দুর্গাপুরে মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোটের মানববন্ধন

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোটের আয়োজনে ৮দফা দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে উপজেলা শাখার সহসভাপতি মাওলানা মো. নূরুদ্দিনের সভাপতিত্বে সাংগঠনিক সম্পাদক শিক্ষক সাদ্দাম হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রহমান খান, অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক মো. এমদাদুল হক, শিক্ষক মো. নিজাম উদ্দিন, মাওলানা আলাউদ্দিন, শিক্ষিকা স্বর্না আক্তার প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ১৯৭৮ সাল থেকে আজও পর্যন্ত সারাদেশে ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকগণ বিনা বেতনে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছে। এখনও মাদ্রাসাগুলোকে কোন প্রকার সুযোগ সুবিধার আওতায় আনা হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি শিগগিরই আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে যেনো জাতীয়করন করে।

মানববন্ধন শেষে দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রাজীব উল আহসানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষকরা।




আজ থেকে শুরু হচ্ছে একুশে বইমেলা

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে বাংলা একাডেমি আয়োজিত ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০২২’। এবারের মেলার মূল প্রতিপাদ্য ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’।

বিকেল ৩টায় গণভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে মেলার ভার্চুয়াল উদ্বোধন ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণের মঞ্চে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করবেন একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।

শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর। বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। সভাপতিত্ব করবেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতায় প্রদান করা হবে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২১।

এবার বইমেলা হবে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে ৭ লাখ বর্গফুট জায়গায়। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০২ প্রতিষ্ঠানকে ১৪২ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৩২ প্রতিষ্ঠানকে ৬৩৪ ইউনিট- মোট ৫৩৪ প্রতিষ্ঠানকে ৭৭৬ ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেলায় থাকছে ৩৫টি প্যাভিলিয়ন। এর মধ্যে বাংলা একাডেমির প্যাভিলিয়ন থাকছে তিনটি।

গতকাল বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় বইমেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি। সংবাদ সম্মেলনে মেলার বিস্তারিত তুলে ধরেন একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়- বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে চারটি প্রবেশ ও তিনটি বাইর পথ থাকবে। বিশেষ দিনগুলোয় লেখক, সাংবাদিক, প্রকাশক, বাংলা একাডেমির ফেলো ও রাষ্ট্রীয় সম্মাননাপ্রাপ্ত নাগরিকদের জন্য প্রবেশের বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে। এবার লিটল ম্যাগাজিন চত্বর স্থানান্তরিত হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এম্ফি থিয়েটারের পুব দিকে মেলার মূল প্রাঙ্গণে। সেখানে ১২৭টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বইমেলায় বাংলা একাডেমি ও মেলায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ২৫% কমিশনে বই বিক্রি করবে।

অমর একুশে বইমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের ২০২২ সালে প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্য থেকে গুণগত মান বিচারে সেরা বইয়ের জন্য প্রকাশককে ‘চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার’ ও ২০২২ সালের বইমেলায় প্রকাশিত বইয়ের মধ্য থেকে শৈল্পিক বিচারে সেরা বই প্রকাশের জন্য তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ‘মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার’ দেওয়া হবে। এ ছাড়া ২০২২ সালে প্রকাশিত শিশুতোষ গ্রন্থের মধ্য থেকে গুণগত মান বিচারে সর্বাধিক গ্রন্থের জন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে ‘রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার’ এবং এ বছরের মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে স্টলের নান্দনিক সাজসজ্জায় শ্রেষ্ঠ বিবেচিত প্রতিষ্ঠানকে ‘কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার’ প্রদান করা হবে।




এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ফল প্রকাশের আনুষ্ঠানিকতা ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।

২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। এ পরীক্ষায় ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ড মিলিয়ে প্রায় ১৪ লাখ পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। গতবারের চেয়ে এবার ৩৩ হাজার ৯০১ জন পরীক্ষার্থী বেশি ছিল।

গ্রুপভিত্তিক ৩টি বিষয়ে নম্বর ও সময় কমিয়ে দেড় ঘণ্টার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বহুনির্বাচনি (এমসিকিউ) ও সৃজনশীল (সিকিউ) অংশের পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি ছিল না।

যেভাবে জানবেন ফল: আটটি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষার্থীরা মোবাইলের মাধ্যমে ফল পেতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে আবার স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২১ লিখতে হবে। এরপর তা ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস আকারে পাঠাবে। ফিরতি এসএমএসে ফল জানানো হবে।

মাদরাসা বোর্ডের শিক্ষার্থীদের ফল জানতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে MAD স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২১ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফল পাওয়া যাবে।

এ ছাড়া কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের ফল জানতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে TEC লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২১ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।




১৩১টি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে কোন শিক্ষার্থীই ভর্তি হননি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

 

দেশের ১৩১টি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হননি কোনো শিক্ষার্থী। কলেজের মান নিয়ে প্রশ্ন,বলছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড।

দেশের ১৩১টি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে কোনো শিক্ষার্থীই ভর্তি হননি। আরেকদিকে এসএসসি ও সমমানের ফলাফলে জিপিএ ফাইভ পেয়েও পছন্দের ভালো মানের কলেজে ভর্তির সুযোগ পাননি ১২ হাজার ১৬০ জন শিক্ষার্থী।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড বলছে, প্রথম দফায় না পারলে পরবর্তী দুই দফায় সুযোগ রয়েছে, এমনকি চতুর্থবার বিশেষ সুযোগের চিন্তাও করছে সরকার। আর ঐ ১৩১টি কলেজের মান নিয়ে প্রশ্ন নিয়ে থাকায় সেখানে কেউ ভর্তি হয়নি বলে মনে করে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড।

সারা দেশে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিযোগ্য কলেজ রয়েছে ৪ হাজার ৭৬২টি, ভর্তিযোগ্য আসন রয়েছে ২৫ লাখ ৩০ হাজার ৩০৩টি। অথচ গেল ৮ই জানুয়ারি ভর্তি প্রক্রিয়া শুরুর পর প্রথম দফার ফলাফলে দেখা গেছে, একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী পায়নি ১৩১টি কলেজ।

একাদশে ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সর্বনিম্ন ৫টি কলেজ ও সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই তারা তুলনামূলক ভালো কলেজগুলোতে আবেদন করায় বেঁধেছে বিপত্তি।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় উপ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, প্রত্যেক বিষয়ে ৮০ এর উপরে নাম্বার পেলেও জিপিএ-৫ আবার ৯০ এর উপরে নাম্বার পেলেও জিপিএ-৫।

কেউ যদি নাম্বারটা দেখে বিবেচনা করতো যে সে কোন কলেজে ভর্তি হতে পারবে তাহলে আর কোন সমস্যা হতো না। ঢাকা বোর্দের চারটা কলেজে প্রায় চার হাজারের মত ভর্তি হয়ে গেছে, এরা আমাদের অ্যাপস এর মধ্যে আসে নাই। তাদের আসনগুলো আমাদের অ্যাপসে ফাঁকা দেখাচ্ছে। এরা জিপিএ-৫ পাওয়া,কিন্তু তারা কোন আবেদনই করে নাই।

ভর্তি প্রক্রিয়া শুরুর পর প্রথম দফার ফলাফলে আরও দেখা গেছে, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন ১ লাখ ১৮ হাজার ৯১৫ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ১২ হাজারের ওপর শিক্ষার্থীই জিপিএ ফাইভ পাওয়া।

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা ২০২১-এর ফলাফলে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা বোর্ড ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পাস করেছে ২০ লাখ ৯৬ হাজার ৫৪৬ জন। জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ জন। সেক্ষেত্রে মোট উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর চেয়ে কলেজগুলোতে একাদশ শ্রেণিতে ৪ লাখ ৩৩ হাজার ৭৫৭টি আসন বেশি রয়েছে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় উপ কমিটির সভাপতি বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যেগুলো আসলে কোচিং সেন্টারের মত। এগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না। এ কারণে শিক্ষার্থীদের সেসব কলেজ পছন্দ না। কেউ যদি আবেদনই না করে বা কলেজের নামই না দেয় সেখানে আমাদের কিছু করার নাই।

