দুর্গাপুরে বই উৎসব পালিত

 

দুর্গাপুর(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়ার মাধ্যমে জাতীয় বই উৎসব পালিত হয়েছে। সোমবার সকাল থেকেই প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মাদরাসা পর্যায়ে বই বিতরণের মাধ্যমে এ উৎসব পালিত হয়।

বই বিতরণ পুর্ব আলোচনায় ইউএনও মো. আরিফুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, বর্তমান সরকারের বড় একটা চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিশ্বের কাছে মডেল হিসেবে তুলে ধরা। সে লক্ষে বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিতে পেরে আমরাও আনন্দিত। সরকারের এই চ্যালেঞ্জ কে সামনে রেখে সকলকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান।

এ সময় অন্যদের মধ্যে অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. বজলুর রহমান আনছারী, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. ফজলুর রহমান, সহকারী শিক্ষা অফিসার শীতেষ পাল, এসএমসি সভাপতি মোহন লাল বিশ^াস, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন, প্রধান শিক্ষক শামছুন্নাহার উপস্থিত ছিলেন।




‘বই উৎসব’ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে ‘বই উৎসব’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ সময় প্রথম থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) বিভাগের সচিব সোলেমান খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলামসহ আরও অনেকে উপস্থিত করেন।




দুর্গাপুরে সাহিত্য সমাজের সভাপতি সারোয়ার, সাধারন সম্পাদক জীবন রংদী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সাহিত্য সমাজের দ্বি-বার্ষিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় পৌর শহরের পথ পাঠাগারের অস্থায়ী কার্যালয়ে কমিটি গঠনের লক্ষ্যে এক মতবিনিময় সভা হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে নাজমুল হুদা সারোয়ারকে সভাপতি ও জীবন কুমার নন্দীকে সাধারণ সম্পাদক করে ৯ সদস্য বিশিষ্ট কার্য্য নির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সহ সভাপতি মঞ্জুরুল হক সৌরভ, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জুয়েল রানা, অর্থ সম্পাদক বাচ্চু মিয়া, সাহিত্য সম্পাদক গোপাল চক্রবর্তী, নির্বাহী সদস্য সজীম শাইন, মো. জালাল রনি, নির্মল রবিদাস।

প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নাজমুল হুদা সারোযার বলেন, দুর্গাপুর সাহিত্য সমাজ ২০০৬ সাল থেকে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। আমাদের সংগঠন সমাজের মানুষকে সচেতন করতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সাহিত্য চর্চা এবং লেখালেখি করার প্রেরণা যোগায়।




বেফাকের ১১তম জাতীয় কাউন্সিল শুরু

dnb news :

আজ শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় শুরু হলো কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকের ১১তম জাতীয় কাউন্সিল। ইতিমধ্যে সারাদেশের মজলিসে উমুমির সাড়ে চার হাজার সদস্য উপস্থিত হয়েছেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করছেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল্লামা মাহমুদুল হাসান। পরিচালনায় আছেন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাহফুজুল হক।

আল্লামা মাহমুদুল হাসানের উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে কাউন্সিল শুরু হয়েছে। উদ্বোধনপূর্ব বক্তব্য রেখেছেন কাউন্সিল বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা সাজিদুর রহমান। সভায় বেফাকের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল্লামা মাহমুদুল হাসানের লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শুনাচ্ছেন মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভি।

কাউন্সিলে উপস্থিত হয়েছেন, মধুপুরের পীর মাওলানা আব্দুল হামিদ, ঢালকানগর মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা জাফর আহমদ, মুফতি মনসুরুল হক, মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন রাজু, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, মাওলানা আনাস মাদানী, মাওলানা মনীরুজ্জামানসহ দেশের শীর্ষ আলেম ও মাদরাসার মুহতামিমগণ প্রমুখ।

জানা গেছে- সবার কাছে সরাসরি আমন্ত্রণপত্র, ভয়েস রেকর্ড ও মোবাইল এসএমএস পাঠানো হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল্লামা মাহমুদুল হাসান ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাহফুজুল হকের বরাতে এই দাওয়াত করা হয়েছে। দায়িত্বশীলরা মনে করছেন-উৎসবমুখর পরিবেশে, মুরব্বিদের প্রতি শ্রদ্ধা ভক্তি বজায় রেখেই জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।

সারাদেশ থেকেই বৈরি আবহাওয়া সত্বেও ব্যাপক উপস্থিতি চোখে পড়েছে। অনেকেই মাঝ রাতে বা ভোরে এসে পৌঁছেছেন। তাদের জন্য ইস্তেকবাল ও আপ্যায়নের সুব্যবস্থা ছিলো। যথেষ্ঠ সৃঙ্খলার সঙ্গে সভার কাজ চলছে। মেহমানদের জন্য সব রকম আয়োজন রয়েছে।




বিশেষ অবদানের জন্য স্বর্ণপদক পেলেন মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী

dnb news:

শিক্ষা, সাহিত্য ও সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য স্বর্ণপদকে ভূষিত হলেন মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী। তিনি বাংলাদেশ কওমি শিক্ষা বোর্ডের (বেফাক) এর প্রধান পরিচালক। লেখালেখি, সাংবাদিকতা ও গবেষণায় তার বিশেষ অবদান রয়েছে।

চট্রগ্রামের বায়তুশ শরফ আনজুমনে ইত্তেহাদ বাংলাদেশ এই পুরস্কার দিয়েছে।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামে অবস্থিত কেন্দ্রীয় বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে স্বর্ণপদকে ভূষিত করা হয়। এ ছাড়াও সমাজ সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য আরও তিনজনকে দেওয়া হয় এ সম্মাননা।

মাওলানা নদভী ছাড়াও স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত বাকি তিন ব্যক্তি হলেন, আরবি সাহিত্য চর্চায় বিশেষ অবদানের জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস, বরেণ্য শিল্পোদ্যোক্তা হিসেবে জাতীয় অর্থনীতিতে বিশেষ অবদানের জন্য এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম এবং মানবতাবাদী চিকিৎসক হিসেবে সকল শ্রেণির রোগীর কল্যাণ ও সমাজ সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সহসভাপতি ডা. তৈয়ব সিকদার।

সভাপতিত্ব করেন বায়তুশ শরফের পীর ও সংগঠনের সভাপতি শায়খ আল্লামা মুহাম্মদ আবদুল হাই নদভী। এতে উপস্থিত ছিলেন বায়তুশ শরফ মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষার্থী, সংগঠনের সদস্যসহ গুণীজনরা।




‘হাফেজ রেজাউল হত্যাকারীদের শাস্তি ও পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে’

dnb news desk :

বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও ঢাকা মহানগর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেছেন, হাফেজ রেজাউল করীম একজন পথচারী ও নিরীহ নিরপরাধ মাদ্রাসাছাত্র। সে কোন দলীয় রাজনীতির সাথে যুক্ত নয়। তারপরেও তার উপরে যারা হামলা করে হত্যা করেছে তারা মানবতার শত্রু। শান্তি সমাবেশে নিজেরা নিজেরা সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার ঘটনারও নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। ঘৃণিত এই হত্যাকাণ্ডের চারদিন পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার তো দূরের কথা, সরকারের সরাষ্ট্রমন্ত্রী কিংবা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কারো থেকে এখন পর্যন্ত দোষীদের গ্রেফতার এবং বিচারের কোন আশ্বাসবাণীও শোনা যায়নি। অবিলম্বে রেজাউল করীম হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। শহীদ রেজাউল করীমের পরিবারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনসমূহের শান্তি সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় নিরীহ মাদ্রাসাছাত্র হাফেজ রেজাউল করিমের হত্যার বিচার ও যথাযথ ক্ষতিপূরণের দাবিতে বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র আন্দোলন কর্তৃক আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মঙ্গলবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি হাফেজ জাকির বিল্লাহর সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খেলাফত আন্দোলনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোফাচ্ছির হোসাইন, ঢাকা মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী আবুল হাসান কাসেমী, ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীনুর আলম, ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগর সভাপতি হাফেজ আব্দুর রহমান, জামিয়া নূরিয়া শাখা সভাপতি মেরাজুল ইসলাম, সহসভাপতি আলী হোসাইন প্রমূখ।




অসচ্ছল মুসলিমদের প্রশিক্ষণ দেবে আইডিবি, মিলবে ভাতা

ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক-বাংলাদেশ ইসলামিক সলিডারিটি এডুকেশন ওয়াক্ফ আইডিবি-বিআইএসইডব্লিউ ভোকেশনাল ট্রেনিং দেবে। এ জন্য দরখাস্ত আহ্বান করেছে।

আইডিবি ছয় বছর ধরে ভোকেশনাল স্কলারশিপের অধীনে বিভিন্ন ট্রেডে ছয় মাস মেয়াদি কারিগরি শিক্ষা প্রদান করে আসছে। আর্থিক কারণে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাওয়া দরিদ্র মুসলিম যুব সমাজকে দক্ষ ও পেশাদার পর্যায়ে উন্নীত করাই এ প্রোগ্রামের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।

এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৭৪১ জন এ স্কলারশিপের আওতায় ট্রেনিং করে দেশ-বিদেশে ২৪৮টির বেশি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন।

সুযোগ-সুবিধা

ছয় মাস মেয়াদি (৭২০ ঘণ্টা) প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার সুযোগ;

