যেসব জেলায় মোতায়েন করা হলো বিজিবি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা রক্ষার্থে সারা দেশের বিভিন্ন জেলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের মোতায়েন করা হচ্ছে ।

আজ বৃহস্পতিবার বিজিবির পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়জুর রহমান বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের চাহিদার প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে দুর্গাপূজায় নিরাপত্তার রক্ষার্থে দেশব্যাপী বিজিবি মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত কুমিল্লা, নরসিংদী ও মুন্সীগঞ্জসহ ২২টি জেলায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চাহিদা থাকলে রাজধানী ঢাকায়ও বিজিবি মোতায়েন করা হবে।




ওয়াজ মাহফিলে কোন উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়া যাবে না: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ওয়াজ মাহফিলে কোরআনের বাইরে উসকানিমূলক কোন বক্তব্য দেওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। তিনি বলেছেন, ‘নীতি-নৈতিকতা-মূল্যবোধ লালন ও ধারণা করা আমাদের প্রত্যেকের কর্তব্য। সবাইকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে এবং এটি তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িতে দিতে হবে।’

সোমবার (১১ অক্টোবর) ভোলা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত দিনব্যাপী সচেতনতামূলক আলোচনা সভায় ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের চিন্তা করতে হবে যেন কেউ ধর্মকে ব্যবহার করে জঘন্য অপরাধ করতে না পারে। সেজন্য তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ফেসবুক, ইউটিউবে এ ধরনের অপপ্রচার বেশি ঘটছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলছি, যেন প্রযুক্তি ব্যবহার করে যারা ধর্ম নিয়ে কটূক্তি ছড়ায় এই ধরনের অপরাধীদের ধরার চেষ্টা করছি। যারা ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যারা অন্যায়কারী, অপরাধের সঙ্গে লিপ্ত এবং সংবিধানের মূলনীতি ভঙ্গ করার চেষ্টা করে তাদের বিরুদ্ধে আইন হয়ে গেছে। যে ধর্মের লোক হোক না কেন তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

এ সময় প্রতিমন্ত্রী জনগণকে স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগিতার আহ্বান জানান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগামীতে হজ যাত্রীদের ইমিগ্রেশন দেশেই হবে।’

ভোলার জেলা প্রশাসক তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম গোলদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মামুন আল ফারুক, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অসীম সাহাসহ বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




ফিলিস্তিনি শহিদদের কবরস্থান গুঁড়িয়ে দিল ইসরায়েল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

জেরুজলেমে অবস্থিত মসজিদ আল-আকসার পাশে একটি কবরস্থান গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এখানে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে শহিদ ফিলিস্তিনিদের কবর দেওয়া হয়। খবর আনাদোলুর।

ইসরায়েল সরকার পরিচালিত জেরুজালেম পৌর কর্তৃপক্ষ বোরবার আল-আকসার পাশে ওই মুসলিম কবরস্থানটি গুঁড়িয়ে দেয়।

এ সময় অসংখ্য কঙ্কাল কবর থেকে বের হয়ে পড়ে থাকে। এ সময় ফিলিস্তিনিরা এগুলো কুড়িয়ে সমাহিত করার চেষ্টা করেন।

ইসরায়েলের সঙ্গে ১৯৪৮ ও ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে যেসব ফিলিস্তিনি শহিদ হয়েছিলেন, আল-আকসার পাশে আল-ইয়ুসুফিয়া নামে বহু পুরনো মুসলিম কবরস্থানটিতে তাদের দাফন করা হয়েছিল।

আন্তর্জাতিক নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রতিনিয়ত এ ধরনের অমানবিক কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে ইহুদিবাদী এ দেশটি।




প্রযুক্তিনির্ভর হজ ব্যবস্থাপনায় প্রশিক্ষণ দেবে সরকার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক: 

প্রযুক্তিনির্ভর হজ ব্যবস্থাপনায় অংশগ্রহণের জন্য হজযাত্রী ও সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক সভায় তিনি এ কথা বলেন। ২০২২ সালের হজ সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনার অংশ হিসেবে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার সংক্রান্ত বিষয়ে পূর্ব প্রস্তুতি বিষয়ে এ সভা হয়।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করে হজযাত্রীদের হজ পালন করতে হতে পারে। বর্তমানে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় অ্যাপস ব্যবহারের মাধ্যমে পবিত্র ওমরাহ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

তিনি আরও বলেন, করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হলে আগামী বছরের হজে সব দেশ থেকে আগের মতো মুসল্লি অংশ নিতে পারবে বলে আশা করছে সৌদি আরব।




মাওলানা মামুনুল হককে খুলনা কারাগারে স্থানান্তর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

মাওলানা মামুনুল হককে খুলনা কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে খুলনা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার দেলোয়ার পারভেজ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, সোনাডাঙ্গা থানার ২৩ (২) ২০১৩ নং মামলায় খুলনা অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজিরার জন্য হেফাজত ইসলামের নেতা মামুনুল হককে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সকালে পুলিশ হেফাজতে তাকে খুলনা জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত ১৮ এপ্রিল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদরাসা থেকে বেলা ১২টার দিকে মামুনুল হককে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে ২৭টি মামলা দায়ের হয়।




কাবুল থেকে সরে যাওয়ার চূড়ান্ত পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্র

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

সেনাদের প্রত্যাহারের আগে এখন কাবুল বিমানবন্দরে থাকা অবশিষ্ট এক হাজারের কিছু বেশি বেসামরিককে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে বলে রোববার পশ্চিমা এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন।

পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই পশ্চিমা নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, সরিয়ে নেওয়ার এই প্রক্রিয়া শেষ করার তারিখ ও সময়ের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, মঙ্গলবারের (৩১ অগাস্ট) মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা সরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি মেনে চলবেন তিনি।

কাবুল বিমানবন্দরে নিয়োজিত ওই নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, “প্রত্যেক বিদেশি বেসামরিক ও ঝুঁকিতে থাকা লোকজনকে আজকের মধ্যে সরিয়ে নেওয়া নিশ্চিত করতে চাই আমরা। এই প্রক্রিয়া শেষ হলেই বাহিনীগুলো কাবুল ত্যাগ করা শুরু করবে।”

সারা দেশজুড়ে বিদ্যুৎগতিতে অগ্রসর হয়ে ১৫ অগাস্ট রাজধানী কাবুলে প্রবেশ করে তালেবান। ওই দিনই আফগানিস্তানের পশ্চিমা সমর্থিত সরকার ও সেনাবাহিনী ভেঙে পড়ে। এতে দেশটিতে প্রশাসনিক শূন্যতা তৈরি হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী তালেবান জানিয়েছে, তারা বিদেশি ও দেশ ছাড়তে ইচ্ছুক আফগানদের আকাশপথে কাবুল ছাড়ার বিষয়টি অনুমোদন করবে।

গত দুই সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্ররা প্রায় এক লাখ ১৩ হাজার ৫০০ লোককে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নিয়েছে, কিন্তু কাবুল ছাড়তে ইচ্ছুক আরও প্রায় লাখ খানেক মানুষ পড়ে থাকবে বলে রয়টার্স জানিয়েছে।

শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা কাবুল বিমানবন্দরে চার হাজারেরও কম সেনা আছে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছিলেন। এর আগে সেখানে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার ৮০০ সেনা ছিল।

v




তালেবান-যুক্তরাষ্ট্র চুক্তিতে কী ছিল?

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

শুক্রবার তারা দেশটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় বৃহত্তম শহর কান্দাহার ও হেরাতের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে খবর এসেছে। এ অবস্থায় কাবুল থেকে দূতাবাস খালি করার তোড়জোড় শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।

গত মে মাসে নতুন করে সংঘাত শুরুর পর তালেবান বাহিনী এত দ্রুত এত বেশি সাফল্য পেয়ে যাবে, তা ছিল বাইডেন প্রশাসনের ধারণার বাইরে। এখন মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের মূল্যায়ন বলছে, শিগগিরই কাবুলেরও পতন ঘটতে পারে তালেবানের হাতে ।

পরিস্থিতির এমন অবনতির পরও আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বদলাচ্ছেন না বাইডেন।

পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, দূতাবাসের কর্মী প্রত্যাহারের কাজটি তারা সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা ৩১ আগস্টের মধ্যেই শেষ করতে চান।

