নামাজের সময় মসজিদে গুলি করে ৪৪ জনকে হত্যা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

আফ্রিকার দেশ নাইজারের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটি মসজিদে হামলা চালিয়ে ৪৪ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। শুক্রবারের ওই হামলায় আরও ১৩ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (২২ মার্চ) দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, বুরকিনা ফাসো এবং মালি লাগোয়া নাইজারের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কোকোরো শহরের ফোমিতা গ্রামের মসজিদে শুক্রবার নামাজের সময় হামলার ঘটনা ঘটেছে। পশ্চিম আফ্রিকার সশস্ত্র গোষ্ঠী ইআইজিএস এই হামলা চালিয়েছে বলে দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

এ হামলার জন্য নাইজারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অনুসারী ইআইজিএস গোষ্ঠীকে দায়ী করেছে। তবে এই হামলার বিষয়ে গোষ্ঠীটির মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারী অস্ত্রে সজ্জিত লোকেরা একটি মসজিদ ঘিরে রাখে। সেখানে পবিত্র রমজান মাসে নামাজের জন্য জড়ো হওয়া লোকজনের ওপর ‘বিরল নিষ্ঠুর গণহত্যা’চালায়।

এই হামলার ঘটনায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দেশটিতে তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।




দুর্গাপুরে শেষ হলো ৩দিন ব্যাপি হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল ও মাদরাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে শুরু হওয়া হিফজুল কুরআন, হামদ-নাত ও আজান প্রতিযোগিতা। বুধবার (১৯ মার্চ) বিকেলে উপজেলা বিএনপি‘র আয়োজনে ৩দিন ব্যাপি এ প্রতিযোগিতা শেষ হয়।

বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালের সার্বিক ব্যবস্থাপনায়, স্থানীয় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে, উপজেলার ৮৩টি মাদরাসা ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে আগত কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুইশত ছিষট্রি জন শিক্ষার্থী এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করে। তিনদিন ব্যাপি প্রতিযোগিতায় হামদ্ নাত, আযান এবং পবিত্র কুরআন তেলোয়াত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দুর্গাপুর উপজেলায় প্রথমবারের মতো বড় পরিসরে এমন আয়োজন দুটি উপজেলার শিশু-কিশোরদের মাঝে ইসলামী সংস্কৃতি চর্চার আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে বলে ধারনা করছেন স্থানীয়রা। ভবিষ্যতেও এমন আয়োজন প্রান্তিক পর্যায় থেকে শুরু করার জন্য আয়োজকদের প্রতি আহবান জানানো হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বৃহত্তর ময়মনসিংহের আলেম সমাজের পথিকৃত সায়খুল হাদিস, আল্লামা জিয়া উদ্দিন (দা: বা:)। এছাড়া প্রতিযোগিতায় উপজেলা বিএনপি‘র আহবায়ক জহিরুল আলম ভুইয়া, যুগ্ন-আহবায়ক আলহাজ¦ জামাল উদ্দীন মাস্টার, সদস্য সচিব আব্দুল আওয়াল, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আতাউর রহমান ফরিদ, সদস্য সচিব হারেজ গণি, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আবু সিদ্দিক রুক্কু, সদস্য সচিব আল ইমরান সম্রাট গণি সহ বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীগণ এবং দুর্গাপুর উপজেলা বিভিন্ন মাদরাসার সম্মনীত মাওলানা, মুফতিগণ সহ অভিজ্ঞ শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।

হামদ-নাত বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করে মাহবুবুর রহমান, ২য় স্থান মুমিন হাসান ও ৩য় স্থান অধিকার করেছে মোফাজ্জল হোসাইন।

আজান বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করে মোবারক হোসাইন, ২য় স্থান আলমগীর হোসাইন ও ৩য় স্থান অধিকার করেছে কাওসার আহমদ।

প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জনকারী পেয়েছে ১০ হাজার টাকা ও সম্মাননা স্মারক, ২য় স্থান অর্জনকারী পেয়েছে ৮ হাজার টাকা ও সম্মাননা স্মারক এবং ৩য় স্থান অর্জনকারী পেয়েছে ৬ হাজার টাকা ও সম্মাননা স্মারক। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন মুফতি সাব্বির আহমাদ এবং হাফেজ আব্দুল্লাহ আল মারুফ।

প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন : হামদ-নাত, আজান : শাইখুল হাদিস ইবরাহিম হাসান, মুফতি হাবিবুর রহমান, মুফতি অলি উল্লাহ, মাওলানা ইমরান হোসাইন, মুফতি মজিবুর রহমান, হাফেজ মো: মাসুদ।

হিফজুল কোরআন : হাফেজ মোঃ আব্দুল কাদির, হাফেজ মাওঃ অলি উল্লাহ, হাফেজ মাওঃ আফফান, হাফেজ নাজমুল হক, হাফেজ আব্দুস সামাদ এবং হাফেজ রইস উদ্দিন।

উপজেলা বিএনপি‘র যুগ্ন-আহবায়ক আলহাজ্ব জামাল উদ্দীন মাস্টার বলেন, পবিত্র রমজান মাসে এই আয়োজন কে ঘিরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। তারা খুব উৎসাহ নিয়ে এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে। এমন আয়োজনের জন্য ব্যারিস্টার কায়সার কামালের প্রতি সকলেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে। আগামীতে আরো বড়পরিসরে এ প্রতিযোগিতা শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে।

বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, সম্মানিত বিচারক মন্ডলী ও আমন্ত্রীত মেহমানদের প্রতি আমি অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি । সেইসাথে কোমলমতি বিজয়ী শিক্ষার্থীদের প্রতি অভিনন্দন । প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ । দায়িত্বপ্রাপ্ত দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি ভালবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এই সুন্দর আয়োজন সফল ভাবে শেষ করার জন্য । আগামীতেও এ ধরনের বিভিন্ন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হউন ।




চবিতে রাসুলুল্লাহ (সা.) কে নিয়ে কটুক্তি, বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

মুসলিমদের প্রাণের স্পন্দন রাসুলুল্লাহ হযরত মুহাম্মাদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তাঁকে নিয়ে কটুক্তি করলে সকল মুসলিমের অন্তরে আঘাত লাগবে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের সানবিম সিফাত ফেসবুকে রাসুলুল্লাহ (স) কে নিয়ে কটুক্তিসহ ইসলাম অবমাননাকর মন্তব্য করে। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪) দুপুর ১২ টা ৩০ মিনিটে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।

নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থী মাহদী হাসান বলেন, “আমাদের সহপাঠী সানবিম সোশ্যাল মিডিয়াতে রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কটুক্তি করে। এছাড়াও সে সোশ্যাল মিডিয়াতে অনবরত ইসলাম বিদ্বেষী বক্তব্য দিয়ে আসছে। তাকে ক্ষমা চাইতে বলা হলে সে উদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে। আমরা তার বিচার চাই। তাকে আজীবনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করতে হবে। তাকে বহিষ্কারের আগ পর্যন্ত আমরা নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০২৩-২৪ সেশনের সকল শিক্ষার্থী ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করলাম। তাকে বহিষ্কার না করলে আমাদের পুরো ব্যাচকে বহিষ্কার করতে হবে। রাসুলুল্লাহ (স) এর অবমাননাকারী শাতিমের ব্যাপারে কোনো আপোষ নাই।”

আইন বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী আহসান হাবিব বলেন, “কেউ ব্যক্তিগতভাবে কোনো বিশ্বাস অবলম্বন করতে পারে। কিন্তু, রাসুলুল্লাহ (স) এর ব্যাপারে অবমাননাকর কোনো মন্তব্য করার কোনো অধিকার কারো নাই। কেউ এমনটা করলে কোটি মুসলিমের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হবে। তাদের পক্ষে এটা সহ্য করা সম্ভব নয়। এসব উজ্জ্বল দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে এরকম ঘটনা অহরহ ঘটতে থাকবে। এমন অবমাননাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মাধ্যমে দমন করতে হবে। অন্যথায় সমাজে নৈরাজ্য সৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। আমরা আমাদের জীবনের চেয়ে প্রিয় নবি হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বেশি ভালোবাসি। আমাদের ভালোবাসায় আঘাত করা হয়েছে। আমরা দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মাধ্যমে এর সমাধানের দাবী জানাচ্ছি।”

শিক্ষার্থীর বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহিদ মিনার থেকে সমাজবিজ্ঞান অনুষদ হয়ে প্রক্টর অফিসে যান। এসময় তারা “বিশ্বনবীর অপমান, সইবে না রে মুসলমান”, ” শাতিমের ঠিকানা, এই জমিনে হবে না”, “নবি অবমাননাকারীকে বহিষ্কার করো, করতে হবে”, “নারায়ে তাকবির, আল্লাহ আকবার”, “ইসলামের শত্রুরা, হুঁশিয়ার সাবধান” স্লোগান দেন। শিক্ষার্থীদের হাতে এসময় “Defending the honor of the Prophet (Sm) is our duty.”, “যে ক্যাম্পাস মহানবী (স.) এর সম্মান রক্ষা করতে পারে না, সে ক্যাম্পাস সঠিক শিক্ষাও প্রতিষ্ঠা করতে পারে না।”, “We stand united against any insult to our beloved Prophet (Sm)” প্রভৃতি লেখা প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।




জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে ইজতেমা ময়দান

ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে মুসলিমদের অন্যতম বড় জমায়েত বিশ্ব ইজতেমা। দেশের লাখ লাখ মুসলমানদের পাশাপাশি কয়েক হাজার বিদেশি মুসলিমও এসেছেন ইজতেমায় অংশ নিতে।

ইজতেমাকে কেন্দ্র করে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ও গুজব প্রতিরোধে পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল ১০ থেকে ইজতেমা মাঠের বিভিন্ন ব্লক ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি তাবুতে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত মুসল্লীরা ইবাদত-বন্দেগি করছেন। অনেকেই ইজতেমার সহযাত্রীদের জন্য খাবার রান্না করছেন। সবাই আগে রান্না শেষ করে জুমার নামাজ আদায়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

পল্টন থেকে ইজতেমার মাঠে এসেছেন আহমেদ রাফি। তিনি বলেন, আমরা প্রায় ৩০০ জন এসেছি। এবারের পরিবেশ আগের চেয়ে ভালো। আমাদের সবারই চাওয়া দেশে শান্তি বিরাজ করুক। আমরা যেনো ইসলামের পথে সঠিকভাবে চলতে পারি।

১৫০ জন সাথী নিয়ে পুরান ঢাকার লালবাগ থেকে আগত জামিল বলেন, আমি ইজতেমায় আগেও এসেছি। এবারের পরিবেশ ও নিরাপত্তা অনেক ভালো। বর্তমানে তাবলীগ জামায়াত ঘিরে যে সমস্যা চলছে আল্লাহর পক্ষ থেকে এর সমাধান চাই।

ভারত, সৌদি আরব ও পাকিস্তানসহ বিশ্বের ৭০ টি দেশ থেকে দুই হাজারের বেশি মুসল্লি ইজতেমায় অংশ নিয়েছেন বলে জানা গেছে। আয়োজকদের পক্ষ থেকে বিদেশি মেহমানদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তার আয়োজন করা হয়েছে। নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে তাদের জন্য আলাদা তাবুর ব্যবস্থা রয়েছে। কেউ চাইলেই তাদের সংস্পর্শে আসতে পারবে না।

