দুর্গাপুরে সাবেক এমপি জালাল উদ্দিন তালুকদারের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

         নেত্রকোনার দুর্গাপুরে তিন বারের নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য, উপজেলা আওয়ামীলীগ‘র সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম জালাল উদ্দিন তালুকদার এর ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। রোববার দিনব্যপি শোক র‌্যালি, কবর জিয়ারত, দোয়া, মিলাদ মাহফিল, আলোচনা সভা ও গরীবদের মাঝে খাদ্য বিতরণের মাধ্যমে এ মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়

         এ উপলক্ষে স্থানীয় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সর্বস্তরের অংশগ্রহনে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল শেষে মরহুম জালাল উদ্দিন তালুকদারের সুযোগ্য কন্যা ও দুর্গাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান জান্নাতুল ফেরদৌস আরা ঝুমা তালুকদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় আ‘লীগ এর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য রেমন্ড আরেং। বিশেষ অতিথি হিসেব বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ এর জাতীয় পরিষদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট অসিত সরকার সজল, জেলা আ‘লীগের যুগ্ন সম্পাদক ও নেত্রকোনা পৌরসভা মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম খান, জেলা যুবলীগের আহবায়ক মাসুদ খান জনি, কলমাকান্দা উপজেলা আ‘লীগের সভাপতি চন্দন বিশ্বাস। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পৌর আ‘লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র মাওলানা আব্দুস সালাম, উপজেলা আ‘লীগের সহ:সভাপতি উসমান গণি তালুকদার, শ.ম জয়নাল আবেদীন, এডভোকেট মজিবুর রহমান, আলী আসগর, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ, আ‘লীগ নেতা আব্দুল্লাহ হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন তালুকদার, ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাদেকুল ইসলাম সহ আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীগন।

           বক্তারা বলেন, উত্তর ময়মনসিংহের সিংহ পুরুষ, কিংবদন্তী আওয়ামীলীগ নেতা, তিন তিন বারের এমপি মো. জালাল উদ্দিন তালুকদারকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি আমাদের মাঝে না থাকায় আমরা এখন রাজনৈতিক ভাবে অবিভাবকহীন হয়ে পড়েছি। এই হত্যা মামলার সুষ্ঠ তদন্ত নিয়ে অনেক সময় নষ্ট হয়েছে। আপোষহীন এই নেতার প্রকৃত হত্যা রহস্যের জট খুলে, অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করে দ্রæত বিচারের আওতায় আনতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি।

        উল্লেখ্য: ২০১২ সালের এই দিনে সাবেক এমপি জালাল উদ্দিন তালুকদার নিজ বাসভবনে গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হয়েছেন। এই হত্যা মামলার প্রকৃত রহস্য এখনো উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ প্রশাসন।




সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে ছাতকে সদস্য প্রার্থী আব্দুস শহিদ মুহিত ও মোঃ সায়েদ মিয়া

জুনেদ আহমেদ, সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের নির্বাচনে ছাতক উপজেলা থেকে এখন পর্যন্ত দুজন প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। আব্দুস শহিদ মুহিত ও মোঃ সায়েদ মিয়া এ ২জন প্রার্থী নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পত্রও ক্রয় করেছেন বলে জানা গেছে। আব্দুস শহিদ মুহিত হচ্ছেন আওয়ামীলীগ নেতা ও ১২ নং ওয়ার্ডের সাবেক জেলা পরিষদ সদসস্য। অপর প্রার্থী হচ্ছেন কালারুকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অদুদ আলমের বড় ভাই, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিক্ষানুরাগী মোঃ সায়েদ মিয়া।
তিনি উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের কালারুকা গ্রামের হাজী আকবর আলীর পুত্র ও শহরের হাজী আকবর আলী মার্কেটের স্বত্তাধিকারী। মোঃ সায়েদ মিয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে ছাতক উপজেলা থেকে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্ধীতা করার আগ্রহ ব্যক্ত করে উপজেলার ১৩ ইউনিয়ন ও পৌরসভার জনপ্রতিনিধিদের কাছে ভোট প্রার্থনা করেছন।
বুধবার তিনি ছৈলা-আফজলাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে জনপ্রতিনিধিদের সাথে মত বিনিময় করেছেন। পাশাপাশি বন্ধু-বান্ধব, মুরব্বিয়ান সহ উপজেলার সকল নাগরিকবৃন্দের কাছে  সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেছেন।
সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুস শহিদ মুহিত ১৪ অক্টোবর তার মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। এ সংক্রান্ত বিষয় তার নিজ নামীয় ফেইসবুক আইডিতে উল্লেখ করেছেন। প্রার্থীতা ঘোষণা দিয়ে উপজেলার ১৩ ইউনিয়ন ও পৌরসভার জনপ্রতিনিধিদের কাছে ভোট প্রার্থনা সহ সহযোগিতা ও দোয়া প্রার্থনা করেন।



নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না: মির্জা ফখরুল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে ভোট হলে বিএনপি বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। এবার আমরা অপরিবর্তনীয় সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, এ সরকারের অধীনে আমরা কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো না। একটি নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না।

বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও শহরের কালীবাড়িতে নিজের বাসভবনে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, মুক্ত সাংবাদিকতা এ সরকার অনেক আগেই ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা বিভিন্ন আইন দিয়ে সাংবাদিকদের সত্য কথা বলা-লিখায় বাধা তৈরি করেছে। সাংবাদিক হত্যা, নির্যাতন এসব এখন অহরহ হচ্ছে। যার কারণে কেউ সাহস করে আর সত্য লিখছে না।

তিনি বলেন, আমরা পাকিস্তান আমলে আর্থিক ও জীবন যাত্রার দিক থেকে অনেক ভালো ছিলাম। তারপরেও পাকিস্তান সরকার যেহেতু আমার অধিকার ও সম্পদহরণ করতো সে কারণে আমরা যুদ্ধ করেছি। কিন্তু এখন তার থেকেও খারাপ অবস্থায় আছি। এখন দেশে এক লাখ ৯২ হাজার কোটিপতি রয়েছে। গরিব মানুষের অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে। ৪২ শতাংশ মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে রয়েছে।




সমাজ ও রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ইসলামের বিকল্প নেই: চরমোনাই পীর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, মুসলিম উম্মাহ এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে ঢাবিতে ছাত্র-ছাত্রীদের নামাজের জায়গা ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। ইসলামী শিক্ষাকে ঐচ্ছিক করে দিয়ে ইসলামী শিক্ষা ধ্বংসের পাঁয়তারা চলছে। অপরদিকে ডারউইনের মতবাদ শিক্ষা সূচিতে পাঠ্য হিসেবে অর্ন্তভূক্ত করে জাতিকে নাস্তিক বানানোর চক্রান্ত চলছে।

মঙ্গলবার বিকেলে খাগড়াছড়ি জেলা অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলা শাখা আয়োজিত ওলামা ও সুধী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চরমোনাই পীর বলেন, ওলামায়ে কেরাম জাতির শ্রেষ্ঠ ও জাগ্রত বিবেক, নায়েবে নবী। সমাজ ও রাষ্ট্রে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শ দীনে হক তথা কুরআন সুন্নাহর আইন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আলেমদেরকেই নেতৃত্ব দিতে হবে।

তিনি বলেন, রাষ্ট্র্রের অবস্থা অত্যন্ত করুন। সুশাসনের অভাবে মানুষ অসহায় জীবন যাপন করে। অধিকার বঞ্চিত মানুষ অধিকার ফিরে পেতে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করছে। অত্যাচারিত অসহায় ও মজলুম মানুষের আহাজারিতে আকাশ বাতাস প্রকম্পিত হচ্ছে। এ প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তন করে একটি ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ওলামায়ে কেরামগণকেই নেতৃত্ব দিতে হবে। সমাজের নেতৃত্ব দেয়ার দায়িত্ব আলেমদের।

‘আজ যেখানে আলেম সমাজ তথা আল্লাহভীরু জনপ্রতিনিধি নেতৃত্ব দিচ্ছেন সেখানকার মানুষ অনেক ভাল আছেন। আজ যদি রাষ্ট্রের প্রতিটি সেক্টরে আলেম সমাজের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা হয়, তখন সব শ্রেণি ও পেশার মানুষ সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। ওলামায়ে কেরামগণ পিছিয়ে থাকায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন দুর্নীতিবাজ নেতানেত্রীগণ। ফলে যা হবার তাই হচ্ছে। এ উপলব্ধি যত তাড়াতাড়ি আলেমগণ করতে পারবেন, ততই সমাজ, রাষ্ট্র ও জনগণের কল্যাণ হবে। জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি আলেম সমাজের অবদান রাখতে হবে।’




