ঈদের দিনেও গাজায় হামলা অব্যাহত, নারী-শিশুসহ নিহত বেড়ে ৬৯

ডিএনবি নিউজ  ডেস্ক:

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আজ বৃহস্পতিবার উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর। তবে আরব দেশগুলোতে যখন ঈদের আনন্দ, ঠিক তখন মধ্যপ্রাচ্যেরই আরেক দেশ ফিলিস্তিন করছে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। ঈদুল ফিতরের দিনেও অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বোমা বর্ষণ অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দফায় দফায় গাজার বিভিন্ন স্থাপনায় বিমান হামলা চালায় দেশটি।

বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এখন পর্যন্ত ৬৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১৭ শিশু ও অন্তঃসত্ত্বাসহ আট নারী রয়েছেন।গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানায়, অব্যাহত হামলায় ৩৯০ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। আলজাজিরা আরও জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর দফায় দফায় বিমান হামলায় ধংসস্তুপে পরিণত হয়েছে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটি। বৃহস্পতিবার সকালেও বোমা বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। আর এর মধ্যেই উদযাপনহীন রক্তাক্ত এক ঈদ পার করছেন ফিলিস্তিনিরা। গত সোমবার তৃতীয় দিনের মতো মুসলিমদের প্রথম কিবলা আল-আকসা মসজিদে ঢুকে মুসল্লিদের ওপর তাণ্ডব চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। অবরুদ্ধ করে রাখা হয় মুসল্লিদের। আল-আকসা মসজিদ থেকে অবরোধ তুলে নেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে রকেট হামলার হুমকি দেয় গাজার প্রতিরোধ সংগঠন হামাস। সেখান থেকে বাহিনী সরিয়ে না নিলে ইসরায়েলে রকেট ছোড়ে সংগঠনটি।

ইসরায়েলি উগ্রবাদীদের ‘জেরুসালেম দখল দিবস’ উদ্‌যাপন এবং শেখ জাররাহ এলাকা থেকে ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের উচ্ছেদ ঘিরে এ উত্তেজনার সূত্রপাত হয়। এরপর আল-আকসা মসজিদের মুসল্লিদের ওপর কয়েক দফা হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে কয়েকশ’ স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনি আহত হন। ফিলিস্তিনের সংবাদমাধ্যম ওয়াফা এক প্রতিবেদনে জানায়, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহতদের সম্মানে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ঈদ উদযাপন সীমিত করা ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। ফিলিস্তিনবাসী এবার শুধু ঈদের নামাজ আদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।




সিদ্ধিরগঞ্জে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঈদ সামগ্রী বিতরণ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উদ্যোগে গরীব অসহায় ও দরিদ্রদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

আজ বুধবার (১২ মে) থানার আওতাধীন ২নং ওয়ার্ড শাখার আয়োজনে ওয়ার্ড সভাপতি মুহা বাচ্চুর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মুহাম্মদ আক্তার হোসেনের সঞ্চালনায় ২নং ওয়ার্ডের মাঝে এ ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার সংগ্রামী জয়েন্ট সেক্রেটারি ডা. মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্য বলেন, দেশের মানুষ আজ মহামারী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে দিন দিন অসহায় হয়ে পড়ছে। যুবকদের বেকারত্ব বাড়ছে। সমাজের উচ্চ শ্রেণীর মানুষগুলোর ঘরে ঈদের আমেজ থাকলেও নিম্ন শ্রেণীর মানুষগুলোর ঘরে সেমাই, চিনিও জুটছে না। তাই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির পীর সাহেব চরমোনাইয়ের আহবানে পাড়া মহল্লার ঘরে ঘরে ইসলামী আন্দোলন ঈদ সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সংখ্যালগু বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।

আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি মুহা রহমত উল্লাহ, যুব আন্দোলনের সভাপতি মুহাম্মদ মাসুদ রানা, থানা ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মুহা. খালেদ সাইফুল্লাহ সানভীরসহ প্রমুখ।




এটা মাদরাসা নয় বলে করোনা ওয়ার রুম থেকে মুসলিমকর্মীদের বের করে দিলেন বিজেপি এমপি তেজস্বী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের হিন্দুত্ববাদের অন্যতম প্রধান প্রচারক বেঙ্গালুরুর বিজেপি এমপি তেজস্বী সূর্য একটি কভিড ওয়ার রুম থেকে মুসলিমদের বের করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এটা কোনো মাদরাসা বা হজ ভবন নয় যে এখানে মুসলিমদের নিয়োগ করা হবে।

পশ্চিমবঙ্গের এনবি নিউজের বরাতে জানা যায়, দক্ষিণ বেঙ্গালুরুর BBMP covid war Room এ মোট ২০৫ জন কর্মীর মধ্যে মাত্রই ১৭ জন মুসলিম ছিল। তাদেরকে বিতাড়িত করে তাদের বিরুদ্ধে বিজেপির আইটি সেল ব্যবহার করে তাদেরকে হত্যাকারী, সন্ত্রাসবাদী ইত্যাদি ভুয়া অপমানজনক তকমা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে বলেছেন এ এমপি।

কর্মীদের কেন সরানো হলো সে ব্যাপারে BBMP কমিশনার কোনো জবাব দেননি। তবে এই এমপি এর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে, তাতে দেখা যাচ্ছে তিনি আধিকারিকদের নির্দেশ দিচ্ছেন মুসলিম কর্মীদের তাদের মুসলিম পরিচয়ের কারণে যথাশিগ্রই অপসারণ করতে।

এমনকি কারা তাদেরকে নিয়োগ করেছে তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি। তার এই আচরণে সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন তার বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।

উল্লেখ্য, কর্নাটকে করনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সেখানে বিভিন্ন হাসপাতালে বেড এবং অক্সিজেনের সরবরাহে ভারসাম্য বজায় রাখতে ওই কভিড ওয়ার রুম গঠন করে সরকার।




দুর্গাপুরে নিজ অর্থায়নে ৭ হাজার পরিবারকে ঈদ সামগ্রী বিতরন

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নিজ অর্থায়নে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ৭ হাজার অতিদরিদ্র পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে পৌরসভার মুজিবনগর আবাসন প্রকল্প এলাকায় এ সামগ্রী বিতরন শুরু করেন পৌর মেয়র মো. আলা উদ্দিন।

স্থানীয় আনসার ও স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে সরকারি নির্দেশনা মেনে ঈদ সামগ্রীর প্যাকেট পৌর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের ঘরে ঘরে পৌছে দেওয়া হয়। এ সময় অন্যদের মধ্যে প্যানেল মেয়র মশিউজ্জামান বাদল, পৌর সচিব তৌহিদুল ইসলাম, প্রকৌশলী নওশাদ আলম, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কমিশনার ইব্রাহিম খলিল টিপু, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি মতিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল হান্নান সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য: পৌর মেয়র আলা উদ্দিন প্রতিবছরই ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য পৌরবাসীর মাঝে নিজ অর্থায়নে ঈদ সামগ্রী বিতরন করে আসছেন।