থাকা-খাওয়াসহ সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে ট্রেনিং;

প্রশিক্ষণ চলাকালে মাসিক ৫০০ টাকা হাতখরচ;

চাকরি উপযোগী সিলেবাস ও অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ;

চাকরি পেতে সর্বাত্মক সহযোগিতা;

যেসব কোর্সে ট্রেনিং

ইলেকট্রিক্যাল ওয়ার্কস;

ইলেকট্রনিকস;

রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং;

ওয়েল্ডিং অ্যান্ড ফেব্রিকেশন;

মেশিনিস্ট;

আবেদনকারীর জন্য নির্দেশাবলি
শুধু সুবিধাবঞ্চিত মুসলিম প্রার্থীদের জন্য;

একজন প্রার্থী একবারই আবেদন করতে পারবেন;

জন্মতারিখ সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে;

যেসব কাগজপত্র দরকার
জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসির ফল, ফল প্রকাশের বছর ও রোল নম্বর;

ফরম পূরণে আবেদনকারীকে মুঠোফোন নম্বর দিতে হবে ও সেটি যাচাইয়ে দ্বিতীয়বার কনফার্ম মুঠোফোন নম্বরের ঘরে লিখতে হবে;

পাসপোর্ট সাইজের ছবি আপলোড করতে হবে;

প্রবেশপত্র ছাড়া পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না;

ফরম সাবমিটের পর প্রবেশপত্র প্রিন্ট করতে হবে;

আবেদনের যোগ্যতা
সর্বনিম্ন অষ্টম শ্রেণি ও সর্বোচ্চ এসএসসি পাস হতে হবে;

১৮ থেকে ২৬ বছর বয়সীরা আবেদন করতে পারবেন;

বর্তমানে পড়াশোনার সঙ্গে যুক্ত প্রার্থীরা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন না (যাঁরা অনার্স/মাস্টার্স/ডিপ্লোমা শেষ করেছেন অথবা অধ্যয়নরত তাঁদের IsDB-BISEW IT Scholarship Programme-এর এক বছর মেয়াদি ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে IT Professional হওয়ার সুযোগ আছে);




দুর্গাপুরে বিজ্ঞান বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি :

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিজ্ঞান চর্চা, বিজ্ঞানকে জনপ্রিয় করা ও তাদের মানসিক বিকাশ অব্যাহত রাখার জন্য জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের অর্থায়নে, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এসোসিয়েশন ফর ম্যাক্সিমাম রোরাল এডভাসমেন্ট (AMRA) এর আয়োজনে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার নানা আয়োজনে এ প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়।

উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের মাতৃ জাগরণী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে প্রধান শিক্ষক পল্টন হাজং এর সঞ্চালনায় (AMRA) এর নির্বাহী পরিচালক ফাতিমাতুন নাদিরা এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিতি ছিলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. বজলুর রহমান আনসারী, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন প্রমুখ।




দুর্গাপুরের ইলহাম পেলো জাতীয় পুরস্কার

dnb news :

জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৩ উপলক্ষে কেরাত প্রতিযোগিতায় দুর্গাপুর উপজেলার আহমাদ ইলহাম পেলো জাতীয় পর্যায়ে তৃতীয় পুরস্কার। সে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার দ্বীনি আলিম মাদরাসার ৮ম শ্রেনির ছাত্র।

সোমবার (১৯ জুন) বিকেলে ঢাকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সষ্টিটিউট মিলনায়তনে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৩ উপলক্ষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি। এসময় অন্যদের মধ্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাউশি‘র মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন, মাউশি‘র সচিব সোলেমান খান সহ শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও মাউশি‘র সিনিয়র কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।

ইলহাম এর আগে একই বিষয়ের প্রতিযোগিতায় উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। এবার জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার আহমাদ ইলহাম।




দুর্গাপুরে ব্রিজের বেহাল অবস্থা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ২৩ গ্রামের মানুষের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :
নেত্রকোনার দুর্গাপুরস্থ বিরিশিরি ইউনিয়নের হারিয়াউন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন খালে সেতুটি প্রায় ৯ বছর ধরে মুখ থুবরে পরে আছে। এতে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহতে হচ্ছে দু’টি ইউনিয়নের অন্তত ২৩ গ্রামের জনগনের। শুষ্ক মৌসুমে এ পথে সেতুর স্থানটি ধান ক্ষেত দিয়ে ঘুরে যাওয়া গেলেও বর্ষা মৌসুমে যাতায়াতকারীদের ৪ কিলোমিটার পথ ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে। এছাড়াও নারী-পুরুষ,বয়স্ক মানুষ ও রোগীসহ স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এ নিয়ে জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় বাসিন্দারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার দাবী জানালেও এত দিনেও সেতুটি সংস্কার বা পুনঃনির্মাণের ব্যবস্থা করেনি কর্তৃপক্ষ। স্থানীয়রা জানান, ২০১৪ সালে বন্যার পানির তোড়ে আশপাশের ২৩ গ্রামের যাতায়াতের একমাত্র সেতুটি ধসে পড়ে। এরপর ২০২০ সালের বন্যায় সড়ক থেকে বিছিন্ন হয়ে যায় সেতুটি। ফলে গ্রামীণ জনপদের লোকজন ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে ঐ ধসে পড়া সেতুটি বছরের পর বছর পার হলেও নির্মাণের এখনও কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে জানান স্থানীয়রা। এতে দক্ষিন

