দুর্গাপুরে নিজ অর্থায়নে ৭ হাজার পরিবারকে ঈদ সামগ্রী বিতরন

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নিজ অর্থায়নে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ৭ হাজার অতিদরিদ্র পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে পৌরসভার মুজিবনগর আবাসন প্রকল্প এলাকায় এ সামগ্রী বিতরন শুরু করেন পৌর মেয়র মো. আলা উদ্দিন।

স্থানীয় আনসার ও স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে সরকারি নির্দেশনা মেনে ঈদ সামগ্রীর প্যাকেট পৌর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের ঘরে ঘরে পৌছে দেওয়া হয়। এ সময় অন্যদের মধ্যে প্যানেল মেয়র মশিউজ্জামান বাদল, পৌর সচিব তৌহিদুল ইসলাম, প্রকৌশলী নওশাদ আলম, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কমিশনার ইব্রাহিম খলিল টিপু, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি মতিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল হান্নান সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য: পৌর মেয়র আলা উদ্দিন প্রতিবছরই ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য পৌরবাসীর মাঝে নিজ অর্থায়নে ঈদ সামগ্রী বিতরন করে আসছেন।




পশ্চিমবঙ্গে মুসলিম ভোটেই বিপুল বিজয় মমতার

এবারের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে মুসলিম ভোটার ঐক্যবদ্ধ হয়ে মমতার দল তৃণমূলকে ভোট দিয়েছে। আর মূলত তাদের ভোটের মমতা এই ঐতিহাসিক বিজয়।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নির্বাচনে মুসলিম ভোটই মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল কংগ্রেসের বিপুল বিজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভার আসনগুলোর মধ্যে ৬৩টি আসনে মুসলিমরা প্রাধান্যপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। এর মধ্যে ৬১টি আসনে এবার নির্বাচন হয়েছে। প্রার্থদের মৃত্যুর কারণে দুটি আসনে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এই ৬১টি আসনের মধ্যে মমতার তৃণমূল পেয়েছে ৫৮টি আসন, বিজেপি দুটি, সংযুক্ত মোর্চা একটি। মুসলিম মিরর পত্রিকায় এ পরিসংখ্যান প্রকাশিত হয়েছে। মুসলিম প্রাধান্যপূর্ণ আসনগুলোর বেশির ভাগই চারটি জেলায়- মুর্শিদাবাদ, মালদা, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগানা। মুর্শিদাবাদে রয়েছে ১৬টি আসন। বাকি তিনটি জেলার প্রত্যেকটিতে আছে ৯টি করে আসন। মজার ব্যাপার হলো, মুসলিম প্রাধান্যপূর্ণ ৬১টি আসনের মধ্যে যে ৫৮টি তৃণমূল জিতেছে, তার মধ্যে ৩০টিতে তারা জয় পেয়েছে ৪০ হাজার বা তার চেয়ে বেশি ভোটে। আবার মালদার সুজাপুরের এস কে জিয়াউদ্দিন, ফারাক্কার মনিরুল ইসলাম, ভাঙ্গাবনগোলার ইদ্রিস আলীর মতো প্রার্থীরা ৫০ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন।

বিজেপি মুসলিম প্রাধান্যপূর্ণ আসনগুলোর মধ্যে মাত্র দুটিতে জয়ী হয়েছে। এ দুটির একটি হলো উত্তর দিনাজপুর, অপরটি হলো মুর্শিদাবাদে। আর সংযুক্ত মোর্চার সিদ্দিকির ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট জিতেছে একটি আসনে। পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে মুসলিম ভোট ব্যাংক সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মুসলিমদের ভোটের ওপর ভর করেই বাম ফ্রন্ট ৩৪ বছর রাজত্ব করে পশ্চিমবঙ্গ। পরে সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রাম বিক্ষোভের জের ধরে মুসলিমরা বাম ফ্রন্ট ত্যাগ করে তৃণমূলে ভোট দিতে থাকে। অন্যদিকে কলকাতাভিত্তিক আনন্দবাজার পত্রিকায় এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তৃণমূলনেত্রী মমতা ব্যানার্জির পাশেই থেকেছেন রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোটাররা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ওই ভোটাররাই হয়ে উঠেছেন তৃণমূলের পর পর তিনবার সরকার গড়ার অন্যতম কারিগর। তবে যে যে কেন্দ্রে সংখ্যালঘু ভোটারদের উপস্থিতি কিছুটা কম, সেখানে তৃণমূলের থেকে অনেকটা পিছিয়ে থাকলেও, চমকপ্রদভাবে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বিজেপি।

নির্বাচন কমিশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সংখ্যালঘু প্রভাবিত কেন্দ্রগুলো নিয়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। এক নজরে তা দেখে নেওয়া যাক। রাজ্যের ২৯৪টি আসনের মধ্যে ৭৪টিতে সংখ্যালঘু ভোটার ৪০ শতাংশ বা তার বেশি। ওই সব কেন্দ্রের বেশির ভাগেই বিপুল জয় পেয়েছে তৃণমূল। জোড়াফুল শিবির ওই ৭৪টি আসনের মধ্যে ৬৯টি দখল করেছে। বিজেপি পেয়েছে মাত্র ২টি আসন। ভাঙড় আসনটি পেয়েছে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)। অবশ্য মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর এবং সামশেরগঞ্জ আসনে ভোট এখনও বাকি রয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর গড় মুর্শিদাবাদে ধস নেমেছে হাতশিবিরের। সংখ্যালঘু ভোটের সমীকরণে ওই জেলার একাধিক কেন্দ্র দখল নিজের ঝুলিতে পুরেছে তৃণমূল। মালদহ ও উত্তর দিনাজপুরেও দেখা গিয়েছে একই চিত্র।

রাজ্যের মোট ৫৭টি বিধানসভা কেন্দ্রে সংখ্যালঘু ভোট ২৫ থেকে ৪০ শতাংশের মধ্যে। ওই ৫৭টি আসনের মধ্যে ৪৬টি পেয়েছে জোড়াফুল শিবির। আবার ওই রকম ১১টি আসন দখল করেছে বিজেপি-ও। রাজ্যের সার্বিক ফলে তৃণমূল এবং বিজেপি— এই দুই শক্তিধরের লড়াইয়ের মাঝে তৃতীয় পক্ষের কোনও উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। সেই ধারা বজায় রয়েছে মালদহ, কোচবিহারসহ কয়েকটি জেলার এমন আসনগুলিতে এই ৫৭টি কেন্দ্রগুলোতে।




বগুড়ায় মাদ্রাসা অধ্যক্ষকে গুলি করে হত্যা

শাহজাহানপুর থানার এসআই আব্দুর রাজ্জাক জানান, উপজেলার কৃষি কলেজ এলাকায় বগুড়া- নাটোর মহাসড়কে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত মোজাফফর হোসেন (৫৫) বগুড়া শহরের নিশিন্দারা এলাকায় ‘আল জামিয়া আল আরাবিয়া জারুল হেদায়া কওমি হাফিজিয়া মাদ্রাসার’ প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ। নাটোরের সিংড়া উপজেলার সুকাশ গ্রামের সায়েদ আলীর ছেলে মোজাফফর নিশিন্দারা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে থাকতেন। এসআই রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেন, “বগুড়া থেকে অটোরিকশায় করে সিংড়া যাচ্ছিলেন মোজাফফর। কয়েকজন তার পথ রোধ করে গুলি করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।” কারা কেন মোজাফফরকে হত্যা করে থাকতে পারে, সে বিষয়ে কোনো ধারণা দিতে পারেনি পুলিশ। মোজাফফর সম্পর্কেও বিস্তারিত বলতে পারেননি এসআই রাজ্জাক।

সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, “কারা কী কারণে হত্যা করেছে তা জানতে পুলিশ মাঠে নেমেছে। মোজাফফর হোসেনের সঙ্গে অটোরিকশায় থাকা এক নারী ও এক পুরুষ যাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। ”আজমল হোসেন নামের এক প্রতিবেশী জানান, মোজাফফরের স্ত্রী দুইজন। মাদ্রাসার কাজের পাশাপাশি তিনি ঝাড়ফুঁক করতেন এবং ‘কবিরাজি চিকিৎসা’ দিতেন। তবে কারও সঙ্গে তার কোনো বিরোধ ছিল কি না, সে বিষয়ে ধারণা পাওয়া যায়নি ওই প্রতিবেশীর কথায়।




ই’তিকাফে বসে যা করা যাবে, যা করা যাবে না

সারিব সুইজা,

ইবাদতের মাস রমজান মাস। আল্লাহর রহমত,মাগফেরাত,নাজাতবেষ্টিত এই মাস। বেশি বেশি আমল করে নিজের নেকির থলে সমৃদ্ধ করার মাস এটি। এই মাসের প্রধান আমল হচ্ছে রোযা আদায় করা। এর পাশাপাশি আরো কিছু আমল রয়েছে। তন্মধ্যে ইতেকাফ অন্যতম। আজ থেকে দেশের মসজিদে ও বাসাবাড়িতে ধর্মপ্রাণ মানুষ বসবে ই’তিকাফে। কিন্তু এ ই’তিকাফে বসে কী করা যাবে? কী করা যাবে না? তা আমাদের অনেকেরই জানা নেই। তাই আসুন জেনে নেয়া যাক তখন কী করা যাবে, কী করা যাবে না-

যেসব কারণে ই’তেকাফ ভেঙে যায়-
যেসব কাজ করলে ই’তেকাফকারীর ইতেকাফ ভেঙে যায় তা হলো;
১.যেসব জরুরতের কারণে মসজিদ থেকে বের হওয়া যায় সেসব ক্ষেত্রে বের হয়ে বাইরে সেই জরুরত ছাড়া একটু বেশি সময় অবস্থান করলে।
২.শরয়ী জরুরত ছাড়া মসজিদ থেকে বের হলেই ইতেকাফ ভেঙে যাবে।চাই তা ইচ্ছে করে হোক অথবা ভুলে হোক।
৩.ই’তেকাফকারী ব্যক্তি মসজিদের সীমানা মনে করে বের হয়েছে,পড়ে জানতে পারলো এটা মসজিদের সীমানার বাইরে ছিলো তাহলে সেক্ষেত্রেও ইতেকাফ ভেঙে যাবে।
৪.ই’তেকাফের জন্য রোযা শর্ত।তাই কেউ যদি রোযা ভেঙে ফেলে তাহলে তার ইতেকাফও ভেঙে যাবে।
৫.স্ত্রীর সাথে সহবাস করার দ্বারা ইতেকাফ ভেঙে যাবে,চাই সহবাস ইচ্ছে করে হোক বা অনিচ্ছাকৃত। ৬.স্ত্রীকে চুমু বা স্পর্শ করলে যদি ‘মনি’ বের হয়,তাহলে সেক্ষেত্রেও ইতেকাফ ভেঙে যাবে।
৭.ওযুর কারণ ছাড়া শুধু এমনিতেই ব্রাশ, মেসওয়াক করতে বের হলে।
৮. বিড়ি খাওয়ার জন্য বের হলে।
৯.খাবার খাওয়ার পর হাত পরিষ্কার করার জন্য বের হলে ইতেকাফ ভেঙে যাবে।

যেসব কারণে ই’তেকাফকারী মসজিদ থেকে বের হতে পারবেন-
বর্তমানে অনেক মানুষ ই’তেকাফ করে যে কোনো ঠুনকো অজুহাতে মসজিদ থেকে বের হয়। অযথা মসজিদের বাহিরে সময় নষ্ট করে। অথচ ই’তেকাফকারীর জন্য যে কোনোও কারণেই মসজিদ থেকে বের হওয়ার অনুমতি নেই। বরং তার বের হওয়ার নির্দিষ্ট কিছু কারণ আছে। নিম্মে এ বিষয়ে আলোচনা করা হলো।
ই’তেকাফকারী ব্যক্তি ‘শরয়ী জরুরত’,’মানবীয় জরুরত’ বা একান্তই জরুরি কাজ ছাড়া মসজিদ থেকে বের হতে পারবেন না।যেমন;

১. মলত্যাগ করার জন্য। ২.ফরয গোসল করার জন্য, যদি মসজিদে সম্ভব না হয়।কিন্তু ফরয গোসল ছাড়া অন্য যেকোনো গোসলের জন্য মসজিদ থেকে বের হলে ইতেকাফ ভেঙে যাবে। হ্যাঁ এটা করা যেতে পারে যে, ঠাণ্ডার জন্য, জুমার দিন জুমার জন্য গোসল করতে চাইলে মসজিদের সীমানার ভেতরে থেকে শরীরে তাড়াতাড়ি হালকা পানি দিয়ে নিতে পারবে তবে খেয়াল রাখতে হবে, যেনো মসজিদের ভেতর পানি না যায়।৩.ওযু করার জন্য, যদি মসজিদের সীমানার ভেতর থেকে সম্ভব না হয়।৪.খাবার আনার জন্য বাড়িতে যাওয়া, যদি খাবার এনে দেওয়ার কেউ না থাকে।৫.মোয়াজ্জেন আজান দেওয়ার জন্য। ৬.যেই মসজিদে ইতেকাফ অবস্থায় আছে সেই মসজিদ জুমার মসজিদ না হলে জুমা আদায় করার জন্য। ৭.মসজিদের ক্ষয়ক্ষতি হলে,জালেম মসজিদ থেকে বের করে দিলে তিনি সেই মসজিদ থেকে বের হয়ে অন্য মসজিদে গিয়ে ইতেকাফ করতে পারবেন।
এখানে আরেকটি বিষয় জনসাধারণের জন্য জেনে নেওয়া জরুরি যে, জানাযা এবং অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যাওয়া।

আল্লামা তাকী উসমানি হাফিজাহুল্লাহ বলেন,এক্ষেত্রে হুকুম হলো সর্বাবস্থায় অর্থাৎ শুধু জানাযার জন্য বা অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যাওয়ার জন্য মসজিদ থেকে বের হওয়া জায়েয নেই।কিন্তু কেউ যদি মলত্যাগ করার উদ্দেশ্যে বের হয়ে রাস্তার পাশেই চলা অবস্থায় কোন জানাযা বা অসুস্থ ব্যক্তির খোঁজ নেয় তাহলে কোন সমস্যা নেই। তবে শর্ত হলো বের হওয়ার সময় মলত্যাগ করার উদ্দেশ্যে বের হতে হবে।জানাযা বা অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখার উদ্দেশ্যে বের হলে ইতেকাফ ভেঙে যাবে।আরেকটি শর্ত হলো রাস্তা থেকে দূরে যাওয়া যাবে না এবং রাস্তার ভেতর দাঁড়ানো যাবে না।
এগুলো ছাড়া আর কোন কারণে মসজিদ থেকে বের হওয়া যাবে না। বের হলে ই’তেকাফ ভেঙ্গে যাবে।

ই’তেকাফ ভেঙে গেলে করণীয়-
১.কোন ব্যক্তির যদি সুন্নাত ইতেকাফ ভেঙে যায় তাহলে সেই ব্যক্তি শুধু ওই দিনের ইতেকাফ কাযা করবে।পুরো দশ দিনের কাযা করতে হবে না। তবে যেদিন কাযা করবে সেদিন রোযাও রাখতে হবে।
২.কোন কারণে ভেঙে গেলে উচিৎ মসজিদই অবস্থান করা।সুন্নাত ইতেকাফ না হলেও নফল ই’তেকাফের ফজিলত পাওয়া যাবে।

ইতেকাফ ভাঙা জায়েজ যে কারণে-
১.ইতেকাফকারী যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে, যার চিকিৎসা মসজিদের বাইরে যাওয়া ছাড়া সম্ভব নয় তবে তার জন্য ইতেকাফ ভেঙে দেওয়ার অনুমতি আছে। (শামী)
২.বাইরে কোনো লোক ডুবে যাচ্ছে বা আগুনে দগ্ধ হচ্ছে তাকে বাঁচানোর আর কেউ নেই, অনুরূপ কোথাও আগুন লেগেছে, নেভানোর কেউ নেই তবে অন্যের প্রাণ বাঁচানোর এবং আগুন নেভানোর জন্য ইতেকাফকারীর ইতেকাফ ভেঙে দেওয়ার অনুমতি আছে।
৩ জোরপূর্বক মসজিদ থেকে ইতেকাফকারীকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয় যেমন ওয়ারেন্ট এসে গেলে ইতেকাফ ভেঙে দেওয়া জায়েজ। সেরূপ ইতেকাফকারীর যদি এমন সাক্ষ্য দেওয়া জরুরি হয়ে পড়ে, যা শরিয়তানুযায়ী তার জন্য ওয়াজিব সেরূপ সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ইতেকাফ ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি আছে।
৪.মা-বাবা, স্ত্রী, সন্তান-সন্ততির কঠিন অসুস্থতার কারণেও ইতেকাফ ভেঙে দেওয়া জায়েজ। তেমনি পরিবারের কারো প্রাণ, সম্পদ বা ইজ্জত আশঙ্কার সম্মুখীন হলে এবং ইতেকাফ অবস্থায় তা প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা সম্ভব না হলে ইতেকাফ ভেঙে দেওয়া জায়েজ।
৫.এ ছাড়া যদি কোনো জানাজা হাজির হয় এবং জানাজা পড়ানোর কেউ না থাকে তখনো ইতেকাফ ভেঙে দেওয়া জায়েজ। (ফতহুল কবীর) উল্লিখিত প্রয়োজন পূরণ করতে বের হলেই ইতেকাফ ভেঙে যাবে, তবে গোনাহ হবে না। (বাহরুর রায়েক)

ইতেকাফ অবস্থায় যেসব কাজ মাকরূহ-
ইতেকাফ অবস্থায় চুপ থাকলে সওয়াব হয় এই মনে করে চুপ থাকা মাকরূহে তাহরীমী।
বিনা প্রয়োজনে পার্থিব কোনো কাজে লিপ্ত হওয়া যেমন ;বেচাকেনা করা মাকরূহ। তবে একান্ত প্রয়োজনে মসজিদে মালামাল উপস্থিত করা ব্যতিত বেচাকেনার চুক্তি করা যাবে।

ইতেকাফ অবস্থায় করণীয়-
ইতেকাফ অবস্থায় ভালো এবং নেক কথা বলা। অতিরিক্ত কথাবার্তা না বলা। বেকার বসে না থেকে নফল নামাজ পড়া কোরআন তেলাওয়াত করা। তাসবিহ-তাহলীলে মশগুল থাকা। বেশি বেশি দোয়া করা।আল্লাহর দরবারে রোনাজারি করা।শবে কদরের রাত্র খোঁজ করা।তবে ইতেকাফ অবস্থায় বিশেষ কোনো ইবাদত নেই। তাই যেকোনো ইবাদত মন চাইলে করা যাবে।
সুতরাং আমাদের ভালো করে ই’তেকাফের বিষয় গুলো বুঝতে হবে।সমাজে অহরহ দেখা যাচ্ছে মানুষ ই’তেকাফে বসছে কিন্তু মাসয়ালা না জানার কারণে তার সুন্নাত ইতেকাফ আদায় হচ্ছে না।ই’তেকাফ যেমন অনেক ফজিলতের তেমনিভাবে বিষয়টি অনেক সুক্ষ্ম। তাই সোচ্চার হয়ে কাজ করতে হবে।তখনই না আমরা ই’তেকাফের ফজিলত পাবো।

মহিলাদের ই’তেকাফ-
ই’তেকাফের ফজিলত শুধু পুরুষদের জন্য নির্ধারিত নয়,মহিলাদের জন্যও রয়েছে এর ফজিলত।
১.তবে মহিলারা মসজিদে ইতেকাফ করতে পারবে না।তারা ঘরের একটি জায়গাকে ইবাদতের জন্য নির্দিষ্ট করে সেখানে অবস্থান করবে।
২.বিবাহিত মহিলা হলে স্বামীর অনুমতি নিয়ে ই’তেকাফে বসতে হবে।
৩.স্বামীর অনুমতি নিয়ে ই’তেকাফে বসার পর যদি স্বামী আবার নিষেধ করে তাহলে স্বামীর কথা মানা জরুরি নয়।
৪.মাসিক দিনগুলো থেকে পবিত্র হয়ে ই’তেকাফে বসতে হবে।অর্থাৎ মহিলা খেয়াল করবে যে, ই’তেকাফের দিনগুলোতে তার মাসিক হওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা।
৫.কোনো মহিলা ইতেকাফ শুরু করে দেওয়ার পর মাসিক শুরু হলে ওইদিনের ই’তেকাফ ভেঙে যাবে এবং সেইদিনের ইতেকাফ কাযা করতে হবে।
৬.মহিলা ঘরের যেই জায়গায় ই’তেকাফে বসবে সেই জায়গা তার জন্য মসজিদের হুকুমে হবে।সুতরাং কোনো শরয়ী বা একান্ত মানবীয় জরুরত ছাড়া সেখান থেকে বের হলে তার ই’তেকাফ ভেঙে যাবে।
৭.পুরুষদের জন্য যেসব কারণে মসজিদ থেকে বের হওয়া জায়েয আছে তেমনিভাবে সেই সকল কারণে মহিলাদের জন্যও ঘরের সেই নির্দিষ্ট জায়গা থেকে বের হওয়া জায়েয আছে। যেসব কাজ করলে পুরুষের ই’তেকাফ ভেঙে যায়, একজন ই’তেকাফকারী মহিলা সেই কাজ করলেও তার ইতেকাফ ভেঙে যাবে।

আমাদের সমাজে মহিলাদের এই ফজিলতের কাজটি করতে কম দেখা যায়।এক্ষেত্রে তাদের অবহেলা দেখা যায়।যাদের বিশেষ কোনো জরুরি নেই তাদের জন্য ই’তেকাফে বসে ইবাদতে কাটিয়ে দিয়ে উল্লিখিত ফজিলত গুলো পাওয়াই কাম্য।
জ্ঞাতব্য – অনেক এলাকায় দেখা যায় কেউ মসজিদে ইতেকাফে বসে না বিধায় এলাকার কোন এক ব্যক্তিকে সকলে টাকা দিয়ে মসজিদে বসায়।যা কোনভাবেই জায়েয নয়।এভাবে ই’তেকাফে বসালে ই’তেকাফ আদায় হবে না উলটো গুনাহগার হবে।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে পবিত্র মাহে রমজানে মসজিদে ইতিকাফ করার মাধ্যমে গুনাহের পাপরাশি থেকে বেঁচে থেকে অশেষ নেকি লাভের মোক্ষম সুযোগ দান করুন।




করোনা: গুজরাটের পর দিল্লির মসজিদে ‘কোয়ারেন্টিন সেন্টার’ স্থাপন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসায় ভারতের গুজরাটের পর রাজধানী দিল্লির গ্রিন পার্ক মহল্লার একটি মসজিদে সাময়িক কোয়ারেন্টিন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। মসজিদের ভেতরে দশটি বেড দেয়া হয়েছে। এছাড়া রোগীদের জন্য খাবার, ওষুধ, মাস্ক ও স্যানিটাইজারের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা এতে করা হয়েছে। মসজিদের ম্যানেজিং কমিটির জয়েন্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ সেলিম জানান, করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় তারা মসজিদে কোয়ারেন্টিন সেন্টার স্থাপন করেন। ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুসারে তারা এখানে রোগীদের ভর্তি করাচ্ছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা রোগীদের জন্য ওষুধ, মাস্ক, স্যানিটাইজার ও পিপিইর ব্যবস্থা করছি। যদিও বর্তমানে আমাদের কাছে অক্সিজেন নেই তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরবরাহের চেষ্টা করছি।’ ভারতে দ্বিতীয় ধাপের করোনাভাইরাস সংক্রমণের ধাক্কায় দেশটির বিভিন্ন মসজিদ ও মাদরাসাকে করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহারে কাজে লাগাচ্ছেন মুসলমানরা।




মসজিদকে আইসোলেশন সেন্টারে বানিয়ে নজির স্থাপন করলো গুজরাটের মুসলমানরা

ডিএনবি ডিএনবি:

ভারতে করোনা মহামারি মোকাবিলায় মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন গুজরাটের মুসলমানরা। করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য সেখানকার একটি শহরের বড় মসজিদকে রূপান্তর করা হয়েছে কোভিড হাসপাতালের জন্য আইসোলেশন সেন্টারে। বর্তমানে ওই হাসপাতালটিতে ৫০টি শয্যার ব্যবস্থা করা হলেও আরো বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে মসজিদ ট্রাস্টি বোর্ডের। সেখানে প্রতিদিনই ভর্তি হচ্ছেন সব ধর্মের মানুষ।

করোনায় বিপর্যস্ত ভারত। দেশটিতে প্রতিদিনই ভাঙছে আগের সব রেকর্ড। দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। কোভিড আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় ভেঙে পড়েছে দেশটির চিকিৎসাব্যবস্থা। তিল ধারণের ঠাঁই নেই হাসপাতালগুলোতে। চিকিৎসার অভাবে প্রতিদিনই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন অনেকে।

ভারতের গুজরাটের পুন এলাকার এ মসজিদের ট্রাস্টি ইরাফান শেখ বলেন, আমরা মসজিদকে করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করছি। এ মুহূর্তে ৫০টি বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রয়োজন হলে এ সংখ্যা আরো বাড়ানো হবে। সেই জায়গা রয়েছে। তবে অক্সিজেন সংকটের কারণে সেটা সম্ভব হচ্ছে না।




মাগফিরাত বার্তা নিয়ে আসছে রমজানের দ্বিতীয় দশক

মাওলানা আব্দুর রহমান আশরাফি

প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ সা. বলেছেন, রমজান মাসের প্রথম দশক হলো রহমত; তার দ্বিতীয় দশক হলো মাগফিরাত; এর শেষ দশক হলো নাজাত। (বায়হাকি শরিফ)। রমজান হলো প্রশিক্ষণের মাস। আল্লাহ চান তাঁর বান্দা তাঁর গুণাবলি অর্জন করে সে গুণে গুণান্বিত হোক।

হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, তোমরা আল্লাহর গুণে গুণান্বিত হও। আল্লাহর রং বা গুণ কী? তা হলো আল্লাহ তাআলার গুণাবলি। এর মধ্যে আল্লাহ তাআলার নিরানব্বইটি গুণবাচক নাম অন্যতম। এ প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ সা. আরও বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ তাআলার নিরানব্বইটি নাম রয়েছে, যারা এগুলো আত্মস্থ করবে; তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে। (মুসলিম ও তিরমিজি)।

মহান আল্লাহর নামাবলি আত্মস্থ করার বা ধারণ করার ও গ্রহণ করার অর্থ হলো সেগুলোর ভাব ও গুণ অর্জন করে তার প্রতিফলন ঘটানো তথা সেসব গুণ ও বৈশিষ্ট্য নিজের কাজকর্মে, আচার-আচরণে প্রকাশ করা অর্থাৎ নিজেকে সেসব গুণের আধারে পরিণত করা বা সেসব গুণের অধিকারী হিসেবে গড়ে তোলা।

মাগফিরাতের মূল শিক্ষা হলো, আমি আল্লাহর ক্ষমা পাব এবং সবাইকে ক্ষমা করে দেব। হাদিস শরিফে রয়েছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের দোষ গোপন করবে, আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন তার দোষ গোপন রাখবেন।’ (তিরমিজি শরিফ)। ক্ষমা করে দিলে নিজের মনের বোঝা দূর হয়, মানসিক চাপ কমে যায়, মন হালকা ও পবিত্র হয়। সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর দয়া, করুণা ও ক্ষমা লাভ করা যায়।

হাদিসের উক্তি অনুযায়ী ‘দুর্ভাগা তারা, যারা রমজান পেয়েও মাগফিরাত বা ক্ষমা লাভ করতে পারল না।’ (বুখারি শরিফ)। মহান আল্লাহ তাআলার একটি গুণ হচ্ছে ক্ষমা করা। পবিত্র কোরআনে ক্ষমার ব্যাপারে তিনটি শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। যথা: ‘গাফফার’। এ শব্দটির অর্থ হচ্ছে অত্যন্ত ক্ষমাশীল। পবিত্র কোরআনে এ শব্দটি পাঁচবার উল্লেখ হয়েছে। ‘গাফুর’, যার অর্থ হচ্ছে পরম ক্ষমাশীল। এ শব্দটি পবিত্র কোরআনে একানব্বই বার উল্লেখ হয়েছে। ‘গাফির’ যার অর্থ হচ্ছে ক্ষমাকারী। যেমন উল্লেখ করা হয়েছে, ‘তিনি গুনাহ ক্ষমাকারী’। (সুরা ৪০ মোমিন, আয়াত: ৩)।