পাকিস্তানের পেশোয়ার থেকে এসেছেন জিয়াউর রহমান ফারুকী। তিনি বলেন, আমি এপর্যন্ত ৫ বার এই বিশ্ব ইজতেমায় এসেছি। বাংলাদেশের মানুষ অনেক অতিথিপরায়ন। আল্লাহর পথে দাওয়াতি কাজে মেহনত করতে এসেছি। বাংলাদেশিদের আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দেবেন। কারণ তারা আমাদের মতো বিদেশি মেহমানদের জন্য ভালো ব্যবস্থা করেছেন। মেহমানদারিতে বাংলাদেশের মানুষ অনেক এগিয়ে।

বাংলাদেশি নাগরিক হয়েও বিদেশি কামরায় অবস্থান করেন দীন ইসলাম। তার সাথে কথা বলে জানা গেছে, তিনি কুয়েত প্রবাসী। সেখান থেকে ২০ জনের একটি জামায়াত নিয়ে এসেছেন ইজতেমায় অংশগ্রহন করতে।

তিনি বলেন, আমাদের মত যেসব বাংলাদেশী বিদেশে আছেন তারা কাকরাইল মসজিদের মাধ্যমে ম্যাসেজ পেয়ে যান। আমরা সময় মতো চলে আসি। আমরা আরব তাবুতে অবস্থান করছি। এখানে অনেক সুন্দর আয়োজন। প্রতিটি টেন্ড ও খিমায় আমল হচ্ছে। কোনো কোনো খিমায় তালিম হচ্ছে। সবাই আমলের মধ্যে সময় পার করছেন।

ইজতেমা মাঠে হামলার বিষয়টি নিয়ে বিদেশি মুসল্লিদের ভাবনার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা খুব আন্তরিকতার সঙ্গে ইজতেমায় অংশ গ্রহণ করি। একটা গ্রুপ আছে ইজতেমার এই সুন্দর আয়োজনকে নষ্ট করার জন্য কাজ করছে। তারা ভয় দেখিয়ে বিদেশি মেহমানদের না-আসার চক্র করে যাচ্ছে। দাওয়াত ও তাবলীগের এই কাজটি তো হকের কাজ। কিন্তু এই কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই তারা নিরীহ ও ঘুমন্ত মুসল্লীদের ওপর হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে। এটা ন্যক্কারজনক ঘটনা।

জানা গেছে, ইজতেমার মাঠের নিরাপত্তায় প্রায় সাড়ে ৬ হাজারের বেশি পুলিশ এবং প্রায় ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছেন। পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও কাজ করছেন।

ইজতেমা মাঠের নিরাপত্তার বিষয়ে গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার ড.নাজমুল করিম খান বলেন, ইজতেমার মাঠে খুবই শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে। ইজতেমা ঘিরে কোনো যানজট নেই। দূরপাল্লার গাড়ি চলছে। মানুষ চলাচল করছে। নিরাপত্তা নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। ইজতেমার মাঠে আসা হকারদের আমরা বুঝিয়ে সরিয়ে দিচ্ছি।




৫৮তম বিশ্ব ইজতেমা শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

৫৮তম বিশ্ব ইজতেমা, বিশ্বের সর্ববৃহৎ দ্বিতীয় মুসলিম জমায়েত শুরু হতে যাচ্ছে আগামীকাল শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি)। সুষ্ঠুভাবে ইজতেমা সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। শুক্রবার ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয়ে শেষ হবে ২ ফেব্রুয়ারি।

গতকাল (২৯জানুয়ারী) বুধবার টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে প্রস্তুতি বিষয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী।

ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব ৩ ফেব্রুয়ারী শুরু হয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। এরপর আট দিন বিরতি দিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় ধাপের বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করবেন সাদপন্থিরা। ১৬ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ২০২৫ সালের বিশ্ব ইজতেমা। পরে ১৮ ফেব্রুয়ারি বাদ মাগরিব প্রশাসনের নিকট ময়দান বুঝিয়ে দিবেন সাদ অনুসারীরা।

ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী জানান, ইতোমধ্যে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের পানি, টয়লেট সুবিধা, পয়ঃনিষ্কাশন ও ইলেকট্রিসিটি সরবরাহের জন্য কাজ চলমান রয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ইজতেমার জন্য ময়দান প্রস্তুত করা হবে।

এছাড়া, ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষ্যে ময়দানের চারিদিকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে সিসি ক্যামেরায় নজরদারির ব্যাবস্তা করা হয়েছে। পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নকর্মীরা ইজতেমা ময়দানের সামনের রাস্তা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষ করেছেন। শেষ মুহূর্তের কিছু কাজ আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে বলে জানান ইজতেমা কর্তৃপক্ষ।




আগামী কাল ঐতিহ্যবাহী জামিয়া শাহিদিয়া ইমদাদিয়া ঝাঞ্জাইল মাদ্রাসার ইসলামী মহা সম্মেলন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামিয়া শাহিদিয়া ইমদাদিয়া ঝাঞ্জাইল মাদ্রাসার আগামীকাল মঙ্গলবার বেলা ২ ঘটিকা হইতে বাৎসরিক ইসলামী মহা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হইবে ।

উক্ত মহা সম্মেলনে পীরে কামেল, আলহাজ্ব আল্লামা জিয়াউদ্দিন সাহেব এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন, কারানির্যাতিত মজলুম আলেমে দ্বীন, শাইখুল হাদীস ইবনে শাইখুল হাদীস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের সম্মানিত আমীর, আল্লামা মামুনুল হক, অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখবেন মাওলানা মুফতি খালেদ সাইফুল্লাহ্ আইয়ুবী, মাওলানা মুফতি মুজিবুর রহমান চাটগামী, মাওলানা মুফতি ইলিয়াছ হামিদী , মাওলানা মুফতী অলিউল্লাহ্, মাওলানা মুফতি মাহমুদুল হাসান আশরাফী, মাওলানা মুফতি সালমান ফার্সী, মাওলানা মুফতি আনিসুর রহমান, মাওলানা মুফতি উবায়দুর রহমান হোজাইফী, মাওলানা মুফতি আবুল কালাম তৈয়্যবী, মাওলানা মুফতি আব্দুল মালেক, মাওলানা মুফতি এনামুল হক আইয়ুবী প্রমূখ। আরোও দেশ বরেণ্য উলামায়ে কেরাম ওয়াজ ও নছীহত পেশ করবেন।

মাহফিল কর্তৃপক্ষ সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন। ।




ইমাম খোমেনী (রহ.) বৈষয়িক অগ্রগতির পাশাপাশি আধ্যাত্মিকতা ও নৈতিকতা রক্ষার ওপর জোর দিতেন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ইমাম খোমেনী (রহ.) মনে করতেন সুস্থ মত-বিনিময় ও নানা ধরনের চিন্তার পারস্পরিক অনুধাবনই হচ্ছে ইসলামী সংস্কৃতি প্রসারের সঠিক পন্থা। কোনো একটি ধারণা ছড়িয়ে দেয়ার সবচেয়ে ভালো ভিত্তি হল চিন্তাশীলদের সঙ্গে নিয়মতান্ত্রিক সংলাপ, যুদ্ধ, বিতর্ক বা হৈ-চৈ করা নয়।

বিশ্ব দর্শন দিবস উপলক্ষে সংস্কৃতির দর্শন সংক্রান্ত এক সেমিনারে ইমাম খোমেইনীর এই দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন সাইয়্যেদ মোহসেন শারিফি নামক একজন গবেষক।

তিনি বলেছেন, ইমাম খোমেনীর মতে সংস্কৃতি হচ্ছে সমাজের মাথা ও চিন্তাশীলদের মগজ এবং সংস্কৃতি হচ্ছে সব সুখ ও দুর্ভাগ্যের উৎস। সংস্কৃতি সমাজের নির্মাতা, সমৃদ্ধির মূল ও দুর্ভাগ্যের গোড়া।

ইমাম খোমেনীর মতে সংস্কৃতিরও রয়েছে নানা ধরণ। যেমন, ইসলামী সংস্কৃতি, উপনিবেশবাদী সংস্কৃতি, নির্ভরশীলতার সংস্কৃতি, রাজকীয় সংস্কৃতি, স্বাধীনতার সংস্কৃতি ইত্যাদি। ইসলামী ও পশ্চিমা সংস্কৃতি উভয়ই বৈশ্বিক মিশনের দাবিদার, কিন্তু ইমাম খোমেইনীর মতে অবিকৃত ইসলামী সংস্কৃতি পশ্চিমা সংস্কৃতির চেয়ে উন্নত। পশ্চিমা সভ্যতা ও সংস্কৃতি নানা রোগের কারণে ভেঙ্গে যাচ্ছে ও বিলুপ্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলেও তিনি মনে করতেন।

শারিফি আরও বলেছেন, মুসলিম চিন্তাবিদদের কেউ কেউ বলছেন প্রগতির একমাত্র পথ পশ্চিমা সংস্কৃতি, তাদের আরেক দল মনে করেন, পশ্চিমা সংস্কৃতিকে পুরোপুরি পরিহার করা উচিত ও এ সংস্কৃতির কোনো সাফল্য নেই, আর ইসলামী ও পশ্চিমা সংস্কৃতির মধ্যে বন্ধন বা সম্পর্ক ইসলামী সভ্যতাকে বিচ্যুত ও দুষিত করবে। অন্য এক দল মনে করেন সভ্যতা ও সংস্কৃতিগুলোর মধ্যে সম্পর্ক যদি যৌক্তিক হয় ও সমালোচনা-ভিত্তিক তাহলে তা বয়ে আনবে উন্নতি ও প্রগতি। ইমাম খোমেনী এই তৃতীয় ধারার চিন্তার ভিত্তিতেই কাজ করতেন ও কথা বলতেন।

তিনি আরও বলেছেন, ইমাম খোমেনী মনে করতেন পশ্চিমা সংস্কৃতির কিছু দুর্বলতা হল উপনিবেশবাদ ও পশ্চিমা-বিকারবাদ। আর এর ভালো দিক তথা বৈজ্ঞানিক অগ্রগতিকে ভিন্নভাবে নেয়া উচিত। বৈষয়িকতা ও বস্তুতান্ত্রিক উন্নতির পাশাপাশি নৈতিকতা ও আধ্যাত্মিকতারও বিকাশ ঘটানোর ওপর জোর দিয়ে তিনি একটি তৃতীয় বা মধ্যবর্তী চিন্তার অনুসরণ করতেন।

ইমাম খোমেনী (র) মনে করতেন সুস্থ মত-বিনিময় ও নানা ধরনের চিন্তার পারস্পরিক অনুধাবনই হচ্ছে ইসলামী সংস্কৃতি প্রসারের সঠিক পন্থা। কোনো একটি ধারণা ছড়িয়ে দেয়ার সবচেয়ে ভালো ভিত্তি হল চিন্তাশীলদের সঙ্গে নিয়মতান্ত্রিক সংলাপ, যুদ্ধ, বিতর্ক বা হৈ-চৈ করা নয়। আর এই ছিল ইমাম খোমেনীর সংলাপের সংস্কৃতি।

শারিফি আরও বলেছেন, ইমাম খোমেনী পশ্চিমা সংস্কৃতির নেতিবাচক দিক মোকাবেলার জন্য ও পশ্চিমা আধিপত্যবাদ মোকাবেলার জন্য ইসলামের দিকে ফিরে আসার ওপর গুরুত্ব দিতেন। এভাবে ইমাম পশ্চিমা সংস্কৃতির সঙ্গে সংঘাতের বিষয়টিকে বিবেচনা করতেন যে পশ্চিমা সংস্কৃতি ও চিন্তাধারা সমসাময়িক যুগে কথিত মানবতাবাদ, ব্যক্তি স্বাতন্ত্রবাদ ও ভোগবাদের ওপর প্রতিষ্ঠিত।




