হেফাজতের প্রেস ব্রিফিংয়ে নতুন কর্মসূচি

ডেস্ক রিপোর্ট : দিনশেষে নতুন কর্মসূচি দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। তবে হরতালের সময় বাড়ানো হয়নি। কর্মসূচির মাঝে রয়েছে আগামীকাল সোমবার (২৯ মার্চ) দেশব্যাপী দোয়া মাহফিল ও আগামী শুক্রবার (২ এপ্রিল) বিক্ষোভ মিছিল করবেন তারা।

আজ রোববার (২৮ মার্চ) বিকালে দেশব্যাপী সফল হরতাল পালন শেষে রাজধানীর পল্টনে হেফাজতের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলাম মোদির আগমন প্রত্যাহার করার জন্য কর্মসূচি দিয়েছিল। মোদির আগমনের দিন হেফাজতের কোনো কর্মসূচি ছিল না। কিন্তু ওইদিন সাধারণ মানুষের আন্দোলনে প্রশাসন গুলি চালিয়েছে। যার প্রতিবাদে এ হরতাল আহ্বান করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বায়তুল মোকাররমে মুসুল্লিদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে হাটহাজারীতে প্রাণহাণির ঘটনায় দেশব্যাপী আজ হরতাল ডাকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ । সারাদেশে সাধারণ জনতার ব্যাপক অংশগ্রহণে পালিত হয় এ হরতাল।




হরতাল সফল, আলোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচি দেয়া হবে: বাবুনগরী

সারা দেশে স্বতস্ফূর্তভাবে হরতাল পালিত হয়েছে। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ডাকা শান্তিপূর্ণ হরতালে সাড়া দেয়ায় দেশের জনগণ ও আলেম-ওলামাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন হেফাজতের আমীর আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। রোববার দুপুরে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।

আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, শুক্রবার আমাদের হাটহাজারী মাদ্রাসার শান্তিপূর্ণ মিছিলে প্রশাসন, পুলিশ বাহিনী বিশেষ করে হাটহাজারী থানার ওসি রফিকুল ইসলাম গুলি করে ৭ জনকে নিহত করেছে। শহীদ করেছে। আরো অনেক আহত। একজন টেইলার। নিরীহ মানুষ। তাকেও নিহত করেছে। আরো শহীদ হয়েছে সারা দেশে। বিশেষ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা ও হাটহাজারীসহ আমরা মোট ১৬ জনের নিহতের খবর পেয়েছি। এটা কোনো মামুলি কথা নয়। এর প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সারা দেশে হরতালের ডাক দেয়া হয়।

আলহামুদিল্লাহ আমাদের হরতাল সুশৃঙ্খল ছিল। শান্তিপূর্ণ ছিল। সফল ছিল। স্বতস্ফূর্তভাবে হরতাল পালন হচ্ছে।

কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় সরকারের পেটোয়া বাহিনী এবং দলীয় ক্যাডাররা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম নির্যাতন করেছে। হামলা করেছে। আক্রমণ করেছে। আহত-নিহত করেছে। আমাদের হেফাজতের নায়েবে আমীর, আল্লাহর অলি মধুপুরের পীর আল্লামা আব্দুল হামিদ সাহেবের উপর হামলা করেছে।

এই ১৬ জন নিহত হওয়া ছাড়াও আরো অনেক আহত হয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সরকারের কাছে আমাদের দাবি এ হামলা যেন বন্ধ করে। যারা নিহত হয়েছে তাদের জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে সরকারের। যারা আহত হয়েছে তাদের ভালো চিকিৎসা চালানোর জন্য যে টাকা-পয়সা দরকার সেটা সরকারের পক্ষ থেকে দিতে হবে।

যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদেরকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। বিভিন্ন মাদরাসায় হামলা করেছে। বিশেষ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জামিয়া ইউনুছিয়া, দারুল আরকাম, রাজধানীর ফরিদাবাদ মাদরাসা, ঢাকার যাত্রাবাড়ী ও সাইনবোর্ড মাদরাসায় হামলা করেছে সরকারের পেটোয়া বাহিনী।

