আলেম-ওলামাদের মুক্তির দাবি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

আটককৃত সকল আলেম-ওলামাদের মুক্তি দাবি করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

আজ রবিবার (৩০ মে) রাজধানীর পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মো. রেজাউল করিম এ দাবি জানান। বাংলাদেশী পাসপোর্ট থেকে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শব্দ বাদ, আসন্ন জাতীয় বাজেট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়াসহ দেশব্যাপী চলমান জেল জুলুম ও মামলার প্রতিবাদে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণাও করে দলটি।

অবিলম্বে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে আগামী ২ জুন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এবং ৩ জুন দেশব্যাপী প্রতিটি জেলা ও মহানগরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়া হয়। এছাড়া পাসপোর্ট থেকে একসেপ্ট ইজরাইল শব্দ বাদ দেয়ার প্রতিবাদে ও সংযোজনের দাবিতে ৫ই জুন শনিবার বিকেল তিনটায় বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে বিক্ষোভ কর্মসূচিরও ঘোষণা দেয়া হয়। এছাড়া টিকা সংগ্রহ ও বিতরণকে দুর্নীতিমুক্ত করার পাশাপাশি একটি সার্বজনীন কমিটি গঠন করারও দাবি জানান তারা।




তুরস্কের ব্লু মসজিদ দেখেই ব্রিটিশ অভিনেত্রীর ইসলাম গ্রহণ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক::

তুরস্কের ব্লু মসজিদ দেখেই ইসলাম গ্রহণ করলেন ব্রিটিশ অভিনেত্রী আয়েশা রোজালি। তুরস্কে ঘুরতে গিয়ে দেখেন বিখ্যাত ব্লু মসজিদ বা সুলতান আহমেদ মসজিদ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের বাসিন্দা এ অভিনেত্রী। মনোমুগ্ধকর এই মসজিদ ভ্রমণ করে ইসলামের প্রতি গভীরভাবে আকৃষ্ট ব্রিটিশ বংশোদ্ভুদ রোজালি। দুই বছর আগে তুরস্কের মসজিদটি ভ্রমণ করেন তিনি।

মসজিদ দেখার পর থেকেই ইসলাম নিয়ে গবেষণা শুরু করেন তিনি। অবশেষে ইসলামের প্রতি মুগ্ধ হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। এখন তিনি সম্পূর্ণভাবে নিজেকে ইসলাম প্রচারে নিয়োজিত করেছেন। ইসলাম গ্রহণের পর রোজালি পুরোপুরি অভিনয় ছেড়ে দেন। বর্তমানে তিনি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ইসলামের বাণী প্রচার করেন। রোজালি বলেন, ‘ইসলাম গ্রহণে আগ্রহীদের আমি সহায়তা করতে চাই। আমি চাই আরো বেশি মানুষ ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আসুক। মুসলিম হওয়ার আগে আমি কোনো ধর্ম অনুসরণ করতাম না।’

তুরস্ক ভ্রমণের বিষয়ে তিনি বলেন, তুরস্কে এসে ধর্ম সম্পর্কে জানার আমার কোনো আগ্রহ ছিল না। গুগলে সার্চ করে ব্লু মসজিদের সন্ধান পাই। মনে মনে ভাবি যে এই মসজিদে আমার যাওয়া উচিত। মসজিদটি পরিদর্শনের আগে স্থানীয় দোকান থেকে হিজাব কিনি। ভেবেছিলাম, চুল দৃশ্যমান রাখলে মানুষ আমার ওপর রাগ করবে। তাই হিজাবটি কিনি। যেন কেউ আপত্তি জানাতে না পারে।

