স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠার দাবিতে দেশজুড়ে সংহতি সমাবেশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে ও এর পক্ষে থাকায় নিপীড়নের শিকার যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে দেশজুড়ে সর্ববৃহৎ সংহতি সমাবেশ পালিত হয়েছে।

ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের আহ্বানে সারা দিয়ে সোমবার (৬ মে) বেলা ১১টা থেকে দেশজুড়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ সংহতি সমাবেশ করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহাসিক মধুর ক্যান্টিন থেকে এ সংহতি সমাবেশের শুরু হয়। এ সময় ফিলিস্তিনি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর পদযাত্রা শুরু করেন শিক্ষার্থীরা; যা সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

এ ছাড়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় , ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ও ছাত্রলীগের সংহতি সমাবেশ হয়েছে।

এ সমাবেশের ছাত্রলীগের পাশাপাশি যোগ দেন সাধারণ শিক্ষার্থীরাও। সমাবেশে শিক্ষার্থীরা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবি জানান। সেইসঙ্গে ইসরায়েলের গণহত্যার নিন্দা জানানো হয়। শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের ওপর দেশটির পুলিশ দ্বারা চলমান দমন ও নিপীড়নের তীব্র নিন্দা জানান। অতি দ্রুত শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে এ ধরণের হামলা বন্ধের আহ্বান জানান তারা।

এর আগে রোববার (৫ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে স্বাধীন ফিলিস্তিন ইস্যুতে দেশজুড়ে সংহতি সমাবেশ ডাক দেয় আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।

গত অক্টোবরে ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হামলায় নিরস্ত্র মানুষদের হত্যা ও বেসামরিক বহু মানুষকে জিম্মি করার কথা বলে গাজায় সামরিক অভিযান চলছে। এই অভিযানে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও প্রাণহানির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে বিক্ষোভে নামেন।

যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন শিক্ষকরাও। নজিরবিহীন এ আন্দোলন ঠেকাতে মারমুখী দেশটির পুলিশ প্রশাসনও। বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের নির্যাতন, ধরপাকড়ের পাশাপাশি করা হচ্ছে বহিষ্কারও। এত কিছুর পরও দমানো যাচ্ছে না আন্দোলনকারীদের। ধীরে ধীরে আরও তীব্র হচ্ছে আন্দোলন। এমন প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে ক্রমশ।

সাম্প্রতিক ইতিহাসে এত বড় ছাত্র আন্দোলন দেখেনি যুক্তরাষ্ট্র। ক্যালিফোর্নিয়া থেকে বোস্টন, নিউইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটন; হার্ভার্ড থেকে জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি, ওহাইও থেকে নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি একের পর বিশ্ববিদ্যালয় শামিল হচ্ছে গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবিতে।

পাশাপাশি ইসরায়েল ও গাজা যুদ্ধকে সমর্থন করে, এমন কোম্পানির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবিও তোলা হচ্ছে। এ ধরনের বিক্ষোভ প্রথম শুরু হয়েছিল কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে। এরপর অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও সফল হয়নি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুলিশ নির্মম দমন ও পীড়নের চেষ্টা চালায়।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবাদের অধিকার হরণ, বাকস্বাধীনতায় সীমাবদ্ধতা এবং ইহুদিবিদ্বেষের অভিযোগ তুলে গেল ১৮ এপ্রিল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলো থেকে দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ এবং মুখোশধারীদের হামলার কারণে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রের শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে।

যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের ওপর দমনপীড়ন এবং ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইউরোপ, এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

গাজায় ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের আঁচ পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়েও। দেশটির মন্ট্রিলের ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তাঁবু টাঙিয়ে বিক্ষোভ করছেন ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীরা।

অস্ট্রেলিয়ায় শত শত মানুষ সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভে অংশ নেন। সেখানে বিক্ষোভকারীরা তাঁবু স্থাপন করে অবস্থান নেন। তাদের হাতে বড় বড় শব্দে লেখা ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ প্ল্যাকার্ড। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্তত সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁবু টাঙিয়ে অবস্থান নিয়েছেন যুদ্ধবিরোধী ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীরা। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে শত শত শিক্ষার্থীরা গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। এরমধ্যে ব্রিসবেনে কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় (ইউকিউ) বিক্ষোভের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এই ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থিদের ১০০ মিটার দূরত্বে ইসরায়েল সমর্থক বিক্ষোভকারীরাও অবস্থান নিয়েছেন। সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়েও প্রায় ৫০টি তাঁবু টাঙিয়ে অবস্থান নিয়েছেন যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভকারীরা। সেখানে ১০০ জনের মতো বিক্ষোভকারী রাতেও অবস্থান করছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়া ছাত্র বিক্ষোভের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ হয়েছে ভারতেও। দেশটির খ্যাতনামা নয়াদিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়েও (জেএনইউ) কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভকারীরা গাজায় হামলা ও হত্যাযজ্ঞ থামানোর দাবিতে জড়ো হন। ২৯ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিদর্শনে যাওয়ার কথা ছিল ভারতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটির। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কারণে তার ওই কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।

এক বিবৃতিতে জেএনইউ স্টুডেন্ট ইউনিয়ন বলেছে, ইসরায়েলের সন্ত্রাস ও গণহত্যার সঙ্গে যুক্ত প্রশাসন ও দেশের প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিকে জেএনইউর আঙিনা ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। বিক্ষোভ থামাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে এক হাজার ২০০ জন নিহত হয়। এরপর থেকে গাজায় বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রায় সাত মাস ধরে চলা এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।




গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে পশ্চিমারা স্পষ্ট ভণ্ডামি করছে : মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের মুখে পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলো স্পষ্ট ভণ্ডামি করছে বলে অভিযোগ করেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। সউদী আরবের সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের ‘ফ্র্যাংকলি স্পিকিং’ অনুষ্ঠানে কথা বলতে গিয়ে আনোয়ার ইব্রাহিম এই অভিযোগ করেন।

গত সপ্তাহে সউদী আরবে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বৈঠকের ফাঁকে আনোয়ার ইব্রাহিম আরব নিউজের কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সের উপস্থাপিকা ক্যাটি জ্যানসেনের সঙ্গে আলাপকালে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনকে বর্বর বলে আখ্যা দেন এবং নির্বিচারে শিশু ও নারী হত্যার নিন্দা করেন।

গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে উল্লেখ করে আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, গাজায় চলমান গণহত্যা বর্বরতাকে আরও উসকে দেবে। তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের (ইসরায়েলকে) গণহত্যা বন্ধ করার পরামর্শ দিয়ে বিবৃতি জারি করেছি।’

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমের কিছু দেশগুলোর এই বিষয়ে স্পষ্ট ভণ্ডামির আশ্রয় নিয়েছে। তাঁরা শিশু, নারী ও বেসামরিক লোকদের ওপর চালানো হত্যাকাণ্ডকে ক্রমাগত অস্বীকার করে যাচ্ছে।’

আনোয়ার ইব্রাহিম আরও বলেন, ‘আপনার রাজনৈতিক অবস্থান যাই হোক না কেন, আমি বিশ্বাস করি না যে—এই সময়ের মধ্যে আমরা আমাদের ভাই-বোনদের ওপর এ ধরনের অমানবিক, বর্বর কাজগুলোকে প্রশ্রয় দিতে পারি। এই বিষয়ে আমাদের অবস্থান খুবই পরিষ্কার।’

এ সময় তিনি গাজা ইস্যুতে আরব বিশ্ব, তুরস্ক ও ইরানের প্রশংসা করে বলেন, ‘আমি আরব দেশগুলো, তুরস্ক, ইরান এবং সেই সব দেশগুলোর ভূমিকার প্রশংসা করি যারা তাদের ভূমিকা পালন করার চেষ্টা করছে এবং আমি মনে করি আমরা মালয়েশিয়া এবং এই অঞ্চলের বাইরের অন্যান্য অনেক দেশেও চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছি।’

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা এটি (গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন) দীর্ঘায়িত করতে চাই না। কারণ, এটি কেবল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যর্থতার অনুপস্থিতিতে ধর্মান্ধ চরমপন্থি বা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর কর্মকাণ্ডকেই উৎসাহিত করবে।’




রেকর্ড সংখ্যক হাজিদের বরণে প্রস্তুতি নিচ্ছে সৌদি আরব

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

এ বছর জুনের মাঝামাঝি সময়ে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। ফলে মে মাসের শেষ সময় থেকেই পবিত্র নগরী মক্কায় ভিড় জমানো শুরু করবেন হজ যাত্রীরা।

আর এ বছর মক্কায় রেকর্ড সংখ্যক ২০ লাখ হাজির সমাগম হতে পারে— এমন ধারণা নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছে সৌদি আরব।