সাজেদা চৌধুরীর আসন শূন্য ঘোষণা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

সদ্য প্রয়াত সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর নির্বাচনি আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সাজেদা চৌধুরীর নির্বাচনি এলাকা ফরিদপুর-২ আসনকে শূন্য ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সংসদ সচিবালয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য ও একাদশ জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ১১ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করায় একাদশ জাতীয় সংসদের-২১২ ও ফরিদপুর-২ আসনটি ওই দিন (১১ সেপ্টেম্বর) শূন্য হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা।




২ লাখ ইভিএম কিনতে প্রস্তাব উঠছে

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বর্তমানে ইসির হাতে দেড় লাখ ইভিএম রয়েছে। যার ফলে আরও প্রায় ২ লাখ ইভিএম প্রয়োজন।

আজ মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) কমিশনের বৈঠকে এ- সংক্রান্ত একটি প্রকল্প প্রস্তাবের খসড়া তোলা হবে। কমিশনের মতামত নিয়ে প্রস্তাবটি চূড়ান্ত করার পর তা অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বেলা ১১টায় নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।

জানা গেছে, ইভিএমের নতুন প্রকল্প প্রস্তাব বৈঠকের আলোচ্য সূচিতে রাখা হয়েছে। আলোচনায় প্রস্তাবটি অনুমোদন হলে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে প্রকল্প অনুমোদনের জন্য।

জাতীয় নির্বাচন ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। যার ফলে প্রকল্প দ্রুত পাস না হলে ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার সময় আর থাকবে না নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটির হাতে।




দুর্গাপুরে সিপিবি‘র প্রতিবাদ সমাবেশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় সিপিবি‘র সমাবেশে হামলার প্রতিবাদে সিপিবি দুর্গাপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে দুর্গাপুর প্রেসক্লাব মোরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সিপিবি দুর্গাপুর উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুপন কুমার সরকারের সঞ্চালনায় সিপিবি সভাপতি আলকাছ উদ্দিন মীরের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সিপিবি’র কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য ডা. দিবালোক সিংহ। সিপিবি নেতা নজরুল ইসলাম, মোরশেদ আলম, রহম আলী, শামছুল আলম খান প্রমূখ।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, কলমাকান্দায় সিপিবি’র শান্তিপুর্ন সমাবেশে ছাত্রলীগ ও পুলিশের হামলার মধ্য দিয়ে সরকারের প্রকৃত স্বৈরাচারি রুপ প্রকাশ পেয়েছে। বর্তমান সরকার রাজনৈতিক ভাবে এতোটাই দেউলিয়া যে, বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ মিছিল সমাবেশ দেখেও আতংকিত হয়ে উঠে। মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে, কিন্তু বাস্তবে দমন-পীড়ন করেই তাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে চায়। অতীতের মতো সরকার, গণমানুষের দাবি-দাওয়ার আন্দোলন দমনে ভীতি ছড়িয়ে গদি রক্ষায় দমন-পীড়ন ও সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। অবিলম্বে হামলার সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানানো হয়।




আমরা যা চেয়েছি ভারত সব দিয়েছে: কাদের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

আমরা যা চেয়েছি ভারত সব দিয়েছে বলে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

আজ বুধবার (০৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপ’-এ একথা বলেন তিনি।

সংগঠনের সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সংলাপের উপস্থাপনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা যা যা চেয়েছি ভারত সব দিয়েছে। শেখ হাসিনা তিস্তার কথা বলতে ভুলে যাননি। পশ্চিমবঙ্গ থেকে কিছুটা আপত্তি আছে। আশা করি, সেটিও হয়ে যাবে। বিএনপির তো না পাওয়ার হতাশা। আমাদের না পাওয়ার হতাশা নেই। আপনারা ভারতের সঙ্গে দেওয়াল তুলেছেন, আমরা সেই দেওয়াল ভেঙে দিয়েছি। কোন দেশের ছিটমহল এতো শান্তিপূর্ণভাবে হয়নি। আপনারা তো ভুলেই যান আসল কথা বলতে। আমরা ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই। বন্ধুত্ব থাকলে যে সমস্যা সেগুলো সমাধান হবে।

দলের দায়িত্বে থাকার একটা বয়সের সীমারেখা থাকা উচিত কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মন্ত্রীর কোন বয়স নেই। মুহিত সাহেব অর্থমন্ত্রী ছিলেন ৮০ বছর পার হওয়া পর্যন্ত। রাজনৈতিক দলের নেতা হিসেবে তিনি মন্ত্রী ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, রাজনীতির কোন সময়সীমা থাকা উচিত না, যতক্ষণ তিনি সক্ষম থাকবেন। সে যদি মনে করে আমি অবসরে যেতে চাই সে ছেড়ে দিতে পারে। তার অভিমত প্রকাশের পর দল যদি মনে করে তাকে অবসর দিতে পারে। তাকে সম্মানজনক উপদেষ্টা পদ দেওয়া যেতে পারে। শেষ বয়সে যদি রাজনীতি করতে না পারেন তাহলে তো মৃত্যুর আগেই মরে গেল। সাধারণ সম্পাদক বিষয়ে নেত্রীই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন, তিনি যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটিই কার্যকর হবে।




প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জয়শঙ্করের সাক্ষাৎ; জ্বালানি-রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনসহ নানা বিষয়ে আলোচনা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ভারত সফরের প্রথম দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বৈঠক করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। পরে হযরত নিজাম উদ্দিন আউলিয়ার দরগাহ পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এস জয়শঙ্করের মধ্যে অনুষ্ঠিত আধাঘণ্টার মতো স্থায়ী এ বৈঠক নিয়ে সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় প্রেস বিফ্রিং করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাসুদ বিন মোমেন।

বলেন, আঞ্চলিক যোগাযোগ বৃদ্ধির গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে কীভাবে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আনা হতে পারে সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। এছাড়া যেসব বিষয় ঝুলে আছে, সেসবে গুরুত্ব দিতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

মিয়ানমারের সাম্প্রতিক সহিংসতা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সমস্যা হবে কিনা আলোচনায় এ বিষয়ও ছিল বলে উল্লেখ করেন মাসুদ বিন মোমেন। আরও বলেন, ভারতও লক্ষ্য করছে, এখানে কিছুটা অশান্তি বিরাজ করছে। যা কাম্য নয়। সংকট মোকাবেলায় একসঙ্গে কীভাবে কাজ করতে পারি এ বিষয়েও আলোকপাত করা হয়। পানির বিষয়েও আলোচনা হয়।

ভারতের উদ্বৃত্ত জ্বালানি থাকলে দুই দেশের সুবিধার ভিত্তিতে কীভাবে তা আমদানি করা যায় সে বিষয়েও চলে আলোচনা, জানিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব।

আগামীকাল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা এবং একান্ত বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাতে এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব। প্রতিবেশী দুই দেশের প্রধানের ওই বৈঠকে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক বা চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে, বৈঠকের পর এক টুইট বার্তায় এস জয়শঙ্কর লিখেছেন, আজ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পেরে আমি আনন্দিত। আমাদের নেতৃত্বস্তরের যোগাযোগের উষ্ণতা ও পুনরাবৃত্তি ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর অংশীদারিত্বের একটি সাক্ষ্য।

এর আগে এদিন বাংলাদেশ সময় সোমবার দুপুর সোয়া বারোটায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিশেষ বিমানটি নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে পৌঁছায়। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান ভারতের রেল ও টেক্সটাইল প্রতিমন্ত্রী দর্শনা বিক্রম আর বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান। দুপুর পৌনে একটায় প্রধানমন্ত্রী পৌঁছান হোটেল আইটিসি মোরিয়ায়। এরপর বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এস জয়শঙ্কেরর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সোমবার সকাল সোয়া দশটায় বিশেষ বিমানে নয়া দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানান মন্ত্রিপরিষদের সিনিয়র সদস্যরা।




নারায়ণগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: নিহত ১

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নারায়ণগঞ্জে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে গুলিতে শাওন (২০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। তবে তিনি পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন কিনা জানা যায়নি। একই ঘটনায় আরও শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।

নিহত শাওন যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার বাবার নাম শাহেদ আলী।

জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শোভাযাত্রা বের করতে গেলে বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। বিপরীতে রাবার বুলেট, টিয়ার শেল ও গুলি ছোড়ে পুলিশ। তবে সংঘর্ষ এখনও চলমান আছে।

এদিকে, নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক নাজমুল হোসেন জানান, মরদেহ হাসপাতালে রয়েছে।