ইসলাম ও ইসলামী শিক্ষা নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে: মুফতী ফয়জুল করীম

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ইসলাম ও ইসলামী শিক্ষা নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। বিশেষ করে কওমী মাদরাসার বিরুদ্ধে একটি নাস্তিক্যবাদী গোষ্ঠী সিন্ডিকেটভিত্তিক অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। কিন্তু তারা জানে না, ওলামায়ে কেরামের সাথে সরাসরি মহান রব্বুল আলামিনের সম্পর্ক রয়েছে। ঐ গোষ্ঠী চাইলেই এ শিক্ষা ব্যবস্থার শিকড় উপড়ে ফেলতে পারবে না।

মঙ্গলবার বিকেলে রাজবাড়ী জেলার পাংশা আজিজপুর রশিদীয়া মাদরাসার সবক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সবক দেন এবং নসিহত পেশ করেন শায়খুল হাদীস আল্লামা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম। এ সময় এলাকার গণ্য মান্য ব্যক্তিবর্গ, বরেণ্য ওলামায়ে কেরাম উপস্থিত ছিলেন।

মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, যতদিন ইলমে নববীর এ শিক্ষা কেন্দ্রগুলো চালু থাকবে, ততদিন পৃথিবী ধ্বংস হবে না। যতদিন ওলামায়ে কেরাম ও ওয়াজ নসিহত আছে, ততদিন পৃথিবীজুড়ে হেদায়েতের হাওয়া চালু থাকবে, হেদায়েত চালু না থাকলে দুনিয়া পাপাচারে ভরে যাবে। আর তখই ধ্বংস অনিবার্য।

তিনি বলেন, তাদের কথিত শ্বেতপত্রে প্রধানত লক্ষ বানানো হয়েছে জনসম্পৃক্ত ওলামাদেরকে। যারা দেশব্যাপী ওয়াজ-মাহফিলের মাধ্যমে মানুষকে ইসলামের দিকে আহ্বান করেন। ওয়াজ হলো, জনসাধারণের চরিত্র ও ধারণ ক্ষমতা অনুসারে ইসলামের নির্দেশনা এবং পরকালের শাস্তি ও প্রাপ্তি নিয়ে এক ধরনের আলোচনা। ওয়াজ কোন একাডেমিক আলোচনা নয়।

‘ওয়াজ বাংলাদেশের হাজার বছরের সংস্কৃতি। এদেশে ইসলাম এসেছে সুফি, দরবেশ ও পীর-মাশায়েখদের মাধ্যমে। তারা প্রেম-ভালোবাসা দিয়ে মানুষের মন জয় করেছেন। সেই তখন থেকেই বাংলার গ্রামে-গঞ্জে, হাটে-বাজারে, পাড়া-মহল্লায় প্রতি বছর অন্তত একবার সম্মিলিতভাবে ওয়াজ মাহফিল আয়োজন করা হয়। বাংলার দীর্ঘদিনের সংস্কৃতি এটা। এটা বাঙালি মুসলমানের ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্য গ্রামে-গঞ্জে ঐক্য সৃষ্টি করেছে, সমাজবদ্ধতা তৈরি করেছে। এলাকার তরুণদের মাঝে পারস্পরিক বোঝাপড়া তৈরি করছে। একই সাথে ওয়াজের মাধ্যমে সমাজে পরকীয়া, ধর্ষণ, নারীবিদ্বেষ, নারী নির্যাতন, দুর্নীতি ইত্যাদি অপরাধের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে উঠছে। আজকে যারা এই ওয়াজের বিরুদ্ধে বানোয়াট শ্বেতপত্র নাটক করছে, তারা আদতে মুসলিম বাঙালি সংস্কৃতির বিরুদ্ধ শক্তি। এরা বাঙালি মুসলমানের স্বতঃস্ফূর্ত সংস্কৃতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বাইরে থেকে আমদানিকৃত সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়ার ঘৃণ্য চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে।’