সুন্দর ও আরামদায়কভাবে যেন হাজিরা হজ সম্পন্ন করতে পারেন সে বিষয়টি মাথায় রেখে সৌদির সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যৌথভাবে কাজ করছে।

হজ সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলো ধারণা করছে, এবারের রমজান মাসে রেকর্ড সংখ্যক ৩ কোটি মানুষ ওমরাহ পালন করার পর— হজেও মুসল্লিদের ঢল নামবে।

সদ্যই বিদায় নেওয়া পবিত্র রমজান মাসে মদিনার মসজিদে নববীতে ৩ কোটি ৩০ লাখ মানুষ নামাজ আদায় করেছিলেন। রমজানে প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আব্দুলআজিজ বিমানবন্দর দিয়ে ৯০ লাখ মানুষ মদিনায় আসেন। হজের আগে ও পরে অনেক মানুষ মদিনায় যান।

এদিকে গত বছর হজ পালন করেছিলেন ১৮ লাখের বেশি মানুষ। করোনা মহামারির কারণে এর আগের তিন বছর নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষকে হজ করার সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু গত বছর সব বিধিনিষেধ তুলে দেওয়া হয়। এতে করে মক্কায় ১৮ লাখের বেশি মানুষ হজ করতে আসেন। যদিও সৌদির কর্মকর্তারা ২৫ লাখ মুসল্লির সমাগম হবে এমন ধারণা করেছিলেন।

তাদের প্রত্যাশা এবার গতবারের তুলনায় আরও বেশি মানুষ হজ করতে আসবেন। আর তাই হজের প্রস্তুতি অনেক আগে থেকেই নেওয়া শুরু হয়েছে।

সূত্র: গালফ নিউজ




খাগড়াছ‌ড়িতে বজ্রপা‌তে মাদরাসার ছাত্র নিহত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

খাগড়াছ‌ড়ির মা‌টিরাঙ্গা ফজলুল ক‌রিম নূরানী মাদ্রাসার ৩য় শ্রেণীর ছাত্র আরফাত হো‌সেন (১০) না‌মে এক শিশু খেলা করার সময় বজ্রপা‌তে মৃত্যু হ‌য়ে‌ছে।

বৃহস্প‌তিবার (২‌ মে) সকা‌লে উপ‌জেলার বর্ণাল ইউ‌পির ৯নং ওয়ার্ড ইব্রাহীমপুর এলাকা  এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, আরাফাত স্থানীয় ইউসুপ মিয়ার ছে‌লে ও ফজলুল ক‌রিম নূরানী মাদ্রাসার ৩য় শ্রেণীর ছাত্র।

স্থানীয় ইউ‌পি সদস্য মো. আবু বক্কর বিষয়‌টি নি‌শ্চিত ক‌রে জানান, সকা‌লে বাতা‌সের মধ্যে বা‌ড়ির আঙ্গিনায় ৩/৪জন শিশুসহ খেলা করার সময় বজ্রপা‌তে আরাফা‌তের মৃত্যু হয়।




গোলান মালভূমিতে ইসরাইলের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুর ওপর ইরাকি যোদ্ধাদের হামলা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইহুদিবাদী ইসরাইল অধিকৃত গোলান মালভূমির গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে ইরাকি যোদ্ধারা। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার নিরপরাধ ফিলিস্তিনি নাগরিকদের ওপর ইসরাইলের আগ্রাসন, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রতিবাদে ইরাকি যোদ্ধারা এই হামলা চালিয়েছে।

গতকাল (বুধবার) টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেয়া এক বিবৃতিতে এই হামলার কথা ঘোষণা করেছে ইরাকের সন্ত্রাসবিরোধী সংগঠনগুলোর জোট পপুলার মবিলাইজেশন ইউনিট বা পিএমইউ। ইরাকি যোদ্ধারা ড্রোন দিয়ে ইসরাইলি অবস্থানে এই হামলা চালায়। গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এ ধরনের হামলা অব্যাহত থাকবে বলে তারা ঘোষণা করেছে।
এর আগে গত ২০ এপ্রিল ইরাকি যোদ্ধারা অধিকৃত গোলান মালভূমির গুরুত্বপূর্ণ ইসরাইলি অবস্থানে হামলা চালিয়েছিল।
ইরাকি প্রতিরোধ যোদ্ধারা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিগুলোতেও হামলা চালিয়ে আসছে।
গত ৭ অক্টোবর ইহুদিবাদী ইসরাইল গাজা উপত্যকার ওপর যে বর্বর আগ্রাসন শুরু করেছে তার প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন দিচ্ছে আমেরিকা। এর প্রতিবাদ জানিয়ে ইরাকের ইসলামী প্রতিরোধকামী যোদ্ধারা মার্কিন অবস্থানে হামলা চালাচ্ছে।#

পার্সটুডে




হজযাত্রীদের এ বছর ‘নুসুক কার্ড’ প্রদর্শন করতে হবে

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

বৈধ ও অবৈধ হজযাত্রীদের চিহ্নিত করতে এবার অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি আরব। দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৈধ হজযাত্রীদের চিহ্নিত করতে এবারের হজ মৌসুমে প্রত্যেককে আলাদা করে ‍‘নুসুক’ নামে বিশেষ কার্ড দেওয়া হবে। মূলত, অবৈধভাবে হজপালন নিরুৎসাহিত করতেই দেশটির এই উদ্যোগ।

গালফ নিউজের খবরে বলা হয়েছে, বিদেশি হজযাত্রীদের প্রথম দলটি সৌদি আরবে পৌঁছাবে দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে। ঠিক তার আগেই অবৈধ বিদেশি হজযাত্রীদের রুখতে নতুন উদ্যোগ নিল দেশটি। চলতি সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ায় ‘নুসুক কার্ড’ প্রকল্প উদ্বোধন করেন সৌদি আরবের হজবিষয়ক মন্ত্রী তৌফিক আল-রাবিয়াহ।

বিভিন্ন দেশে হজযাত্রীদের জন্য ভিসা ইস্যু করার পর এই কার্ডটি সংশ্লিষ্ট হজ অফিস বিদেশি হজযাত্রীদের কাছে হস্তান্তর করবেন। আর সৌদির স্থানীয় হজযাত্রীরা হজ পারমিট ইস্যু হওয়ার পর দেশটির সংশ্লিষ্ট সরকারি কার্যালয় থেকে এই কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।

হজ মন্ত্রণালয় ‘নুসুক কার্ড’কে একটি সরকারি মুদ্রিত কার্ড হিসাবে বর্ণনা করেছে, যা বৈধ হজযাত্রীদেরকে অন্যান্যদের থেকে আলাদা করবে। সৌদি অ্যাপ ‘নুসুক’ ও ‘তাওয়াক্কলানা’র মাধ্যমে কার্ডটির ডিজিটাল ভার্সন ব্যবহার করা যাবে।

হজ মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, হজযাত্রীদের অবশ্যই নুসুক প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে হজ পারমিট নিতে হবে। কারণ সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ইসলামী কর্তৃপক্ষ সিনিয়র স্কলার কাউন্সিলের মতে, সরকারি অনুমতি ছাড়া হজ করা পাপ বলে বিবেচিত হয়।

বিদেশি হজযাত্রীদের জন্য এ বছর নতুন কৌশলের আওতায় হজ প্রস্তুতি শুরু করেছে সৌদি আরব।




ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত জ্যামাইকার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্যারিবিয়ান দ্বীপরাষ্ট্র জ্যামাইকা।

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের যুদ্ধ এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ‘নিরন্তর গভীরতর মানবিক সংকট’ নিয়ে চরম উদ্বেগের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নিল দেশটি।

জ্যামাইকান সরকার এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

জ্যামাইকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে জানিয়েছে, “ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জ্যামাইকা। সিদ্ধান্তটি জাতিসংঘ সনদের নীতিগুলোর প্রতি জ্যামাইকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাশাপাশি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের স্বীকৃতি প্রদানকে সমর্থন করে।”

জ্যামাইকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কামিনা জনসন স্মিথ বলেছেন, তার দেশ ‘সামরিক পদক্ষেপের পরিবর্তে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান’ দেখতে চায়।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ১৪২তম দেশ হিসেবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে জ্যামাইকা। সূত্র: আল জাজিরা, জ্যামাইকা অবজার্ভার, টিআরটি ওয়ার্ল্ড




সকালে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়, রাতেই নামল বৃষ্টি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

টানা কয়েক দিনের দাবদাহের পর গভীর রাতে চুয়াডাঙ্গায় স্বস্তির বৃষ্টি পড়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত ১টা ১০ মিনিট থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত জেলায় ১ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়।

মঙ্গলবার বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। তীব্র দাবদাহ থেকে রক্ষা পেতে এদিন সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা ওলামা কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে শহরের টাউন ফুটবল মাঠে ইসতিসকার নামাজ আদায় শেষে বৃষ্টির জন্য মহান আল্লাহর নিকট বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

মুসল্লিরা চোখের পানি ফেলে মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে বৃষ্টি কামনা করেন। এরপর রাতে কোনো পূর্বাভাস ছাড়াই বৃষ্টি পড়তে দেখা যায়।

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, কোনো পূর্বাভাস ছাড়াই মধ্যরাতে ২৫ মিনিট ধরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। মূলত ভারতে মেদিনিপুরে বৃষ্টি হবার কথা ছিল। মেঘটি জেলার ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় বৃষ্টি হয়ে ঝড়েছে এবং ছোটখাটো কালবৈশাখী ঝড়ও হয়েছে। অন্য কোনো জেলায় বৃষ্টি হয়নি। তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।




ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের পর ২০০০ ফিলিস্তিনি নিখোঁজ

ডিএনবি আন্তর্জাতিক নিউজ:

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সিভিল ডিফেন্স সার্ভিস জানিয়েছে, গাজার বিভিন্ন এলাকা থেকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের বর্বর সেনাদের প্রত্যাহার করার পর সে সমস্ত এলাকায় শত শত ফিলিস্তিনি নাগরিককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল গতকাল (রোববার) এক বিবৃতিতে জানান, দক্ষিণ গাজার খান ইউনুস শহর থেকে ইহুদিবাদী সেনাদের প্রত্যাহারের সময় ১৫০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ এবং প্রায় ৫০০ জন নিখোঁজ হয়েছেন।

তিনি জানান, গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের সময় দখলদার সেনারা বুলডোজার দিয়ে মাটি খুঁড়ে বহু মৃতদেহ চাপা দিয়েছে। এসব নিহত ব্যক্তির বেশিরভাগই নারী ও শিশু ছিল।

গাজা উপত্যকা জুড়ে দখলদার সেনারা জাতিগত নিধন অভিযান চালিয়েছে মন্তব্য করে বাসাল জানান, ফিলিস্তিনি নাগরিকদের হত্যার আগে তাদেরকে স্বজনদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে ইহুদিবাদী সোনারা। হত্যার পর গাজার বহু মানুষকে দখলদাররা পুড়িয়ে ছাই করে ফেলেছে বলেও জানান তিনি।#

পার্সটুডে




ইসরায়েলে নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার ইসরায়েলি। আগাম নির্বাচন আয়োজন ও গাজায় হামাসের হাতে বন্দী জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে শনিবার তেল আবিবে এই বিক্ষোভে হয়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা যায়, বিক্ষোভকারীরা গাজায় হামাসের হাতে বন্দী থাকা ১৩৩ জিম্মিকে মুক্ত করতে ইসরায়েল সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে ক্ষোভ জানান। জিম্মিদের পরিবারের সদস্যরাও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে যোগ দেন।

তেল আবিবে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ইয়ালন পিকম্যান নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমরা এখানে এই সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে এসেছি। এই সরকার আমাদের শুধু অধঃপতনের দিকে নিচ্ছে।’

বিভিন্ন জরিপে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, বেশিরভাগ ইসরায়েলি নাগরিক নিরাপত্তা ব্যর্থতার জন্য নেতানিয়াহুকে দায়ী করছেন। তবে ইসরায়েলের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী প্রধানমন্ত্রী বারবার আগাম নির্বাচনে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

জনমত জরিপগুলোতে বলা হচ্ছে, এখন ইসরায়েলে নির্বাচন হলে নেতানিয়াহু হেরে যাবেন। আর তাই নেতানিয়াহুর দাবি, যুদ্ধের মাঝখানে নির্বাচনে যাওয়া কেবল হামাসকেই পুরস্কৃত করবে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। হামলায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয় এবং ২৫৩ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা। গত নভেম্বরের যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে কিছু জিম্মিকে মুক্ত করা হয়। তবে এখনও ১৩৩ জন জিম্মি হামাসের হাতে বন্দী রয়েছে।

অপরদিকে ৭ অক্টোবরের পর থেকে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলায় এ পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে নিহত হয়েছে। তবে সমস্ত জিম্মিকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা এবং হামাসকে ধ্বংস না করা পর্যন্ত গাজায় অভিযান চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।