জয়লাভ করে মমতার পদত্যাগ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামীকাল বুধবার টানা তৃতীয়বারের মতো মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন তিনি। তাই নিয়ম মেনে এ পদ থেকে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেন তিনি।

মমতার পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করেছেন পশ্চিমবাংলার গভর্নর জগদীপ ধনখড়। এ সময় তিনি তৃণমূল কংগ্রেস প্রধানকে শুভেচ্ছাও জানান। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার বলছে, সোমবার সন্ধ্যায় রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মমতা। তিনি সেখানে দেড় ঘণ্টা অবস্থান করেন। এরমেধ্যে পদত্যাগ পত্র জমা দিলে সেটি গ্রহণের পর মমতাকেই অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে মমতাকেই দায়িত্বভার সামলানোর অনুরোধ করেন ধনখড়। বুধবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে শপথগ্রহণ করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা পরিস্থিতির কারণে শপথ অনুষ্ঠানে অতিথির সংখ্যাও থাকবে নিয়ন্ত্রিত। তারপর ৬ ও ৭ মে শপথ নেবেন বিধানসভা নির্বাচনের নবনির্বাচিত বিধায়করা। বরাবরের মতো এবারও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার হতে চলেছেন বিমান বন্দোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের মন্ত্রী কারা হবেন, তা ঠিক করেবেন তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী নিজেই।

গত ২৭ মার্চ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত মোট আট দফায় পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ২৯৪টি আসনের মধ্যে তৃণমূল জয়ী হয়েছে ২১৩টি আসনে। বিজেপি জয় পেয়েছে ৭৭টিতে।




গণপরিবহন চালুসহ ৩ দফা দাবিতে ঢাকায় বিক্ষোভ

স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালুসহ তিন দফা দাবিতে বাংলাদেশের রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী  আজ (রোববার) সকালে সায়েদাবাদ ও গাবতলি বাস টার্মিনালে এ বিক্ষোভ করেন তারা। এসময় শ্রমিকদের হাতে বিভিন্ন দাবি সংবলিত ব্যানার-ফেস্টুন দেখা গেছে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত সারা দেশে ২৪৯টি পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন সারা দেশে এ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছে আজ। এছাড়া, ৪ঠা মে তাদের তিন দফা দাবিতে সারাদেশে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে তারা।

শ্রমিক নেতারা দাবি করেছেন, লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ৫০ লাখ সড়ক পরিবহন শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। উপার্জনের পথ বন্ধ হওয়ায় তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এতে অর্ধাহারে-অনাহারে থাকা শ্রমিকদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

এ জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চালুর পাশাপাশি শ্রমিকদের আর্থিক অনুদান ও খাদ্য সহায়তা প্রদান এবং শ্রমিকদের জন্য ১০ টাকায় চাল বিক্রির ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয়।

সাভারে বাস চালু

এদিকে, নির্দেশনা অমান্য করেই সাভারের সড়কে বাস চালাতে শুরু করেছে শ্রমিকেরা। যাত্রীরাও দ্বিগুণ ভাড়ায় গাদাগাদি করে এক স্থান থেকে অন্য অন্য স্থানে যাতায়াত করছে।

আজ (রোববার) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গেছে,   সাভারের ঢাকা-আরিচা ও আশুলিয়ার নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে চলাচল করছে স্থানীয় বাস। মাঝে মধ্যে দূরপাল্লার দুই-একটি বাস ও চলতে দেখা গেছে।

গাবতলীতে বিক্ষোভ

‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিবহন চলবে’- এই শ্লোগানে বিক্ষোভ কর্মসূচি

আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন নেতাকর্মীরা।

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সম্পাদক মো. আব্বাস উদ্দিন বলেন, আমাদের রুটি-রুজির কথা চিন্তা করে আজ সকাল থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছি। এই কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় আগামী ৪ তারিখ সারা দেশে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ফেডারেশনের নির্দেশে আমাদের এই বিক্ষোভ কর্মসূচি চলমান থাকবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত।

তিনি বলেন, লকডাউনের কারণে দীর্ঘদিন বাস চলাচল না করায় পরিবহন শ্রমিকরা মানবেতর দিনযাপন করছেন। অনেকে না খেয়ে দিনযাপন করছেন। অনেক পরিবহন মালিকরা ব্যাংকের ঋণের টাকা পর্যন্ত পরিশোধ করতে পারছেন না। প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিক বেকার অবস্থায় পড়ে আছে। রাজনৈতিক নেতারা রাজনৈতিক কর্মীদের সাহায্য সহযোগিতা করছে কিন্তু আমাদের খবর কেউ রাখছেন না। কারণ গাড়ি চলে তবেই আমরা খেতে পারি। অতি দ্রুত পরিবহন চালু করার দাবি জানাচ্ছি।

রাজশাহীতে বিক্ষোভ

অবিলম্বে গণপরিবহন চালুর দাবিতে রাজশাহীতে বিক্ষোভ করেছে শ্রমিকরা। রোববার সকালে সিরোইল বাস টার্মিনাল সংলগ্ন কার্যালয় থেকে তারা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। পরে মিছিলটি বের হয়ে বাস টার্মিনাল পর্যন্ত গিয়ে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

এসময় শ্রমিকরা বলেন, সারা দেশে নামমাত্র লকডাউন চলছে। বাজার-মার্কেট, দোকানপাট সব খোলা। শুধুমাত্র পরিবহন বন্ধ রয়েছে।

তারা বলেন, ঈদকে সামনে রেখে সবকিছু স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। তাহলে পরিবহন বন্ধ থাকবে কেন? সামনে ঈদ আমাদের দীর্ঘদিন কাজ নেই। কীভাবে ঈদ করব পরিবার নিয়ে? তাই অবিলম্বে বাস, ট্রাক চলাচল করার সুযোগ করে দিন।

এসময় ৫ মে’র মধ্যে গণপরিবহন চালু না করলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেন শ্রমিকরা।

নেত্রকোনায় মিছিল

স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে যানবাহন চলাচল,পরিবহন শ্রমিকদের আর্থিক অনুদানসহ খাদ্যসহায়তা প্রদান এবং সারাদেশে পরিবহন শ্রমিকদের ১০ টাকা কেজি চালের ব্যবস্থা চালুর দাবিতে নেত্রকোণায় জেলা মোটরযান কর্মচারী ইউনিয়নের উদ্যোগে আজ সকালে বিক্ষোভ মিছিল করেছে পরিবহন শ্রমিকরা।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার সকাল ১১টায় শহরের বারহাট্টা রোডে মোটরযান কর্মচারী ইউনিয়ন কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরিবহন শ্রমিকদের বিক্ষোভ মিছিলটি শহর প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে গিয়ে  সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।

এসময় বক্তারা বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে পরিবহণ বন্ধ থাকায় তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অবিলম্বে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে যানবাহন চলাচল শুরুর নির্দেশ দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- জেলা মোটরযান কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আদব আলী, শ্রমিক নেতা সিবলী সাদিক, বজলুর রহমান ও আব্দুল জলিলসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।#




করোনা: গুজরাটের পর দিল্লির মসজিদে ‘কোয়ারেন্টিন সেন্টার’ স্থাপন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসায় ভারতের গুজরাটের পর রাজধানী দিল্লির গ্রিন পার্ক মহল্লার একটি মসজিদে সাময়িক কোয়ারেন্টিন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। মসজিদের ভেতরে দশটি বেড দেয়া হয়েছে। এছাড়া রোগীদের জন্য খাবার, ওষুধ, মাস্ক ও স্যানিটাইজারের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা এতে করা হয়েছে। মসজিদের ম্যানেজিং কমিটির জয়েন্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ সেলিম জানান, করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় তারা মসজিদে কোয়ারেন্টিন সেন্টার স্থাপন করেন। ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুসারে তারা এখানে রোগীদের ভর্তি করাচ্ছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা রোগীদের জন্য ওষুধ, মাস্ক, স্যানিটাইজার ও পিপিইর ব্যবস্থা করছি। যদিও বর্তমানে আমাদের কাছে অক্সিজেন নেই তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরবরাহের চেষ্টা করছি।’ ভারতে দ্বিতীয় ধাপের করোনাভাইরাস সংক্রমণের ধাক্কায় দেশটির বিভিন্ন মসজিদ ও মাদরাসাকে করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহারে কাজে লাগাচ্ছেন মুসলমানরা।




পশ্চিমবঙ্গে মমতার মহাজয়

ডিএবি নিউজ ডেস্ক:

পশ্চিমবঙ্গে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। রোববার বেসরকারি ফলাফলে ২৯২ আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ১৯০ আসন। আর ৯৫টি আসনে বিজেপি জয় লাভ করেছে।

আনন্দবাজার পত্রিকার খবর অনুযায়ী, বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফলে ১৯০টি আসনে এগিয়ে তৃণমূল। অন্যদিকে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ৯৫টি আসনে।

এদিন, সকাল থেকে এখনও আট দফার নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হচ্ছে। ভারতীয় সময় সকাল ৮টা (বাংলাদেশ সাড়ে ৮টা) থেকেই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ২৯২টি আসনের ভোট গণনা শুরু হয়।

বিধানসভার মোট আসন ২৯৪টি থাকলেও দুই প্রার্থী মারা যাওয়ায় ওই দুটি আসনের নির্বাচন স্থগিত করা হয়। সমশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে করোনা সংক্রমিত হয়ে দুই প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ওই দুই আসনে ভোট হবে ১৬ মে।




করোনায় আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। রোববার হাসপাতালসহ একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে গণমাধ্যম বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে।

সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, কয়েক দিন ধরে খালেদা জিয়া জ্বরে ভুগছেন। তাই তিনি করোনা সংক্রমিত কিনা জানতে শনিবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে তার রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরপর ঢাকার অন্যতম একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার করোনা পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। সেই পরীক্ষার ফল পজিটিভ এসেছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, শনিবার বিকেল ৩টার দিকে ধানমন্ডির ওই বেসরকারি হাসপাতালের করোনা ইউনিট থেকে একজন টেকনোলজিস্ট খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজায় যান। এর আগে ওই হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করেন খালেদার জিয়ার পরিবার ও তার চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্টরা। রক্তের নমুনা নেওয়ার সময় খালেদা জিয়ার ভাগ্নে ডা. মামুনও সেখানে ছিলেন। করোনা পরীক্ষার পাশাপাশি তার ডায়াবেটিস টেস্টের জন্যও নমুনা নেওয়া হয়। গোপনীয়তার সঙ্গে এই কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বিএনপির দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে রাজি হননি।

খালেদা জিয়া সরকারের নির্বাহী আদেশে জামিনে রয়েছেন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় তাকে কারাগারে যেতে হয়েছিল। দুই বছরের বেশি সময় কারাগারে থাকার পর গত বছর করোনা মহামারির কারণে পরিবারের আবেদনে তাকে ছয় মাসের জামিনে মুক্তি দেয় সরকার, যা তিন দফায় বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার সঙ্গে পরিবারের সদস্য ও ব্যক্তিগত চিকিৎসক বাদে অন্য কেউ দেখা করতে পারেন না।




ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা আসলামুল হক আর নেই

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক: ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আসলামুল হক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। রোববার বেলা ১২টায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, শনিবার আসলামুল হক হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোববার বেলা ১২টায় সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

আসলামুল হক ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একই সময়ে তিনি জাতীয় সংসদে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সবশেষ ২০১৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।




লকডাউনের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার, থাকছে যেসব বিধি-নিষেধ

ডেস্ক রেোপর্ট: করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় আগামী ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।

রোববার (৪ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এর আগে শনিবার সকালের দিকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করছে সরকার।

‘করোনাভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে শর্ত সাপেক্ষে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ’ শিরোনামের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের বিদ্যমান পরিস্থিতি পর্যালোচনায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কর্তৃক গত ২৯ মার্চ তারিখের ১৮ দফা নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

ওই স্মারকের ধারাবাহিকতায় আগামী ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত মেয়াদে প্রতিপালনের জন্য প্রজ্ঞাপনে ১১টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

১. সকল প্রকার গণপরিবহন (সড়ক, নৌ, রেল ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট) বন্ধ থাকবে। তবে পণ্য পরিবহন, উৎপাদন ব্যবস্থা, জরুরি সেবাদানের ক্ষেত্রে এই আদেশ প্রযোজ্য হবে না। এছাড়া, বিদেশগামী/বিদেশফেরত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না।

২. আইন-শৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন- ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের (স্থলবন্দর, নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভূত থাকবে।

৩. সব সরকারি/আধাসরকারি/স্বায়ত্তশাসিত অফিস ও আদালত এবং বেসরকারি অফিস কেবল জরুরি কাজ সম্পাদনের জন্য সীমিত পরিসরে প্রয়োজনীয় জনবলকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় অফিসে আনা-নেওয়া করতে পারবে। শিল্প-কারখানা ও নির্মাণ কার্যাদি চালু থাকবে। শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পরিবহন ব্যবস্থাপনায় আনা-নেওয়া করতে হবে। বিজিএমইএ ও বিকেএমইএকে শিল্প-কারখানা এলাকায় কাছাকাছি সুবিধাজনক স্থানে তাদের শ্রমিকদের জন্য ফিল্ড হাসপাতাল/চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

৪. সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া (ঔষধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকার ইত্যাদি) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না।

৫. খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় কেবল খাদ্য বিক্রয়/সরবরাহ করা যাবে। কোনো অবস্থাতেই হোটেল-রেস্তোরাঁয় বসে খাবার গ্রহণ করা যাবে না।

৬. শপিংমলসহ অন্যান্য দোকান বন্ধ থাকবে। তবে দোকান, পাইকারি ও খুচরা পণ্য অনলাইনের মাধ্যমে কেনাবেচা করতে পারবে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই সর্বাবস্থায় কর্মচারীদের মধ্যে আবশ্যিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং কোনো ক্রেতা স্বশরীরে যেতে পারবে না।

৭. কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনা-বেচা করা যাবে। বাজার কর্তৃপক্ষ/স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করবে।

৮. ব্যাংকিং ব্যবস্থা সীমিত পরিসরে চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।

৯. সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ঢাকায় সুবিধাজনক স্থানে ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

১০. সারাদেশে জেলা ও মাঠ প্রশাসন এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের কার্যকর পদক্ষেপ নেবে এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত টহল জোরদার করবে।

১১. এই আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




আ. লীগ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন আবদুল কাদের মির্জা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে তিনি এ ঘোষণা দেন।

কাদের মির্জা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদে ছিলেন। এই পদে তিনি আর থাকবেন না বলে জানিয়েছেন।

পদত্যাগের ঘোষণায় বসুরহার পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জা বলেন, অতীতে যে প্রতিশ্রুতি গুলো দিয়েছি তা রক্ষা করে আমি বিদায় নিতে চাই। আমি আর প্রশ্নবিদ্ধ হতে চাই না, আমি দল থেকে বিদায় নিচ্ছি। এতদিন আ.লীগের মির্জা ছিলাম। আওয়ামী লীগের মির্জা আজ থেকে আমি নেই। কোনো শক্তি আমাকে আর আ.লীগের মির্জা বানাতে পারবে না। তবে তিনি নিজের ঘোষিত উপজেলা আ.লীগের কমিটিকে দূর থেকে সহযোগিতা করবেন বলে জানান।

দলে সম্মান না পাওয়ার অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদেরে ভাই বলেন, আমি সব অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে কথা বলে এখন সবার কাছে খারাপ হয়ে গেছি। যে দলে সম্মান নাই সেখানে আমি থাকবো না। আমি বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সদস্য হয়েছি সেখানে থেকেই কাজ করবো।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনি একসঙ্গে না পারলেও ধীরে ধীরে দলের দুর্নীতিবাজদের লাগাম টেনে ধরুন। যারা বেশি অনিয়মকারী তাদেরকে দল থেকে বের করে দিন।

তিনি আরও বলেন, দিনের বেলা আলাদা রাজনীতি করলেও রাতের বেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি মিলে হোটেলে একসঙ্গে হয়ে যায়। এরা জাতীয় অপকর্ম পার্টি গঠন করেছে। বড় ভাই ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশে তিনি বলেন, তিনি পদপদবীর জন্য অপশক্তিদের কাছে মাথা নত করেছেন।

উল্লেখ্য, কাদের মির্জা নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মনোনয়নে মেয়র নির্বাচিত হন। তিনি দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। মেয়র নির্বাচনের আগে থেকে মির্জা কাদের দলের কিছু নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। তিনি কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের বিরেুদ্ধে সরাসরি অবস্থান নেন। গণমাধ্যমে তাদের সমালোচনা করে বক্তব্য দিয়ে আসছিলেন। ক্ষমতাসীন দলের নেতা হয়েও তিনি নানা ইস্যুতে অবরোধ হরতাল করে আসছিলেন। তাকে নিয়ে দল বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে বলেও বহু নেতা অভিযোগ করেন। অবশেষে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিলেন মির্জা কাদের।




আজ লকডাউনের ঘোষণা আসতে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ: দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। নতুন করে এই অবস্থা সামাল দিতে বিভিন্ন টাইপের লকডাউনের ঘোষণা আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

সাধারণ চলাফেরা ও লোক সমাগমের ক্ষেত্রে সরকার নতুন করে কড়াকড়ি আরোপ করতে যাচ্ছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

গতকাল রোববার রাতে একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সেখানে আজ সোমবার দেশের কিছু এলাকার জন্য এ ধরনের ঘোষণা ‘আসতে পারে’ বলে জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘আগামীকাল (আজ) হয়ত বিভিন্ন টাইপের লকডাউনের ঘোষণা আসবে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি- এসব এলাকায় যাওয়া-আসা বন্ধ করা, বিয়ে-শাদী অনুষ্ঠান, ওয়াজ মাহফিল, পিকনিক এগুলোও বন্ধ করা, যেখানে জনসমাগম হয় সেসব অনুষ্ঠানে বিধিনিষেধ আসতে পারে।’ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কিছু প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাব গেছে। এতে অনেকগুলো প্রস্তাব ছিল। সেগুলো দেখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা জারি করবেন। তার মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের লকডাউন থাকবে।’




দুর্গাপুরে হেফাজতের শান্তিপ্রিয় হরতাল, প্রতিবাদে আওয়ামীলীগের বিক্ষোভ মিছিল

ডেস্ক রিপোর্টঃ চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোদীবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে নিহতের ঘটনায় কেন্দ্রীয় কর্মসুচী মোতাবেক নেত্রকোনার দুর্গাপুরে হরতালের ডাক দেয় হেফাজত ইসলাম দুর্গাপুর উপজেলা শাখা। এরই প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। রোববার সকাল থেকেই উপজেলার বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নেয় হেফাজতের কর্মী-সমর্থকরা। এতে বন্ধ হয়ে যায় ছোট বড় সকল যান চলাচল।

এরই প্রতিবাদে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সড়কে নেমে আসেন উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ছাত্রলীগ সহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীগণ। সব ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন পুলিশ সদস্যরা।

হেফাজতে ইসলামের উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুফতি মামুনুর রশীদ বলেন, আমরা শান্তিপুর্ন ভাবে হরতাল কর্মসুচী পালন করছিলাম, সকাল ১০টার দিকে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী ও পুলিশ বাহিনী দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের পিটিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন আল আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ এর নেতৃত্বে শান্তিপুর্ন বিক্ষোভ মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ব্যবসায়িদের দোকানপাঠ খোলা রাখতে আহবান জানান। স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তীতে কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা আমাদের কাম্য নয়।

দুর্গাপুর থানার ওসি শাহ্ নুর-এ আলম জানান, এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। শহরের প্রতিটি মোড়ে মোড়ে পুলিশ সদস্যদের টহল অব্যাহত রয়েছে। যে কোন প্রকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা প্রস্তুত। কোন ভাবেই শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করতে দেয়া হবে না।