নায়েবে আমীর মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, জাতির সূর্য সন্তান ওলামায়ে কেরামদের ধর্মব্যবসায়ী বলে নাস্তিক মুরতাদ গোষ্ঠী ওলামাদের অসম্মান করতে চায়। দেশবিরোধী ধর্মদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, যাদের চরিত্রের ঠিক নেই, যারা অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িতের কারণে বহিস্কৃত হয়েছে, তারা ওলামাদের বিরুদ্ধে মাঠে নামছে। তিনি ঐ সকল কুলাঙ্গারদের বিরুদ্ধে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান।

তিনি আরও বলেন, ওলামায়ে কেরাম এদেশে ভেসে আসে নাই। ওলামাদের সাথে সম্পর্ক মাটি ও মানুষের। কাজেই সস্তা তালিকা করে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের নামে অপমান অপদস্ত সহ্য করা হবে না। দেশপ্রেমিক ঈমানদার জনতা প্রয়োজনে জবীন ও রক্ত দিতে প্রস্তুত রয়েছে।




মাওলানা ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীর বিরুদ্ধে মামলা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

মাওলানা ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ মে) রাতে শাহবাগ থানায় এ মামলাটি করেন বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন।

জানা যায়, মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয়েছে মাওলানা এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীকে। ফেস দ্য পিপল নামের অনুষ্ঠানের সঞ্চালক সাইফুল রহমানকেও আসামি করা হয়।

শাহবাগ থানার ওসি মওদুত হাওলাদার মঙ্গলবার রাতে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলায় মাওলানা ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীকে এক নম্বর আসামি ও অনুষ্ঠানের সঞ্চালক সাইফুল রহমানকে দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে মতামতের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে মতামত আসার পর মামলা নিয়ে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।’

মামলার এজহারে বলা হয়েছে, ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী গত ১৪ মে রাত ৯টার দিকে ইউটিউবে ফেস দ্য পিপল নামের একটি টকশো অনুষ্ঠানে অংশ নেন। আলোচনার বিষয় ছিল ‘১১৬ জন আলেম নিয়ে অভিযোগ বিশ্লেষণ’। এখানে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির শ্রেষ্ঠ বীর সন্তানদের জঙ্গির সঙ্গে তুলনা করে এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী বলেন, জঙ্গিবাদ কি খারাপ জিনিস! কে বলেছে, জঙ্গিবাদ খারাপ জিনিস! জঙ্গিবিমান! এটা কি সন্ত্রাসী বিমান! জঙ্গি শব্দটা এসেছে ‘জাং’ থেকে, ফার্সিতে জাং বলে যুদ্ধকে- ফাইট। অতএব, ফ্রিডম ফাইটাররাও এক অর্থে জঙ্গি।

মামলার এজহারে আরও বলা হয়েছে, মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর সন্তানদের জঙ্গির সঙ্গে তুলনা করে ধৃষ্টতা দেখিয়ে এনায়েতুল্লাহ বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে স্পষ্ট প্রোপাগান্ডা ও প্রচারণা চালিয়েছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ও তাদের অবদানকে অপমান ও অপদস্ত করেছেন। যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮- এর ২১/২৮/২৯/৩৫ ধারায় দণ্ডনীয় অপরাধ।




জয়পুরহাটে ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে মাদরাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

জয়পুরহাটে ট্রাক ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে জয় হোসেন (২০) নামে এক মাদরাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় তার বন্ধু তাহমিদ (২২) গুরুতর আহত হয়েছেন।

সোমবার (১৬ মে) রাতে জয়পুরহাট-মঙ্গলবাড়ী সড়কের বোর্ড ঘর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর জাহান আরটিভি নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, নিহত জয় নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার ফাঁসিপাড়া গ্রামের আতোয়ার হোসেনের ছেলে ও ধামইরহাট সিদ্দিকীয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম প্রথম বর্ষের ছাত্র। আহত তাহমিদ একই গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে ও জয়পুরহাট সরকারি কলেজের প্রথমবর্ষের ছাত্র।

ওসি আলমগীর জাহান জানিয়েছেন, জয় ও তাহমিদ দুই বন্ধু জয়পুরহাট শহরে একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়ে বৃষ্টির সময় মোটরসাইকেলে নিজবাড়িতে ফিরছিলেন। পথে বোর্ড ঘর এলাকায় পৌঁছালে একটি দ্রুতগামী ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান জয়। এ ঘটনায় আহত হন তার বন্ধু তাহমিদ। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন।




