দেশ আমাদের এখানে বিদেশীদের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়: মুফতি ফয়জুল করিম

dnb news:

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে সিনিয়র আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেছেন, ‘দেশ আমাদের, নির্বাচনও আমাদের। সুতরাং আমার দেশের জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কীভাবে হবে? এখানে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়।’

তিনি বলেছেন, ‘ওলামাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সরকার জনগণের ভোট ও নাগরিক অধিকার হত্যা করেছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাপ্রেমী। তাই যেকোনোভাবে তারা ক্ষমতায় থাকার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।’

সোমবার (২৪ জুলাই) বিকাল ৩টায় খুলনার খালিশপুর গোয়ালখালী সৈয়দ ফজলুল করিম (রহ) ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে ওলামা সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ খুলনা মহানগর ও জেলা শাখার উদ্যোগে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

মুফতি ফয়জুল করিম বলেন, ‘দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রয়োজন। দেশে এখন কোথাও কোনও জবাবদিহিতা নেই, ভেঙ্গে পড়েছে চেইন অব কমান্ড। বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশনে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি।’

তিনি অবিলম্বে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগসহ জাতীয় সরকার গঠন করে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘দুর্নীতিতে দেশ ছেয়ে গেছে। কেউ কাউকে মানছে না। বিদেশিদের কাছে যেয়ে কোনও লাভ নেই। আমাদের সমস্যার সমাধান আমাদেরই করতে হবে। বিদেশিরা আজ বলছে আমাদের সেন্টমার্টিন দাও, কাল বলবে আমাদের পুরো দেশটাই দিয়ে দাও। তাই একটি শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। প্রয়োজনে সব দলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারকে অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে হবে।’

জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ খুলনা জেলা সভাপতি মাওলানা শেখ আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে ও নগর সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুল্লাহ ইয়াহইয়া ও মুফতি ইমরান হুসাইনের সঞ্চালনায় ওলামা সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির আব্দুল আউয়াল, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ খুলনা মহানগর সভাপতি মুফতি গোলামুর রহমান, দারুল উলুম মাদরাসার মুহতামিম হাফেজ মোসতাক আহমেদ, খুলনা আলিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ আ খ ম জাকারিয়া প্রমুখ।

মুফতি ফয়জুল করিম রাতে নিউমার্কেট সংলগ্ন টেক্সটাইল মিল জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি খুলনা জেলা শাখার উদ্যোগে ওয়াজ মাহফিল ও হালকা জিকিরে প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা করবেন।




জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলনে মানুষের ঢল

dnb news :

কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শায়খুল হাদীস পরিষদের জাতীয় ওলামা মাশায়েখ সম্মেলন চলছে। এতে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের আলেম ওলামা অংশ নিয়েছে। সম্মেলনস্থ কানায় কানায় ভর্তি।

শনিবার (২২ জুলাই) সকাল নয়টায় রাজধানীর কাজী বশির মিলনায়তনে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হাসান জুনা‌ইদের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়।

মামুনুল হকসহ কারাবন্দি ওলামায়ে কেরামের মুক্তি, দেশব্যাপী আলেম-উলামাসহ তাওহিদী জনতার বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও উলামায়ে কেরামের মধ্যে বৃহত্তর ঐক্য প্রতিষ্ঠায় করণীয় নির্ধারণে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে।

কারাবন্দি উলামায়ে কেরামের মুক্তি ও সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সম্মেলন থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা হবে।

সম্মেলনে শায়খুল হাদীস পরিষদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক, বেফাক মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে আছেন হেফাজত আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী।




নিবন্ধন পাচ্ছে না গণঅধিকার পরিষদসহ ১০ দল

dnb news :

শেষ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধনের তালিকা থেকে বাদ পড়ল নানাভাবে আলোচিত ও সমালোচিত গণঅধিকার পরিষদ। সেই সঙ্গে আমার বাংলাদেশ পার্টিসহ (এবি পার্টি) আরও ৯টি দল ছিটকে পড়ছে নিবন্ধনের তালিকা থেকে।

মাত্র দুটি দল এবার ইসির নিবন্ধন পাচ্ছে। দল দুটি হলো— বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)। নতুন দুটি দলের বিষয়ে আগামীকাল সোমবার (১৭ জুলাই) পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে ইসি।

আজ রোববার ইসির সভায় আলোচনার জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকায় ১২টি দলকে রাখা হয়েছিল। কিন্তু ১০টি দলের নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া তথ্যের সঙ্গে মাঠের তথ্যের মিল পায়নি নির্বাচন কমিশন। ফলে দলগুলোকে তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে ইসি।

কমিশনসভা শেষে সংবাদমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

এদিকে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পতন ঘটিয়ে দলের নিবন্ধন নেবেন বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

নিবন্ধন পাওয়ার দৌড় থেকে গণঅধিকার পরিষদের ছিটকে পড়ার পর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে রোববার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, ‘আমরা এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের পতন ঘটিয়েই আগামী নির্বাচনের আগে নিবন্ধনও নিব এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব।’

নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে চাওয়া ১২টি দলের মধ্যে দুটি দল টিকেছে পরবর্তী ধাপের বাছাইয়ের জন্য। অর্থাৎ প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকে যাওয়া ১২টি দলের মধ্যে ১০টি দলই বাদ পড়েছে নিবন্ধন পাওয়ার দৌড় থেকে।

জানা গেছে, নতুন দল হিসেবে নিবন্ধন পাওয়ার সংক্ষিপ্ত তালিকায় ১২টি রাজনৈতিক দল ছিল। সেগুলো হচ্ছে— আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), বাংলাদেশ হিউম্যানিস্ট পার্টি (বিএইচপি), গণঅধিকার পরিষদ, নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ সনাতন পার্টি (বিএসপি), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি), বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (বিপিপি), ডেমোক্রেটিক পার্টি ও বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএলডি)।

ওইসব রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটি ও মাঠপর্যায়ের কার্যালয় সক্রিয় রয়েছে কিনা তা দুই দফা যাচাই করেছে ইসি। ওই দুই দফার প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে নতুন দল নিবন্ধন দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা রয়েছে।




‘ঈদের পর নতুন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকবে ইসলামী আন্দোলন’

DNB NEWS :
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ- এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকির মধ্যে। সরকারের প্রতি জনগণের কোন প্রকার আস্থা না থাকলে যা হয়, এখন তাই হচ্ছে, দেশ এখন হুমকির মুখে। এমতাবস্থায় চলমান সঙ্কট নিরসনকল্পে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই একমাত্র সমাধান। দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের ইতিহাস নেই। বিশেষ করে বর্তমান সরকারের আমলে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। জাতীয় সরকার ছাড়া গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে রাজনৈতিক সংকট ঘনিভূত হচ্ছে। সরকার যেনতেন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় পুনরায় যওয়ার ফন্দি ফিকির করছে। তিনি বলেন, সমস্যার দ্রুত সমাধান না হলে দেশের জনগণের জন্য অমঙ্গল বয়ে আনতে পারে এবং দেশে আরও একবার সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আজ বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মজলিসে আমেলার এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম (শায়খে চরমোনাই), মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, আলহাজ্ব খন্দকার গোলাম মাওলা, আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান, প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক আহমদ আব্দুল কাইয়ুম, মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, মুফতি হেমায়েতুল্লাহ কাসেমী, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, মাওলানা শেখ ফজলুল করীম মারুফ, মুফতী সৈয়দ এছহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, জি এম রুহুল আমীন, মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা শোয়াইব হোসেন, উপাধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, এডভোকেট এম হাসিবুল ইসলাম, বরকত উল্লাহ লতিফ, অধ্যাপক নাছির উদ্দিন খাঁন, মাওলানা নূরুল করীম আকরাম, মাওলানা নুরুল ইসলাম আল-আমিন, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, সদস্য ডা: দেলোয়ার হোসেন, আল-ইকবাল প্রমুখ।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে কোনও নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করবে না। নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি নিয়েও আপত্তি করেছেন তিনি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে আয়োজনের পাঁয়তারা চলছে। মানুষকে ধোকা দিয়ে বোকা বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর দলীয় সরকারের অধীনে কোনও নির্বাচনই সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ হয় নাই। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বিরোধী দলের ওপর দমনপীড়ন চালিয়ে এক তরফা নির্বাচন করে ক্ষমতা দখল করাই দলীয় সরকারের মূল উদ্দেশ্য থাকে। ভবিষ্যতেও দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার আশা করা যায় না। ঈদের পর নতুন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকবে ইসলামী আন্দোলন। সে লক্ষ্যে শীঘ্রই কর্মসূচি প্রণয়ন করা হবে।




নির্বাচন কমিশনের এক মূহুর্তও দায়িত্বে থাকার অধিকার নেই : ইসলামী আন্দোলন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

দলদাস নির্বাচন কমিশন সিটি নির্বাচনে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এই দলদাস ও মাজাভাঙ্গা কমিশন দিয়ে জাতীয় নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। তিনি বলেন, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে হাতপাখার মেয়র প্রার্থী দলের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই’র উপর সরকার দলীয় সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদে ১৬ জুন, শুক্রবার সারাদেশে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ করবে। গতকাল বিকেলে বরিশালে অনুষ্ঠিত দলের প্রেস কনফারেন্স থেকে দলের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। শীঘ্রই বৃহত্তর কর্মসূচিও ঘোষণা করা হবে।

আজ এক বিবৃতিতে দলের মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ বলেন, নির্বাচন কমিশন একজন মেয়র প্রার্থীর নিরাপত্তা দিতে পারলেন না। তিনি ভোট চোরদের সহযোগিতার জন্যই নিরাপত্তা দেননি। তাছাড়া সিইসি তার বক্তব্যে বলেছেন ‘হাতপাখার মেয়র প্রার্থী কি ইন্তেকাল করেছেন?’ এ বক্তব্য দিয়ে দলদাসে পরিণত হয়েছেন। তার বক্তব্য আওয়ামী লীগের বক্তব্যের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। এই দলদাস ও গৃহপালিত ইসি’র এক মুহুর্তও কমিশনের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে কোনভাবেই থাকতে পারে না। ভাল চাইলে মান সম্মান নিয়ে পদত্যাগ না করলে জনগণের আন্দোলনে করুণ পরিণত ভোগ করতে হবে।

অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ আরও বলেন, একজন মেয়র প্রার্থীর রক্ত ঝরিয়ে, বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দিয়ে ভোট কেন্দ্র দখল করে এবং ভোটারদের উপর হামলার ঘটনা ঘটিয়ে নৌকার বিজয় করা মানে আওয়ামী লীগের দন্যদশা জাহির করা। সরকার দলীয় দস্যু দিয়ে ক্ষমতায় টিতে থাকা যাবে না। তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনার দলদাস সিইসিকে পদত্যাগে বাধ্য করেন।

এদিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা জেলা দক্ষিণ সভাপতি আলহাজ্ব হাফেজ মোঃ জয়নুল আবেদীন, সেক্রেটারী হাফেজ মাওলানা জহিরুল ইসলাম, জয়েন্ট সেক্রেটারী মুহাম্মদ শাহিন আহমাদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ইলিয়াস হোসাইন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে হাতপাখার মেয়র প্রার্থী দলের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই’র উপর সরকার দলীয় সন্ত্রাসীদের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, নির্বাচন কমিশন বড় বড় বুলি আওড়িয়ে এখন নিজেদের ব্যর্থ হিসেবে প্রমাণিত করলেন। নির্বাচন কমিশন একজন মেয়র প্রার্থী আলেমকে নিরাপত্তা দিতে পারলেন না এর চেয়ে নির্লজ্জ আর কী হতে পারে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনও পূর্বের কমিশনের মতো গৃহপালিত কমিশনে পরিণত হয়েছে। নেতৃবন্দ মুফতী ফয়জুল করীমসহ ভোটারদের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। সেইসাথে নির্বাচন কমিশনেরও পদত্যাগ দাবি করেন তারা।




এরদোয়ানের ভাগ্য নির্ধারণ কাল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

দুই সপ্তাহের অপেক্ষা শেষ। আগামীকাল রোববার (২৮ মে) তুরস্কে হবে রান-অফ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আর এ নির্বাচনের মাধ্যমেই নির্ধারিত হবে- আরও পাঁচ বছর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হিসেবে রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান থাকতে পারবেন কিনা।

তুরস্কে গত ১৪ মে প্রেসিডেন্ট ও সংসদ নির্বাচন হয়। এতে মোট ভোটের ৪৯ দশমিক ৫১ শতাংশ ভোট পান এরদোয়ান। অপরদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কিলিচদারোগলো পান ৪৪ দশমিক ৫১ শতাংশ ভোট। যেহেতু তাদের কেউই এককভাবে ৫০ শতাংশ ভোট পাননি ফলে এ নির্বাচন রান-অফে গড়ায়।

তবে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা শনিবার (২৭ মে) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রান-অফ নির্বাচন নিয়ে দেশটিতে তেমন উত্তাপ লক্ষ্য করে যাচ্ছে না। যেমনটি দেখা গিয়েছিল দুই সপ্তাহ। যদিও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট শাসন প্রতিষ্ঠার পর এবারই প্রথমবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো (রান-অফ) ভোট দিতে যাচ্ছেন দেশটির ভোটাররা।




বরিশালে প্রতীক পেয়ে প্রচারণায় নেমেছেন মুফতি ফয়জুল করীম

dnb news :

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সকালে নগরীর নথুল্লাবাদে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির এ প্রতীক বরাদ্দ করেন।

মেয়র পদে দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীরা দলীয় প্রতীক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিস থেকে বরাদ্দ করা প্রতীক নিয়ে প্রচার ও গণসংযোগ শুরু করেছেন।

মেয়রপ্রার্থীরা হলেন— আওয়ামী লীগের আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (নৌকা), জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপস (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম (হাতপাখা), জাকের পার্টির মিজানুর রহমান বাচ্চু (গোলাপ ফুল), স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান (ঘড়ি), আসাদুজ্জামান (হাতি) ও আলী হোসেন (হরিণ)।

কাউন্সিলর পদপ্রার্থীদের বেলায় কোনো কোনো ক্ষেত্রে লটারির মাধ্যমে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। পরে প্রতীক নিয়ে মিছিল সহকারে গণসংযোগ শুরু করেন তারা। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাত মেয়র পদপ্রার্থীকে প্রতীক দেওয়া হয়। এ ছাড়া ৩০টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ১১৬ জনের মধ্যে ১১৫ জনকে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে।

একজন প্রার্থী হওয়ায় ৭ নম্বর ওয়ার্ডে কোনো প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া সংরক্ষিত কাউন্সিলরের ১০ পদে ৪২ নারী প্রার্থীকে প্রতীক দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রতীক বরাদ্দ কার্যক্রম শুরু করার আগে প্রার্থীদের দিকনির্দেশনা দেন।

এ সময় তিনি সবাইকে নির্বাচনি আচরণবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার নির্দেশনা দেন। প্রতীক বরাদ্দের শুরুতেই সাত মেয়রপ্রার্থীর হাতে দলীয় প্রতীক ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের হাতে নির্ধারিত প্রতীক তুলে দেন।

উল্লেখ্য, বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১৬ মে এর মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দেন প্রার্থীরা। আগামী ১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১২৬ কেন্দ্রের ৮৯৪ কক্ষে দুই লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ ভোটার ভোট দেবেন।




দুর্গাপুরে ইউনিয়র পরিষদ এর উপ-নির্বাচনে ৩ প্রার্থী চূড়ান্ত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :
আগামী ১৬ মার্চ ২০২৩ তারিখ অনুষ্ঠিত হবে দুর্গাপুর উপজেলার বাকলজোড়া ইউনিয়নের উপ-নির্বাচন। ইতোমধ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ, জমাদান, বাছাই ও প্রত্যাহার পর্ব সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে প্রতিক বরাদ্দের দিনে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাচন অফিস।
এতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়াই করবেন সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম. স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউসুফ তালুকদার (মোটরসাইকেল), সিরাজুল ইসলাম (আনারস) প্রতীক পেয়েছেন। ওই ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২২,১৬৭ জন, এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১১,৩৫৬ জন ও মহিলা ভোটার ১০,৮১১ জন। ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহন করা হবে বলে জানান উপজেলা নির্বাচন অফিসার তপন চন্দ্র শীল।
উল্লেখ্যঃ গত ২৮ নভেন্বর ২০২১ তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে ওই ইউনিয়ন থেকে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন ইয়াকুব আলী তালুকদার। গত ১০ জানুয়ারী ২০২৩ শ্বাসকস্ট জনিত কারনে মৃত্যু বরণ করায় আগামী ১৬ মার্চ ২০২৩ ওই ইউনিয়নে উপ-নির্বাচন ঘোষনা করেন নির্বাচন কমিশন।




দুর্গাপুর পৌরসভার উপ-নির্বাচন মেয়র পদে লড়ছেন ৩ প্রার্থী 

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরসভায় আগামী ১২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে উপ-নির্বাচন। মেয়র পদে ইতোমধ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ, জমাদান, বাছাই শেষে পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে দুই প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হয়। মঙ্গলবার সকালে তিন প্রার্থীকে প্রতিক বরাদ্দ দেওয়া হয়।

মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত সাবেক মেয়র আলহাজ মাওলানা মো. আবদুস ছালাম (নৌকা প্রতীক), স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাবেক মেয়র শুভেন্দু সরকার পিন্টু (নারিকেল গাছ) ও ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মুহাম্মদ আবদুল মান্নান (হাতপাখা) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্ধন্ধিতা করবেন।

পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ২০,৭৮১ জন পুরুষ ভোটার ১০,০৬৬ জন ও মহিলা ভোটার ১০,৭১৫ জন। এবার ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ হবে বলে জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল লতিফ শেখ। উল্লেখ্য : গত ১৯ অক্টোবর ২০২২ দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র আলা উদ্দিন আলাল মৃত্যবরণ করায় শুন্য পদে আগামী ১২ জানুয়ারি ২০২৩ উপ-নির্বাচন ঘোষণা করেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন।




বিএনপিকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান ইসির

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বিএনপিকে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, কমিশনের সব সময় ইচ্ছা সকল দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। তাই সকল দলের প্রতি আহ্বান আপনারা সবাই নির্বাচনে আসুন। বিশেষ করে বিএনপি নির্বাচনে এলে আমরা খুশি হবো। আমরা চাই প্রতিটি দল নির্বাচনে এসে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করুক।

আজ মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মিলনায়তনে রংপুর সিটি কপোরেশনের নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকবে, কোনো অবনতি ঘটবে না, রংপুরে যারা আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে আছেন তারা আশ্বস্ত করেছেন। তাদের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি আছে। কমিশন মনে করে এই নির্বাচনে ভোটাররা কোনো বাধার সম্মুখীন হবে না। এছাড়া কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে না বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

তিনি বলেন, সিটি নির্বাচন সিসি ক্যামেরা দিয়ে ঢাকা এবং রংপুর থেকে পর্যবেক্ষণ করা হবে। কোথাও কোনো সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, দায়িত্বরত পোলিং এজেন্টকেও পর্যবেক্ষণ করা হবে। তারা কোনো সমস্যা করলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে প্রিসাইডিং অফিসারদের দায়িত্ব নিতে হবে নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য। এ সময় তিনি নগরবাসীকে আবারও নির্ভয়ে নির্বিঘ্নে এবং বিশ্বাস নিয়ে ভোট কেন্দ্রে আসার আহ্বান জানান।

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রংপুর সিটি কপোরেশনে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ২৭ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে ২ লাখ ১২ হাজার ৩০২ জন পুরুষ এবং ২ লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন নারী ভোটার। এবার মেয়র পদে ৯ জনসহ মোট ২৫৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পুরো সিটির ২২৯টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন।