সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর মুক্তি পাচ্ছেন বৃহস্পতিবার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন সাজা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপি নেতা ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। তার মুক্তিতে এখন আর বাধা নেই। এছাড়া এই মামলায় আরও চারজনকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়াসহ পাঁচজনের সাজা কমানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরীন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

লুৎফুজ্জামান বাবরের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর ২টায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার (কেরানীগঞ্জ) থেকে মুক্তি পাবেন তিনি।

এদিকে, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় বাবরের পাশপাশি খালাস পেয়েছেন মহসীন তালুকদার, এনামুল হক, রেজ্জাকুল হায়দার ও নুরুল আমিন। তবে পরেশ বড়ুয়া ১৪ বছর ও ১০ বছর করে আকবর হোসেন, লিয়াকত হোসেন, হাফিজুর রহমান, শাহাবুদ্দিনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া মৃত্যুজনিত কারণে আপিল অ্যাবেটেড মতিউর রহমান নিজামী, দীন মোহাম্মদ ও আব্দুর রহিম, হাজি আব্দুস সোবহানকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ফলে রায়ে আদালত ১৪ আসামির মধ্যে পাঁচজনকে সাজা, পাঁচজনকে খালাস ও চারজন মারা যাওয়ায় তাদের অব্যাহতি দিয়েছেন।

১০ ট্রাক অস্ত্র আটকসংক্রান্ত দুটি মামলার মধ্যে চোরাচালান মামলায় (বিশেষ ক্ষমতা আইনে) সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এবং ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়াসহ ১৪ আসামিকে ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দেন চট্টগ্রামের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক এসএম মজিবুর রহমানের আদালত।

অস্ত্র আইনে দায়ের অন্য মামলাটিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ পেয়েছেন একই আসামিরা। এ ছাড়া অস্ত্র আটক মামলার অপর ধারায় সাত বছর কারাদণ্ড দেন বিচারক। দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে ৫ লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়।

মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত অন্য ১১ জন হলেন- এনএসআইর সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, এনএসআইর সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুর রহিম, ডিজিএফআইর সাবেক পরিচালক (নিরাপত্তা) অবসরপ্রাপ্ত উইং কমান্ডার সাহাবুদ্দিন আহমেদ, এনএসআইর সাবেক উপপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর লিয়াকত হোসেন, এনএসআইর সাবেক মাঠ কর্মকর্তা আকবর হোসেন খান, রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা চিটাগং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের (সিইউএফএল) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহসিন উদ্দিন তালুকদার, সিইউএফএলের সাবেক মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) কেএম এনামুল হক, সাবেক ভারপ্রাপ্ত শিল্পসচিব নুরুল আমিন, চোরাচালানি হিসেবে অভিযুক্ত হাফিজুর রহমান, অস্ত্র খালাসের জন্য শ্রমিক সরবরাহকারী দীন মোহাম্মদ ও ট্রলার মালিক হাজী আবদুস সোবহান।

পরে নিয়ম অনুযায়ী, ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি কারাবন্দি আসামিরা আপিল করেন। এরপর পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়।




দুর্গাপুরে বিএনপি‘র বিক্ষোভ মিছিল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

বিএনপি‘র কেন্দ্রীয় কর্মসুচীর অংশ হিসেবে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের ঘোষিত কর্মসুচীর বিরুদ্ধে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহনে এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকালে এ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

এ উপলক্ষে, বিএনপি‘র দলীয় কার্যালয় থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে, দলীয় কার্যালয়ে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে পৌর বিএনপি‘র আহবায়ক আতাউর রহমান ফরিদ এর সভাপতিত্বে, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব স¤্রাট গণি‘র সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপি‘র আহবায়ক জহিরুল আলম ভুইয়া। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপি‘র যুগ্ন আহবায়ক আলহাজ¦ জামাল উদ্দিন মাস্টার, পৌর বিএনপি‘র যুগ্ন-আহবায়ক রিয়াজুল ইসলাম, সদস্য সচিব হারেজ গণি সহ উপজেলা বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীগণ।

বক্তারা বলেন, ফ্যাসিস্ট আ‘লীগ সরকারের নেতাকর্মীরা ‘‘শান্ত বাংলাদেশ কে অশান্ত করার লক্ষে’’ এখনো ঘুপটি মেরে বসে আছে। কেন্দ্রীয় কর্মসুচী মোতাবেক ফ্যাসিস্ট সরকারের কোন কর্মসুচী এই বাংলায় আর করতে দেয়া হবে না। দেশকে অশান্ত করা থেকে বিরত রাখতে, দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের সকল নেতাকর্মীদের এক হয়ে কাজ করার আহবান জানানো হয়।




ইতিহাস গড়ার পথে ডোনাল্ড ট্রাম্প

ডিএনবি নিউজ আন্তঃ ডেস্ক :

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে এগিয়ে রয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশেষ করে দোদুল্যমান কয়েকটি রাজ্যের জয় ও কয়েকটিতে এগিয়ে থাকার খবর আসার পর হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের যাওয়া অনেকটাই নিশ্চিত ধরে নিয়েছেন তার সমর্থকরা।

ইতোমধ্যে ২৪৭টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়ে জয়ের অনেকটা কাছাকাছি পৌছে গেছেন ট্রাম্প। বিপরীতে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস এখন পর্যন্ত পেয়েছেন ২১৪ ভোট। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, যেসব দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যে ফল ঘোষণা বাকি আছে সেগুলোর বেশিরভাগেই এগিয়ে রয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প।

দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের সর্বশেষ পূর্বাভাসে ট্রাম্পের আরও প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে ইতিহাস গড়বেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে কোনো ফৌজদারী অপরাধী হোয়াইট হাউসের বাসিন্দা হওয়ার রেকর্ড গড়বেন।

সর্বশেষ প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধান যাচাই করে নিউইয়র্ক টাইমসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের জয়ের সম্ভাবনা খুব দ্রুত বাড়ছে। বর্তমানে তার জয়ের সম্ভাবনা ৯০ শতাংশ। অপরদিকে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের জয়ের সম্ভাবনা ধীরে ধীরে শেষ হচ্ছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ট্রাম্প ৩০১টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট এবং কমলা ২৩৭টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেতে পারেন।

এদিকে এপির খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সময় বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুর ১২টার পর্যন্ত রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ২৪৭ ইলেকটোরাল ভোট। অন্যদিকে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ২১৪ ভোট। কমলা পেয়েছেন ৪৭.৪ শতাংশ ভোট এবং ট্রাম্প পেয়েছেন ৫১.২ শতাংশ ভোট।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে দেশটির ৫০টি অঙ্গরাজ্যে। টাইম জোনের তারতম্যের কারণে রাজ্যগুলোতে ভোটগ্রহণ ও গণনা সম্পন্ন হয় ভিন্ন ভিন্ন সময়ে। প্রথম অঙ্গরাজ্য হিসেবে ভোটগ্রহণ শেষ হয় ইন্ডিয়ানা ও কেন্টাকিতে।




তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে এবার জামায়াতের আবেদন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের বিষয়ে রিভিউ আবেদন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বুধবার (২৩ অক্টোবর) জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে এ রিভিউ আবেদন করেন। তাদের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

গত ১৬ অক্টোবর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এদিকে গত আগস্ট মাসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার পৃথক রিভিউ আবেদন করেন।

উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালে গণঅভ্যুত্থানে এরশাদ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন একটি সরকারের অধীনে সাধারণ নির্বাচন হলেও তখন বিষয়টি সংবিধানে যুক্ত করা হয়নি। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বিরোধীদলগুলোর আন্দোলনের চাপে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান এনে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী সংসদে পাস করে বিএনপি।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ওই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিন জন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। পরে বিএনপি সরকারের সময়ে ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট সেই রিট খারিজ হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বৈধ থাকে। হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০০৫ সালে আপিল করেন রিটকারীরা। ২০০৬ সালে রাজনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে জরুরি অবস্থা জারির পর গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছর ক্ষমতায় থাকার পর এ পদ্ধতির দুর্বলতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পরে আবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ২০১০ সালের ১ মার্চ আপিল বিভাগে ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলার শুনানি শুরু হয়। শুনানিতে আপিল আবেদনকারী এবং রাষ্ট্রপক্ষ ছাড়াও অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে শীর্ষস্থানীয় ৮ জন আইনজীবী বক্তব্য দেন। তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বহাল রাখার পক্ষে মত দেন। তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমও এর পক্ষে মত দেন।

২০১১ সালের ১০ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনে করা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে তা বাতিল করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। তবে পরবর্তী ১০ম ও ১১তম নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করা যেতে পারে বলে মত দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আদালত। রায়ে বলা হয় এক্ষেত্রে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনে সংসদে ঐকমত্যের ভিত্তিতে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।




এক খুনিকে পরিবর্তন করে আরেক ডাকাতকে ক্ষমতায় বসাতে চাই না: মুফতি ফয়জুল করীম

ডিএনিবি নিউজ ডেস্ক:

জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের উপদেষ্টা ও শায়েখে চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, এক লুটেরা, দুর্নীতিবাজ ও খুনি-ডাকাতকে পরিবর্তন করে আরেক ডাকাতকে ক্ষমতায় বসাতে চাই না। আমরা ঐক্য চাই কিন্তু এই ঐক্যের মাধ্যমে কোনো বাতেল প্রতিষ্ঠিত হোক সেটা চাই না।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বরিশালের অশ্বিনী কুমার হলে দ্বিবার্ষিক ওলামা সম্মেলনের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

শায়েখে চরমোনাই আরও বলেন, ‘ওলামা একরাম ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি অংশ নিয়েছে। কিন্তু নেতৃত্ব দেয়া হয়েছে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকে। কেন জিন্নাহকে নিয়ে এসেছে, কারণ তৎকালীন সময় ব্রিটিশ ও ভারতের সঙ্গে টক্কর দিয়ে নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষমতা জিন্নাহর মধ্যে ছিলো। যদিও তাকে পছন্দ করতো না অনেকে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সবাই সতর্ক থাকুন কেউ আবেগি হবেন না। তাই ওলামাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এক ও অভিন্ন হতে হবে। অন্তত বরিশাল থেকে আমরা যাতে এক হয়ে আওয়াজ তুলতে পারি সেই ব্যবস্থা সবাই গ্রহণ করুন। রাষ্ট্রকে পরিচালনা করার চিন্তা করুন। মেধাবী শিক্ষার্থীদের রাষ্ট্র ও ইংরেজিতে দক্ষ করুন। রাষ্ট্র পরিচালনার যোগ্য করে তুলুন।’

জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ বরিশাল জেলার সভাপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুল হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত  দ্বিবার্ষিক ওলামা সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিষদের উপদেষ্টা হাফেজ মাওলানা ওবায়দুর রহমান মাহবুব, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুফতি রেজাউল করিম আবরারসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের উপদেষ্টা ও শায়েখে চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, এক লুটেরা, দুর্নীতিবাজ ও খুনি-ডাকাতকে পরিবর্তন করে আরেক ডাকাতকে ক্ষমতায় বসাতে চাই না। আমরা ঐক্য চাই কিন্তু এই ঐক্যের মাধ্যমে কোনো বাতেল প্রতিষ্ঠিত হোক সেটা চাই না।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বরিশালের অশ্বিনী কুমার হলে দ্বিবার্ষিক ওলামা সম্মেলনের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