আমিরাতের নতুন প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাবেক প্রেসিডেন্ট শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের মৃত্যুর একদিন পরই দেশটি নতুন প্রেসিডেন্ট পেল। শনিবার আরব আমিরাতের দীর্ঘদিনের ডি-ফ্যাক্টো শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।

আমিরাতের ফেডারেল সুপ্রিম কাউন্সিল শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেছে।

শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ ২০০৪ সালের নভেম্বর থেকে আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।এছাড়া দেশটির সেনাবাহিনীর ডেপুটি সুপ্রিম কমান্ডারের দায়িত্বও পালন করেন ২০০৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত। তিনি কৌশলগত পরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ, সাংগঠনিক কাঠামো ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতার মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সশস্ত্র বাহিনীর বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

৬১ বছর বয়সী এই প্রভাবশালী নেতা দেশটির তৃতীয় প্রেসিডেন্ট হলেন। আগামী পাঁচ বছরের জন্য প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। ১৯৭১ সালে তাঁর বাবার প্রতিষ্ঠিত তেলসমৃদ্ধ দেশটির শাসক হলেন তিনি।

শেখ মোহাম্মদই নতুন প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন আগে থেকেই তা ধারণা করা হচ্ছিল। শেখ খলিফার অসুস্থতার কারণে এক কোটি মানুষের মরুভূমির দেশটি কয়েক বছর ধরে কার্যত তিনিই শাসন করছিলেন। অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে শাসক হিসেবে শেখ মোহাম্মদ দায়িত্ব নিলেন।

আরব আমিরাত তাঁর দিকনির্দেশনায় মহাশূন্যে মানুষ পাঠিয়েছে, মঙ্গলে মিশন পরিচালনা করেছে এবং দেশটির প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করেছে। একই সঙ্গে শক্তিশালী পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণে দেশটির তেলসমৃদ্ধ অর্থনীতিকে কাজে লাগিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।

ঐতিহ্যবাহী শক্তিগুলো পিছু হটায় এবং যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের কিছুটা গুটিয়ে নেওয়ায় বদলে যাওয়া মধ্যপ্রাচ্যে নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন সৌদি আরবের ঘনিষ্ঠ মিত্র শেখ মোহাম্মদ। তিনি ইসরায়েলে সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যোগ দেন।

শেখ মোহাম্মদের সৎ ভাই শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান বেশ কয়েক বছর ধরে নানা ধরনের শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। শুক্রবার ৭৩ বছর বয়সে মারা যান তিনি। তিনি আমিরাতের দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০০৪ সালের ৩ নভেম্বর থেকে প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি আবুধাবির শাসকের দায়িত্ব পালন করছিলেন শেখ খলিফা। ২০১৪ সালে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার পর থেকে তেমন জনসমক্ষে আসতেন না তিনি।

পশ্চিমা দুনিয়ায় ‘এমবিজেড’ নামে ব্যাপক পরিচিত শেখ মোহাম্মদকে আরব বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতাদের মধ্যে অন্যতম হিসেবে মনে করা হয়। ব্রিটেনের রয়্যাল মিলিটারি একাডেমি স্যান্ডহার্স্টের স্নাতক এই ক্রাউন প্রিন্স উপসাগরীয় অঞ্চলের অন্যতম সেরা সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বে রয়েছেন।




ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১৭ স্থানে পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন স্থানে ১৭টি অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১০টি এবং উত্তর সিটিতে সাতটি হাট বসবে।

ঢাকা উত্তরে সি‌টির অধীনে হাটগুলো হচ্ছে গাবতলী, বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং ব্লক-ই এফ জি এইচ এলাকার খালি জায়গা, মিরপুর সেকশন-৬ ইস্টার্ন হাউজিংয়ের খালি জায়গা, উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টর এলাকার বৃন্দাবন থেকে উত্তর দিকে বিজিএমইএ পর্যন্ত খালি জায়গা, ভাটারা সাইদ নগর, কাওলা শিয়ালডাঙ্গাসংলগ্ন খালি জায়গা, ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৩০০ ফিট সড়কসংলগ্ন উত্তর পাশের সালাম স্টিল, যমুনা হাউজিং কোম্পানি ও ব্যক্তিগত মালিকানাধীন খালি জায়গা এবং মোহাম্মদপুরের বছিলায় ৪০ ফুট রাস্তাসংলগ্ন খালি জায়গা।

