দুর্গাপুরে ঈদে বেড়াতে এসে সড়ক দুঃর্ঘটনায় আহত ৩৯ পর্যটক

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ঈদের ছুটিতে বেড়াতে এসে তিনদিনে উপজেলার বিভিন্ন এলকায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত: ৩৯জন। এতে অটো রিক্সা, সিএনজি, মিনি পিকাপ ও মটরসাইকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। রোববার এমনটাই জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার কাজে থাকা ব্যক্তিগন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, দুর্গাপুর পর্যটন এলাকা হওয়ায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে লকডাউন অমান্য করে পরিবার পরিজন নিয়ে অত্র এলাকায় আনন্দ করতে এসে এ দুর্ঘটনার শিকার হন তারা। এর মধ্যে মটরসাইকেল আরোহী চার জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আহতরা হলেন মো. হারুন মিয়া (১৭), পলাশ মিয়া (১৭), আবদুল কাদির (১৮) ও তাজুল ইসলাম (১৭)। এ ছাড়া অন্যান্যের বিভিন্ন এলাকার ক্লিনিক ও দুর্গাপুর হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। লকডাউনে কঠোর আইন না থাকায় ও সচেতনতার অভাবে এ দুর্ঘটনা গুলো ঘটছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। ইতোমধ্যে মিনি পিকাপে করে পর্যটন এলাকায় ঘুরতে আসা যুবকগন স্বাস্থ্যবিধি ও মাক্স পরিধান না করায় উপজেলা প্রশাসন থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন পাশাপাশি মাক্স প্রদান করা হয়। এ নিয়ে আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডা. মো. তানজিরুল ইসলাম রায়হান বলেন, ঈদের ছুটিতে বেড়াতে এসে এ সকল দুর্ঘটনা ঘটেছে। হাসপাতালে আসা মাত্রই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গুরুতর আহতদের ময়মনসিংহে প্রেরণ শেষে অন্যান্যের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।




ঢাকায় কখন কোথায় ঈদ জামাত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ঈদুল ফিতরের দিন রাজধানীতে বিভিন্ন মসজিদে মুসল্লিরা আদায় করবেন ঈদের জামাত। করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে অন্যান্য সময়ের মতো এবার ঈদগাহে বা উন্মুক্ত স্থানে ঈদের জামাত হচ্ছে না।

আগামীকাল শুক্রবার (১৪ মে) দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে এবার হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত হবে না। তবে প্রতি বছরের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

গত ২৬ এপ্রিল ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, করোনার কারণে এবারও ঈদগাহে বা খোলা জায়গায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত আদায় করা যাবে না। মসজিদে পড়তে হবে ঈদের নামাজ। একইসঙ্গে মসজিদে জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে সরকার। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল ৭টা, ৮টা, ৯টা, ১০টা ও ১০টা ৪৫ মিনিটে বায়তুল মোকাররমে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত হবে সকাল ৭টায়। এতে ইমাম থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান। মুকাব্বির থাকবেন মুয়াজ্জিন হাফেজ কারী কাজী মাসুদুর রহমান। দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমাম থাকবেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী নদভী। মুকাব্বির থাকবেন মুয়াজ্জিন হাফেজ কারী হাবিবুর রহমান মেশকাত।

৯টার তৃতীয় জামাতের ইমাম হবেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক। মুকাব্বির মুয়াজ্জিন মাওলানা ইসহাক। চতুর্থ জামাত হবে সকাল ১০টায়। এতে ইমাম থাকবেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম মাওলানা মহিউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন মো. আতাউর রহমান। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে। এতে ইমাম থাকবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস হাফেজ মাওলানা ওয়ালিয়ুর রহমান খান। মুকাব্বির হবেন বায়তুল মোকাররমের খাদেম হাফেজ মো. শহীদুল্লাহ।

পাঁচটি জামাতে কোনো ইমাম অনুপস্থিত না থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। অপরদিকে ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টা ও সকাল ৯টায়, ধানমন্ডির বায়তুল আমান মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায়, ঈদগাহ মাঠ মসজিদে ৮টায় এবং সোবহানবাগ জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত হবে। রাজধানীর গুলশান সেন্ট্রাল মসজিদে সকাল ৬টা, সাড়ে ৭টা এবং সাড়ে ৯টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। পুরান ঢাকার চকবাজার শাহী মসজিদে সকাল ৮টা ও ৯টায় দুটি জামাত হওয়ার কথা রয়েছে। বড় কাটারা মাদরাসা মসজিদে ঈদ জামাত হবে সকাল ৮টায়। লালবাগ শাহী মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় একটি জামাত হবে।