এগুলো যেন অবিলম্বে বন্ধ করে। আর যদি এভাবে হামলা চলতে থাকে, এবং আমাদের নেতাকর্মীদের যদি আহত করা হয়, নিহত আহত করা হয়, হেফাজতের দাবি দাওয়া যদি দাবী পূরণ করা না হয়, তাহলে পরামর্শ সাপেক্ষে হেফাজতের পক্ষ থেকে কঠিন কর্মসূচি দেয়া হবে।

এই হরতাল পালনে সারা দেশের জনগণ ও আলেম-ওলামারা সাড়া দিয়েছে। এইজন্য আমি তাদের কৃতজ্ঞতা জানাই। এ সময় পরবর্তী কর্মসূচির বিষয়ে তিনি বলেন, এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আলোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচির বিষয়ে জানিয়ে দেয়া হবে।

এরপর উপস্থিত সকলকে নিয়ে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন হেফাজতের এই আমীর।

বিজ্ঞাপন



পীর সাহেব মধুপুর এবং মাওলানা বশীর আহমদ গুলিবিদ্ধ

ডেস্ক রিপোর্টঃ হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ আহুত সারা দেশব্যাপী হরতাল পালনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন মাওলানা আব্দুল হামিদ (পীর সাহেব মধুপুর)।

আজ রোববার ২৮ মার্চ দুপুর ১২ টা ৪০ মিনিটে মুন্সীগঞ্জের শিকারিপারা এলাকায় পিকেটিং চলাকালীন সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আল্লামা আব্দুল হামিদ। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরের একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

এদিকে  জানা গেছে, মুন্সীগঞ্জ সৈয়দপুর মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা বশীর আহমদ সাহেবও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।




সাইনবোর্ডে হেফাজতকর্মীদের ওপর বিজিবির হামলা, গুলিবিদ্ধ ১

ডেস্ক রিপোর্ট: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড সানারপার এলাকায় হেফাজতে ইসলামের পূর্ব ঘোষিত হরতাল কর্মসূচিতে হেফাজত কর্মীদের ওপর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ও পুলিশের হামলার খবর পাওয়া গেছে। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন একজন।

হেফাজতে ইসলামের হরতালের সমর্থনে ঢাকা-চট্টগ্রামের প্রবেশমুখ সাইনবোর্ড এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করেছেন মাদরাসার ছাত্র ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা। আজ সকাল থেকেই তারা রাস্তায় অবস্থান নিয়েছেন। বেলা ১১টার দিকে পুলিশ বিজিবির সদস্যরা তাদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে গুলি ছুড়ে বিজিবির সদস্যরা। বিজিবির গুলিতে পুরো এলাকা প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। এ ঘটনায় একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আহতের ব্যাপারে বিস্তারিক কিছু জানা যায়নি।

উল্লেখ্য, মোদিবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলি ও সরকারদলীয় নেতাকর্মীর হামলায় নিহতদের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলাম সকাল সন্ধ্যা সারাদেশে হরতালের আহ্বান করে।




সারাদেশে চলছে হেফাজতে ইসলামের শান্তিপূর্ণ হরতাল

ডেস্ক রিপোর্ট: রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের ওপর হামলা, হাটহাজারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশে বিভিন্ন জায়গায় ১৩জনকে গুলি করে হত্যাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মুসল্লিদের ওপর হামলা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল শুরু হয়েছে।

