হেফাজতে ইসলামের দোয়া দিবস আজ

ডিএনবি নিউজ: হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আহবানে আজ সোমবার (২৯ মার্চ) বাদ আসর দেশব্যাপী পালিত হবে দোয়া দিবস। গতকাল রোববার (২৮ মার্চ) বিকেলে দেশব্যাপী সফল হরতাল পালন শেষে রাজধানীর পল্টনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে হেফাজতের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

গতকাল দেশব্যাপী পালিত হরতালে নিহতদের মাগফেরাত কামনায় অনুষ্ঠিত হবে এ দোয়া মাহফিল। দোয়া মাহফিলের মুনাজাত পরিচালনা করবেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় মহাসচিব আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদী। উপস্থিত থাকবেন হেফাজতের ঢাকা মহানগর সভাপতি আল্লামা জুনায়েদ আল হাবিব, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হকসহ হেফাজতের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগরী নেতৃবৃন্দ।

হরতালে সাধারণ মানুষ ও মাদরাসা ছাত্রদের গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে আজ দেশব্যাপী দোয়া দিবস ছাড়াও আগামী শুক্রবার (২ এপ্রিল) বিক্ষোভ মিছিল করবেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

কর্মসূচি প্রদানকালে হেফাজতের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদী বলেন, হেফাজতে ইসলাম মোদির আগমন প্রত্যাহার করার জন্য কর্মসূচি দিয়েছিল। মোদির আগমনের দিন হেফাজতের কোনো কর্মসূচি ছিল না। কিন্তু ওইদিন সাধারণ মানুষের আন্দোলনে প্রশাসন গুলি চালিয়েছে। যার প্রতিবাদে (গতকালের) এ হরতাল আহ্বান করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২৬ মার্চ) বায়তুল মোকাররমে মুসুল্লিদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে হাটহাজারীতে প্রাণহাণির ঘটনায় দেশব্যাপী গতকাল রোববার (২৮ মার্চ) হরতাল ডেকেছিলো হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। প্রায় ১৪ মাস পরে সারাদেশে সাধারণ জনতার ব্যাপক অংশগ্রহণে পালিত হয়েছিলো এ হরতাল। কিন্তু হরতালেও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে শহিদ হোন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রায় ১১ জন সাধারণ মুসুল্লি ও মাদরাসা ছাত্র। শহিদ হওয়া এ সকল ভাইদের রুহের মাগফেরাত ও দারাজাত বুলুন্দির জন্য আজ আয়োজন করা হবে এ দোয়া মাহফিলের।




আজ পবিত্র শবে বরাত; করণীয় ও বর্জনীয়

শবেবরাত শব্দ দুটি হাদিসে নেই। হাদিসের ভাষায় এ রাতকে ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান’ তথা ১৫ শাবানের রাত বলা হয়। ‘শবেবরাত’ ফারসি শব্দ। ‘শব’ শব্দের অর্থ রাত, ‘বরাত’ অর্থ নাজাত বা মুক্তি। এই দুই শব্দ মিলে অর্থ হয় মুক্তির রজনী।

যে রাতে আল্লাহর অপার অনুগ্রহ : মধ্য শাবানের রাতের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস শরিফে নির্ভরযোগ্য সনদ বা বর্ণনাসূত্রে একাধিক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। বিখ্যাত সাহাবি মুয়াজ বিন জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তাআলা অর্ধ শাবানের রাতে অর্থাৎ শাবানের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে তাঁর সৃষ্টির দিকে রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ছাড়া সবাইকে ক্ষমা করে দেন। (ইবনে হিব্বান, হাদিস : ৫৬৬৫)

হাদিসবিশারদদের ভাষ্যমতে, হাদিসটির মান সহিহ তথা বিশুদ্ধ। এ জন্যই ইমাম ইবনে হিব্বান (রহ.) তাঁর প্রসিদ্ধ হাদিসে রচিত কিতাব ‘কিতাবুস সহিহ’-এ হাদিসটি উল্লেখ করেছেন।

