ভারতে মহানবী (সাঃ) এর কটূক্তিকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি দুর্গাপুরের শিক্ষার্থীদের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ভারতে মহানবী (সাঃ) এর কটূক্তিকারী হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ এবং তাকে সমর্থনকারী বিজেপির বিধায়ক নিতেশ নারায়কে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে সুসং সরকারি মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ বিক্ষোভ মিছিল হয়। বিক্ষোভে অংশ নেয় বিভিন্ন মাদ্রাসা ও স্কুলের শিক্ষার্থীরাও। মিছিলটি কলেজ চত্বর থেকে বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পূনরায় কলেজ চত্বরে এসে শেষ। সেখানে প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্য দেন, শিক্ষার্থী জুবায়ের আব্বাসী হীরা,মোঃ সানি, রাসেল মিয়া, জহিরুল ইসলাম, মোঃ আলিফসহ অনেকেই।

এই সময় বক্তব্যে তারা বলেন,বর্তমান সরকারের কাছে দাবী জানায় দ্রুত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এনে এই জঘন্য কর্মের শক্ত প্রতিবাদ করা। সেই সাথে কটূক্তিকারী হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ এবং তাকে সমর্থনকারী বিজেপির বিধায়ক নিতেশ নারায়কে দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনা হোক। তা নাহলে তারা কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেয় তাঁরা।

 




বিশ্বনবীকে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে দুর্গাপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :
ভারতে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে কটুক্তিকারী পুরোহিতের ফাঁসির দাবিতে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ইসলামি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ দুর্গাপুর উপজেলা শাখার ব্যানারে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
পৌর শহরের কাচারি মসজিদের সামনে থেকে সর্বস্তরের অংশগ্রহনে এক বিক্ষোভ মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ঈদগাহ মাঠের সামনে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দুর্গাপুর উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আব্দুল আজিজ,সাংগঠনিক সম্পাদক মাসউদুর রহমান ফকির, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম,সাধারণ সম্পাদক আলী উসমান, ইসলামী যুব আন্দোলন দুর্গাপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুফতি নুরে আলম, জাতীয় উলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের অর্থ সম্পাদক মুফতি আবু ওয়াক্কাস, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি মোঃ মোশাররফ হোসেন,  কলমাকান্দা ছাত্র আন্দোলন শাখার সাধারণ সম্পাদক আইনুন নাঈম প্রমূখ।
সমাবেশ শেষে দোয়া পরিচালনা করেন বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি দুর্গাপুর উপজেলা শাখার নায়েবে সদর হাফেজ মাওলানা আব্দুল মান্নান।



নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতে জড়িত ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক শফিকুর রহমান সরকার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক শফিকুর রহমান সরকার নেত্রকোনা জেলায় যোগদানের পর থেকেই নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও বিভিন্ন কর্মসুচীর টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাদরাসার শিক্ষক নিয়োগ, উঠান বৈঠক ও বিভিন্ন প্রনোদনার টাকা সহ বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলেও জানিয়েছেন বিভিন্ন মাদরাসায় কর্মরত শিক্ষকগণ। দুর্নীতির আতুর ঘরে পরিণত জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশন অফিসটি যেন দেখার কেউ নাই।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নেত্রকোনা জেলার উপ-পরিচালক শফিকুর রহমান সরকার ২০১৬ সালে নেত্রকোনায় যোগাদানের পর থেকেই অফিসটি দূর্নীতি ও টাকা আত্বসাৎ এর প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে শিক্ষকদের কাছে। তিনি ঢাকার একটি মাদরাসায় পড়াশোনা করা কালীন ছাত্রলীগের সভাপতি ও ক্যাডার ছিলেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তৎকালীন ডিজি শামীম মোঃ আফজাল সাহেবের সময় নামমাত্র নিয়োগ পরীক্ষা এবং যোগ্য প্রার্থীকে বাদ দিয়ে, আওয়ামীলীগের দলীয় প্রভাব খাটিয়ে তিনি নেত্রকোনা জেলার সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন।

