৫০ মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

দেশের জেলা, উপজেলা ও সিটি করপোরেশন পর্যায়ে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করছে সরকার। মুজিববর্ষ উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার ৫০টি মডেল মসজিদ-সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বেলা সোয়া ১১টার দিকে গণভবন থেকে একযোগে আধুনিক ও সুসজ্জিত এসব মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে আট হাজার ৭২২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৯ লাখ ৯০ হাজার ৩৬ বর্গমিটার আয়তনের নির্মিতব্য এসব মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের প্রতিটির নির্মাণ ব্যয় অন্তত ১২ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ কোটি টাকা। এসব মসজিদে প্রতিদিন চার লাখ ৪০ হাজার ৪৪০ জন পুরুষ ও ৩১ হাজার ৪০০ জন নারীর নামাজ পড়ার সুবিধা থাকবে। পবিত্র কোরআন হাদিসের জ্ঞান অর্জনের জন্য এসব মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ৩৪ হাজার মানুষ লাইব্রেরিতে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন।

সূত্র জানায়, প্রতিদিন ৬ হাজার ৮০০ জন গবেষকের গবেষণার সুযোগ, ৫৬ হাজার মুসল্লির দ্বীনি দাওয়াতের কার্যক্রম পরিচালনা, প্রতিবছর ১৪ হাজার শিক্ষার্থীর কোরআন হেফজ করার সুবিধা, প্রতিবছর ১৬ হাজার ৮০০ শিশুর প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন এবং ২ হাজার ২৪০ জন অতিথির আবাসনের সুযোগ থাকবে। এছাড়া মসজিদের খতিব ও ইমামদের মাধ্যমে প্রতিবছর সন্ত্রাস ও নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে জনসচেতনামুলক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

যে ৫০টি উপজেলায় মডেল মসজিদ উদ্বোধন করা হয়েছে- ঢাকার সাভার, ফরিদপুরে মধুখালী, সালথায়, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া ও কুলিয়ারচর, মানিকগঞ্জের শিবালয়, রাজবাড়ী সদর, শরীয়তপুর সদর ও গোসাইরহাট, বগুড়ার সারিয়াকান্দি, শেরপুর ও কাহালু, নওগাঁর সাপাহার ও পোরশা, সিরাজগঞ্জ জেলা সদর ও উপজেলা সদর, পাবনার চাটমোহর, রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও পবা, দিনাজপুরের খানসামা ও বিরল, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ ও উপজেলা সদর, রংপুর জেলা সদর, মিঠাপুকুর, উপজেলা সদর, পীরগঞ্জ, বদরগঞ্জ, ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর, নোয়াখালীর সুবর্ণচর, ময়মনসিংহের গফরগাঁও ও তারাকান্দা, চট্টগ্রাম জেলা সদর, লোহাগড়া, মিরসরাই ও সন্দ্বীপ, জামালপুরের ইসলামপুর ও উপজেলা সদর উপজেলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর ও বিজয়নগরে, ভোলা সদর, সিলেটের দক্ষিণ সুরমা, কুমিল্লার দাউদকান্দি, খাগড়াছড়ির পানছড়ি, কুষ্টিয়া সদর, খুলনার জেলা সদর, চাঁদপুরের কচুয়া, ঝালকাঠির রাজাপুর এবং চুয়াডাঙ্গা সদর।




শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গো-বিচরণ বন্ধে মানা হচ্ছেনা কঠোর নির্দেশনা

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

সারাদেশের ন্যায় নেত্রকোনার দুর্গাপুরেও মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল স্কুলের ভবন খালি পড়ে আছে। এতে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে পাঠদানের পরিবেশ। শুধু তাই নয়, এই সুযোগে স্কুলের কক্ষ থেকে শুরু করে বারান্দা এবং মাঠে বেঁধে রাখা হচ্ছে গরু-ছাগল। ভেঙ্গে পড়ছে শিক্ষাঙ্গনের অবকাঠামোগত পরিবেশও।

