আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচী

আজ থেকে আনুষ্ঠিতভোবে দেশের কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে।

জানা যায়, রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুর জামিয়া সিদ্দীকিয়া নূরানী মহিলা মাদরাসায় শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে দেশের কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের টিকাদান শুরু হয়।

জামিয়া সিদ্দীকিয়া নূরানী মহিলা মাদরাসার পরিচালক হাফেজ মাওলানা রফিকুল ইসলাম  জানান, আজ (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮ থেকেই আমাদের প্রতিষ্ঠানে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ও অধিদপ্তরের করোনার টিকাবিষয়ক কমিটির সদস্যসচিব ডা. শামসুল হক।

তিনি আরো জানান, আমাদের প্রতিষ্ঠানে শুরু হওয়া এ ভ্যাকসিন কার্যক্রমে আজ প্রায় ৫৭০জন শিক্ষার্থীকে ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে ১৮ বছরের উপরের শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও টিকা দেয়া হবে।

এ ব্যাপারে সরকারের করোনা টিকা ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. শামসুল হক জানান, আজ থেকে ঢাকায় ভাসমান মানুষ ও ঢাকাসহ সারা দেশে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেওয়া শুরু হবে। পরে বাদ পড়া অন্য জনগোষ্ঠীদেরও টিকা দেওয়া হবে।

এদিকে কওমি মাদরাসায় টিকা কার্যক্রমের জন্য সারাদেশে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী ৬ বিভাগে ১৭৪টি মাদরাসাকে প্রাথমিকভাবে টিকা সেন্টার হিসাবে নির্বাচন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এসব কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে।

দুই মাস আগে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেওয়া শুরু করে সরকার। তখন একই বয়সী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় আসে। সরকারি হিসাবে দেশে কওমি মাদ্রাসা আছে ১৯ হাজার ১৯৯ টি। এসব মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪ লাখের বেশি।

এর আগে, সারাদেশের কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের আওতায় আনার উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশের কওমি মাদরাসারগুলোর সর্বোচ্চ শিক্ষা অথরিটি আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কাওমিয়া বাংলাদেশ।

ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত রেখে শিক্ষার সুশৃংখল পরিবেশ বজায় রাখতে প্রত্যেক জেলার সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে এই টিকা প্রদান কার্যক্রম সম্পন্ন করার উদ্যোগ নেয় বোর্ডটি।

অপরদিকে দেশে এক দিনের ব্যবধানে করোনার রোগী কমলেও মৃত্যু ও শনাক্ত হার বেড়েছে। এক দিনে শনাক্ত কমে ৮ হাজারের ঘরে এসেছে। আর মৃত্যু বেড়েছে ৬ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ৮ হাজার ৩৫৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের। পরীক্ষায় বিবেচনায় শনাক্ত হার দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এর আগের দিন শুক্রবার শনাক্ত হয়েছিল ৯ হাজার ৫২ জন এবং মৃত্যু হয় ৩০ জনের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, গত এক দিনে দেশে ৩৫ হাজার ৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ। আর এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১ কোটি ২৬ লাখ ৮৭ হাজার ৫৮৮টি। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ও মৃত্যু নিয়ে দেশে করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৫৩ হাজার ১৮৭ ও মারা গেছে ২৮ হাজার ৫৬০ জন।




নভেল করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

নভেল করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ১১ হাজার ৫৯৬ জন। এ নিয়ে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২৮ হাজার ৪৯৪ জনে। মোট শনাক্ত ১৮ লাখ ৩৫ হাজার ৭৭৬০ জন।

আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে করোনাবিষয়ক নিয়মিত পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ সময়ে সুস্থ হয়েছে পাঁচ হাজার ৯৫৫ জন। এ নিয়ে দেশে মোট ১৫ লাখ ৮১ হাজার ৯২ জন করোনা থেকে সুস্থ হলো। দৈনিক শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ। আজ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৬৮টি ল্যাবে ৪৪ হাজার ৮৪৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা সংগ্রহ করা হয় ৪৪ হাজার ৮৫৮টি। মৃতদের মধ্যে পুরুষ ২২ ও নারী ১১ জন। এদের মধ্যে শুন্য থেকে ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে চারজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে আটজন ও ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে সাতজন।

একদিনে ঢাকা বিভাগে বেশি মৃত্যু হয়েছে। এ বিভাগে করোনায় মারা গেছে ১৮ জন। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে দুইজন, রাজশাহীতে চারজন, খুলনা বিভাগে ছয়জন, সিলেট বিভাগে দুইজন ও রংপুর বিভাগে একজন। এদের মধ্যে ২৫ জন সরকারি হাসপাতালে ও সাতজন বেসরকারি হাসপাতালে এবং হাসপাতালে মৃত্যু অবস্থায় আসছে একজন।

উল্লেখ্য, দেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। তার ঠিক ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।



সেলফ আইসোলেশনে শিক্ষামন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সেলফ আইসোলেশনে আছেন । শিক্ষামন্ত্রীর স্বামী বিশিষ্ট আইনজীবী ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ড. তৌফিক নেওয়াজ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় তিনি আইসোলেশনে গেছেন বলে জানা গেছে।

স্বামীর করোনা পজিটিভ ফল আসার পরই দীপু মনি আইসোলেশনে চলে যান বলে রোববার দুপুরে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এমএ খায়ের।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এমএ খায়ের জানান, শিক্ষামন্ত্রীর স্বামীর (ড. তৌফিক নেওয়াজ) কোভিড উপসর্গ ছিল। টেস্ট করানোর পর শনিবার রাতে করোনা পজিটিভ আসে। তিনি এখন নার্সদের তত্ত্বাবধানে আছেন। স্বামীর করোনা শনাক্ত হওয়ার খবরে গতকাল (২৯ জানুয়ারি) রাত থেকে মন্ত্রী আইসোলেশনে আছেন।

এমএ খায়ের জানান, আগামীকাল সোমবার দুপুরে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে শিক্ষামন্ত্রীর। এখন আইসোলেশনে থাকায় সশরীরে অংশ না নিয়ে ভার্চুয়ালি সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত হবেন তিনি।




ওমিক্রন মোকাবিলায় বুস্টারের ট্রায়াল শুরু করেছে মডার্না

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

মার্কিন বায়োটেক কোম্পানি মডার্না বুধবার জানিয়েছে, তারা করোনা ভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট মোকাবিলায় সুনির্দিষ্টভাবে তৈরি করা বুস্টার ডোজের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল কাজ শুরু করেছে।

এএফপি এক প্রতিবেদনে জানায়, এ ট্রায়ালে প্রাপ্তবয়স্ক মোট ৬০০ জন অংশগ্রহণ করবেন। এদের মধ্যে অর্ধেক কমপক্ষে ৬ মাস আগে মডার্নার টিকার দুই ডোজ ইতোমধ্যে গ্রহণ করেছেন এবং বাকি অর্ধেক আগেই অনুমোদন দেওয়া বুস্টারের তৃতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন।

ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টকে লক্ষ্য করে সুনির্দিষ্টভাবে তৈরি এ বুস্টার টিকাকে তৃতীয় ও চতুর্থ উভয় ডোজ হিসেবে মূল্যায়ন করা হবে।

মহামারির দুই বছরের করোনার অন্য যেকোনো ধরনের চেয়ে বেশি সংক্রামক বলে প্রমাণিত হয়েছে ওমিক্রন।

গত মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছিল, গত এক সপ্তাহে দুই কোটি ১০ লাখেরও বেশি মানুষ করোনার সংক্রমণের শিকার হয়েছেন, যা মহামারি শুরুর পর সর্বোচ্চ।

একই দিন আরও বলেছে, করোনার অন্যান্য ধরনের চেয়ে বিশ্বে এখন ওমিক্রনই তার আধিপত্য বাড়িয়ে চলেছে। ডেল্টার সংক্রমণ কমে এসেছে। আলফা, বিটা ও গামার সংক্রমণ একেবারেই নিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে।

ডব্লিউএইচও বলছে, যেসব দেশে ২০২১ সালের নভেম্বরে ও ডিসেম্বরে ওমিক্রনের সংক্রমণ দ্রুত বেড়ে গিয়েছিল সে সব দেশে এখন কমে এসেছে।

সংস্থাটি বলছে, বর্তমানে পাওয়া তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বলা যায় ওমিক্রনের সার্বিক ঝুঁকি এখনো অনেক বেশি রয়ে গেছে।

ডব্লিউএইচও বলছে, গত ৩০ দিনে সংগৃহীত নমুনা- যা জিআইএসএআইডিতে আপলোড করা হয়েছে, সেখানে দেখা গেছে ওমিক্রন ধরনে আক্রান্ত ৮৯.১ শতাংশ। আর ডেল্টা ধরন ১০.৭ শতাংশ।




এক দিনে করোনা শনাক্ত ১৬ সহস্রাধিক, মৃত্যু ১৮

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এ সময়ে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ১৬ হাজার ৩৩ জনের শরীরে।

এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ২৫৬ জনে। আর এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৭ লাখ ১৫ হাজার ৯৯৭ জন।

করোনাভাইরাস নিয়ে মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৯ হাজার ৪৯২টি। শনাক্তের হার ৩২.৪০ শতাংশ।

আরো উল্লেখ করা হয়, এদিন সুস্থ হয়েছেন আরো ১ হাজার ৯৫ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৫৮ হাজার ৯৫৪ জন।

২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১২ জন পুরুষ ও ৬ জন নারী। ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ৮ ও চট্টগ্রামে ৬ জন। এছাড়া রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে মারা গেছেন একজন করে।

এর আগে সোমবার দেশে করোনায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়। এ সময়ে নতুন করে শনাক্ত হন ১৪ হাজার ৮২৮ জন।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্তের কথা জানায় সরকার। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।




মাস্ক ছাড়া বের হলেই জরিমানা: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক: 

মাস্ক ছাড়া বের হলে জরিমানা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

তিনি বলেন, মাস্ক ছাড়া বের হলে এখন থেকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে। সবাইকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। গ্রামে মাইকিং করে টিকা নেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে।i

সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সরকারি অফিসগুলোতে অর্ধেক জনবল নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। এর আগেও এর চেয়ে কম জনবল নিয়ে অফিস পরিচালনা করা সম্ভব হয়েছে। তাই এতে কোনো সমস্যা হবে না।তিনি আরও বলেন, প্রয়োজন হলে ভার্চুয়ালি অফিস করা হবে। এ সময় আহ্বান জানান তিনি।




বিধিনিষেধ অমান্য করলে লকডাউন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ড্ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান ১১ দফা বিধিনিষেধ অমান্য করলে লকডাউন দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

শনিবার (১৫ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ডায়ালাইসিস ইউনিট ও সিটি স্ক্যান মেশিন উদ্বোধন শেষে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, করোনা সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েই চলছে। সরকারের দেওয়া ১১ দফা বিধিনিষেধ না মানলে দেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে। লকডাউন দিলে দেশের অনেক ক্ষতি হবে। আমরা সেদিকে যেতে চাই না, তাই সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। যদি বিধিনিষেধ অমান্য করা হয় তাহলে লকডাউন দেওয়া হবে।

এর আগে দেশে মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ১০ জানুয়ারি ১১টি বিধিনিষেধ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। গত ১৩ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ ১১ দফা নির্দেশনা মেনে চলার কথা বলা হয়েছে।




ভারতে একদিনে প্রায় ২ লাখ মানুষের করোনা শনাক্ত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক

ভারতে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। দেশটিতে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ফের দুই লাখের কাছে পৌঁছেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৭২০ জন। এতে করে ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৬০ লাখ ছাড়িয়েছে।

আক্রান্তের পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে বেড়েছে দৈনিক মৃতের সংখ্যা। গতকাল মারা গেছে ৪৪২ জন। দেশের সব রাজ্যে আক্রান্ত বাড়লেও মৃতের সংখ্যা বেশি কেরালাতে। ভারতে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৮৬৮তে। সবচেয়ে বেশি ওমিক্রন আক্রান্ত মহারাষ্ট্রে। এরপর রয়েছে দিল্লি ও পশ্চিমবঙ্গ।

দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর দেশটিতে সংক্রমণের হার ফের ১০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ১১.০৫ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহ জুড়ে দেশের ২৯টি রাজ্যের অন্তত ১২০টি জেলায় সংক্রমণের হার ছিল ১০ শতাংশের বেশি। এই তথ্য দেখাচ্ছে দেশটির অধিকাংশ এলাকায় কীভাবে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ।




অর্ধেক যাত্রীতে চলবে বাস ট্রেন লঞ্চ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধে অর্ধেক আসন খালি রেখে গণপরিবহণ চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এছাড়া সর্বপ্রকারের যানবাহনের চালক ও সহকারীদের আবশ্যিকভাবে টিকা সনদ নিতে হবে।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার বাড়তে থাকায় সব ধরনের জনসমাগম সীমিত করাসহ ১১ দফা নির্দেশনা জারি করে সরকার।

সোমবার এ নির্দেশনায় বলা হয়, গণপরিবহণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং ধারণক্ষমতার ৫০ শতাংশের বেশি যাত্রী পরিবহণ করা যাবে না। আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে , করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) এর নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব ও দেশে এ রোগের সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ১৩ জানুয়ারি ২০২২ তারিখ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সার্বিক কাৰ্যাবলি/চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো।

এতে বলা হয়, দোকান, শপিংমল ও বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা এবং হোটেল-রেঁস্তোরাসহ সব জনসমাগমস্থলে বাধ্যতামূলকভাবে সবাইকে মাস্ক পরিধান করতে হবে। অন্যথায় তাকে আইনানুগ শান্তির সম্মুখীন হতে হবে।



সামাজিক-ধর্মীয়-রাজনৈতিক সমাবেশ বন্ধের নির্দেশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধে উন্মুক্ত স্থানে সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সমাবেশ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার বাড়তে থাকায় সব ধরনের জনসমাগম সীমিত করাসহ ১১ দফা নির্দেশনা জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

সোমবার এ নির্দেশনায় বলা হয়, কোভিড আক্রান্তের হার ক্রমবর্ধমান হওয়ায় উন্মুক্ত স্থানে সর্বপ্রকার সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সমাবেশসমূহ পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে , করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) এর নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব ও দেশে এ রোগের সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ১৩ জানুয়ারি ২০২২ তারিখ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সার্বিক কাৰ্যাবলি/চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো।