স্কুল পরিদর্শন হবে হোয়াটস্অ্যাপেই!

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো হোয়াটস্অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে পরিদর্শনের উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের মনিটরিং ও মূল্যায়ন বিভাগের কর্মকর্তারা হোয়াটস্অ্যাপে শিক্ষকদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শ্রেণি কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবেন। এসময় তারা স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য নেবেন। এসময় কতজন শিক্ষক উপস্থিত ও অনুপস্থিত আছেন, শ্রেণিকক্ষের অবস্থা, পাঠদান ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এসব তথ্য জানিয়ে সব বিভাগীয় উপপরিচালককে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

 

চিঠিতে অধিদপ্তর বলছে, শিক্ষার সার্বিক মান ও বিদ্যালয়ে শিক্ষা উপযোগী পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে মনিটরিং ও মূল্যায়ন বিভাগের সব কর্মকর্তাকে সারাদেশে বিদ্যালয় চলার সময়ে হোয়াটস্অ্যাপের মাধ্যমে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে যুক্ত থেকে শ্রেণি কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করার জন্য মহাপরিচালক নির্দেশ দিয়েছেন। অধিদপ্তরের মনিটরিং ও মূল্যায়ন বিভাগের কর্মকর্তারা অনলাইনে হোয়াটস্অ্যাপের মাধ্যমে বিদ্যালয় পরিদর্শন করবেন। এ কার্যক্রমে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের সার্বিক সহযোগিতা এবং তথ্য দিতে হবে।

অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, অনলাইন পরিদর্শন কার্যক্রম হোয়াটস্অ্যাপের মাধ্যমে করা হবে। এর জন্য সারাদেশে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের নিজ নিজ স্মার্ট ফোনে হোয়াটস্অ্যাপ ডাউনলোড করবেন এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে প্রধান শিক্ষক বরাবরে পাঠানো মোবাইল ডাটার মাধ্যমে স্কুল চলাকালীন ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে তথ্য দিতে হবে।

প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের অধিদপ্তরের মনিটরিং ও মূল্যায়ন বিভাগের কর্মরত সব কর্মকর্তার ফোন নম্বর হোয়াটস্অ্যাপে সেভ করে রাখতে হবে। স্কুলের সময় হোয়াটস্অ্যাপে কোন কর্মকর্তা ফোন করলে ফোন রিসিভ করতে হবে। কোন কারণে ফোন রিসিভ করতে না পারলে কলব্যাক করতে হবে। সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আবশ্যিকভাবে কর্মস্থলে পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) সঙ্গে রাখতে হবে।

জানা গেছে, হোয়াটস্অ্যাপে যুক্ত হয়ে কর্মকর্তারা স্কুলের নাম, ক্লাস্টার, ক্লাস্টারের দায়িত্ব প্রাপ্ত সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নাম, প্রধান শিক্ষকের নামসহ স্কুল সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য নেবেন। আর বিদ্যালয়ে মোট পদ, কর্মরত পদ, উপস্থিত শিক্ষকের সংখ্যা, অনুপস্থিত শিক্ষকের সংখ্যা, সংযুক্ত শিক্ষকের সংখ্যা এবং অনুপস্থিতির কারণ জেনে নির্ধারিত ছকে অন্তর্ভুক্ত করবেন। আর স্কুল প্রাঙ্গনের পরিচ্ছন্ন আছে কি না, মনিটরিং বোর্ড আছে কিনা, শিক্ষার্থীদের পোশাক পরিচ্ছন্ন কিনা, শ্রেণিকক্ষ পরিচ্ছন্ন কিনা, শিক্ষকদের কক্ষ পরিচ্ছন্ন কিনা এবং রুটিন অনুযায়ী ক্লাস হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করবেন। আর কতজন শিক্ষা উপস্থিত ও কতজন অনুপস্থিত সে বিষয়ে তথ্য নেবেন।




দুর্গাপুরে স্কুল ছাত্র আপন হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

ডিএনবি নি্‌উজ ডেস্ক:

নেত্রকোণার দুর্গাপুরে স্কুলছাত্র আপন চন্দ্র দাস (১৪) এর হত্যাকারীদের দ্রæত শনাক্ত করে ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের নবারুণ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর আয়োজনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে নবারুণ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অশোক কুমার ভাদুড়ী‘র সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, ইউপি সদস্য ফরিদ মিয়া, আওয়ামীলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন রতন, শিক্ষক হারাধন সরকার, এনায়েত কবীর, আব্দুল কদ্দুস বেলালী, দেবতুষ চন্দ্র দে নান্টু, নিলুফা ইয়াসমিন, জাকিয়া আক্তার, নিহত আপনের বড় ভাই প্রভাত চন্দ্র দাস ও সহপাঠীরা।

বক্তারা বলেন, যারা আপন চন্দ্র দাসকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে তাদের শনাক্ত করে অবিলম্বে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবী জানাই এবং আমরা এই হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।

উল্লেখ্য : আপন গত শুক্রবার (২৬ আগস্ট) বাড়ি থেকে বের হলে নিখোঁজ হয়। সে নবারুণ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। নিখোঁজের ৫দিন পর পার্শ্ববর্তী পাবিয়াখালী গ্রামের ধান ক্ষেত থেকে আপন দাসের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে চন্ডিগড় ইউনিয়নের নাগেরগাতী গ্রামের মৃত ভবেশ চন্দ্র দাসের ছেলে।




শিক্ষা ব্যবস্থা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবান্ধব করা হচ্ছে: শিক্ষমন্ত্রী

dnb news :

শিক্ষা ব্যবস্থা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবান্ধব করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি  বলেছেন, আমরা শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আনছি। শিক্ষাকে আনন্দময় করতে চেষ্টা করছি। শিক্ষা যেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় হয় সেই চেষ্টা করছি। এ ছাড়া শিক্ষা যেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবান্ধব হয় সেই চেষ্টাও করছি।

আজ শুক্রবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু : বাংলাদেশ জাতি-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মহানায়ক’- শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

ডা. দীপু মনি বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থার এই পরিবর্তনে শিক্ষকদের সবচেয়ে বড় ভূমিকা রয়েছে। এ ছাড়া অভিভাবকসহ আমাদের সমাজের সবার ভূমিকা রয়েছে।

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে জানতে হলে তাকে অনুধাবন করতে হবে, হৃদয়ে ধারণ করতে হবে। তিনি যেমন বাংলাদেশের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষাকে, মানুষের স্বপ্নকে নিজের বুকে ধারণ করেছিলেন, সেভাবে সেই স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষা ও সাহসকে আপনার মনে ধারণ করতে হবে। তাহলেই আপনারা তার যোগ্য কর্মী ও নেতা হয়ে উঠতে পারবেন।

দীপু মনি বলেন, এই বাংলাদেশ মুজিবের বাংলাদেশ, এই বাঙালি মুজিবের বাঙালি। কারণ, পৃথিবীর যেখানেই বাঙালিরা গেছেন, সেখানে কেউ বাংলাদেশকে চেনেনি, কিন্তু যখনই বলা হয়েছে শেখ মুজিবের দেশ, তখনই চিনেছে। সে জন্যই তিনি বাংলাদেশ জাতি-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মহানায়ক।

অনুষ্ঠানে শিক্ষকদের মাঝে গবেষণা সম্মাননা স্মারক তুলে দেন মন্ত্রী। অনুষ্ঠানের শুরুতে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শণ করা হয়। এর আগে ডা. দীপু মনি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে ক্যাম্পাসে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত স্মারক মূর‌্যাল ‘জনক জ্যোতির্ময়’ এ শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।




২ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে কোনো ক্ষতি হবে না’

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

সপ্তাহে দুই দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে শিক্ষার্থীদের কোনো ক্ষতি হবে না বরং তারা এনার্জি নিয়ে পড়ালেখা করতে পারবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

আজ মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

ডা. দীপু মনি বলেন, আগামী বছর থেকে সপ্তাহে দুই দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কথা ছিল আমাদের। এখন বৈশ্বিক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট চলছে। এই সময়ে আমরা যেন সাশ্রয় করতে পারি, এ কারণেই এখন থেকে এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

তিনি আরও বলেন, এতে আমদের সপ্তাহে পাঁচ দিন ক্লাস হবে। পাঁচ দিনেই আমাদের যে পরিকল্পনা রয়েছে, সে অনুযায়ী আমরা ক্লাস করাব। এ কারণে আমরা মনে করি না যে শিক্ষার্থীদের কোনো ক্ষতি হবে। বরং অন্যান্য কর্মজীবী সপ্তাহে দুই দিন ছুটি পান, তাদের মতো আমাদের শিক্ষকরাও ছুটি পাবেন। কারণ শিক্ষকরা অন্যান্যদের তুলনায় বছরে ৫১ দিন বেশি কাজ করেন। সেই শিক্ষকেরা যদি সপ্তাহে দুই দিন ছুটি পান, সেক্ষেত্রে শিক্ষকরা নিজের একটু কাজ করতে পারবেন। একটু বিশ্রাম নিয়ে বাকি পাঁচ দিন তারা আরও উদ্যোমী হবেন। আরও অনেক বেশি এনার্জি নিয়ে কাজ করবেন বলে আমরা মনে করি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা, বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য এ কে এম মাহাবুব, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র তোজাম্মেল হক টুটুল প্রমুখ।




শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি বাড়তে পারে: শিক্ষামন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক: 

সরকার সাশ্রয়ের স্বার্থে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাপ্তাহিক ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে ভাবছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

আজ শুক্রবার (১২ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ পলিটেকনিক শিক্ষক সমিতি আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা জানান তিনি।

ডা. দীপু মনি বলেন, করোনায় শিক্ষা ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে আমরা গবেষণা করছি। এর পাশাপাশি সাশ্রয়ের জন্য  শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাপ্তাহিক ছুটি বাড়ানো যায় কি না ভাবছি। তবে এখনই এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানাতে পারবো না।




শোক দিবসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ভবন ও বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।

আজ বুধবার সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে এ সংক্রান্ত নির্দেশনার কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, জাতীয় পতাকা বিধি অনুসরণে পতাকার রং হবে গাঢ় সবুজ এবং ১০:৬ দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের আয়তাকার ক্ষেত্রের গাঢ় সবুজ রঙের মাঝখানে লাল বৃত্ত থাকবে। বৃত্তের ব্যাসার্ধ হবে পতাকার দৈর্ঘ্যের এক-পঞ্চমাংশ। ভবনে উত্তোলনের জন্য পতাকার তিন ধরনের মাপ হচ্ছে দশ ফুট বাই ছয় ফুট, পাঁচ ফুট বাই তিন ফুট এবং আড়াই ফুট বাই দেড় ফুট।

আরও বলা হয়, সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সময় প্রথমে পতাকা দণ্ডের সর্বোচ্চ চূড়া পর্যন্ত উত্তোলন করতে হবে। এরপর নামিয়ে অর্ধনমিত অবস্থায় বাঁধতে হবে। দিনশেষে পতাকা নামানোর সময় আবার দণ্ডের সর্বোচ্চ চূড়া পর্যন্ত উঠাতে হবে, তারপর ধীরে ধীরে নামাতে হবে।




নেত্রকোনার শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ-শিক্ষার্থী দুর্গাপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ও বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা-২০২২ উপলক্ষে নেত্রকোনা জেলায় শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ হিসেবে দুর্গাপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ফারুক আহমেদ তালুকদার নির্বাচিত হয়েছেন। রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসকের মিলনায়তনে সম্মাননা স্মারক ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।

জেলা শিক্ষা অফিসারের আয়োজনে শ্রেষ্ঠদের মাঝে সম্মাননা প্রদান করেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ।

এ সময় অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মনির হোসেন, জেলা শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল গফুরসহ গণ্যমান্য ব্যক্তি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

জেলার ৬০টি কলেজ প্রধানের মধ্য থেকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে জেলা প্রশাসন ও জেলা শিক্ষা বিভাগের গঠিত বাছাই কমিটি তার শিক্ষাগত যোগ্যতা, শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা, বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান ও নিষ্ঠা, সৃজনশীল প্রশ্নপত্র তৈরির দক্ষতা, সহযোগিতার প্রবণতা, চারিত্রিক দৃঢ়তা ও সততা, শৃঙ্খলাবোধ, পেশাগত গবেষণামূলক সৃজনশীল প্রকাশনাসহ নানাবিধ বিষয় বিবেচনা করে ফারুক আহমেদ তালুকদারকে জেলার শ্রেষ্ঠ কলেজ প্রধান হিসেবে নির্বাচিত করেন। এছাড়া জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী হিসেবে ওই কলেজ থেকে নির্বাচিত হয়েছে পুর্নতা সরকার।

ফারুক আহমেদ তালুকদার ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি অধ্যক্ষ পদে ওই কলেজে যোগদান করেন। ইতোপুর্বে তিনি দুইবার উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন।

এ অর্জনে স্থানীয় সংসদ সদস্য মানু মজুমদার, উপজেলা প্রশাসন, দুর্গাপুর প্রেস ক্লাব, সর্বস্তরের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অভিনন্দন জানিয়েছেন।




দুর্গাপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব-উল-আহসান পেলেন শুদ্ধাচার পুরস্কার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন। শুদ্ধাচার চর্চার মাধ্যমে দেশ বিনির্মাণে অসামান্য অবদান রাখায় গ্রেড ৫ থেকে গ্রেড ১০ ক্যাটাগরিতে মাঠ পর্যায়ে জেলার অন্য উপজেলা গুলোর মধ্যে কর্মক্ষেত্রে পেশাগত দক্ষতা, সততার নিদর্শন, সেবা গ্রহীতাদের সঙ্গে আচরণ, সময় ও নেতৃত্ব দানের ক্ষমতা ও সৃজনশীল কর্মকান্ড বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন সূচকে অগ্রগতি অর্জনের স্বীকৃতি হিসেবে শ্রেষ্ঠ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক কাজী মো. আব্দুর রহমান এর হাত থেকে তিনি এ শ্রেষ্ঠত্বের সনদ ও ক্রেস্ট গ্রহণ করেন। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।

ইউএনও রাজীব-উল-আহসান এর পুরস্কার প্রাপ্তিতে উপজেলার সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, সাংস্কৃতিক কর্মী, সাংবাদিক, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সহ সর্বস্তরের মানুষ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

পুরস্কার প্রাপ্ত নিয়ে ইউএনও রাজীব বলেন, আমি প্রথমেই মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। নিষ্ঠার সাথে যে কোন ভালো কাজ করলে তার ফল অবশ্যই পাওয়া যায়। ভালো কাজ করার পর যদি স্বীকৃতি পাই তখন কাজের অনুপ্রেরণা ও দায়িত্ববোধ আরও বেড়ে যায়। সকলেই আমার জন্য দোয়া করবেন, আমি যেন আমার দায়িত্ববোধ থেকে অর্পিত সকল কাজ গুলো সম্পন্ন করতে পারি।




জেলার শ্রেষ্ঠ কলেজ প্রধান অধ্যক্ষ ফারুক আহমেদ তালুকদার ও শ্রেষ্ঠ কলেজ শিক্ষার্থী পূর্নতা সরকার নির্বাচিত

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২২ উপলক্ষে জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ কলেজ প্রধান অধ্যক্ষ ফারুক আহমেদ তালুকদার ও শ্রেষ্ঠ কলেজ শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছেন পূর্নতা সরকার। দুজনই দুর্গাপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। জেলার ৬০টি কলেজ থেকে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়। এ উপলক্ষে শুক্রবার সকালে জেলা শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল গফুর এর স্বাক্ষরিত পত্রালোকের মাধ্যমে স্থানীয় সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন অধ্যক্ষ ফারুক আহমেদ তালুকদার।

জেলা প্রশাসন ও শিক্ষা বিভাগের গঠিত বাছাই কমিটি শিক্ষাগত যোগত্যা, শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা, বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান ও নিষ্ঠা, সৃজনশীল প্রশ্নপত্র তৈরীর দক্ষতা, সহযোগিতার প্রবণতা, চারিত্রিক দৃঢ়তা ও সততা, শৃঙ্খলাবোধ, পেশাগত গবেষণামূলক সৃজনশীল প্রকাশনাসহ নানাবিধ বিষয় বিবেচনা করে অধ্যক্ষ ফারুক আহমেদ তালুকদার কে জেলার শ্রেষ্ঠ কলেজ প্রধান ও পূর্নতা সরকার কে শ্রেষ্ঠ কলেজ শিক্ষার্থী নির্বাচিত করা হয়।

ফারুক আহমেদ তালুকদার ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারী অধ্যক্ষ পদে ওই কলেজে যোগদানের পর দুইবার উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি দুর্গাপুর উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের শিক্ষাবিদ আলহাজ্ব মাফিজ উদ্দিন তালুকদার এর ছোট ছেলে। শিক্ষা প্রসারের সাথে থেকে জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তিনি এএমটি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আলহাজ্ব মাফিজ উদ্দিন তালুকদার কলেজ, মাদরাসা, মাধ্যমিক স্কুল, ফাইন আর্টস একাডেমি, প্রতিবন্ধি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে শিক্ষা বিকাশে কাজ করে যাচ্ছেন। তার এই সফলতা প্রাপ্তিতে উপজেলার শিক্ষার্থী ও সুশিল সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ, দুর্গাপুর প্রেসক্লাব, উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি অভিনন্দন জানিয়েছেন।

এ নিয়ে ফারুক আহমেদ তালুকদার বলেন, প্রথমেই মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া জানাই, আমাকে এ সম্মান দেয়ার জন্য। পরিশ্রম কোন দিনই বৃথা যায় না। জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে জেলা পর্যায়ে আমাকে শ্রেষ্ঠ কলেজ প্রধান হিসেবে মনোনীত করায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন সহ শিক্ষা বিভাগ কে ধন্যবাদ জানাই। আগামী ২৯ মে বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিযোগীতা, সকলেই আমার জন্য দোয়া করবেন।




‘শিক্ষাঙ্গনে ধর্ম পালনে বাধার সম্মুখীন হলে এর দায় সরকারকে নিতে হবে’

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

শিক্ষার্থীরা শিক্ষাঙ্গনে ধর্মীয় রীতি-নীতি মানার ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হলে দায়ভার সরকারকে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ।

সোমবার (১১ এপ্রিল) নগরীর আইসিএবি মিলনায়তনে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে আয়োজিত ‘মহিমান্বিত মাহে রমজানের তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম সন্তানরা শিক্ষাঙ্গনে পর্দাসহ অন্যান্য ধর্মীয় বিধান পালনে বাধাগ্রস্ত হওয়া সরকারের ব্যর্থতার বহিঃপ্রকাশ। মুসলিম নারী শিক্ষার্থীরা তাদের ধর্মীয় পোশাক পরে শিক্ষাঙ্গনে যাবে, এটা তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা। এই স্বাধীনতা হরণের পায়তারা করা হলে তা বরদাশত করা হবে না।

তিনি বলেন, রমজানকে কেন্দ্র করে একশ্রেণির কালোবাজারি ও অসাধু ব্যবসায়ী আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য ও পণ্যসামগ্রীর কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির মাধ্যমে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে।

নগর সভাপতি নাঈম বিন জামশেদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ সিরাজীর সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ।

শরিফুল ইসলাম রিয়াদ বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি,দেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করতে একটি চিহ্নিত গোষ্ঠী নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তারা দেশে একটি অস্বাভাবিক পরিবেশ তৈরী করতে চায়। দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে তা রুখে দিতে প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে নাঈম জামশেদ বলেন, আল্লাহ তায়ালা মাহে রমজানকে তাকওয়া অর্জনের অনুশীলন এবং ইবাদত-বন্দেগি ও আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের জন্য ভরা বসন্ত বানিয়েছেন। এ মাস শুধু একটি মাসই নয়; বরং গোটা বছরের জন্য এটা তাপকেন্দ্র। এ মাস থেকেই মুমিন গোটা বছরের তাকওয়া-তাহারাতের সঞ্চয় গ্রহণ করে। পুরো বছরের ঈমানি প্রস্তুতি গ্রহণের এটাই মোক্ষম সময়।

ইফতার মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন- ইসলামী ছাত্র আন্দোলন নগর উত্তরের তথ্য গবেষণা ও প্রচার সম্পাদক মুহাম্মাদ আনাস আবদুল্লাহ, অর্থ ও কল্যাণ সম্পাদক সুহাইল তানভীর, প্রকাশনা ও দপ্তর সম্পাদক মিযান বিন নাযির,কওমী মাদরাসা সম্পাদক মাহদী হাসান তাছনিম, স্কুল ও কলেজ সম্পাদক নুরুন্নবী ইসলাম, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক মুহাম্মাদ হাবিবুল্লাহ মেসবাহ, শুরা সদস্য নাঈমুল ইসলাম, এইচ এম মাহমুদ হাসান, আরিফুল ইসলাম ও ইমরান হুসাইনসহ নগরের আওতাধীন থানা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শাখার নেতৃবৃন্দ।