আজ সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করেছেন হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষেরা। ঢাকার পূর্বাঞ্চলের প্রবেশপথ সাইনবোর্ডের সানারপাড়ে সড়ক অবরোধ করেছেন মাদরাসার ছাত্রসহ সাধারণ মানুষ। আজকের হরতালে ঢাকার সঙ্গে পূর্বাঞ্চলের দূরপাল্লার যান চলাচলও বন্ধ রয়েছে। এদিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরেও হরতালের সমর্থনে রাস্তায় নেমেছেন মাদরাসার ছাত্ররা। মোহাম্মদপুরের মিছিলে পুলিশের সাময়িক বাধার খবর পাওয়া গেছে। ওদিকে সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে গণপরিবহন তুলনামূলক কম দেখা গেছে।
রাজধানী ছাড়াও চট্টগ্রাম, সিলেট, বি-বাড়িয়া, ময়মনসিংহ, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে হরতাল পালন শুরু হয়েছে। হরতালকে ঘিরে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবির সদস্যরা। এপিসি জলকামান নিয়ে বিভিন্ন সড়কে টহল দিচ্ছে তারা। এদিকে পুলিশের পাশাপাশি মাঠে রয়েছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তারা রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছে।




ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ-বিজিবির সঙ্গে মুসল্লিদের সংঘর্ষে নিহত ৫ আহত অর্ধশতাধিক

ডেস্ক রিপোর্ট: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মুসল্লিদের সঙ্গে পুলিশ-বিজিবি ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শর্টগানের গুলি ছোড়ে পুলিশ। এতে অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন বলে জানা যায়।

আজ শনিবার (২৭ মার্চ) রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার নন্দনপুরে এ ঘটনা ঘটে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যার হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুন সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। নিহতরা হলেন- নন্দনপুরের হারিয়া গ্রামের আবদুল লতিফ মিয়ার ছেলে জুরু আলম (৩৫), সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার দাবিড় মিয়ার ছেলে বাদল মিয়া (২৪) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মৈন্দ গ্রামের সুজন মিয়া (২২), বুধল গ্রামের আওয়াল মিয়ার ছেলে কাউসার মিয়া (২৫) ও জুবায়ের (১৪)। জুবায়েরের ঠিকানা জানা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, আওয়ামী লীগ পুলিশ-বিজিবির হামলায় বিক্ষোভকারীদের ৫ জন নিহত হন। এতে আরও অর্ধশতাধিক মুসল্লি আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তারা।

এর আগে শুক্রবার (২৬ মার্চ) বিকেলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদ ও চট্টগ্রামে মাদ্রাসাছাত্রদের ওপর হামলার খবরে বিক্ষোভ করে মাদ্রাসার ছাত্ররা। এরপর থেকে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেট রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

আট ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর রাত সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী আন্তনগর মহানগর গোধূলি আখাউড়া থেকে ছেড়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের রেল যোগাযোগ শুরু হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আনিসুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, মাদ্রাসাছাত্ররা মিছিল করে বিভিন্নস্থানে বিক্ষোভ করেছে। এটিকে প্রতিরোধ করার জন্য আমরা কার্যক্রম চালিয়েছি। শহরের পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




হাটহাজারী হামলার প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ বিকালে

ডেস্ক রিপোর্টঃ ৫০তম স্বাধীনতা দিবসে পুলিশ গুলি করে হাটহাজারী মাদরাসার ৪জন ছাত্র নিহতের প্রতিবাদে আজ ২৭ মার্চ শনিবার বিকাল ৩টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আজ সকাল ৯টায় পুরানা পল্টনস্থ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যালোচনা শেষে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরী সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য খন্দকার গোলাম মাওলা, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা খলিলুর রহমান, জিএম রুহুল আমীন, মাওলানা শেখ ফজলুল করীম মারূফ, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, এডভোকেট লুৎফুর রহমান শেখ, এডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, মাওলানা নেছার উদ্দিন, মুফতী কেফায়েতুল্লাহ কাশফী প্রমূখ।

মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, স্বাধীনতা দিবসে হাটহাজারী মাদরাসার ৪জন ছাত্রসহ ৬জনকে শহীদ করে সরকার একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় সৃষ্টি করেছে। স্বাধীন সার্বভৌম দেশে যে কোন বিষয়ে যে কোন মানুষ প্রতিবাদ করতে পারা নাগরিক অধিকার। বর্তমান সরকার জনগণের এ মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে।