যোগদানের পরপরই দলীয় প্রভাবে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে প্রতি বছর শিক্ষক নিয়োগ ও কেন্দ্র প্রদান করে থাকেন। মোহনগঞ্জ উপজেলায় কোরআন শিক্ষা কেন্দ্র, প্রাক-প্রাথমিক কেন্দ্র ও মডেল মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেম নিয়োগে আত্মীয়করণ সহ হাতিয়ে নেন লক্ষ লক্ষ টাকা। নাম প্রকাশে অনি”ছুক একজন কেন্দ্র শিক্ষক বলেন, নেত্রকোনা জেলার উপ-পরিচালক শফিকুর রহমান সরকার স্যার এতো ঘুষ খান আমার জানা ছিল না। ইসলামিক ফাউন্ডেশনে এমন দুর্নীতি, এখন বলতে গেলে নিজেই লজ্জা পাই।

জেলার দশটি উপজেলায় মোট উনিশটি দারুল আরকাম মাদরাসায় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে প্রতিটি মাদরাসায় ৮০,০০০/- আশি হাজার টাকা করে মোট ১৫,২০০০০/- (পনের লক্ষ বিশ হাজার) টাকা বরাদ্দ ছিল। নামমাত্র কিছু টাকা প্রদান করে বাকী সম্পূর্ণ টাকা ডি.ডি ও প্রধান শিক্ষকগণ মিলে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা পর্যায়ে ক্রয় কমিটি থাকা সত্বেও কমিটির সভাপতিকে বাদ দিয়ে মাদরাসার প্রধান শিক্ষক এবং ডি.ডি শফিকুর রহমান সরকারের যোগসাজসে ওই টাকা আত্মসাত করেন। এছাড়া প্রমোশন এবং বিশেষ প্রনোদনা পাইয়ে দেয়ার কথা বলে বিভিন্ন শিক্ষকদের কাছ থেকে ঘরের এসি, মাছ, বিভিন্ন উপকরন সহ নগদ টাকা উৎকোচ হিসেবে গ্রহন করতেন। উনার ক্ষমতার দাপটে কোন শিক্ষক মূখ খুলে কথা বলার সাহস পেতেন না।

মোহনগঞ্জ, দুর্গাপুর ও কেন্দুয়া উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রের বেশ কয়েকজন শিক্ষক বলেন, ইউনিসেফ এর উঠান বৈঠক, মডেল মসজিদের অতিরিক্ত বরাদ্দের টাকা, উপজেলা পর্যায়ে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ কর্মসুচীর টাকা, শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার দক্ষতাবৃদ্ধি বিষয়ক প্রশিক্ষণের টাকা প্রায় সব সময়ই আত্মসাৎ করে থাকেন এই ডি.ডি শফিকুর রহমান সরকার। এ ব্যপারে কেন্দ্রের কোন শিক্ষক বা জেলা অফিসের কেউ কোনো কথা বললে তাকে বদলীর ভয়ভীতি দেখিয়েই ক্ষান্ত হতেন না প্রয়োজনে আওয়ালীগের নেতাদের দিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করাতেন। ইতোপূর্বে এইসব ক‚কর্মের কারণে অন্যত্র বদলী আদেশ হলেও আওয়ামীগের নেতাদের মাধ্যমে তা বাতিল করে বহাল তবিয়তে থেকে যান এবং বলেন আমাকে এখানে থেকে কেউ বদলী করতে পারবে না।

নেত্রকোনা জেলায় উপ-পরিচালক পদে চাকুরি করা কালীন এতো অল্প সময়ের মধ্যে ময়মনসিংহের অভিজাত এলাকায় কোটি টাকার বাড়ী ক্রয়, নেত্রকোনার বিভিন্ন এলাকায় জায়গা কিনে বাসা নির্মান করেছেন। এই টাকার উৎস কোথায় নেত্রকোনাবাসী তা জানতে চায়। দেশ আজ নতুন করে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ার স্বপ্ন দেখছে। এতো দুর্নীতি করেও বীরদর্পে হাটছেন শফিকুর রহমান সরকার। তার এসব কু-কর্মের ব্যাপারে সঠিক তদন্তপূর্বক বিচারের মাধ্যমে কঠিন শাস্তি ও অপসারণের জোরদাবি জানাচ্ছে জেলার আপামর জনগণ এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজ।




ত্রাণের কার্টন বিক্রি করেই আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পেল ২ লাখ টাকা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

আলেমদের মাধ্যমে পরিচালিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আস-সুন্নাহর ত্রাণ তহবিলে বিশাল অঙ্ক যুক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। এই বিশাল অঙ্ক বন্যা কবলিত অঞ্চলে ত্রাণ প্যাকিজিংয়ের পর বেঁচে যাওয়া কার্টন বিক্রি করে জমা হয়েছে। যার পরিমাণ ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪২০ টাকা। কার্টন বিক্রি করে পাওয়া এই বিশাল অঙ্ক আস-সুন্নাহর ত্রাণ তহবিলে জমা করা হয়েছে।

শায়খ আহমাদুল্লাহ জানিয়েছেন, বন্যা কবলিত অঞ্চলে ত্রাণ প্যাকিজিংয়ের পর বেঁচে যাওয়া কার্টন বিক্রি করে ৩৪ হাজার ৪২০ টাকা পেয়েছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন।

তার ফেসবুক পোস্টে কার্টন বিক্রির ছবি আপলোড করে বলা হয়েছে, এগুলো ক্রয়কৃত ত্রাণসামগ্রীর বিভিন্ন কার্টন। ত্রাণ প্যাকেজিংয়ের পর বেঁচে যাওয়া এই কর্টনগুলো আমরা ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪২০ টাকায় বিক্রি করে ত্রাণ তহবিলে জমা করেছি।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে শায়খ আহমাদুল্লাহ পরিচালিত আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। এবারের বন্যা কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আস্থাও অর্জন করেছে সংগঠনটি। দেশ-বিদেশ থেকে অনেকেই অনুদান পাঠিয়েছেন এখানে।

মানুষের অনুদানের টাকা আমানতের সঙ্গে বন্যা কবলিতদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। নিজের একাধিক ফেসবুক পোস্টে আয়-ব্যয়ের হিসাব দিয়েছেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ।

এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন, এবারের বন্যায় মাত্র ১২ দিনে ১৫ লক্ষাধিক মানুষ মোবাইল ব্যাংকিং এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনুদান দিয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় একক অনুদানের পরিমাণ ২০ লাখ ৫৬ হাজার টাকা।

বন্যা দুর্গতদের জন্য ত্রাণ ও পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে খাদ্যসামগ্রীসহ বিভিন্ন ত্রাণসামগ্রী বিতরণ সম্পন্ন করেছে আস-সুন্নাহ। দ্বিতীয় ধাপে ২ লাখ ২০ হাজার পরিবারের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের শুরু করেছে সংগঠনটি। ইতোমধ্যে প্রায় ১ লাখ পরিবারের মাঝে ২৫ কেজি করে চাল বিতরণ করেছে।




দুর্গাপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গণ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত

 

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে উপজেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আয়োজনে ‘‘মুক্তির মুলমন্ত্র, ইসলামী শাসনতন্ত্র’’ এই প্রতিপাদ্যে এক গণ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে দুর্গাপুর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার চত্ত্বরে এ গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এ উপলক্ষে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দুর্গাপুর উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মোঃ আজিজুল হক এর সভাপতিত্বে মাওলানা মামুনুর রশীদ এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নেত্রকোনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাও: মুফতি অলিউল্লাহ। প্রধান মেহমান হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা বিভাগের উপদেস্টা মাওঃ মামুনুর রশিদ রব্বানী, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা কমিটির নেতা ক্বারী নুরুল ইসলাম, মুফতি মতিউর রহমান, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মো. জামাল তালুকদার, ইসলামী আন্দোলন দুর্গাপুর উপজেলা শাখার নেতা হাফেজ আব্দুল কাদির, মাওলানা ডাঃ আলী আকবর, ইউনিয়ন শাখার নেতা মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মুফতি আবু ওয়াক্কাছ, হাফেজ মোস্তফা কামাল, মাওঃ রফিকুল ইসলাম, মাও: মতিউর রহমান, মাও: আব্দুল হাদী, মুফতি তাজুল ইসলাম, সাংবাদিক মাসুদুর রহমান ফকির, ছাত্র আন্দোলন শাখার নেতা মোজাম্মেল হক, আব্দুল হান্নান, যুব আন্দোলন শাখার নেতা মাওঃ উসমান গনি, মুফতি নুরে আলম, মুফতি জামাল উদ্দিন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, গত পাঁচই আগস্ট স্বৈরাচারী সরকারের পতনের মাধ্যমে এক নতুন বাংলাদেশের সুচনা হয়েছ। আমরা আর কোন স্বৈরশাসকের আবির্ভাব দেখতে চাইনা। আগামীর বাংলাদেশে যেন একটি ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করা যায়, সে কারণে নেতাকর্মীদের একসঙ্গে কাজ করার আহবান জানান। আসুন আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখে ইসলামী ধারায় জীবন গড়ার চেষ্টা করি।




হজের খরচ কমানোর প্রস্তাব উপদেষ্টা পরিষদের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

আসন্ন হজের খরচ কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। সে জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যৌক্তিক পর্যায়ে একটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করবে তারা। গত বছরের চেয়ে আসন্ন হজ প্যাকেজের মূল্য কমানো সম্ভব বলে মনে করে সরকার।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

সভা শেষে এ তথ্য জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

উপদেষ্টা বলেন, আমাদের হজ একটা বড় ব্যাপার মুসলমানদের জন্য। কিন্তু হজের মতো পবিত্র কাজেও একটি সিন্ডিকেট দেখতে পাই। তারা কারসাজি করে হজের প্যাকেজ মূল্য বাড়িয়ে তোলে। হজের যে খরচ, সেটি যৌক্তিক পর্যায়ে কমিয়ে আনা যায়, সে জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কাজ শুরু করেছে। কত হতে পারে, কত কমানো যেতে পারে সেই আলোচনা হয়। বর্তমান প্যাকেজ যে অনেক বেশি, সেটি কমিয়ে আনা সম্ভব, সে বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে।

গত বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় দু’টি প্যাকেজ ঘোষণা করে তৎকালীন সরকার। সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়ার সর্বনিম্ন প্যাকেজ ছিল পাঁচ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। আর বেসরকারিভাবে সর্বনিম্ন প্যাকেজ ছিল প্রায় পাঁচ লাখ ৯০ হাজার টাকা।

এ বছর এখনও হজের প্যাকেজ ঘোষণা হয় করা হয়নি। এখন প্রাক নিবন্ধন চলছে। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে চূড়ান্ত নিবন্ধন শুরু হয়ে চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রাথমিক নিবন্ধনের সময়ের পর আর সময় বাড়ানো হবে না।

গত ২৬ আগস্ট ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এ বছর এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন বাংলাদেশি পবিত্র হজ পালন করতে পারবেন। সৌদি সরকার আরও আগেই বাংলাদেশের জন্য এই কোটা ঘোষণা করেছে।




সকল ধর্মের মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের লক্ষ্যে হেফাজতের মতবিনিময় সভা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির ও বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষক পরিষদের সভাপতি দেওনার পীর অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী হেফাজতে ইসলাম কাপাসিয়া উপজেলা শাখার উদ্যোগে স্থানীয় বিভিন্ন মন্দির ও পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন।

সম্প্রতি কাপাসিয়া উপজেলা হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে বিভিন্ন মন্দির ও পূজামণ্ডপে সমকালীন প্রেক্ষাপটে শান্তি-শৃঙ্খলা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যে ‘মতবিনিময় সভা’ করেন।

আলোচনায় দেওনার পীর সাহেব সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের সার্বিক নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ সহবস্থানের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। পাশাপাশি দরিদ্র, অনগ্রসর হিন্দুদের সন্তানের শিক্ষার ওপর বিশেষ জোর দেন। এ ক্ষেত্রে সংখ্যালঘু দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। মতবিনিময় শেষে তিন ইউনিয়নে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিধবা, অসুস্থ, অসহায় ও প্রতিবন্ধীদের মধ্যে নগদ আর্থিক সাহায্য করেন।

পীর সাহেব দেওনা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে যারা নিহত হয়েছেন সকলের রুহের মাগফেরাত কামনায় এবং  অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেন বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারেন সেজন্য মহান রব্বুল আলামিনের দরবারে বিশেষ দোয়া করেন।

নিহতদের পরিবারদের ক্ষতিপূরণ ও আহতদের জন্য সুচিকিৎসার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।

কাপাসিয়া সদর ইউনিয়ন কালীমন্দির পরিদর্শন শেষে অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, আমরা হিন্দু-মুসলমান শতাব্দীর পর শতাব্দী শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করে আসছি, পরস্পরের সুখে-দুঃখে আমরা একে অন্যের পাশে থাকি সব সময়। জাতির ক্রান্তিলগ্নে কতিপয় রাজনৈতিক সুযোগ সন্ধানী স্বার্থান্বেষী মহল এই সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বিনষ্ট করতে চায়। এ বিষয়ে সকল ধর্মাবলম্বীদের সজাগ থাকতে হবে। পতিত সরকারের কুচক্রী মহল বিভিন্ন মন্দির এবং সংখ্যালঘুদের উপাসনালয় ও বাড়িঘরে হামলা-অগ্নিসংযোগ করে তা ভিডিও করে দেশে-বিদেশে প্রচার করে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে বলে প্রপাগান্ডার মাধ্যমে দেশ ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে। এর মাধ্যমে তারা প্রমাণ করতে চায় যে, এ দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে।

পীর সাহেব দেশ বিরোধী এ ধরনের ষড়যন্ত্রে প্রভাবিত না হয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার সাথে এহেন ঘৃণ্য চক্রান্ত প্রতিহত করার আহ্বান জানান। তিনি আরও আশ্বস্ত করেন, তাদের নৈতিক প্রয়োজনে কাপাসিয়ার উলামায়ে কেরাম পাশে থাকবেন।

অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে কাপাসিয়া উপজেলা হেফাজতে ইসলামের নেতৃবৃন্দ ও ওলামায়ে কেরাম কাপাসিয়া সদর কালীমন্দির, তরগাঁও বাঘিয়া শ্রী শ্রী লক্ষ্মী মন্দির, চিনাডুলী জালোপাড়া, তরগাঁও ঋষিপাড়া, চর খামের, চাঁদপুর তমাতলা মন্দির পরিদর্শন ও হিন্দুদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ এমন উদ্যোগের ফলে অভিভূত। তারা আশ্বস্ত হয়ে বলেন, এমন উদ্যোগ সারাদেশে নেওয়া হলে কোথাও সংখ্যালঘুরা নিজেদের অনিরাপদ মনে করবে না। তারা এমন মহতী উদ্যোগের জন্য অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরীসহ হেফাজত নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কাপাসিয়া কওমী পরিষদের সভাপতি মুফতি আজমল খান কাসেমী, কাপাসিয়া ইমাম পরিষদের সভাপতি মাওলানা জালাল উদ্দীন, উপজেলা তানযিমুল মাদারিসিল কওমিয়ার মহাসচিব মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মুফতি জাকির হুসাইন, সাবেক সদর ইউপি চেয়ারম্যান আজগর হোসেন খান, সাংবাদিক কামাল ফকির ও সাইফুল ইসলাম শাহিন, হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বক্তব্য দেন কাপাসিয়া কালীমন্দিরের সহসভাপতি চিত্তরঞ্জন সাহা, পঙ্কজ ঘোষ, মাস্টার চন্দন চক্রবর্তী, বাবু অজিত ঘোষ, রিপন চক্রবর্তী, অন্যান্য মন্দিরের পুরোহিতবৃন্দ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা ক্বারী মুহাম্মদ আনোয়ার হুসাইন, মাওলানা মজিবুর রহমান, মাওলানা নাজমুল হুসাইন, মাওলানা লুতফুর রহমান, মাওলানা সুহাইল, মাওলানা আহসান উল্লাহ, মাওলানা আতাউল্লাহ, মাওলানা আতাউল্লাহ খামেরী, মাওলানা ইলিয়াস, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাওলানা আব্দুস সালাম, মাওলানা আক্তারুজ্জামান, মাওলানা জোবায়ের, হাফেজ হেদায়াতুল্লাহ, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল গাফফার, মুফতি আব্দুল জলিল, হাফেজ উসমান গনি, মাওলানা হাবিবুর রহমান, মাওলানা মজিবুর রহমান, মাওলানা শাকের প্রমুখ।




সারাদেশে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা

গত সোমবার সরকার পতনের পর থেকেই ঢাকা শহরের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কোনো পুলিশকে দেখা যায়নি। তিন দিন ধরে শহরে ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় এক প্রকার বিশৃঙ্খল অবস্থায় যান চলাচল করছে। এতে করে মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সকাল থেকে রাজধানীতে যানজটে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠছিল।

এ ছাড়াও মঙ্গলবার সকাল থেকেই পুলিশের কর্মবিরতি চলায় এটি আরো তীব্র আকার ধারণ করে।

এ অবস্থায় সকাল থেকে সন্ধ্যার পর পর্যন্ত শহরে যানবাহন চলাচল শৃঙ্খলা ফিরাতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছেন চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা।

রাজধানীতে ট্রাফিকের অনুপস্থিতিতে সড়কে গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে সৃঙ্খলা বজায় রাখতে চরমোনাই পীরের নির্দেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহস্রাধিক সেচ্ছাসেবী ও তাদের একাধিক অঙ্গ সংগঠন আজ ৭ আগষ্ট, বুধবার, রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্ট এ ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছেন।

এছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা, মহানগর ও পৌরসভা এলাকায় পুলিশের থানা, ক্যাম্প, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, মন্দির, গির্জা ও প্যাগডায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেচ্ছাসেবী হিসেবে গতকাল থেকে কাজ শুরু করেছে তারা।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ দেশবাসীকে বর্তমান সংকটময় মুহূর্তে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন।

একই সঙ্গে তাদের দলের নেতাকর্মীরা দিন -রাত ২৪ ঘণ্টা সংখ্যালঘু ও হিন্দু সম্প্রদায়ের উপাসনালয় পাহারা দিচ্ছেন।




ছারছীনার পীর শাহ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ এর ইন্তেকালে চরমোনাই পীরের শোক

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

আধ্যাত্মিক রাহবার বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লার আমির মাওলানা শাহ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ পীর সাহেব ছারছীনার ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করে মরহুমের মাগফিরাত কামনা করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই।

পীর সাহেব ছারছীনার ইন্তেকালে পৃথক পৃথক শোক বার্তায় দলের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই, মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, জাতীয় তাফসীর পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম শোক প্রকাশ করে মরহুমের মাগফিরাত কামনা করেন।

আজ বুধবার (১৭ জুলাই) এক শোকবার্তায় পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ‘মরহুম পীর সাহেব ছারছীনা বাংলাদেশ জমিয়াতুল মুদাররেসিনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও মসজিদে গাউসুল আজম কমপ্লেক্সের মুতাওয়াল্লি ছিলেন। তিনি লক্ষ লক্ষ পথভোলা মানুষকে আলোর পথের সন্ধান দিয়ে গেছেন। সারাদেশে শত শত মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করে নায়েবে নবী তৈরির কারাখানা গড়ে গেছেন। মহান রব্বুল আলামিন হযরত পীর সাহেব ছারছীনার সকল নেক কাজকে কবুল করুন। মরহুমের সকল ত্রুটি-বিচ্যুতি ক্ষমা করে দিয়ে জান্নাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করুন। সেই সাথে পরিবার-পরিজন, আত্মীয় স্বজন, ভক্ত-অনুরক্ত, মুরিদ, খোলাফা ও ছাত্র-শিক্ষকসহ সকল স্তরের মুহ্বিবীনদেরকে সবরে জামিল এখতিয়ার করার তাওফিক দিন, আমিন।

উল্লেখ্য, পীর সাহেব ছারছীনা বুধবার (১৭ জুলাই) রাত ২:১১ মিনিটে রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। ইন্না-লিল্লাহী ওয়াইন্না ইলাইহী রাজিউন।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টায় ছারছীনা দরবার শরীফে তার জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। ইন্তেকালের সময় মরহুমের বয়স হয়েছিল ৭০ এর কাছাকাছি। এসময় তিনি স্ত্রী, দুইপুত্র, তিন কন্যা ও অনেক নাতি নাতনি রেখে যান।

তিনি ফুরফুরার মুজাদ্দেদে জামান আল্লামা আবু বকর সিদ্দিকী আল কুরাইশী রাহিমাহুল্লাহর পৌত্র ফুরফুরার মরহুম পীর  আবুল আনসার মুহাম্মাদ আব্দুল কাহহার সিদ্দিকী আল- কুরাইশী রাহিমাহুল্লাহর বড় জামাতা ছিলেন।

দেশে ছারছীনা দারুস সুন্নাহ কামিল মাদরাসা, দারুন্নাজাত কামিল মাদরাসাসহ বহু মাদরাসা, মক্তব, খানকাহ, মাসজিদ ও দ্বীনি ইদারা তিনি প্রতিষ্ঠিত করেছেন।




পবিত্র হজ পালন শেষে দেশে ফিরেছে ৬১ হাজার ৭৫ জন হাজি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

পবিত্র হজ পালন শেষে এ পর্যন্ত দেশে ফিরেছেন ৬১ হাজার ৭৫ জন হাজি। এবার হজ পালন করতে সৌদি আরবে গিয়ে ৬৩ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫০ জন পুরুষ এবং ১৩ জন নারী।

আজ বুধবার হজ পোর্টালের সবশেষ বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়।

বুলেটিনে বলা হয়, হজ পালন শেষে মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত ১৬০টি ফিরতি ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন ৬১ হাজার ৭৫ জন হাজি। এর মধ্যে সৌদি এয়ারলাইন্স পরিচালিত ৫৭টি ফ্লাইটে ২১ হাজার ৩৮৭ জন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিচালিত ৭৫টি ফ্লাইটে ২৬ হাজার ৪৭৭ জন, এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের ২৮টি ফ্লাইটে ১০ হাজার ৩৪৭ জন দেশে ফিরেছেন। তাছাড়া অন্যান্য এয়ারলাইন্স পরিচালিত ফ্লাইটে ২ হাজার ৮৬৪ জন হজযাত্রী পরিবহন করেছে।

গত ২০ জুন থেকে দেশে ফেরার ফ্লাইট শুরু হয়। ওই দিন ৪১৭ হজযাত্রী নিয়ে বাংলাদেশ বিমানের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আগামী এ ফ্লাইট অব্যাহত থাকবে আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত।