দুর্গাপুরে অবরোধ বিরোধী মিছিল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বিএনপি-জামায়াতের টানা অবরোধ ও জ¦ালাও-পোড়া কর্মকান্ডের প্রতিবাদে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে অবরোধ বিরোধী মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় আ‘লীগের কার্যনিবাহী কমিটির সদস্য, উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং এর নির্দেশে পৌর শহর ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় আ‘লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম, বাবুল মিয়া, মজিবুর রহমান ফকির, রোকনুজ্জামান রোকন, মতিউর রহমান, আজিজুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা টিটু পত্রনবীস, বাবন সরকার, ছাত্রলীগ নেতা, কায়েস, আনিসুজ্জামান রনি, জহিরুল হক, সোহেল রানা, মামুনুর রশিদ প্রমুখ। মিছিলে অংশগ্রহনকারী নেতা-কর্মীরা অবরোধ বিরোধী বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনে নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করার আহবান জানান।

মিছিল শেষে বিভিন্ন এলাকায় পথসভায় বক্তারা বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশব্যাপী যে ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে রাজপথে থেকে আমরা তা প্রতিহত করবো। দেশের সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা‘র হাত ধরে বাংলাদেশে যে নজীর বিহীন উন্নয়ন হয়েছে, তা নস্যাৎ করতেই জ¦ালাও-পোড়াও চালাচ্ছে স্বাধীনতা বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা। দেশের জনগন হরতাল অবরোদ প্রত্যাখান করেছে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা সহ কেন্দ্রীয় আ‘লীগ নেতা রেমন্ড আরেং এর নির্দেশে আমরা এসকল ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি প্রতিহত করবো।




নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সিইসি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে জানানো হয়েছে। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে প্রস্তুত নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশনের সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি এবং তফশিলের সম্ভাব্য দিনক্ষণ জানাতে বঙ্গভবনে যান সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা বঙ্গভবনে যান। আগামী নির্বাচন নিয়ে তারা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা করেন।

ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আনুষ্ঠানিক তফশিল ঘোষণার আগে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের রেওয়াজ রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে দুপুর ১২টায় ইসি সদস্যরা বঙ্গভবনে যান।




দুর্গাপুরে বিস্ফোরক মামলায় বিএনপির ৩ নেতা গ্রেপ্তার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বিস্ফোরক মামলায় বিএনপির ৩ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (০৮ নভেম্বর) দুপুরে পৌর শহরের সাব রেজিস্টার কার্যালয়ের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব ইমাম হাসান আবুচাঁন,দুর্গাপুর পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ হারেজ গণি,বাকলজোড়া ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহŸায়ক সাদেকুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়,২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে দুর্গাপুর থানায় দায়ের হওয়া বিস্ফোরক মামলায় আজ বুধবার দুপুরে ৩ জনকে আটক করা হয়। পরে বিকেলে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে বিএনপির নেতাদের দাবী,তাদের এক দফা দাবির আন্দোলন দমনের উদ্দেশে বিএনপির নেতাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহŸায়ক বজলুর রহমান পাঠান বলেন,দেশে এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে যে কোর্ট আঙ্গিয়াও বিএনপির লোকজন নিরাপদ না। আইনকে শ্রদ্ধা জানিয়ে,আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে নেতারা কোর্টে গিয়েছিল হাজিরা দেওয়া জন্য। পরে হাজিরা দিয়ে বের হলে পথে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং তাদের মুক্তি দাবী করছি।
এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নূরুল আলম জানান,বিস্ফোরক মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরবর্তীতে আদালতে পাঠানো হয়।




বাংলাদেশে নির্বাচনী পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ নিবিড় ও অব্যাহতভাবে যুক্তরাষ্ট্র মনিটরিং করছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সহকারী প্রেস সচিব বেদান্ত প্যাটেল। এসব ঘটনা যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

সোমবার (৬ নভেম্বর) নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে স্পষ্টভাবে তিনি বলেন, ‘নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না যুক্তরাষ্ট্র।’

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশ থেকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও পুলিশ সদস্যকে হত্যার মাধ্যমে দলটির নেতাকর্মীদের সহিংসতা শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় টানা হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি পালন করে আসছে বিএনপি। এসব কর্মসূচিতে অবরোধকারীরা একাধিক গাড়িতে অগ্নি সংযোগ করেছে। এতে বেশ কয়েকজন পরিবহন শ্রমিক নিহতের খবরও গণমাধ্যমে এসেছে। অগ্নি সংযোগসহ এসব সহিংসতার ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীরাই সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ এরই মধ্যে পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে।