৭ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্যায়ে অনলাইনে ভর্তির আবেদন করা যাবে, ফল প্রকাশ হবে ১০ ফেব্রুয়ারি। ১৩ই ফেব্রুয়ারি তৃতীয় দফায় আবেদন গ্রহণের পর ১৫ই ফেব্রুয়ারি ফল প্রকাশ হবে। ১৯ থেকে ২৪শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কলেজগুলোতে ভর্তি কার্যক্রম চলবে। দোসরা মার্চ থেকে একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে।




সেলফ আইসোলেশনে শিক্ষামন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সেলফ আইসোলেশনে আছেন । শিক্ষামন্ত্রীর স্বামী বিশিষ্ট আইনজীবী ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ড. তৌফিক নেওয়াজ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় তিনি আইসোলেশনে গেছেন বলে জানা গেছে।

স্বামীর করোনা পজিটিভ ফল আসার পরই দীপু মনি আইসোলেশনে চলে যান বলে রোববার দুপুরে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এমএ খায়ের।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এমএ খায়ের জানান, শিক্ষামন্ত্রীর স্বামীর (ড. তৌফিক নেওয়াজ) কোভিড উপসর্গ ছিল। টেস্ট করানোর পর শনিবার রাতে করোনা পজিটিভ আসে। তিনি এখন নার্সদের তত্ত্বাবধানে আছেন। স্বামীর করোনা শনাক্ত হওয়ার খবরে গতকাল (২৯ জানুয়ারি) রাত থেকে মন্ত্রী আইসোলেশনে আছেন।

এমএ খায়ের জানান, আগামীকাল সোমবার দুপুরে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে শিক্ষামন্ত্রীর। এখন আইসোলেশনে থাকায় সশরীরে অংশ না নিয়ে ভার্চুয়ালি সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত হবেন তিনি।




সরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের ১০ সদস্য গ্রেফতার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক: 

সরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ও প্রশ্নের উত্তর সরবরাহকারী চক্রের ১০ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ।

শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) ধারাবাহিক অভিযানে রাজধানীর মিরপুর, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল ও কাকরাইল এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

শনিবার (২২ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার, বিপিএম (বার)।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- নোমান সিদ্দিকী, মাহমুদুল হাসান আজাদ, আল আমিন রনি, নাহিদ হাসান, শহীদ উল্লাহ, তানজির আহমেদ, মাহবুবা নাসরীন রুপা, রাজু আহমেদ, হাসিবুল হাসান ও রাকিবুল হাসান।

গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত থেকে ইয়ার ডিভাইস ৬টি, মাস্টার কার্ড মোবাইল সিম হোন্ডার ৬টি, ব্যাংকের চেক ৫টি, নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ৭টি, স্মার্ট ফোন ১০টি, বাটন মোবাইল ৬টি, প্রবেশপত্র ১৮টি ও চলমান পরীক্ষার ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র ৩ সেট জব্দ করা হয়।

গ্রেফতার ব্যক্তিদের মধ্যে মাহমুদুল হাসান আজাদ সিজিএ অফিসের সরকারি কর্মকর্তা এবং মাহবুবা নাসরীন রুপা বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান।

ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, প্রতিরক্ষা মহাহিসাব নিরীক্ষকের কার্যালয়ের অধীন ডিফেন্স ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টের ৫৫০টি অডিটর পদে নিয়োগের জন্য শুক্রবার ৭০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন অঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হয়। ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের কাছে তথ্য ছিল, পূর্বে বিভিন্ন সময় গ্রেফতার হওয়া কতিপয় ব্যক্তি ইলেকট্রনিক ডিভাইস, মোবাইল অ্যাপস এবং ব্যক্তি পরিবর্তন করে পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস, উত্তর/সমাধান সরবরাহসহ অসদুপায় অবলম্বন করতে পারে।

