস্থানে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে।
হাফেজ মাওলানা আহমদ আলী রহ. মৃত্যুকালে এক ছেলে, তিন মেয়ে, অসংখ্য শাগরেদ ও গুণমুগ্ধ রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে নরসিংদীর আলেম সমাজ ও দ্বীন দরদি মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নরসিংদী জেলার সর্বজন শ্রদ্ধেয় এ আলেমেদ্বীন ছিলেন দ্বীনি আন্দোলন-সংগ্রাম ও বুদ্ধিবৃত্তিক পদক্ষেপের অগ্রনায়ক। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নরসিংদী জেলা শাখার সাবেক সহ-সভাপতি তিনি।
তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে হলেও জীবনের প্রায় পুরোটা সময় তিনি কাটিয়েছেন নরসিংদীতে। নরসিংদী জেলার আঞ্চলিক শিক্ষাবোর্ড তানযিমুল মাদারিসিল কওমিয়ার সহসভাপতির দায়িত্বেও ছিলেন তিনি।
এছাড়া তিনি নবীনগর ওলামা পরিষদের সভাপতি, নরসিংদীর মনোহরদীর প্রাচীনতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া আশরাফুল উলুম বড় মির্জাপুর মাদরাসার শায়খুল হাদিসের দায়িত্ব পালনসহ বিভিন্ন দ্বীনি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
তিনি নরসিংদীর ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম সাহেপ্রতাপ ও রেইছা আজীজিয়া কারীমিয়া কওমিয়া মাদরাসা নবাববাড়ীরও প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন এক সময়।
তার মৃত্যুতে নরসিংদী জেলার ইলমি অঙ্গনে অপূরণীয় এক শূন্যতা তৈরি হলো।