দুর্গাপুরে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পালিত

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

সারাদেশের ন্যায় নেত্রকোনার দুর্গাপুরে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা আওয়ামীলী‘র আয়োজনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত হয়েছে। সোমবার দিনব্যাপি নানা আয়োজনে এ দিবস পালিত হয়।

এ উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ চত্ত¡রে সকাল ৯টা থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে সর্বস্তরের অংশগ্রহনে পুষ্পস্তবক অর্পন শেষে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. গোলাম মোস্তফা এর সঞ্চালনায় ইউএনও মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে আলোচনা করেন, এএসপি সার্কে মাহমুদা শারমীন নেলী, সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. আরিফুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলা উদ্দিন আল আজাদ, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার সোহরাব হোসেন তালুকদার সহ নানা দপ্তরে কর্মরত অফিসারবৃন্দ। আলোচনা শেষে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে দিবস কেন্দ্রীক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধকে জানি শীর্ষক প্রামান্য চিত্র ও মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচিত্র প্রদর্শন করা হয়।




বাধা যতই এসেছে ৭ মার্চের ভাষণ ততই উদ্ভাসিত হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যতই বাধা এসেছে ৭ মার্চের ভাষণ ততই উদ্ভাসিত হয়েছে। সোমবার (৭ মার্চ) ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ২০২২’ উদযাপন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

সরকার প্রধান বলেন, ১৯৭৫ থেকে ৯৬ সাল পর্যন্ত এদেশে এই ভাষণ প্রচার নিষিদ্ধ ছিল, যেমনটা করেছিল পাকিস্তানের সামরিক শাসকগোষ্ঠী- তারাও সেদিন রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে এ ভাষণ প্রচার করতে দেয়নি। কিন্তু সত্য সর্বদাই অনিরুদ্ধ। তাই নিপীড়িত-নির্যাতিত বাঙালিদের মুক্তির এ মহামন্ত্র শুধু বাংলাদেশেই নয়-বিশ্বজুড়ে সমাদৃত হচ্ছে, অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ যুগ যুগ ধরে মানুষকে অনুপ্রেরণা দিয়ে যাবে।

আর কেউ কোনোদিন ইতিহাস মুছে ফেলতে পারবে না, এই ভাষণ বিশ্বে চিরন্তন হয়ে থাকবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর এই আদর্শ, এই স্বাধীনতা আর কেউ নস্যাৎ করতে পারবে না, আজকের প্রজন্ম বিশ্বের কাছে উন্মুক্ত, তাদের আর বিভ্রান্ত করা যাবে না, হয়ত ২১ বছর করেছিল এখন আর পারবে না, প্রযুক্তির যুগে আর অন্ধকারে তাদের নেওয়া সম্ভব না।




আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এক অনন্য দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (রেসকোর্স ময়দান) বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একাত্তরের ৭ মার্চ দেয়া ঐতিহাসিক ভাষণ পরবর্তীসময়ে স্বাধীনতার সংগ্রামের বীজমন্ত্রে রূপ নেয়। এ ভাষণ শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলিলই নয়, জাতির সাংস্কৃতিক পরিচয় বিধানের একটি সম্ভাবনাও তৈরি করে।

বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিকবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো। এছাড়াও এ ভাষণটি পৃথিবীর অনেক ভাষায় অনুদিত হয়েছে।

একাত্তরের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর এই উদ্দীপ্ত ঘোষণায় বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার দিক-নির্দেশনা। এরপরই দেশের মুক্তিকামী মানুষ ঘরে ঘরে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। বঙ্গবন্ধুর এই বজ্রনিনাদে আসন্ন মহামুক্তির আনন্দে বাঙালি জাতি উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। যুগ যুগ ধরে শোষিত-বঞ্চিত বাঙালি ইস্পাতকঠিন দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যায় কাক্সিক্ষত মুক্তির লক্ষ্যে।

