হামাস প্রধানের সঙ্গে বৈঠকের পর যা বললেন আয়াতুল্লাহ খামেনি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ইরানে ইসলামি বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল খামেনি গাজার জনগণের জন্য ইসলামি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি ইসলামি সরকারগুলোর ব্যাপক ও বাস্তব সমর্থনের আহ্বান জানিয়েছেন।

তেহরানে আয়াতুল্লাহ খামেনির সঙ্গে এক বৈঠকে ফিলিস্তিনি হামাস প্রতিরোধ আন্দোলনের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়া গাজার সর্বশেষ ঘটনাবলী, ইহুদিবাদী সরকারের অপরাধ এবং পশ্চিম তীরের সর্বশেষ ঘটনাবলী নিয়ে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।

সর্বোচ্চ নেতা তার পক্ষ থেকে গাজার অবিচল জনগণকে তাদের ধৈর্য ও প্রতিরোধের জন্য ধন্যবাদ জানান। যুক্তরাষ্ট্র ও কিছু পশ্চিমা দেশের প্রত্যক্ষ সমর্থনে ইহুদিবাদী সরকারের সংঘটিত অপরাধের তীব্র নিন্দা জানান। আয়াতুল্লাহ খামেনি ইহুদিবাদী দখলদারদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ বাহিনীকে সমর্থন করার ইরানের স্থায়ী নীতির ওপর জোর দেন।

সুত্র: পার্স টুডে




ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলছে বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের সমাবেশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

মৎস্য ভবন মোড় থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘিরে চারদিকের রাস্তায় সারি সারি বাস পার্কিং করা। বাস থেকে নেমে স্লোগান উঠছে ‘নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবার।’ তারপর মিছিল নিয়ে বাসের লোকজন প্রবেশ করছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। এছাড়া যারা ঢাকার আশপাশ থেকে পায়ে হেঁটে এসেছেন তারা সরাসরি মিছিল নিয়ে প্রবেশ করছেন উদ্যানে। মূলত এরা সবাই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কর্মী।

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সমাবেশের আয়োজন করেছে। সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতির প্রবর্তন এবং বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিলের দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

উদ্যান ঘুরে দেখা গিয়েছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা নেতারা মঞ্চে বক্তব্য দিচ্ছেন। আর সকাল থেকে যেসব কর্মী দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বা ঢাকা শহর থেকে এই সমাবেশ সফল করতে এসেছেন তারা মনোযোগ দিয়ে সেই বক্তব্য শুনছেন।

এছাড়া আরও দেখা গেছে, নেতাকর্মীরা বিভিন্ন গাছ তলায় শুয়ে বসে বিশ্রাম করছেন। অনেকে উদ্যানের উত্তর দক্ষিণ অংশে অর্থাৎ ছবির হাট টিএসসি গেট অংশের ঘোরাফেরা করছে। কেউ কেউ সেলফি তোলাও ব্যস্ত।

সমাবেশ সূত্রে জানা গেছে, জুমা নামাজের পর মূল সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। সেখানে বক্তব্য রাখবেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

এর আগে গত ১ নভেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) তাদের ২০ শর্তে সমাবেশ করতে অনুমতি দেয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০ শর্ত যথাযথভাবে পালন সাপেক্ষে ৩ নভেম্বর সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশকে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হলো।




আলজাজিরা সাংবাদিকের পরিবারের ১৯ সদস্যকে হত্যা করল ইসরায়েল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ভয়াবহ এই এক হামলাতেই পরিবারের ১৯ সদস্যকে হারিয়েছেন কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রকৌশলী।

নিহতদের মধ্যে ওই আল জাজিরা কর্মীর বাবা ও দুই বোনও রয়েছেন। এছাড়া জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি ওই বিমান হামলায় অর্ধশতাধিক লোক নিহত হয়েছেন বলে অবরুদ্ধ এই অঞ্চলের একজন মেডিকেল কর্মকর্তা এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