মহাখালীর মসজিদে গাউসুল আজমে তিনটি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ এবং শহীদুল্লাহ হল জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত হওয়ার কথা রয়েছে। নবাবগঞ্জ বড় মসজিদে ঈদের জামাত হবে সকাল ৭টায়, ৮টায় ও ৯টায়। আজিমপুর কবরস্থান মসজিদে সকাল ৭টা, ৮টা, ৯টা ও ১০টায় চারটি জামাত হবে। মিরপুর দারুস সালাম লালকুঠি বড় মসজিদে সকাল ৭টায় একটি জামাত হবে এবার। পুরান ঢাকা তারা মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টা ও ৯ টায়, রায়সাহেব বাজার জামে মসজিদে সাড়ে ৮টায়, নিমতলী ছাতা মসজিদে সকাল ৮টা ও ৯টায়, আগামছি লেন জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টা ও সাড়ে ৮টায় এবং বায়তুল মামুর জামে মসজিদে সকাল সোয়া ৮টা ও ৯টায় ঈদের জামাত হওয়ার কথা রয়েছে।




ঈদের দিনেও গাজায় হামলা অব্যাহত, নারী-শিশুসহ নিহত বেড়ে ৬৯

ডিএনবি নিউজ  ডেস্ক:

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আজ বৃহস্পতিবার উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর। তবে আরব দেশগুলোতে যখন ঈদের আনন্দ, ঠিক তখন মধ্যপ্রাচ্যেরই আরেক দেশ ফিলিস্তিন করছে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। ঈদুল ফিতরের দিনেও অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বোমা বর্ষণ অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দফায় দফায় গাজার বিভিন্ন স্থাপনায় বিমান হামলা চালায় দেশটি।

বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এখন পর্যন্ত ৬৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১৭ শিশু ও অন্তঃসত্ত্বাসহ আট নারী রয়েছেন।গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানায়, অব্যাহত হামলায় ৩৯০ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। আলজাজিরা আরও জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর দফায় দফায় বিমান হামলায় ধংসস্তুপে পরিণত হয়েছে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটি। বৃহস্পতিবার সকালেও বোমা বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। আর এর মধ্যেই উদযাপনহীন রক্তাক্ত এক ঈদ পার করছেন ফিলিস্তিনিরা। গত সোমবার তৃতীয় দিনের মতো মুসলিমদের প্রথম কিবলা আল-আকসা মসজিদে ঢুকে মুসল্লিদের ওপর তাণ্ডব চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। অবরুদ্ধ করে রাখা হয় মুসল্লিদের। আল-আকসা মসজিদ থেকে অবরোধ তুলে নেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে রকেট হামলার হুমকি দেয় গাজার প্রতিরোধ সংগঠন হামাস। সেখান থেকে বাহিনী সরিয়ে না নিলে ইসরায়েলে রকেট ছোড়ে সংগঠনটি।

ইসরায়েলি উগ্রবাদীদের ‘জেরুসালেম দখল দিবস’ উদ্‌যাপন এবং শেখ জাররাহ এলাকা থেকে ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের উচ্ছেদ ঘিরে এ উত্তেজনার সূত্রপাত হয়। এরপর আল-আকসা মসজিদের মুসল্লিদের ওপর কয়েক দফা হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে কয়েকশ’ স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনি আহত হন। ফিলিস্তিনের সংবাদমাধ্যম ওয়াফা এক প্রতিবেদনে জানায়, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহতদের সম্মানে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ঈদ উদযাপন সীমিত করা ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। ফিলিস্তিনবাসী এবার শুধু ঈদের নামাজ আদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।




দুর্গাপুরে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

জেলার দুর্গাপুরে জোড়পূর্বক জমির ধান কাটার অভিযোগের বিষয়কে কেন্দ্র করে গত বুধবার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া গ্রামের মোঃ জলিল তালুকদার এর স্ত্রী মোছাঃ আনোয়ারা বেগম ও তার সন্তান আশরাফ হোসেন শাহীন যে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এরই প্রতিবাদে ওই ইউনিয়নের মো. সাখাওয়াত হোসেন হারুন প্রকাশিত সংবাদ সম্মেলনের বিরুদ্ধে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন। বুধবার দুপুরে দুর্গাপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

মো. সাখাওয়াত হোসেন হারুন তার লিখিত বক্তব্যে জানান, আমারা মুন্সিপাড়া গ্রামের মোঃ জলিল তালুকদার এর জমিতে জোরপুর্বক ধান কেটে নিয়েছি মর্মে বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টাল, জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা কোনটাই সত্য নয়। এলাকার জনপ্রতিনিধি ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে গত ১৩.০১.১৯৯৫ইং সনে এক গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে ৭.০৮ একর জমির মুল্যবাবদ এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা মোঃ জলিল তালুকদার নিয়েছে বলে প্রমানিত হয়। এর পর থেকেই বৈধভাবে ওই জমিতে আমরা চাষাবাদ করে আসছি। মোঃ জলিল তালুকদার অসুস্থ্য হয়ে মৃত্যুবরণ করার পর তার ছেলেরা ও তার স্ত্রী আমাদের কাছে জমি বিক্রির কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে ওই জমি দাবী করেন। শাহীন গংরা উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে আমাদের ভুমি দস্যু আখ্যায়িত করায় সমাজে আমাদের মান-সম্মানের হানি ঘটেছে। আমি অত্র সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তার মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন ও হেন কর্মকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা মো. সুরুজ আলী, আব্দুল্লাহ আল মামুন শাহান, ইউপি সদস্য মো. শাহজাহান মিয়া, ইউপি সদস্য মো. রফিক, এলাবাসীর পক্ষে মো. রাসেল মিয়া, ফয়জুর রহমান বাবুল, উজ্জল মিয়া, শাহবাজ শরিফ উপস্থিত ছিলেন।




দুর্গাপুরে ভাসমান লাশ উদ্ধার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

জেলার দুর্গাপুরে ৬৫ বয়সি এক অজ্ঞাত বৃদ্ধের ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয়রা মঙ্গলবার গভীর রাতে বাকলজোড়া ইউনিয়নের সোমেশ্বরী নদীতে মৃতদেহটি ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। বাকলজোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিক মৃতদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, কুমুদগঞ্জ বাজারের পাশে সোমশ্বরী নদীতে পরনে লুঙ্গি, শরীরে কাপড় নেই ও দাঁড়ি রয়েছে এরকম এক ব্যক্তির লাশ ভাসতে দেখেছেন এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসেছে। উদ্ধারকৃত ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৬৫ এর মতো হবে। এলাকাবাসী ও পুলিশ ধারণা করছেন মৃত্যুটি একদিন আগে হয়েছে। দুর্গাপুর থানার ওসি মো. শাহনুর-এ আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, আনুমানিক ৬৫ বৎসর বয়সের এক বৃদ্ধের মরদেহ সোমেশ্বরী নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে। পরে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে বলে জানান তিনি।




সিদ্ধিরগঞ্জে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঈদ সামগ্রী বিতরণ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উদ্যোগে গরীব অসহায় ও দরিদ্রদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

আজ বুধবার (১২ মে) থানার আওতাধীন ২নং ওয়ার্ড শাখার আয়োজনে ওয়ার্ড সভাপতি মুহা বাচ্চুর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মুহাম্মদ আক্তার হোসেনের সঞ্চালনায় ২নং ওয়ার্ডের মাঝে এ ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার সংগ্রামী জয়েন্ট সেক্রেটারি ডা. মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্য বলেন, দেশের মানুষ আজ মহামারী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে দিন দিন অসহায় হয়ে পড়ছে। যুবকদের বেকারত্ব বাড়ছে। সমাজের উচ্চ শ্রেণীর মানুষগুলোর ঘরে ঈদের আমেজ থাকলেও নিম্ন শ্রেণীর মানুষগুলোর ঘরে সেমাই, চিনিও জুটছে না। তাই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির পীর সাহেব চরমোনাইয়ের আহবানে পাড়া মহল্লার ঘরে ঘরে ইসলামী আন্দোলন ঈদ সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সংখ্যালগু বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।

আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি মুহা রহমত উল্লাহ, যুব আন্দোলনের সভাপতি মুহাম্মদ মাসুদ রানা, থানা ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মুহা. খালেদ সাইফুল্লাহ সানভীরসহ প্রমুখ।




ধানের ভিতরে চাউল নেই, কৃষকের সর্বনাশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

দুর্গাপুরে বাঙালি, গারো আদিবাসী অধ্যুষিত এই এলাকার বেশিরভাগ মানুষই কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল। প্রায় আড়াই লাখ জনগোষ্ঠীর এই উপজেলায় খাদ্য চাহিদা বেশিরভাগই উৎপাদিত হয় স্থানীয় ভাবেই। এ ছাড়া উৎপাদিত ফসল বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে এখানকার কৃষকরা।
বছরে রুপা আমন ও বোরো মৌসুমের ধানের চাষাবাদ করেই সারাবছর চলেন কৃষকেরা। তবে এ বছর আকস্মিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ গরম হাওয়া ও ব্লাস্ট ভাইরাসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক কৃষকের জমির ধান। কোথাও কোথাও অর্ধেকেরও বেশি ধান নষ্ট হয়েছে। উপজেলা চন্ডিগড়, বিরিশিরি, কাকৈরগড়া, বাকলজোড়া, গাঁওকান্দিয়া, কুল্লাগড়া, সদর ইউনিয়ন সহ উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামে একই অবস্থা।
ক্ষতিগ্রস্ত জমি গুলোতে অর্ধেকেরও বেশি ধান নষ্ট হয় ধান পেকে থাকলেও শ্রমিকের টাকায় চিন্তাই অনেক কৃষকই পারছেন না ধান। অনেক কৃষকই আবার নিজের জমির ধান নিজে কোনরকমে কাটছে। তবে বাজারে ন্যায্যমূল্য পেলে ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে মনে করছেন তারা। এবছর দুর্গাপুর উপজেলায় ১৭ হাজার ৬ শত হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এর মাঝে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ও বাকি ১০ হাজার হেক্টর জমিতে উচ্চফলনশীল (উফশী) জাতের ধানের আবাদ করেছেন কৃষকরা। কৃষি কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে তাই ৯৮০ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এর মাঝে ৪২০ হেক্টর জমির ধান পুরোপুরি নষ্ট হয়েছে। টাকার হিসাবে যা দাঁড়ায় ৬ কোটি টাকা বেশি। তাছাড়া ধানের হিসেবে ২ হাজার ৬৪৬ মেট্রিক টন ধান আবাদ হবে। কৃষকরা বলছে এই ক্ষতির পরিমাণ আরো প্রায় ২ হাজার হেক্টর চেয়েও বেশি। ধানের বিভিন্ন জাতের মাঝে এবারে দুর্যোগের ব্রি ধান ২৮ ও ব্রি ধান ২৬ এর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব জাতের জমিগুলোতে গরম হওয়ার প্রভাব ও ব্লাস্টের প্রভাব পড়েছে সবচেয়ে বেশি। ৫ কাঠা জমি থেকে আগে যেখানে ২০ থেকে ২৫ মণ ধান অবাক হতো এখন থেকে কৃষকরা পাচ্ছেন ১০ থেকে ৮ মণ ধান। সরকারিভাবে পুরো উপজেলায় ধান কাটার জন্য দুটি হারভেস্টার মেশিন দেয়া হলো তাও পর্যাপ্ত নয় বলে বলছেন কৃষকরা। সমতলের কৃষি ভূমির ধান কাটার জন্য হারভেস্টার মেশিন বেশ কার্যকরী তাই সরকারিভাবে হাইকমিশনের সংখ্যায় উপজেলায় আরো বাড়ানোর দাবি কৃষকদের।
এদিকে গত বছর করোনাকালীন সময়ে বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অসহায় ও দরিদ্র কৃষকদের ধানক্ষেতে বাড়ি পৌঁছে দাও এ বছর চিত্রটা পুরোপুরি ভিন্ন। হাতে গোনা দুই একটি সংগঠন ছাড়া কাউকেই স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কাটতে দেখা যাচ্ছে না।
চন্ডিগড় গ্রামের কৃষক মেরাজ জানান, ৫ কাঠা জমিতে বি ২৮ জাতের ধানের আবাদ করছি। যে জমিতে আগে ২০ থেকে ২৫ মণ ধান পাইতাম এখন ঐ জমি থেকে মাত্র ৭/৮ মণ ধান পাইছি। এখন আমরা বাজারে বিক্রি করবো কি আর নিজেদের খাবার জন্য রাখবো কি। তাছাড়া বাজারে যদি ধানের ন্যায্যদাম পাই তাহলে হয়তো ক্ষতি কিছুটা পূরণ হবে।
কুল্লাগড়া গ্রামের কৃষক আবদুল মোতালেব জানান, আড়াই লাখ টাকা ঋণ নিয়ে ২০ কাঠা জমির ধান করছি। কিন্তু গরম হাওয়া আর ব্লাস্ট এর কারণে সব ধান নষ্ট হয়ে গেছে। জমিতে ধান থাকলেও কাটল কোন লাভ নাই কারণ ধানের মাঝে কোন চাল নাই সব নষ্ট হয়ে গেছে। কিভাবে এই ঋণ পরিশোধ করুম এই চিন্তায় ঘুম আসেনা।
এদিকে নির্বাহী কর্মকর্তা বলেছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা প্রস্তুত করে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে প্রেরণ করেছি। এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের একটি তালিকা তৈরির কাজ চলছে। সরকারি সহায়তা পেলেই কৃষকদের কাছে তা পৌঁছে দেওয়া হবে।