পশ্চিমবঙ্গে মুসলিম ভোটেই বিপুল বিজয় মমতার

এবারের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে মুসলিম ভোটার ঐক্যবদ্ধ হয়ে মমতার দল তৃণমূলকে ভোট দিয়েছে। আর মূলত তাদের ভোটের মমতা এই ঐতিহাসিক বিজয়।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নির্বাচনে মুসলিম ভোটই মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল কংগ্রেসের বিপুল বিজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভার আসনগুলোর মধ্যে ৬৩টি আসনে মুসলিমরা প্রাধান্যপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। এর মধ্যে ৬১টি আসনে এবার নির্বাচন হয়েছে। প্রার্থদের মৃত্যুর কারণে দুটি আসনে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এই ৬১টি আসনের মধ্যে মমতার তৃণমূল পেয়েছে ৫৮টি আসন, বিজেপি দুটি, সংযুক্ত মোর্চা একটি। মুসলিম মিরর পত্রিকায় এ পরিসংখ্যান প্রকাশিত হয়েছে। মুসলিম প্রাধান্যপূর্ণ আসনগুলোর বেশির ভাগই চারটি জেলায়- মুর্শিদাবাদ, মালদা, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগানা। মুর্শিদাবাদে রয়েছে ১৬টি আসন। বাকি তিনটি জেলার প্রত্যেকটিতে আছে ৯টি করে আসন। মজার ব্যাপার হলো, মুসলিম প্রাধান্যপূর্ণ ৬১টি আসনের মধ্যে যে ৫৮টি তৃণমূল জিতেছে, তার মধ্যে ৩০টিতে তারা জয় পেয়েছে ৪০ হাজার বা তার চেয়ে বেশি ভোটে। আবার মালদার সুজাপুরের এস কে জিয়াউদ্দিন, ফারাক্কার মনিরুল ইসলাম, ভাঙ্গাবনগোলার ইদ্রিস আলীর মতো প্রার্থীরা ৫০ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন।

বিজেপি মুসলিম প্রাধান্যপূর্ণ আসনগুলোর মধ্যে মাত্র দুটিতে জয়ী হয়েছে। এ দুটির একটি হলো উত্তর দিনাজপুর, অপরটি হলো মুর্শিদাবাদে। আর সংযুক্ত মোর্চার সিদ্দিকির ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট জিতেছে একটি আসনে। পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে মুসলিম ভোট ব্যাংক সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মুসলিমদের ভোটের ওপর ভর করেই বাম ফ্রন্ট ৩৪ বছর রাজত্ব করে পশ্চিমবঙ্গ। পরে সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রাম বিক্ষোভের জের ধরে মুসলিমরা বাম ফ্রন্ট ত্যাগ করে তৃণমূলে ভোট দিতে থাকে। অন্যদিকে কলকাতাভিত্তিক আনন্দবাজার পত্রিকায় এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তৃণমূলনেত্রী মমতা ব্যানার্জির পাশেই থেকেছেন রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোটাররা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ওই ভোটাররাই হয়ে উঠেছেন তৃণমূলের পর পর তিনবার সরকার গড়ার অন্যতম কারিগর। তবে যে যে কেন্দ্রে সংখ্যালঘু ভোটারদের উপস্থিতি কিছুটা কম, সেখানে তৃণমূলের থেকে অনেকটা পিছিয়ে থাকলেও, চমকপ্রদভাবে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বিজেপি।

নির্বাচন কমিশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সংখ্যালঘু প্রভাবিত কেন্দ্রগুলো নিয়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। এক নজরে তা দেখে নেওয়া যাক। রাজ্যের ২৯৪টি আসনের মধ্যে ৭৪টিতে সংখ্যালঘু ভোটার ৪০ শতাংশ বা তার বেশি। ওই সব কেন্দ্রের বেশির ভাগেই বিপুল জয় পেয়েছে তৃণমূল। জোড়াফুল শিবির ওই ৭৪টি আসনের মধ্যে ৬৯টি দখল করেছে। বিজেপি পেয়েছে মাত্র ২টি আসন। ভাঙড় আসনটি পেয়েছে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)। অবশ্য মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর এবং সামশেরগঞ্জ আসনে ভোট এখনও বাকি রয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর গড় মুর্শিদাবাদে ধস নেমেছে হাতশিবিরের। সংখ্যালঘু ভোটের সমীকরণে ওই জেলার একাধিক কেন্দ্র দখল নিজের ঝুলিতে পুরেছে তৃণমূল। মালদহ ও উত্তর দিনাজপুরেও দেখা গিয়েছে একই চিত্র।

রাজ্যের মোট ৫৭টি বিধানসভা কেন্দ্রে সংখ্যালঘু ভোট ২৫ থেকে ৪০ শতাংশের মধ্যে। ওই ৫৭টি আসনের মধ্যে ৪৬টি পেয়েছে জোড়াফুল শিবির। আবার ওই রকম ১১টি আসন দখল করেছে বিজেপি-ও। রাজ্যের সার্বিক ফলে তৃণমূল এবং বিজেপি— এই দুই শক্তিধরের লড়াইয়ের মাঝে তৃতীয় পক্ষের কোনও উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। সেই ধারা বজায় রয়েছে মালদহ, কোচবিহারসহ কয়েকটি জেলার এমন আসনগুলিতে এই ৫৭টি কেন্দ্রগুলোতে।




বগুড়ায় মাদ্রাসা অধ্যক্ষকে গুলি করে হত্যা

শাহজাহানপুর থানার এসআই আব্দুর রাজ্জাক জানান, উপজেলার কৃষি কলেজ এলাকায় বগুড়া- নাটোর মহাসড়কে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত মোজাফফর হোসেন (৫৫) বগুড়া শহরের নিশিন্দারা এলাকায় ‘আল জামিয়া আল আরাবিয়া জারুল হেদায়া কওমি হাফিজিয়া মাদ্রাসার’ প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ। নাটোরের সিংড়া উপজেলার সুকাশ গ্রামের সায়েদ আলীর ছেলে মোজাফফর নিশিন্দারা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে থাকতেন। এসআই রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেন, “বগুড়া থেকে অটোরিকশায় করে সিংড়া যাচ্ছিলেন মোজাফফর। কয়েকজন তার পথ রোধ করে গুলি করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।” কারা কেন মোজাফফরকে হত্যা করে থাকতে পারে, সে বিষয়ে কোনো ধারণা দিতে পারেনি পুলিশ। মোজাফফর সম্পর্কেও বিস্তারিত বলতে পারেননি এসআই রাজ্জাক।

সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, “কারা কী কারণে হত্যা করেছে তা জানতে পুলিশ মাঠে নেমেছে। মোজাফফর হোসেনের সঙ্গে অটোরিকশায় থাকা এক নারী ও এক পুরুষ যাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। ”আজমল হোসেন নামের এক প্রতিবেশী জানান, মোজাফফরের স্ত্রী দুইজন। মাদ্রাসার কাজের পাশাপাশি তিনি ঝাড়ফুঁক করতেন এবং ‘কবিরাজি চিকিৎসা’ দিতেন। তবে কারও সঙ্গে তার কোনো বিরোধ ছিল কি না, সে বিষয়ে ধারণা পাওয়া যায়নি ওই প্রতিবেশীর কথায়।




জয়লাভ করে মমতার পদত্যাগ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামীকাল বুধবার টানা তৃতীয়বারের মতো মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন তিনি। তাই নিয়ম মেনে এ পদ থেকে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেন তিনি।

মমতার পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করেছেন পশ্চিমবাংলার গভর্নর জগদীপ ধনখড়। এ সময় তিনি তৃণমূল কংগ্রেস প্রধানকে শুভেচ্ছাও জানান। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার বলছে, সোমবার সন্ধ্যায় রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মমতা। তিনি সেখানে দেড় ঘণ্টা অবস্থান করেন। এরমেধ্যে পদত্যাগ পত্র জমা দিলে সেটি গ্রহণের পর মমতাকেই অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে মমতাকেই দায়িত্বভার সামলানোর অনুরোধ করেন ধনখড়। বুধবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে শপথগ্রহণ করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা পরিস্থিতির কারণে শপথ অনুষ্ঠানে অতিথির সংখ্যাও থাকবে নিয়ন্ত্রিত। তারপর ৬ ও ৭ মে শপথ নেবেন বিধানসভা নির্বাচনের নবনির্বাচিত বিধায়করা। বরাবরের মতো এবারও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার হতে চলেছেন বিমান বন্দোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের মন্ত্রী কারা হবেন, তা ঠিক করেবেন তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী নিজেই।

গত ২৭ মার্চ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত মোট আট দফায় পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ২৯৪টি আসনের মধ্যে তৃণমূল জয়ী হয়েছে ২১৩টি আসনে। বিজেপি জয় পেয়েছে ৭৭টিতে।




গণপরিবহন চালুসহ ৩ দফা দাবিতে ঢাকায় বিক্ষোভ

স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালুসহ তিন দফা দাবিতে বাংলাদেশের রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী  আজ (রোববার) সকালে সায়েদাবাদ ও গাবতলি বাস টার্মিনালে এ বিক্ষোভ করেন তারা। এসময় শ্রমিকদের হাতে বিভিন্ন দাবি সংবলিত ব্যানার-ফেস্টুন দেখা গেছে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত সারা দেশে ২৪৯টি পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন সারা দেশে এ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছে আজ। এছাড়া, ৪ঠা মে তাদের তিন দফা দাবিতে সারাদেশে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে তারা।

শ্রমিক নেতারা দাবি করেছেন, লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ৫০ লাখ সড়ক পরিবহন শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। উপার্জনের পথ বন্ধ হওয়ায় তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এতে অর্ধাহারে-অনাহারে থাকা শ্রমিকদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

এ জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চালুর পাশাপাশি শ্রমিকদের আর্থিক অনুদান ও খাদ্য সহায়তা প্রদান এবং শ্রমিকদের জন্য ১০ টাকায় চাল বিক্রির ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয়।

সাভারে বাস চালু

এদিকে, নির্দেশনা অমান্য করেই সাভারের সড়কে বাস চালাতে শুরু করেছে শ্রমিকেরা। যাত্রীরাও দ্বিগুণ ভাড়ায় গাদাগাদি করে এক স্থান থেকে অন্য অন্য স্থানে যাতায়াত করছে।

আজ (রোববার) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গেছে,   সাভারের ঢাকা-আরিচা ও আশুলিয়ার নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে চলাচল করছে স্থানীয় বাস। মাঝে মধ্যে দূরপাল্লার দুই-একটি বাস ও চলতে দেখা গেছে।

গাবতলীতে বিক্ষোভ

‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিবহন চলবে’- এই শ্লোগানে বিক্ষোভ কর্মসূচি

আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন নেতাকর্মীরা।

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সম্পাদক মো. আব্বাস উদ্দিন বলেন, আমাদের রুটি-রুজির কথা চিন্তা করে আজ সকাল থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছি। এই কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় আগামী ৪ তারিখ সারা দেশে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ফেডারেশনের নির্দেশে আমাদের এই বিক্ষোভ কর্মসূচি চলমান থাকবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত।

তিনি বলেন, লকডাউনের কারণে দীর্ঘদিন বাস চলাচল না করায় পরিবহন শ্রমিকরা মানবেতর দিনযাপন করছেন। অনেকে না খেয়ে দিনযাপন করছেন। অনেক পরিবহন মালিকরা ব্যাংকের ঋণের টাকা পর্যন্ত পরিশোধ করতে পারছেন না। প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিক বেকার অবস্থায় পড়ে আছে। রাজনৈতিক নেতারা রাজনৈতিক কর্মীদের সাহায্য সহযোগিতা করছে কিন্তু আমাদের খবর কেউ রাখছেন না। কারণ গাড়ি চলে তবেই আমরা খেতে পারি। অতি দ্রুত পরিবহন চালু করার দাবি জানাচ্ছি।

রাজশাহীতে বিক্ষোভ

অবিলম্বে গণপরিবহন চালুর দাবিতে রাজশাহীতে বিক্ষোভ করেছে শ্রমিকরা। রোববার সকালে সিরোইল বাস টার্মিনাল সংলগ্ন কার্যালয় থেকে তারা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। পরে মিছিলটি বের হয়ে বাস টার্মিনাল পর্যন্ত গিয়ে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

এসময় শ্রমিকরা বলেন, সারা দেশে নামমাত্র লকডাউন চলছে। বাজার-মার্কেট, দোকানপাট সব খোলা। শুধুমাত্র পরিবহন বন্ধ রয়েছে।