তিনি বলেন, এমন তথ্যের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশ কাকরাইলে অবস্থিত নিউ শাহিন হোটেল থেকে অসাধু উপায় অবলম্বনকারী দুইজন পরীক্ষার্থীকে গ্রেফতার করে। তাদের দেয়া তথ্যমতে কাফরুল থানার সেনপাড়া পর্বতা এলাকার একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ডিভাইস, প্রশ্নপত্র এবং উত্তর পত্রের খসড়াসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। ডিবি পুলিশের অপর দল বিজিপ্রেস উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে পরীক্ষার্থী এবং অন্যতম পরিকল্পনাকারী মাহবুবা নাসরীন রুপাকে নগদ টাকা, ডিজিটাল ডিভাইসসহ গ্রেফতার করে। পরে তার দেয়া তথ্যমতে অপর আসামিদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি আরো বলেন, গ্রেফতার ব্যক্তিদের মধ্যে মাহমুদুল হাসান আজাদ, নাহিদ হাসান, আল আমিন সিদ্দিকী ইতোপূর্বেও প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত ২০১৩, ২০১৬ এবং ২০১৯ সালে গ্রেফতার হয়েছিল। গ্রেফতার ব্যক্তিরা অন্যদের যোগসাজশে বিভিন্ন সোশ্যাল অ্যাপস ও ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে পরীক্ষা হল থেকে প্রশ্ন ফাঁস করে। হলের বাইরে ওয়ানস্টপ সমাধান কেন্দ্র বসিয়ে স্মার্ট ওয়াচ, ইয়ার ডিভাইস, মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে উত্তর সরবরাহ করার কাজ করে থাকে। গ্রেফতার ব্যক্তিরা ইতোপূর্বে বিভিন্ন ব্যাংক, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন অধিদফতর, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতর, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ, সিটি করপোরেশন, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন, হিসাব নিরীক্ষক কার্যালয়, জ্বালানি অধিদফতর, সমবায় অধিদফতর, খাদ্য অধিদফতর, সাধারণ বীমা করপোরেশনসহ অন্যান্য সংস্থার প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং উত্তরপত্র সরবরাহ করে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের স্বীকার করেছে।

গ্রেফতার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সূত্র: ডিএমপি নিউজ।




দুর্ঘটনারোধে স্কুল-কলেজে ট্রাফিক রুল পড়ানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

দুর্ঘটনারোধে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ট্রাফিক রুল পড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এছাড়া রাস্তা পারাপারে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সহায়তা করতে স্কুল কর্তৃপক্ষের লোক রাখারও নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়ার কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

বুধবার (১২ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের চারটি প্রকল্প উদ্বোধন করেন।

এগুলো হলো- ঢাকা এয়ারপোর্ট মহাসড়কে শহীদ রমিজ উদ্দীন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ সংলগ্ন পথচারী আন্ডারপাস, সিলেট শহর বাইপাস-গ্যারিসন লিংক ৪ মহাসড়ক, বালুখালী (কক্সবাজার)-ঘুনধুম (বান্দরবান) সীমান্ত সংযোগসড়ক এবং রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর চেংগী নদীর ওপর ৫০০ মিটার দীর্ঘ সেতু।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনারোধে সারাদেশের জাতীয় মহাসড়কে ২০১০ থেকে ২০১২ সালে ২০৯টি ব্ল্যাকস্পট (দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান) চিহ্নিত করা হয়েছে। তাতে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে আরও ২৫২টি দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান চিহ্নিত করা হয়। এরমধ্যে ১৭২টির প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অবশিষ্ট ৮০টি ব্ল্যাকস্পটেও প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর ফলে সড়ক ও মহাসড়কে দুর্ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাবে।

এসময় পথচারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের দেশে একটা প্রবণতা আছে- দুর্ঘটনা হলেই গাড়ির ড্রাইভারকে পেটানো হয়। অনেক সময় গণপিটুনিতে তাকে মেরেই ফেলে। কেন দুর্ঘটনা ঘটলো, কার দোষে ঘটলো- সেটা খুঁজে বের করা দরকার। আর সবার ট্রাফিক রুল সম্পর্কে জ্ঞান থাকা দরকার এবং সেটা মেনে চলা দরকার। মোবাইল ফোন কানে দিয়ে সড়ক পার, রেললাইনে চলা বন্ধ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, হঠাৎ দৌড়ে রাস্তা পার হবেন না। রাস্তা পারাপারেই কিন্তু দুর্ঘটনা ঘটে। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সব জায়গায় ফুটওভার ব্রিজ ও আন্ডারপাস করা আছে। সেগুলোর যথাযথ ব্যবহার করতে হবে। বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীদের বলবো, রাস্তায় চলাচলে ট্রাফিক রুল মানতে হবে। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রাফিক রুলটা শেখাতে হবে।