অপর‌দি‌কে ঢাকা দ‌ক্ষিণ সি‌টির অধীনে হাটগুলো হচ্ছে মেরাদিয়া বাজারসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, দনিয়া কলেজ মাঠসংলগ্ন খালি জায়গা, ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনালসংলগ্ন উন্মুক্ত জায়গা, উত্তর শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজার মৈত্রী সংঘের ক্লাবসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, হাজারীবাগ এলাকার ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি মাঠসংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা, আমুলিয়া মডেল টাউনের আশপাশের খালি জায়গা, লালবাগের রহমতগঞ্জ ক্লাবসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, শ্যামপুর-কদমতলী ট্রাকস্ট্যান্ডসংলগ্ন খালি জায়গা, লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাবসংলগ্ন খালি জায়গা, কমলাপুর স্টেডিয়ামসংলগ্ন বিশ্বরোডের আশপাশের এলাকা এবং পোস্তগোলা শ্মশানঘাটসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা। এর বাইরে সারুলিয়া স্থায়ী হাটও চালু থাকবে।

এসব এলাকায় হা‌টের পাশাপা‌শি চালু থাকবে ডিএনসিসির ডিজিটাল হাট। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এবারও অনলাইন হাটকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। সে লক্ষ্যে তৃতীয়বারের মতো ডিজিটাল পশুর হাট চালু রাখা হবে। ডিএনসিসির ডিজিটাল হাটে ই-ক্যাব এবং বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএফএ) অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানের খামারিরা পশু বিক্রি করতে পারবেন।

এ‌দি‌কে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন অস্থায়ী হাটের ইজারার শিডিউল ঘোষণা করেছে গত ১৩ এপ্রিল। দরপত্র বিক্রির শেষ তারিখ ছিল ৮ মে এবং জমা দেওয়ার তারিখ ছিল ৯ মে।

ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, নগর ভবন ও উত্তর সি‌টির ১০টি আঞ্চলিক অফিস থেকে দরপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আঞ্চলিক কার্যালয়ে দরপত্র জমা না নেওয়ায় অনেকেই গুলশানে নগর ভবনে গিয়ে সময়মতো দরপত্র জমা দিতে পারেন‌নি ব‌লে অভিযোগ করেছেন।

দরপত্র জমা না দিতে পারা কয়েকজন জানান, উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টর এলাকার বৃন্দাবন থেকে উত্তর দিকে বিজিএমইএ পর্যন্ত খালি জায়গার জন্য হাটের সিডিউল জমা দিতে উত্তরায় ‌সি‌টি কর‌পো‌রেশ‌নের আঞ্চলিক অফিস-১-এ গেলে তারা শিডিউল জমা নেননি। সেখান থেকে গুলশান নগর ভবনে জমা নেওয়া হবে ব‌লে জানা‌নো হয়। উত্তরা থে‌কে নগর ভবনে রওনা হয়েও যানজটের কারণে সময়মতো পৌঁছা‌তে না পারায় তারা শিডিউল জমা দি‌তে পা‌রেন‌নি ব‌লে জানান। তাই, পুনরায় সি‌ডিউল জমার সুযোগ দেওয়ার অনু‌রোধ ক‌রেন তারা।

এ ব্যাপা‌রে ডিএনসিসির আঞ্চলিক অফিস-১-এর নির্বাহী কর্মকর্তা জুলকার নায়ন বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা কা‌রো কাছ থে‌কে এখনও কোনো মৌখিক বা লিখিত অভিযোগ পাইনি। যেহেতু এটি প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তার হাতে, তাই তাঁকে জানালে হয়তো একটা সমাধান হতে পারে।’




বেসরকারিভাবে হজে যেতে খরচ ৪ লাখ ৬৩ হাজার টাকা

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

এবার বেসরকারিভাবে এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ হবে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৭৪৪ টাকা। বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৮ জুলাই সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এবার বাংলাদেশ থেকে ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন হজ পালনের সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৩ হাজার ৫৮৫ জন হজে যেতে পারবেন।

হাবের সভাপতি বলেন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের জন্য ‘সাধারণ প্যাকেজ’ নামে একটি প্যাকেজ করা হয়েছে। এছাড়াও প্রত্যেক এজেন্সি নিজ নিজ স্পেশাল প্যাকেজ করতে পারবে। তবে কোনো প্যাকেজই হাব ঘোষিত সর্বনিম্ন প্যাকেজ মূল্য থেকে কম হবে না। হজযাত্রীদের প্যাকেজের পুরো টাকা আগামী ১৮ মে’র মধ্যে নিজ নিজ এজেন্সির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করার অনুরোধ জানিয়ে শাহাদাত হোসাইন বলেন, কোনো মধ্যস্বত্বভোগীর হাতে টাকা দিয়ে প্রতারিত হবেন না। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পরিশোধ করতে হবে। তিনি বলেন, সাধারণ প্যাকেজের হজযাত্রীদের পবিত্র হারাম শরীফের বাইরের চত্বরের সীমানার এক হাজার থেকে এক হাজার ৫০০ মিটার দূরত্বে আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। সৌদি আরব প্রান্তের অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জের তথ্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি জানিয়ে তসলিম বলেন, প্যাকেজ ঘোষণার পর সৌদি সরকার অতিরিক্ত কোনো ফি আরোপ করলে তা প্যাকেজের মূল্য হিসেবে গণ্য হবে এবং তা হজযাত্রীকে পরিশোধ করতে হবে। শাহাদাত হোসাইন আরও বলেন, কোরবানি খরচ বাবদ প্রত্যেক হজযাত্রীকে ৮১০ সৌদি রিয়ালের সম পরিমাণ টাকা আলাদাভাবে নিজ দায়িত্বে সঙ্গে নিতে হবে।

হজ প্যাকেজের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে হাব সভাপতি বলেন, বাড়ি ভাড়া, সৌদি আরবের সার্ভিস চার্জ, ভ্যাট, মুদ্রার রেট অব এক্সচেঞ্জ এবং বিমান ভাড়া বাড়ানোর জন্য হজের খরচ বেড়ে গেছে। ডেডিকেটেড ফ্লাইটে হজযাত্রীদের পরিবহনের জোর দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ডেডিকেটেড ফ্লাইটে হজযাত্রী পরিবহন করা না গেলে ঢাকায় হজযাত্রীদের প্রি-অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন করা সম্ভব নয়। প্যাকেজের মূল্য পরিশোধের পর হজযাত্রীদের নিবন্ধন, আন্তঃএজেন্সি সমন্বয়, মোনাজ্জেম নির্ধারণ, ভিসা- এসব কাজ এখনো বাকি আছে। ৩১ মে হজ ফ্লাইট দিলে ঝুঁকি হয়ে যাবে। আমরা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করছি। আমরা আগামী ১০ জুন থেকে হজ ফ্লাইট পরিচালনার জন্য পরামর্শ দিয়েছি। এর আগে গত বুধবার সচিবালয়ে হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভায় সরকারিভাবে দুটি ও বেসরকারিভাবে হজ পালনের ক্ষেত্রে একটি প্যাকেজ অনুমোদন দেওয়া হয়।

সভা শেষে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান সাংবাদিকের হজ প্যাকেজ সম্পর্কে ব্রিফ করেন। সরকারিভাবে হজে যেতে প্যাকেজ-১ এ ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ এবং প্যাকেজ-২ এ ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে প্যাকেজে খরচ ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৬৩০ টাকা। প্যাকেজ-১ এর ক্ষেত্রে খরচ বেড়েছে এক লাখ ২ হাজার ৩৪০ টাকা, প্যাকেজ-২ এর ক্ষেত্রে এবার খরচ বেড়েছে ১ লাখ ২ হাজার ১৫০ টাকা। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সৌদি সরকারের বিধিনিষেধের মুখে গত দুই বছর বাংলাদেশি হজযাত্রীরা হজ পালন করতে পারেননি। সবশেষ ২০১৯ সালে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন হজযাত্রীরা। ২০২০ সালে প্যাকেজ ঘোষণা হলেও বাংলাদেশ থেকে কেউ হজে যেতে পারেননি। তখন হজ পালনে প্যাকেজ-১ এ ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা এবং প্যাকেজ-২ এ খরচ ধরা হয়েছিল ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। প্যাকেজ-৩ এর খরচ ধরা হয়েছিল ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা। তখন হজ প্যাকেজগুলো বেসরকারি হজযাত্রীদের জন্যও প্রযোজ্য ছিল।




