‘নির্বাচন কমিশন যা বলবে, সরকার তা মানতে বাধ্য’

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নির্বাচন কমিশন (ইসি) যা বলবে সরকার তা মানতে বাধ্য বলে দাবি করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ দাবি করেন তিনি।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ‘ইসি যা বলবে সাংবিধানিকভাবে সরকার তা মানতে বাধ্য। এ জন্য আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি আমলে নিয়ে সব জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) চিঠি দেওয়া হয়েছে। দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে আচরণবিধি মানতে ইসি নির্দেশ দিয়েছে জানিয়ে মো. আলমগীর বলেন, জেলা পরিষদ ও গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে সংসদ সদস্যসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের আচরণবিধি মানতে বাধ্য করতে ক্ষমতাসীন দলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গাইবান্ধা জেলা পরিষদ নির্বাচনে যে অনিয়ম হয়েছে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা ডিসিকে নির্দেশনা দিয়েছেন।’

আইন প্রণেতারাই তো আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন, তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘এই তো বললাম, আমরা ডিসি ও এসপিদের বলেছি লঙ্ঘনকারী যেই হোন না কেন, তার বিরুদ্ধে তারা ব্যবস্থা নেবেন। দুই নম্বর হলো- আমরা যেটা বলেছি, নির্বাচন কর্মকর্তাদের জন্যও আইন রয়েছে। দায়িত্ব পালনকালে কাউকে আচরণবিধি লঙ্ঘন করতে দেখলে আমরা আমাদের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’




দুর্গাপুরে আদিবাসী নেতার ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ

আল নোমান শান্ত, স্টাফ রিপোর্টার

নেত্রকোণার দুর্গাপুরে কুল্লাগড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বঙ্গবন্ধু পরিষদের উপজেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও আদিবাসী নেতা সুব্রত সাংমা‘র ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। (০১অক্টোবর) শনিবার দুপুরে পৌর শহরের উৎরাইল বাজারে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস) ও এলাকাবাসী।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মিঃ লিংকন, ঢাকা মহানগর (বাগাছাস) সভাপতি প্যাট্রিক চিসিম, ময়মনসিংহ মহানগর বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস) এর সাবেক সভাপতি বান্টি সাংমা, সাইমন তজু , বিশাথা রাংসা, সানি রাংসা, নারী নেত্রী পিয়াসা রাংসা প্রমখ।

উল্লেখ্য,২৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে কুল্লাগড়া ইউনিয়নের রাশীমনি বাজারে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও আদিবাসী নেতা সুব্রত সাংমার ওপর সন্ত্রাসী হামলা করা হয়। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এখনোও হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত চিহ্নিত ১৫ জনকে উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ১৫-১৬জনকে আসামী করে দুর্গাপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আল নোমান শান্ত




দুর্গাপুরে এমপি জালাল তালুকদারের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে তিন বারের নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য, উপজেলা আওয়ামীলীগ‘র সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম জালাল উদ্দিন তালুকদার এর ১০ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকেলে কবর জিয়ারত শেষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ উপলক্ষে মরহুমের বাসভবন চত্বরে জালাল উদ্দিন তালুকদার হত্যার প্রতিবাদ পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় শাহ কুতুব উদ্দিন তালুকদার রুয়েল এর সভাপতিত্বে মরহুমের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আ‘লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হারুন অর রশীদ, পৌর যুবলীগ সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম, আ‘লীগ নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান মো. শাহীনুর আলম সাজু, মো. আলতাবুর রহমান কাজল, আ‘লীগ নেতা মো. জামাল উদ্দিন, ডা: আব্দুল হান্নান, রহিত মেম্বার, আনোয়র হোসেন বুলবুল প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, উত্তর ময়মনসিংহের সিংহ পুরুষ, কিংবদন্তী আওয়ামীলীগ নেতা, তিন তিন বারের এমপি মো. জালাল উদ্দিন তালুকদারকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি আমাদের মাঝে না থাকায় আমরা এখন রাজনৈতিক অবিভাবকহীন হয়ে পড়েছি। আপোষহীন এই নেতার প্রকৃত হত্যা রহস্যের জট খুলে, অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করে দ্রæত বিচারের আওতায় আনতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি এবং আগামী ২৫ অক্টোবরের উপজেলা আ‘লীগের সম্মেলনে মরহুমের পুত্র শাহ্ কুতুব উদ্দিন তালুকদার কে দলীয় সভাপতি করার জন্য রাজনৈতিক উচ্চ পর্যায়ে দাবী রাখেন।