জাগিরপাড়া,নাওদ্বারা,জাঙ্গালিয়াকান্দা,চরপাড়া,ভাদুয়া,মুন্সিপাড়া,হাতিমারাকান্দা,নন্দেরছটি,পূর্বনন্দেরছটি,বন্ধউসান,গৌরাখালী,কান্দাপাড়া,কৃষ্ণপুর,আটলা,নিশ্চিন্তপুর,বারইপাড়া,হারিয়াউন্দ সহ প্রায় ২৩টি গ্রামের মানুষের ভোগান্তি চরম আকারে ধারণ করেছে। প্রায় ৯ বছর ধরে এভাবে পড়ে থাকা সেতুটি কবে নির্মিত হবে এমন আশঙ্কা ভুক্তভোগীদের। এ নিয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,দীর্ঘদিনের ধসে পড়া সেতুটি সংস্কার বা পূণঃনিম্মান না হওয়ায় জনমনে দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ। দীর্ঘদিন ধরেই এভাবেই সেতুটি মুখ থুবরে পরে থাকায় গাঁওকান্দিয়া ও বিরিশিরি এই দুই ইউনিয়নের লোকজনদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অপরদিকে ধসে পড়া সেতু ও রাস্তা-ঘাটের অবস্থা খারাপ থাকার কারণে যানবাহন ঢুকতে না পারায় এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্য অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে।

জাগিরপাড়া বাজার জামে মসজিদের ইমাম মাওঃ আজিজুল হক বলেন,’ছেলেমেয়েদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। একটা অসুস্থ রোগীকে চিকিৎসার জন্য শহরে নেওয়া খুবই কষ্টকর হয়ে পড়ে। তাই দ্রুত সেতু নির্মাণ করা হলে আর ভোগান্তি থাকবে না’। কৃষক মোঃ হযরত আলী বলেন,এখানে সেতু না থাকায় তাঁদের মতো কৃষকদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তাঁরা কৃষিপণ্য শহরে সহজে নিয়ে যেতে পারেন না। কৃষিপণ্য গ্রামেই বিক্রি করতে হচ্ছে তাতে ভালো মূল্যও মিলছে না। ফলে দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসী সেতুটি পুননির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছে। শিক্ষার্থী মোমেন আহাম্মেদ বলেন, ‘এ সড়কে প্রতিদিন কয়েকশত ছাত্রছাত্রী স্কুল-কলেজে যাতায়াত করে। শুষ্ক মৌসুমে বেশি অসুবিধা না হলেও বর্ষা মৌসমে এদিক দিয়ে আমরা কলেজে যেতে পারি না। অন্য সড়কে অনেক ঘুরে যেতে বাড়তি ভাড়া গুনতে হয়। সঠিক সময়ে কলেজে যেতে হলে সময়ের অনেক আগেই বাড়ি থেকে বের হতে হয়’। স্থানীয় ইউপি সদস্য হাতেম আলী বলেন,সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় এলাকার মানুষ দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। বিষয়টি আমরা কর্তৃপক্ষকে অনেকবার জানিয়েছি এরপরও কোন সুরাহা মেলেনি।
বিরিশিরি ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রুহু বলেন,ওই সেতুর ওপর দিয়ে শহরে যেতে মানুষ চলাচল করত। সেতু ভাঙা থাকার কারণে এলাকার লোকজন দুর্ভোগে পড়েছে। আমি অনেকবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে জানিয়েছি ইঞ্জিনিয়ার বলেছেন ব্রিজ সেংশন হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ খোয়াজুর রহমান প্রতিবেদককে বলেন,এই সেতুটি আমাদের না। সেতুটি(এলজিইডি)করেনি। তিনি আরও বলেন,ওই এলাকার সড়কটিই এলজিইডি’র আইডিভুক্ত না তাহলে সেখানে সেতু নির্মাণ কিভাবে করবে। তবে ওই সড়কটি (এলজিইডি) আইডি ভুক্ত করার প্রস্তাবনা দিয়েছি এবং উল্টে থাকা ব্রীজটির জায়গায় একটি তিন ব্যাল্ড কালভাট তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে।