সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের মামলা ডিবিতে স্থানান্তর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

দৈনিক প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের করা অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট মামলা ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। বুধবার (১৯ মে) দুপুরে নিশ্চিত করেছেন রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার আজিমুল হক।

এদিকে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা ও গ্রেফতারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি বলেছে, বিষয়টির দিকে তারা নজর রাখছে। এটি স্পষ্টতই উদ্বেগের বিষয়। মঙ্গলবার (১৮ মে) জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের সাংবাদিককে হয়রানি ও গ্রেফতার সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এ কথা বলেন। সেই সঙ্গে বুধবার (১৯ মে) সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা ও মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন সংগঠন। এ সময় প্রতিবাদকারীরা অনুসন্ধানী রিপোর্টার রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা করার তীব্র নিন্দা জানান। একই সঙ্গে অবিলম্বে তার মুক্তির দাবি করেন সাংবাদিকরা। একই দাবিতে গোপালগঞ্জ, ঝিনাইদহ, ফেনী ও ময়মনসিংহে মানববন্ধন এবং প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন সংবাদমাধ্যমকর্মীরা। উল্লেখ্য, সোমবার (১৭ মে) বিকেল ৩টার দিকে রোজিনা ইসলাম পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। স্বাস্থ্য সচিবের একান্ত সচিবের কক্ষে ফাইল থেকে নথি সরানোর অভিযোগে তাকে ওই রুমে আটকে রাখা হয় এবং তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়া হয়। নিজের ওপর নির্যাতনেরও অভিযোগ তোলেন রোজিনা। একপর্যায়ে সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পর তাকে শাহবাগ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রাতে রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় চুরি ও অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনে মামলা করা হয়। সকালে রোজিনাকে আদালতে তুলে পাঁচদিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। অন্যদিকে জামিন চান তার আইনজীবী। আদালত জামিন ও রিমান্ড নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।




কারাবরণ আবেদন নিয়ে থানায় হাজির সাংবাদিকরা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়রানিমূলক মামলা ও তাকে নিপীড়নের প্রতিবাদে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা স্বেচ্ছায় কারাবরণের আবেদন নিয়ে শাহবাগ থানায় অবস্থান নেন। মঙ্গলবার (১৮ মে) বিকেলে শাহাবাগ থানায় তারা অবস্থান নেন। অবস্থানরত সাংবাদিকরা বলেন, রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে যে ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে সেই একই অভিযোগ যে কোনো অনুসন্ধানী সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আনা যায়। সে কারণে রোজিনা ইসলামকে কথিত যে দোষে দোষী বলে অভিযুক্ত করা হচ্ছে।এমন অসংখ্য অভিযোগ থানায় উপস্থিত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধেও আনা যায়। কারণ অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা জনস্বার্থে এমন গোপন নথির মাধ্যমে দুর্নীতি উন্মোচন করে থাকেন। তাই তারা স্বেচ্ছায় কারাবরণের আবেদন নিয়ে থানায় হাজির হয়েছেন। কারাবরণের আবেদন নিয়ে হাজির হওয়া সাংবাদিকরা হলেন, বদরুদ্দোজা বাবু, মিলটন আনোয়ার, মহিম মিজান, পারভেজ রেজা, মুনজুরুল করিম, আব্দুল্লাহ তুহিন, খান মুহাম্মদ রুমেল, অপূর্ব আলাউদ্দীন, আবদুল্লাহ আল ইমরান, নয়ন আদিত্য, মুক্তাদির রশীদ রোমিও, এস এম নূরুজ্জামান, শাহনাজ শারমিন, কাওসার সোহেলী।




সাংবাদিক হেনস্থা ও গ্রেফতার দুঃশাসনের চূড়ান্ত রূপ: ইসলামী আন্দোলন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা, গ্রেফতার ও জেলে প্রেরণ সরকারের দূর্নীতি ও দুঃশাসনের চূড়ান্ত রূপ বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলনের বাংলাদেশ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ আলম ও সেক্রেটারী মাওলানা আব্দুল আউয়াল। আজ (১৮মে) মঙ্গলবার  এক যুক্ত বিবৃতিতে উপরোক্ত এসব বলেন নেতৃদ্বয়।