মসজিদ ভ্রমণে এসে রোজালি ইসলাম সম্পর্কে জানেন এবং আগ্রহী হয়ে ওঠেন। রোজালি জানান, ব্লু মসজিদে প্রবেশ করে একটি তাসবিহ ও জায়নামাজ নেই এবং কিছুক্ষণ তাসবিহ পাঠ করি। প্রায় এক ঘণ্টার মতো আমি তাসবিহ পড়ি। মসজিদের চারপাশ দেখে মুগ্ধ হয়ে যাই। মসজিদের ভেতরের সৌন্দর্য অবাক করার মতো। ভেতরে পরিবেশ অত্যন্ত শান্ত ও নীরব।

তিনি আরও বলেন, আমার সামনে অনেক মানুষকে একসাথে নামাজ আদায় করতে দেখি। মসজিদের ভেতরের অবিশ্বাস্য মুগ্ধকর দৃশ্য ও নীরব পরিবেশ উপভোগ করতে থাকি। আমাকে দেখে কেউ আওয়াজ করছেন না দেখে খুবই অবাক হই। এরপর একপর্যায়ে আমি পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম ইসলামকে আমার জীবন বিধান হিসেবে গ্রহণ করি। শান্তির ধর্ম ইসলাম গ্রহণের পর আমার মনে হয়েছে যেন আমি নবজীবন লাভ করেছি।




দুর্গাপরের গাছে গাছে আল্লাহ নাম

দুর্গাপরের গাছে গাছে আল্লাহ নাম
নেত্রকোণার দুর্গাপুরের গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের জাগিরপাড়া-সংকরপুর আঞ্চলিক সড়কটি সব সময়ই মানুষ চলাচলে ব্যস্ত থাকে। রাস্তার দুই পাশে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ছোট-বড় অসংথ্য গাছ। সেইসব গাছে শোভা পাচ্ছে আল্লাহর জিকির সম্বলিতফ্যাস্টুন। মহান আল্লাহর গুণবাচক নাম সম্বলিত ফ্যাস্টুন পেরেক দিয়ে সাঁটানো হয়েছে এসব গাছে। এমন নজরকাড়া দৃশ্য যে কারো দৃষ্টি আকর্ষণ করবে অনায়াসে। ঝড়, বৃষ্টি থেকে ফ্যাস্টুন গুলোকে বাঁচাতে লেমিনেটিং করে সাঁটানো হয়েছে গাছে। এসব ফ্যাস্টুন গুলোতে লিখা রয়েছে আলহামদু লিল্লাহ, সুবহানাল্লাহ, আল্লাহু আকবার, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, বিসমিল্লাহ সহ আল্লাহ তায়ালার গুণবাচক নাম।এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেন দুর্গাপুরের জাগিরপাড়া গ্রামের ডাঃ ইদ্রিস আলী সরকারের ছেলে মোঃ খাইরুল ইসলাম। তিনি নিজ খরচে সড়কের পাশে মহান আল্লাহ তায়ালার নামগুলো কম্পিউটারের মাধ্যমে কাগজে লিখে লেমিনেটিং করে গাছে গাছে সাঁটিয়েছেন।জাগিরপাড়া বাজার জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওঃ আ্জজিুল হক বলেন, গাছে বা দেয়ালে অনেক ফ্যাস্টুন দেখেছি এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ এই প্রথম দেখলাম। আল্লাহর নাম সম্বলিত ফ্যাস্টুন গাছে সাঁটানো সত্যিই প্রশংসনীয়।
মোঃ খাইরুল ইসলাম ডিএনবি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, একজন মুসলমান হিসেবে সবসময় আল্লাহর নাম স্মরণ রাখা দরকার। চলার পথে মানুষ যেন আল্লাহর নাম স্মরণ রাখে । ফ্যাস্টুন নজরে পড়লেই যেন মানুষ আল্লাহর জিকির করে অভ্যাসে পরিণত করে তাই এ ব্যবস্থা করা হয়েছে।




কাবা শরীফের ইমামের ওপর হামলা চেষ্টা

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

মসজিদুল হারামে জুমার নামাজের খুতবা দেয়ার সময় খতিবের ওপর হামলা চেষ্টা করেন এক ব্যক্তি। তবে নিরাপত্তারক্ষীদের তৎপরতায় তাকে আটক করা হয়। সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করা এক ভিডিওতে দেখা গেছে, শুক্রবার মসজিদুল হারামে জুমার নামাজের খুতবা দিচ্ছেন ইমাম। এসময় সামনে থেকে এক ব্যক্তি লাঠি নিয়ে ইমামের মেহরাবের দিকে তেড়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে শক্তহাতে প্রতিহত করেন। সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তিকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে ওই হামলাকারীর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। কী কারণে এবং কী উদ্দেশ্যে হামলার চেষ্টা চালানো হয়, সে বিষয়েও কোনো তথ্য দেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার পর মক্কা পুলিশ টুইটবার্তায় জানিয়েছে, ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।




বাবুনগরীর সহকারী ফারুকী গ্রেপ্তার

ইন‘আমুল হাসান ফারুকী হাটহাজারী উপজেলা হেফাজতে ইসলামের প্রচার সম্পাদক। বাবুনগরীর পক্ষে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠাতেন তিনি। গণমাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষাও ছিল তার দায়িত্ব। শুক্রবার রাতে হাটহাজারীর ফতেয়াবাদ বড় দিঘীর পাড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, “ফারুকী শাহ আহমদ শফী হত্যা মামলার আসামি। পাশাপাশি হাটহাজারীর নাশকতার ঘটনার মামলারও আসামি। অন্য কিছু বিষয়ও আছে।” গ্রেপ্তার ফারুকীকে ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে’ হাটহাজারী থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানান লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর।

গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান হেফাজতের আমির আহমদ শফী। তিনি হাটহাজারী বড় মাদ্রাসার মহাপরিচালক ছিলেন। হেফাজতে নেতৃত্বের বিরোধের জেরে মৃত্যুর আগের দিন মাদ্রাসায় তুমুল হট্টগোলের মধ্যে শফী মহাপরিচালকের পদ ছাড়তে বাধ্য হন।

শফীকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল দাবি করে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর তার শ্যালক মো. মইন উদ্দিন চট্টগ্রামের আদালতে মামলা করেন। ওই মামলায় বাবুনগরীসহ ৪৩ জনকে আসামি করে সম্প্রতি আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পিবিআই। এদিকে শফীর মৃত্যুর পর হেফাজতের আমিরের পদে আসেন বাবুনগরী।

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের বিরোধিতা করে গত ২৬ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ হেফাজতের বিক্ষোভ-হরতাল থেকে চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ছড়ায়। হাটহাজারীতে থানা আক্রমণ, ভূমি অফিসে ভাংচুর, ডাক বাংলোতে হামলাসহ বিভিন্ন সহিংস ঘটনায় পুলিশ একাধিক নাশকতার মামলা করেছে।




বাড়ি ফিরছে ফিলিস্তিনিরা, ঢুকছে ত্রাণের চালান

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের কয়েক ঘণ্টা পর ফিলিস্তিনে পৌঁছছে প্রথম ত্রাণের চালান। ইসরায়েলি বাহিনী সীমান্ত খুলে দেওয়ার পর জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সাহায্য সংস্থার ত্রাণের ট্রাক ঢুকছে গাজায়। এসব ট্রাকে খাবার, জ্বালানি ও ওষুধ রয়েছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর হাজারো ফিলিস্তিনি আশ্রয়শিবির থেকে বাড়ি ফিরছে।

জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ বলেছে, এই এলাকার এক লাখের বেশি মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিল। সেখানকার আট লাখ মানুষ খাবার, পানি ও জ্বালানির সংকটে রয়েছে।

চলতি মাসে শেখ জারাহ দখল নিয়ে সংঘর্ষে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ শুরু হয়। তারপর শুরু হয় ইসরায়েলের ওপর দমন-পীড়ন। অনেকে এলাকা ছাড়েন। অনেকের নামেই মামলা হয়, যা আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি কাড়ে।




মাহমুদ আব্বাসকে সৌদি বাদশাহর ফোন, জানালেন ইসরায়েলি আগ্রাসনের নিন্দা

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের গাজায় টানা ১১ দিন বিমান হামলার পর অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনয়ামিন নেতানিয়াহু। শুক্রবার রাত ২টায় ইসরাইল ও হামাস দুই পক্ষই যুদ্ধবিরতিতে যায়।

একইদিন (শুক্রবার) ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে ফোন করেন সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ। গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।

এছাড়া ইসরায়েলি হামলায় নিহত নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের জন্য দোয়া এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন সৌদি বাদশাহ।

মাহমুদ আব্বাসকে সালমান বিন আব্দুল আজিজ আশ্বস্ত করেন, সৌদি আরব দখলদার ইসরায়েলি সরকারের ওপর চাপ বাড়ানোর জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান অব্যাহত রাখবে। আমরা জেরুসালেমে মুসলিমদের ওপর হামলা ও উচ্ছেদ বন্ধে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সৌদি আরব সব সময় ফিলিস্তিনের জনগণের সুরক্ষা ও শান্তি কামনা করে।

জবাবে সৌদি বাদশাহকে ধন্যবাদ জানান ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।  বলেন, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধে সৌদি আরব বিশ্ব সম্প্রদায়, মুসলিম বিশ্ব ও আরব সংগঠনগুলোকে একত্রিত করতে কাজ করেছে। এজন্য ফিলিস্তিনের জনগণের পক্ষ থেকে আমি সৌদি আরবের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।




মডেল মসজিদে নিয়োগ পাবেন কওমি সনদধারী আলেমরাও

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

সারাদেশে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে ৫৬০ টি মডেল মসজিদ। এর মধ্যে প্রথমধাপে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই উদ্বোধন হবে ৫০ টি। এই মসজিদগুলোতে নিয়োগ পাচ্ছেন কওমি মাদ্রাসা পড়ুয়া আলেমরাও।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে পাঠানো জনবল নিয়োগ বিষয়ক এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আপাতত প্রতিটি মসজিদে সম্পূর্ণ অস্থায়ীভাবে ৪ জন জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। একজন পেশ ইমাম, একজন মোয়াজ্জিন ও দুজন খাদেম।

প্রকাশিত সেই বিজ্ঞপ্তিতে পেশ ইমামের যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে, সর্বনিম্ন দ্বিতীয় শ্রেণীর কামিল ডিগ্রী অথবা দ্বিতীয় শ্রেণীর দাওরায়ে হাদিস। এছাড়াও ন্যূনতম পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতার কথা বলা হয়েছে।

No description available.

তবে হাফেজে কোরআন ও ইলমে কিরাতের উপর স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সনদপ্রাপ্ত হাফেজ অগ্রাধিকার পাবেন। আরবিতে কথা ও আরবিতে উপস্থিত খুতবা দিতে পারে এবং ইসলামের উপর গবেষণাধর্মী প্রকাশনা অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে।

মুআজ্জিনের যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে, দ্বিতীয় শ্রেণীতে উত্তীর্ণ আলিম পাশ বা সমমানের কওমি শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন স্বীকৃত বোর্ড বা প্রতিষ্ঠান থেকে সনদধারী। পাশাপাশি নুন্যতম তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বিশেষতঃ হাফেজে কুরআন ও ইলমে কিরাতের উপর স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সনদ প্রাপ্তদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

এছাড়াও এসব মডেল মসজিদের জন্য দু’জন খাদেম নিয়োগ দেবে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। তাদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে দ্বিতীয় শ্রেণীর আলিম পাস অথবা সমমান এর কওমি শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন স্বীকৃত বোর্ড বা প্রতিষ্ঠান থেকে সনদধারী। এছাড়া শারীরিকভাবে সুস্থ-সক্ষম হতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে খাদেম হিসেবে নুন্যতম এক বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।