উল্লেখ্য: ২০১২ সালের এই দিনে সাবেক এমপি জালাল উদ্দিন তালুকদার নিজ বাসভবনে গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হয়েছেন। এই হত্যা মামলার প্রকৃত রহস্য এখনো উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ প্রশাসন।



দুর্গাপুরে সাবেক এমপি জালাল উদ্দিন তালুকদারের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

         নেত্রকোনার দুর্গাপুরে তিন বারের নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য, উপজেলা আওয়ামীলীগ‘র সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম জালাল উদ্দিন তালুকদার এর ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। রোববার দিনব্যপি শোক র‌্যালি, কবর জিয়ারত, দোয়া, মিলাদ মাহফিল, আলোচনা সভা ও গরীবদের মাঝে খাদ্য বিতরণের মাধ্যমে এ মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়

         এ উপলক্ষে স্থানীয় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সর্বস্তরের অংশগ্রহনে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল শেষে মরহুম জালাল উদ্দিন তালুকদারের সুযোগ্য কন্যা ও দুর্গাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান জান্নাতুল ফেরদৌস আরা ঝুমা তালুকদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় আ‘লীগ এর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য রেমন্ড আরেং। বিশেষ অতিথি হিসেব বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ এর জাতীয় পরিষদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট অসিত সরকার সজল, জেলা আ‘লীগের যুগ্ন সম্পাদক ও নেত্রকোনা পৌরসভা মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম খান, জেলা যুবলীগের আহবায়ক মাসুদ খান জনি, কলমাকান্দা উপজেলা আ‘লীগের সভাপতি চন্দন বিশ্বাস। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পৌর আ‘লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র মাওলানা আব্দুস সালাম, উপজেলা আ‘লীগের সহ:সভাপতি উসমান গণি তালুকদার, শ.ম জয়নাল আবেদীন, এডভোকেট মজিবুর রহমান, আলী আসগর, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ, আ‘লীগ নেতা আব্দুল্লাহ হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন তালুকদার, ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাদেকুল ইসলাম সহ আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীগন।

           বক্তারা বলেন, উত্তর ময়মনসিংহের সিংহ পুরুষ, কিংবদন্তী আওয়ামীলীগ নেতা, তিন তিন বারের এমপি মো. জালাল উদ্দিন তালুকদারকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি আমাদের মাঝে না থাকায় আমরা এখন রাজনৈতিক ভাবে অবিভাবকহীন হয়ে পড়েছি। এই হত্যা মামলার সুষ্ঠ তদন্ত নিয়ে অনেক সময় নষ্ট হয়েছে। আপোষহীন এই নেতার প্রকৃত হত্যা রহস্যের জট খুলে, অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করে দ্রæত বিচারের আওতায় আনতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি।

        উল্লেখ্য: ২০১২ সালের এই দিনে সাবেক এমপি জালাল উদ্দিন তালুকদার নিজ বাসভবনে গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হয়েছেন। এই হত্যা মামলার প্রকৃত রহস্য এখনো উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ প্রশাসন।




সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে ছাতকে সদস্য প্রার্থী আব্দুস শহিদ মুহিত ও মোঃ সায়েদ মিয়া