তিনি বলেন, স্কুলে যাতায়াতে নিরাপদে রাস্তা পারাপারে ট্রাফিক পুলিশ সহায়তা করবে, তবে স্কুল কর্তৃপক্ষেরও লোক রাখতে হবে। অনেক সময় বাচ্চারা অন্যদের মানতে চায় না। স্কুল কর্তৃপক্ষের লোক থাকলে ঠিকই মানবে। প্রত্যেকটা স্কুলকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্দেশ দেবে, যাতে তাদের শিক্ষার্থীদের নিরাপদে রাস্তা পারাপারে উদ্যোগ নেয়।

আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্ঘটনা দুর্ঘটনাই। দোষ কার, সেটা পরে দেখা যাবে। অনেক সময় ধাক্কা লেগে পড়ে যায়, সে হয়তো বেঁচে যেতো। কিন্তু ড্রাইভার গাড়ি থামালে তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলবে এই ভয়ে সে পিষে চলে যায়। একটা মানুষের জীবন চলে যায়। কিছু হলেই ড্রাইভারকে ধরে পেটাবেন, গাড়িতে আগুন দেবেন, এটা ঠিক না। আইন কেউ হাতে তুলে নেবেন না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আছে, তারাই সেটা দেখবে।

এসময় গাড়ির চালক ও হেলপারদের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জানি তারা অনেক সময় ক্লান্ত হয়ে পড়ে, ঝিমিয়ে পড়ে। সে জন্য মহাসড়কের পাশে চালক ও যাত্রীর জন্য বিশ্রামের ব্যবস্থা নিচ্ছি। সুনির্দিষ্ট দূরেত্ব একটি করে বিশ্রামাগার থাকবে। পাশাপাশি চালকদের ট্রেনিংয়েরও ব্যবস্থা করছি। গাড়ি বাড়ছে, চালক বাড়ছে না। সে জন্য সমস্ত উপজেলায় চালকদের ট্রেনিং দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। তাহলে এ সংকট কিছুটা কমবে। ড্রাইভার ক্লান্ত হলে গাড়ি থামাবেন, রেস্ট নেবেন। কিন্তু হেলপার দিয়ে চালানো ঠিক নয়, এটা অন্যায় কাজ।

করোনার সতর্কতা মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ব্যাপক কর্মসূচি ছিল আমরা ভার্চুয়ালি করছি। কারণ করোনা নতুনভাবে হানা দিয়েছে। সকলে নিয়ম মেনে চলবেন। মাস্ক পরবেন। সবকিছু স্বাভাবিক চলুক আমরা চাই। উন্নয়নের নানা কাজ করছি। ফলে আমরা দ্রুত এগিয়ে যাবো। ২২ সালে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প আছে উদ্বোধন করবো আমরা। দেশের মানুষের জন্য গত ১৩ বছরে আমরা নানা অবকাঠামোগত উন্নয়ন করেছি। এটি আমাদের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।




হে দয়াময় প্রভু

হে দয়াময়-

তোমাকে খুঁজেছি পর্বত চূঁড়ায়

খুঁজেছি সমুদ্র গর্ভে,

খুঁজেছি তোমায় দিক-দিগন্তে

নিঃলীম নিলীমা নভে।

বিন্দু থেকে বিশালতায়

খুঁজেছি বারবার,

আঁথার খেকে আলোর মাঝে

দেখি তুমিই নিরাকার।

হে করুনাময়-

তুমি করেছো সৃজন এ নশ্বর ধরনী

প্রেরণ করেছো আমায় করতে তোমার গোলামী

তুমি ব্যতিত উপাস্য নাহি আর,

দু’নয়নে দেখেছি তোমার কুদরতি খেলা

শুধু দেখিনি তোমার অদৃশ্য কায়া

তুমিই এ গুলবাগের অনিন্দ্য রূপকার

প্রভু তুমি নিরাকার।

এইচ এম সাইদুল ইসলাম

সম্পাদক- ডিএনবি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম




শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে চাই না: দীপু মনি

Dnb News ডেস্ক:

বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার পক্ষেই শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, ‘আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে চাই না। বরং আমরা চাই আমাদের প্রতিটি শিক্ষার্থী যেন টিকা নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসে, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।‘

আজ শনিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের আরও অনেক বেশি সজাগ থাকতে হবে। করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। গত দেড় বছরে শিক্ষাখাতে যে ঘাটতি হয়েছে তা পুষিয়ে নিতে সশরীরে ক্লাস করাটা সবচেয়ে বেশি জরুরি। কিন্তু দেখা যাচ্ছে অনেকই স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে যেভাবে চলছে, তাতে শিক্ষাখাতের সমস্যাটাই বেশি হবে। সন্তানদের কথা মাথায় রেখে আমরা প্রত্যেকেই যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি।

তিনি বলেন, সামাজিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।




দুর্গাপুরে জলসিঁড়ি সম্মাননা পেলেন চার গুণীজন

ডিএনবি নিউজডেস্কঃ

প্রিয় নয়, সত্য যেন হই..এ প্রতিপাদ্যে দুর্গাপুরে সংস্কৃতির ধারক জলসিঁড়ি প্রাঙ্গণ ও ‘জলসিঁড়ি সম্মাননা’২০২১ উপলক্ষে সমাজে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মাননা পেলেন চার গুণীজন।

উপজেলার বিরিশিরি ইউনিয়নের গাভীনা গ্রামে শুক্রবার বিকেলে জলসিঁড়ি মিলনায়তনে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অ্যাডভোকেট মানেশ সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন নেত্রকোনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রশান্ত কুমার রায়। উদ্বোধন পরবর্তি চার গুণীজন, লেখক ও অনুবাদক ফারুক মঈনউদ্দীন, লেখক ও সংবাদব্রতী কাজী আলিম উজ-জামান, কবিতাব্রতী
কুশল ভৌমিক কে সাহিত্যের বিভিন্ন ধারায় অবদান এবং সমাজ সেবায় মো. রফিকুল ইসলাম রুহু নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান বিরিশিরি ইউনিয়ন কে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে, লেখক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মতীন্দ্র সরকার, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির পরিচালক গীতিকার সুজন হাজং, অফিসার ইনচার্জ শাহ নুর এ আলম, জেলা পরিষদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শফিক, কবি মনোয়ার সুলতান, কবি রইস মনোরম, কবি তানভির জাহান চৌধুরী, কবি লোকান্ত শাওন, ‘জলসিঁড়ি পাঠকেন্দ্র’র প্রতিষ্ঠাতা দীপক সরকার সহ জেলা ও উপজেলার কবিতা প্রেমী গুণীজন উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন, সমাজ থেকে সকল অবক্ষয় রোধ করতে সাহিত্য চর্চার কোন বিকল্প নাই। একজন সাহিত্য প্রেমী কখনো রক্ত ঝড়াতে পারে না, একজন সাহিত্য প্রেমী কখনো বেদনা দায়ক হতে পারে না। সাহিত্য প্রেমীদের লেখনী সকল ধুম্রজাল দুমরে-মুচরে এক মঞ্চে দাঁড় করিয়ে দিতে পারে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এখন সময় এসেছে ঘুরে দাঁড়ানোর। প্রতিটি বাড়ীতে শিশুদের হাতে অন্যান্য উপহার কিনে দেয়ার পাশাপশি একটি কবিতার বই তুলে দেয়ার আহবান জানানো হয়। আলোচনা শেষে আমন্ত্রীত কবিগন তাদের স্ব-রচিত কবিতা পাঠ সহ  ‘জলসিঁড়ি পাঠকেন্দ্র’র শিল্পীবৃন্দ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।