সাংবাদিক হেনস্থা ও গ্রেফতার দুঃশাসনের চূড়ান্ত রূপ: ইসলামী আন্দোলন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা, গ্রেফতার ও জেলে প্রেরণ সরকারের দূর্নীতি ও দুঃশাসনের চূড়ান্ত রূপ বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলনের বাংলাদেশ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ আলম ও সেক্রেটারী মাওলানা আব্দুল আউয়াল। আজ (১৮মে) মঙ্গলবার  এক যুক্ত বিবৃতিতে উপরোক্ত এসব বলেন নেতৃদ্বয়।

নেতৃদ্বয় আরো বলেন, একটি স্বাধীনদেশে একজন সিনিয়র গণমাধ্যম কর্মীকে পাঁচ-ছয় ঘণ্টা আটকে রেখে হেনস্থা ও সুস্পষ্ট কোনো অভিযোগ ছাড়াই গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণের মাধ্যমে সরকার দেশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্য করেছে। নিজেদের ক্ষমতাকে ধরে রাখতে নতুন নতুন আইনের মাধ্যমে মানুষের মৌলিক অধিকার ও বাকস্বাধীনতার অধিকার হরণ করেছে। যা কোন সভ্য দেশের কালচার হতে পারে না। বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, সরকারের প্রতিটি সেক্টরে দূর্নীতি চূড়ান্ত রূপলাভ করেছে। স্বাস্থ্য, শিক্ষাখাতসহ সকল উন্নয়নমূলক কাজে দূর্নীতি চরম আকার ধারণ করেছে।যা দেশের অগ্রগতির জন্য অন্তরায়।

নগর সভাপতি বলেন, সাংবাদিকগণ দেশের আয়না, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। আমরা সাংবাদিক মহলের উপর এই ঘৃণ্য আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই। সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করছি। আজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলন বর্জন করে গণমাধ্যমকর্মীরা যে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে এজন্য তিনি সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানান। এভাবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও জনগণের অধিকার রক্ষায় সাংবাদিকদের সাহসী ভূমিকা পালন করতে হবে। নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারকেই নিশ্চিত করতে হবে সকল সাংবাদিকদের স্বাধীনতা, নিরাপত্তা। সেই সাথে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামসহ গণমাধ্যম কর্মীদের নামে দায়েরকৃত হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।




গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত বেড়ে ১৭১

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর বোমা হামলায় রোববার (১৬ মে) ভোরে আরও ২৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে টানা সপ্তম দিনের মতো দখলদার বাহিনীর হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭১ জনে দাঁড়িয়েছে, যার মধ্যে ৪৯ জন শিশুও রয়েছে।

আল জাজিরা জানায়, রোববারের বোমা বর্ষণে অন্তত ৫০ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা বর্ষণে দুইটি বাড়ি মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। এদিকে গাজার হামাসের সামরিক শাখার প্রধান ইয়াহিয়া আল সিনওয়ারের বাড়ি লক্ষ্য করেও হামলা চালায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। বোমা হামলার পর ইয়াহিয়া আল সিনওয়ারের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা এখন পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি। আল-আকসা টেলিভিশন জানায়, ওই হামলার জবাবে সকালেই তেল আবিব ও ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের শহরগুলোয় রকেট হামলা চালিয়েছে হামাস।

গত সোমবার (১০ মে) থেকে শুরু হওয়া হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭১ জনে দাঁড়িয়েছে, যার মধ্যে ৪৯ শিশু রয়েছে। নিহতদের মধ্যে ১৩ জন অধিকৃত পশ্চিম তীরের বাসিন্দা। বাকিরা গাজার বাসিন্দা।

এছাড়া এসব হামলায় এ পর্যন্ত হাজারের কাছাকাছি মানুষ আহত হয়েছেন। অন্যদিকে হামাসের অব্যাহত রকেট হামলায় ২ শিশুসহ ১০ জনের নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।