আরও উল্লেখ রয়েছে, ‘জেনে রেখো, তিনি পরাক্রমশালী পরম ক্ষমাশীল’। (সুরা ৩৯ জুমার, আয়াত: ৫)। বিশেষভাবে উল্লেখ হয়েছে, ‘হে নবী (সা.) আপনি আমার বান্দাদের বলে দিন, আমি অবশ্যই ক্ষমাশীল পরম দয়ালু। (সুরা-১৫ হিজর, আয়াত: ৪৯)। হাদিসে কুদসিতে বলা হয়েছে, বান্দা যদি দৈনিক সত্তরবার অপরাধ করে এবং সত্তরবার ক্ষমা চায় আমি তাকে ক্ষমা করে দেব। তাই নবী করিম (সা.) দৈনিক ৭০ বারের বেশি বা ১০০ বার ইস্তিগফার করতেন। অথচ তিনিসহ সব নবী-রাসুল ছিলেন নিষ্পাপ।

হাদিস শরিফে উল্লেখ রয়েছে, শেষ রাতে আল্লাহ তাআলা বান্দাদের ডেকে বলতে থাকেন: কে আছো ক্ষমা চাওয়ার? ক্ষমা চাও, আমি মাফ করে দেব। (মুসলিম শরিফ)। উম্মুল মোমেনিন হজরত আয়িশা সিদ্দীকা রা. রাসুলে আকরাম সা. কে প্রশ্ন করেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সা.), আমি যদি শবে কদর পাই তাহলে আমি ওই রাতে কী দোয়া পড়ব? উত্তরে রাসুলুল্লাহ সা. বললেন, হে আয়িশা! তুমি এই দোয়াটি পড়বে। ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফাফু আন্নি।’ হে আল্লাহ আপনি ক্ষমাশীল, ক্ষমা করাকে পছন্দ করেন; অতএব আমাকে আপনি ক্ষমা করে দিন।

হজরত সাদ্দাদ ইবনে আউস (রা.) হতে বর্ণিত, রাসুলে পাক (সা.) ইরশাদ করেন, কেউ যদি সকাল-সন্ধ্যায় বিশ্বাসের সঙ্গে সাইয়েদুল ইস্তিগফার পড়ে তাহলে সে যদি ওই দিন রাতে বা দিবসে ইন্তেকাল করে তাহলে সে জান্নাতি হবে। হাদিস শরিফে আরও বলা হয়েছে যে, যদি কেউ গুনাহ মাফের উদ্দেশ্যে ইস্তিগফার করাকে নিজের ওপর লাজিম তথা আবশ্যক করে নেয়, তাহলে আল্লাহ পাক তাকে ৩টি পুরস্কার দেবেন। ১. তার জীবনের কঠিন অবস্থা থেকে তাকে উদ্ধার করবেন। ২. তাকে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দেবেন। ৩. তাকে তার অচিন্তনীয় ও কল্পনাতীত স্থান থেকে রিজিকের ব্যবস্থা করে দেবেন।

আল্লাহ তাআলা তার বান্দা-বান্দিদের প্রতি বিভিন্ন সময়ে তার গাফফার এবং গফুর নামের বদৌলতে ক্ষমার কুদরতি হাত প্রসারিত করেন। বেশি করে পবিত্র মাহে রমজানের মধ্যের দশকে কোটি কোটি মানুষকে ক্ষমা করে দেন। কারণ, এ মাসটি হচ্ছে রহমতের মাস, কোরআন নাজিলের মাস, ক্ষমার মাস, শবে কদরের রজনীর ফজিলত অর্জনের মাস।

রমজান ইবাদতের মাস। রমজান রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস। এ মাসের একটি নফল ইবাদত একটি ফরজের সমান সওয়াব। একটি ফরজ সত্তরটি ফরজের সমান; প্রতিটি ইবাদতের সওয়াব সত্তর গুণ বেশি। এ মাসে গুনাহ করাও কঠিন অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। তাই সামর্থ্যমতো বেশি বেশি নেক আমল করার পাশাপাশি সকল প্রকার বদ আমল বা গুনাহ বর্জন করতে হবে।

লেখক: তরুণ আলেম, সাংবাদিক




রমজানে ৬ পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিল সরকার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

রমজান মাস উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় ছয়টি পণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছে সরকার।

সোমবার (১২ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদফতর।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার পর্যালোচনা, সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী এবং সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করে ছোলা, পিয়াজ, ভোজ্যতেল, মসুর ডাল, চিনি ও খেজুরের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হলো। বেঁধে দেওয়া দাম অনুযায়ী পণ্য বিক্রি নিশ্চিত করতে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা সমন্বিতভাবে কাজ করবে।