এ নিয়ে বুধবার এলাকার বিভিন্ন স্কুল ঘুরে দেখা গেছে, করোনা কালিন সময়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায়, স্কুলের কক্ষ, বারান্দা এবং মাঠে বেঁধে রাখা হয়েছে গরু-ছাগল। ইতোমধ্যে সরকারি কঠোর নির্দেশনা থাকায় স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানগন নজরদারিতে নিয়ে আসলেও কিছু কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তা আমলে নিচ্ছেনা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রাথমিক শিক্ষক বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালী ও দলীয় লোকজন প্রতিষ্ঠান না খোলায় বিভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনা ও স্কুলের বারান্দায় বৃষ্টি হলেই গরু-ছাগল বেধে রাখতো। স্কুলের প্রহরীগন নিয়মিত দায়িত্ব পালন না করায় বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে এখনো গো-বিচরণ করতে দেখা যায়।

এ নিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার  বলেন, উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গো-বিচরণ করছে এমন খবর পেয়ে ওই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক কঠোর সতকর্তা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো খোলার আভাস পেয়ে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজও চলছে। স্কুল খোলা হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঠদানে প্রস্তত রয়েছে প্রতিষ্ঠান গুলো।




শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে দুর্গাপুরে ছাত্র ইউনিয়নের মানববন্ধন

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন দুর্গাপুর উপজেলা শাখা। বুধবার দুপুরে প্রেসক্লাব মোড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রকোপে গত বছর মার্চ মাস থেকে সারাদেশের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ আছে। দেশে করোনার প্রকোপে প্রচুর মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে, নতুন কোন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়নি, দারিদ্রাতার হার বেড়েছে। দীর্ঘকাল শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে থাকা শিক্ষার্থীদের বৃহত্তর অংশটিকে মহামারী শেষে আবার শিক্ষা কার্যক্রমে ফেরত আনা সহজসাধ্য হবে না। অথচ শিক্ষক কর্মচারীরা প্রতি মাসেই বেতন তুলে নিচ্ছেন। শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে সরকারের এই টালবাহানা আমরা মেনে নিতে পারি না। অচিরেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবী জানাই। এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সিপিবি উপজেলা শাখার সভাপতি আলকাছ উদ্দিন মীর, সাধারণ সম্পাদক রুপন সরকার রুপক, সিপিবি নেতা শামছুল আলম খান, কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ আলম, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি আলমগীর হোসেন, সহঃসভাপতি হাফিজুল ইসলাম প্রমুখ।

 




আলেম-ওলামাদের মুক্তির দাবি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

আটককৃত সকল আলেম-ওলামাদের মুক্তি দাবি করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

আজ রবিবার (৩০ মে) রাজধানীর পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মো. রেজাউল করিম এ দাবি জানান। বাংলাদেশী পাসপোর্ট থেকে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শব্দ বাদ, আসন্ন জাতীয় বাজেট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়াসহ দেশব্যাপী চলমান জেল জুলুম ও মামলার প্রতিবাদে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণাও করে দলটি।

অবিলম্বে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে আগামী ২ জুন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এবং ৩ জুন দেশব্যাপী প্রতিটি জেলা ও মহানগরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়া হয়। এছাড়া পাসপোর্ট থেকে একসেপ্ট ইজরাইল শব্দ বাদ দেয়ার প্রতিবাদে ও সংযোজনের দাবিতে ৫ই জুন শনিবার বিকেল তিনটায় বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে বিক্ষোভ কর্মসূচিরও ঘোষণা দেয়া হয়। এছাড়া টিকা সংগ্রহ ও বিতরণকে দুর্নীতিমুক্ত করার পাশাপাশি একটি সার্বজনীন কমিটি গঠন করারও দাবি জানান তারা।




দুর্গাপরের গাছে গাছে আল্লাহ নাম

দুর্গাপরের গাছে গাছে আল্লাহ নাম
নেত্রকোণার দুর্গাপুরের গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের জাগিরপাড়া-সংকরপুর আঞ্চলিক সড়কটি সব সময়ই মানুষ চলাচলে ব্যস্ত থাকে। রাস্তার দুই পাশে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ছোট-বড় অসংথ্য গাছ। সেইসব গাছে শোভা পাচ্ছে আল্লাহর জিকির সম্বলিতফ্যাস্টুন। মহান আল্লাহর গুণবাচক নাম সম্বলিত ফ্যাস্টুন পেরেক দিয়ে সাঁটানো হয়েছে এসব গাছে। এমন নজরকাড়া দৃশ্য যে কারো দৃষ্টি আকর্ষণ করবে অনায়াসে। ঝড়, বৃষ্টি থেকে ফ্যাস্টুন গুলোকে বাঁচাতে লেমিনেটিং করে সাঁটানো হয়েছে গাছে। এসব ফ্যাস্টুন গুলোতে লিখা রয়েছে আলহামদু লিল্লাহ, সুবহানাল্লাহ, আল্লাহু আকবার, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, বিসমিল্লাহ সহ আল্লাহ তায়ালার গুণবাচক নাম।এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেন দুর্গাপুরের জাগিরপাড়া গ্রামের ডাঃ ইদ্রিস আলী সরকারের ছেলে মোঃ খাইরুল ইসলাম। তিনি নিজ খরচে সড়কের পাশে মহান আল্লাহ তায়ালার নামগুলো কম্পিউটারের মাধ্যমে কাগজে লিখে লেমিনেটিং করে গাছে গাছে সাঁটিয়েছেন।জাগিরপাড়া বাজার জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওঃ আ্জজিুল হক বলেন, গাছে বা দেয়ালে অনেক ফ্যাস্টুন দেখেছি এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ এই প্রথম দেখলাম। আল্লাহর নাম সম্বলিত ফ্যাস্টুন গাছে সাঁটানো সত্যিই প্রশংসনীয়।
মোঃ খাইরুল ইসলাম ডিএনবি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, একজন মুসলমান হিসেবে সবসময় আল্লাহর নাম স্মরণ রাখা দরকার। চলার পথে মানুষ যেন আল্লাহর নাম স্মরণ রাখে । ফ্যাস্টুন নজরে পড়লেই যেন মানুষ আল্লাহর জিকির করে অভ্যাসে পরিণত করে তাই এ ব্যবস্থা করা হয়েছে।




মডেল মসজিদে নিয়োগ পাবেন কওমি সনদধারী আলেমরাও

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

সারাদেশে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে ৫৬০ টি মডেল মসজিদ। এর মধ্যে প্রথমধাপে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই উদ্বোধন হবে ৫০ টি। এই মসজিদগুলোতে নিয়োগ পাচ্ছেন কওমি মাদ্রাসা পড়ুয়া আলেমরাও।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে পাঠানো জনবল নিয়োগ বিষয়ক এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আপাতত প্রতিটি মসজিদে সম্পূর্ণ অস্থায়ীভাবে ৪ জন জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। একজন পেশ ইমাম, একজন মোয়াজ্জিন ও দুজন খাদেম।

প্রকাশিত সেই বিজ্ঞপ্তিতে পেশ ইমামের যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে, সর্বনিম্ন দ্বিতীয় শ্রেণীর কামিল ডিগ্রী অথবা দ্বিতীয় শ্রেণীর দাওরায়ে হাদিস। এছাড়াও ন্যূনতম পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতার কথা বলা হয়েছে।

No description available.

তবে হাফেজে কোরআন ও ইলমে কিরাতের উপর স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সনদপ্রাপ্ত হাফেজ অগ্রাধিকার পাবেন। আরবিতে কথা ও আরবিতে উপস্থিত খুতবা দিতে পারে এবং ইসলামের উপর গবেষণাধর্মী প্রকাশনা অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে।

মুআজ্জিনের যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে, দ্বিতীয় শ্রেণীতে উত্তীর্ণ আলিম পাশ বা সমমানের কওমি শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন স্বীকৃত বোর্ড বা প্রতিষ্ঠান থেকে সনদধারী। পাশাপাশি নুন্যতম তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বিশেষতঃ হাফেজে কুরআন ও ইলমে কিরাতের উপর স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সনদ প্রাপ্তদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

এছাড়াও এসব মডেল মসজিদের জন্য দু’জন খাদেম নিয়োগ দেবে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। তাদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে দ্বিতীয় শ্রেণীর আলিম পাস অথবা সমমান এর কওমি শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন স্বীকৃত বোর্ড বা প্রতিষ্ঠান থেকে সনদধারী। এছাড়া শারীরিকভাবে সুস্থ-সক্ষম হতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে খাদেম হিসেবে নুন্যতম এক বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।