১৯৪৭ সালে ধর্মীয় চিন্তা, সাম্প্রদায়িকতার মানসিকতা ও দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে গঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ২৩ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যদিয়ে বাঙালি জাতিসত্ত্বা, জাতীয়তাবোধ ও জাতিরাষ্ট্র গঠনের যে ভিত রচিত হয়, তারই চূড়ান্ত পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পর ছাত্র-কৃষক-শ্রমিকসহ সর্বস্তরের বাঙালি স্বাধীনতা অর্জনের জন্য মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করে।

বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় ছিনিয়ে আনে বাঙালি জাতি। এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণে গর্জে ওঠে উত্তাল জনসমুদ্র। লাখ লাখ মানুষের গগনবিদারী শ্লোগান। বসন্তের মাতাল হাওয়ায় ওড়ছিল বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত লাল-সবুজের পতাকা। লাখো শপথের বজ্রমুষ্টি উত্থিত হয় আকাশে। সেদিন বঙ্গবন্ধু মঞ্চে আরোহণ করেন বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে। মাত্র ১৮ মিনিটের ভাষণ। স্বল্প সময়ে তিনি ইতিহাসের পুরো ক্যানভাসই তুলে ধরেন।




আমি সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছি: সিইসি

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেছেন, আমি মনে করি আমি সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছি। সবগুলো নির্বাচন শেষ করে দিয়েছি। একটা নির্বাচনও বাকি রাখিনি। ১০ তারিখ যেটা ছিল সেটার সময় হয়েছিল, সব নির্বাচন শেষ করে এবার আমরা পরিপূর্ণভাবে নির্বাচন শেষ করেছি।

রোববার বেলা ১১টার দিকে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (বাংলা পাঠ) এবং জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন ২০২১ এর মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

কমিশনের সফলতা বা ব্যর্থতা নিয়ে সিইসি বলেন, আমরা সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছি। কোনো রকমের কারও কথায় না, আইনের শাসনের মধ্যে থাকার চেষ্টা করেছি। একটা পদের জন্য নির্বাচন করেন সাতজন, পাস করে একজন। বাকি ছয়জন তো সমালোচনা করবেই। সমালোচনা হবে, ভালোমন্দ বলবে। এটা স্বাভাবিক, এদেশের কালচার অনুযায়ী স্বাভাবিক।

নির্বাচন সুষ্ঠতা নিয়ে তিনি বলেন, সব সুষ্ঠু হয়েছে তা নয়; মারামারি হয়েছে, কোথাও ব্যালট ছিনতাই হয়েছে আবার ধরা পড়েছে। নির্বাচন বন্ধ হয়েছে। আবার পুনরায় নির্বাচন হয়েছে। সুতরাং সবগুলো নির্বাচন পরিপূর্ণ সুষ্ঠু হয়েছে তা বলা যাবে না, কিছু নির্বাচন তো এমন হয়েছেই।

সিইসি উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে বলেন, আপনারাই বলেন শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে, প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হচ্ছে। শীতের দিনে রোদের মধ্যে নারী পুরুষ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিচ্ছে, ৭০ শতাংশ ভোট দিচ্ছে, ইভিএমে ৭০ শতাংশ ভোট দিচ্ছে। এরচেয়ে সফল নির্বাচন আর কি হতে পারে।

উল্লেখ্য, কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ আগামীকাল সোমবার শেষ হচ্ছে।




ইসি গঠনে কোনো প্রক্রিয়াতে থাকবে না বিএনপি: ফখরুল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

শুধু সার্চ কমিটি নয়, নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের বিষয়ে কোনো প্রক্রিয়াতে বিএনপি থাকবে না বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ রোববার সকালে ঠাকুরগাঁও শহরে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

এই সার্চ কমিটি আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয় উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, শুধু সার্চ কমিটি নয়, নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে কোনো প্রক্রিয়াতে আমরা থাকব না। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না। এটা পরীক্ষিত সত্য। তাই এই সার্চ কমিটি সম্পর্কে আমাদের কোনো আগ্রহ নেই।

নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতা, সুষ্ঠু নির্বাচন গ্রহণ এবং দেশ পরিচালনায় ব্যর্থতার অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই দায় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এবং সভানেত্রী শেখ হাসিনার। কোনোভাবে এই ব্যর্থতার দায় এড়াতে পারেন না তারা।

সার্চ কমিটিতে অংশগ্রহণ না করলে মামলা হবে প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, কোনো ধারণা নেই তাদের আইন সম্পর্কে। রাজনৈতিক দলের ওপর কোনো বাধা বাধ্যকতা থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, অন্য দলের সিদ্ধান্তের বিষয়ে কেউ হস্তক্ষেপ করতে পারেন না।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমানসহ দলের অন্য নেতারা।




আমরা জনগণের ভোটের অধিকারে বিশ্বাসী: প্রধানমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক: ‘

বিএনপি-জামায়াত বা অন্যান্য দল যারা নির্বাচন নিয়ে সমালোচনা করে থাকে তাদের প্রতিষ্ঠা কার হাত দিয়ে? অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীর হাত দিয়ে। জনগণের কাছে ভোট চেয়ে নেওয়ার অভ্যেসই তাদের ছিল না। বরং কেড়ে নেওয়া, চুরি করাই তাদের অভ্যাস ছিল। তারা গণতন্ত্রের অর্থ বোঝে না, জনগণের অধিকারের অর্থও তারা বোঝে না। সেই শিক্ষাই তাদের নাই। তারা বোঝে সন্ত্রাস, তারা বোঝে দুর্নীতি, তারা বোঝে জঙ্গিবাদ, তারা বাংলাভাই সৃষ্টি করতে পারে, তারা মানুষ হত্যা করতে পারে।’

বুধবার সকালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর শপথ পাঠ করানোর পর নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মেয়র আইভীকে শপথ পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী। এরপর কাউন্সিলরদের শপথ পাঠ করান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, একটা সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে যে দল চেয়ারপার্সন করে বা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে; সাজাপ্রাপ্ত আসামি যে দলে, সেই দলকে জনগণ কেন ভোট দেবে? তারা ভোটের আশা করে কীভাবে?’

নবনির্বাচিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানুষ কিন্তু এখন সচেতন; এটা মনে রাখতে হবে। কাজেই সেটা মাথায় রেখেই আপনার আপনাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন।’

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে আপনারা বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করেছে। জনগণ তাদের মনমত প্রার্থী নির্বাচিত করতে পেরেছে। এই জায়গা একটা সুযোগ, বাংলাদেশের মানুষ দেখুক। নারায়ণগঞ্জে একটা বিরাট দৃষ্টান্ত স্থাপন হলো যদিও আমাদের বিরোধী দল অনেক অপপ্রচার চালায় কিন্তু তারা কখনও আয়নায় নিজের চেহারা দেখে না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির নেতৃত্ব কোথায়? তাদের তো নেতৃত্ব বলে কিছু নেই। একজন এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করে সাজাপ্রাপ্ত বন্দী। আমরা তাকে ঘরে থাকার একটা সুযোগ করে দিয়েছি। আর একজন ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাকারবারি, ২১ শের আগস্টের গ্রেনেড হামলা এবং দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। সেই দুর্নীতির তথ্য শুধু আমরা না আমেরিকার এফবিআই খুঁজে বের করেছে। সেই সব মামলা সাজাপ্রাপ্ত আসামি ২০০৭ সালে বা ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে মুচলেকা দিয়ে গেছে যে আর কোনো দিন রাজনীতি করব না। এই মুচলেকা দিয়েই দেশ থেকে চলে গিয়েছিল খালেদার ছেলে তারেক রহমান। এখন বিদেশেই সে থাকে। সাজাপ্রাপ্ত আসামি যে দলে সেই দলকে জনগণ কেন ভোট দেবে? সেই ভোটের আশা তারা করে কীভাবে? তারা আসলে নির্বাচন চায় না। তারা নির্বাচনের অর্থ বোঝে না। ভোট চুরি করতে জানে, কিন্তু জনগণের ভোট নিতে জানে না। জনগণ যে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবে, জনগণের যে ভোট দেবার অধিকার, সেই অধিকারে তারা বিশ্বাস করে না। এটা হলো বাস্তবতা।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি গণতন্ত্রে, আমরা বিশ্বাস করি জনগণের ভোটের অধিকারে, আমরা বিশ্বাস করি জনগণ তার ভোট দিয়ে মনমত প্রার্থী নির্বাচিত করবে, যে তাদের জন্য কাজ করবে। জনগণ কখনও ভুল করে না এটা হলো বাস্তবতা। নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনটা খুব ভাল হয়েছে। ভোটে এটাই প্রমাণিত হয়েছে কে জনগণের জন্য কাজ করবে, সেটা তারা নিজেরা বেছে নিতে পারে। সেই বিবেচনা জনগণের আছে এবং জনগণের উপর আস্থা রেখেই আমরা আমাদের সব কাজ করি। আমাদের উন্নয়নের কাজগুলো যেন অব্যাহত থাকে সেটাই চাই।’




আমরা জনগণের ভোটের অধিকারে বিশ্বাসী: প্রধানমন্ত্রী

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ‘বিএনপি-জামায়াত বা অন্যান্য দল যারা নির্বাচন নিয়ে সমালোচনা করে থাকে তাদের প্রতিষ্ঠা কার হাত দিয়ে? অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীর হাত দিয়ে। জনগণের কাছে ভোট চেয়ে নেওয়ার অভ্যেসই তাদের ছিল না। বরং কেড়ে নেওয়া, চুরি করাই তাদের অভ্যাস ছিল। তারা গণতন্ত্রের অর্থ বোঝে না, জনগণের অধিকারের অর্থও তারা বোঝে না। সেই শিক্ষাই তাদের নাই। তারা বোঝে সন্ত্রাস, তারা বোঝে দুর্নীতি, তারা বোঝে জঙ্গিবাদ, তারা বাংলাভাই সৃষ্টি করতে পারে, তারা মানুষ হত্যা করতে পারে।’

বুধবার সকালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর শপথ পাঠ করানোর পর নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মেয়র আইভীকে শপথ পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী। এরপর কাউন্সিলরদের শপথ পাঠ করান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, একটা সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে যে দল চেয়ারপার্সন করে বা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে; সাজাপ্রাপ্ত আসামি যে দলে, সেই দলকে জনগণ কেন ভোট দেবে? তারা ভোটের আশা করে কীভাবে?’

নবনির্বাচিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানুষ কিন্তু এখন সচেতন; এটা মনে রাখতে হবে। কাজেই সেটা মাথায় রেখেই আপনার আপনাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন।’

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে আপনারা বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করেছে। জনগণ তাদের মনমত প্রার্থী নির্বাচিত করতে পেরেছে। এই জায়গা একটা সুযোগ, বাংলাদেশের মানুষ দেখুক। নারায়ণগঞ্জে একটা বিরাট দৃষ্টান্ত স্থাপন হলো যদিও আমাদের বিরোধী দল অনেক অপপ্রচার চালায় কিন্তু তারা কখনও আয়নায় নিজের চেহারা দেখে না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির নেতৃত্ব কোথায়? তাদের তো নেতৃত্ব বলে কিছু নেই। একজন এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করে সাজাপ্রাপ্ত বন্দী। আমরা তাকে ঘরে থাকার একটা সুযোগ করে দিয়েছি। আর একজন ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাকারবারি, ২১ শের আগস্টের গ্রেনেড হামলা এবং দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। সেই দুর্নীতির তথ্য শুধু আমরা না আমেরিকার এফবিআই খুঁজে বের করেছে। সেই সব মামলা সাজাপ্রাপ্ত আসামি ২০০৭ সালে বা ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে মুচলেকা দিয়ে গেছে যে আর কোনো দিন রাজনীতি করব না। এই মুচলেকা দিয়েই দেশ থেকে চলে গিয়েছিল খালেদার ছেলে তারেক রহমান। এখন বিদেশেই সে থাকে। সাজাপ্রাপ্ত আসামি যে দলে সেই দলকে জনগণ কেন ভোট দেবে? সেই ভোটের আশা তারা করে কীভাবে? তারা আসলে নির্বাচন চায় না। তারা নির্বাচনের অর্থ বোঝে না। ভোট চুরি করতে জানে, কিন্তু জনগণের ভোট নিতে জানে না। জনগণ যে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবে, জনগণের যে ভোট দেবার অধিকার, সেই অধিকারে তারা বিশ্বাস করে না। এটা হলো বাস্তবতা।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি গণতন্ত্রে, আমরা বিশ্বাস করি জনগণের ভোটের অধিকারে, আমরা বিশ্বাস করি জনগণ তার ভোট দিয়ে মনমত প্রার্থী নির্বাচিত করবে, যে তাদের জন্য কাজ করবে। জনগণ কখনও ভুল করে না এটা হলো বাস্তবতা। নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনটা খুব ভাল হয়েছে। ভোটে এটাই প্রমাণিত হয়েছে কে জনগণের জন্য কাজ করবে, সেটা তারা নিজেরা বেছে নিতে পারে। সেই বিবেচনা জনগণের আছে এবং জনগণের উপর আস্থা রেখেই আমরা আমাদের সব কাজ করি। আমাদের উন্নয়নের কাজগুলো যেন অব্যাহত থাকে সেটাই চাই।’




নির্বাচনী সহিংসতায় প্রাণ গেল শিশুর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় ইউপি নির্বাচন চলাকালে এক শিশুকে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। সপ্তম ধাপের ইউপি নির্বাচন চলাকালে সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।   নিহত শিশুর নাম মোহাম্মদ তাসিফ, সে সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিলো। তাসিফের বয়স আনুমানিক ১৩ বছর।

সে নলুয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ মরফলা গ্রামের রিকশা চালক মো.জসিম উদ্দিনের ছেলে।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকার প্রার্থী লিয়াকত আলী বহিরাগত লোকজন এসে অফিস কেন্দ্র দখলের চেষ্টা চালায়। এই সময় স্থানীয় মেম্বার পদপ্রার্থী মিজানুর রহমানের ভাতিজা তাসিফ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলো।

বহিরাগত একদল সন্ত্রাসী এলোপাথাড়ি কোপানো শুরু করলে শিশু তাসিফ গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে দোহাজারী হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার বিষয়ে সাতকানিয়া থানা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সেখানে অতিরিক্ত ফোর্স পাঠানো হয়েছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।




‘দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ত্যাগ ও কুরবানীর নজির স্থাপন করতে হবে’

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ত্যাগ ও কুরবানীর দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। দ্বীনের জন্য রাসূল সা.কে দীর্ঘদিন পর্যন্ত সিয়ারে আবু তালেবে অবরুদ্ধ হতে হয়েছে। সকল প্রলোভনকে উপেক্ষা করে দ্বীন প্রতিষ্ঠার মিশনকে এগিয়ে নিয়ে বিশ্বে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন রাসূল সা.।

তিনি বলেন, ইসলামের এ পথ অত্যন্ত কঠিন ও কণ্টকার্কিণ্য। কাজেই ইসলামবিরোধী শক্তির মোকাবেলায় নিজেদেরকে যোগ্য, দক্ষ ও আদর্শবান হতে হবে।

আজ সকালে পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের পরিচিতি সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সহকারি মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, সেক্রেটারী জেনারেল হাফেজ ছিদ্দিকুর রহমান, সহকারি সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ওমর ফারুক, নগর নেতা মাওলানা কামাল হোসাইন প্রমুখ।

সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি হাফেজ শাহাদাত হোসেন প্রধানিয়ার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা আনিসুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত পরিচিতি সভায় বক্তব্য রাখেন ডা. মজিবুর রহমান, মুফতী আরিফ বিল্লাহ, ওমর ফারুক যশোরী, মু. শামীম আহমদ প্রমুখ।

মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, করোনার অজুহাতে সভা সমাবেশ, ওয়াজ মাহফিল বন্ধ করে দিয়ে ইসলামের জাগরণ বন্ধ করতে চাইছে সরকার। শ্রমিক শ্রেণিকে অবহেলায় রেখে দেশের উন্নয়ন সম্ভব হবে না। এজন্য দ্রব্যমূল্যের উর্বধগতি রোধ করতে হবে। গ্যাসের দামবৃদ্ধির প্রস্তাব বাতিল করতে হবে। জনদুর্ভোগ লাঘবে সরকারকে কাজ করতে হবে।

এম আর




‘সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে জনজীবন দূর্বিষহ করে তুলেছে’

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুহতারাম আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের তোয়াক্কা না করে নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়ন দেশে নতুন সঙ্কট সৃষ্টি করবে।

আজ বিকেলে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ-এর নগর সম্মেলনে প্রধান অথিতির বক্তবে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ -এর সহকারী মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ আলম, প্রধান বক্তা ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ -এর জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল ইউসুফ আহমাদ মানসুর। কামরাঙ্গিরচরস্থ একটি মিলনায়তনে সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মু. ইমরান হোসাইন নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে নগর ও থানা নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ইসি গঠন নিয়ে বাংলাদেশের বিরোধী সকল রাজনৈতিক দল আইন প্রণয়নের কথা বলছে, দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা নির্বাচন কমিশন আইনের প্রয়োজনীয়তা এবং ভূমিকা পালনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনের দাবি জানিয়েছেন, তখন জনমমের তোয়াক্কা না করে মন্ত্রিপরিষদে নির্বাচন কমিশন আইন ২০২২-এর খসড়া অনুমোদন করায় আমরা উদ্বিগ্ন।

তিনি বলেন, একদিকে রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, অন্যদিকে সরকার নিজেদের সুবিধামতো আইন পাসের প্রক্রিয়া শুরু করে, অতীতের অন্যান্য অনেক আইনের মতোই এই আইনও ক্ষমতাসীনদের স্বার্থ রক্ষা করবে। সরকারের প্রণীত নতুন আইনটি ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতোই কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়, তারই নতুন কৌশল মাত্র।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, নির্বাচনের সময় অবশ্যই অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকার গঠনের ব্যবস্থা রেখে এবং সকল রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি বলেন, ইসি আয়োজিত প্রতিটি নির্বাচনের পরে কনস্টিটিউশনাল কাউন্সিলের মাধ্যমে নির্বাচন ও ইসির মূল্যায়ন করতে হবে। নির্বাচনে কোন ধরণের অসততা, অদ¶তা ও প¶পাত পাওয়া গেলে নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের অপসারণের ব্যবস্থা থাকতে হবে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার শুধু জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করেই ক্ষান্ত হয়নি বরং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে জনজীবন দূর্বিষহ করে তুলেছে। এছাড়াও তিনি ঢাকা আলিয়ার জমি অধিগ্রহণের পায়তারা বন্ধ করার আহ্বান জানান।

সম্মেলনে পীর সাহেব চরমোনাই শাইখ আহসান ফয়েজীকে সভাপতি, মাহমুদুল হাসানকে সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ আব্দুর রহমানকে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর ২০২২ সেশনের জন্য কমিটি পুনর্গঠন করেন।

এম আর