হামাসের সাথে চুক্তির দাবিতে তেল আবিবে আবোর বিক্ষোভ মিছিল

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের যেসব বন্দী রয়েছে তাদের অনতিবিলম্বে মুক্ত করার জন্য হামাসের সঙ্গে চুক্তি করার দাবিতে গতকাল (শনিবার) আবারো তেল আবিবে ব্যাপক বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। গাজা থেকে ইসরাইলি বন্দিদের মুক্তির ব্যাপারে এ ধরনের বিক্ষোভ মিছিল এখন নিয়মিত কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে।

গতকালের বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজকরা বলেছেন, বন্দিদের ফিরিয়ে আনার জন্য হামাসের সঙ্গে চুক্তির বিকল্প নেই কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার এসব বন্দির ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন। তদন্ত এবং নতুন নির্বাচন এড়ানোর জন্য নেতানিয়াহু হামাসের সঙ্গে বন্দী বিনিময় চুক্তি করতে চান না বলে বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেছেন।

গতকালের সমাবেশ থেকে যে ভাষায় বক্তব্য দেয়া হয়েছে তা আগের যেকোনো সমাবেশের বক্তব্য থেকে অনেকটা ভিন্ন এবং কঠোর। এর আগে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজকরা এতটা রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে গাজা ইসরাইল যুদ্ধ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

গতকালের সমাবেশে বক্তারা অনেকেই বলেছেন, হামাসের সাথে চুক্তির মাধ্যমে দ্রুত বন্দিদের ফিরিয়ে আনার মধ্যদিয়েই কেবল ইসরাইলের নেতৃত্বের প্রতি তাদের আস্থা ফিরে আসবে। সমাবেশে বক্তব্য রেখেছেন ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর সাবেক মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রোনেন ম্যানেলিস। তিনি সরাসরি বলেন, ইসরাইলের বর্তমান নেতৃত্বের প্রতি তার চরম আস্থার ঘাটতি রয়েছে।#

পার্সটুডে




কাস্‌সাম ব্রিগেডের হামলায় গাজায় ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জাদ্দিন কাস্‌সাম ব্রিগেডের রকেট হামলায় গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। খান ইউনুসের পূর্বাঞ্চলে এ হামলার ঘটনাটি ঘটে।

এদিকে, গাজার রাফাহ এলাকায় ইসরায়েলি সেনাদের গোলা বর্ষণে ৮ শিশুসহ ২০ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের আল-কুয়েত হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

এছাড়া পশ্চিম তীরের তুলকারাম শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে অন্তত দুই ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের একজন ছিলেন মুহাম্মাদ ফয়সাল দাউস নামের এক ফিলিস্তিনি যুবক ।
গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল গাজায় ইসরায়েলি হামলার ১০৪ তম দিন। গত সাত অক্টোবরের পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ২৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আহত হয়েছেন প্রায় ৬০ হাজার।

সূত্র : পার্সটুডে।




নেদারল্যান্ডসে পবিত্র কুরআন পোড়ানোর চেষ্টা, মুসলিম যুবকের দুঃসাহসিক বাধা

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

নেদারল্যান্ডসের উগ্র ডানপন্থী দল পেগিডা’র নেতা, ইসলামবিদ্বেষী এডউইন ওয়াগেনসভেল্ড পবিত্র কুরআন পোড়ানোর চেষ্টাকালে কয়েকজন মুসলিম যুবক তাতে বাধা দিয়েছেন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডেইলি গেলডারল্যান্ডার জানিয়েছে, নেদারল্যান্ডসের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ গেলডারল্যান্ডের রাজধানী আর্নহেমে শহরের জান্সপ্লেইন এলাকায় পুলিশের উপস্থিতিতে পবিত্র কুরআন পোড়ানোর চেষ্টা করেন এডউইন ওয়াগেনসভেল্ড। পুলিশি নিরাপত্তাকে ভেদ করে এক মুসলিম এডউইন ওয়াগেনসভেল্ডের মুখে লাথি মারে। পরে আবার কুরআন পোড়ানোর চেষ্টা করলে আবারও মুসলিম যুবকরা তেড়ে আসতে থাকে। এসময় ভয়ে এডউইন কাপুরুষের মতো দৌড়ে পুলিশের গাড়িতে চড়ে পালিয়ে যায়।

এদিকে, এ ঘটনায় শহরের মুসলিম অধিবাসীরা ক্ষোভ জানিয়েছেন। অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আর্নহেম শহরের মুসলিম মেয়র আহমেদ মারকুচও।

ইসলামবিদ্বেষী এডউইন ওয়াগেনসভেল্ড এর আগে ২০২৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত তুরস্কের দূতাবাসের সামনে পবিত্র কুরআন ছিঁড়ে ফেলে তা পদদলিত করে। এছাড়া, নেদারল্যান্ডসে অবস্থিত পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া ও ডেনমার্কের দূতাবাসের সামনে একাধিকবার কুরআন ছিঁড়ে ফেলে।#

পার্সটুডে




ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের নতুন সভাপতি ও সেক্রেটারির নাম ঘোষণা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নুরুল বশর আজিজীকে সভাপতি, ইউসুফ আহমাদ মানসূরকে সহ-সভাপতি ও মুনতাসির আহমদকে সেক্রেটারি করে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের ২০২৪ সেশনের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

আজ বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটে অনুষ্ঠিত ইসলামী ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সম্মেলনে নতুন দায়িত্বশীলদের নাম ঘোষণা করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি রেজাউল করীম।

সদ্য সাবেক সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন চরমোনাই পীর মুফতী রেজাউল করীম।

এছাড়াও বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম (শায়েখে চরমোনাই), মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ও  আলহাজ্ব মুহাম্মাদ আমিনুল ইসলাম, কে এম আতিকুর রহমান, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূমসহ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, আদর্শ রাষ্ট্র গড়তে আদর্শ‌ মানুষ প্রয়োজন। ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রতিটি কর্মীদের নৈতিকতা, যোগ্যতা, দক্ষতা ও আদর্শের দিক থেকে উত্তম মানে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। দ্বীন বিজয়ের সংগ্রামে ত্যাগের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।

উল্লেখ্য, নুরুল বশর আজিজী ২০২৩ সেশনে সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। নতুন সহসভাপতি ইউসুফ আহমাদ মানসূর ছিলেন একই সেশনের সেক্রেটারি। এছাড়াও নতুন সেক্রেটারি মুনতাসির আহমদ ২০২৩ সেশনে কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।




গাজায় হামাসের হামলায় আরও ৫ ইসরাইলি সেনা নিহত

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জাদ্দিন আল কাস্সাম ব্রিগেডের হামলায় আরও পাঁচ ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছে।

কাস্সাম ব্রিগেড আজ (মঙ্গলবার) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজার পূর্ব খান ইউনুসে টানেলের ভেতর থেকে ইসরাইলি সেনাদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলায় পাঁচ ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছে। ইহুদিবাদী সেনারা সাজোয়া যান নিয়ে ঐ টানেলের প্রবেশমুখের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছিল, এ সময়ই তাদের লক্ষ্য করে বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

গাজায় স্থল অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত হামাসের যোদ্ধাদের হামলায় বহু ইসরাইলি সেনা হতাহত হয়েছে। তবে দখলদার ইসরাইল সরকার জনরোষ বৃদ্ধির আশঙ্কায় সেনা হতাহতের সঠিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করছে না।

অন্যদিকে, ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ইসরাইলি হামলায় ২৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। এর বেশিরভাগই শিশু ও নারী।

পার্সটুডে




গাজায় একদিনে ইসরায়েলের ৯ সেনা খতম

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় একদিনে ৯ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার (৮ জানুয়ারি) সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলায় প্রাণ হারান তারা।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে। আইডিএফ দুই দফায় গাজায় ৯ সেনার মৃত্যুর কথা জানিয়েছে। প্রথমে মঙ্গলবার সকালে তারা জানায়, চার সেনার মৃত্যু হয়েছে। পরবর্তীতে আরও পাঁচজনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়।

গতকাল ৯ জন নিহত হওয়ার মাধ্যমে গাজায় সবমিলিয়ে ১৮৭ দখলদার সেনার মৃত্যু হয়েছে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, গাজার মধ্যাঞ্চলের বুরেজিতে বোমা বিস্ফোরিত হয়ে নিহত হয়েছেন তারা।

ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সর্বশেষ যেসব সেনা নিহত হয়েছেন তাদের বেশিরভাগই ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিটের। তারা গাজার দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে হামাসের সুড়ঙ্গগুলো নিয়ে কাজ করছিলেন।

গাজার উত্তরাঞ্চলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর— ইসরায়েলি সেনারা এখন দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে হামলা চালাচ্ছে। ফলে সেখানে তারা হতাহতের শিকার হচ্ছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী দাবি করেছে, উত্তরাঞ্চলে হামাসকে পুরেপুরি নির্মূল করতে সমর্থ হয়েছে তারা। উত্তরাঞ্চলে হামাসের আট হাজার যোদ্ধাকে হত্যার কথাও বলেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

গত ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৬০ হাজার। যুদ্ধের শুরুর দিকে বোমা হামলার যে তীব্রতা ছিল— সেটি এখন অনেকটা কমিয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। তারা বলছে, যুদ্ধের পরবর্তী ধাপে রয়েছে তারা। যেখানে তীব্র হামলার বদলে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হচ্ছে।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল




গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করেও ইসরাইল বলছে তারা সফল

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ব্যাপক প্রতিরোধের মুখে উত্তর গাজা থেকে ইসরাইলের সেনা প্রত্যাহার

ইহুদিবাদী ইসরাইলের সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা উত্তর গাজা থেকে তাদের সৈন্যদের প্রত্যাহার করে নেয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন। তারা দাবি করেছেন, এই সেনা প্রত্যাহার ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ গোষ্ঠীকে পরাজিত করার প্রকল্পের সমাপ্তি।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজা শহরের উত্তরাঞ্চলের অধিকাংশ আবাসিক এলাকা থেকে সরে যাওয়ার পর সেনা কর্মকর্তারা গাজা থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত ৭ অক্টোবর আল-আকসা তুফান অভিযান শুরু হওয়ার পর ফিলিস্তিনের প্রতিরোধকামী গোষ্ঠীগুলো ব্যাপক সাফল্য পাওয়ায় ইসরাইলি কর্মকর্তারা গাজায় তাদের হত্যা ও ধ্বংযজ্ঞকে বৈধতা দেয়ার জন্য পশ্চিম মিডিয়ার সহায়তায় গাজা ইস্যুতে ব্যাপক অপপ্রচার শুরু করে। ইসরাইলি সেনা কর্মকর্তারা দাবি করেছে, তারা গাজায় প্রবেশ করে এই শহরটিকে উত্তর ও দক্ষিণ ভাগে ভাগ করেছে।  তবে তাদের এই দাবির সত্যতা নিয়ে শুরু থেকেই সন্দেহ ছিল। এখন ইহুদি বিশ্লেষকরা ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে তাদের সামরিক বাহিনীর অক্ষমতার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি হামাস সম্পর্কে বলেছেন, গাজায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ শক্তিগুলোর দুর্বলতা বা পশ্চাদপসরণের কোনো লক্ষণ নেই এবং গাজায় শত শত কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ টানেল এখনো টিকে আছে।

সম্প্রতি গাজার যুদ্ধ পরিস্থিতি থেকে বোঝা যায় যে, ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ বাহিনী আমেরিকাসহ পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ট ইসরাইলি সেনাবাহিনীকে এমনভাবে পরাজিত করেছে যে, গাজা থেকে তারা সেনা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, ইসরাইলি কর্মকর্তারা পশ্চিমা মিডিয়ার সহায়তায় ব্যাপক প্রচার চালিয়ে নিজেদেরকে অপরাজেয় শক্তি হিসাবে প্রচার চালিয়েছে। কিন্তু আল-আকসা তুফান অভিযান এবং এর আগে লেবানন ও ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ শক্তির  অভূতপূর্ব সাফল্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ইসরাইলের এসব দাবি মিথ্যা প্রমাণ করেছে। মোটকথা, ফিলিস্তিনিদের এসব প্রতিরোধ ইসরাইলের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি ডেকে এনেছে  এবং তাদের দুর্বলতা বিশ্ববাসীর সামনে প্রকাশ হয়ে পড়েছে।

হামাস ছাড়াও ফিলিস্তিনের অন্যান্য প্রতিরোধ গোষ্ঠীর দৃঢ় অবস্থানের কারণেও ইসরাইল গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে। ইসরাইলের প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তারাও ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সাফল্যের কথা স্বীকার করেছেন। ইসরাইলি সেনাবাহিনীর সামরিক গোয়েন্দা গবেষণা বিভাগের সাবেক প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়োসি কোপারওয়াসার স্বীকার করেছেন যে, এটি একটি কলঙ্কজনক ব্যর্থতা, ইসরায়েলের সব গোয়েন্দা সংস্থার ব্যর্থতা, তারা হামাসকে এতটাই অবমূল্যায়ন করেছিল যে তারা এটি সম্পর্কে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে মনোযোগ দেয়নি।

যাইহোক বিশ্লেষকরা বলছেন, গাজা থেকে ইসরাইলি সৈন্যদের প্রত্যাহারের ঘটনাকে ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধ শক্তির অব্যাহত সাফল্যের প্রতীক হিসাবে দেখা উচিত।#

পার্সটুডে




ইসরায়েলি সন্ত্রাসী হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ২৩ হাজার ছাড়াল

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এরপর ২৮ অক্টোবর শুরু হয় স্থলঅভিযান।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিগত তিন মাসের হামলায় ওই উপত্যকায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২৩ হাজার ৮৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৫৯ হাজার। নিহতদের মধ্যে ৯ হাজার ৬০০ শিশু।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ দখলদারি ও নির্যাতনের প্রতিবাদে ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে অতর্কিত এক নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। তাতে এক হাজার ১৩৯ জন। ওই দিন ২৪০ জনের বেশি মানুষকে জিম্মি হিসেবে গাজা ভূখণ্ডে নিয়ে আসে। এরপর ওই দিন থেকেই গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। সূত্র: আল-জাজিরা




আরুরির হত্যাকাণ্ড হামাস যোদ্ধাদের আরো বেশি দৃঢ়সংকল্প করবে: আইআরজিসি

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের উপ প্রধানকে হত্যা করার ফলে ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার লক্ষ্যে এই সংগঠনের যোদ্ধাদের সংকল্প আরো দৃঢ় হবে। হামাস নেতা সালেহ আল-আরুরির হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি এ মন্তব্য করেছে।

ওই বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, আরুরি এবং দুই হামাস কমান্ডারসহ ছয় জনের হত্যাকাণ্ড ফিলিস্তিনি জনগণের মধ্যে ইসরাইল বিরোধী মানসিকতা আরো শক্তিশালী করবে। বিশেষ করে জর্দান নদীর পশ্চিম তীরে ইসরাইলবিরোধী সশস্ত্র সংগ্রাম আরো তীব্র হবে।

বিবৃতিতে আইআরজিসি জোর দিয়ে বলেছে যে, ৭ অক্টোবর হামাস এবং গাজা-ভিত্তিক অন্যান্য প্রতিরোধ সংগঠনের বহুমুখী হামলায় ইসরাইলের যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে তার পুষিয়ে নেয়ার জন্য অবৈধ তেল আবিব সরকার হত্যা এবং নৃশংসতার পথ বেছে নিয়েছে।  ফিলিস্তিনিদের আল-আকসা তুফান অভিযানে ইসরাইলের যে ভরাডুবি হয়েছে তার গ্লানি থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে তেল আবিব।

লেবাননের রাজধানী বৈরুতে মঙ্গলবার রাতে এক ড্রোন হামলায় হামাসের উপ প্রধান সালেহ আল-আরুরি শহীদ হন। গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তিনিসহ হামাসের সকল প্রবাসী নেতাকে হত্যা করার হুমকি দিয়েছিল তেল আবিব। তবে বৈরুতে মঙ্গলবার রাতের হামলার দায়িত্ব স্বীকার বা অস্বীকার করেনি ইহুদিবাদী ইসরাইল। ওই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করলে তার অর্থ হবে লেবাননের সার্বভৌমত্ব তথা আন্তর্জাতিক আইনের সরাসরি লঙ্ঘনের দায়িত্ব স্বীকার করা।

তবে আইআরজিসির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আরুরিকে হত্যা করে ইহুদিবাদী ইসরাইল লেবাননের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে।  আইআরজিসি আরো বলেছে,  আল-আকসা তুফান অভিযানে ইসরাইলের অপমানজনক পরাজয়ের ক্ষতি এ ধরনের সন্ত্রাসবাদ ও অপরাধী তৎপরতার মাধ্যমে পুষিয়ে নেয়া যাবে না।  ইহুদিবাদী ইসরাইল ও সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা প্রতিরোধ ফ্রন্টের হিসাবনিকাশ উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।#

পার্সটুডে




আমি মুসলিমদের পাহারাদার : মমতা

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

এবার নিজেকে মুসলিমদের পাহারাদার বলে ঘোষণা দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। রাজ্যের মুসলিমদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, মনে রাখবেন, আমরা যতদিন আছি, আপনাদের ওপরে কেউ কোনো ক্ষতি করার চেষ্টা করলে আমি আপনাদের পাহারাদার ছিলাম আছি ও থাকব।

বৃহস্পতিবার এক দলীয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মমতা বলেন, ‘দয়া করে ভোটটা সিপিএমকে, বিজেপিকে, বা কোনো সাম্প্রদায়িক বিভেদকারীদের কথা শুনে ভোট দেবেন না। এরা বিজেপির টাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট কাটার জন্য। একদল বসন্তের কোকিল এসেছে। তারা এলাকায় এলাকায় ঘুরে ধর্মীয় সভা করার নাম করে তৃণমূলের ভোট কাটার চেষ্টা করছে।

মুসলিমদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনাদের আর্থিক নিরাপত্তা, সামাজিক নিরাপত্তা সব কিন্তু আমরা করেছি। আর যদি আপনারা যারা বিজেপির টাকা নিয়ে ভাঁওতা দিচ্ছে তদের কথায় ভুলে যান তাহলে মনে রাখবেন ধর্ম আলাদা, রাজনীতি আলাদা।

মমতা বলেন ‘সব ধর্মকে আমরা ভালোবাসি। কিন্তু মনে রাখবেন, পশ্চিমবঙ্গটা কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে রাখতে হবে। আর আমরা যদি আসন কম পাই তাহলে কিন্তু বিজেপির অত্যাচার আরও বাড়বে।