তালেবান বাহিনীর এই অগ্রযাত্রার মধ্যে সেই শান্তি চুক্তির বিষয়টি আবারও আলোচনায় আসছে। কাতারের রাজধানী দোহায় ২০২০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের মধ্যে ওই চুক্তির লক্ষ্য ছিল আফগান যুদ্ধের অবসান ঘটানো।

সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং তালেবানের দোহা মুখপাত্র সোহাইল শাহীন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন৷

চুক্তির মূল ধারা চারটি, যেখানে শুরুতেই বলা হয়েছে ‘ইসলামিক আমিরাত অব আফগানিস্তান’ নামটিকে যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দেয় না এবং এরা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তালেবান হিসেবে পরিচিত। এই চুক্তিটি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তালেবানের, যদিও তালেবান নিজেদেরকে চুক্তির নথিতে ‘ইসলামিক আমিরাত অব আফগানিস্তান’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।

চুক্তির শিরোনাম ছিল – ‘আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য চুক্তি’। এটি দারি, পশতু এবং ইংরেজি ভাষায় অনূদিত হবে বলেও নথিতে উল্লেখ করা হয়। তারিখ হিসেবে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের পাশাপাশি হিজরি চান্দ্র ও সৌর বর্ষও উল্লেখ করা ছিল।

সমন্বিত ওই শান্তি চুক্তির চারটি ধারা একটি আরেকটির ওপর নির্ভরশীল।

প্রথম ধারায় বলা হয়, আল-কায়েদাসহ কোনো গোষ্ঠী বা ব্যক্তিকে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না বলে তালেবান নিশ্চয়তা দিচ্ছে। এ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের ব্যবস্থাপনাও তারা করবে।

দ্বিতীয় ধারায় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নিশ্চয়তা দেওয়া হয়, আফগানিস্তান থেকে সব বিদেশি সেনা প্রত্যাহার করা হবে, এটা বাস্তবায়নের ব্যাবস্থাপনা তারা করবে এবং সেনা প্রত্যাহারের একটি সময়সূচিও ঘোষণা করা হবে।

তৃতীয় ধারায় বলা হয়, আন্তর্জাতিক সাক্ষীর উপস্থিতিতে আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহারের নিশ্চয়তা এবং এর সময়সূচি ঘোষণার পর, এবং তালেবানের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করতে না দেওয়ার নিশ্চয়তা ঘোষণা করার পর তালেবান পক্ষ আফগানিস্তানের সরকারের সঙ্গে আন্তঃআফগান আলোচনা ও সমঝোতার প্রক্রিয়া শুরু করবে। ২০২০ সালের ১০ মার্চ এই আলোচনা শুরুর তারিখ ঠিক করা হয়।

চতুর্থ ধারায় বলা হয়, আন্তঃআফগান দরকষাকষি ও আলোচনায় আলোচ্যসূচির একটি অংশে থাকবে অস্ত্রবিরতির বিষয়টি। আন্তঃআফগান আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা স্থায়ী ও সমন্বিত একটি অস্ত্রবিরতির তারিখ ও সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা করবেন এবং এর বাস্তবায়নে যৌথ ব্যবস্থাপনার বিষয়টিও এর অন্তর্ভুক্ত থাকবে। আফগানিস্তানের ভবিষ্যত রাজনৈতিক রূপরেখা ঘোষণার সময়ই অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করা হবে।

চুক্তিটির পরের তিনটি অংশের প্রথম অংশে যুক্তরাষ্ট্রের কী কী করণীয় তার বিবরণ রয়েছে। বলা হয়েছে, চুক্তি স্বক্ষরের ঘোষণার দিন থেকে পরের ১৪ মাসের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব বিদেশি সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। প্রথম অংশে সেখানে ছয়টি বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে।

এর প্রথমটিই সেনা প্রত্যাহার নিয়ে। যেখানে বলা হয়, আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা এই চুক্তি ঘোষণার প্রথম ১৩৫ দিনের মধ্যে আট হাজার ৬০০ সেনা সরিয়ে নেবে। এবং একই সময়ের মধ্যে তারা সেদেশের পাঁচটি সেনাঘাঁটি থেকেও সেনা প্রত্যাহার করবে।