জাতীয় দিবস উদযাপনে অপেক্ষায় আছি: মোদি

বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) এক ভিডিও বার্তায় ভিডিও বার্তায় নরেন্দ্র মোদি এ প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আগামীকাল জাতীয় দিবস উদযাপনে অংশ নেওয়ার জন্য অধীর অপেক্ষায় আছি, যাতে শততম জন্মবার্ষিকীতে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেও স্মরণ করা হবে। গত শতাব্দীর অন্যতম শীর্ষ নেতা বঙ্গবন্ধু, যার জীবন ও আদর্শ এখনও লাখ লাখ মানুষকে অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাচ্ছে।’

ওই বিবৃতিতে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্যও অধীর অপেক্ষার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

মোদি বলেন, করোনা মহামারির এই সময়ে এমন এক প্রতিবেশী বন্ধু দেশে সফর করতে পেরে আমি আনন্দিত, যার সঙ্গে ভারতের গভীর সাংস্কৃতিক, ভাষাগত এবং জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক বিদ্যমান।

সাতক্ষীরা ও গোপালগঞ্জে মন্দির পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করে মোদি বলেন, সাতক্ষীরায় পৌরাণিক যশোরেশ্বরী মন্দিরে মা কালীর প্রতিও পূজা দিতে চাই আমি। বিশেষ করে ওড়াকান্দিতে মতুয়া সম্প্রদায়ের সঙ্গেও মিথস্ক্রিয়া করতে চাই আমি, যেখানে শ্রী হরিচরণ ঠাকুর পবিত্র বাণীর প্রচার করেছিলেন।

তিনি বলেন, ‘গত ডিসেম্বরে ভার্চুয়াল বৈঠকের প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমার বিশেষ আলাপ-আলোচনা হবে। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও অন্য ব্যক্তিদের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হবে।’

ভারতের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বাপ্নিক নেতৃত্বে তাৎপর্যপূর্ণ অর্থনৈতিক ও উন্নয়নমূলক অগ্রগতির জন্য বাংলাদেশকে সাধুবাদ জানানোয় আমার সফর সীমাবদ্ধ থাকবে না; এরসঙ্গে এই অর্জনে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতিও থাকবে।’

এসময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করে বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহযোগিতা ও সংহতির বার্তাও সফরে দেয়া হবে।




মাওলানা তারেক জামিলের বিশেষ ১০ উক্তি

 

ইসলামের প্রচার-প্রসার ও দেশের অগ্রগতিতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য উপমহাদেশের প্রখ্যাত ইসলামি ব্যক্তিত্ব ও দায়ী আলেম মাওলানা তারেক জামিলকে পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও  ২০১৩ সালে জর্ডানের রয়্যাল আল-বাইত ইনস্টিটিউট থেকে ফর ইসলামিক থট কতৃক বিশ্বের ৫০০ জন প্রভাবশালী মুসলিম ব্যক্তির মধ্যে একজন নির্বাচিত হন মাওলানা তারেক জামিল।

নিজের বয়ানের মাধ্যমে ইসলামের প্রচার-প্রসারে জনপ্রিয় মার্কিন অনলাইন ভিডিও-শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবে  ১০ লাখ সাবস্ক্রাইবারের মাইলস্টোন পার করে ২০১৯ সালে ৩০ মার্চ প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে ‘গোল্ডেন প্লে বাটন’ সম্মাননাও পেয়েছেন মাওলানা তারেক জামিল

উপমহাদেশের জনপ্রিয় ও প্রখ্যাত ইসলামি ব্যক্তিত্ব মাওলানা তারেক জামিল তার বয়ানের মাধ্যমে মানুষের মাঝে ভালোবাসা ছড়িয়ে থাকেন। তার বয়ানে কল্যাণ আত্মশুদ্ধি ও  ইসলামের পথে অবিচল থাকার অনুপ্রেরণা পেয়ে থাকেন বর্তমান সময়ের  কিশোর, তরুণ,  যুৃব সমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ।

প্রখ্যাত ও জনপ্রিয় এই ইসলামি ব্যক্তিত্বের বিভিন্ন বয়ান থেকে বিশেষ ১০টি উক্তি তুলে ধরা হল আওয়ার ইসলামের পাঠকদের জন্য:

১. সফলতা কোথায় খুঁজছো? সফলতা তোমাকে দিনে পাঁচবার ডাকে, ‘ এসো সফলতার দিকে।’ অবশ্যই নামাজই সঙ্গী হবে, দুনিয়া থেকে কবর পর্যন্ত, কবর থেকে হাশর পর্যন্ত এবং হাশর থেকে জান্নাত পর্যন্ত। তুমি তোমার জীবনে নামাজ নিয়ে আসো, নামাজ তোমার জীবনে শান্তি নিয়ে আসবে।

২. কেউ তোমাকে কষ্ট দিয়ে কথা বললে তার সাথে তর্কে না জড়িয়ে উল্টো তার জন্য দোয়া কর। নিশ্চয় তুমি যা করবে, তার অনুরূপ পাবে।

৩. ঘৃণা গুনাহকে করো, যে গুনাহ করেছে তাকে নয়। হতে পারে তোমার ভালোবাসার কারণে সে গুনাহ করাই ছেড়ে দিবে।

৪. চারটি বিষয়ে লজ্জা পাবেন না।-

১. পুরাতন কাপড়।

২. বয়স্ক মা-বাবা।

৩. দরিদ্র বন্ধু বান্ধব।

৪. সাধারণ জীবন যাপন।

৫. জীবনে ভালো মানুষের খোঁজে না থেকে তুমি নিজেই ভালো হয়ে যাও, হয়তো কারো খোঁজ পূরণ হয়ে যাবে।

৬. শুধু টাকার নাম রিজিক নয়, নেক সন্তান, উত্তম আখলাক, নেককার বন্ধুও রিজিকের অন্তর্ভুক্ত।

৭. তোমার মালিক আল্লাহ তায়ালা। তার কাছেই চাও, তার কাছেই হাত তোলো, তার কাছেই পাবে, তিনিই একমাত্র তোমার আশা পূরণ করতে পারেন।

৮. নামাজকে ভালোবাসার সহিত আদায় করলে দেখবে, আল্লাহ পাক নিজেই তোমাকে পরবর্তী নামাজের জন্য দাঁড় করিয়ে দিবেন।

৯. এমন নামাজী হও যেন এক মুহুর্তও নামাজ বিহীন থাকতে না পারো।

১০. কত আফসোস! জানাজার নামাজ পড়ার জন্য মানুষ অন্য দেশ থেকে এসে পড়ে কিন্তু ফজরের নামাজের জন্য মহল্লার মসজিদেও যায় না।




শাল্লায় হামলাকারী নেতা দেশের শত্রু : ধর্মপ্রতিমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট: সুনামগঞ্জের শাল্লায় হিন্দুপল্লীতে যে হামলা হয়েছে তা অত্যন্ত ঘৃণ্যকাজ।

হামলাকারী নেতা দেশের শত্রু, জাতির শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু বলে মন্তব্য করেছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এমপি।

বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এমপি এ কথা বলেন।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী চান এ ঘটনার ন্যায়বিচার হোক। এমন বিচার হোক যেন এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর দুঃসাহস কেউ না দেখাতে পারে।

তিনি আরও বলেন, যারা দেশের সংবিধানকে উপেক্ষা করে তাদেরকে দেশে ঠাঁই দেয়া যাবে না।

এই ঘৃণ্য কাজের জন্য তিনি তীব্র নিন্দা জানান। সঠিকভাবে এদের বিচার হোক এটা দেশবাসীর মতো সরকারও চায়।

সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য মনোরঞ্জন শীল এমপি, সুনামগঞ্জ ৫ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক।