দুর্গাপুর প্রেসক্লাবের নির্বাহী কমিটিকে সংবর্ধনা

নেত্রকোনার দুর্গাপুর প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত নির্বাহী কমিটিকে সংবর্ধিত করেছে স্থানীয় সাহিত্য সংগঠন ‘‘পথ পাঠাগার’’। সোমবার নানা আয়োজনে ৯ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহী কমিটিকে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়। এ উপলক্ষে দুর্গাপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিক কে.এস বাবু‘র সঞ্চালনায় পথ পাঠাগার এর সভাপতি কবি নাজমুল হুদা সারোয়ার এর সভাপতিত্বে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ শেষে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা করেন, পথ পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, সম্মানীত সদস্য পলাশ সাহা, প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাহাদাত হোসেন কাজল, প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত সভাপতি এস.এম রফিকুল ইসলাম-রফিক, সাধারণ সম্পাদক মোঃ জামাল তালুকদার, নির্বাহী সদস্য ধনেশ পত্রনবীশ প্রমুখ।

উপস্থিত ছিলেন, প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত সহ-সভাপতি তোবারক হোসেন খোকন, সাংগঠনিক সদস্য সম্পাদক পল্টন হাজং, যুগ্ন-সম্পাদক রাখী দ্রং, নির্বাহী সদস্য আ.ফ.ম সফিউল্লাহ। প্রেসক্লাবের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইকেল প্রদীপ বাউল, নির্মলেন্দু সরকার বাবুল, সাংবাদিক রাজেশ গৌড়। আলোচনা শেষে নির্বাচিত কমিটির সদস্যদের উত্তরীয় ও সকলকে স্ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়।

 

নেত্রকোনা, দুর্গাপুর/ এইচ.এম  সাইদুল ইসলাম




মহামারিতেও উত্তরবঙ্গে চা উৎপাদনে রেকর্ড

উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলার ১০ হাজার ১৭০ দশমিক ৫৭ একর জমির ২৭টি চা বাগান এবং ৭ হাজার ৩১০টি ক্ষুদ্রায়তন চা বাগান থেকে সদ্য সমাপ্ত মৌসুমে চা উৎপাদন হয়েছে এক কোটি তিন লাখ কেজি।

লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৯৫ লাখ কেজি। বিগত বছরের তুলনায় ৭ লাখ ১১ হাজার কেজি বেশি উৎপাদনের মাধ্যমে ছাড়িয়ে গেছে লক্ষ্যমাত্রা। এই করোনাকালীন সময়ে যা সর্বোচ্চ রেকর্ড, বলেছে চা বোর্ড।

রোববার (২৪ জানুয়ারি) পঞ্চগড় আঞ্চলিক চা বোর্ড থেকে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

চা বোর্ড জানায়, এবছর উত্তরবঙ্গের এসব বাগান থেকে ৫ কোটি ১২ লাখ ৮৩ হাজার ৩৮৬ কেজি সবুজ কাঁচা চা পাতা উত্তোলন করা হয়। যা পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁওয়ের চলমান ১৮টি কারখানায় প্রক্রিয়াজাত করে এক কোটি তিন লাখ কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। এই উৎপাদন জাতীয় উৎপাদনের ১১ দশমিক ৯২ শতাংশ।

চা বোর্ড আরো জানিয়েছে, ২০১৯ সালে এ অঞ্চলে চা আবাদের পরিমাণ ছিলো ৮ হাজার ৬৮০ দশমিক ৮৬ একর এবং উৎপাদন হয়েছিলো ৯৫ লাখ ৯৯ হাজার কেজি। সেই তুলনায় ২০২০ সালে ১ হাজার ৪৮৯ দশমিক ৮৯ একর আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং উৎপাদনও বেড়েছে ৭ লাখ ১১ হাজার কেজি।

পার্বত্য ও সিলেট অঞ্চলের পর তৃতীয় বৃহত্তম চা উৎপাদন অঞ্চল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে পঞ্চগড়।  পঞ্চগড়কে অনুসরণ করে চা চাষে এগিয়ে যাচ্ছে পার্শ্ববর্তী ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী ও লালমনিরহাট জেলা। একসময়ের পতিত গো-চারণ ভূমি এখন চায়ের সবুজ পাতায় ভরে উঠছে।  আন্তর্জাতিক মানের চা উৎপাদন হওয়ায় দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এ অঞ্চলের চা যাচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারে।  চা-বাগানের পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় চা প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা গড়ে উঠেছে।  সৃষ্টি হয়েছে মানুষের কর্মসংস্থান।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল জাহিরুল ইসলাম জানান, করোনা পরিস্থিতিতেও দেশের সকল চা বাগানের সার্বিক কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিলো। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চা নিলাম কেন্দ্র চালু রাখা, সঠিক সময়ে ভর্তুকি মূল্যে সার বিতরণ, শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি, রেশন এবং স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণের ফলে ২০২০ সালে চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘কোভিড পরিস্থিতিতেও উৎপাদনের এ ধারাবাহিকতা থেকে বুঝা যায় যে, যেকোন প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও দেশের চা শিল্প উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম।

