ইসলামী বইমেলা’য় আজ সন্ধ্যায় আলেম লেখকদের মিলন মেলা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

রবিউল আউয়াল মাস উপলক্ষে দেশব্যাপী বিভিন্ন আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। এর মধ্যে বাইতুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে ‘ইসলামী বইমেলা’ অন্যতম। ১৯ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই বই মেলা দুই সপ্তাহ পর্যন্ত চলার কথা রয়েছে।

আজ বুধবার ( ২৭ অেক্টোবর) সন্ধ্যায় ‘ইসলামী বইমেলা’য় উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, জনপ্রিয় লেখক ও আলোচক শায়েখ আহমদুল্লাহর।

তিনি জানিয়েছেন, বই কিনতে মেলায় যাবো ইনশা আল্লাহ।

তার দেওয়া তথ্যমতে, আজ বই মেলায় আরো থাকবেন জনপ্রিয় আলোচক শায়খ আবদুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ, আন্তর্জাতিক ক্বারী শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ, আলোকিত জ্ঞানীর উপস্থাপক ও তাকওয়া মসজিদ ধানমন্ডির খতীব মুফতি সাইফুল ইসলাম, ইসলামিক ফাইন্যান্স বিশেষজ্ঞ মুফতি ইউসুফ সুলতান, উস্তায শায়খ মুহিউদ্দীন ফারুকী, বিশিষ্ট্য আলোচক রাফি বিন মুনির এবং কলরবের জনপ্রিয় নাশীদ শিল্পী বদরুজ্জমান প্রমুখ।

দেশের পরিচিত লেখক ও ইসলামিক ব্যক্তিত্বকে মেলায় এসে পাঠকদের বই কিনতে উৎসাহিত করার অনুরোধ জানিয়েছেন শায়েখ আহমদুল্লাহ।

তিনি বলেছেন, ‘আশা করছি, সবাই যার যার সুবিধা অনুযায়ী একেক দিন মেলায় আসবেন।

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে জানতে পেরেছি যে বৃহস্পতিবার কলরবের সাঈদ আহমাদ, শুক্রবার বিশিষ্ট্য লেখক সাইমুম সাদী, মুহাদ্দিস ও টিভি উপস্থাপক মাহমুদুল হাসান, টিভি উপস্থাপক মুফতী হেদায়েতুল্লাহ প্রমুখ থাকবেন। শনিবার আলেম লেখক ও সাংবাদিক আলি হাসান তৈয়ব প্রমুখ থাকবেন ইন শা আল্লাহ’।

শায়েখ আহমদুল্লাহ তার আহ্বানে আরো বলেন, আপনিও চলে আসুন ইসলামী বইমেলায়। খুঁজে খুঁজে নির্ভরযোগ্য বই কিনে আলোকিত হোন, আলোকিত করুন পরিবার ও সমাজক ‘।




রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম পরিবর্তন করার সাহস কারও নেই: জিএম কাদের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, সরকারের একজন প্রতিমন্ত্রী পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে কটূক্তি করে এবং রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম পরিবর্তন করার ঘোষণা দিয়ে গর্হিত কাজ করেছেন। এজন্য তাকে ক্ষমা চাইতে হবে।

তিনি বলেন, ওই প্রতিমন্ত্রী সংবিধান সংরক্ষণের শপথ ভঙ্গ করেছেন। জননন্দিত সফল রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু এরশাদ এবং দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে নিয়ে কটূক্তি করেছেন।

জিএম কাদের বলেন, ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনী করেছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার। তাতেও রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সমুন্নত আছে। তাই কটূক্তি করে ওই প্রতিমন্ত্রী আওয়ামী লীগের দলীয় শৃঙ্খলাও ভঙ্গ করেছেন। তাকে অবশ্যই ক্ষমা চাইতে হবে, তা না হলে দেশের মানুষ একদিন এর বিচার করবে।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ঘোষণার সঙ্গে সব ধর্মের অধিকার সাংবিধানিকভাবেই নিশ্চিত করেছিলেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম পরিবর্তন করার সাহস আর ক্ষমতা কারও নেই।

শনিবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে গাজীপুর মহানগর ও অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

এ সময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আরও বলেন, বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী গণতান্ত্রিক চর্চা সম্ভব নয়। বর্তমান সংবিধান গণতান্ত্রিক চর্চার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তিনি বলেন, গণতন্ত্র চর্চা করতে হলে সংবিধানের অনেক ধারা সংশোধন করতে হবে। সংবিধানের ৭০ ধারার কারণে সরকারদলীয় কোনো সংসদ সদস্য সরকারের কোনো সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করতে পারে না। এতে এক ব্যক্তির হাতে সব ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হয়েছে। দেশের নির্বাহী বিভাগ, আইন সভা ও রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে বিচার বিভাগের প্রায় ৯০ ভাগই সরকারপ্রধানের নিয়ন্ত্রণে। তাই সরকারপ্রধান যা চাইবেন, তার বাইরে কিছুই সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে সংবিধান অনুযায়ী আইন করতে হবে। আইন না করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হচ্ছে, ফুটবল খেলায় একটি দলের পক্ষ থেকে রেফারি নিয়োগ দেওয়ার মতো। আইন করে, উপযুক্ত ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করে সংবিধান অনুযায়ী সব ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে দিতে হবে।

জিএম কাদের বলেন, নিবন্ধিত প্রায় ৪০টি দলের মধ্যে মাত্র আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং জাতীয় পার্টি সক্রিয় আছে। বাকি দলগুলো সাইনবোর্ড বা নেতা সর্বস্ব রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। বিএনপি নেত্রী মুচলেকা দিয়ে জেল থেকে বের হয়ে রাজনীতির মাঠে নেই। আবার তাদের আরেক নেতা দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে বিদেশে অবস্থান করছেন। বাকি নেতাদের মধ্যে বিভেদ ও বিভাজনের অভাব নেই।

আবার আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত।রাজনীতির মাঠেও আওয়ামী লীগ নেই বললেই চলে। কিন্তু গণমানুষের দাবি আদায়ে রাজনীতিতে সোচ্চার আছে শুধু জাতীয় পার্টি। ৩১ বছর রাষ্ট্রক্ষমতার বাইরে থেকেও জাতীয় পার্টি রাজনীতিতে টিকে আছে। নানা অপবাদ ও ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে জাতীয় পার্টি এগিয়ে চলছে।

তিনি বলেন, দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মকাণ্ডে রাজনীতি নিয়ে হতাশাগ্রস্ত। দেশের মানুষ আগামী দিনে জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্র পরিচালনায় দেখতে চায়। গণমানুষের প্রত্যাশা পূরণে জাতীয় পার্টি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য নিয়ে এগিয়ে যাবে। তাই দলকে আরও শক্তিশালী করতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান।

এ সময় জাতীয় পার্টি মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভুঁইয়া, অনুষ্ঠানে সভপতিত্ব করেন চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা এমএম নিয়াজ উদ্দিন বক্তব্য দেন।

উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মনিরুল ইসলাম মিলন, অ্যাডভোকেট লাকী বেগম, অ্যাডভোকেট জহিরুল হক জহির, ভাইস চেয়ারম্যান এইচএম শাহরিয়ার আসিফ, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, মো. বেলাল হোসেন, সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আনোয়ার হোসেন তোতা, মাখন সরকার, এমএ রাজ্জাক খান, আহাদ চৌধুরী শাহীন, যুগ্ম সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নুরুল হক নুরু, জাকির হোসেন মৃধা, মামুনুর রহিম সুমন, মাহমুদ আলম, সমরেশ মন্ডল মানিক, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ, অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, কেন্দ্রীয় নেতা আবু সাঈদ স্বপন, আবদুল বাতেন, শেখ মো. মাসুদ, সাফিয়া পারভীন, জাকির হোসেন, জিয়াউর রহমান বিপুল, এমএ কাদির, ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন, তরুণ পার্টির জিয়াউর রহমান মোড়ল ও কেএম সুজন।




কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননার ঘটনায় দুর্গাপুরে আলেম-ওলামাদের ক্ষোভ

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন কে অবমাননা করায় সারাদেশের ন্যায় দুর্গাপুরেও আলেম-ওলামাদের মাঝে চাঁপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ নিয়ে বুধবার রাতে স্থানীয় সাংবাদিকদের এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে ৪দফা দাবি জানিয়েছেন উপজেলা ঈমান আক্বিদা সংরক্ষণ কমিটি।

এ উপলক্ষে দুর্গাপুর কাচারী মাদরাসা মিলনায়তনে ঈমান আক্বিদা সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি মুফতি মামুনুর রশিদ এর সভাপতিত্বে ওলামাগন বলেন, কুমিল্লার নানুয়ার দিঘীরপাড় পূজামন্ডপে মূর্তির পায়ের নিচে পবিত্র কোরআন রেখে অবমাননা করার ঘটনায় গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। দেশে নব্বই ভাগ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নম্প্রদায় যে নিরাপত্তা নিয়ে নাগরিক সুবিধা ভোগ করছেন বিশ্বে এমন দৃষ্টান্ত নজিরবিহীন। তারপরও কিছু স্বার্থান্বেষীরা বারবার ধর্মীয় মূল্যবোধের উপর আঘাত করে সামাজিক ও ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করার পাঁয়তারা করছে আমরা এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে ৪দফা কর্মসুচী ঘোষনা করেন এবং সকলকে শান্ত থাকার জন্য আহবান জানান।

এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র সহ:সভাপতি মাও: অলি উল্লাহ, সহ:সভাপতি হাফেজ আব্দুল কাদির, মাও: আব্দুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাও: হাবিবুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক ডাঃ তোফাজ্জল হোসেন, সম্মনিত সদস্য মাও: সিরাজুল হক, অলি উল্লাহ, মাও: আমিনুল এহছান প্রমুখ। #

 




যেসব জেলায় মোতায়েন করা হলো বিজিবি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা রক্ষার্থে সারা দেশের বিভিন্ন জেলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের মোতায়েন করা হচ্ছে ।

আজ বৃহস্পতিবার বিজিবির পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়জুর রহমান বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের চাহিদার প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে দুর্গাপূজায় নিরাপত্তার রক্ষার্থে দেশব্যাপী বিজিবি মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত কুমিল্লা, নরসিংদী ও মুন্সীগঞ্জসহ ২২টি জেলায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চাহিদা থাকলে রাজধানী ঢাকায়ও বিজিবি মোতায়েন করা হবে।




ওয়াজ মাহফিলে কোন উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়া যাবে না: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ওয়াজ মাহফিলে কোরআনের বাইরে উসকানিমূলক কোন বক্তব্য দেওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। তিনি বলেছেন, ‘নীতি-নৈতিকতা-মূল্যবোধ লালন ও ধারণা করা আমাদের প্রত্যেকের কর্তব্য। সবাইকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে এবং এটি তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িতে দিতে হবে।’

সোমবার (১১ অক্টোবর) ভোলা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত দিনব্যাপী সচেতনতামূলক আলোচনা সভায় ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের চিন্তা করতে হবে যেন কেউ ধর্মকে ব্যবহার করে জঘন্য অপরাধ করতে না পারে। সেজন্য তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ফেসবুক, ইউটিউবে এ ধরনের অপপ্রচার বেশি ঘটছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলছি, যেন প্রযুক্তি ব্যবহার করে যারা ধর্ম নিয়ে কটূক্তি ছড়ায় এই ধরনের অপরাধীদের ধরার চেষ্টা করছি। যারা ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যারা অন্যায়কারী, অপরাধের সঙ্গে লিপ্ত এবং সংবিধানের মূলনীতি ভঙ্গ করার চেষ্টা করে তাদের বিরুদ্ধে আইন হয়ে গেছে। যে ধর্মের লোক হোক না কেন তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

এ সময় প্রতিমন্ত্রী জনগণকে স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগিতার আহ্বান জানান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগামীতে হজ যাত্রীদের ইমিগ্রেশন দেশেই হবে।’

ভোলার জেলা প্রশাসক তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম গোলদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মামুন আল ফারুক, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অসীম সাহাসহ বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




ফিলিস্তিনি শহিদদের কবরস্থান গুঁড়িয়ে দিল ইসরায়েল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

জেরুজলেমে অবস্থিত মসজিদ আল-আকসার পাশে একটি কবরস্থান গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এখানে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে শহিদ ফিলিস্তিনিদের কবর দেওয়া হয়। খবর আনাদোলুর।

ইসরায়েল সরকার পরিচালিত জেরুজালেম পৌর কর্তৃপক্ষ বোরবার আল-আকসার পাশে ওই মুসলিম কবরস্থানটি গুঁড়িয়ে দেয়।

এ সময় অসংখ্য কঙ্কাল কবর থেকে বের হয়ে পড়ে থাকে। এ সময় ফিলিস্তিনিরা এগুলো কুড়িয়ে সমাহিত করার চেষ্টা করেন।

ইসরায়েলের সঙ্গে ১৯৪৮ ও ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে যেসব ফিলিস্তিনি শহিদ হয়েছিলেন, আল-আকসার পাশে আল-ইয়ুসুফিয়া নামে বহু পুরনো মুসলিম কবরস্থানটিতে তাদের দাফন করা হয়েছিল।