দ্বিতীয়টিতে বলা হয়, পরের সাড়ে নয় মাসের মধ্যে বাকি বিদেশি সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। এবং বাকি সেনাঘাঁটিগুলো থেকেও সৈন্য সরিয়ে নিতে হবে।

তৃতীয়টি মূলত বন্দি বিনিময় সংক্রান্ত। যেখানে যুক্তরাষ্ট্র এই যুদ্ধের সময় বন্দি ৫ হাজার তালেবানকে মুক্তি দেবে এবং এর বিনিময়ে তালেবান গোষ্ঠী তাদের হাতে বন্দি ১ হাজার জনকে মুক্তি দেবে বলে ঐকমত্য হয়।

চতুর্থ বিষয়টি হল, আন্তঃআফগান আলোচনা শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো পুনর্বিবেচনার প্রক্রিয়া শুরু করবে এবং তালেবানের যেসব সদস্যকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল, সেই তালিকাও পুনর্বিবেচনার প্রক্রিয়া শুরু করবে। ২০২০ সালের ২৭ অগাস্টের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার উদ্যোগ নেবে।

পঞ্চমটি হল, আন্তঃআফগান আলোচনা শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘে তালেবানের বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়া চালুর জন্য সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করবে এবং ২০২০ সালের ২৯ মের মধ্যে তারা এ কাজটি করবে।

ষষ্ঠ বিষয়টি হল, যুক্তরাষ্ট্র এবং মিত্ররা আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না এবং আফগানিস্তানকে বিভক্ত করতে হুমকি দেওয়া বা বল প্রয়োগ থেকে বিরত থাকবে।

চুক্তির দ্বিতীয় অংশে তালেবানের করণীয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়, পাঁচটি দফা বাস্তবায়ন করবে তালেবান।

প্রথমটি হল, যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদের বিরুদ্ধে নিজেদের কোনো সদস্য বা আল-কায়েদাসহ অন্য কোনো গোষ্ঠী বা ব্যক্তি যাতে আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করতে না পারে তা নিশ্চিত করবে তালেবান।

দ্বিতীয় দফাটিও প্রায় একই ধরনের, যেখানে বলা হয়েছে, তালেবান পক্ষ যুক্তরাষ্ট্র বা তার মিত্রদের বিরুদ্ধে সক্রিয় কোনো গোষ্ঠী বা ব্যক্তিকে সহযোগিতা করতে পারবে না, যারা যুক্তরাষ্ট্র বা তার মিত্রদের জন্য হুমকি স্বরূপ।

তৃতীয় দফাটি হল, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের নিরাপত্তা হুমকি সৃষ্টিকারী কোনো গোষ্ঠী বা ব্যক্তি যাতে সদস্য ও তহবিল সংগ্রহ এবং তাদের প্রশিক্ষণের জন্য আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করতে না পারে তা নিশ্চিত করবে তালেবান।

চতুর্থ ও পঞ্চম দফায় যথাক্রমে শরণার্থী, আশ্রয়প্রার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বিধি মেনে চলার অঙ্গীকার করেছে তালেবান এবং যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের জন্য হুমকি সৃষ্টিকারী গোষ্ঠী ও ব্যক্তিকে ভিসা না দেওয়া, অন্য কোনো ভ্রমণ অনুমতি না দেওয়া বা অন্য কোনো আইনি নথি না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা।

চুক্তিটির তৃতীয় অংশে আরও তিনটি দফা রয়েছে, যার প্রথমটিতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই চুক্তিটি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে অনুমোদনের জন্য চেষ্টা করার কথা বলা হয়েছে।

দ্বিতীয় দফায় বলা হয়েছে, তালেবান পক্ষ ও যুক্তরাষ্ট্র পরস্পরের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট হবে এবং নতুন পরিস্থিতিতে আন্তঃআফগান আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে একটি আফগান ইসলামিক সরকার গঠনের চেষ্টা করবে যা থেকে প্রতীয়মান হবে আন্তঃআফগান আলোচনা ইতিবাচক হয়েছে।

তৃতীয় দফায় বলা হয়েছে, আন্তঃআফগান আলোচনার মাধ্যমে গঠিত আফগান ইসলামিক সরকারকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা করার চেষ্টা করবে যুক্তরাষ্ট্র এবং তারা ওই সরকারের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না।