ভিত্তিহীন কাজ পরিহার : বিভিন্ন হাদিস থেকে এ বিষয়টি স্পষ্ট হয়, এই রাতে রাসুলুল্লাহ (সা.) বিশেষ পদ্ধতিতে কোনো ইবাদত করেননি এবং সাহাবায়ে কেরামকেও তা করার নির্দেশ দেননি। সুতরাং আমাদের সমাজে প্রচলিত শবেবরাতের বিশেষ পদ্ধতির যে নামাজের কথা বলা হয় তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বানোয়াট। এগুলো বিশ্বাস করা এবং এগুলোর ওপর আমল করা কোনোভাবেই জায়েজ নেই; বরং ফজিলতপূর্ণ এই রাতের আমলের ব্যাপারে হাদিসের যেসব নির্দেশনা-ইঙ্গিত পাওয়া যায় তা সবই ব্যক্তিগত নফল ইবাদত। তাই আমাদের উচিত মনগড়া ইবাদত-আমল পরিহার করে যথাসম্ভব রাত্রি জাগরণের মাধ্যমে বেশি বেশি নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, তাওবা-ইস্তিগফার ও জিকির-আজকারে মশগুল থাকা।

দীর্ঘ নফল নামাজ আদায় : বেশি বেশি নফল নামাজ ও দীর্ঘ ইবাদত প্রসঙ্গে আয়েশা (রা.) থেকে একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) রাতে নামাজে দাঁড়ান এবং এত দীর্ঘ সিজদা করেন যে আমার ধারণা হলো তিনি হয়তো মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি তখন উঠে তার বৃদ্ধাঙ্গুলি নাড়া দিলাম। তার বৃদ্ধাঙ্গুলি নড়ল। যখন তিনি সিজদা থেকে উঠলেন এবং নামাজ শেষ করলেন তখন আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, হে আয়েশা, তোমার কি এই আশঙ্কা হয়েছে যে আল্লাহর রাসুল তোমার হক নষ্ট করবেন? আমি জবাবে বললাম, না, হে আল্লাহর রাসুল, আপনার দীর্ঘ সিজদা থেকে আমার এই আশঙ্কা হয়েছিল, আপনি মৃত্যুবরণ করেছেন! নবীজি জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি জানো এটা কোন রাত? আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসুল ভালো জানেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করলেন, ‘এটা হলো অর্ধ শাবানের রাত (শাবানের ১৪ তারিখের দিবাগত রাত)। আল্লাহ তাআলা অর্ধ শাবানের রাতে তাঁর বান্দার প্রতি মনোযোগ দেন এবং ক্ষমাপ্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করেন এবং অনুগ্রহ প্রার্থীদের অনুগ্রহ করেন আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের ছেড়ে দেন তাদের অবস্থায়।’ (শুআবুল ঈমান, হাদিস : ৩৫৫৪)

এই হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে নফল নামাজে দীর্ঘ কিরাত পড়া এবং লম্বা সিজদা করা এ রাতের বিশেষ একটি আমল।

আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা : এই রাতের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আমল হচ্ছে বেশি বেশি তাওবা-ইস্তিগফার করা। কারণ বরকতময় এই রাতে আল্লাহ তাআলা প্রথম আকাশে নেমে বান্দাদের প্রতি রহমতের দৃষ্টি দেন। তাদের গুনাহ মাফ করেন। এই মর্মে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন অর্ধ শাবানের রাত আগমন করে তখন আল্লাহ তাআলা প্রথম আকাশে অবস্থান করেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষপোষণকারী ছাড়া অন্যদের ক্ষমা করে দেন।’ (মুসনাদে বাজজার, হাদিস : ৮০)

তাই সংকটময় পরিস্থিতিতে এই রাতে আমাদের আল্লাহর দিকে মনোযোগী হওয়া, আল্লাহর কাছে বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং করোনাভাইরাস থেকে হেফাজতের দোয়া করা উচিত।

শবে বরাতের পরদিন রোজা রাখা : এ প্রসঙ্গে আলী (রা.) থেকে একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘১৫ শাবানের রাত (১৪ তারিখ দিবাগত রাত) যখন আসে তখন তোমরা এ রাতটি ইবাদত-বন্দেগিতে কাটাও এবং দিনের বেলা রোজা রাখো।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৩৮৮)

এই বর্ণনাটির সনদ দুর্বল হলেও তা গ্রহণযোগ্য। হাদিস বিশারদদের মতে, ফজিলতপূর্ণ বিষয়ে জয়িফ হাদিস আমলযোগ্য। তা ছাড়া শাবান মাসে বেশি বেশি নফল রোজা রাখার কথা সহিহ হাদিসে এসেছে এবং আইয়ামে বীজ অর্থাৎ প্রতি চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখার বিষয়টিও সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।

তাই আসুন, বিশুদ্ধ আমলের মাধ্যমে এ রাতের ফজিলত, বরকত ও মাগফিরাত অর্জনে সচেষ্ট হই। সব ধরনের বিদআত বর্জন করি।

আল্লাহ তাআলা আমাদের এ রাতে সব ধরনের কল্যাণ দান করুন। আমিন।




আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মুক্তির দাবি জানাল হেফাজত

ডেস্ক রিপোর্ট:

সারা দেশের মাদ্রাসায় ‘হামলা ও জুলুম’ হচ্ছে দাবি করে হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী সরকারের কাছে অবিলম্বে হামলা বন্ধ, আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় হেফাজত কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য থাকবে বলে তিনি সতর্ক করে দেন।

আজ রোববার বেলা তিনটায় হাটহাজারী সদরের কাচারি সড়কে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে বাবুনগরী অভিযোগ করেন ‘গত শুক্রবার মাদ্রাসাছাত্রদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে প্রশাসন, পুলিশ বাহিনী গুলি করে হাটহাজারীর চারজনকে শহীদ করেছে। আহত হয়েছেন অনেক। সারা দেশে নিহত হয়েছেন এ পর্যন্ত ১৬ জন। এটা মামুলি কথা নয়। এ জন্য হরতালের ডাক দিয়েছি।’ উল্লেখ্য, মোদিবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলি ও সরকারদলীয় নেতাকর্মীর হামলায় নিহত নেতাকর্মীর হত্যার প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামী আজ সকাল-সন্ধ্যা হরতালের আহ্বান করে। আজকের হরতাল পালনকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, নারায়নগঞ্জ ও রাজধানীতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

আওয়ামী লীগের প্রতিরোধ

এদিকে, বাংলাদেশ হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতাল প্রতিহত করতে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নেয়  আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা। সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে হরতালের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে সকাল থেকে মালিবাগ এলাকা, রেলক্রসিং ও রামপুরা সড়কে মোটরসাইকেল নিয়ে মহড়া দিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের কর্মীরা। তাদের কারও কারও হাতে লাঠি, হকিস্টিকও দেখা গেছে।

পল্টনে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর পল্টনে হেফাজতে ইসলাম ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয়পক্ষকেই ইট-পাটকেল ছুড়তে দেখা যায়। তবে পুলিশের কঠোর অবস্থানের মধ্যে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

মুন্সীগঞ্জে পুলিশ-হেফাজত সংঘর্ষ, ওসিসহ আহত ২০

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান উপজেলায় হেফাজতে ইসলাম ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আজ রোববার বেলা ১২টার দিকে উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের বড় শিকারপুর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে সিরাজদীখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম জালাল উদ্দিন, উপপরিদর্শক (এসআই) সেকেন্দার আলী, হেফাজতের ইসলামের নায়েবে আমির ও মধুপুর পীর আল্লামা আব্দুল হামিদ ও হাফেজ মাওলানা বশির আহম্মেদসহ যুবলীগের নেতাকর্মীরা আহত হন।

উপজেলার বড় বড়শিকারপুর এলাকায় হেফাজতের নেতাকর্মীরা বাধাপ্রাপ্ত হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। ইটপাটকেল ছুড়ে আহত করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে এবং ফাকা গুলি ছোড়ে। এছাড়া সংঘর্ষচলাকালীন সময়ে বেশকয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুর, তিনটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় এবং একটি অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক সহিংসতা

হেফাজতে ইসলামের হরতালের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রামের মধ্যে চলাচল করা ‘সোনার বাংলা এক্সপ্রেস’ ট্রেনে ভাঙ্চুর চালিয়েছে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মী ও হরতাল সমর্থকরা। আজ সকাল ৯টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এ ঘটনা ঘটে। পরে নিরাপত্তাজনিত কারণে সাময়িক সময়ের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ওপর দিয়ে সিলেট ও চট্টগ্রামে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

আজ রোববার বেলা ১১টার পর থেকে জেলা সদর, আশুগঞ্জ, সরাইলের একাধিক স্থানে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ভাঙচুর হয়েছে ব্যাপক। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, হামলাকারীদের মূল লক্ষ্য ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারি সম্পদ। লক্ষ্য বানানো হয়েছে সাংবাদিকদেরও। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা মসজিদ থেকে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন এবং কোথাও হামলা না করার আহ্বান জানানো হয়েছিল।

কিন্তু বেলা ১১টার পর জেলা পরিষদ ভবনে আগুন দেওয়া হয়। নিচতলার অনেক কক্ষে আগুন দেওয়ার পর এসির বিস্ফোরণ হয়। সুরসম্রাট আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গন, পৌরসভায় ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। আগুন দেওয়া হয় সদর উপজেলা ভূমি কার্যালয়ে। হামলা হয়েছে সদর থানায়, প্রেসক্লাবে।

শহীদ ধীরন্দ্র নাথ দত্ত ভাষা চত্বরে গতকাল শনিবার থেকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উন্নয়ন মেলা চলছে। সেই মেলাতেও আগুন দেওয়া হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবেও হামলা হয়েছে, কাচ ভেঙে ফেলা হয়েছে। প্রেসক্লাবের সভাপতি দৈনিক জনকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার রিয়াজউদ্দিন জামি প্রেসক্লাবে ঢোকার সময় তাঁর ওপর হামলা করা হয়। তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছেন। ছয়টি সেলাই লেগেছে। আশুগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজায় থাকা পুলিশ ফাঁড়িতে আক্রমণ করে হরতাল–সমর্থনকারীরা। এ সময় পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। টোল আদায়ের বুথ ভাঙচুর করা হয়। সরাইলের বিশ্বরোড এলাকায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনগুলোর একটি সোনার বাংলা এক্সপ্রেস। ট্রেনটি ঢাকা থেকে কোনো বিরতি ছাড়াই সরাসরি চট্টগ্রামে যায়। সকালে ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের পৌঁছালে ইটপাটকেল ছোড়া হয়। এতে ট্রেনের ইঞ্জিন ও কোচের ১২৪টি কাচ ভাঙচুর করা হয়েছে। পরে ট্রেনটি ফিরিয়ে ভৈরবে নিয়ে আসা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ এবং হরতালের প্রতিবাদে দুপুর ১২টার দিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।

সিলেটে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

সিলেটে হেফাজতে ইসলামের হরতাল চলাকালে দুপুরে নগরীর বন্দরবাজার এলাকায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে বিজিবি ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা বন্দরবাজার এলাকায় অবস্থান করা হরতাল সমর্থকদের ধাওয়া করে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। পরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে হরতাল সমর্থকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এ ঘটনার পর নগরীর বন্দরবাজার এলাকায় বিজিবি ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সিদ্ধিরগঞ্জে সংঘর্ষ  

আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকায় হেফাজতের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে জেলা পুলিশ সুপারসহ আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। এছাড়া এক তরুণ গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে বেলা ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় হেফাজত ও পুলিশের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার একপর্যায়ে মাদ্রসাছাত্রদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ।

র‌্যাব ও পুলিশকে পানি ও হাল্কা খাবার খাওয়ালো হেফাজত

রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় হেফাজতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মাদানী নগর মাদরাসার সামনে রাস্তায় হরতাল প্রতিরোধের দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পানি ও হাল্কা খাবার সরবরাহ করেছে হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা । সকাল থেকেই নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড থেকে চিটাগাংরোড পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে হেফাজত কর্মীরা।

রাজশাহীতে বাসে আগুন

রবিবার সকালে রাজশাহী নগরীর ট্রাক টার্মিনাল এলাকায় দুটি বিআরটিসি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ জানায়, সকাল সাড়ে ৬টায় দিকে টার্মিনালের ভেতর পার্কিংয়ে রাখা দুটি বাসের মধ্যে একটিতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে একটি বাস পুরোটাই পুড়ে গিয়ে অন্যটিতেও আগুন ধরে আংশিক পুড়ে গেছে। পুলিশের ধারণা হরতালের নামে নাশকতা সৃষ্টি করতেই এই আগুন দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় শাহ মখদুম থানায় মামলা দায়েরের হয়েছে।

নগরীর শাহমখদুম থানার ওসি সাইফুল ইসলাম খান বলেন, হরতালের নামে নাশকতা সৃষ্টি করতেই এই আগুন দেওয়া হয়েছে কিনা তা আমরা নিশ্চিত নই। কারণ বাস দুটি ট্রাক টার্মিনালের ভেতর ৯ মাস ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল।

এদিকে রাজশাহীতে হরতালের সমর্থনে কোথাও হেফাজতে ইসলামের কোনো মিছিল বা প্রকাশ্যে পিকেটিং লক্ষ্য করা যায়নি। হরতালেও স্বাভাবিক ছিল গাড়ি চলাচল।#




হেফাজতের প্রেস ব্রিফিংয়ে নতুন কর্মসূচি

ডেস্ক রিপোর্ট : দিনশেষে নতুন কর্মসূচি দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। তবে হরতালের সময় বাড়ানো হয়নি। কর্মসূচির মাঝে রয়েছে আগামীকাল সোমবার (২৯ মার্চ) দেশব্যাপী দোয়া মাহফিল ও আগামী শুক্রবার (২ এপ্রিল) বিক্ষোভ মিছিল করবেন তারা।

আজ রোববার (২৮ মার্চ) বিকালে দেশব্যাপী সফল হরতাল পালন শেষে রাজধানীর পল্টনে হেফাজতের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলাম মোদির আগমন প্রত্যাহার করার জন্য কর্মসূচি দিয়েছিল। মোদির আগমনের দিন হেফাজতের কোনো কর্মসূচি ছিল না। কিন্তু ওইদিন সাধারণ মানুষের আন্দোলনে প্রশাসন গুলি চালিয়েছে। যার প্রতিবাদে এ হরতাল আহ্বান করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বায়তুল মোকাররমে মুসুল্লিদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে হাটহাজারীতে প্রাণহাণির ঘটনায় দেশব্যাপী আজ হরতাল ডাকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ । সারাদেশে সাধারণ জনতার ব্যাপক অংশগ্রহণে পালিত হয় এ হরতাল।




হরতাল সফল, আলোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচি দেয়া হবে: বাবুনগরী

সারা দেশে স্বতস্ফূর্তভাবে হরতাল পালিত হয়েছে। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ডাকা শান্তিপূর্ণ হরতালে সাড়া দেয়ায় দেশের জনগণ ও আলেম-ওলামাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন হেফাজতের আমীর আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। রোববার দুপুরে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।

আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, শুক্রবার আমাদের হাটহাজারী মাদ্রাসার শান্তিপূর্ণ মিছিলে প্রশাসন, পুলিশ বাহিনী বিশেষ করে হাটহাজারী থানার ওসি রফিকুল ইসলাম গুলি করে ৭ জনকে নিহত করেছে। শহীদ করেছে। আরো অনেক আহত। একজন টেইলার। নিরীহ মানুষ। তাকেও নিহত করেছে। আরো শহীদ হয়েছে সারা দেশে। বিশেষ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা ও হাটহাজারীসহ আমরা মোট ১৬ জনের নিহতের খবর পেয়েছি। এটা কোনো মামুলি কথা নয়। এর প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সারা দেশে হরতালের ডাক দেয়া হয়।

আলহামুদিল্লাহ আমাদের হরতাল সুশৃঙ্খল ছিল। শান্তিপূর্ণ ছিল। সফল ছিল। স্বতস্ফূর্তভাবে হরতাল পালন হচ্ছে।

কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় সরকারের পেটোয়া বাহিনী এবং দলীয় ক্যাডাররা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম নির্যাতন করেছে। হামলা করেছে। আক্রমণ করেছে। আহত-নিহত করেছে। আমাদের হেফাজতের নায়েবে আমীর, আল্লাহর অলি মধুপুরের পীর আল্লামা আব্দুল হামিদ সাহেবের উপর হামলা করেছে।

এই ১৬ জন নিহত হওয়া ছাড়াও আরো অনেক আহত হয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সরকারের কাছে আমাদের দাবি এ হামলা যেন বন্ধ করে। যারা নিহত হয়েছে তাদের জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে সরকারের। যারা আহত হয়েছে তাদের ভালো চিকিৎসা চালানোর জন্য যে টাকা-পয়সা দরকার সেটা সরকারের পক্ষ থেকে দিতে হবে।

যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদেরকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। বিভিন্ন মাদরাসায় হামলা করেছে। বিশেষ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জামিয়া ইউনুছিয়া, দারুল আরকাম, রাজধানীর ফরিদাবাদ মাদরাসা, ঢাকার যাত্রাবাড়ী ও সাইনবোর্ড মাদরাসায় হামলা করেছে সরকারের পেটোয়া বাহিনী।

এগুলো যেন অবিলম্বে বন্ধ করে। আর যদি এভাবে হামলা চলতে থাকে, এবং আমাদের নেতাকর্মীদের যদি আহত করা হয়, নিহত আহত করা হয়, হেফাজতের দাবি দাওয়া যদি দাবী পূরণ করা না হয়, তাহলে পরামর্শ সাপেক্ষে হেফাজতের পক্ষ থেকে কঠিন কর্মসূচি দেয়া হবে।

এই হরতাল পালনে সারা দেশের জনগণ ও আলেম-ওলামারা সাড়া দিয়েছে। এইজন্য আমি তাদের কৃতজ্ঞতা জানাই। এ সময় পরবর্তী কর্মসূচির বিষয়ে তিনি বলেন, এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আলোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচির বিষয়ে জানিয়ে দেয়া হবে।

এরপর উপস্থিত সকলকে নিয়ে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন হেফাজতের এই আমীর।

বিজ্ঞাপন



দুর্গাপুরে হেফাজতের শান্তিপ্রিয় হরতাল, প্রতিবাদে আওয়ামীলীগের বিক্ষোভ মিছিল

ডেস্ক রিপোর্টঃ চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোদীবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে নিহতের ঘটনায় কেন্দ্রীয় কর্মসুচী মোতাবেক নেত্রকোনার দুর্গাপুরে হরতালের ডাক দেয় হেফাজত ইসলাম দুর্গাপুর উপজেলা শাখা। এরই প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। রোববার সকাল থেকেই উপজেলার বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নেয় হেফাজতের কর্মী-সমর্থকরা। এতে বন্ধ হয়ে যায় ছোট বড় সকল যান চলাচল।

এরই প্রতিবাদে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সড়কে নেমে আসেন উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ছাত্রলীগ সহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীগণ। সব ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন পুলিশ সদস্যরা।

হেফাজতে ইসলামের উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুফতি মামুনুর রশীদ বলেন, আমরা শান্তিপুর্ন ভাবে হরতাল কর্মসুচী পালন করছিলাম, সকাল ১০টার দিকে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী ও পুলিশ বাহিনী দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের পিটিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন আল আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ এর নেতৃত্বে শান্তিপুর্ন বিক্ষোভ মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ব্যবসায়িদের দোকানপাঠ খোলা রাখতে আহবান জানান। স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তীতে কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা আমাদের কাম্য নয়।

দুর্গাপুর থানার ওসি শাহ্ নুর-এ আলম জানান, এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। শহরের প্রতিটি মোড়ে মোড়ে পুলিশ সদস্যদের টহল অব্যাহত রয়েছে। যে কোন প্রকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা প্রস্তুত। কোন ভাবেই শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করতে দেয়া হবে না।




দুর্গাপুরে জলাতংক প্রতিরোধে কুকুর-বিড়াল’কে টিকা প্রয়োগ বিষয়ক এডভোকেসি

ডেস্ক রিপোর্ট: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাখালী ঢাকা এর ব্যবস্থাপনা ও অর্থায়নে দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার ও প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর এর সহযোগিতায় জলাতংক রোগ নির্মূলের লক্ষে ব্যাপকহারে কুকুর-বিড়াল’কে জলাতংক প্রতিষেদক টিকাদান (এমডিভি) কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষে ২৮ মার্চ রোববার সকাল ১১ ঘটিকায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হলরুমে এডভোকেসী ও পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সিনিটারী ইন্সপেক্টর মোঃ আলী আকবর এর সঞ্চালনায় এডভোকেসী সভায় সভাপতিত্ব করেন আবাসিক মেডিকেল অফিসার (ভারঃ) ডা. মোঃ তানজিরুল ইসলাম রায়হান। মূল আলোচক ছিলেন এমডিভি ভলেন্টিয়ার জুবায়ের হোসেন,ঢাকা। বক্তব্যদেন উপজেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এবিএম আব্দুর রউফ, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান পারভীন আক্তার, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবু তাহের ভুঞা, প্রেসক্লাব সভাপতি এস.এম রফিকুল ইসলাম-রফিক, সহকারী প্রকৌশলী দুর্গাপুর পৌরসভা মোঃ নওশাদ আলম, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম রুহু মোঃ শাহিনুর আলম সাজু মোঃ সফিকুল ইসলাম সফিক প্রমুখ।