আন্তর্জাতিক নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রতিনিয়ত এ ধরনের অমানবিক কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে ইহুদিবাদী এ দেশটি।




প্রযুক্তিনির্ভর হজ ব্যবস্থাপনায় প্রশিক্ষণ দেবে সরকার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক: 

প্রযুক্তিনির্ভর হজ ব্যবস্থাপনায় অংশগ্রহণের জন্য হজযাত্রী ও সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক সভায় তিনি এ কথা বলেন। ২০২২ সালের হজ সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনার অংশ হিসেবে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার সংক্রান্ত বিষয়ে পূর্ব প্রস্তুতি বিষয়ে এ সভা হয়।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করে হজযাত্রীদের হজ পালন করতে হতে পারে। বর্তমানে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় অ্যাপস ব্যবহারের মাধ্যমে পবিত্র ওমরাহ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

তিনি আরও বলেন, করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হলে আগামী বছরের হজে সব দেশ থেকে আগের মতো মুসল্লি অংশ নিতে পারবে বলে আশা করছে সৌদি আরব।




মাওলানা মামুনুল হককে খুলনা কারাগারে স্থানান্তর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

মাওলানা মামুনুল হককে খুলনা কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে খুলনা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার দেলোয়ার পারভেজ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, সোনাডাঙ্গা থানার ২৩ (২) ২০১৩ নং মামলায় খুলনা অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজিরার জন্য হেফাজত ইসলামের নেতা মামুনুল হককে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সকালে পুলিশ হেফাজতে তাকে খুলনা জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত ১৮ এপ্রিল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদরাসা থেকে বেলা ১২টার দিকে মামুনুল হককে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে ২৭টি মামলা দায়ের হয়।




কাবুল থেকে সরে যাওয়ার চূড়ান্ত পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্র

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

সেনাদের প্রত্যাহারের আগে এখন কাবুল বিমানবন্দরে থাকা অবশিষ্ট এক হাজারের কিছু বেশি বেসামরিককে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে বলে রোববার পশ্চিমা এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন।

পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই পশ্চিমা নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, সরিয়ে নেওয়ার এই প্রক্রিয়া শেষ করার তারিখ ও সময়ের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, মঙ্গলবারের (৩১ অগাস্ট) মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা সরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি মেনে চলবেন তিনি।

কাবুল বিমানবন্দরে নিয়োজিত ওই নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, “প্রত্যেক বিদেশি বেসামরিক ও ঝুঁকিতে থাকা লোকজনকে আজকের মধ্যে সরিয়ে নেওয়া নিশ্চিত করতে চাই আমরা। এই প্রক্রিয়া শেষ হলেই বাহিনীগুলো কাবুল ত্যাগ করা শুরু করবে।”

সারা দেশজুড়ে বিদ্যুৎগতিতে অগ্রসর হয়ে ১৫ অগাস্ট রাজধানী কাবুলে প্রবেশ করে তালেবান। ওই দিনই আফগানিস্তানের পশ্চিমা সমর্থিত সরকার ও সেনাবাহিনী ভেঙে পড়ে। এতে দেশটিতে প্রশাসনিক শূন্যতা তৈরি হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী তালেবান জানিয়েছে, তারা বিদেশি ও দেশ ছাড়তে ইচ্ছুক আফগানদের আকাশপথে কাবুল ছাড়ার বিষয়টি অনুমোদন করবে।

গত দুই সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্ররা প্রায় এক লাখ ১৩ হাজার ৫০০ লোককে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নিয়েছে, কিন্তু কাবুল ছাড়তে ইচ্ছুক আরও প্রায় লাখ খানেক মানুষ পড়ে থাকবে বলে রয়টার্স জানিয়েছে।

শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা কাবুল বিমানবন্দরে চার হাজারেরও কম সেনা আছে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছিলেন। এর আগে সেখানে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার ৮০০ সেনা ছিল।

v




তালেবান-যুক্তরাষ্ট্র চুক্তিতে কী ছিল?

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

শুক্রবার তারা দেশটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় বৃহত্তম শহর কান্দাহার ও হেরাতের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে খবর এসেছে। এ অবস্থায় কাবুল থেকে দূতাবাস খালি করার তোড়জোড় শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।

গত মে মাসে নতুন করে সংঘাত শুরুর পর তালেবান বাহিনী এত দ্রুত এত বেশি সাফল্য পেয়ে যাবে, তা ছিল বাইডেন প্রশাসনের ধারণার বাইরে। এখন মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের মূল্যায়ন বলছে, শিগগিরই কাবুলেরও পতন ঘটতে পারে তালেবানের হাতে ।

পরিস্থিতির এমন অবনতির পরও আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বদলাচ্ছেন না বাইডেন।

পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, দূতাবাসের কর্মী প্রত্যাহারের কাজটি তারা সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা ৩১ আগস্টের মধ্যেই শেষ করতে চান।

তালেবান বাহিনীর এই অগ্রযাত্রার মধ্যে সেই শান্তি চুক্তির বিষয়টি আবারও আলোচনায় আসছে। কাতারের রাজধানী দোহায় ২০২০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের মধ্যে ওই চুক্তির লক্ষ্য ছিল আফগান যুদ্ধের অবসান ঘটানো।

সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং তালেবানের দোহা মুখপাত্র সোহাইল শাহীন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন৷

চুক্তির মূল ধারা চারটি, যেখানে শুরুতেই বলা হয়েছে ‘ইসলামিক আমিরাত অব আফগানিস্তান’ নামটিকে যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দেয় না এবং এরা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তালেবান হিসেবে পরিচিত। এই চুক্তিটি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তালেবানের, যদিও তালেবান নিজেদেরকে চুক্তির নথিতে ‘ইসলামিক আমিরাত অব আফগানিস্তান’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।

চুক্তির শিরোনাম ছিল – ‘আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য চুক্তি’। এটি দারি, পশতু এবং ইংরেজি ভাষায় অনূদিত হবে বলেও নথিতে উল্লেখ করা হয়। তারিখ হিসেবে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের পাশাপাশি হিজরি চান্দ্র ও সৌর বর্ষও উল্লেখ করা ছিল।

সমন্বিত ওই শান্তি চুক্তির চারটি ধারা একটি আরেকটির ওপর নির্ভরশীল।

প্রথম ধারায় বলা হয়, আল-কায়েদাসহ কোনো গোষ্ঠী বা ব্যক্তিকে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না বলে তালেবান নিশ্চয়তা দিচ্ছে। এ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের ব্যবস্থাপনাও তারা করবে।

দ্বিতীয় ধারায় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নিশ্চয়তা দেওয়া হয়, আফগানিস্তান থেকে সব বিদেশি সেনা প্রত্যাহার করা হবে, এটা বাস্তবায়নের ব্যাবস্থাপনা তারা করবে এবং সেনা প্রত্যাহারের একটি সময়সূচিও ঘোষণা করা হবে।

তৃতীয় ধারায় বলা হয়, আন্তর্জাতিক সাক্ষীর উপস্থিতিতে আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহারের নিশ্চয়তা এবং এর সময়সূচি ঘোষণার পর, এবং তালেবানের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করতে না দেওয়ার নিশ্চয়তা ঘোষণা করার পর তালেবান পক্ষ আফগানিস্তানের সরকারের সঙ্গে আন্তঃআফগান আলোচনা ও সমঝোতার প্রক্রিয়া শুরু করবে। ২০২০ সালের ১০ মার্চ এই আলোচনা শুরুর তারিখ ঠিক করা হয়।

চতুর্থ ধারায় বলা হয়, আন্তঃআফগান দরকষাকষি ও আলোচনায় আলোচ্যসূচির একটি অংশে থাকবে অস্ত্রবিরতির বিষয়টি। আন্তঃআফগান আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা স্থায়ী ও সমন্বিত একটি অস্ত্রবিরতির তারিখ ও সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা করবেন এবং এর বাস্তবায়নে যৌথ ব্যবস্থাপনার বিষয়টিও এর অন্তর্ভুক্ত থাকবে। আফগানিস্তানের ভবিষ্যত রাজনৈতিক রূপরেখা ঘোষণার সময়ই অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করা হবে।

চুক্তিটির পরের তিনটি অংশের প্রথম অংশে যুক্তরাষ্ট্রের কী কী করণীয় তার বিবরণ রয়েছে। বলা হয়েছে, চুক্তি স্বক্ষরের ঘোষণার দিন থেকে পরের ১৪ মাসের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব বিদেশি সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। প্রথম অংশে সেখানে ছয়টি বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে।

এর প্রথমটিই সেনা প্রত্যাহার নিয়ে। যেখানে বলা হয়, আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা এই চুক্তি ঘোষণার প্রথম ১৩৫ দিনের মধ্যে আট হাজার ৬০০ সেনা সরিয়ে নেবে। এবং একই সময়ের মধ্যে তারা সেদেশের পাঁচটি সেনাঘাঁটি থেকেও সেনা প্রত্যাহার করবে।