জুনেদ আহমেদ, সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের নির্বাচনে ছাতক উপজেলা থেকে এখন পর্যন্ত দুজন প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। আব্দুস শহিদ মুহিত ও মোঃ সায়েদ মিয়া এ ২জন প্রার্থী নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পত্রও ক্রয় করেছেন বলে জানা গেছে। আব্দুস শহিদ মুহিত হচ্ছেন আওয়ামীলীগ নেতা ও ১২ নং ওয়ার্ডের সাবেক জেলা পরিষদ সদসস্য। অপর প্রার্থী হচ্ছেন কালারুকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অদুদ আলমের বড় ভাই, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিক্ষানুরাগী মোঃ সায়েদ মিয়া।
তিনি উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের কালারুকা গ্রামের হাজী আকবর আলীর পুত্র ও শহরের হাজী আকবর আলী মার্কেটের স্বত্তাধিকারী। মোঃ সায়েদ মিয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে ছাতক উপজেলা থেকে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্ধীতা করার আগ্রহ ব্যক্ত করে উপজেলার ১৩ ইউনিয়ন ও পৌরসভার জনপ্রতিনিধিদের কাছে ভোট প্রার্থনা করেছন।
বুধবার তিনি ছৈলা-আফজলাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে জনপ্রতিনিধিদের সাথে মত বিনিময় করেছেন। পাশাপাশি বন্ধু-বান্ধব, মুরব্বিয়ান সহ উপজেলার সকল নাগরিকবৃন্দের কাছে  সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেছেন।
সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুস শহিদ মুহিত ১৪ অক্টোবর তার মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। এ সংক্রান্ত বিষয় তার নিজ নামীয় ফেইসবুক আইডিতে উল্লেখ করেছেন। প্রার্থীতা ঘোষণা দিয়ে উপজেলার ১৩ ইউনিয়ন ও পৌরসভার জনপ্রতিনিধিদের কাছে ভোট প্রার্থনা সহ সহযোগিতা ও দোয়া প্রার্থনা করেন।



নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না: মির্জা ফখরুল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে ভোট হলে বিএনপি বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। এবার আমরা অপরিবর্তনীয় সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, এ সরকারের অধীনে আমরা কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো না। একটি নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না।

বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও শহরের কালীবাড়িতে নিজের বাসভবনে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, মুক্ত সাংবাদিকতা এ সরকার অনেক আগেই ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা বিভিন্ন আইন দিয়ে সাংবাদিকদের সত্য কথা বলা-লিখায় বাধা তৈরি করেছে। সাংবাদিক হত্যা, নির্যাতন এসব এখন অহরহ হচ্ছে। যার কারণে কেউ সাহস করে আর সত্য লিখছে না।

তিনি বলেন, আমরা পাকিস্তান আমলে আর্থিক ও জীবন যাত্রার দিক থেকে অনেক ভালো ছিলাম। তারপরেও পাকিস্তান সরকার যেহেতু আমার অধিকার ও সম্পদহরণ করতো সে কারণে আমরা যুদ্ধ করেছি। কিন্তু এখন তার থেকেও খারাপ অবস্থায় আছি। এখন দেশে এক লাখ ৯২ হাজার কোটিপতি রয়েছে। গরিব মানুষের অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে। ৪২ শতাংশ মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে রয়েছে।




সমাজ ও রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ইসলামের বিকল্প নেই: চরমোনাই পীর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, মুসলিম উম্মাহ এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে ঢাবিতে ছাত্র-ছাত্রীদের নামাজের জায়গা ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। ইসলামী শিক্ষাকে ঐচ্ছিক করে দিয়ে ইসলামী শিক্ষা ধ্বংসের পাঁয়তারা চলছে। অপরদিকে ডারউইনের মতবাদ শিক্ষা সূচিতে পাঠ্য হিসেবে অর্ন্তভূক্ত করে জাতিকে নাস্তিক বানানোর চক্রান্ত চলছে।

মঙ্গলবার বিকেলে খাগড়াছড়ি জেলা অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলা শাখা আয়োজিত ওলামা ও সুধী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চরমোনাই পীর বলেন, ওলামায়ে কেরাম জাতির শ্রেষ্ঠ ও জাগ্রত বিবেক, নায়েবে নবী। সমাজ ও রাষ্ট্রে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শ দীনে হক তথা কুরআন সুন্নাহর আইন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আলেমদেরকেই নেতৃত্ব দিতে হবে।

তিনি বলেন, রাষ্ট্র্রের অবস্থা অত্যন্ত করুন। সুশাসনের অভাবে মানুষ অসহায় জীবন যাপন করে। অধিকার বঞ্চিত মানুষ অধিকার ফিরে পেতে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করছে। অত্যাচারিত অসহায় ও মজলুম মানুষের আহাজারিতে আকাশ বাতাস প্রকম্পিত হচ্ছে। এ প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তন করে একটি ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ওলামায়ে কেরামগণকেই নেতৃত্ব দিতে হবে। সমাজের নেতৃত্ব দেয়ার দায়িত্ব আলেমদের।