ব্রিফিংয়ে মুশফিক ফজল আনসারী প্রশ্ন করলে স্পষ্টভাবে বেদান্ত প্যাটেল জানিয়ে দেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার, বিরোধী দলসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে কাজ করছে ওয়াশিংটন।’

এদিকে সাবের হোসেন চৌধুরীর বাসায় প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে- সেটি নিয়ে কোনো পক্ষই মুখ খোলেনি।




দেশের বিভিন্ন স্থানে ১২ ঘণ্টায় ১০ বাসে আগুন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ১২ ঘণ্টায় অন্তত ১০টি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের একটি কার্যালয়েও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল এসব তথ্য জানিয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস বলছে, শনিবার সন্ধ্যা সাতটা থেকে আজ রোববার সকাল সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে মোট ১২টি অগ্নিসংযোগের তথ্য পেয়েছে তারা।

ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের তথ্যানুযায়ী, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার গাউছিয়া মার্কেটের সামনে মিরপুর লিংক নামের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।

সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে গ্রিন ইউনিভার্সিটির একটি বাসে আগুন দেওয়ার তথ্য পাওয়া যায়।

সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিটে রাজধানীর সায়েদাবাদের জনপথ মোড়ে রাইদা পরিবহন নামের বাসে দুর্বৃত্তরা আগুন দেয়।

রাত আটটায় রাজধানীর গুলিস্তানের পাতাল মার্কেটের সামনে মনজিল পরিবহন নামের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।

রাত ১১টা ৪২ মিনিটে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় অনাবিল নামের একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।

দিবাগত রাত পৌনে ১২টায় ভোলার চরফ্যাশনের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যমুনা এক্সপ্রেস নামের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।

দিবাগত রাত ২টা ৫৫ মিনিটে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের বাদলপুর আওয়ামী লীগের অফিসে আগুন দেওয়ার তথ্য পাওয়া যায়।

দিবাগত রাত ৩টা ৫২ মিনিটে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জের তিন রাস্তার মোড়ে গাড়ির পরিত্যক্ত টায়ারে আগুন দেওয়া হয়।

আজ ভোর ৪টায় রাজধানীর ডেমরার মাতুয়াইলের সাদ্দাম মার্কেট এলাকায় একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।

প্রায় একই সময় রাজধানীর শ্যামপুরের জুরাইন বালুর মাঠ এলাকায় তুরাগ নামের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।

ভোর ৫টা ১৭ মিনিটে রাজধানীর মিরপুর ৬ নম্বরে একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।

সকাল ৬টা ২৪ মিনিটে গাজীপুরের ভোগরায় একটি বাসে আগুন দেওয়ার তথ্য পায় ফায়ার সার্ভিস।




ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলছে বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের সমাবেশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

মৎস্য ভবন মোড় থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘিরে চারদিকের রাস্তায় সারি সারি বাস পার্কিং করা। বাস থেকে নেমে স্লোগান উঠছে ‘নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবার।’ তারপর মিছিল নিয়ে বাসের লোকজন প্রবেশ করছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। এছাড়া যারা ঢাকার আশপাশ থেকে পায়ে হেঁটে এসেছেন তারা সরাসরি মিছিল নিয়ে প্রবেশ করছেন উদ্যানে। মূলত এরা সবাই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কর্মী।

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সমাবেশের আয়োজন করেছে। সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতির প্রবর্তন এবং বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিলের দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

উদ্যান ঘুরে দেখা গিয়েছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা নেতারা মঞ্চে বক্তব্য দিচ্ছেন। আর সকাল থেকে যেসব কর্মী দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বা ঢাকা শহর থেকে এই সমাবেশ সফল করতে এসেছেন তারা মনোযোগ দিয়ে সেই বক্তব্য শুনছেন।

এছাড়া আরও দেখা গেছে, নেতাকর্মীরা বিভিন্ন গাছ তলায় শুয়ে বসে বিশ্রাম করছেন। অনেকে উদ্যানের উত্তর দক্ষিণ অংশে অর্থাৎ ছবির হাট টিএসসি গেট অংশের ঘোরাফেরা করছে। কেউ কেউ সেলফি তোলাও ব্যস্ত।

সমাবেশ সূত্রে জানা গেছে, জুমা নামাজের পর মূল সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। সেখানে বক্তব্য রাখবেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

এর আগে গত ১ নভেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) তাদের ২০ শর্তে সমাবেশ করতে অনুমতি দেয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০ শর্ত যথাযথভাবে পালন সাপেক্ষে ৩ নভেম্বর সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশকে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হলো।