শিক্ষা সিলেবাসে ইসলামপন্থিদের নিয়ে বৈষম্যমূলক ইতিহাস বাতিলের দাবি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

সাধারণ শিক্ষায় সবক্ষেত্রে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা ও কওমি শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়াসহ ৪ দফা দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী কওমি ছাত্র আন্দোলন। মঙ্গলবার ( ৭ জানুয়ারি ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।

বৈষম্যবিরোধী কওমি ছাত্র আন্দোলনের অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে— জাতীয় শিক্ষা সিলেবাসে ইসলামপন্থিদের নিয়ে বৈষম্যমূলক ইতিহাস বাতিল করে সঠিক ইতিহাস ও অবদান অন্তর্ভুক্ত করতে হবে; যারা কৌশলে ইসলামপন্থিদের ইতিহাস ও অবদান এড়িয়ে গেছে তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে; কওমি সনদের যথাযথ মূল্যায়ন এবং রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে কওমি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে এবং বাংলাদেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বহি:বিশ্বে কওমি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা অর্জনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

মানববন্ধনে আন্দোলনের সমন্বয়ক তোফায়েল আহমেদ বলেন, সম্প্রতি প্রকাশিত পাঠ্যপুস্তকে জুলাই বিপ্লবে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন শ্রেণির অবদানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

কিন্তু ৭০-এর অধিক শাহাদাত বরণকারী মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের সাহসিকতার কথা তুলে ধরা হয়নি। আমরা মনে করি এটি এক ধরনের বৈষম্য ও ইতিহাস গোপনের অপচেষ্টা। যা কওমি শিক্ষার্থীরা কখনোই মেনে নেবে না।

তিনি আরও বলেন, এমন পদক্ষেপের আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে, আপনারা সঠিক ইতিহাস জাতির সামনে তুলে ধরবেন।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন— বৈষম্যবিরোধী কওমি ছাত্র আন্দোলনের সহকারী সমন্বয়ক মাকসুদুর রহমান, মোস্তফা হোসাইন, জসিম উদ্দীন প্রমুখ।




মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল হক

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক মিয়া মোহাম্মদ নুরুল হক। তিনি সরকারি মাদ্রাসা-ই আলীয়া ঢাকার হেড মাওলানা।

আজ সোমবার (৬ জানুয়ারি) সিনিয়র সহকারী সচিব এ কে এম লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগে ন্যাস্তকৃত বি সি এস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের কর্মকর্তাকে বর্ণিত পদ ও কর্মস্থলে প্রেষণে বদলী/পদায়ন করা হলো।




গাইবান্ধায় সড়ক দুর্ঘটনায় মসজিদের ইমামের মৃত্যু

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় জাহিদ হাসান (৩০) নামে এক মসজিদের ইমাম নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বেলা ১১ টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের পশ্চিম চৌমাথা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত জাহিদ হাসান বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার দাড়িদহ কালুগাড়ী গ্রামের ছোলায়মান আলীর ছেলে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হাফেজ জাহিদ হাসান সকালে শ্বশুরবাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে বগুড়ায় নিজের কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। গোবিন্দগঞ্জ পৌর এলাকার পশ্চিম চৌমাথা এলাকায় পৌঁছালে তিনি মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা খান। এতে তার মাথা ও মুখ থেঁতলে যায় এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় মসজিদের ইমাম ও আলেমরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেন বলেন, “নিহত জাহিদ হাসান বগুড়ার একটি মসজিদে ইমামতি করতেন। তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।”

এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।