মালির ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম আর নেই

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

মালির ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বাউবাকার কেইতা মারা গেছেন। ৭৬ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। খবরটি নিশ্চিত করেছে তার পরিবার ও সাবেক সহকর্মীরা।

দুই বছর আগে মাইনর স্ট্রোক করেন কেইতা। তবে কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা জানানো হয়নি। রবিবার রাজধানী বামাকাওয়ে নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন কেইতা। এএফপি নিউজ এজেন্সিকে এমনটাই জানায় তার পরিবারের এক সদস্য।

সাত বছর মালির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সরকার বিরোধী বিক্ষোভের পর এক সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন কেইতা। অর্থনৈতিক সংকট ও বিতর্কিত নির্বাচন কেইতা শাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকে উস্কে দিয়েছিল।

তিনি তিন দশকের বেশি সময় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১৯৯৪ থেকে ২০০০ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন কেইতা।




যে ফলাফলই হোক না কেন মেনে নেব: আইভী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। তিনি বলেছেন, ‘সুষ্ঠু ভোট হলে আমার বিজয় সুনিশ্চিত। যে ফলাফল হোক না কেন মেনে নেব’।

ভোটে যেন কোনো ধরনের কারচুপি কিংবা সহিংসতা না ঘটে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

রোববার বেলা ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের দেওভোগ শিশুবাগ কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর তিনি এসব কথা বলেন।

আইভী বলেন, অবশ্যই জয়ী হব। এখনও পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট চলছে। সবাইকে ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দেওয়ার অনুরোধ রইল।

এর আগে বেলা পৌনে ১১ টার দিকে কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন নৌকার এই প্রার্থী। এ সময় বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, নেতাকর্মী ও গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন। ভিড় ঠেলে তিনি কেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

এদিকে ভোট শুরুর পরপরই কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেন স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার। নির্বাচনে মেয়র পদে হাতি প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি। সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে নগরীর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি।




আগামীকাল নারায়ণগঞ্জে জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া চলাচলে নিষেধাজ্ঞা

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

 ভোটের দিন নারায়ণগঞ্জে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ছাড়া কেউ চলাচল করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. জায়েদুল আলম।

তিনি বলেছেন, আমাদের তরফ থেকে নির্বাচনী কোনো সহিংসতার আশঙ্কা নেই। নির্বাচনের দিন কোনো বহিরাগতকে নারায়ণগঞ্জে প্রবেশ করতে দেবো না। ভোটের দিন সবাইকে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে চলাচল করতে দেওয়া হবে। এজন্য রোববার (১৫ জানুয়ারি) নগরবাসীকে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে চলাচল করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।

শনিবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রোববার এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এসপি জায়েদুল আলম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থী লিখিতভাবে অভিযোগ করেননি। মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা সেসব অভিযোগ পেয়েছি সেগুলো নিয়ে স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে তদন্ত করে দেখছি। কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে বা কোনো বাধা দেওয়া হচ্ছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই আনন্দ ও উৎসবমুখর পরিবেশেই প্রার্থীরা প্রচারণা চালিয়েছেন।’




ফের জাতীয় ঐক্যের ডাক দিলেন ড. কামাল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ‘দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে এই মুহূর্তে জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন। আমি সব সময় ঐক্যের কথা বলেছি। দেশ ও জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে ঐক্যের কথা আবারও বলছি। দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে ঐক্য করুন।’

গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে মোস্তফা মহসিন মন্টুর নেতৃত্বাধীন গণফোরামের একাংশের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ‘মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার ভূলুণ্ঠিত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘সংবিধানে স্পষ্ট লেখা আছে ‘দেশের মালিক জনগণ’। তাই দেশ জনগণের হাতেই তুলে দিতে হবে। নির্বাচনে কালো টাকার খেলা বন্ধ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আজ ১০ জানুয়ারি, আমার জীবনের স্মরণীয় দিন। এই দিনে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বাংলাদেশে ফিরেছিলাম। বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন, তা আজ অনেক দূরে। তাই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা রক্ষা করতে আসুন আবার আমরা ঐক্যবদ্ধ হই।’