গণকমিশনের তালিকায় দেশের ১১৬ আলেম ও ওয়েজিনের নাম

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

জঙ্গি অর্থায়ন ও দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অভিযোগে ১১৬ ওয়ায়েজিনের একটি তালিকা দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা দিয়েছে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সমন্বয়ে গঠিত মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে ‘গণকমিশন’।

বুধবার (১১ মে) দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লার হাতে একটি শ্বেতপত্র তুলে দেন গণকমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সদস্য সচিব ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজসহ পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

এ তালিকা থেকে বাদ পড়েননি বর্ষীয়ান আলেমেদ্বীন আল্লামা মুফতি আব্দুল হালিম বুখারী, আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জীর মতো দেশের শীর্ষ আলেমরাও। তালিকায় আছেন বেশ কয়েকজন কারাবন্দি আলেম।

দুদক চেয়ারম্যানের কাছে দেওয়া ২২শ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনের ৭৬০ ও ৭৬১ পৃষ্ঠায় তাদের নাম প্রকাশ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জঙ্গি অর্থায়ন ও ওয়াজের মাধ্যমে তারা ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করছেন।

দুদকের কাছে দেওয়া ১১৬ আলেমের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তারা হলেন, ১. মাওলানা নূরুল ইসলাম ওলিপুরী, ২. মাওলানা সাজিদুর রহমান, ৩. মুফতি রেজাউল করিম, ৪. মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম, ৫. মাওলানা খোরশেদ আলম কাসেমী, ৬. মাওলানা আবুল কালাম আজাদ (বাশার), ৭. মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, ৮. মুফতি দিলওয়ার হোসাইন সাইফী, ৯. মাওলানা সাইয়্যেদ কামাল উদ্দিন জাফরী, ১০. মাওলানা মাহমুদুল হাসান ভূজপুরী, ১১. মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফতেহপুরী, ১২. মাওলানা মুহিব খান, ১৩. মুফতি সাঈদ আহমদ কলরব, ১৪. মুফতি দিলাওয়ার হোসাইন, ১৫. মাওলানা গিয়াস উদ্দিন তাহেরী, ১৬. মাওলানা আব্দুর রহিম বিপ্লবী, ১৭. মাওলানা আরিফ বিল্লাহ, ১৮. মাওলানা বজলুর রশিদ, ১৯. মুফতি নাজিবুল্লাহ আফসারী, ২০. মাওলানা ওয়াসেক বিল্লাহ নোমানী, ২১. মুফতি নূর হোসেন নুরানী, ২২. মুফতি কাজী ইব্রাহিম, ২৩. মাওলানা গোলাম রাব্বানী, ২৪. মাওলানা মুজাফফর বিন মহসিন, ২৫. মাওলানা মোস্তফা মাহবুবুল আলম, ২৬. মাওলানা মাহমুদুল হাসান গুনবি, ২৭. মাওলানা শায়েখ সিফাত হাসান, ২৮. মাওলানা মোহাম্মদ রাকিব ইবনে সিরাজ, ২৯. মাওলানা ফয়সাল আহমদ হেলাল, ৩০. মাওলানা মতিউর রহমান মাদানী, ৩১. মাওলানা মুজিবুর রহমান, ৩২. মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, ৩৩. মাওলানা হাফিজুর রহমান ছিদ্দীকী, ৩৪. মাওলানা আজিজুল ইসলাম জালালী, ৩৫. মাওলানা মেরাজুল হক কাসেমী, ৩৬. মুফতি মুহসিনুল করিম, ৩৭. মাওলানা আব্দুল বাসেত খান, ৩৮. মাওলানা আবদুল খালেক  শরিয়তপুরী, ৩৯. মুফতি মাহমুদ উল্লাহ আতিকী, ৪০. মুফতি উসমান গণি মুছাপুরী, ৪১. মাওলানা আবু নাঈম মুহাম্মাদ তানভীর, ৪২. মুফতি শিহাবুদ্দীন, ৪৩. মুফতি মুসতাঈন বিল্লাহ আল-উসওয়ায়ী, ৪৪. মাওলানা আশরাফ আলী হরষপুরী, ৪৫. মাওলানা জাকারিয়া, ৪৬. মুফতি আমজাদ হোসাইন আশরাফী, ৪৭. মুফতি আনোয়ার হোসাইন চিশতী, ৪৮. মাওলানা আতিকুল্লাহ, ৪৯. মাওলানা বশির আহমদ, ৫০. মাওলানা সিরাজুল ইসলাম মিরপুরী, ৫১. মাওলানা রিজওয়ান রফিকী, ৫২. মাওলানা আবরারুল হক হাতেমী, ৫৩. মাওলানা রাফি বিন মুনির, ৫৪. মাওলানা আনোয়ারুল ইসলাম জাবেরী, ৫৫. মাওলানা মোতাসিম বিল্লাহ আতিকী, ৫৬. মুফতি শেখ হামিদুর রহমান সাইফী, ৫৭. মাওলানা আজহারুল ইসলাম আজমী, ৫৮. মাওলানা কামাল উদ্দিন দায়েমী, ৫৯. মাওলানা কামাল উদ্দিন কাসেমী, ৬০. মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন নুরী, ৬১. মাওলানা মাজহারুল ইসলাম মাজহারী, ৬২. মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফেরদাউস, ৬৩. মুফতি এহসানুল হক জিলানী, ৬৪. মাওলানা মাহবুবুর রহমান জিহাদি, ৬৫. মুফতি আব্দুল হক, ৬৬. মুফতি শাহিদুর রহমান মাহমুদাবাদী, ৬৭. মাওলানা ইসমাঈল বুখারী, ৬৮. মাওলানা জয়নুল আবেদীন হাবিবী, ৬৯. মাওলানা ইউসুফ বিন এনাম, ৭০. মাওলানা শাববীর আহমদ উসমানী, ৭১. মুফতি জাহিদুল ইসলাম যায়েদ, ৭২. মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম জামী, ৭৩. মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, ৭৪. মাওলানা ইসমাইল হোসাইন, ৭৫. মুফতি আব্দুর রহিম হেলালী, ৭৬. মুফতি ওমর ফারুক যুক্তিবাদী, ৭৭. মাওলানা মুশাহিদ আহমদ উজিরপুরী, ৭৮. মাওলানা কাজিম উদ্দীন (অন্ধ হাফেজ), ৭৯. মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান, ৮০. মুফতি হারুনুর রশিদ, ৮১. মাওলানা আবুল কাসেম, ৮২. মুফতি ওয়ালী উল্লাহ, ৮৩. মাওলানা আবু নাঈম মুহাম্মাদ তানভীর, ৮৪. মাওলানা জাকারিয়া নাটোর, ৮৫. মাওলানা আবুল হাসান (সাদী), ৮৬. মুফতি রুহুল আমিন নুরী, ৮৭. মুফতি মামুনুর রশিদ কামালী, ৮৮. মাওলানা আবদুল কালাম আজাদ, ৮৯. মাওলানা ডা. সিরাজুল ইসলাম সিরাজী (নওমুসলিম), ৯০. মাওলানা শামসুল হক যশোরী (নওমুসলিম), ৯১. মুফতি হাবিবুর রহমান মিসবাহ, ৯২. মাওলানা মুফতি ওলিউল্লাহ, ৯৩. মাওলানা বেলাল হুসাইন ফারুকী, ৯৪. মুফতি ওমর ফারুক যুক্তিবাদী, ৯৫. মাওলানা আমির হামজা, ৯৬. মাওলানা মিজানুর রহমান আযহারী, ৯৭. মাওলানা তারেক মনোয়ার, ৯৮. মাওলানা আব্দুল হালিম বোখারী, ৯৯. মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, ১০০. মাওলানা আফম খালিদ হোসেন, ১০১. মাওলানা মামুনুল হক, ১০২. মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, ১০৩. মাওলানা মুশতাকুন্নবী, ১০৪. মাওলানা সালাহ উদ্দীন নানুপুরী, ১০৫. মাওলানা কুতুব উদ্দীন নানুপুরী, ১০৬. মাওলানা বেলাল উদ্দীন, ১০৭. মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী, ১০৮. মাওলানা রুহুল আমিন যুক্তিবাদী, ১০৯. মাওলানা আবুল কালাম বয়ানী, ১১০. মাওলানা রফিকুল্লাহ আফসারী, ১১১. মাওলানা আব্দুল্লাহ আল-আমিন, ১১২. মাওলানা মোয়াজ্জেম হোসাইন সাইফী, ১১৩. মাওলানা আলাউদ্দীন জিহাদি, ১১৪. মাওলানা আবু বকর মোহাম্মদ জাকারিয়া, ১১৫.  মাওলানা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী, ১১৬. মাওলানা মাহবুবুর রহমান জৈনপুরী প্রমুখ।




নির্দলীয় সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না ইসলামী আন্দোলন: চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইভিএম ও আওয়ামী লীগের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

চরমোনাই পীর বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে, কোনো দলীয় সরকারের অধীন সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। বিগত কয়েকটি জাতীয় নির্বাচন ও স্থানীয় নির্বাচনে এটা বারবার প্রমাণিত হয়েছে।

আগামী সংসদ নির্বাচন ইভিএমে ভোটগ্রহণ নিয়ে আলোচনা আছে। এ নিয়ে চরমোনাই পীর বলেন, ইভিএম আন্তর্জাতিকভাবে প্রত্যাখ্যাত। আর ইভিএমের মাধ্যমে সারা দেশে ভোট অনুষ্ঠিত হবে—এমন কথা প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেওয়ার এখতিয়ার রাখেন না। নির্বাচন কোনো প্রক্রিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে, তা নির্ধারণ করবে নির্বাচন কমিশন। দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতেই নির্বাচন কমিশন তা ঠিক করবে—এটাই জনগণের প্রত্যাশা।

আজ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের এক যৌথ সভায় বলেছেন, তাঁদের দল ৩০০ আসনেই ইভিএম চায়। এ প্রসঙ্গে চরমোনাইয়ের পীর বলেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যেও প্রমাণিত হয়, তাদের অধীন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।




বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মাদরাসাছাত্রের মৃত্যু

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে মোবাইল চার্জ দিতে গিয়ে শাওন মিয়া (১২) নামের এক মাদরাসার ছাত্র বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে।

রোববার (৮ মে) রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, নিহত শাওন শায়েস্তাগঞ্জ পৌরএলাকার পশ্চিম বড়চর গ্রামের জমির আলীর ছেলে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শায়েস্তাগঞ্জের কুতুবের চক মাদরাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণি ছাত্র শাওন তার ঘরে মোবাইল ফোন চার্জে দেয়। এ সময় অসাবধানতাবশত তার হাত সুইচে লেগে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয়। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে মুমূর্ষ অবস্থায় হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাওনকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মো. রজব আলী বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।




দেশবাসীকে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের প্রাক্কালে এক ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক মাস সিয়াম সাধনার পর আবার এসেছে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঈদ-উল-ফিতর মানেই খুশি ও আনন্দ, আসুন আমরা সবাই মিলে ঈদ-উল-ফিতরের আনন্দ উপভোগ ও ভাগাভাগি করি। প্রধানমন্ত্রী ঈদ-উল-ফিতরের মহিমায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশ ও জনগণের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান। ‘ভাল থাকুন এবং নিরাপদ থাকুন, ঈদ মোবারক’ বলে বার্তাটি শেষ করেন।

বাংলাদেশের আকাশে আজ ১৪৪৩ হিজরি সনের শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় মঙ্গলবার (৩ মে) দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (আইএফ) সহকারী জনসংযোগ কর্মকর্তা শায়লা শারমিন বলেন, ‘দেশের আকাশে রোববার কোথাও ১৪৪৩ হিজরির শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। তাই মঙ্গলবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।’

গতকাল সন্ধ্যায় বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে আইএফের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান । এক মাস সিয়াম সাধনার পর উদযাপিত হয় ঈদুল ফিতর।