নেতৃদ্বয় আরো বলেন, একটি স্বাধীনদেশে একজন সিনিয়র গণমাধ্যম কর্মীকে পাঁচ-ছয় ঘণ্টা আটকে রেখে হেনস্থা ও সুস্পষ্ট কোনো অভিযোগ ছাড়াই গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণের মাধ্যমে সরকার দেশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্য করেছে। নিজেদের ক্ষমতাকে ধরে রাখতে নতুন নতুন আইনের মাধ্যমে মানুষের মৌলিক অধিকার ও বাকস্বাধীনতার অধিকার হরণ করেছে। যা কোন সভ্য দেশের কালচার হতে পারে না। বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, সরকারের প্রতিটি সেক্টরে দূর্নীতি চূড়ান্ত রূপলাভ করেছে। স্বাস্থ্য, শিক্ষাখাতসহ সকল উন্নয়নমূলক কাজে দূর্নীতি চরম আকার ধারণ করেছে।যা দেশের অগ্রগতির জন্য অন্তরায়।

নগর সভাপতি বলেন, সাংবাদিকগণ দেশের আয়না, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। আমরা সাংবাদিক মহলের উপর এই ঘৃণ্য আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই। সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করছি। আজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলন বর্জন করে গণমাধ্যমকর্মীরা যে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে এজন্য তিনি সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানান। এভাবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও জনগণের অধিকার রক্ষায় সাংবাদিকদের সাহসী ভূমিকা পালন করতে হবে। নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারকেই নিশ্চিত করতে হবে সকল সাংবাদিকদের স্বাধীনতা, নিরাপত্তা। সেই সাথে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামসহ গণমাধ্যম কর্মীদের নামে দায়েরকৃত হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।




দুর্গাপুরে নিজ অর্থায়নে ৭ হাজার পরিবারকে ঈদ সামগ্রী বিতরন

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নিজ অর্থায়নে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ৭ হাজার অতিদরিদ্র পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে পৌরসভার মুজিবনগর আবাসন প্রকল্প এলাকায় এ সামগ্রী বিতরন শুরু করেন পৌর মেয়র মো. আলা উদ্দিন।

স্থানীয় আনসার ও স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে সরকারি নির্দেশনা মেনে ঈদ সামগ্রীর প্যাকেট পৌর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের ঘরে ঘরে পৌছে দেওয়া হয়। এ সময় অন্যদের মধ্যে প্যানেল মেয়র মশিউজ্জামান বাদল, পৌর সচিব তৌহিদুল ইসলাম, প্রকৌশলী নওশাদ আলম, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কমিশনার ইব্রাহিম খলিল টিপু, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি মতিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল হান্নান সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য: পৌর মেয়র আলা উদ্দিন প্রতিবছরই ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য পৌরবাসীর মাঝে নিজ অর্থায়নে ঈদ সামগ্রী বিতরন করে আসছেন।




১২ এপ্রিল শেষ হচ্ছে অমর একুশে বইমেলা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় নির্ধারিত সময়ের দু’দিন আগে ১২ এপ্রিল শেষ হচ্ছে অমর একুশে বইমেলা। শনিবার (১০ এপ্রিল) সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদকে উদ্ধৃত করে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফয়সাল হাসান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বইমেলা চলার কথা ছিল।

সাধারণত প্রতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বইমেলা শুরু হয়ে চলে পুরো মাস। এবার করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে অনিশ্চয়তায় পড়ে বইমেলা। করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে এ বছর একুশে বইমেলা ভার্চুয়াল বা অনলাইনে করার কথা উঠেছিল। পরে অনিশ্চয়তা কাটিয়ে গত ১৮ মার্চ উদ্বোধন করা হয় ৩৭তম অমর একুশে বইমেলার। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্র ও শনিবার বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা এবং অন্যান্য দিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলছিল। করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে এখন সময় কমিয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত করা হয়। পরে ৫ এপ্রিল থেকে সাতদিনের বিধি-নিষেধ আরোপ করা হলেও বইমেলা বন্ধ করা হয়নি। এই পরিস্থিতিতেও প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত একুশে বইমেলা চলছে।

উল্লেখ্য, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ও সংক্রমণ প্রতিরোধে গত ১ এপ্রিল চলমান বইমেলা, সামাজিক অনুষ্ঠান, বিনোদনকেন্দ্র ও অন্যান্য মেলা অবিলম্বে বন্ধের সুপারিশ করেছিল জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।




দুর্গাপুরে বিশ্ববান্ধব কবি সম্মেলন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

জেলার দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নে মানবকল্যানকামী অনাথালয় মিলনায়তনে ৪র্থ বিশ্ববান্ধব কবি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের কবিদের অংশগ্রহনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এ উপলক্ষে বিশ্ববান্ধব কবি সম্মেলনের আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন খান এর সঞ্চালনায়, মানবকল্যানকামী অনাথালয়ের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র মো. আলা উদ্দিন আলাল। অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা করেন, অধ্যক্ষ ফারুক আহমেদ তালুকদার, কবি আবুল বাশার, দেবব্রত দাস, পহেলী দে, জামাল তালুকদার, নাজমুল হুদা সারোয়ার, এনায়েরত কবীর, আবুল কালাম আজাদ, জাহাঙ্গীর আলম রিপন, ছিদ্দিকুর রহমান, বিদ্যুৎ সরকার, কাজল তালুকদার প্রমুখ।

আলোচনা শেষে, বরাবরের মতো এবারেও সমাজে বিশেষ অবদানের জন্য ৩ জনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এর মধ্যে সমাজসেবায় দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র মো. আলা উদ্দিন আলাল, মানবতায় রিক্সাওয়ালা তারা মিয়া এবং কবিতায় কবি লোকান্ত শাওনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।




লকডাউনের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার, থাকছে যেসব বিধি-নিষেধ

ডেস্ক রেোপর্ট: করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় আগামী ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।

রোববার (৪ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এর আগে শনিবার সকালের দিকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করছে সরকার।

‘করোনাভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে শর্ত সাপেক্ষে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ’ শিরোনামের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের বিদ্যমান পরিস্থিতি পর্যালোচনায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কর্তৃক গত ২৯ মার্চ তারিখের ১৮ দফা নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

ওই স্মারকের ধারাবাহিকতায় আগামী ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত মেয়াদে প্রতিপালনের জন্য প্রজ্ঞাপনে ১১টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

১. সকল প্রকার গণপরিবহন (সড়ক, নৌ, রেল ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট) বন্ধ থাকবে। তবে পণ্য পরিবহন, উৎপাদন ব্যবস্থা, জরুরি সেবাদানের ক্ষেত্রে এই আদেশ প্রযোজ্য হবে না। এছাড়া, বিদেশগামী/বিদেশফেরত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না।

২. আইন-শৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন- ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের (স্থলবন্দর, নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভূত থাকবে।

৩. সব সরকারি/আধাসরকারি/স্বায়ত্তশাসিত অফিস ও আদালত এবং বেসরকারি অফিস কেবল জরুরি কাজ সম্পাদনের জন্য সীমিত পরিসরে প্রয়োজনীয় জনবলকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় অফিসে আনা-নেওয়া করতে পারবে। শিল্প-কারখানা ও নির্মাণ কার্যাদি চালু থাকবে। শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পরিবহন ব্যবস্থাপনায় আনা-নেওয়া করতে হবে। বিজিএমইএ ও বিকেএমইএকে শিল্প-কারখানা এলাকায় কাছাকাছি সুবিধাজনক স্থানে তাদের শ্রমিকদের জন্য ফিল্ড হাসপাতাল/চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

৪. সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া (ঔষধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকার ইত্যাদি) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না।

৫. খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় কেবল খাদ্য বিক্রয়/সরবরাহ করা যাবে। কোনো অবস্থাতেই হোটেল-রেস্তোরাঁয় বসে খাবার গ্রহণ করা যাবে না।

৬. শপিংমলসহ অন্যান্য দোকান বন্ধ থাকবে। তবে দোকান, পাইকারি ও খুচরা পণ্য অনলাইনের মাধ্যমে কেনাবেচা করতে পারবে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই সর্বাবস্থায় কর্মচারীদের মধ্যে আবশ্যিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং কোনো ক্রেতা স্বশরীরে যেতে পারবে না।

৭. কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনা-বেচা করা যাবে। বাজার কর্তৃপক্ষ/স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করবে।

৮. ব্যাংকিং ব্যবস্থা সীমিত পরিসরে চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।

৯. সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ঢাকায় সুবিধাজনক স্থানে ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

১০. সারাদেশে জেলা ও মাঠ প্রশাসন এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের কার্যকর পদক্ষেপ নেবে এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত টহল জোরদার করবে।

১১. এই আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




সোমবার থেকে আবারো সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ফের লকডাউনে যাচ্ছে পুরো দেশ। সোমবার থেকে সারাদেশে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় আগামী সোমবার ৫ এপ্রিল থেকে সারাদেশ এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করতে যাচ্ছে সরকার।

অন্যদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও এ কথা বলা হয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে, দ্রুত ছড়াতে থাকা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার দুই-তিন দিনের মধ্যে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউনের চিন্তা করছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

গেল কয়েকদিন ধরেই প্রতিদিন ছয় হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার একদিনে শনাক্ত সাত হাজারের কাছাকাছি পৌঁছায়।

এছাড়া করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ইতোমধ্যে বন্ধ করা হয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানের পর্যটন কেন্দ্র। বাতিল করা হচ্ছে হোটেল-মোটেলে আগাম নেয়া বুকিং। পাশাপাশি নতুন বুকিংও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

এছাড়া কোথাও সন্ধ্যার পর জনগণের চলাচল সীমিত করা হয়েছে। আবার কোথাও ওষুধ এবং কাঁচামালের দোকান ও বাজার বাদে অন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এসব নির্দেশনার প্রায় সবই স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে এসেছে। বৃহস্পতিবার থেকে এ নিষেধাজ্ঞা থাকবে মধ্য এপ্রিল পর্যন্ত।

প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অমান্য করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারিও আছে। এর আগে গত বছর ২৬ মার্চ থেকে দেশের পর্যটন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রথমে লকডাউনের আওতায় ছিল। পরে লকডাউন উঠে গেলেও অনেক প্রতিষ্ঠান প্রায় ৫ মাস বন্ধ ছিল।




আ. লীগ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন আবদুল কাদের মির্জা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে তিনি এ ঘোষণা দেন।

কাদের মির্জা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদে ছিলেন। এই পদে তিনি আর থাকবেন না বলে জানিয়েছেন।

পদত্যাগের ঘোষণায় বসুরহার পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জা বলেন, অতীতে যে প্রতিশ্রুতি গুলো দিয়েছি তা রক্ষা করে আমি বিদায় নিতে চাই। আমি আর প্রশ্নবিদ্ধ হতে চাই না, আমি দল থেকে বিদায় নিচ্ছি। এতদিন আ.লীগের মির্জা ছিলাম। আওয়ামী লীগের মির্জা আজ থেকে আমি নেই। কোনো শক্তি আমাকে আর আ.লীগের মির্জা বানাতে পারবে না। তবে তিনি নিজের ঘোষিত উপজেলা আ.লীগের কমিটিকে দূর থেকে সহযোগিতা করবেন বলে জানান।

দলে সম্মান না পাওয়ার অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদেরে ভাই বলেন, আমি সব অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে কথা বলে এখন সবার কাছে খারাপ হয়ে গেছি। যে দলে সম্মান নাই সেখানে আমি থাকবো না। আমি বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সদস্য হয়েছি সেখানে থেকেই কাজ করবো।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনি একসঙ্গে না পারলেও ধীরে ধীরে দলের দুর্নীতিবাজদের লাগাম টেনে ধরুন। যারা বেশি অনিয়মকারী তাদেরকে দল থেকে বের করে দিন।

তিনি আরও বলেন, দিনের বেলা আলাদা রাজনীতি করলেও রাতের বেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি মিলে হোটেলে একসঙ্গে হয়ে যায়। এরা জাতীয় অপকর্ম পার্টি গঠন করেছে। বড় ভাই ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশে তিনি বলেন, তিনি পদপদবীর জন্য অপশক্তিদের কাছে মাথা নত করেছেন।

উল্লেখ্য, কাদের মির্জা নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মনোনয়নে মেয়র নির্বাচিত হন। তিনি দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। মেয়র নির্বাচনের আগে থেকে মির্জা কাদের দলের কিছু নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। তিনি কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের বিরেুদ্ধে সরাসরি অবস্থান নেন। গণমাধ্যমে তাদের সমালোচনা করে বক্তব্য দিয়ে আসছিলেন। ক্ষমতাসীন দলের নেতা হয়েও তিনি নানা ইস্যুতে অবরোধ হরতাল করে আসছিলেন। তাকে নিয়ে দল বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে বলেও বহু নেতা অভিযোগ করেন। অবশেষে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিলেন মির্জা কাদের।




‘নৈতিক সমাজ’ নামে বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

সাবেক মেজর জেনারেল আ ম স আ আমিন ‘নৈতিক সমাজ’ নামের নতুন একটি রাজনৈতিক দলের ঘোষণা দিয়েছেন। রাজনীতিতে নীতিমান নেতৃত্ব এবং নৈতিক মূল্যবোধ তৈরির উদ্দেশ্য নিয়ে এ রাজনৈতিক দল গঠন করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ দল গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল।

আ ম স আ আমিন ২০০১ সালে কুড়িগ্রাম-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করেন। সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তিনি গণফোরামে যোগ দিয়ে একই আসন থেকে নির্বাচন করেন। এবার নিজেই একটি রাজনৈতিক দলের ঘোষণা দিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তিনি নতুন দলটিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, জনগণ সৎ মানুষকে শ্রদ্ধা করে। নতুন প্রজন্মকে নৈতিকতা বোধের শিক্ষা দিতে হবে। নৈতিকতা ও সততাকে লালন করতে হবে। অসৎ মানুষ চিরস্থায়ীভাবে নেতৃত্ব দিতে পারেনি, পারবেও না। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে নৈতিকতার মৃত্যু হয়েছে। সংখ্যালঘুদের ওপর একের পর এক অত্যাচার হচ্ছে। ক্ষমতাসীন দলের লোকেরাই এসব করেছে। নৈতিকতা বোধের অভাবে এসব হচ্ছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে সরকারি অফিসে হামলা কেন হবে—এমন প্রশ্ন রেখে জাফরুল্লাহ বলেন, জনগণ জানে ২০১৮ সালে রাতের ভোটে এই অফিসের লোকজনই সহায়তা করেছেন। সেই ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে। হেফাজতের কর্মীদের নিহতের ঘটনার সমালোচনা করেন তিনি। এ ছাড়া নৈতিক সমাজ দলটির প্রতি শুভকামনা জানান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘নতুন কিছু দেখলে আশান্বিত হতে চাই। সমাজ থেকে আমরা নৈতিকতা হারিয়ে ফেলেছি। নৈতিকতা না থাকলে কিছুই থাকে না। নৈতিকতা থাকলে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো যায়।’

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের বিরোধিতা করার কারণে আন্দোলনকারী বাম সংগঠন ও নুরদের সংগঠনের কর্মীদের ওপর হামলা হয়। কেউ এর প্রতিবাদ করেনি বলে সমালোচনা করেন আসিফ নজরুল। তিনি আরও বলেন, হাটহাজারীতে হেফাজতের কর্মীরা থানার কাচ ভেঙেছিল, তাই তাদের গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছে। এটা কোনো আইনে আছে?

আসিফ নজরুল বলেন, হেফাজতকে কারা প্রশ্রয় দিয়ে এই জায়গায় এনেছে? বিএনপি, জামায়াত, বাম দলগুলোকে রাজনীতি করতে না দিয়ে কী বার্তা দেওয়া হচ্ছে? বিশ্বের কাছে দেখানো হচ্ছে প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হচ্ছে হেফাজত, যারা মধ্যযুগীয় কায়দায় কথা বলে। সরকার হেফাজতের উত্থানের জায়গা করে দিয়েছে।

নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশের কারণ হিসেবে আ ম স আ আমিন বলেন, দেশের প্রধান সমস্যা হচ্ছে রাজনীতি। এ জন্য নৈতিক মূল্যবোধের ধস নেমেছে। বড় দলগুলো ভালো মানুষদের রাজনীতিতে আনতে পারছে না। মানুষ দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন।

আ ম স আ আমিন বলেন, সমাজ-সংস্কৃতিতে নৈতিকতাবোধের অভাব দেখা দিয়েছে। রাজনীতিতে নীতিমান নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে। এসব পূরণ করতেই নৈতিক সমাজ কাজ করবে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক বিচারপতি আবদুস সালাম মামুন, সাবেক মেজর মুজিবুল হকসহ নৈতিক সমাজের কয়েকজন নেতা।

সূত্র : পার্সটুডে