‘আজ যেখানে আলেম সমাজ তথা আল্লাহভীরু জনপ্রতিনিধি নেতৃত্ব দিচ্ছেন সেখানকার মানুষ অনেক ভাল আছেন। আজ যদি রাষ্ট্রের প্রতিটি সেক্টরে আলেম সমাজের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা হয়, তখন সব শ্রেণি ও পেশার মানুষ সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। ওলামায়ে কেরামগণ পিছিয়ে থাকায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন দুর্নীতিবাজ নেতানেত্রীগণ। ফলে যা হবার তাই হচ্ছে। এ উপলব্ধি যত তাড়াতাড়ি আলেমগণ করতে পারবেন, ততই সমাজ, রাষ্ট্র ও জনগণের কল্যাণ হবে। জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি আলেম সমাজের অবদান রাখতে হবে।’




সাজেদা চৌধুরীর আসন শূন্য ঘোষণা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

সদ্য প্রয়াত সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর নির্বাচনি আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সাজেদা চৌধুরীর নির্বাচনি এলাকা ফরিদপুর-২ আসনকে শূন্য ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সংসদ সচিবালয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য ও একাদশ জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ১১ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করায় একাদশ জাতীয় সংসদের-২১২ ও ফরিদপুর-২ আসনটি ওই দিন (১১ সেপ্টেম্বর) শূন্য হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা।




২ লাখ ইভিএম কিনতে প্রস্তাব উঠছে

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বর্তমানে ইসির হাতে দেড় লাখ ইভিএম রয়েছে। যার ফলে আরও প্রায় ২ লাখ ইভিএম প্রয়োজন।

আজ মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) কমিশনের বৈঠকে এ- সংক্রান্ত একটি প্রকল্প প্রস্তাবের খসড়া তোলা হবে। কমিশনের মতামত নিয়ে প্রস্তাবটি চূড়ান্ত করার পর তা অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বেলা ১১টায় নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।

জানা গেছে, ইভিএমের নতুন প্রকল্প প্রস্তাব বৈঠকের আলোচ্য সূচিতে রাখা হয়েছে। আলোচনায় প্রস্তাবটি অনুমোদন হলে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে প্রকল্প অনুমোদনের জন্য।

জাতীয় নির্বাচন ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। যার ফলে প্রকল্প দ্রুত পাস না হলে ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার সময় আর থাকবে না নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটির হাতে।




দুর্গাপুরে সিপিবি‘র প্রতিবাদ সমাবেশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় সিপিবি‘র সমাবেশে হামলার প্রতিবাদে সিপিবি দুর্গাপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে দুর্গাপুর প্রেসক্লাব মোরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সিপিবি দুর্গাপুর উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুপন কুমার সরকারের সঞ্চালনায় সিপিবি সভাপতি আলকাছ উদ্দিন মীরের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সিপিবি’র কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য ডা. দিবালোক সিংহ। সিপিবি নেতা নজরুল ইসলাম, মোরশেদ আলম, রহম আলী, শামছুল আলম খান প্রমূখ।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, কলমাকান্দায় সিপিবি’র শান্তিপুর্ন সমাবেশে ছাত্রলীগ ও পুলিশের হামলার মধ্য দিয়ে সরকারের প্রকৃত স্বৈরাচারি রুপ প্রকাশ পেয়েছে। বর্তমান সরকার রাজনৈতিক ভাবে এতোটাই দেউলিয়া যে, বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ মিছিল সমাবেশ দেখেও আতংকিত হয়ে উঠে। মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে, কিন্তু বাস্তবে দমন-পীড়ন করেই তাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে চায়। অতীতের মতো সরকার, গণমানুষের দাবি-দাওয়ার আন্দোলন দমনে ভীতি ছড়িয়ে গদি রক্ষায় দমন-পীড়ন ও সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। অবিলম্বে হামলার সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানানো হয়।