দুর্গাপুরে পৌর মেয়রকে ওয়ার্ডবাসীর সংবর্ধনা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে পৌর মেয়র মো. আলা উদ্দিন কে সংবর্ধনা প্রদান করেন পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডবাসী। শুক্রবার সন্ধ্যায় বিরিশিরি ওয়াইএমসিএ মিলনায়তনে এ সংবর্ধনা ও মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মেয়র মহোদয়কে ক্ষুদ্র-নৃ গোষ্ঠীর সর্বোচ্চ সম্মাননা মুকুট ও উওরীয় প্রদান শেষে উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বান্টি সাংমার সঞ্চালনায় ডা. সমুয়েল প্রান্তোষ সাংমার সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র মো. আলা উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেল ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. এমরোজ হোসেন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর মোছা. অমলা বেগম। সভায় এলাকাবাসী তাদের নানাবিধ সমস্যার কথা মেয়র মহোদয়ের কাছে তুলে ধরলে, এলাকাবাসীর সব রকম সমস্যা সমাধানে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে আশ্বাস দেন মেয়র আলা উদ্দিন।

 




করোনার কারণে মানবজাতি-অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও প্রকৃতি কিছুটা প্রাণ ফিরে পেয়েছে

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ কারণে মানবজাতি ও অর্থনীতি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও প্রকৃতি যেন কিছুটা প্রাণ ফিরে পেয়েছে। সারাবিশ্ব একসাথে ‘লকডাউন’ হওয়ায় পরিবেশ দূষণ কমেছে, পৃথিবী একটি গাঢ় সবুজ গ্রহে পরিণত হয়েছে। এই মহামারি থেকে শিক্ষা নিয়ে মানুষ একটি সবুজ-পৃথিবী সৃষ্টিতেই মনোনিবেশ করবে বলে আমার বিশ্বাস।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২১ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে শনিবার (৫ জুন) এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, পরিবেশ-সংরক্ষণে সরকারের সফলতার কারণে ‘পরিবেশ কূটনীতিতে’ বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের নেতৃত্ব প্রশংসিত হচ্ছে। আমরা পরিবেশ বিপর্যয়ে সংকটাপন্ন দেশগুলোর স্বার্থ-সুরক্ষায় ‘ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ)’ এবং ‘ভালনারেবল-২০’ এর অর্থমন্ত্রীদের জোটের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আমরা জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা তৈরি করছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ুর-পরিবর্তন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে টেকসই উন্নয়ন অর্জনের লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ-ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’ বাস্তবায়ন করছি। আমরা জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যেই এক কোটি গাছের চারা রোপণ করেছি।

তিনি বলেন, বিশ্ব পরিবেশ দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য অনুযায়ী আমাদের জাতীয় প্রতিপাদ্য ‘প্রতিবেশ পুনরুদ্ধার, হোক সবার অঙ্গীকার’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে। উন্নত দেশগুলোর লাগামহীন উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষা ও শিল্পায়নের কারণে বৈশ্বিক তাপমাত্রার ক্রমাগত বৃদ্ধি জলবায়ু-পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করছে। সরকার প্রধান বলেন, জলবায়ু-পরিবর্তনজনিত বিরূপ প্রতিক্রিয়ার ফলে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে জলবায়ু-পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ-মোকাবিলায় সহিষ্ণুজাত উদ্ভাবনের জন্য গবেষণায় প্রথমবারের মতো বরাদ্দ দিয়েছিল।

তিনি বলেন, আমাদের সরকারের উদ্যোগে গত ১২ বছরে বৈরী পরিবেশে সহনশীল বিভিন্ন ফসলের মোট ১০৯টি উন্নত/উচ্চ উৎপাদনশীল জাত উদ্ভাবিত হয়েছে। ২০০৯ সালে নিজস্ব সম্পদ থেকে আমরা ৪৫০ মিলিয়ন ডলারের জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০১২ সালের ২১ এপ্রিল ইনটারগভারমেন্টাল সাইন্স পলিসি প্লাটফরম অন বাইওডাইভারসিটি অ্যান্ড ইকো সিস্টেম সারভিসেস (আইপি বিইএস ) (Intergovernmental Seience Policy Platform on Biodiversity and Ecosystem Services (IPBES)-এর সদস্যপদ লাভ করেছি এবং সংস্থাটির প্রাধিকার অনুযায়ী বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ ও প্রাণী-সংরক্ষণে কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, জলবায়ু-পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় সফলতার স্বীকৃতিস্বরূপ আমি জাতিসংঘ কর্তৃক ২০১৫ সালে ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’ সম্মাননা পেয়েছি, যা আমি দেশবাসীকে উৎসর্গ করেছি। আমরা ‘জাতীয় পরিবেশ নীতি, ২০১৮’ এবং ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপনা (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৯’ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে ‘গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপ্টেশন’-এর দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক অফিস ঢাকায় স্থাপন করেছি। জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি ঘোষিত বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষণ দশকে (২০২১-২০৩০) আমরা জীববৈচিত্র্য-সংরক্ষণের ওপর মনোনিবেশ করেছি। আমরা জাতীয় সৌরশক্তি কর্মপরিকল্পনার (২০২১-২০৪১) বাস্তবায়ন শুরু করেছি। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজে, দলীয়ভাবে এবং সরকারি উদ্যোগে দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছিলেন। স্বাধীনতার পরপরই জাতির পিতা কক্সবাজার সমুদ্র উপকূল রক্ষাকারী ঝাউবেষ্টনী সৃষ্টি করেছিলেন। পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে সৃষ্ট প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে জানমালের সুরক্ষা দিতে বেড়িবাঁধ, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ও মুজিবকিল্লা নির্মাণ করেছিলেন এবং স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিলেন। আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন বাংলাদেশ কৃষক লীগ ১৯৮৫ সাল থেকে প্রতিবছর আষাঢ়-শ্রাবণ-ভাদ্র এই তিনমাস সমগ্র দেশে ফলজ, বনজ ও ভেষজ এ তিন প্রজাতির গাছ লাগানোর কর্মসূচি অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করছে।




আল্লামা আহমদ শফী রহ. ইস্যুতে সংবাদ সম্মেলন: আলেমদের ৫ দাবি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রয়াত আমির প্রথিতযশা আলেমদ্বীন আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ.-এর হত্যা মামলা ইস্যুতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার পর জাতীয় প্রেসক্লাবের ভি.আই.পি লাউঞ্জে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হাটহাজারী মাদ্রাসার সাবেক মুহাদ্দিস মাওলানা নুরুল ইসলাম জাদিদ। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর একাংশের উদ্যোগে শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রহ.)-এর হত্যা মামলায় অভিযুক্তদের ও উস্কানিদাতাদের গ্রেফতারপূর্বক বিচারকার্য দ্রুত সম্পন্ন করার দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সংবাদ সম্মেলনে সরকারের কাছে কয়েকটি দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো-

১. বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে আল্লামা শাহ আমদ শফী রহ.-এর ‘অস্বাভাবিক মৃত্যুর’ রহস্য উদঘাটন করে এর সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

২. তার পরিবারের পক্ষ থেকে করা মামলা তদন্তপূর্বক অবিলম্বে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে হবে।

৩. আল্লামা শফীর পরিবারের সদস্যদের ও তার অনুসারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। যারা মামলা তুলে নেয়ার হুমকি-ধমকি দিচ্ছে তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।

৪. আহমদ শফীর রেখে যাওয়া সব দ্বীনি ও সামাজিক অঙ্গনগুলো থেকে তার বিরোধীদের অপসারণ করতে হবে।

৫. অবিলম্বে দেশের সব হিফজ-মক্তব মাদ্রাসা খুলে দিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আল্লামা আহমদ শফীর শ্যালক মাইনুদ্দিন, ছোট ছেলে মাওলানা আনাস মাদানী, মাওলানা আবদুল হামিদ (মধুপুরী পীর) সহ হেফাজতের বিভিন্ন নেতারা উপস্থিত ছিলেন।




শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: ৭ আসামির জামিন স্থগিতের আদেশ বহাল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

২০০২ সালে সাতক্ষীরায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাত আসামির জামিন স্থগিতের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
রবিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন। একইসঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষকে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করতে বলেছেন আদালত। আগামী ২০শে জুন এই মামলা পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

এর আগে গত ২৭শে মে সাজাপ্রাপ্ত সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তারসহ সাত আসামির জামিন পর্যন্ত স্থগিত করেছিলেন চেম্বার আদালত।