সিদ্ধিরগঞ্জে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঈদ সামগ্রী বিতরণ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উদ্যোগে গরীব অসহায় ও দরিদ্রদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

আজ বুধবার (১২ মে) থানার আওতাধীন ২নং ওয়ার্ড শাখার আয়োজনে ওয়ার্ড সভাপতি মুহা বাচ্চুর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মুহাম্মদ আক্তার হোসেনের সঞ্চালনায় ২নং ওয়ার্ডের মাঝে এ ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার সংগ্রামী জয়েন্ট সেক্রেটারি ডা. মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্য বলেন, দেশের মানুষ আজ মহামারী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে দিন দিন অসহায় হয়ে পড়ছে। যুবকদের বেকারত্ব বাড়ছে। সমাজের উচ্চ শ্রেণীর মানুষগুলোর ঘরে ঈদের আমেজ থাকলেও নিম্ন শ্রেণীর মানুষগুলোর ঘরে সেমাই, চিনিও জুটছে না। তাই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির পীর সাহেব চরমোনাইয়ের আহবানে পাড়া মহল্লার ঘরে ঘরে ইসলামী আন্দোলন ঈদ সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সংখ্যালগু বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।

আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি মুহা রহমত উল্লাহ, যুব আন্দোলনের সভাপতি মুহাম্মদ মাসুদ রানা, থানা ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মুহা. খালেদ সাইফুল্লাহ সানভীরসহ প্রমুখ।




এটা মাদরাসা নয় বলে করোনা ওয়ার রুম থেকে মুসলিমকর্মীদের বের করে দিলেন বিজেপি এমপি তেজস্বী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের হিন্দুত্ববাদের অন্যতম প্রধান প্রচারক বেঙ্গালুরুর বিজেপি এমপি তেজস্বী সূর্য একটি কভিড ওয়ার রুম থেকে মুসলিমদের বের করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এটা কোনো মাদরাসা বা হজ ভবন নয় যে এখানে মুসলিমদের নিয়োগ করা হবে।

পশ্চিমবঙ্গের এনবি নিউজের বরাতে জানা যায়, দক্ষিণ বেঙ্গালুরুর BBMP covid war Room এ মোট ২০৫ জন কর্মীর মধ্যে মাত্রই ১৭ জন মুসলিম ছিল। তাদেরকে বিতাড়িত করে তাদের বিরুদ্ধে বিজেপির আইটি সেল ব্যবহার করে তাদেরকে হত্যাকারী, সন্ত্রাসবাদী ইত্যাদি ভুয়া অপমানজনক তকমা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে বলেছেন এ এমপি।

কর্মীদের কেন সরানো হলো সে ব্যাপারে BBMP কমিশনার কোনো জবাব দেননি। তবে এই এমপি এর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে, তাতে দেখা যাচ্ছে তিনি আধিকারিকদের নির্দেশ দিচ্ছেন মুসলিম কর্মীদের তাদের মুসলিম পরিচয়ের কারণে যথাশিগ্রই অপসারণ করতে।

এমনকি কারা তাদেরকে নিয়োগ করেছে তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি। তার এই আচরণে সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন তার বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।

উল্লেখ্য, কর্নাটকে করনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সেখানে বিভিন্ন হাসপাতালে বেড এবং অক্সিজেনের সরবরাহে ভারসাম্য বজায় রাখতে ওই কভিড ওয়ার রুম গঠন করে সরকার।




বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ড পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষাবোর্ডের ১৯ তম কেন্দ্রীয় পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ মে) রাজধানীর মাতুয়াইল যাত্রাবাড়ী ঢাকায় এ ফলাফল অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বোর্ডের সদর দপ্তর চরমোনাই থেকে ভার্চূয়ালের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফলাফল প্রকাশ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুরআন শিক্ষা বোর্ডের কেন্দ্রীয় সদস্যগন।

ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে বোর্ডটির চেয়ারম্যান মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, আমার পিতা সৈয়দ ফজলুল করীম রহ. বাংলাদেশে ৬৮ হাজার গ্রামে ৬৮ হাজার মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্ন দেখতেন। সেই স্বপেন বাস্তবায়ন করে চলেছে বাংলাদেশে কুরআন শিক্ষা বোর্ড। করোনা মহামারীর মধ্যেও আমরা যথাসময়ে ফলাফল প্রকাশ করতে পেরে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি।

কুরআন শিক্ষা বোর্ড ১২ টি স্তরে পরীক্ষা নিয়ে থাকে। এগুলো হলো, সানাবিয়া আম্মা কাফিয়া জামাত, সানাবিয়া আম্মা কুদুরী জামাত, মুতাওয়াসসিতাহ মিজান পুরুষ, মুতাওয়াসসিতাহ মিজান মহিলা, ইবতিদাইয়া উর্দু পুরুষ, ইবতিদাইয়া উর্দু মহিলা, ইবতিদাইয়া কেরাতুল কুরআন দ্বিতীয়, ইবতিদাইয়া কেরাতুল কুরআন খাস, হিফজ ৫ পারা, হিফজ ১০ পারা, হিফজ ২০ পারা, হিফজ ৩০ পারা। বোর্ডটির গড় পাসের হার ৯৫.৮৪%।




দুর্গাপুর সরকারি কলেজে উপবৃত্তি প্রাপ্ত থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা

ডিএবনি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেনীর সরকার কর্তৃক ঘোষিত শিক্ষা উপবৃত্তি প্রাপ্তির নির্ধারিত আবেদন ফরম কলেজের অবহেলায় নির্ধারিত সময়ে অনলাইনে পোস্টিং না করায় বৃত্তিপ্রাপ্ত থেকে বঞ্চিত হচ্ছে হাজারো শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এমনটাই জানালেন স্থানীয় শিক্ষার্থীরা।
এ নিয়ে সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলা সদরের সুসঙ্গ সরকারি মহাবিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণীর উপবৃত্তির ফরম নিয়ে কলেজ আঙ্গিনায় শিক্ষার্থীরা ঘোরাফিরা করছে। কলেজ থেকে একটি প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, আগামী ২৬ এপ্রিল বিকাল ২ঘটিকা পর্যন্ত ফরম জমা দেয়া যাবে। অথচ সরকার কর্তৃক ঘোষিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ২৭ এপ্রিল রাত ১২ঘটিকার মধ্যে অনলাইনে শিক্ষার্থীদের সকল আবেদন পোস্টিং করতে হবে। বিশ্বস্ত সুত্রে খবর নিয়ে জানাগেছে, এ পর্যন্ত ঐ কলেজে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে মানবিক শাখায় ৮শত, বিজ্ঞান শাখায় ১৫০ ও বানিজ্য শাখায় ১১০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। উপবৃত্তি প্রাপ্তির জন্য প্রায় ৯শত ৭১ জন ফরম জমা দিলেও এখন পর্যন্ত অনলাইনে একজনের ফরমও পোস্টিং দেয়া হয়নি। এ ছাড়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, উপবৃত্তির টাকা পেতে অনলাইনে ফরম পূরনের জন্য ১০০ টাকা করে চেয়েছে অফিসের লোকজন। কয়েকজন অভিভাবক বলেন, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা দিতে সেখানেও চাঁদা দিতে হবে আমাদের। আমরা দরিদ্র মানুষ টাকা কোথায় যাব। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা যায়, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের উপবৃত্তির ফরম গত ২৭ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত অনলাইনে পোস্টিং দেয়ার সময়সীমা বেঁধে দেয়া ছিলো। কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীদের ফরম অনলাইনে পোস্টিং দিলেও কলেজ কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের ফরম এখনো পোস্টিং দিতে পারেননি। ফরম পোস্টিং নিয়ে কলেজ অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, উপবৃত্তির বিষয়ে ফরম পূরণ করতে কারও নিকট থেকে কোনো টাকা নেয়া হয়নি। সার্ভার সমস্যা থাকার কারণে নির্ধারিত সময়ে শিক্ষার্থীদের ফরম পোস্টিং দেয়া যায়নি তবে তিনি আশাবাদী, অচিরেই এ সমস্যার সমাধন করতে পারবেন।