গণফোরামের একাংশের সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন দলটির নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, নির্বাহী সভাপতি আসাদুজ্জামান, বীর প্রতীক মহিউদ্দিন আব্দুল কাদের, অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ ও অ্যাডভোকেট জগলুল আফ্রিদি।




ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৪৪ ধারা: সমাবেশের চেষ্টা বিএনপির, ঢুকতে পারেননি রুমিন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৪৪ ধারা ভেঙে সমাবেশের চেষ্টা করছে বিএনপি।

এদিকে সমাবেশে যাওয়ার পথে আশুগঞ্জে আটকে দেওয়া হয়েছে বিএনপির সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাকে। বিএনপি ও ছাত্রলীগ একই স্থানে সমাবেশ ডাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ফুলবাড়িয়া কনভেনশন সেন্টারসংলগ্ন এলাকায় শনিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন।

তবে দুপুর সাড়ে ১২টার পর শহরের উপকণ্ঠে বটতলী বাজার এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। তারা বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন।

এদিকে পাল্টা সমাবেশের ঘোষণা দিলেও মাঠে নামেনি ছাত্রলীগ। এর আগে আরও কয়েকটি জেলায় ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনগুলো পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা দিলে বিএনপির সমাবেশে ঘিরে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. এমরানুল ইসলাম বলেন, ১৪৪ ধারা জারিকৃত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে সমাবেশে যোগ দিতে ঢাকা থেকে যাওয়ার পথে আশুগঞ্জের উজানবাড়ি এলাকায় আটকে দেওয়া হয় ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাকে।

আশুগঞ্জ থানার ওসি আজাদ রহমান বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৪৪ ধারা জারি করায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় বিএনপির ওই নেত্রীকে সেখানে যেতে দেওয়া হয়নি। দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করে তিনি ঢাকা ফিরে যাবেন।




নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন: অবশেষে কিছু বললেন শামীম ওসমান

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, এখন এত মুখোশ পরা মানুষ, এত নেকাব পরা মানুষ, সেই মুখোশের অন্তরালে লুকিয়ে থাকা বীভৎস চেহারা যখন দেখি তখন আতঙ্কিত হই।

বুধবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ জেলা টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের অভিষেক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আমরা দেখেছি বঙ্গবন্ধু যেদিন দেশে ফিরে এসেছিলেন তখন বেঈমান মোশতাক কী সুন্দর কান্না করছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলেন তাজউদ্দীন চান নাই আপনি দেশে ফিরেন। সেই মুখোশ পরা লোকগুলি আমাদের আশেপাশেই আছে। অনেক কিছুই দেখছি, অনেক কিছুই শুনছি। অনেক কিছুই বলার আছে। সময় হলে সব কিছুই বলা হবে।

নগরীর পুরাতন কোর্ট এলাকায় অবস্থিত পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

শামীম ওসমান বলেন, সততার কোনো রূপ বা চেহারা যদি থাকে সেটি হলো আমার নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। আমি সৎ মানুষগুলোকে বেশি ভালোবাসি কারণ আমি একজন সৎ মানুষের ঘরে জন্মেছি। আমার দাদা খান সাহেব ওসমান আলী ১৯২২ সালে রোলস রয়েস গাড়ি কিনেছিলেন। আমার প্রয়াত বড় ভাই নাসিম ওসমানের বিয়ের রাতে ছিলেন প্রয়াত শেখ কামাল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর নববধূকে রেখে আমার ভাই নাসিম ওসমান চলে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিশোধ নিতে।

তিনি বলেন, আমার বাবা একেএম সামসুজ্জোহাকে খুনি মোশতাক তার মন্ত্রী পরিষদে যোগ দিতে বলেছিল কিন্তু তিনি তা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং গ্রেফতার হয়েছিলেন। আমরা ১ বেলা খেয়েছি, ৯শ টাকার জন্য কলেজে ফরমফিলাম করতে পারিনি। আমার বাবা একটি টাকাও রেখে যাননি ।

শামীম ওসমান বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর জাতীয় চার নেতাকে হত্যার সময় আমার বাবাও সেখানে জেলখানায় ছিলেন। শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী চাচাকে ওজুও করতে দেয়া হয়নি। সেদিন তারা বলেছিলেন, আমাদের হত্যা করো আমরা মরেও প্রমাণ করতে চাই আমরা শেখ মুজিবের লোক ছিলাম। সেই রকম সৎ লোকগুলোর বড় অভাব এখন।