না ফেরার দেশে চলে গেলেন কৃষিবিদ আলহাজ্ব ওসমান গনি

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলার শালদিঘা গ্ৰামের কৃতি সন্তান সাবেক অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন) ও কৃষিবিদ আলহাজ্ব ওসমান গণি নিজ বাড়িতে গতরাত ১১.০৫ মিনিটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি এগ্রিকালচার কেমিস্ট্রি তে এমএসসি ডিগ্ৰি অর্জন করে পাট সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে পাট সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হিসাবে চাকুরীতে যোগদান করেন। চাকুরিরত অবস্থায় দেশ বিদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ তিনি গ্রহণ করেন। ২০০৭ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।উনার স্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষিকা। এক ছেলে এবং এক মেয়ে উচ্চতর ডিগ্রি গ্রহণ করে এখন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন। তিনি আজীবন রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্য ছিলেন। এছাড়া ও তিনি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। উনার মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।




নোয়াখালীতে মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড: ২৫ দোকান পুড়ে ২ কোটি টাকার ক্ষতি

ডিএনবি নিউজ ইসলাম ডেস্ক:

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ছয়ানী বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২৫টি দোকান পুড়ে ছাই  গেছে। এতে প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। শনিবার (২৯ মে) দিবাগত রাত ১২টায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়।

নোয়াখালী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন মজুমদার জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে।

স্থানীয় ৫নং ছয়ানী ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহাদাত হোসেন রশিদ জানান, আগুন মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। এতে ২৫টি দোকান পুড়ে অন্তত দুই কোটি টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ছয়ানী বাজার অনেক বড় হওয়ায় আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে তা দ্রুত ছড়িয়ে যায়। এতে বাজারের কসমেটিকস, মুদি, মনোহারি, সেলুনসহ বিভিন্ন ধরণের প্রায় ২৫টি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।




আলেম-ওলামাদের মুক্তির দাবি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

আটককৃত সকল আলেম-ওলামাদের মুক্তি দাবি করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

আজ রবিবার (৩০ মে) রাজধানীর পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মো. রেজাউল করিম এ দাবি জানান। বাংলাদেশী পাসপোর্ট থেকে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শব্দ বাদ, আসন্ন জাতীয় বাজেট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়াসহ দেশব্যাপী চলমান জেল জুলুম ও মামলার প্রতিবাদে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণাও করে দলটি।

অবিলম্বে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে আগামী ২ জুন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এবং ৩ জুন দেশব্যাপী প্রতিটি জেলা ও মহানগরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়া হয়। এছাড়া পাসপোর্ট থেকে একসেপ্ট ইজরাইল শব্দ বাদ দেয়ার প্রতিবাদে ও সংযোজনের দাবিতে ৫ই জুন শনিবার বিকেল তিনটায় বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে বিক্ষোভ কর্মসূচিরও ঘোষণা দেয়া হয়। এছাড়া টিকা সংগ্রহ ও বিতরণকে দুর্নীতিমুক্ত করার পাশাপাশি একটি সার্বজনীন কমিটি গঠন করারও দাবি জানান তারা।




ফিলিস্তিনকে ৪০ লাখ টাকার ওষুধ ও ৫০ হাজার ডলার দিল বাংলাদেশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের পরীক্ষিত বন্ধু উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেছেন, ১৯৭২ সাল থেকেই আমরা ফিলিস্তিনের পাশে থেকেছি।  আমরা ইসরায়েলকে দেশ হিসেবে স্বীকার করি না।  যতদিন আমরা ইসরায়েলকে স্বীকৃতি না দিচ্ছি, ততদিন কোনো বাংলাদেশি সেখানে যেতে পারবেন না।

বুধবার সকালে ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য মেডিকেল ত্রাণসামগ্রী প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।  এ সময় বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস থেকে দেওয়া ত্রাণসামগ্রী ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের হাতে তুলে দেন তিনি। অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনকে ৪০ লাখ টাকা মূল্যের ওষুধসামগ্রী ও ৫০ হাজার মার্কিন ডলার উপহার দেওয়া হয়।  ইসরাইলের সাম্প্রতিক হামলায় ফিলিস্তিনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য এসব সামগ্রী সরবরাহ করা হলো।

বাংলাদেশের মধ্যপ্রাচ্য নীতি পরিবর্তন হয়নি জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আবার বলতে চাই— আমাদের ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল নীতির কোনো পরিবর্তন হয়নি।  আমরা চাই না, এ বিষয় নিয়ে কেউ আবার ঝামেলা তৈরি করুক।’ অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের প্রশংসা করে বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ সবসময় আমাদের সঙ্গে ছিল এবং আছে।  সম্প্রতি এই সংকটময় মুহূর্তে বাংলাদেশিরা আমাদের জন্য অনেক সহায়তা দিয়েছে।’ ফিলিস্তিনিদের সহায়তার জন্য সংগ্রহ করা অর্থ কীভাবে সেখানে পাঠানো হবে, জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘ওই অর্থ দিয়ে মেডিকেলসামগ্রী কিনে পাঠানো হবে।’




সোমেশ্বরী নদীতে শ্রমিক নিখোঁজ, উদ্ধারে ডুবুরি দল

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় সোমেশ্বরী নদীতে হাকিম (২২) নামে এক বালু শ্রমিক নিখোঁজ হয়েছে। বুধবার সকাল ৮টায় তিন নং বালু মহালের ধানশিরা এলাকার কচুয়াডহর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ শ্রমিক উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের ধানশিরা গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিনের পুত্র।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ড্রেজারের পাইপের কাজের তিনি নদীতে ডুব দেয়। এরপর অনেকক্ষণ হয়ে যাওয়ার পরও  পানির নিচ থেকে  ফিরে না আসায় স্থানীয়রা খোঁজাখুঁজি শুরু করে ।  স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা সেখানে যায়। বর্তমানে ময়মনসিংহ থেকে ডুবুরি দল এসে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহনুর-এ আলম নিখোঁজের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নদীতে শ্রমিক নিখোঁজের খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিখোঁজের লাশ উদ্ধারের পর স্বজনদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



দুর্গাপরের গাছে গাছে আল্লাহ নাম

দুর্গাপরের গাছে গাছে আল্লাহ নাম
নেত্রকোণার দুর্গাপুরের গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের জাগিরপাড়া-সংকরপুর আঞ্চলিক সড়কটি সব সময়ই মানুষ চলাচলে ব্যস্ত থাকে। রাস্তার দুই পাশে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ছোট-বড় অসংথ্য গাছ। সেইসব গাছে শোভা পাচ্ছে আল্লাহর জিকির সম্বলিতফ্যাস্টুন। মহান আল্লাহর গুণবাচক নাম সম্বলিত ফ্যাস্টুন পেরেক দিয়ে সাঁটানো হয়েছে এসব গাছে। এমন নজরকাড়া দৃশ্য যে কারো দৃষ্টি আকর্ষণ করবে অনায়াসে। ঝড়, বৃষ্টি থেকে ফ্যাস্টুন গুলোকে বাঁচাতে লেমিনেটিং করে সাঁটানো হয়েছে গাছে। এসব ফ্যাস্টুন গুলোতে লিখা রয়েছে আলহামদু লিল্লাহ, সুবহানাল্লাহ, আল্লাহু আকবার, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, বিসমিল্লাহ সহ আল্লাহ তায়ালার গুণবাচক নাম।এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেন দুর্গাপুরের জাগিরপাড়া গ্রামের ডাঃ ইদ্রিস আলী সরকারের ছেলে মোঃ খাইরুল ইসলাম। তিনি নিজ খরচে সড়কের পাশে মহান আল্লাহ তায়ালার নামগুলো কম্পিউটারের মাধ্যমে কাগজে লিখে লেমিনেটিং করে গাছে গাছে সাঁটিয়েছেন।জাগিরপাড়া বাজার জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওঃ আ্জজিুল হক বলেন, গাছে বা দেয়ালে অনেক ফ্যাস্টুন দেখেছি এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ এই প্রথম দেখলাম। আল্লাহর নাম সম্বলিত ফ্যাস্টুন গাছে সাঁটানো সত্যিই প্রশংসনীয়।
মোঃ খাইরুল ইসলাম ডিএনবি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, একজন মুসলমান হিসেবে সবসময় আল্লাহর নাম স্মরণ রাখা দরকার। চলার পথে মানুষ যেন আল্লাহর নাম স্মরণ রাখে । ফ্যাস্টুন নজরে পড়লেই যেন মানুষ আল্লাহর জিকির করে অভ্যাসে পরিণত করে তাই এ ব্যবস্থা করা হয়েছে।