তারা বলেন, ঈদকে সামনে রেখে সবকিছু স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। তাহলে পরিবহন বন্ধ থাকবে কেন? সামনে ঈদ আমাদের দীর্ঘদিন কাজ নেই। কীভাবে ঈদ করব পরিবার নিয়ে? তাই অবিলম্বে বাস, ট্রাক চলাচল করার সুযোগ করে দিন।

এসময় ৫ মে’র মধ্যে গণপরিবহন চালু না করলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেন শ্রমিকরা।

নেত্রকোনায় মিছিল

স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে যানবাহন চলাচল,পরিবহন শ্রমিকদের আর্থিক অনুদানসহ খাদ্যসহায়তা প্রদান এবং সারাদেশে পরিবহন শ্রমিকদের ১০ টাকা কেজি চালের ব্যবস্থা চালুর দাবিতে নেত্রকোণায় জেলা মোটরযান কর্মচারী ইউনিয়নের উদ্যোগে আজ সকালে বিক্ষোভ মিছিল করেছে পরিবহন শ্রমিকরা।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার সকাল ১১টায় শহরের বারহাট্টা রোডে মোটরযান কর্মচারী ইউনিয়ন কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরিবহন শ্রমিকদের বিক্ষোভ মিছিলটি শহর প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে গিয়ে  সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।

এসময় বক্তারা বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে পরিবহণ বন্ধ থাকায় তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অবিলম্বে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে যানবাহন চলাচল শুরুর নির্দেশ দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- জেলা মোটরযান কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আদব আলী, শ্রমিক নেতা সিবলী সাদিক, বজলুর রহমান ও আব্দুল জলিলসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।#




করোনা: গুজরাটের পর দিল্লির মসজিদে ‘কোয়ারেন্টিন সেন্টার’ স্থাপন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসায় ভারতের গুজরাটের পর রাজধানী দিল্লির গ্রিন পার্ক মহল্লার একটি মসজিদে সাময়িক কোয়ারেন্টিন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। মসজিদের ভেতরে দশটি বেড দেয়া হয়েছে। এছাড়া রোগীদের জন্য খাবার, ওষুধ, মাস্ক ও স্যানিটাইজারের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা এতে করা হয়েছে। মসজিদের ম্যানেজিং কমিটির জয়েন্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ সেলিম জানান, করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় তারা মসজিদে কোয়ারেন্টিন সেন্টার স্থাপন করেন। ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুসারে তারা এখানে রোগীদের ভর্তি করাচ্ছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা রোগীদের জন্য ওষুধ, মাস্ক, স্যানিটাইজার ও পিপিইর ব্যবস্থা করছি। যদিও বর্তমানে আমাদের কাছে অক্সিজেন নেই তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরবরাহের চেষ্টা করছি।’ ভারতে দ্বিতীয় ধাপের করোনাভাইরাস সংক্রমণের ধাক্কায় দেশটির বিভিন্ন মসজিদ ও মাদরাসাকে করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহারে কাজে লাগাচ্ছেন মুসলমানরা।




পশ্চিমবঙ্গে মমতার মহাজয়

ডিএবি নিউজ ডেস্ক:

পশ্চিমবঙ্গে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। রোববার বেসরকারি ফলাফলে ২৯২ আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ১৯০ আসন। আর ৯৫টি আসনে বিজেপি জয় লাভ করেছে।

আনন্দবাজার পত্রিকার খবর অনুযায়ী, বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফলে ১৯০টি আসনে এগিয়ে তৃণমূল। অন্যদিকে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ৯৫টি আসনে।

এদিন, সকাল থেকে এখনও আট দফার নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হচ্ছে। ভারতীয় সময় সকাল ৮টা (বাংলাদেশ সাড়ে ৮টা) থেকেই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ২৯২টি আসনের ভোট গণনা শুরু হয়।

বিধানসভার মোট আসন ২৯৪টি থাকলেও দুই প্রার্থী মারা যাওয়ায় ওই দুটি আসনের নির্বাচন স্থগিত করা হয়। সমশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে করোনা সংক্রমিত হয়ে দুই প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ওই দুই আসনে ভোট হবে ১৬ মে।