মুজিববর্ষের ঘর নির্মাণে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

মুজিববর্ষ উপলক্ষে সারা দেশের ন্যায় দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে টিনসেড পাকা ঘর। ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে দ্বিতীয় বারের মতো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘর উপহার পাচ্ছেন আরো ৩৫ পরিবার। শনিবার দুপুরে ওইসব ঘরের নির্মাণ কাজের গুনগত মান নিশ্চিত শেষে এ কথা জানান ইউএনও মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান। মুজিববর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ – ২ প্রকল্পের আওতায় গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার কে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে দুর্গাপুর উপজেলার সদর ইউনিয়ন, কাকৈরগড়া, চন্ডিগড় ও কুল্লাগড়া ইউনিয়নে উপহার হিসেবে দ্বিতীয় বারের মতো আরো ৩৫টি ঘরের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্তাবধানে সরকারি খাসজমিতে হতদরিদ্র পরিবারের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে সরকারি ঘর গুলো। যাদের থাকার জমি ও ঘর নেই সে ধরনের পরিবারদের পুনর্বাসনের জন্য এসব ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয়ে দুই কক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা ঘর, বারান্দা, রান্নাঘর ও বসত ঘরের সাথেই থাকছে টয়লেট। ঘর গুলোর নির্মাণ কাজ শেষ হলে গৃহহীনদের মাঝে ঘরগুলো হস্তান্তর করা হবে। ঘরের নির্মাণ কাজের সার্বিক তদারিক করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এছাড়াও ওই কাজে সহযোগিতা করছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুয়েল সাংমা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, সংশ্লিষ্ট ট্যাগ অফিসার এবং সরকারি নানা দপ্তরে কর্মরত অফিসার গন।

সরকারি ঘরপ্রাপ্ত গৃহহীন রমিজ উদ্দিন বলেন, ‘‘আমার কোন ঘর বাড়ী নাই, বউ এক বাড়িত কাম করতো, আর আমি দোহান ঘর নাইলে ইস্কুল ঘরের বারিন্দাদ ঘুমাইতাম, টেউনু সাইবের কাছে গেছলাম, হেইলা আমার নাম লেকছইন, শেখ হাসিনা আমারে একটা পাক্কি করা ঘর দিছইন, আমি জীবনেও ভাবজিনা এমত একটা ঘর হাইবাম, এহন আর বারিন্দাত থাহন লাগত না, আমি শেখ হাসিনার লাগিন দুই আত তুইল্লা দোয়া হরবাম। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব-উল-আহসান বলেন, ইতোমধ্যে ১ম পর্যায়ের কাজ শেষে ২৫টি পরিবার তাদের ঘরে বসবাস করছেন। এই প্রকল্পের আওতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ২য় পর্যায়ের ঘরগুলোর নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে। ঘর নির্মান কাজের গুণগতমান নিশ্চিতকরণে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক দেখাশুনা করা হচ্ছে। ঘর নির্মান কাজে কোন প্রকার ক্রুটি বা মালামাল সরবরাহে কোন গলদ থাকলে তা গ্রহন করা হচ্ছে না। সঠিক সময়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করে তালিকাভুক্ত গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মাঝে ঘর গুলো হস্তান্তর করা হবে।