শায়েখে চরমোনাই আরও বলেন, ‘ওলামা একরাম ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি অংশ নিয়েছে। কিন্তু নেতৃত্ব দেয়া হয়েছে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকে। কেন জিন্নাহকে নিয়ে এসেছে, কারণ তৎকালীন সময় ব্রিটিশ ও ভারতের সঙ্গে টক্কর দিয়ে নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষমতা জিন্নাহর মধ্যে ছিলো। যদিও তাকে পছন্দ করতো না অনেকে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সবাই সতর্ক থাকুন কেউ আবেগি হবেন না। তাই ওলামাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এক ও অভিন্ন হতে হবে। অন্তত বরিশাল থেকে আমরা যাতে এক হয়ে আওয়াজ তুলতে পারি সেই ব্যবস্থা সবাই গ্রহণ করুন। রাষ্ট্রকে পরিচালনা করার চিন্তা করুন। মেধাবী শিক্ষার্থীদের রাষ্ট্র ও ইংরেজিতে দক্ষ করুন। রাষ্ট্র পরিচালনার যোগ্য করে তুলুন।’

জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ বরিশাল জেলার সভাপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুল হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত  দ্বিবার্ষিক ওলামা সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিষদের উপদেষ্টা হাফেজ মাওলানা ওবায়দুর রহমান মাহবুব, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুফতি রেজাউল করিম আবরারসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।




দুর্গাপুরে বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি :

বন্যা দুর্গতদের জন্য সহায়তা, বিএনপি‘র প্রতিষ্ঠাতা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য দোয়ার মাধ্যমে নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরসভার শিবগঞ্জ বাজারে, ওয়ার্ড বিএনপি‘র আয়োজনে, বিএনপি’র ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। রোববার দিনব্যাপি উপজেলা ও পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে এ কর্মসুচী পালিত হয়।

এ উপলক্ষে পৌর ওয়ার্ড বিএনপি‘র সভাপতি সাহাদাৎ হোসেন হৃদয় এর সভাপতিত্বে, পৌর বিএনপি‘র যুগ্ন-আহবায়ক রিয়াজুল করিম এর সঞ্চালনায়, প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, পৌর বিএনপি‘র আহবায়ক আতাউর রহমান ফরিদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপি‘র প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল হক, পৌর বিএনপিপ‘র সাবেক সভাপতি মো. রৌশন আলী, পৌর বিএনপি‘র সদস্য সচিব মো. হারেজ গনি, যুগ্ন আহবায়ক ও পৌর কাউন্সিলর ওয়ালিউল্লাহ্ সাচ্চু, মো. এমরোজ হোসেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সানী ঢালী, উছমান গণি, ওয়াসিম হাওলাদার, মো. শাহ আলম, আলী উল আজীম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, দেশের পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার কারনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে, সারাদেশেই প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিএনপি ত্যাগের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। দেশের ১২টি জেলার মানুষ আজ ভয়াবহ বন্যায় চরম ক্ষতিগ্রস্থ, আসুন নিজ নিজ সামর্থ অনুযায়ী তাদের সহায়তা করি। মনে রাখবেন, আ.লীগের নোংরা রাজনীতি যেনো, বাংলার আকাশে আর ফিরে না আসে। পিছনের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে, দেশের প্রতিটি অঞ্চলে বিএনপিকে নতুন ভাবে সাজাতে সকলকে আহবান জানানো হয়।




জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির নিষিদ্ধ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আজ বুধবার (২৮ আগস্ট) প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

এর আগে, ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী এবং তাদের ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ করা হয় গত ১ আগস্ট। চারদিনের ব্যবধানে ৫ আগস্ট আন্দোলনের মুখে পতন ঘটে তৎকালীন ক্ষমতাসীনদের। ক্ষমতার পালাবদলে জামায়াত-শিবিরের নিষিদ্ধের আদেশ আজ প্রত্যাহার হলো।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, যেহেতু, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কয়েকটি মামলার রায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী (পূর্বনাম জামায়াত-ই-ইসলামী/জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ) এবং উহার অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরকে (পূর্বনাম ইসলামী ছাত্রসংঘ) ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে সংঘটিত গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে দায়ী হিসেবে গণ্য করা হইয়াছে।

আরও বলা হয়, যেহেতু বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রায়ে রাজনৈতিক দল হিসাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন বাতিল করিয়া দিয়াছে এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ, হাইকোর্ট বিভাগের উক্ত রায়কে বহাল রাখিয়াছে। যেহেতু, সরকারের নিকট যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রহিয়াছে যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং উহার অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সাম্প্রতিককালে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ, ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সরাসরি এবং উসকানির মাধ্যমে জড়িত ছিল; এবং যেহেতু, সরকার বিশ্বাস করে যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সহিত জড়িত রহিয়াছে। সেহেতু, সরকার, সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ এর ধারা ১৮(১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠনকে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করিল। উক্ত আইনের তফসিল-২ এ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্ত্বা হিসাবে তালিকাভুক্ত করিল।




আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়েছে। রিটটি করেছে মানবাধিকার সংগঠন সারডা

সোমবার (১৯ আগস্ট) সংগঠনটির পক্ষে রিটটি করেছেন নির্বাহী পরিচালক আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া।

রিটে যেসব প্রতিষ্ঠান শেখ হাসিনার নামে রয়েছে সেগুলোর নাম পরিবর্তনও চাওয়া হয়েছে।

এছাড়া দেশ সংস্কারের লক্ষ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ সর্বনিম্ন ৩ বছর এবং বিদেশে পাচার করা ১১ লাখ কোটি টাকা ফেরত আনতে ও বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের বদলি চাওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে রিটকারী আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া বলেন, রিটের এই বিষয়গুলোতে রুল ও আদেশ চাওয়া হয়েছে।

বিচারপতি কে এম আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হবে বলে জানা গেছে।




ভারতে লোকসভা নির্বাচনে রেকর্ড ভোটে জিতে ইতিহাস গড়া কে এই মুসলিম প্রার্থী?

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ফল গত মঙ্গলবার ঘোষণা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এককভাবে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে। যদিও বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট তিন শ আসন ছুঁতে পারেনি। দারুণ সাফল্য দেখিয়েছে কংগ্রেসের উদ্যোগে গড়া ‘ইন্ডিয়া’ জোট।

ভোটের লড়াইয়ে ব্যক্তিগত চমক দেখিয়েছেন অনেক প্রার্থী। তাদের মধ্যে একজন রাকিবুল হুসেইন। তিনি ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন আসামের ধুবুরি আসন থেকে। কংগ্রেসের এই প্রার্থী এবার জিতেছেন ১০ লাখ ১২ হাজার ভোটের ব্যবধানে।

বিস্ময়কর ব্যাপার হল রাকিবুল যাকে হারিয়েছেন তিনিও একজন একজন মুসলিম তবে কোনও সাদামাটা প্রার্থী নন, অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (এআইইউডিএফ) এর প্রধান বদরুদ্দিন আজমল। তার দলকে আসামের তৃতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
আসামের ১৪টি আসনের মধ্যে মাত্র তিনটি জিতেছে কংগ্রেস। এর মধ্যে একটি রাকিবুলের ধুবুরি।

রাকিবুল যে ধুবরিতে এত বড় ব্যবধানে জিতলেন সেটা তার নিজের এলাকা নয়। সেখান থেকে প্রায় তিনশো কিলোমিটার দূরে সামাগুড়ি থেকে তিনি বারবার বিধায়ক হয়েছেন। ২০০৯ সাল থেকেই জিতে আসছেন রাকিবুল। ২০১১ সালে প্রফুল্ল মহন্তাকে হারিয়ে দিয়েছিলেন, যিনি সেবার আসামের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন। ২০১৬ সালে যখন বিজেপির জোয়ার চলছিল তখনও সামাগুরিতে বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়েছিলেন তিনি।

রাকিবুল জয়ী হওয়ার কিছুক্ষণ পরে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্ব শর্মা তাকে‌ ‘হিরো অব দ্যা ডে’ (দিনের নায়ক) বলে অভিহিত করেন এবং বলেন, তার আলোচনা সামনে আসা উচিত।

অথচ এই হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গে রকিবুলের সম্পর্ক খুবই উত্তেজনাকর! এমনকি নির্বাচনের আগে হিমন্তের বিরুদ্ধেই সবচেয়ে বেশি আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিয়েছেন রাকিবুল।

৪ জুনের ফলাফল শুধু ধুবরিতে নির্বাচনী ইতিহাসই রচনা করেনি, রাকিবুলের মেধার প্রমাণ যেমন হয়েছে তেমনি যারা তার প্রার্থিতা নিয়ে সন্দেহ করেছিলেন তাদেরও চুপ করিয়ে দিয়েছে।

ভূমিধস বিজয়ের পর স্ত্রী এবং ছেলেকে নিয়ে নির্বাচনী কার্যালয় থেকে শংসাপত্র গ্রহণ করতে যান রাকিবুল। যে কাগজটি হয়তো শোভা পাবে তার ড্রয়িং রুম কিংবা রিডিং রুমের দেয়ালে। যাতে রাকিবুলের নামের পাশে ভোটের সংখ্যাটি ১৪ লাখ ৭১ হাজার ৮৮৫। যখন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আজমলের নামে পাশে ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৪০৯ ভোট। বিজয়ের ব্যবধান বিস্ময়কর, ১০ লাখ ১২ হাজার ৪৭৬ ভোট।

জানা যায়, রাকিবুল হুসেইনের জন্ম ৭ আগস্ট ১৯৬৪। আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর করেছেন। তিনি সামাগুড়ি থেকে বিধায়ক এবং ২০২১ সাল থেকে আসাম বিধানসভায় বিরোধী দলের উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এবার ধুবরি থেকে ইতিহাস গড়া জয় পেয়ে লোকসভায় যাবার অপেক্ষায় আছেন।

তার বাবা নুরুল হোসেনও বিধায়ক ছিলেন। রাকিবুল ২০০১ সাল থেকে আসাম বিধানসভার সামাগুড়ি নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধিত্ব করছেন। ২০০২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তরুণ গগৈ সরকারে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রিত্বও করেছেন। আসামের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার কংগ্রেস সরকারেও মন্ত্রীত্ব করেছেন। হেমন্তর মতো তুখোড় নেতাও একবার নির্বাচনে হেরেছেন কিন্তু রাকিবুল কখনও হারেননি।

সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া




প্রেসিডেন্ট রায়িসির অস্তিত্বজুড়েই ছিল সততা, আন্তরিকতা ও জনসেবা: ইরাকের প্রধানমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মাদ শিয়া আস সুদানি আজ (বুধবার) ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি ও তার সফরসঙ্গীদের শাহাদাতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন।

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় শহীদ রায়িসি ও তার সফরসঙ্গীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই তিনি তেহরান সফরে এসেছেন।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, ‘ইরাকের জনগণ ও সরকারের পক্ষ থেকে ইরানের জনগণ ও সরকারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানাচ্ছি। জনাব রায়িসির অস্তিত্বজুড়েই ছিল সততা, ইখলাস, পবিত্রতা, চেষ্টা-প্রচেষ্টা ও জনসেবা।’

জনসেবার কারণেই শহীদ রায়িসির শেষবিদায় অনুষ্ঠানে মানুষের ঢল নেমেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। বাইরের সকল চাপ ও নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের জনগণ ও সরকারের মধ্যে সম্পর্ক অটুট রয়েছে বলে মনে করেন।

এ সময় ইরানের সর্বোচ্চ নেতা তেহরানে এসে সমবেদনা প্রকাশের জন্যে ইরাকি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আমরা একজন অসামান্য ব্যক্তিত্বকে হারিয়েছি। প্রেসিডেন্ট রায়িসি ছিলেন খুবই দক্ষ, যোগ্য ও আন্তরিক রাষ্ট্রনেতা।

তিনি আরও বলেন, সংবিধান অনুযায়ী মোহাম্মাদ মুখবের নির্বাহী বিভাগ পরিচালনার গুরু দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি ইরাক সরকারের সাথে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবেন এবং চুক্তিগুলোর বাস্তবায়ন করে যাবেন। #

পার্সটুডে