বুধবার (১ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় আল জাজিরা ব্যুরোর সম্প্রচার প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু আল-কুমসান জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় তার বাবা এবং দুই বোনসহ পরিবারের ১৯ জন সদস্যকে হারিয়েছেন।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি বাহিনীর এই হামলাকে ‘গণহত্যা’ এবং ‘ক্ষমার অযোগ্য কাজ’ বলে নিন্দা জানিয়েছে আল জাজিরা।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘জঘন্য এবং নির্বিচারে ইসরায়েলি বোমা হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে আল জাজিরা। এতে আমাদের নিবেদিত এসএনজি ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আবু আল-কুমসানের পরিবারের ১৯ সদস্য নিহত হয়েছেন।’

এতে আরও বলা হয়েছে, ‘জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ক্ষমার অযোগ্য ইসরায়েলি এই হামলায় মোহাম্মদের বাবা, দুই বোন, আট ভাগ্নে এবং ভাতিজি, তার ভাই, তার ভাইয়ের স্ত্রী এবং তাদের চার সন্তান, তার ভগ্নিপতি এবং এক চাচা নিহত হয়েছেন।’

গাজার ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের পরিচালক ডা. আতেফ আল-কাহলুত আল জাজিরাকে বলেছেন, ইসরায়েলি এই হামলায় ৫০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছেন। তিনি বলেন, হাসপাতাল এখনও নিহতের মোট সংখ্যা জানাতে পারেনি কারণ এটি এখনও নিহতদের সংখ্যা গণনা করছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘উত্তর (গাজা) উপত্যকার জাবালিয়া শিবিরের একটি বিশাল এলাকাকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলি হামলায় ৫০ জনেরও বেশি নিহত এবং প্রায় ১৫০ জন আহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও বহু মানুষ আটকে আছেন।’

এদিকে জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসরায়েলের এক সামরিক কর্মকর্তা। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র রিচার্ড হেচট সিএনএনকে বলেছেন, ‘সেই এলাকায় হামাসের একজন সিনিয়র কমান্ডার ছিলেন। আমরা এটি অনুসন্ধান করছি এবং সেখানে কী ঘটেছে তা জানার সাথে সাথে আমরা আরও তথ্য নিয়ে হাজির হবো।’

জাবালিয়ায় হামলার পর ধারণ করা বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দাদের হামলার জেরে সৃষ্ট বড় বড় গর্তের চারপাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় এবং উদ্ধারকারীদের ধসে পড়া ভবনের নিচে বেঁচে থাকা লোকদের খুঁজে বের করার জন্য দৌড়ঝাঁপ করতেও দেখা যায়।

কয়েকদিন আগে ইসরায়েলি বিমান হামলায় আল জাজিরা আরবির গাজা সংবাদদাতা ওয়ায়েল দাহদুহের স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে এবং নাতি নিহত হয়েছিলেন। সেই ঘটনার কয়েকদিনের মাথায় এই হামলা হলো এবং আল জাজিরা কর্মীর পরিবারে বিপুল সংখ্যক প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটল।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভূখণ্ডটিতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ইতোমধ্যেই সাড়ে ৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

নিহতদের মধ্যে সাড়ে ৩ হাজারেরও বেশি শিশু, ২ হাজারের বেশি নারী এবং প্রায় পাঁচশো বয়স্ক মানুষ রয়েছেন। এছাড়া ইসরায়েলের এই বিমান হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না গাজার কোনও অবকাঠামো।

তারা মসজিদ, গির্জা, স্কুল, হাসপাতাল, শরণার্থী শিবিরসহ বেসামরিক মানুষের বাড়ি-ঘর সব জায়গায় হামলা চালিয়ে আসছে। একইসঙ্গে গত ৮ অক্টোবর থেকে গাজায় সর্বাত্মক অবরোধও আরোপ করে রেখেছে ইসরায়েল।




যুদ্ধের মধ্যেই ইসরায়েল সফরে বাইডেন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইসরায়েল ‍ও হামাসের যুদ্ধের মধ্যেই ইসরায়েল সফরে যেতে পারেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে তার এই সফর এখনো চূড়ান্ত হয়নি। সোমবার (১৬ অক্টোবর) একটি সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)।

মার্কিন কর্মকর্তরা দেশের প্রেসিডেন্টের সম্ভাব্য বিদেশ সফর নিয়ে প্রকাশ্যে কড়া বার্তা বলতে পারেন না। এ জন্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে এপির সঙ্গে কথা বলেছেন ওই মার্কিন কর্মকর্তা।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকেই দেশটির পাশে শক্তভাবে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন প্রদর্শনের অংশ হিসেবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন তেলআবিব সফর করেছেন। সফরকালে তিনি ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

এবার এই যুদ্ধের মধ্যেই যদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট তেলআবিব সফর করেন তাহলে তা হবে ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অনড় অবস্থানের আরেক শক্ত বার্তা। তবে বাইডেনের এই সফর ভালোভাবে না-ও নিতে পারে ইরান ও অন্যান্য আরব দেশগুলো। তারা যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপকে উসকানি হিসেবে দেখতে পারে।

এনএ/

এ ছাড়া এমন একসময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ইসরায়েল সফরের তথ্য সামনে আসছে যখন ইসরায়েলি সেনারা অবরুদ্ধ গাজায় বড় ধরনের হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এরই মধ্যে এ হামলার জন্য গাজা সীমান্তে বহু সেনা জড়ো করেছে ইসরায়েল।




গাজার হাসপাতাল খালি করার ঘোষণা : ইসরাইল নতুন অপরাধ করেছে হামাস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:
ফিলিস্তিনের হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার পর থেকে অবরুদ্ধ গাজায় নির্বিচার বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ হামলা থেকে কিছুই বাদ যাচ্ছে না। আবাসিক ভবন থেকে শুরু করে অ্যাম্বুলেন্স, হাসপাতাল, এমনকি গণমাধ্যমের কার্যালয়তেও হামলা চালাচ্ছে।

এখন আবার নতুন করে দখলদার সেনাবাহিনীর ঘোষণা দিয়েছে- উত্তর গাজা উপত্যকার আল আওদা সরকারি হাসপাতালসহ বেশ কয়েকটি হাসপাতাল সম্পূর্ণ খালি করার অনুরোধ জানিয়েছে।

অন্যদিকে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জর্ডানের ফিল্ড হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মীদের স্ট্রিপ ছেড়ে না যাওয়ার এবং তাদের প্রধান ভূমি ত্যাগ না করার ঘোষণা দিয়েছে।

পরিবর্তে, হামাস বলেছে দখলদার সেনাবাহিনীর হাসপাতালগুলি খালি করার ঘোষণা আরেকটি নতুন অপরাধ। হাসপাতাল মৌলিক ও জরুরি স্বাস্থ্য পরিষেবার অন্তর্ভূক্ত এটি। এসেবা রোধ করা চরম অপরাধের শামিল।

ইসরায়েলকে হাসপাতালগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করার অপরাধমূলক পরিকল্পনা থেকে বন্ধ করতে হামাস আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ জাতিসঙ্গকে জরুরিভাবে হস্তক্ষেপ করার আহব্বান জানিয়েছে। সূত্র : আল জাজিরা।




বেফাকের ১১তম জাতীয় কাউন্সিল শুরু

dnb news :

আজ শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় শুরু হলো কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকের ১১তম জাতীয় কাউন্সিল। ইতিমধ্যে সারাদেশের মজলিসে উমুমির সাড়ে চার হাজার সদস্য উপস্থিত হয়েছেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করছেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল্লামা মাহমুদুল হাসান। পরিচালনায় আছেন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাহফুজুল হক।

আল্লামা মাহমুদুল হাসানের উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে কাউন্সিল শুরু হয়েছে। উদ্বোধনপূর্ব বক্তব্য রেখেছেন কাউন্সিল বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা সাজিদুর রহমান। সভায় বেফাকের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল্লামা মাহমুদুল হাসানের লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শুনাচ্ছেন মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভি।

কাউন্সিলে উপস্থিত হয়েছেন, মধুপুরের পীর মাওলানা আব্দুল হামিদ, ঢালকানগর মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা জাফর আহমদ, মুফতি মনসুরুল হক, মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন রাজু, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, মাওলানা আনাস মাদানী, মাওলানা মনীরুজ্জামানসহ দেশের শীর্ষ আলেম ও মাদরাসার মুহতামিমগণ প্রমুখ।

জানা গেছে- সবার কাছে সরাসরি আমন্ত্রণপত্র, ভয়েস রেকর্ড ও মোবাইল এসএমএস পাঠানো হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল্লামা মাহমুদুল হাসান ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাহফুজুল হকের বরাতে এই দাওয়াত করা হয়েছে। দায়িত্বশীলরা মনে করছেন-উৎসবমুখর পরিবেশে, মুরব্বিদের প্রতি শ্রদ্ধা ভক্তি বজায় রেখেই জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।

সারাদেশ থেকেই বৈরি আবহাওয়া সত্বেও ব্যাপক উপস্থিতি চোখে পড়েছে। অনেকেই মাঝ রাতে বা ভোরে এসে পৌঁছেছেন। তাদের জন্য ইস্তেকবাল ও আপ্যায়নের সুব্যবস্থা ছিলো। যথেষ্ঠ সৃঙ্খলার সঙ্গে সভার কাজ চলছে। মেহমানদের জন্য সব রকম আয়োজন রয়েছে।




বিশেষ অবদানের জন্য স্বর্ণপদক পেলেন মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী

dnb news:

শিক্ষা, সাহিত্য ও সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য স্বর্ণপদকে ভূষিত হলেন মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী। তিনি বাংলাদেশ কওমি শিক্ষা বোর্ডের (বেফাক) এর প্রধান পরিচালক। লেখালেখি, সাংবাদিকতা ও গবেষণায় তার বিশেষ অবদান রয়েছে।

চট্রগ্রামের বায়তুশ শরফ আনজুমনে ইত্তেহাদ বাংলাদেশ এই পুরস্কার দিয়েছে।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামে অবস্থিত কেন্দ্রীয় বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে স্বর্ণপদকে ভূষিত করা হয়। এ ছাড়াও সমাজ সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য আরও তিনজনকে দেওয়া হয় এ সম্মাননা।

মাওলানা নদভী ছাড়াও স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত বাকি তিন ব্যক্তি হলেন, আরবি সাহিত্য চর্চায় বিশেষ অবদানের জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস, বরেণ্য শিল্পোদ্যোক্তা হিসেবে জাতীয় অর্থনীতিতে বিশেষ অবদানের জন্য এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম এবং মানবতাবাদী চিকিৎসক হিসেবে সকল শ্রেণির রোগীর কল্যাণ ও সমাজ সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সহসভাপতি ডা. তৈয়ব সিকদার।

সভাপতিত্ব করেন বায়তুশ শরফের পীর ও সংগঠনের সভাপতি শায়খ আল্লামা মুহাম্মদ আবদুল হাই নদভী। এতে উপস্থিত ছিলেন বায়তুশ শরফ মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষার্থী, সংগঠনের সদস্যসহ গুণীজনরা।




বাংলাদেশের হাফেজদের ভূয়সী প্রশংসা করলেন সৌদি রাষ্ট্রদূত

dnb news :

বাংলাদেশে কুরআন ও ধর্মীয় শিক্ষা যথেষ্ট অগ্রগামী মন্তব্য করে এর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান। এ বিষয়ে সৌদি সরকারের সবধরনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে সৌদি দূতাবাসের রিলিজিয়াস অ্যাটাসি অফিস কর্তৃক আয়োজিত হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সৌদি রাষ্ট্রদূত এ মন্তব্য করেন।

আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কৃতিত্বের প্রশংসা করে সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের ক্ষুদে হাফেজরা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতাতেও সবসময় ভালো অবস্থান করছে। গত বছর সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের সালেহ আহমাদ তাকরীম তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত প্রতিযোগীতাতেও বাংলাদেশের দুইজন ক্ষুদে হাফেজ পুরস্কার পেয়েছে। বাংলাদেশে কুরআনকেন্দ্রিক পড়াশোনার অবস্থান অনেক ভালো। এ দেশে প্রচুর হাফেজ, কারি ও আলেম রয়েছেন যা বিশ্বের অন্যান্য দেশে সাধারণত পাওয়া যায় না।

পবিত্র কুরআনের প্রচার প্রসারে সৌদি সরকারের অবদানের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ বলেন, সৌদি সরকার সারাবিশ্বে পবিত্র কুরআনের প্রচার প্রসারে বিভিন্ন কার্যক্রম করে থাকে। সে ধারাবাহিকতায় গত বছর শুধু বাংলাদেশেই ১০ লাখ কুরআনের কপি বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া হিফজ প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এখন অনন্য উচতায় রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও মানবিক সম্পর্কের দৃঢ় ভিত্তির ওপর ভিত্তি করে সৌদি-বাংলাদেশের মধ্যে গভীর ও দারুণ সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশ সৌদি আরবকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়, যা বাংলাদেশের জীবনযাত্রার মান ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রেখেছে। বাংলাদেশে সৌদি আরবের অনেক বিনিয়োগ রয়েছে। বাংলাদেশিদেরও সৌদি আরবে বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তা সাদওয়াদ সায়াদ, প্রতিযোগিতার বিচারক হুফফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শাইখ আব্দুল হক, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মিজানুর রহমান, সৌদি দূতাবাসের রিলিজিয়াস অ্যাটাসি অফিসের গণসংযোগ কর্মকর্তা ড. এমদাদুল হক খান, মাসউদুর রহমান, আবদুস সোবহান আজহারী প্রমুখ।

জানা যায়, রাজকীয় সৌদি দূতাবাসের রিলিজিয়াস অ্যাটাসি অফিস আয়োজিত হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা গত দুমাস ধরে চলে আসছে। প্রথমে বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চলে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বিভাগীয় পর্যায়ে এবং সর্বশেষ সোমবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ঢাকায় চুড়ান্ত প্রতিযোগিতা শেষে ১৫ পারা ও ৩০ পারা বিভাগে ৫ জন করে মোট ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সৌদি রাষ্ট্রদূত বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট, সনদপত্র ও সম্মানী হিসেবে নগদ টাকা তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে ১৫ পারা ও ৩০ পারা দুই গ্রুপে মোট ১০ শিক্ষার্থীকে পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রতিযোগিতায় ১৫ পারা গ্রুপে তানযিমুল উম্মাহ হিফজ মাদ্রাসার মো. শুয়াইব হাসান প্রথম, মৌলভীবাজারের মারকাজু তালিমুল কুরআন মাদ্রাসার আবদুল্লাহ তাইয়্যিব দ্বিতীয় ও সিলেটের জামিয়া ইসলামিয়া ফরিদাবাদের আবদুর রহমান জামী তৃতীয় হয়েছে।

এছাড়া উত্তর যাত্রাবাড়ী তাহফিজুল কুরআন ওয়াস সুন্নাহ মাদরাসার হুযায়ফা চতুর্থ ও নেত্রকোনার জামালুল কুরআন মাদ্রাসার আনাস মাহফুজ পঞ্চম হয়েছে।

৩০ পারা গ্রুপে রাজধানীর দক্ষিণখানের আন নূর মাদরাসার আবদুল্লাহ বিন নূর প্রথম, মিরপুরের মারকাযুত তানজিল মাদ্রাসার আনাস প্রধান দ্বিতীয় ও মারকাজু ফয়জিল কুরআনের শাহরিয়ার শাহরিয়ার তৃতীয় হয়েছে। এছাড়া একই মাদ্রাসার নুমান চতুর্থ ও নেত্রকোনার জামালুল কুরআন মাদ্রাসার মুস্তাকিম বিল্লাহ পঞ্চম হয়েছে।




স্কুলে নিকাব নিষিদ্ধ করলো মিসর

dnb news :

মিসরীয় সরকার আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে স্কুলে মুখ ঢেকে রাখে- এমন নিকাব নিষিদ্ধ করেছে। ৩০ সেপ্টেম্বর দেশটিতে শিক্ষাবর্ষ শুরু হচ্ছে। তখন থেকেই এই নিষেধাজ্ঞা চালু হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী রেদা হেজাজি সোমবার ঘোষণা করেছেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, শিক্ষার্থীরা ইচ্ছা করলে হেডস্কার্ফ পরতে পারবে। কিন্তু তাদের মুখ ঢেকে রাখা নিকাব পরতে পারবে না।

তিনি আরো বলেন, শিশুদের অভিভাবকদের উচিত হবে শিশুদের পছন্দের ব্যাপারে সচেতন থাকা। কোনোভাবেই বাইরের চাপের কাছে নতি স্বীকার করা যাবে না।

শিক্ষামন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেন, আরবি ভাষা, ধর্মীয় শিক্ষা এবং সামাজিক ও মনোস্তাত্ত্বিক শিক্ষার শিক্ষকদের ভূমিকা রয়েছে এতে। তাদেরকে বেশ সহমর্মিতা ও ভদ্রভাবে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করতে হবে। শিক্ষার্থীদের মানসিক ও তাদের বয়সকেও গুরুত্ব দিতে হবে।

মিসরে অনেক বছর ধরেই স্কুলে নিকাব পরা নিয়ে বিতর্ক চলছে। মিসরের সরকারি ও বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যেই নিকাব পরা নিষিদ্ধ করেছে।

কায়রো বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৫ সাল থেকে টিচিং স্টাফদের মুখ ঢাকা আবরণ পরা নিষিদ্ধ করেছে। ২০২০ সালে মিসরের একটি আদালত এই নিষেধাজ্ঞা অনুমোদন করেছে। সূত্র : টাইম নিউজ




‘হাফেজ রেজাউল হত্যাকারীদের শাস্তি ও পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে’

dnb news desk :

বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও ঢাকা মহানগর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেছেন, হাফেজ রেজাউল করীম একজন পথচারী ও নিরীহ নিরপরাধ মাদ্রাসাছাত্র। সে কোন দলীয় রাজনীতির সাথে যুক্ত নয়। তারপরেও তার উপরে যারা হামলা করে হত্যা করেছে তারা মানবতার শত্রু। শান্তি সমাবেশে নিজেরা নিজেরা সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার ঘটনারও নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। ঘৃণিত এই হত্যাকাণ্ডের চারদিন পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার তো দূরের কথা, সরকারের সরাষ্ট্রমন্ত্রী কিংবা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কারো থেকে এখন পর্যন্ত দোষীদের গ্রেফতার এবং বিচারের কোন আশ্বাসবাণীও শোনা যায়নি। অবিলম্বে রেজাউল করীম হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। শহীদ রেজাউল করীমের পরিবারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনসমূহের শান্তি সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় নিরীহ মাদ্রাসাছাত্র হাফেজ রেজাউল করিমের হত্যার বিচার ও যথাযথ ক্ষতিপূরণের দাবিতে বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র আন্দোলন কর্তৃক আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মঙ্গলবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি হাফেজ জাকির বিল্লাহর সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খেলাফত আন্দোলনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোফাচ্ছির হোসাইন, ঢাকা মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী আবুল হাসান কাসেমী, ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীনুর আলম, ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগর সভাপতি হাফেজ আব্দুর রহমান, জামিয়া নূরিয়া শাখা সভাপতি মেরাজুল ইসলাম, সহসভাপতি আলী হোসাইন প্রমূখ।