আগামী ৩১ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল ২০২১ পর্যন্ত ৫ দিন পৌরসভাসহ উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে কুকুর-বিড়াল’কে জলাতংক প্রতিষেদক টিকাদান (এমডিভি) কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে বলে সভায় আলোচনা করা হয়। এ বিষয়ে পৌরকর্তৃপক্ষ ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানগণ সহযোগিতা করার জন্য বিশেষভাবে আহবান জানানো হয়।




মিয়ানমারে গুলিবর্ষণে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু

ডেস্ক রিপোর্টঃ মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু দেখল বিশ্ববাসী। শনিবার (২৭ মার্চ) মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী দিবসে বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর নির্বিচার গুলিবর্ষণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৪ জনে। শনিবার (২৭ মার্চ) মিয়ানমারের বার্মিজ সংবাদমাধ্যম মিয়ানমার নাউয়ের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে দেশজুড়ে ১১৪ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৩ বছরের এক মেয়ে শিশুসহ কেবল মান্দালয় শহরেই নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪০ জন। দেশের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৭ জন।

শনিবার সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাজধানী নেইপিদোতে কুচকাওয়াজে অংশ নিয়ে দেশটির সেনাবাহিনীর প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লেইং বলেন, ‘দেশের জনগণের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায় সামরিক বাহিনী। অবিলম্বে একটি সুষ্ঠু অবাধ ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের আয়োজন করা হবে।’

মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত আইনপ্রণেতাদের জান্তাবিরোধী গ্রুপ সিআরপিএইচের মুখপাত্র ডা. সাসা এক অনলাইন ফোরামে বলেছেন, ‌‘সশস্ত্র বাহিনীর জন্য আজ লজ্জা দিবস। তারা তিন শতাধিক নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিককে হত্যার পর আজ সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন করছে।’




পীর সাহেব মধুপুর এবং মাওলানা বশীর আহমদ গুলিবিদ্ধ

ডেস্ক রিপোর্টঃ হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ আহুত সারা দেশব্যাপী হরতাল পালনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন মাওলানা আব্দুল হামিদ (পীর সাহেব মধুপুর)।

আজ রোববার ২৮ মার্চ দুপুর ১২ টা ৪০ মিনিটে মুন্সীগঞ্জের শিকারিপারা এলাকায় পিকেটিং চলাকালীন সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আল্লামা আব্দুল হামিদ। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরের একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

এদিকে  জানা গেছে, মুন্সীগঞ্জ সৈয়দপুর মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা বশীর আহমদ সাহেবও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।




সাইনবোর্ডে হেফাজতকর্মীদের ওপর বিজিবির হামলা, গুলিবিদ্ধ ১

ডেস্ক রিপোর্ট: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড সানারপার এলাকায় হেফাজতে ইসলামের পূর্ব ঘোষিত হরতাল কর্মসূচিতে হেফাজত কর্মীদের ওপর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ও পুলিশের হামলার খবর পাওয়া গেছে। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন একজন।

হেফাজতে ইসলামের হরতালের সমর্থনে ঢাকা-চট্টগ্রামের প্রবেশমুখ সাইনবোর্ড এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করেছেন মাদরাসার ছাত্র ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা। আজ সকাল থেকেই তারা রাস্তায় অবস্থান নিয়েছেন। বেলা ১১টার দিকে পুলিশ বিজিবির সদস্যরা তাদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে গুলি ছুড়ে বিজিবির সদস্যরা। বিজিবির গুলিতে পুরো এলাকা প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। এ ঘটনায় একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আহতের ব্যাপারে বিস্তারিক কিছু জানা যায়নি।

উল্লেখ্য, মোদিবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলি ও সরকারদলীয় নেতাকর্মীর হামলায় নিহতদের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলাম সকাল সন্ধ্যা সারাদেশে হরতালের আহ্বান করে।