দ্বিতীয়টিতে বলা হয়, পরের সাড়ে নয় মাসের মধ্যে বাকি বিদেশি সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। এবং বাকি সেনাঘাঁটিগুলো থেকেও সৈন্য সরিয়ে নিতে হবে।

তৃতীয়টি মূলত বন্দি বিনিময় সংক্রান্ত। যেখানে যুক্তরাষ্ট্র এই যুদ্ধের সময় বন্দি ৫ হাজার তালেবানকে মুক্তি দেবে এবং এর বিনিময়ে তালেবান গোষ্ঠী তাদের হাতে বন্দি ১ হাজার জনকে মুক্তি দেবে বলে ঐকমত্য হয়।

চতুর্থ বিষয়টি হল, আন্তঃআফগান আলোচনা শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো পুনর্বিবেচনার প্রক্রিয়া শুরু করবে এবং তালেবানের যেসব সদস্যকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল, সেই তালিকাও পুনর্বিবেচনার প্রক্রিয়া শুরু করবে। ২০২০ সালের ২৭ অগাস্টের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার উদ্যোগ নেবে।

পঞ্চমটি হল, আন্তঃআফগান আলোচনা শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘে তালেবানের বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়া চালুর জন্য সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করবে এবং ২০২০ সালের ২৯ মের মধ্যে তারা এ কাজটি করবে।

ষষ্ঠ বিষয়টি হল, যুক্তরাষ্ট্র এবং মিত্ররা আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না এবং আফগানিস্তানকে বিভক্ত করতে হুমকি দেওয়া বা বল প্রয়োগ থেকে বিরত থাকবে।

চুক্তির দ্বিতীয় অংশে তালেবানের করণীয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়, পাঁচটি দফা বাস্তবায়ন করবে তালেবান।

প্রথমটি হল, যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদের বিরুদ্ধে নিজেদের কোনো সদস্য বা আল-কায়েদাসহ অন্য কোনো গোষ্ঠী বা ব্যক্তি যাতে আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করতে না পারে তা নিশ্চিত করবে তালেবান।

দ্বিতীয় দফাটিও প্রায় একই ধরনের, যেখানে বলা হয়েছে, তালেবান পক্ষ যুক্তরাষ্ট্র বা তার মিত্রদের বিরুদ্ধে সক্রিয় কোনো গোষ্ঠী বা ব্যক্তিকে সহযোগিতা করতে পারবে না, যারা যুক্তরাষ্ট্র বা তার মিত্রদের জন্য হুমকি স্বরূপ।

তৃতীয় দফাটি হল, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের নিরাপত্তা হুমকি সৃষ্টিকারী কোনো গোষ্ঠী বা ব্যক্তি যাতে সদস্য ও তহবিল সংগ্রহ এবং তাদের প্রশিক্ষণের জন্য আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করতে না পারে তা নিশ্চিত করবে তালেবান।

চতুর্থ ও পঞ্চম দফায় যথাক্রমে শরণার্থী, আশ্রয়প্রার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বিধি মেনে চলার অঙ্গীকার করেছে তালেবান এবং যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের জন্য হুমকি সৃষ্টিকারী গোষ্ঠী ও ব্যক্তিকে ভিসা না দেওয়া, অন্য কোনো ভ্রমণ অনুমতি না দেওয়া বা অন্য কোনো আইনি নথি না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা।

চুক্তিটির তৃতীয় অংশে আরও তিনটি দফা রয়েছে, যার প্রথমটিতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই চুক্তিটি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে অনুমোদনের জন্য চেষ্টা করার কথা বলা হয়েছে।

দ্বিতীয় দফায় বলা হয়েছে, তালেবান পক্ষ ও যুক্তরাষ্ট্র পরস্পরের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট হবে এবং নতুন পরিস্থিতিতে আন্তঃআফগান আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে একটি আফগান ইসলামিক সরকার গঠনের চেষ্টা করবে যা থেকে প্রতীয়মান হবে আন্তঃআফগান আলোচনা ইতিবাচক হয়েছে।

তৃতীয় দফায় বলা হয়েছে, আন্তঃআফগান আলোচনার মাধ্যমে গঠিত আফগান ইসলামিক সরকারকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা করার চেষ্টা করবে যুক্তরাষ্ট্র এবং তারা ওই সরকারের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না।

চার পৃষ্ঠার ওই চুক্তির নথি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে আছে।