চার পৃষ্ঠার ওই চুক্তির নথি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে আছে।




আসামে পাস হয়ে গেল বিতর্কিত গো-সংরক্ষণ বিল

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ভারতের আসাম রাজ্যের বিধান সভায় শুক্রবার পাস হয়ে গেল বিতর্কিত গো সংরক্ষণ বিল। এই বিল অনুসারে গরু নিয়ে যাওয়া, গো হত্যা, গরুর গোশত বিক্রির ক্ষেত্রে নানা নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হবে বলে সূত্রের খবর। গরুর গোশতের ব্যবসাকে নিষিদ্ধ করা হয়নি এই বিলে। তবে অনেকের মতে এটি খাতায় কলমে না করলেও গরুর গোশত বিক্রিতে ব্যাপক কড়াকড়ি করা হবে আসামে। এদিন প্রায় দু ঘণ্টা আলোচনার পর বাজেট সেশনের শেষ দিনে দি আসাম ক্যাটল প্রিজারভেশন বিল ২০২১ পাস করা হয়।

এদিকে এই বিলটিতে সিলেক্ট কমিটির কাছে পাঠানোর আবেদন করেছিলেন বিরোধীরা। কিন্তু তা মানা হয়নি বলে অভিযোগ। এরপরই এদিন বিরোধীরা ওয়াক আউট করেন।

বিরোধীরা এই বিলে ৭৬টি সংশোধনী আনতে চেয়েছিলেন। আন্তঃজেলা গরু নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ তুলে দেয়া, মন্দিরের ৫ কিলোমিটারের মধ্যে গরুর গোশত বিক্রি নিষিদ্ধ করার নির্দেশে শিথিলতা আনা, আইন না মানলে ৮ বছর পর্যন্ত কারাবাসের সিদ্ধান্ত তুলে নেয়ার আবেদন করেছিলেন বিরোধীরা। তাদের দাবি ছিল প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। এটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, ‘মহিষকে ছাড় দেয়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, তথ্য বলছে লোয়ার আসামে বিফকে ঘিরে প্রচুর সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়েছে বার বার। আমাদের লক্ষ্য সম্প্রীতি। কিছু নিয়ম মেনে গরুর গোশত খেতে পারবেন। তবে যারা গরুর গোশত খান না তাদের আবেগকে সম্মান জানানোর কথা বলা হয়েছে। প্রকৃত মুসলিমরা এর বিরোধিতা করবেন না।’

কংগ্রেস দলনেতা দেবব্রত সইকিয়া বলেন, ‘গরুর ব্যবসার সাথে যুক্তদের প্রচণ্ড সমস্যা হবে। এটা সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানো দরকার ছিল।’

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস




নেত্রকোনায় ৪০ দিন ‘তাকবীর উলা’র সঙ্গে নামাজ পড়ে সাইকেল পেল ২১ শিশু-কিশোর

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলায় টানা ৪০ দিনব্যাপী মসজিদে ‘তাকবীর উলা’র সঙ্গে জামায়াতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়কারী ২১ জন শিশু-কিশোরকে পুরস্কার হিসেবে একটি করে বাইসাইকেল দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১১ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার গ্রিদান টেংগা জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে বিজয়ী শিশুদের প্রত্যেককে একটি করে বাইসাইকেল তুলে দেন মসজিদ কমিটির সদস্যরা।

গ্রামের শিশুরা যাতে মসজিদে যেতে অভ্যস্ত হয়, নামাজের গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে পারে এবং একত্ববাদ ও সমাজে পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠা করতে পারে-এসব লক্ষ্যকে সামনে রেখে গ্রিদান টেংগা গ্রামের মাওলানা আব্দুল লতিফ (রহ.)-এর কাতার প্রবাসী সন্তান মাওলানা মাহমুদুল হাসানের উদ্যোগে ‘মাওলানা আব্দুল লতিফ (রহ.) ফাউন্ডেশন’ এই ব্যতিক্রমধর্মী প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। সহযোগী উদ্যোক্তা হিসেবে ছিলেন মাওলানা মাহমুদুল হাসানের আরো দুই ভাই কাতার প্রবাসী মাওলানা এনামুল হাসান আরিফ এবং আরেক ভাই মাওলানা নাজমুল হাসান তারিফ।

প্রতিযোগিতায় শর্ত ছিল ১২ থেকে ২৫ বছর বয়সী শিশু-কিশোরদের স্থানীয় গ্রিদান টেংগা জামে মসজিদে গিয়ে জামায়াতের সঙ্গে টানা ৪০ দিন ধারাবাহিকভাবে নামাজ আদায় করা এবং নামাজে অধিক প্রয়োজনীয় ১০ টি সুরা সহীহ-শুদ্ধ ভাবে মুখস্থ করা। পুরস্কার হিসেবে তাদের প্রত্যেককে একটি করে বাইসাইকেল প্রদান করা হবে।

প্রতিযোগিতায় সাড়া দিয়ে প্রথম দিকে অন্তত ৪৫ জন শিশু-কিশোর নামাজ আদায় শুরু করলেও চূড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত ২১ জন শিশু-কিশোর টিকে থেকে বিজয়ী হয়েছে। স্থানীয় ও ঢাকা থেকে আগত গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে বুধবার সকালে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

ব্যতিক্রমধর্মী এই আয়োজনের প্রধান উদ্যোক্তা কাতার প্রবাসী মাওলানা মাহমুদুল হাসান জানান, বর্তমান আধুনিক যুগে অধিকাংশ শিশুরাই মোবাইল, টিভি এবং ল্যাপটপের স্ক্রীনে নিজেকে সীমাবদ্ধ করে ফেলছে। শিশুদের মোবাইল আসক্তি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় বর্তমানে বেশিরভাগ শিশুদের মধ্যেই ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনে অনীহা সৃষ্টি হয়েছে।

শিশুরা যাতে নিয়মিত মসজিদে যেতে অভ্যস্ত হয়, নামাজের ফজিলত সম্পর্কে জানতে পারে এবং শিশুদের মধ্যে যাতে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনে আগ্রহ সৃষ্টি হয়-এমন উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে আমাদের এমন কর্মসূচি হাতে নেওয়া। এতে প্রায় অর্ধ শতাধিক শিশু অংশগ্রহণ করলেও তাদের থেকে ২১ জন বিজয়ী হয়েছে।

সহযোগী উদ্যোক্তা নাজমুল হাসান তারিফ অনুভূতি জানিয়ে বলেন, পুরস্কার হিসেবে পাওয়া সাইকেল চালিয়ে শিশুদের শারীরিক ব্যায়ামের কাজ সম্পন্ন হবে এবং শিশুরা সুন্দর সময় কাটাতে পারবে-এতে তাদের মাঝে মোবাইল, অনলাইন গেম, টিভি আসক্তি কিছুটা হলেও কমবে এবং শিশুরা শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে ইনশাআল্লাহ!

সর্বোপরি নৈতিকতায় আমরা আমাদের গ্রামকে একটি আদর্শ গ্রাম হিসেবে প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখি-সেই থেকেই এই আয়োজন। সবার সহযোগিতা পেলে ভবিষ্যতে আমরা আরো সামাজিক কল্যাণমূলক কাজ করবো-এজন্য সবার নিকট দোয়া কামনা করি।




স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ উদযাপন করুন: রাষ্ট্রপতি

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

মঙ্গলবার এক শুভেচ্ছা বার্তায় রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান বলে বঙ্গভবন থেকে জানানো হয়েছে।

বঙ্গভবনের বার্তায় বলা হয়, “রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দেশবাসীকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি সকলের প্রতি স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ উদযাপনের আহ্বান জানিয়েছেন।”

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেই বুধবার কোরাবানির ঈদ উদযাপন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এবার এমন এক সময়ে ঈদ এসেছে যখন মহামারীর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষকে।

গত বছরের মত এবারও ঈদের দিন বঙ্গভবনেই ঈদের নামাজ পড়বেন রাষ্ট্রপতি। পরে ভিডিও বার্তায় দেশবাসীর প্রতি শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন।

আগে প্রতি ঈদে বঙ্গভবনের ক্রেডেনশিয়াল হলে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করতেন রাষ্ট্রপ্রধান। করোনাভাইরাস সঙ্কটে দুবছর ধরে বঙ্গভবনে কোন ধরনের আয়োজন আর রাখা হচ্ছে না।