এটা মাদরাসা নয় বলে করোনা ওয়ার রুম থেকে মুসলিমকর্মীদের বের করে দিলেন বিজেপি এমপি তেজস্বী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের হিন্দুত্ববাদের অন্যতম প্রধান প্রচারক বেঙ্গালুরুর বিজেপি এমপি তেজস্বী সূর্য একটি কভিড ওয়ার রুম থেকে মুসলিমদের বের করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এটা কোনো মাদরাসা বা হজ ভবন নয় যে এখানে মুসলিমদের নিয়োগ করা হবে।

পশ্চিমবঙ্গের এনবি নিউজের বরাতে জানা যায়, দক্ষিণ বেঙ্গালুরুর BBMP covid war Room এ মোট ২০৫ জন কর্মীর মধ্যে মাত্রই ১৭ জন মুসলিম ছিল। তাদেরকে বিতাড়িত করে তাদের বিরুদ্ধে বিজেপির আইটি সেল ব্যবহার করে তাদেরকে হত্যাকারী, সন্ত্রাসবাদী ইত্যাদি ভুয়া অপমানজনক তকমা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে বলেছেন এ এমপি।

কর্মীদের কেন সরানো হলো সে ব্যাপারে BBMP কমিশনার কোনো জবাব দেননি। তবে এই এমপি এর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে, তাতে দেখা যাচ্ছে তিনি আধিকারিকদের নির্দেশ দিচ্ছেন মুসলিম কর্মীদের তাদের মুসলিম পরিচয়ের কারণে যথাশিগ্রই অপসারণ করতে।

এমনকি কারা তাদেরকে নিয়োগ করেছে তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি। তার এই আচরণে সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন তার বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।

উল্লেখ্য, কর্নাটকে করনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সেখানে বিভিন্ন হাসপাতালে বেড এবং অক্সিজেনের সরবরাহে ভারসাম্য বজায় রাখতে ওই কভিড ওয়ার রুম গঠন করে সরকার।




বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ড পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষাবোর্ডের ১৯ তম কেন্দ্রীয় পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ মে) রাজধানীর মাতুয়াইল যাত্রাবাড়ী ঢাকায় এ ফলাফল অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বোর্ডের সদর দপ্তর চরমোনাই থেকে ভার্চূয়ালের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফলাফল প্রকাশ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুরআন শিক্ষা বোর্ডের কেন্দ্রীয় সদস্যগন।

ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে বোর্ডটির চেয়ারম্যান মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, আমার পিতা সৈয়দ ফজলুল করীম রহ. বাংলাদেশে ৬৮ হাজার গ্রামে ৬৮ হাজার মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্ন দেখতেন। সেই স্বপেন বাস্তবায়ন করে চলেছে বাংলাদেশে কুরআন শিক্ষা বোর্ড। করোনা মহামারীর মধ্যেও আমরা যথাসময়ে ফলাফল প্রকাশ করতে পেরে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি।

কুরআন শিক্ষা বোর্ড ১২ টি স্তরে পরীক্ষা নিয়ে থাকে। এগুলো হলো, সানাবিয়া আম্মা কাফিয়া জামাত, সানাবিয়া আম্মা কুদুরী জামাত, মুতাওয়াসসিতাহ মিজান পুরুষ, মুতাওয়াসসিতাহ মিজান মহিলা, ইবতিদাইয়া উর্দু পুরুষ, ইবতিদাইয়া উর্দু মহিলা, ইবতিদাইয়া কেরাতুল কুরআন দ্বিতীয়, ইবতিদাইয়া কেরাতুল কুরআন খাস, হিফজ ৫ পারা, হিফজ ১০ পারা, হিফজ ২০ পারা, হিফজ ৩০ পারা। বোর্ডটির গড় পাসের হার ৯৫.৮৪%।