শামীম ওসমান বলেন, আমি রাজনীতি করি মানুষকে ভালবেসে, ইবাদত হিসেবে। ১৬ জুন বোমা হামলায় আমার ২০ জন লোক মারা গেছে। আমার চন্দন শীলের পা নেই তিনি এখনও ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে কাজ করে খান। কোনো ধান্দাবাজি করেন না। এতেই আমার গর্ব লাগে। বোমা হামলায় আমি রক্তের মধ্যে শুয়েও বলেছিলাম, আপনারা শেখ হাসিনাকে বাঁচান। আমরা ওই রকমের রাজনীতিই করি।

শামীম ওসমান এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন শেখ রেহানা তার বুকে হিমালয়সম কষ্ট চেপে আছেন। তিনি নিজের নামে কোনো স্থাপনা তো দুরে থাক একটি গাছও লাগাতে দেননি। আমি ডিও লেটার দিয়েছিলাম শেখ রেহানার নামে নারায়ণগঞ্জে একটি মেডিকেল কলেজ হোক। প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছিলেন শেখ রেহানাকে রাজি করাও। উনি দয়া করে , স্নেহ করে সেই অনুমতি দিয়েছিলেন। নারায়ণগঞ্জে শেখ রেহানা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হচ্ছে।

শামীম ওসমান এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত নতুন প্রজন্মের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা জীবনে যদি ভালো কিছু করতে চাও, তবে বাবা মায়ের প্রতি দায়িত্ব পালন করো। যে সন্তান তার মা-বাবার প্রতি দায়িত্ব পালন করবে, তাকে কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। আর যদি তোমার কারণে তোমার বাবা মাকে কেউ অপমানিত করে তবে অন্তত পক্ষে প্রতিবাদ করতে না পারলেও সেই অপমানকারীর সঙ্গে আপোষ কোরো না। তবে তুমি তোমাকে তুমি ক্ষমা করতে পারবে না।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য কাশেম হুমায়ুন, বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, বিকেএমইএর সাবেক পরিচালক মাসুদুজ্জামান প্রমুখ।




আগামীকাল পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচন: মাঠে নামছে পুলিশ-র‍্যাব-বিজিবি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

পঞ্চম ধাপের ৭০৮ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল বুধবার। সোমবার (৩ জানুয়ারি) মধ্যরাতে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার শেষ হয়েছে।

ভোটগ্রহণ সামনে রেখে নির্বাচনী এলাকায় পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা মাঠে নেমেছেন। এছাড়া আচরণবিধি দেখভাল করতে জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরাও রয়েছেন। নির্বাচন কমিশন কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এ ধাপের নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ছাড়াও দলটির বিপুল সংখ্যক বিদ্রোহী প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। ক্ষমতাসীন দলের একাধিক প্রার্থী মাঠে থাকায় সহিংসতার শঙ্কাও রয়েছে। যদিও ৪৮ জন চেয়ারম্যানসহ ১৯৩ জন জনপ্রতিনিধি বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। তাদের মধ্যে সংরক্ষিত পদের সদস্য ৩৩ জন এবং সাধারণ সদস্য ১১২ জন। বাকি পদগুলোতে ভোট হবে।

জানা গেছে, এ ধাপে ৭০৮টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ৪০টিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে। বাকিগুলোতে ব্যালটে ভোট হবে। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩৬ হাজার ৪৫৭ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান ৩ হাজার ২৭৪ জন, সংরক্ষিত সদস্য ৭ হাজার ৯৫০ এবং সাধারণ সদস্য ৩৯ হাজার ৩৯১ জন। এ ধাপে মোট ভোটার সংখ্যা ১ কোটি ৪২ লাখ ২০ হাজার ১৯৫ জন। এরমধ্যে নারী ভোটার ৬৮ লাখ ৩৬ হাজার ৩১ জন ও পুরুষ ৭০ লাখ ৬০ হাজার ১৪০ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ২১ জন।

এ ধাপের ইউপি নির্বাচনে ৫২ জন চেয়ারম্যান বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ৩২ জন এবং সাধারণ সদস্য ১০৯ জন বিনা ভোটে জয়ী হন।




উন্নয়ন দৃশ্যমান, সুফল পাচ্ছে দেশের মানুষ: প্রধানমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকায় উন্নয়ন দৃশ্যমান এবং দেশের মানুষ এর সুফল পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিজয়ের ৫০ বছরে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হওয়া বড় অর্জন। আজ রোববার (২ জানুয়ারী) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের স্বীকৃতি প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও সরকারের ধারাবাহিকতায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ উদযাপন উপলক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের উদ্যোগে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজন করা হয় এ অনুষ্ঠানের। সেখানে স্পিকার এ কথা বলেন।

স্পিকার বলেন, তিনটি মানদণ্ড পূরণ করে বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ হয়েছে। এটিকে জাতিসংঘ মিরাকল বলে অভিহিত করেছেন। বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে সংবিধান প্রণয়ন করেছিলেন। তিনি মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়ে দেশে উন্নয়নের ভিত রচনা করেছিলেন। সেই ভিত থেকে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন তারই উত্তরসূরি শেখ হাসিনা। বলেন, ২০০৯ সালে দারিদ্র ছিল ৪০ শতাংশ, সেখান থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ২১ শতাংশ। শিক্ষার হার বেড়েছে। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হবে। দেশ থেকে মঙ্গা দূর হয়েছে। আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি।

স্পিকার আরও বলেন, পিতার আদর্শকে ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের ৪১তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। ২০২১ সালের রূপকল্পের আলোকে এগিয়েছে দেশ। কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ডিজিটাল দেশ গঠনে এগিয়ে যাচ্ছে। ৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হবে বাংলাদেশ।




সবাইকে এক সাথে কাজ করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

সকলকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির মহাসড়কে শামিল করতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাসমূহকে এক সাথে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

রোববার (২ জানুয়ারি) ‘জাতীয় সমাজসেবা দিবস’ উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে জাতীয় সমাজসেবা দিবস ২০২২ উদযাপনের উদ্যোগকে তিনি স্বাগত জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ভাতা জিটুপি পদ্ধতিতে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে এবছরের জাতীয় সমাজসেবা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘মুজিববর্ষের সফলতা, ঘরেই পাবেন সকল ভাতা’ যথার্থ হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতা। তার নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে এবং দেশ পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয়। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে দুস্থ ও অসহায় মানুষের জন্য তিনি বিভিন্ন কল্যাণধর্মী কর্মসূচি গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৪ সালে সুদমুক্ত ঋণ কার্যক্রম প্রচলন করে দেশে ও সমসাময়িক বিশ্বে অনন্য নজির স্থাপন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় সরকার প্রতিবন্ধী, অসহায় ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন সমাজসেবা অধিদফতর ৫২টি কর্মসূচির সমন্বয়ে সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। যা সামাজিক নিরাপত্তা বলয় সুদৃঢ়করণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তবে প্রকৃত দরিদ্ররা যাতে সরকারের এসব কর্মসূচির সুফল ভোগ করতে পারে সে বিষয়ে সকলকে সচেষ্ট থাকতে হবে।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে শামিল হওয়ার জন্য সরকার ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা বাংলাদেশকে একটি আধুনিক কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হবো- এ প্রত্যাশা করি।




হাসপাতাল ছেড়ে কাজে ফিরলেন ওবায়দুল কাদের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

চিকিৎসা শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ছেড়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

দৈনন্দিন কাজে যোগ দিতে হাসপাতাল থেকে ওবায়দুল কাদের সরাসরি গেছেন সচিবালয়ে তার নিজ দপ্তরে। সেখান থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন ‘ঢাকা নগর পরিবহন’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে।

এর আগে আজ রোববার সকাল ১০টায় ওবায়দুল কাদেরকে ছাড়পত্র দেয় বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ।

চিকিৎসকরা বলেন, ‘আমরা আজ মেডিকেল বৈঠক করি। বৈঠকে তার স্বাস্থ্যের যত রিপোর্ট ছিল, সেগুলো দেখে সবকিছু ভালো হওয়ায় তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। সকাল ১০টায় তিনি হাসপাতাল ছাড়েন।’ উল্লেখ্য, ঠান্ডাজনিত সমস্যা দেখা দিলে গত ১৪ ডিসেম্বর সকালে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করানো হয় ওবায়দুল কাদেরকে। হাসপাতালের ৩১২ নম্বর ভিআইপি ক্যাবিনে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।