বেঁধে দেওয়া দাম অনুযায়ী খুচরা বাজারে ছোলা কেজিপ্রতি ৬৩ থেকে ৬৭ টাকা, পিয়াজ ৪০ টাকা, ভোজ্যতেলের এক লিটারের বোতল ১৩৯ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতল ৬৬০ টাকা, মোটা দানার মসুর ডাল ৬৭ থেকে ৬৯ টাকা ও সরু দানার ডাল ৯৭ থেকে ১০৩ টাকা, চিনির খুচরা মূল্য কেজিপ্রতি ৬৭ থেকে ৬৮ টাকা এবং সাধারণ মানের খেজুর কেজিপ্রতি ৮০-১০০ ও মধ্যম মানের খেজুর ২০০-২৫০ টাকার বেশি বিক্রি করা যাবে না। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রমজান মাসে প্রায় ৮০ হাজার টন ছোলা, তিন লাখ টন পিয়াজ, দুই লাখ টন ভোজ্যতেল, ৮০ হাজার টন মসুর ডাল, এক লাখ ৩৬ হাজার টন চিনি ও ৪০ থেকে ৫০ হাজার টন খেজুরের চাহিদা আছে।




হেফাজত থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল্লাহ হাসান

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগসহ নানা কারণ দেখিয়ে হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমিরের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বাংলাদেশ ফরায়েজী আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ হাসান।

মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে বাংলাদেশ ফরায়েজী আন্দোলন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি নিজের অনুভূতি ও উপলব্ধি থেকে বলছি, হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ. এর ইন্তেকালের পর হেফাজতে ইসলামে যোগ্য নেতৃত্বের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। দলাদলি সৃষ্টি হয়েছে নিজেদের মধ্যে। বিভিন্ন দল ও ভিন্ন মতাদর্শের মানুষ অনুপ্রবেশ করেছে এবং তারা তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে হেফাজতে ইসলামকে অত্যন্ত সুকৌশলে মাঠে নামানোর চেষ্টা করছে। এরই অংশ হিসেবে হেফাজতে ইসলামকে তারা অনেকটা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হয়েছে।

বাংলাদেশ ফরায়েজী আন্দোলনের এ নেতা বলেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ পূর্বে শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে যে কোনো কর্মসূচি ও কার্যক্রম পরিচালিত করলেও সম্প্রতি কিছু ব্যক্তির নিজস্ব এজেন্ডা বাস্তবায়নে একটি প্ল্যাটফর্ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়গুলো বিবেচনা করে আমি হেফাজতে ইসলামের ‘নায়েবে আমির’ পদ থেকে ইস্তফা প্রদান করলাম। আমার ইস্তফা প্রদানে কে বেজার হল, কে খুশি হল এটা আমার দেখার বিষয় নয়। আমি আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলছি, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ থেকে ইস্তফা প্রদান ইসলাম, দেশ ও জাতির অধিকতর কল্যাণের লক্ষ্যে।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ফরায়েজী আন্দোলনের সভাপতি বলেন, এখন থেকে আমার সংগঠন বাংলাদেশ ফরায়েজী আন্দোলন স্বাধীন সার্বভৌম রক্ষার্থে ইসলাম ও দেশ জাতির কল্যাণে এককভাবে প্রয়োজনীয় সব কর্মসূচি গুরুত্বসহকারে পালন করে যাবে। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কোনো ধরনের কর্মকাণ্ডের দায় আমি ও আমার দলের ওপর বর্তাবে না।

সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি বেশ কয়েকটি দাবি জানিয়ে বলেন, গত কয়েকদিনে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ২০ জন নিহত ও অসংখ্য আহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের সুচিকিৎসার দাবি জানাচ্ছি সরকারের কাছে। করোনা মহামারিসহ সব আজব গজব থেকে মুক্তি পেতে আল্লাহর রহমত কামনায় বিগত দিনের মতো সব কওমী মাদরাসাগুলো খোলা রাখার দাবি জানাচ্ছি। নিরীহ আলেমদের ওপর প্রশাসনের হামলা মামলাসহ সব ধরনের হয়রানি না করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ফরায়েজী আন্দোলনের অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




আল্লামা আহমদ শফী হত্যা মামলায় বাবুনগরী ও মাও.মামুনুল হকসহ ৪৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

হেফাজতে ইসলামের সাবেক আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ.কে হত্যার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, মাওলানা মামুনুল হক ও মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদীসহ ৪৩ জন নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল তৃতীয় জজ আদালতে এ প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর সকালে আল্লামা আহমদ শফী রহ. এর শ্যালক মোহাম্মদ মাঈনুদ্দিন বাদী হয়ে চট্টগ্রামের তৃতীয় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-৩ এ হত্যা মামলা দায়ের করেন বলে জানা যায়। এ মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, আল্লামা আহমদ শফী রহ.কে মানসিক নির্যাতন এবং তার অক্সিজেন মাস্ক খুলে দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।