আজ জেলহত্যা দিবস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

আজ ৩ নভেম্বর। শোকাবহ কলঙ্কময় জেলহত্যা দিবস। মানবসভ্যতার ইতিহাসে বেদনাবিধুর একটি দিন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যার পর ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। শহীদ চার নেতা হলেন- বাংলাদেশের প্রথম সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামান। একাত্তরের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের শত্রুরা সেদিন জাতির সেরা সন্তান এ চার নেতাকে শুধু গুলি চালিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, কাপুরুষের মতো গুলিবিদ্ধ দেহকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে একাত্তরের পরাজয়ের জ্বালা মিটিয়েছিল।

ইতিহাসের এই নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় শুধু বাংলাদেশের মানুষই নয়, স্তম্ভিত হয়েছিল সমগ্র বিশ্ব। কারাগারের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় বর্বরোচিত এ ধরনের হত্যাকান্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভার ঘৃণিত বিশ্বাসঘাতক হিসেবে পরিচিত এবং তৎকালীন স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমদের প্ররোচনায় একশ্রেণির উচ্চাভিলাষী মধ্যমসারির জুনিয়র সেনা কর্মকর্তা এ নির্মম হত্যাকান্ড ঘটায়। জাতীয় এ চার নেতা ১৯৭১ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সামরিক জান্তার হাতে আটক বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে দেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে নেতৃত্ব দান করেন। বঙ্গবন্ধুর আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা ঘোষণার পর পরই পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুকে তাঁর ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে। পরে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দীন আহমদ স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় কোটি কোটি বাঙালির স্বাধীনতার স্বপ্নপূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

বঙ্গবন্ধুর অন্য ঘনিষ্ঠ সহযোগী এ এইচ এম কামারুজ্জামান ও ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনার ক্ষেত্রে নীতি ও কৌশল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তৎকালীন স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমদ এবং জাতির পিতার দুই খুনি কর্নেল (বরখাস্ত) সৈয়দ ফারুক রহমান এবং লে. কর্নেল (বরখাস্ত) খন্দকার আবদুর রশীদ জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যার এ পরিকল্পনা করে। জাতি আজ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী ও চার জাতীয় নেতাকে যথাযথ শ্রদ্ধা প্রদর্শনের মাধ্যমে দেশের ইতিহাসের অন্যতম বর্বরোচিত এ কালো অধ্যায়টি স্মরণ করবে। আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠনের উদ্যোগে সারা দেশে পালিত হবে শোকাবহ এ দিনটি। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তাঁরা শহীদ জাতীয় চার নেতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
এ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে- আজ সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশের সর্বত্র শাখা কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো ব্যাজ ধারণ ও কালো পতাকা উত্তোলন। সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবনে জমায়েত এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ। সকাল ৮টায় বনানী কবরস্থানে শহীদ জাতীয় নেতাদের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। একইভাবে রাজশাহীতে জাতীয় নেতা শহীদ কামারুজ্জামানের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। বিকাল ৩টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করবেন।

এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাদের যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন। এ ছাড়া ধানমন্ডি ৩২ প্রাঙ্গণে ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ফাউন্ডেশনের আয়োজনে তিন দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী হবে। ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর নাতি শেহেরিন সেলিম রিপন জানান, আজ প্রদর্শনীটির উদ্বোধন হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থেকে ৫ নভেম্বর অবধি চলবে।




আমার কাছে প্রধানমন্ত্রিত্ব কিছু না : শেখ হাসিনা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেমন চেয়েছিলেন তেমন বাংলাদেশ গড়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য। আমার কাছে প্রধানমন্ত্রিত্ব কিছু না। প্রধানমন্ত্রী হলে বহু আগেই হতে পারতাম। কিন্তু আমি সেভাবে চাইনি।

রোববার (২৯ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার একটাই লক্ষ্য ছিল, ক্ষমতা হবে জনগণের কল্যাণ সাধন করার। জাতির পিতা যেভাবে চেয়েছেন সেভাবেই দেশকে গড়ে তোলা। সেই প্রচেষ্টাই আমি চালিয়ে যাচ্ছি। জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে পথ চলায় আজকে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা আমরা পেয়েছি। যা বাস্তবায়ন হবে ২০২৬ সাল থেকে। জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে যদি রাষ্ট্র পরিচালনা হয়, তাহলে এই বাংলাদেশ আর পেছনে ফিরে তাকাবে না। অনেক দেশই আমাদের সঙ্গে হয়েছিল, অনেকেই পিছিয়ে গেছে। আমরা কিন্তু পিছিয়ে যাইনি।

তিনি বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর আমাদের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছিল। অনেক ইতিহাস মুছে ফেলা হয়েছিল। আমরা ক্ষমতায় আসার পর প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরা শুরু করি। ১৫ আগস্টের পর থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেই ভাষণ বাঁজিয়েছিল এবং তা মানুষকে শুনিয়েছিল। আমি জানি না পৃথিবীর কোনো দেশে কোনো ভাষণ এতোবার শোনা হয়েছে কি না। আজকে সেই ভাষণ ইউনেসকো কর্তৃক স্বীকৃতি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক বিশ্ব প্রামাণ্য দলিলে মানুষকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করার সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে; যা বাঙালি জাতির ভাবমূর্তি বিশ্বে উজ্জ্বল করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি চাই আমাদের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক সবাই আমাদের এই যে অর্জনগুলো ধরে রাখেন। এর মাধ্যমেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। জাতির পিতা এই বাংলাদেশের জন্য যে মহান আত্মত্যাগ করে গেছেন, সেটি আমাদের ভুললে চলবে না। কারণ তার ভাষা আন্দোলন, তার ইতিহাস আপনারা জানেন।

সরকারপ্রধান আরও বলেন, গত ১৫ বছর ধরে আমরা সরকার ক্ষমতায় আছি। ২০০৯ সাল থেকে আজকে ২০২৩, এটি এখন এক বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। আজকের ছাত্র-ছাত্রীরা উপলদ্ধি করতে পারবে না ২০ বছর আগে কেমন বাংলাদেশ ছিল। সেখানে ক্ষুধা-দারিদ্র ছিল, বৈজ্ঞানিক কোনো কিছু ছিল না। আমরা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে বিজ্ঞান ও কম্পিউটার শিক্ষা চালু করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক ত্যাগের বিনিমিয়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে। এই স্বাধীনতার সুফল প্রতিটি ঘরে ঘরে আমরা পৌঁছে দেব। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলাম, সেটি বাস্তবায়ন করেছি। এখন আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব। দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে যা যা করার আমরা করে যাচ্ছি।

অনুষ্ঠানে জাতির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মরণোত্তর সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব লজ’ ডিগ্রি প্রদান করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বিশেষ সমাবর্তনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বঙ্গবন্ধুকন্যা ও সমাবর্তন বক্তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বঙ্গবন্ধুর এই ডিগ্রি তুলে দেন।




শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না: মির্জা ফখরুল

dnb news :

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শুধু খালেদা জিয়াকে এ অবস্থায় (অসুস্থ) রেখে নয়, হাসিনা সরকারের অধীনে কোনো ধরনের নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। আমরা বিশ্বাস করি, জনগণের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার পতন হবে।’

আজ মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এসব কথা বলেন।

সম্প্রতি ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল প্রশ্ন তুলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেও এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য তিনি কীভাবে দিতে পারেন? আমাদের বোধগম্য নয়।’

তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে দ্রুত বিদেশে নিতে হবে। নয়তো এর সব দায়-দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।’




নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তফসিল, ভোট জানুয়ারির শুরুতে

dnb news :

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিছুর রহমান জানিয়েছেন, ‘নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। এছাড়া জানুয়ারির শুরুতেই ভোটগ্রহণ করা হবে।’

আজ মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) গাজীপুরের শ্রীপুরে স্মার্ট কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুর্গম এলাকা ছাড়া অন্যান্য কেন্দ্রে নির্বাচনের দিন সকালে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে বলেও তিনি জানান।

শ্রীপুর উপজেলা সম্মেলন কক্ষে কার্ড বিতরণ কর্মসূচির প্রথম দিনে ৩০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে স্মার্ট কার্ড দেয়া হয়। একটি পৌরসভা ও আটটি ইউনিয়নের বাসিন্দাদের মধ্যে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান। গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফতেহ মোহাম্মদ সফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, জাতীয় পরিচয় পত্র নিবন্ধন বিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ুন কবীর, জাতীয় পরিচয় পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু হাসনাত মো. সায়েম, ঢাকা বিভাগীয় আঞ্চলিক কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম, গাজীপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীরাজুল ইসলাম।

ইসি আনিছুর রহমান আরও বলেন, ‘কোন দল নির্বাচনে আসবে, কারা আসবে না সেটা আমাদের দেখার বিষয় না। সংবিধান অনুযায়ী সঠিক সময়েই নির্বাচন সম্পন্ন হবে। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে এবং আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

মার্কিন ভিসা নীতি নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে না উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিছুর রহমান বলেন, ‘ভিসা নীতির বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই, এমনকি কোনো বক্তব্যও নেই। কারণ এটা সরকারের বিষয়। আমরা সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে চাই। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’