 

তিনি আরো বলেন, ‘উত্তরবঙ্গে ক্ষুদ্র চা চাষিদের ‘ক্যামেলিয়া খোলা আকাশ স্কুল’র মাধ্যমে চা আবাদ বিষয়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান এবং আধুনিক প্রযুক্তি সরবরাহের ফলে সমতলের চা বাগান ও ক্ষুদ্রায়তন চা বাগান থেকে এ বছর রেকর্ড পরিমাণ চা উৎপাদন সম্ভব হয়েছে।

পঞ্চগড় আঞ্চলিক চা বোর্ডের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ শামীম আল মামুন বলেন, ‘সমতল ভূমিতে চা চাষের জন্য পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলা অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। ১৯৯৬ সালে সর্বপ্রথম পঞ্চগড়ে চা চাষের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয় এবং ২০০০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষুদ্র পর্যায়ে চা চাষ শুরু হয়। দিনদিন এ অঞ্চলে চা চাষ ও উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘চা চাষ সম্প্রসারণে চাষিদের বিভিন্ন সহায়তার মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করে স্বল্পমূল্যে উন্নত জাতের চারা সরবরাহ করা হচ্ছে। ‘ক্যামেলিয়া খোলা আকাশ স্কুলে’র মাধ্যমে কর্মশালা হচ্ছে। চাষিদের সমস্যা সমাধানে ‘দুটি পাতা একটি কুঁড়ি’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপস চালু করা হয়েছে। এছাড়া আঞ্চলিক কার্যালয়ে একটি পেস্ট ম্যানেজমেন্ট ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে চাষিদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান, রোগবালাই ও পোকা দমনে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সহায়তা দেওয়া হয়।

 

শামীম আল মামুন আরো বলেন, ‘এ বছর ক্ষুদ্র চাষিরা কাঁচা পাতার ন্যায্যদাম পাওয়ায় উৎসাহিত হয়েছে।  নতুন নতুন চা আবাদীও বাড়ছে। এতে এ অঞ্চলের মানুষের যেমন দারিদ্র বিমোচন ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হয়েছে, তেমনি হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।

ঢাকা/আলো 




খিলগাঁওয়ে লড়ির ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী স্কুল ছাত্রের মৃত্যু

রাজধানীর খিলগাঁওয়ে তেলের ট্যাংক লড়ির ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নাফিউল ইসলাম (নাফিজ) নামের ১৪ বছর বয়সী এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত সোয় ৯টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত নাফিজের ভাই শুভ জানান, মোটরসাইকেলের তেল নিতে নাফিজকে নিয়ে সাজ্জাদ খিলগাঁওয়ের ত্রিমোহনী ব্রিজ সংলগ্ন তেলের পাম্পে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে পাম্পের সামনে একটি তেলের ট্রাংক লড়ি ঘোরানোর সময় তাদের মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে দু’জনই ছিটকে পড়ে যায়। সাজ্জাদ কিছুটা আঘাত পেলেও নাফিজ গুরুতর আহত হয়। দ্রুত নাফিজকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।

তিনি আরো জানান, নিহতের গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলায়। নাফিজ এস এম কবীর উদ্দিনের ছেলে। বর্তমানে, ৭/২ দক্ষিণ বনশ্রী এলাকায় থাকতেন । দুই ভাইয়ের মধ্যে নাফিজ ছোট। সে বনশ্রী মডেল হাই স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ বক্সের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।

ঢাকা/আলো 




ভালোবাসার মানুষদের কী উপহার দিলেন বুবলি?

শবনম বুবলি

ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত চিত্রনায়িকা শবনম বুবলি। খুব অল্প সময়ের মধ্যে সবার নজর কাড়েন এই অভিনেত্রী। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ভালোবাসার মানুষদের জন্য গিটারের সুর উপহার দিলেন তিনি।

রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বুবলি তার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। তাতে একটি গানের অংশ বিশেষ গিটারে তুলেন তিনি। এ সময় বুবলি বলেন—সবাইকে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা। আমার মনে হচ্ছিল, বিশেষ দিনটি ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে বিশেষভাবে কাটাই। যারা একটু হলেও আমাকে পছন্দ করেন, তাদের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।

ছোটবেলা থেকেই গিটারের প্রতি বুবলির বাড়তি আগ্রহ রয়েছে। তা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, আমি চলচ্চিত্রের মানুষ। কিন্তু মিউজিক ভীষণ পছন্দ করি। বিশেষ করে ইন্সট্রুমেন্ট। ছোটবেলা থেকেই গিটার ও পিয়ানো আমার কাছে বিশেষ। সেই জায়গা থেকেই আজকে আপনাদের জন্য গিটার প্লে করেছি। আমার অভিনীত ‘পাসওয়ার্ড’ সিনেমার একটি গানের অংশ গিটারে তুলেছি। আমি পেশাদার কোনো মিউজিশিয়ান না। সুতরাং কেউ সিরিয়াসলি নেবেন না। জাস্ট মজা করে বাজিয়েছি।

 

ঢাকা/আলো 




একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে ভালোবাসার ধুকধুকানি বেড়ে যায়

মৌসুমী-ওমর সানি

প্রেম-ভালোবাসা চিরন্তন। দেবদাস-পার্বতী, লাইলী-মজনুসহ অসংখ্য কালজয়ী প্রেমিকজুটি সৃষ্টি করেছেন ইতিহাস। সমাজের প্রতিটি নারী-পুরুষের মতো তারকারাও প্রেম-ভালোবাসার বাইরে নন। ভালোবাসার দুর্নিবার আকর্ষণ তাদের জীবন-যাত্রায় ব্যাপক প্রভাব ফেলে। দেশের অনেক তারকা পর্দার মতো বাস্তব জীবনে ভালোবেসে ঘর বেঁধেছেন। দেশের সফল তারকা জুটির মধ্যে ওমর সানি-মৌসুমী জুটি অন্যতম। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে নন্দিত এই তারকা জুটি রাইজিংবিডিকে শুনিয়েছেন তাদের প্রেম-বিয়ের গল্প।

প্রথম ভালোলাগা, প্রথম প্রেমের অনুভূতির স্মৃতিচারণ করেন মৌসুমী বলেন—‘‘সানির প্রথম সিনেমা ‘চাঁদের আলো’ দেখেই তাকে ভালো লেগে যায়। বিশেষ করে ওর ম্যানলি ভাবটা আমাকে দারুণভাবে আকৃষ্ট করে। পরে একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বুকের ভেতর ভালোবাসার ধুকধুকানি আরো বেড়ে যায়। কিন্তু কখনো সরাসরি বলতে পারিনি। আকারে ইঙ্গিতে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু ওর হাব-ভাব দেখে ঠিকই বুঝতে পেরেছিলাম ও আমাকে ভালোবাসে। একদিন সকালে আমার অনুমান সত্যি হলো। কারণ সেদিন সকালে আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। আমি মনে মনে এই দিনটির অপেক্ষা করলেও সেদিন সানির কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়ে হেসে দিয়েছিলাম। সানি বলেছিল, ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’। তখন সানিকে খুব নার্ভাস লাগছিল। তাই হেসে দিয়েছিলাম। এর পর থেকেই দুজন-দুজনেক বোঝা শুরু।’’

দাম্পত্য জীবনের ২৫ বছর পার করছেন ওমর সানি-মৌসুমী। সংসার জীবনের বোঝাপড়ার কথা জানিয়ে মৌসুমী বলেন, ‘আসলে সব সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে যে বিষয়টি খুব জরুরি তা হলো—সত্য বলতে জানা। সানিকে আমি বিশ্বাস করি, সে কখনো আমার কাছে মিথ্যা বলে না। যে কারণে কে কী বলল, সেটা আমার কাছে বড় বিষয় নয়, সানি কী বলল সেটাই আমি জানতে চাই।’

সংসার জীবনে পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস ও সম্মান গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন ওমর সানি। তিনি বলেন, ‘সংসার জীবনে বিশ্বাস ও সম্মানটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। মিডিয়াতে এটা আরো বেশি দরকার, কারণ এখানে কাজ করতে গেলে নানাজন নানা কথা বলেন। আমি গর্ব করি যে মৌসুমী ক্যারিয়ারে আমার চেয়ে এগিয়ে। বিষয়টিকে আমি সম্মান করি। আমি সব সময় পাশে থাকার চেষ্টা করি।’

ওমর সানির কোন বিষয়টি বেশি প্রিয়? এমন প্রশ্নের জবাবে মৌসুমী বলেন—‘সানি অন্যদের মতো নয়। যে কারণেই দীর্ঘ সময় আমরা সুখ-শান্তিতে একই ছাদের নিচে বসবাস করছি। আজ পর্যন্ত সানিকে নিয়ে কোনো অভিযোগ করতে হয়নি। সানির সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হচ্ছে, খুব সহজে মানুষকে ভালোবাসে, বিশ্বাস করে। যত সহজে রাগে, তার চেয়ে তার দ্রুত রাগ কমে যায়। মানুষকে ক্ষমা করে দেয়। এটি আমার খুব পছন্দ।’

একই প্রশ্নের উত্তরে ওমর সানি বলেন, ‘আমার সবচেয়ে ভালো লাগে, তার অসাধারণ ব্যক্তিত্ব। এ ছাড়া মৌসুমীর নাচ ও অভিনয়ের মধ্যে নিজস্বতা রয়েছে। সব মিলিয়ে সে ভালোবাসার মতোই একজন মানুষ।’

 

ঢাকা/আলো 




মনির খানের হারিয়ে যাওয়া প্রেমিকা অঞ্জনা এখন কোথায়?

‘অঞ্জনা’ মনির খানের শ্রোতাপ্রিয় একটি গান। ‘একটি গান’ না-বলে একে গায়কের ট্রেডমার্কও বলা যায়। কেননা, মনির খানের অধিকাংশ অ্যালবামে অঞ্জনার কথা ঘুরেফিরে এসেছে। এই শিরোনামে তিনি একাধিক গান গেয়েছেন। ফলে অঞ্জনাকে নিয়ে ভক্তদের রয়েছে বাড়তি কৌতূহল। ভক্তদের অনেকে মনে করেন- অঞ্জনা মনির খানের হারিয়ে যাওয়া প্রেমিকা!

বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে মনির খানের কাছে জানতে চাওয়া হয় অঞ্জনা সর্ম্পকে। তিনি অকপটে জানান তার হারিয়ে যাওয়া সেই প্রেমের গল্প।

অঞ্জনাকে ভালোবেসেই জীবন কাটালাম। সে আমার কৈশোরের ঘটনা। না-হলে এত বছর তাঁকে মনের ঘরে পুষে রাখতে পারতাম না’- বলেন মনির খান। বর্তমানে অঞ্জনা সৌদি আরব প্রবাসী। জীবনের এতটা বছর পেরিয়ে এসেও তাঁকে ভুলে যাননি শ্রোতাপ্রিয় এই সংগীতশিল্পী।

স্কুলজীবনে অঞ্জনার প্রেমে পড়েন মনির খান। তিনি বলেন, ‘পাশাপাশি স্কুলে অঞ্জনা পড়তো ক্লাস সেভেন-এ। আমি নাইন-এ। আমাদের প্রেম আসলে সেভাবে প্রপোজ করে হয়নি। একসঙ্গে চলাফেরা; এর মধ্যে দিয়ে দারুণ একটা বোঝাপড়া তৈরি হয় দুজনের মধ্যে। এখন প্রেম-ভালোবাসা কমার্শিয়াল লাইনে চলে গেছে। কে কতটুকু পাচ্ছে- এ নিয়ে হিসাব হয়। তখন এমন ছিল না। রিয়েল লাভ তখন ছিল। যদিও আমাদের দুজনের স্বপ্ন পূরণ হয়নি। ঈশ্বর হয়তো চাননি, তাই আমাদের প্রেম পূর্ণতা পায়নি।’

প্রেমের ক্ষেত্রে বাধা কোথায় ছিল? এ প্রশ্নের জবাবে মনির খান বলেন, ‘আমাদের রিলেশন সাত বছর পর্যন্ত ছিল। বুঝতে পেরে ওর বাবা অঞ্জনাকে বিদেশ পাঠিয়ে দেয়। তখন আমাদের আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না। বিত্তের মাঝে চিত্তের সুখ খুঁজছিলেন তারা। আমরা বিত্তশালী ছিলাম না বলেই হেরে গিয়েছিলাম।’

অঞ্জনার সঙ্গে মনির খানের সর্বশেষ ৩৩ বছর আগে দেখা হয়েছে। এরপর আর হয়নি। এখন দুজনেই যে যার মতো ঘর-সংসার করছেন। দুজনেই সুখী। অঞ্জনাকে নিয়ে গান গাওয়াতে মনির খানের স্ত্রীর কোনো আপত্তিও নেই। বরং অঞ্জনার গান ভালো না-হলে তিনি আরো সুন্দর করে গাওয়ার অনুপ্রেরণা দেন। এ প্রসঙ্গে মনির খান বলেন, ‘কারণ সে জানে এটা শ্রোতাদের ডিমান্ড। এই ডিমান্ড ফুলফিল করতে উল্টো সে আমাকে তাগিদ দেয়।’

অঞ্জনাকে নিয়ে ২৬টি গান গেয়েছেন মনির খান। সর্বশেষ গত বছর বাজারে আসে ‘অঞ্জনা-২০২০’ শিরোনামে গান। এই গানে অঞ্জনাকে মীরজাফর, রাজাকার, বেঈমানের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।

ঢাকা/আলো




অপূর্বকে টপকে গেলেন নিশো

বাংলা নাটকের ইতিহাসে ইউটিউবে দ্রুততম ভিউয়ের তালিকায় এক নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে আফরান নিশো-মেহজাবিন চৌধুরী অভিনীত একক নাটক ‘শিল্পী’। এর মধ্য দিয়ে জিয়াউল ফারুক অপূর্বকে টপকে গেলেন নিশো। এমনটাই দাবি করেছেন নাটকটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিএমভি।

এর আগে টানা ৪ বছর এই অবস্থান ধরে রেখেছিল অপূর্ব-মেহজাবিন অভিনীত মিজানুর রহমান আরিয়ানের নাটক ‘বড় ছেলে’। এটি কোটি ভিউ অতিক্রম করতে সময় নিয়েছে ৩৪ দিন। কিন্তু ২৬ দিন ৯ ঘণ্টায় এই রেকর্ড অতিক্রম করেছেন ‘শিল্পী’ নাটকটি। অর্থাৎ ৮ দিন আগেই এই মাইলফলক স্পর্শ করেছে নাটকটি।

গত ১৮ জানুয়ারি নাটকটি সিএমভির ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পায়। এটি কোটি ভিউয়ের ঘর অতিক্রম করেছে ১৩ ফেব্রুয়ারি। শুধু তাই নয়, নাটকটিতে ব্যবহার করা ‘বুক চিন চিন’ ও ‘বিধি তুমি বলে দাও’ শিরোনামের দুটো পুরোনো সিনেমার গানের রিমেক ভার্সনও সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন ভাইরাল।

নির্মাতা মহিদুল মহিম বলেন, পুরো বাঙালির বুক চিন চিন ধরিয়ে আমাদের ‘শিল্পী’ দেখিয়ে দিলো তার প্রভাব। এটাকে আমি অবিশ্বাস্য অর্জন বলব। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই এই নাটকের প্রধান দুই শিল্পী নিশো ভাই ও মেহজাবিন আপুকে। তাদের অভিনয়গুণেই এটা সম্ভব হয়েছে। কৃতজ্ঞতা জানাই আমার প্রযোজক পাপ্পু ভাইকে, তার সাহস ছাড়া এই কাজ সম্ভব হতো না। সবচেয়ে বেশি ধন্যবাদ জানাই দর্শকদের। তারাই আমাদের মূল কারিগর।

এদিকে এমন অর্জনে খুবই উচ্ছ্বসিত প্রযোজক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু। তিনি বলেন, আরও ভালো ভালো কাজ উপহার দেওয়ার জন্য এই অর্জনটি আমাদের উৎসাহ যোগাবে। অভিনন্দন জানাই নির্মাতা মহিদুল মহিম, শিল্পী আফরান নিশো ও মেহজাবিন চৌধুরীকে। ধন্যবাদ জানাচ্ছি গণমাধ্যমের সকল বন্ধুদের, যারা সবসময় আমাদের সাপোর্ট দিয়ে আসছেন। কৃতজ্ঞতা জানাই দর্শকদের প্রতি, যাদের ভালোবাসা না থাকলে এই সফলতা সম্ভব ছিল না।

সিএমভির হেড অব ডিজিটাল কমিউনিকেশনস সালেহ খান শাওন জানান, ইউটিউবের ভিউ বিচারে দ্রুততম সময়ে ১০ মিলিয়ন বা এক কোটির ঘর অতিক্রম করা ১০টি বাংলা নাটকের মধ্যে এখন এক নম্বরে আছে ‘শিল্পী’। এটি সময় নিয়েছে মাত্র ২৬ দিন। দ্বিতীয় স্থানে এখন ‘বড় ছেলে’ (৩৪ দিন)। এরপরই আছে সিএমভি প্রযোজিত পর পর দুটি নাটক—‘এক্সচেঞ্জ’ (৫৩ দিন) ও ‘মিস্টার অ্যান্ড মিস চাপাবাজ’ (৭৩ দিন)।

দুজন স্ট্রিট সিঙ্গারের জীবন, প্রেম ও প্রতিযোগিতা নিয়ে গড়ে উঠেছে ‘শিল্পী’ নাটকের কাহিনি।

 




বিশ্ব ভালোবাসা দিবস আজ

আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ বা বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। পুরুষরা লাল পাঞ্জাবি আর নারীরা লাল-সাদা শাড়ি বা অন্য পোশাক পরে বেরিয়ে পড়েন দিনটিকে বিশেষভাবে উদযাপনের জন্য।

বছরজুড়ে ভালোবাসা চললেও দিনটি যেন একটু বেশি করেই ভালোবাসার। এদিনে নিজের ভ্যালেন্টাইনকে প্রপোজ করা, বিভিন্ন উপহারের পাশাপাশি লাল গোলাপ দেওয়া, তাকে নিয়ে ঘুরতে বের হওয়াসহ নানা কর্মকাণ্ডে মেতে ওঠেন তরুণ-তরুণীরা।

বিশ্বজুড়ে কেনো এই ভ্যালেন্টাইন ডে উদযাপন করা হয়-এর পুরো ইতিহাস সম্পর্কে হয়তো অনেকের জানা নেই। আবার অনেকেরই হয়তো মনে প্রশ্ন জাগে, ভ্যালেন্টাইন ডের জন্ম বা উৎপত্তি কখন, কবে আর কোথায় হয়েছিল? বাংলাদেশেই বা এ দিবসটি কবে থেকে উদযাপিত হয়ে আসছে। পাঠক, চলুন ভালোবাসা দিবসের অদ্যোপান্ত জেনে নিই।

বাংলাদেশে ভালোবাসা দিবস প্রবর্তন করেন সাংবাদিক শফিক রেহমান। ১৯৯৩ সালে শফিক রেহমান তার সম্পাদিত মাসিক যায়যায়দিন পত্রিকায় ১৪ ফেব্রুয়ারিকে উপলক্ষ করে ‘ভালোবাসা সংখ্যা’ নামে একটা বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করেন। সে সংখ্যার পুরোটাজুড়ে ছিল দেশের নানা প্রান্ত থেকে পাঠানো লেখকের ভালোবাসার গল্প। তখনও বা কে জানতো, একদিন বাংলাদেশে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে ভালোবাসা দিবস রীতিমত উৎসবে রূপ নেবে!

রোমানরা খ্রিস্ট ধর্মে দীক্ষিত হওয়ার আগে প্যাগান (পৌত্তলিক) ধর্মের অনুসারী ছিলেন।প্যাগান ধর্মের লোকজন খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকে পূর্বপুরুষদের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত ফেব্রুয়ালিয়া পূজা পালন করতেন। এই ফেব্রুয়ালিয়া অনুষ্ঠানের নামানুসারে পরবর্তীতে ইংরেজি মাসের নামকরণ করা হয় ফেব্রুয়ারি।তখন ফেব্রুয়ারি মাসের ১৩ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত এই পূজা হতো।পূজার উদ্দেশ্য ছিল দেবতার সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে পুণ্যতা, উর্বরতা ও সমৃদ্ধি লাভ করা। অনুষ্ঠানের মাঝের দিনটি ছিল খুবই আকর্ষণীয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি দেবীরাণী জুনোর সম্মানে পবিত্রতার জন্য কুকুর আর উর্বরতার জন্য ছাগল উৎসর্গ করা হতো।উৎসর্গীকৃত কুকুর ও ছাগলের রক্তে রঞ্জিত হয়ে যুবকেরা চামড়ার তৈরি সামান্য পোশাক পরতো।তারপর চামড়ার বেত দিয়ে দেবীর নামে তরুণীদের শরীরে আঘাত করতো।

সে সময়ের মানুষ বিশ্বাস করতো, এই আঘাতের কারণে দেবী ওই তরুণীদের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেবেন।দিনটির আরও একটি বিশেষত্ব হলো, এ দিনেই পরবর্তী এক বছর আনন্দ দেওয়ার জন্য দেবীর ইচ্ছায় লটারির মাধ্যমে তরুণরা তাদের তরুণী সঙ্গীকে বেছে নিতেন। প্রথানুযায়ী বড় একটি বাক্সে তরুণীদের নাম লিখে রাখা হতো। সেখান থেকে তরুণরা একেকটি নাম তুলে পরবর্তী বছর লটারি হওয়া পর্যন্ত নির্বাচিত যুগল একসঙ্গে থাকার সুযোগ পেতেন।

এরই মাঝে ২৬৯ সালে ঘটে যায় একটি বিরল ঘটনা।সে সময় রোমান সম্রাট ছিলেন ক্লাডিউয়াস।খ্রিস্টান ধর্মযাজক, সমাজসেবক ও চিকিৎসক স্টিভ ভ্যালেন্টাইন নামের এক যুবক ধর্ম প্রচারকালে রোমান সম্রাট ক্লাডিউয়াস এর নানা আদেশ লঙ্ঘনের দায়ে গ্রেপ্তার  হন। এই আদেশের অন্যতম একটি ছিল, রোমান সম্রাট ক্লাডিউয়াস কর্তৃক যুবক সেনাদের বিয়ে করা নিষেধ করে দেওয়া।

স্টিভ ভ্যালেন্টাইন সম্রাটের এই আদেশের বিপরীতে গিয়ে যুবক সেনাদের বিয়ের জন্য উদ্বুদ্ধ করতেন ও গোপনে বিয়ে দিয়ে দিতেন। এছাড়া জনগণকে ধর্মদ্রোহী করা, সম্রাটের বিপক্ষের যুদ্ধাহত খ্রিস্টান সৈন্যদের চিকিৎসা করা এবং রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকাণ্ডের জন্য সম্রাটের রোষানলে পড়ে গ্রেপ্তার হন বিদ্রোহী যুবক স্টিভ ভ্যালেন্টাইন।

ভ্যালেন্টাইনকে কারাগারে পাঠানোর পর জনগণের কাছে তিনি আরও জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।এই সাহসী এবং জনপ্রিয় যুবককে দেখার জন্য প্রতিদিন অগণিত মানুষ কারাগারে যেতেন। এর মধ্যে এক কারারক্ষীর অন্ধ মেয়ে ‘জুলিয়া’ ও ছিলেন। ভ্যালেন্টাইনের সঙ্গে তিনি প্রায়ই কারাগারে দেখা করতেন এবং দীর্ঘসময় তারা এক সঙ্গে কাটাতেন।

এর মধ্যে ঘটে যায় আশ্চর্যজনক এক ঘটনা।স্টিভ ভ্যালেন্টাইন তার আধ্যাত্মিক চিকিৎসার মাধ্যমে অন্ধ জুলিয়াকে সুস্থ করে তোলেন এবং তাকে খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত করেন। এক সময় ভ্যালেন্টাইন ও জুলিয়া একে অন্যের প্রতি গভীর ভালোবাসায় জড়িয়ে পড়েন। এই সংবাদ শোনার পর সম্রাট ক্লাডিউয়াস আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং ২৭০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি, দিনের কোনো এক সময়ে, হাজারো মানুষের সামনে স্টিভ ভ্যালেন্টাইনকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেন। নির্বিকার, সাহসী যুবক স্টিভ ভ্যালেন্টাইন ফাঁসিকাষ্ঠে যাওয়ার আগে, তার ভালোবাসার মানুষ জুলিয়াকে একটি চিঠি লিখে যান। যে চিঠির শেষে লেখা ছিল ‘তোমার ভ্যালেন্টাইনের পক্ষ থেকে’।

এরপর কেটে যায় ২২৬ বছর। এক সময় লিওপারসালিয়া বা ফেব্রুয়ালিয়া পুজার নাম ও পদ্ধতি পরিবর্তন করে নিজ ধর্মের যাজক স্টিভ ভ্যালেন্টাইনের নামে অনুষ্ঠানের নামকরণ করেন তারা। সেই সময় মানে ৪৯৬ সাল থেকেই ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ বা ‘বিশ্ব ভালবাসা দিবস’ এর সূচনা। কিন্তু মধ্যযুগে এসে সমস্ত ইউরোপে ভ্যালেন্টাইন ডে উদযাপন দীর্ঘকাল নিষিদ্ধ ছিল। পরবর্তী সময়ে ইংরেজি সাহিত্যের জনক জিওফ্রে চসার’ ১৩৮২ সালে তার ‘পার্লামেন্ট অব ফাউলস’ এর মধ্যে ভ্যালেন্টাইন ডে নিয়ে লেখেন। এরপর উইলিয়াম শেকসপিয়রসহ অনেক খ্যাতিমান সাহিত্যিকরা তাদের সাহিত্যে এ বিষয়টিকে তুলে আনেন।অবশেষে ১৬৬০ সালে রাজা চার্লস-টু পুনরায় দিবসটি পালনের প্রথা চালু করেন।

স্মরণ করা যেতে পারে, ২০১৪ সালে সৌদি আরবের পুলিশ ভ্যালেন্টাইন ডে পালনের দায়ে সে দেশে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে। আর ইরান, পাকিস্তান, মালয়েশিয়ায় ভ্যালেন্টাইন ডে উদযাপন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। কেবল মুসলিম দেশ নয়, ভারত সরকারও তাদের নিজস্ব সভ্যতা, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় মূল্যবোধের সাথে সাংঘর্ষিক মনে করায় দিবসটি পালনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেয়।

এই হচ্ছে মোটামুটি ভ্যালেন্টাইন ডে বা ভালোবাসা দিবসের পেছনের ইতিহাস। আজকের এই বিশেষ দিনের প্রত্যাশা, কেবল নর-নারীর মধ্যে নয়, বিশ্বজুড়ে মানুষে মানুষে ভালোবাসা ছড়িয়ে পড়ুক। যুদ্ধ কিংবা হানাহানি নয়, ভালোবাসা দিয়েই মানুষ জয় করুক সবার হৃদয়।

আলো/সাগর 




আজ বসন্তের প্রথম দিন

শীতের রিক্ততা মুছে প্রকৃতিজুড়ে সাজ সাজ রব। বিবর্ণ প্রকৃতিতে জেগে উঠেছে নতুন প্রাণ। আজ পহেলা ফাল্গুন। ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন। কবির ভাষায়- ‘ফুল ফুটুক আর না-ই ফুটুক আজ বসন্ত’।

বসন্ত মানে নতুন প্রাণের কলরব। বসন্তে গাছে গাছে নতুন পাতা আসে। ডালে ডালে কোকিল। রঙিন ফুলে প্রকৃতি সুশোভিত হয়ে ওঠে। এই সময়ে বাতাসে ফুলের রেণু ছড়ায়। প্রকৃতি হয়ে উঠে অপরুপ।

বসন্তকে সামনে রেখে গ্রাম বাংলায় মেলা, সার্কাসসহ নানা বাঙালি আয়োজনের সমারোহ থাকবে। ভালোবাসার মানুষেরা মন রাঙাবে বাসন্তি রঙ্গেই। শীতের সঙ্গে তুলনা করে চলে বসন্তকালের পিঠা উৎসবও।

এবারের বসন্ত এসেছে এমন সময়ে যখন বিশ্বজুড়ে বিরাজ করছে করোনার ভয়াল প্রভাব। এরপরও বাংলাদেশে বসন্ত বরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে অনেক। বসন্তে তারুণ্য মেতে ওঠবে বসন্ত উৎসবে।

এবারের পহেলা ফাল্গুন আরেকটা কারণে ব্যতিক্রম। তা হলো- এবার ভ্যালেন্টাইন দিবস এবং পহেলা ফাল্গুণ একই দিনে উদযাপন হতে যাচ্ছে। এদিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি হয়ে সেই তারুণ্যের সুবাস ছড়িয়ে পড়ে শাহবাগ, রমনা বটমূল, ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বোটানিক্যাল গার্ডেন থেকে রাজধানীর পুরো শরীরে; শহরের কোলাহল ছাড়িয়ে নিভৃত পল্লীর ধুলোমাখা পথেও। দিনটিকে আরো উপভোগ্য করে তুলতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন গ্রহণ করেছে নানা কর্মসূচি।

সব কুসংস্কার পেছনে ফেলে, বিভেদ ভুলে, নতুন কিছুর প্রত্যয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার শপথ নিতে এবং বসন্তের উপস্থিতিতে বরণ করে নিতে ‘বসন্ত বরণ’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে জনপ্রিয় অনলাইন গণমাধ্যম রাইজিংবিডি ডটকমের নিজস্ব কার্যালয়েও। মাজার রোডের গণমাধ্যমটির কার্যালয়ে দুপুর আড়াইটায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

বসন্ত যেমন আমাদের খুশির ঋতু; তেমনি বেদনারও বটে। ফাগুনে শিমুল আর কৃষ্ণচূড়ার লাল রঙ মনে করিয়ে দেয় বায়ান্নর ফাগুনের শহীদদের কথা। ফাল্গুন মনে করিয়ে দেয় ভাষা শহীদের রক্তের ইতিহাস। এই মাসেই উদযাপন করা হবে অমর একুশে ফেব্রুয়ারি। ফাল্গুনের সাথে মিশে আছে আমাদের ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসও।




সরকার সবার জন্য করোনার ভ্যাকসিন নিশ্চিত করবে: প্রধানমন্ত্রী

সবার সুরক্ষার জন্য করোনার টিকা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার সবার জন্য করোনার ভ্যাকসিন নিশ্চিত করবে।

রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কুমুদিনি ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস অ্যান্ড ক্যানসার রিসার্চের ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রথমদিকে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে থাকলেও এখন সবাই আগ্রহভরে টিকা নিচ্ছে। আমরা তিন কোটি ডোজ টিকা কিনে রেখেছি।  এছাড়া ভারত ২০ লাখ ডোজ দিয়েছে। এছাড়া অন্যান্য দেশও দিতে চাচ্ছে আমরা সবগুলো নেব, যাতে আমরা গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত সবার জন্য এই টিকার ব্যবস্থা করতে পারি।

যখন রিসার্চ চলছিল তখন টিকা পেতে সরকার অগ্রিম টাকা দিয়ে রেখেছিল জানিয়ে তিনি বলেন, এর উদ্দেশ‌্য ছিল যাতে শুরুতেই আমরা টিকা পেতে পারি।

ভ্যাকসিন দেওয়ার পরেও সবাইকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলা, মাস্ক পরা এবং নিয়মিত হাত পরিস্কার রাখার পরামর্শ দেন শেখ হাসিনা।

মেডিক্যাল গবেষণা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী মেডিক্যাল সায়েন্সের গবেষণার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, ক্যানসার এমন একটা রোগ, আজকে এমন তার প্রার্দুভাব হচ্ছে, কিন্তু দুর্ভাগ্য তার যে প্রকৃত ডায়াগনোসিস করা বা সেভাবে আমাদেশের পরিবেশ, আবহাওয়া, জলবায়ুর সঙ্গে এই ক্যানসার কিভাবে বিস্তার লাভ করে তার ওপর রিসার্স করা বা এটার চিকিৎসা করবার জন্য যে রিসার্স দরকার সেটা খুব কম আমাদের দেশে হয়।

বাংলাদেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রে নার্সদের শুধু ডিপ্লোমা নার্সিং ছিল, গ্রাজ্যুয়েশন ছিল না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বেসরকারি উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করছি। তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিচ্ছি। প্রতিটি জেলায় সরকারি অথবা বেসরকারি উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় করে দিচ্ছি, মেডিক্যাল কলেজ করে দেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছি।  উন্নত মানের হাসপাতাল করে দিচ্ছি। ডাক্তার নার্স নিয়োগ দিয়েছি। যেন আমাদের দেশের মানুষ অন্তত এই চিকিৎসাটা পায়, তার ব্যবস্থা করেছি।

নারায়ণগঞ্জের কুমুদিনী কমপ্লেক্স প্রান্তে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপেরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান, কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজীব প্রসাদ সাহা প্রমুখ।