হিজাব বিষয়ে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে পাকিস্তান

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটকে মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরা নিয়ে যে বিতর্ক শুরু হয়েছে, তাতে পাকিস্তানের সরকার ও প্রশাসন অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। তাদের কাছে খবর আছে, হিজাব পরার উপর নাকি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে! এমন ঘটনা ঘটে থাকলে ইসলামাবাদের তরফ থেকে তার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। ভারতীয় দূতাবাসের প্রতিনিধিকে পাক বিদেশ মন্ত্রকের কার্যালয়ের পক্ষ থেকে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে।

কর্ণাটকে মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরার উপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সরকারের গভীর উদ্বেগের কথা জানিয়ে ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় দূতাবাসের প্রতিনিধিকে ডেকে পাঠিয়েছে সে দেশের বিদেশ মন্ত্রক।

পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে যে, ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা এবং ভারতে মুসলমানদের বিরুদ্ধে বৈষম্য নিয়ে পাকিস্তানের গভীর উদ্বেগ জানানো হয়েছিল ভারতীয় কূটনীতিককে ।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত সরকারকে কর্ণাটকের মুসলিম মহিলাদের হয়রানির সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে এবং মুসলিম মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি বলেছেন যে, মুসলিম মেয়েদের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করা মৌলিক মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন।
পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ফাওয়াদ হুসেন বলেছেন যে, ভারতে যা ঘটছে তা উদ্বেগজনক এবং হিজাব পরার বিষয়টি একটি ব্যক্তিগত পছন্দ। ঠিক যেমন অন্য যে কোনও পোশাক নাগরিকদের পরার স্বাধীনতা আছে ।

পাকিস্তানের মন্ত্রীদের টুইটের প্রতিক্রিয়ায়, ভারতের সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি নয়াদিল্লিতে বলেছেন যে ‘কিছু লোক ভারতের মানহানি করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে প্রতিষ্ঠানের ড্রেস কোড এবং শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সিদ্ধান্তকে সাম্প্রদায়িক রঙ দিচ্ছে।’ নকভি বলেন- ‘পাকিস্তান নিজেই যেখানে সংখ্যালঘুদের জন্য অপরাধ এবং নিষ্ঠুরতার উদাহরণ সে আবার ভারতকে সহনশীলতা এবং ধর্মনিরপেক্ষতার পাঠ পড়াচ্ছে। বাস্তবতা হলো পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের সামাজিক-শিক্ষাগত-ধর্মীয় অধিকার নির্লজ্জভাবে পদদলিত করা হচ্ছে।’

সেই সঙ্গে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘মুসলিমসহ সংখ্যালঘুদের সমান অধিকার, মর্যাদা এবং সমৃদ্ধি সহনশীলতা, সম্প্রীতি এবং অন্তর্ভুক্তি ভারতের অঙ্গীকারের একটি অংশ’।

হিজাব বিতর্ক প্রথম মাথাচাড়া দেয় চলতি বছরের জানুয়ারিতে, কর্ণাটকের উদুপির একটি সরকারি প্রাক-ইউনিভার্সিটি কলেজে নির্ধারিত ড্রেস কোড লঙ্ঘন করে হেডস্কার্ফ পরে ক্লাসে অংশ নেওয়া ছয়জন ছাত্রীকে ক্যাম্পাস ছেড়ে যেতে বলা হয়েছিল। পরে এই বিতর্ক রাজ্যের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে এবং হিন্দু ছাত্ররাও পাল্টা হিসেবে গেরুয়া শাল পরে কলেজে আসেন। সূত্র : ডন




হিজাবের পক্ষে মুসলিম শিক্ষার্থীদের লড়াই: স্কুল-কলেজ বন্ধ করল কর্নাটক সরকার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরা নিয়ে তীব্র উত্তেজনার জেরে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকের সব স্কুল এবং কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাসাভরাজ এস বোম্মাই আগামী তিনদিনের জন্য সব স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে দেয়া এক বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী বাসাভরাজ এস বোম্মাই বলেছেন, তিনি `শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে’ সব উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

হিজাব পরা নিয়ে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মুসলিম ও হিন্দু ছাত্র-ছাত্রীরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। এনডিটিভি বলছে, উত্তেজনাকর এই পরিস্থিতিতে আদালতের শুনানি আগামীকালও অনুষ্ঠিত হবে। রাজ্যের শিক্ষার্থী এবং জনগণকে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন কর্ণাটকের আদালত।

আদালতের বিচারক দীক্ষিত কৃষ্ণ শ্রীপদ বলেছেন, জনসাধারণের বুদ্ধিমত্তা এবং নৈতিকতার ওপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে এই আদালতের। জনগণ সেসবের চর্চা করবে বলে আশা করছেন আদালত।

হিজাব নিয়ে আদালতের শুনানি শেষ হওয়ার অল্প কিছুক্ষণ আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এক টুইটে বলেন, ‘আমি সব শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি কর্ণাটকের জনগণকে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। আমি আগামী তিন দিনের জন্য রাজ্যের সব উচ্চ বিদ্যালয় এবং কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি। সংশ্লিষ্ট সকলকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করছি।’

গত মাসে উদুপি জেলার সরকারি বালিকা পিইউ কলেজে ছয়জন মুসলিম ছাত্রীকে হিজাব পরার কারণে শ্রেণিকক্ষের বাইরে বসতে বাধ্য করা হয়। সেই সময় কলেজ প্রশাসন জানায়, ইউনিফর্মের অংশ নয় হিজাব এবং ওই ছাত্রীরা কলেজের নিয়ম লঙ্ঘন করেছে। ছাত্রীদের ক্লাসে হিজাব পরার বিষয়ে আপত্তি জানায় স্থানীয় ডানপন্থী বিভিন্ন গোষ্ঠী।

পরে এই রাজ্যের অন্যান্য এলাকাতেও হিজাব পরার বিরুদ্ধে গেরুয়া ওড়না পরে অনেক শিক্ষার্থী অবস্থান নিয়ে আন্দোলন শুরু করে। তারা কলেজে হিজাব নিষিদ্ধের দাবি তোলে এবং হিজাববিরোধী বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেয়।

কর্ণাটকের বিজয়াপুরা জেলার অন্য দুই কলেজ শান্তেশ্বরা পিইউ এবং জিআরবি কলেজে হিজাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া অনেক ছাত্র শুক্রবার ও শনিবার গেরুয়া ওড়না পরে হিজাবের প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করেছে।

ছাত্র-ছাত্রীদের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের কারণে কলেজ দুটি সোমবার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে বিক্ষোভ সহিংস আকার ধারণ করেছে মঙ্গলবার। উদুপির একটি কলেজে হিজাব পরার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া গেরুয়া ওড়না পরা ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে মুসলিম ছাত্রীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং একে অপরকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।

এম আর




‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র গুরুত্ব ও মর্যাদা

‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা। মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই এর প্রভাব, গুরুত্ব, মর্যাদা এবং ফজিলত অনেক বেশি। মুসলিম উম্মাহ তাদের আজান, ইকামাত, বক্তৃতা-বিবৃতি এবং আলোচনা-সভা-সমাবেশে বলিষ্ঠ কণ্ঠে এ সত্য ঘোষণা দেন- ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই’।
তাওহিদের ঘোষণটি শুধু এ যুগের মানুষের জন্যই নয় বরং আসমান-জমিনসহ সমগ্র মাখলুকত সৃষ্টি হয়েছে এ কালেমার জন্য। এর প্রচার-প্রসারে যুগে যুগে অসংখ্য নবি-রাসুল আগমন করেছেন। মানুষের জীবনে এ কালেমার রয়েছে অসংখ্য প্রভাব। কে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ-এর অনুসারি আর কে এর বিরোধিতাকারী এসব নির্ধারণে আল্লাহ তাআলা নাজিল করেছেন আসমানি কিতাব, দিয়েছেন অসংখ্য বিধান।
এ ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র জন্যই পরকালের মিজান, হাশর, পুলসিরাত ও কেয়ামতের দিনের পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব অনুষ্ঠিত হবে। তাওহিদের কালেমা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লা’য় হবে জান্নাত এবং জাহান্নামের চূড়ান্ত ফয়সালা।
‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ সেই কালেমা; যার স্বীকার আর অস্বীকারের মাধ্যমে ঈমানদার আর কুফরে পাথর্ক্য হবে মানুষ। সৃষ্টি জগতের প্রতিটি মানুষের জীবনে এ কালেমা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র একচ্ছত্র প্রভাবই বেশি। এর উপরই নির্ভর করে সব পুরস্কার ও তিরস্কার।
এ কালেমার ভিত্তিতেই মানুষ পাবে সওয়াব ও শাস্তি। এ ঘোষণা প্রতিষ্ঠার উপর ভিত্তি করেই নির্ধারিত হয় মুসলমানদের কেবলা। এ কালেমার আহ্বানেই মুসলমানের হাতে শোভা পায় খাপ থেকে বের হয়ে আসা খোলা তরবারি। এ কালেমাই হবে মানুষের সব প্রাপ্তি ও বিসর্জনের কারণ। এ কালেমার ব্যাপারে শুরু থেকে শেষ সব নবি-রাসুল ও অনুসারীরা আল্লাহর কাছে জিজ্ঞাসিত হবে। যারা এর সঠিক জিম্মাদারি পালন করতে পেরেছেন এবং পারবেন তারাই হবে সফল। আর যারা এর জিম্মাদারিতে দূরে তারা হবেন চরম লাঞ্ছিত ও অপমানিত।
‘লা ইলাহা ইল্লাল্লা’র স্বীকৃতির জিজ্ঞাসাবাদ
চিন্তার বিষয়, আল্লাহ কেয়ামতের দিন প্রত্যেক ব্যক্তিকেই জিজ্ঞাসা করবেন- তুমি কার ইবাদত করেছ? নবি-রাসুলদের আহ্বানে কতটুকু সাড়া দিয়েছ? এ প্রশ্নের উত্তর সব ব্যক্তিকে বাধ্যতামূলক দিতেই হবে।
প্রথম প্রশ্নের সঠিক উত্তর হলো- ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’কে (لاَ إِلهَ إِلاَّ اللهُ) ভালোভাবে জেনে এর স্বীকৃতি দেওয়া এবং কালেমা দাবি অনুযায়ী কাজ করা।
দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর হলো- মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রাসুল হিসাবে মেনে তাঁর নির্দেশের আনুগত্য করা।
হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামের নসিহত
যুগে যুগে এ কালেমার স্বীকৃতি ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে গেছেন অসংখ্য নবি-রাসুলগণ। এ কালেমাই রেখে গেলেন গেছেন হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম। কোরআনে এসেছে-
وَ جَعَلَهَا کَلِمَۃًۢ بَاقِیَۃً فِیۡ عَقِبِهٖ لَعَلَّهُمۡ یَرۡجِعُوۡنَ
‘এ ঘোষণাকে সে চিরন্তন বাণীরূপে তার পরবর্তীদের জন্য রেখে গেছে; যাতে ওরা (সৎপথে) প্রত্যাবর্তন করে।’(সুরা যুখরুফ : আয়াত ২৮)
আল্লাহ ও ফেরেশতা কর্তৃক কালেমার সাক্ষ্য
এই সেই কালেমা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’; যার সাক্ষ্য দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহ তাআলা নিজে, ফেরেশতা এবং জ্ঞানীগণও দিয়েছেন-
شَهِدَ اللّٰهُ اَنَّهٗ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ۙ وَ الۡمَلٰٓئِکَۃُ وَ اُولُوا الۡعِلۡمِ قَآئِمًۢا بِالۡقِسۡطِ ؕ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ الۡعَزِیۡزُ الۡحَکِیۡمُ
‘আল্লাহ সাক্ষ্য দেন যে, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই, আর ফেরেশতা ও জ্ঞানীগণও। তিনি ন্যায় দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। তিনি ছাড়া কোনো (সত্য) ইলাহ নেই। তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১৮)
‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র প্রচার
এই কালেমা প্রচারের জন্যই আল্লাহ তাআলা সব রাসুল এবং আসমানি কিতাবসমূহ পাঠিয়েছেন। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে উদ্দেশ্য করে কোরআনে এ কথাটি এভাবে বলেছেন-
وَ مَاۤ اَرۡسَلۡنَا مِنۡ قَبۡلِکَ مِنۡ رَّسُوۡلٍ اِلَّا نُوۡحِیۡۤ اِلَیۡهِ اَنَّهٗ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّاۤ اَنَا فَاعۡبُدُوۡنِ
‘আর আপনার আগে এমন কোনো রাসুল আমি পাঠাইনি যার প্রতি আমি এই অহি নাজিল করিনি যে, ‘আমি ছাড়া কোনো (সত্য) ইলাহ নেই; সুতরাং তোমরা আমার ইবাদাত করো।’ (সুরা আম্বিয়া : আয়াত ২৫)
আল্লাহ তাআলা অন্যত আরো বলেন-
یُنَزِّلُ الۡمَلٰٓئِکَۃَ بِالرُّوۡحِ مِنۡ اَمۡرِهٖ عَلٰی مَنۡ یَّشَآءُ مِنۡ عِبَادِهٖۤ اَنۡ اَنۡذِرُوۡۤا اَنَّهٗ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّاۤ اَنَا فَاتَّقُوۡنِ
‘তিনি তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার প্রতি ইচ্ছে স্বীয় নির্দেশে অহিসহ (প্রত্যাদেশ) ফেরেশতা নাজিল করেন, এই মর্মে সতর্ক করার জন্য যে- ‘আমি ছাড়া কোনো (সত্য) উপাস্য নেই’; সুতরাং তোমরা আমাকে ভয় করো। (সুরা নাহল : আয়াত ২)
‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ মানুষের জন্য নেয়ামত
সব বান্দার উপর আল্লাহ তাআলার সবচেয়ে প্রধান এবং বড় নেয়ামত হলো তিনি সবার জন্য (لاَ إِلهَ إِلاَّ اللهُ) তাঁর এই একত্ববাদের সাথে পরিচয় করে দিয়েছেন। দুনিয়ার পিপাসা কাতর তৃষ্ণার্ত একজন মানুষের কাছে ঠা-া পানির যে মূল্য; আখেরাতে অনন্ত জীবনে জান্নাতবাসীদের জন্য এ কালেমাও ততবেশি মূল্য।
‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র স্বীকৃতিতে মর্যাদা
যারা এ কালেমা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র স্বীকৃতি দান করলো সে তার সম্পদ এবং জীবনের নিরাপত্তা গ্রহণ করলো। আর যারা তা অস্বীকার করলো সে তার জীবন ও সম্পদ নিরাপত্তাহীনতায় ফেললো। হাদিসের একাধিক বর্ণনা থেকে তা প্রমাণিত-
১. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
مَنْ قَالَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَكَفَرَ بِمَا يُعْبَدُ مَنْ دُونِ اللهِ، حَرُمَ مَالُهُ، وَدَمُهُ، وَحِسَابُهُ عَلَى اللهِ
‘যে ব্যক্তি ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্’ এর স্বীকৃতি দান করলো এবং আল্লাহ ছাড়া অন্য সব উপাস্যকে অস্বীকার করলো, তার ধন-সম্পদ ও জীবন নিরাপদ হল এবং তার কৃতকর্মের হিসাব আল্লাহর উপর বর্তালো।’ (মুসলিম)
২. ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র দাওয়াতে সাহাবা প্রেরণ
একজন অবিশ্বাসীকে ইসলামের প্রতি আহ্বানের জন্য প্রথমেই চাওয়া হয় এই কালেমা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র স্বীকৃতি। তাইতো নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হজরত মুয়াজ রাদিয়াল্লাহু আনহুকে যখন ইয়ামানে ইসলামের দাওয়াতের জন্য পাঠান তখন তাঁকে নসিহত করেন-
إِنَّكَ تَأْتِي قَوْمًا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ، فَادْعُهُمْ إِلَى شَهَادَةِ أَنَّ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ
‘তুমি আহলে কিতাবের কাছে যাচ্ছ, অতএব সর্বপ্রথম তাদেরকে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আহ্বান করবে।’ (বুখারি, মুসলিম)
মানুষের জীবনের এ কালেমার প্রভাব অত্যধিক। কোরআন-সুন্নাহর অসংখ্য বর্ণনায় তা প্রমাণিত। সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র এ স্বীকৃতিকে নিজের  জীবনের একমাত্র স্লোগান হিসেবে মেনে নেওয়া, ঘরে-বাইরে, মাঠে-ময়দানে এক কথা সবখানে এর দাওয়াতি কাজে নিজেদের আত্মনিয়োগ করা। কারণ ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র স্বীকৃতিই হলো মানুষের সব কর্মের মূলভিত্তি।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাদের নিজেদের জীবন থেকে শুরু করে সর্বক্ষেত্রে তাওহিদের কালেমা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র উপর যথাযথ আমল ও ঘোষিত কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার তাওফিক দান করুন। এর প্রভাব, মর্যাদা, গুরুত্ব ও ফজিলত উপলব্ধি করার তাওফিক দান করুন। আমিন।




আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচী

আজ থেকে আনুষ্ঠিতভোবে দেশের কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে।

জানা যায়, রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুর জামিয়া সিদ্দীকিয়া নূরানী মহিলা মাদরাসায় শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে দেশের কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের টিকাদান শুরু হয়।

জামিয়া সিদ্দীকিয়া নূরানী মহিলা মাদরাসার পরিচালক হাফেজ মাওলানা রফিকুল ইসলাম  জানান, আজ (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮ থেকেই আমাদের প্রতিষ্ঠানে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ও অধিদপ্তরের করোনার টিকাবিষয়ক কমিটির সদস্যসচিব ডা. শামসুল হক।

তিনি আরো জানান, আমাদের প্রতিষ্ঠানে শুরু হওয়া এ ভ্যাকসিন কার্যক্রমে আজ প্রায় ৫৭০জন শিক্ষার্থীকে ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে ১৮ বছরের উপরের শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও টিকা দেয়া হবে।

এ ব্যাপারে সরকারের করোনা টিকা ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. শামসুল হক জানান, আজ থেকে ঢাকায় ভাসমান মানুষ ও ঢাকাসহ সারা দেশে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেওয়া শুরু হবে। পরে বাদ পড়া অন্য জনগোষ্ঠীদেরও টিকা দেওয়া হবে।

এদিকে কওমি মাদরাসায় টিকা কার্যক্রমের জন্য সারাদেশে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী ৬ বিভাগে ১৭৪টি মাদরাসাকে প্রাথমিকভাবে টিকা সেন্টার হিসাবে নির্বাচন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এসব কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে।

দুই মাস আগে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেওয়া শুরু করে সরকার। তখন একই বয়সী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় আসে। সরকারি হিসাবে দেশে কওমি মাদ্রাসা আছে ১৯ হাজার ১৯৯ টি। এসব মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪ লাখের বেশি।

এর আগে, সারাদেশের কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের আওতায় আনার উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশের কওমি মাদরাসারগুলোর সর্বোচ্চ শিক্ষা অথরিটি আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কাওমিয়া বাংলাদেশ।

ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত রেখে শিক্ষার সুশৃংখল পরিবেশ বজায় রাখতে প্রত্যেক জেলার সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে এই টিকা প্রদান কার্যক্রম সম্পন্ন করার উদ্যোগ নেয় বোর্ডটি।

অপরদিকে দেশে এক দিনের ব্যবধানে করোনার রোগী কমলেও মৃত্যু ও শনাক্ত হার বেড়েছে। এক দিনে শনাক্ত কমে ৮ হাজারের ঘরে এসেছে। আর মৃত্যু বেড়েছে ৬ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ৮ হাজার ৩৫৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের। পরীক্ষায় বিবেচনায় শনাক্ত হার দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এর আগের দিন শুক্রবার শনাক্ত হয়েছিল ৯ হাজার ৫২ জন এবং মৃত্যু হয় ৩০ জনের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, গত এক দিনে দেশে ৩৫ হাজার ৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ। আর এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১ কোটি ২৬ লাখ ৮৭ হাজার ৫৮৮টি। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ও মৃত্যু নিয়ে দেশে করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৫৩ হাজার ১৮৭ ও মারা গেছে ২৮ হাজার ৫৬০ জন।




‘দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ত্যাগ ও কুরবানীর নজির স্থাপন করতে হবে’

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ত্যাগ ও কুরবানীর দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। দ্বীনের জন্য রাসূল সা.কে দীর্ঘদিন পর্যন্ত সিয়ারে আবু তালেবে অবরুদ্ধ হতে হয়েছে। সকল প্রলোভনকে উপেক্ষা করে দ্বীন প্রতিষ্ঠার মিশনকে এগিয়ে নিয়ে বিশ্বে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন রাসূল সা.।

তিনি বলেন, ইসলামের এ পথ অত্যন্ত কঠিন ও কণ্টকার্কিণ্য। কাজেই ইসলামবিরোধী শক্তির মোকাবেলায় নিজেদেরকে যোগ্য, দক্ষ ও আদর্শবান হতে হবে।

আজ সকালে পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের পরিচিতি সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সহকারি মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, সেক্রেটারী জেনারেল হাফেজ ছিদ্দিকুর রহমান, সহকারি সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ওমর ফারুক, নগর নেতা মাওলানা কামাল হোসাইন প্রমুখ।

সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি হাফেজ শাহাদাত হোসেন প্রধানিয়ার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা আনিসুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত পরিচিতি সভায় বক্তব্য রাখেন ডা. মজিবুর রহমান, মুফতী আরিফ বিল্লাহ, ওমর ফারুক যশোরী, মু. শামীম আহমদ প্রমুখ।

মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, করোনার অজুহাতে সভা সমাবেশ, ওয়াজ মাহফিল বন্ধ করে দিয়ে ইসলামের জাগরণ বন্ধ করতে চাইছে সরকার। শ্রমিক শ্রেণিকে অবহেলায় রেখে দেশের উন্নয়ন সম্ভব হবে না। এজন্য দ্রব্যমূল্যের উর্বধগতি রোধ করতে হবে। গ্যাসের দামবৃদ্ধির প্রস্তাব বাতিল করতে হবে। জনদুর্ভোগ লাঘবে সরকারকে কাজ করতে হবে।

এম আর




বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা সালাহউদ্দিন আর নেই

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব অধ্যাপক মাওলানা মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মিজানুর রহমান।

জানা গেছে, অনেক দিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন মাওলানা সালাহউদ্দিন। তার হার্টে রিংও পরানো হয়েছিল।

২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি বায়তুল মোকাররমের খতিব হিসেবে মাওলানা সালাহউদ্দিনকে নিয়োগ দেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়। তবে শারীরিক অসুস্থতা ও বার্ধক্যজনিত কারণে কয়েক বছর ধরে তিনি নামাজ পড়াতে পারননি।

এদিকে ১৯৪৪ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের হাজরাদী গ্রামে জন্মগ্রহন করেন মাওলানা সালাহউদ্দিন। ১৯৬৬ সালে স্থানান্তর হয়ে বন্দর ইউনিয়নের কলাবাগ গ্রামে বসবাস শুরু করেন।

১৯৬৪ সালে পূর্বপাকিস্তান মাদ্রাসা বোর্ড হতে কামিল প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান ও ১৯৬৫ সালে একই বোর্ড হতে যথাক্রমে আদব ও আদব কামিল প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন তিনি।

১৯৭৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থানে উত্তীর্ণ হন। তিনি উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্য সৌদি আরবের মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন ও ১৯৮৪ সালে মদিনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবি ডিপ্লোমা প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন।

তিনি এক্সিম ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, আইসিবি ব্যাংক সাউথ ইস্ট ব্যাংক, যমুনা ব্যাংকের শরিয়াহ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি ঢাকা ব্যাংক, সিটি ব্যাংক শরিয়া কাউন্সিলের সদস্য ও ইসলামি ব্যাংক কেন্দ্রীয় শরিয়া বোর্ডের সদস্য ছিলেন।

এছাড়াও সন্ধানী লাইফ ইন্সুরেন্স ইসলামি তাকাফুলের শরিয়া কাউন্সিলের চেয়ারম্যান। ঢাকা সিটি কলেজ ও কাকলী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য ও শ্রীপুর বাগনাহাটি কামিল মাদরাসার পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন।

মাওলানা সালাহউদ্দিনের বৈবাহিক জীবনে ৩ কন্যা ও এক পুত্র সন্তান রয়েছে। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করলেও, তারা বর্তমানে ঢাকার ঝিগাতলায় স্থায়ী হয়েছেন।

মাওলানা সালাউদ্দিন ১৯৯৯ সালের শেষের দিকে মাদ্রাসা-ই-আলিয়া, ঢাকার অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি একই মাদরাসার হেড মাওলানা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি মহাখালী মসজিদে গাউসুল আজমের খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এদিকে জাতীয় মসজিদের খতিবের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বায়তুল মোকাররম মসজিদে জুমার নামাজের পর তার প্রথম জানাজা হবে। এরপর জিগাতলায় দ্বিতীয় জানাজা ও মিরপুরে তৃতীয় জানাজা শেষে দাফন করা হবে। মরহুম সালাহউদ্দিনের অসিয়ত অনুযায়ী মিরপুর এলাকায় তার একজন পীরের পাশে দাফন করা হবে বলে জানান তার শ্যালক হাবিবুর রহমান।

-এম আর




হজরত হাসান বসরি রহ এর পরকাল ভাবনা ও কিছু উপদেশ

মুযযাম্মিল হক উমায়ের

তিনি বলতেন, প্রকৃত বিনয়ী হলো ওই ব্যক্তি যে, ঘর থেকে বের হওয়ার পর যার সাথেই দেখা হয়, তাকেই সে নিজের চেয়ে শ্রেষ্ঠ মনে করে৷

তিনি বলতেন, যে ব্যক্তি গুনাহের কাজ করে তওবা করে নেয়, আল্লাহ তায়ালা তাঁকে নিকটে নিয়ে নেন৷ এভাবে সে যতো তওবা করবে, আল্লাহ তায়ালা তাঁকে নিকটবর্তী করতে থাকেন৷

তিনি বলতেন, মৃত ব্যক্তির উত্তরাধীকারীদের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট হলো সেসব লোক, যারা মৃত ব্যক্তির জন্য কান্না তো ঠিকই করে কিন্তু মৃত ব্যক্তির রেখে যাওয়া ঋণ থেকে মৃত ব্যক্তিকে মুক্ত করে না৷

তিনি বলতেন, একজন মানুষের সাথে শত্রুতা পোষণ করে এক হাজার মানুষের ভালোবাসা ক্রয় করো না৷ শত্রুতা এমন খারাপ জিনিস৷

তিনি বলতেন, লোভ-লালসা আলেমদেরকে ত্রুটিযুক্ত বানিয়ে দেয়৷ সুতরাং এই রোগ থেকে বিশেষকরে আলেমদের পরহেজ করা উচিত৷

তিনি কসম খেয়ে বলতেন, যে ব্যক্তি অর্থ-সম্পদকে সম্মান করেছে, আল্লাহ তায়ালা তাকে অপমান-অপদস্ত করেছেন৷

তিনি বলতেন, দুনিয়া হলো তোমাদের বাহন৷ যদি তোমরা তাকে বাহন হিসাবে ব্যবহার করতে পারো, তাহলে সে তোমাদেরকে উপরে ওঠিয়ে রাখবে৷ আর যদি দুনিয়া তোমাদের উপর চড়ে বসে, তখন সে তোমাদেরকে ধ্বংস করে ছাড়বে৷

তিনি বলতেন, আমি এমন কাউকে দেখিনি যে দুনিয়া সন্ধান করে পরকাল পেয়ে গেছে৷ তবে এমন অনেক মানুষ দেখিছি, যারা পরকাল সন্ধান করে দুনিয়াও পেয়ে গেছেন৷

তিনি বলতেন, যদি আল্লাহ তায়ালার কোন বাধ্যগত বান্দার সাথে তোমাদের শত্রুতা সৃষ্টি হয়ে যায়, তাহলে তাঁর সাথে শত্রুতা করা থেকে বিরত থাকো৷ কারণ, আল্লাহ তায়ালা তাঁকে তোমাদের হাতে সপর্দ করবেন না৷

আর যদি আল্লাহ তায়ালার নাফরমান কোন বান্দার সাথে তোমাদের শত্রুতা সৃষ্টি হয়ে যায়, তবেও তার সাথে শত্রুতা করা থেকে বিরত থাকো৷ কারণ, আল্লাহ তায়ালার নাফরমানি করার কারণে আল্লাহ তায়ালা নিজেই তার থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য যতেষ্ট৷ তোমরা অযথা তার সাথে শত্রুতা করে নিজেদেরকে কষ্টে ফেলো না৷

সূত্র: আকওয়ালে সালফ




সামাজিক-ধর্মীয়-রাজনৈতিক সমাবেশ বন্ধের নির্দেশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধে উন্মুক্ত স্থানে সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সমাবেশ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার বাড়তে থাকায় সব ধরনের জনসমাগম সীমিত করাসহ ১১ দফা নির্দেশনা জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

সোমবার এ নির্দেশনায় বলা হয়, কোভিড আক্রান্তের হার ক্রমবর্ধমান হওয়ায় উন্মুক্ত স্থানে সর্বপ্রকার সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সমাবেশসমূহ পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে , করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) এর নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব ও দেশে এ রোগের সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ১৩ জানুয়ারি ২০২২ তারিখ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সার্বিক কাৰ্যাবলি/চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো।




ফিলিস্তিনি যুবকের হাতে জার্মান তরুণীর ইসলাম গ্রহণ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

সদ্য বিদায়ী বছরের শেষ দিন শুক্রবার ইসলাম গ্রহণ করেছেন জার্মান এক তরুণী। ফিলিস্তিনি এক যুবকের মাধ্যমে বার্লিনের একটি মসজিদে ইসলাম গ্রহণ করেন তিনি।

গতকাল শনিবার আলজাজিরা জানায়, মোহাম্মদ তিমরাজ নামের ফিলিস্তিনি যুবকই তরুণীটিকে ইসলামের দিকে আহ্বান জানায়। ইসলাম সম্পর্কে তার সাথে ব্যাপক আলাপ-আলোচনার পর তরুণীটি মুসলিম ওয়ার আহগ্রহ প্রকাশ করেন।

মোহাম্মদ তিমরাজ ফেসবুকের একটি পোস্টে লিখেন, বছরের সমাপ্তি এর চেয়ে ভালো আর কি হতে পারে? আলহামদুলিল্লাহ! এক আল্লাহর প্রতি অসংখ্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি যিনি আমাকে এক বান্দির ইসলাম গ্রহণের মাধ্যম বানালেন। একইসাথে তাকে এ কাজে যারা সহায়তা করেছেন ফিলিস্তিনি যুবকটি তাদের প্রতিও শুকরিয়া জানিয়েছেন।

তরুণীর ইসলাম গ্রহণের একটি ভিডিও ইউটিউবে প্রকাশ করেছেন মোহাম্মদ তিমরাজ। সেখানে তাকে জার্মান ও আরবি ভাষায় কালিমায়ে শাহাদাত পাঠরত দেখা গেছে।

তরুণীর ইসলাম গ্রহণ উপলক্ষে তাকে ফিলিস্তিনের ঐতিহ্যবাহী পোশাক কেফিয়্যাহ (কালো ডোরাযুক্ত সাদা রুমাল) ও বেশকিছু জিনিসপত্র উপহার দেন মোহাম্মদ তিমরিজ এবং মসজিদে উপস্থিত সবার মধ্যে মিষ্টান্ন বিতরণ করেন। সূত্র: আলজাজিরা




আল কারীম দারুল উলুম মহিলা মাদ্রাসার বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল আগামী ৮ নভেম্বর ২০২১ইং

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোণা জেলার দুর্গাপুরের দক্ষিণ জাগিরপাড়া আল কারীম দারুল উলুম মহিলা মাদ্রাসার ২য় বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল আগামী ৮ নভেম্বর ২০২১ইং সোমবার বিকাল ৩টা হইতে মাদ্রাসা ময়দানে অনুষ্ঠিত হইবে।

উক্ত মাহফিলে আলহাজ্ব মাওঃ হারিছ উদ্দিন ও সহ সভাপতি হাফেজ মোস্তফা সাহেবের যৌথ সভপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বয়ান পেশ করবেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ, উত্তরা ঢাকার অ্যারাবিক মিডিয়াম মাদ্রাসা ‘দারুল আরকাম আল ইসলামিয়া-এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক শায়খ ড. সা্নাউল্লাহ আযহারী, বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনা করবেন বাংলাদেশ কোরআন শিক্ষাবোর্ড নেত্রকোণা জেলা শাখার সভাপতি, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ আলহাজ্ব মাওঃ মামুনুর রশিদ রব্বানী।

এছাড়াও আলোচনা করবেন, আলহাজ্ব মাওঃ মুফতি আব্দুল লতিফ, আলহাজ্ব ডাঃ মাওঃ আলী আকবর, হাফেজ মাওঃ অলিউল্লাহ, মাওঃ ক্বারী মোস্তফা কামাল সাহেব।

বিশেষ মেহমান হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, এস, এম রফিকুল ইসলাম, সভাপতি-দুর্গাপুর প্রেসক্লাব।

আল কারীম দারুল উলুম মহিলা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, এইচ. এম সাইদুল ইসলাম বলেন, নব প্রতিষ্ঠিত এই মাদ্রাসার উন্নয়ন ও ২য় বার্ষিক মাহফিল সফল ভাবে সম্পন্ন করার লক্ষে এলাকাবাসীসহ ধর্মপ্রাণ সকলের নিকট দোয়া ও সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি। উক্ত মাহফিলে সকলের প্রতি দ্বীনি দাওয়াত রইল।

সাধারণ সম্পাদক মাওঃ মতিউর রহমান ডিএনবি নিউজ-কে বলেন, আল কারীম দারুল উলুম মহিলা মাদ্রাসাটি অতি অল্প সময়ে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের লেথাপড়ার চাহিদা পূরণ করে আসছে। অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী ও দক্ষ কমিটির পরিচালনায় হাটি হাটি করে নূরাণী ১ম জামাত হইতে জামাতে মেশকাত (স্নাতক) পর্যন্ত পাঠদান চলছে। আল।রাহর মেহেরবাণীতে সকলের সহযোগিতা পেলে আমরা শিঘ্রই দাওরায়ে হাদীস পর্যন্ত চালূ করতে পারবো ইনশা আল্লাহ।