নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করল ইসলামী আন্দোলন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নির্বাচন কমিশন (ইসি) অভিমুখে ইসলামী আন্দোলনের গণমিছিল পুলিশের বাধায় পণ্ড হওয়ার পর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মুসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, বৃহস্পতিবার প্রতিটি জেলা, প্রতিটি মহানগরে ইসলামী আন্দোলন মিছিল করবে। সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন আমরা মেনে নেব না।

এর আগে, তফসিল ঘোষণার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম থেকে ইসি অভিমুখে গণমিছিল শুরু করে ইসলামী আন্দোলন। মিছিলটি পল্টন-কাকরাইল হয়ে শান্তিনগর মোড়ে আসলে পুলিশ সেখানে ব্যারিকেড দেয়। পরবর্তীতে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচি সমাপ্ত করে দলটি।

এ সময় মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ ভাইদের সঙ্গে আমাদের কোনো বিবাদ নেই। আমরা চাইলেই এই ব্যারিকেড ভাঙতে পারি। কিন্তু আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি।

এদিকে, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে নগরীতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তফসিল ঘিরে বিরোধীদলগুলো আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।

তিনি বলেন, নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন হলে পুলিশ সহযোগিতা করবে। কিন্তু আন্দোলনের নামে যদি কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়, তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

টঙ্গীর তুরাগ তীরে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম গণজমায়েত বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারিত হয়েছে। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে ৫৭ তম বিশ্ব ইজতেমা।

আজ বুধবার (১৫ নভেম্বর) সচিবালয়ে তাবলিগের দুই পক্ষের মুরব্বিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি জানান, তাবলিগ জামাতের আগামী বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে। ইজতেমার প্রথম পর্ব ২০২৪ সালের ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্ব ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি টঙ্গীর তুরাগ তীরে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম পর্বের ইজতেমায় আলমী শূরাপন্থী মুসল্লিরা অংশ নেবেন। তিন দিনের প্রথম পর্বের ইজতেমা শেষ হবে ৪ ফেব্রুয়ারি। ৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা। চলবে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এতে মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারী মুসল্লিরা অংশ নেবেন।

এর আগে, ৫৭ তম বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণে আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠকের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে যান তাবলিগের দুই পক্ষের মুরব্বিরা। এদের মধ্যে আলমী শূরাপন্থী মুরব্বিদের মধ্যে রয়েছেন মাওলানা কারী জুবায়ের আহমাদ, মাওলানা উমর ফারুক ও ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজ আহমেদ। এছাড়া মাওলানা সাদ কান্ধলভি অনুসারীদের পক্ষে রয়েছেন সৈয়দ ওয়াসিফ ইসলামসহ তিন জন।

প্রসঙ্গত, সাধারণত জানুয়ারিতে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। তবে এবছর জানুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তাই যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নির্বাচন শেষে ফেব্রুয়ারিতে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

উল্লেখ্য, ঢাকা থেকে ২২ কিলোমিটার উত্তরে টঙ্গী তুরাগ নদীর তীরে টঙ্গীর বিশাল ময়দানে তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা ১৯৬৭ সাল থেকে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ২০১১ সাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। আগামী ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব ইজতেমার ৫৭তম আয়োজন।




গাজ্জার জন্য বাংলাদেশের পাঠানো ত্রাণের প্রথম চালান রেড ক্রিসেন্টের কাছে হস্তান্তর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের গাজ্জার জনগণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঠানো মানবিক সহায়তার চালানটি মিশরের রেড ক্রিসেন্টের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) মিশরীয় রেড ক্রিসেন্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. রামি এল নাজেরের কাছে এ ত্রাণ সামগ্রী হস্তান্তর করেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ।

কায়রোর বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, মানবিক সহায়তার মধ্যে ছিল ৩২ কার্টন শুকনো খাদ্যসামগ্রী। গত ২২ অক্টোবর মানবিক সহায়তার চালানটি ইজিপ্ট এয়ারওয়েজের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে ঢাকা থেকে কায়রো বিমানবন্দরে পৌঁছে। মিশরীয় সরকারের অনুমতি এবং অন্যান্য দাপ্তরিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে গত ৮ নভেম্বর বিমানবন্দর থেকে চালানটি সংগ্রহ করে দূতাবাসে আনা হয়।

দূতাবাস জানায়, বাংলাদেশ সরকারের পাঠানো দ্বিতীয় ও তৃতীয় মানবিক সহায়তা (ওষুধ সামগ্রী) কায়রো বিমানবন্দরে পৌঁছেছে। যা দূতাবাসের সব ধরনের কূটনৈতিক ও দাপ্তরিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার প্রয়াসে নিয়োজিত আছে। খুব শিগগিরই সহায়তা সামগ্রী গাজ্জায় পাঠানো হবে।

কায়রোর বাংলাদেশ দূতাবাস বলছে, বিভিন্ন দেশ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে আসা বিপুলসংখ্যক মানবিক সহায়তার চাপের কারণে কায়রো বিমানবন্দরে পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে সব দেশ ও সংস্থাকে অনেক সময় ব্যয় করতে হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, মিসর থেকে রাফাহ সীমান্তের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য গাজ্জায় সহায়তা পাঠানোর কাজে নিয়োজিত রয়েছে মিশরীয় রেড ক্রিসেন্ট। ফিলিস্তিনি জনগণের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিতে মিশর সরকারের নিয়োজিত প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছে সংস্থাটি।
সূত্র: ইনসাফ




গাজায় ইসরাইলি হত্যাযজ্ঞের বৈধতা নেই: ম্যাক্রন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন আবারো অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের গণহত্যা এবং বর্বর অপরাধযজ্ঞের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, গাজায় ইসরাইল যা করছে তার কোনো বৈধতা বা যৌক্তিকতা নেই।

প্রেসিডেন্টের ম্যাক্রনের এই বক্তব্যের মধ্যদিয়ে মূলত ইহুদিবাদী ইসরাইলের ওপর পশ্চিমা চাপ প্রকাশ্য হলো। এর আগে গত শুক্রবার বিবিসি-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হাতে শিশু হত্যার কঠোর সমালোচনা করেছিলেন।

নতুন এক সাক্ষাৎকারের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রন পরিষ্কার করে বলেছেন, “এইসব শিশু, নারী এবং বৃদ্ধদের বোমা মেরে হত্যা করছে ইসরাইল। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ডের কোনো বৈধতা নেই। ফলে আমরা শিগগিরই এই যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানাই।”

গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে সারা বিশ্বে ইসরাইল-বিরোধী জনমত গড়ে উঠেছে এবং ইসরাইলি বর্বর আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যাপক বিক্ষোভ সমাবেশ হচ্ছে।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এর আগে ইসরাইলের বিরুদ্ধে একই ধরনের বক্তব্য দিলেও ইসরাইলের ক্ষোভ ও প্রতিবাদের মুখে অনেকটাই পিছু হটেন। তারপরেও ম্যাক্রন নতুন করে গাজা যুদ্ধের ব্যাপারে ইসরাইলকে সমালোচনা করে বক্তব্য দিলেন।#

সুত্র: পার্সটুডে




আজ বিকালে ইসি অভিমুখে গণমিছিল করবে ইসলামী আন্দোলন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

একতরফা তফশিল ঘোষণার প্রতিবাদে নির্বাচন কমিশন (ইসি) অভিমুখে গণমিছিল করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আজ বুধবার বিকাল ৩টায় বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে জমায়েত হবেন দলটির নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণমিছিল শুরু করবেন তারা।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গণমাধ্যম সমন্বয়ক শহিদুল ইসলাম কবির স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে আজ এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, গণমিছিলে নেতৃত্ব দিবেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী।

এর আগে গত রোববার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম নির্বাচনি তফশিল ঘোষণার দিন নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণমিছিল করার ঘোষণা দেন।




ফিলিস্তিনিরা স্বাধীনতার জন্য লড়ছে, ইসরাইল তাদের গোলাম বানাতে চায়: মাওলানা আরশাদ মাদানি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ভারতের উত্তর প্রদেশের দেওবন্দে অনুষ্ঠিত জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের একদিনের সম্মেলনে জমিয়তের জাতীয় সভাপতি মাওলানা সাইয়্যেদ আরশাদ মাদানি ফিলিস্তিন-ইসরাইল যুদ্ধ, ক্রমবর্ধমান সাম্প্রদায়িকতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে জোরালো বক্তব্য দিয়েছেন।

গতকাল (সোমবার) অনুষ্ঠিত জমিয়তের ওই সম্মেলনে এর পাশাপাশি মাওলানা মাদানি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে মুসলিম মেয়েদের টার্গেট করার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং মেয়েদের জন্য আলাদা স্কুল ও কলেজ খোলার জন্য মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

সোমবার দেওবন্দের মাদানি মেমোরিয়াল পাবলিক স্কুলে আয়োজিত একদিনের সম্মেলনে পশ্চিম উত্তর প্রদেশের ১৭টি জেলার দেড় হাজারেরও বেশি জমিয়ত কর্মকর্তা শামিল হয়েছিলেন। এতে মাওলানা আরশাদ মাদানি বলেন, ‘যেভাবে ভারতের স্বাধীনতার জন্য জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল, ঠিক একইভাবে ফিলিস্তিনিরা নিজেদের জন্য ইসরাইলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। ফিলিস্তনিরা তাদের দেশ ও জনগণকে বাঁচাতে আত্মত্যাগ করছে। ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ আরব দেশগুলোতে পৌঁছালে তার পরিণতি হবে ভয়াবহ।’

মাওলানা মাদানি বলেন, ফিলিস্তিন-ইসরাইল যুদ্ধের কারণে দেশে সাম্প্রদায়িকতা বেড়েছে। ফিলিস্তিনি জনগণ তাদের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছে, অন্যদিকে ইসরাইল তাদের ক্রীতদাস বানাতে চায়। তিনি বলেন, কোনো দেশের স্বাধীনতা দুধ পান করে নয়, আত্মত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত হয়। ইসরাইলের বর্বর কর্মকাণ্ডে নিরীহ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। এমনকী নিষ্পাপ শিশুদেরও রক্ত ঝরানো হচ্ছে, কিন্তু কেউ সত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারবে না এবং সত্য হল ফিলিস্তিন স্বাধীন হবেই।

এর আগে মাওলানা মাদানি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলন প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘গোটা বিশ্ব জানে ইসরাইল একটি দখলদার এবং তারা ফিলিস্তিনি ভূমি অবৈধভাবে জোর করে দখল করেছে, যার মুক্তির জন্য ফিলিস্তিনি জনগণ দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রাম করে আসছে। যারা দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করে তাদেরকে মুক্তিযোদ্ধা বলা হয়, তারা সন্ত্রাসী নয়।’

জমিয়তের সম্মেলনে সোমবার মাওলানা আরশাদ মাদানি দেশে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ সৃষ্টিকারীদের টার্গেট করে বলেন, যারা সাম্প্রদায়িকতার স্লোগান দিচ্ছেন তাদের ভাবতে হবে এতে দেশ সমৃদ্ধ হবে না বরং ধ্বংস হবে। তাই সকলের উচিত দেশকে এ পথে চলা থেকে বিরত রাখা। তিনি বলেন, দেশের অবস্থা এতটাই খারাপ যে ছোট গাড়ির সামান্য ধাক্কা লাগলে এমনকি হত্যাও করা হয়।

মাওলানা মাদানির অভিযোগ- দেশে মুসলিম মেয়েদের ধর্মান্তরিত করার ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি বলেন, এটা পরিষ্কার যে হিন্দু ধর্মে এক বর্ণের বিয়ে অন্য বর্ণের সঙ্গে হতে পারে না। তাহলে মুসলিম মেয়েদের টার্গেট করা হচ্ছে কেন? তাই মুসলমানদের উচিত তাদের মেয়েদের জন্য আলাদা স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠা করা।

এ প্রসঙ্গে আজ (মঙ্গলবার) জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের পশ্চিমবঙ্গের সম্পাদক মুফতি আব্দুস সালাম রেডিও তেহরানকে বলেন, ‘জমিয়তের সর্বভারতীয় সভাপতি মাওলানা আরশাদ মাদানি সাহেব যে কথা বলেছেন, সেটা বরাবরই জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের অবস্থান। যখন থেকে ফিলিস্তিন-ইসরাইলের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে, তখন থেকেই জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ এই মর্মে যে প্রস্তাব পাস করেছে যে ফিলিস্তিন হল ফিলিস্তিনবাসীদের। সেখান থেকে তাদেরকে উৎখাত করা, তাদেরকে শরণার্থী বানিয়ে দেওয়া, এটা চরম অন্যায়। ফিলিস্তিন ফিলিস্তিনবাসীদেরই, তাদের সেখানে নিয়ন্ত্রণের অধিকার থাকবে। এবং সেই লড়াই তারা করছে। জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের ওই বিষয়ে সমর্থন আছে এবং থাকবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটা নতুন কিছু নয়, মাওলানা আরশাদ মাদানি সাহেব যেটা বলেছেন, এটা জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের অবস্থান। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশই এই একই কথা বলছে। কেবলমাত্র ইসরাইল এবং তার সমর্থক দেশগুলো এই মর্মে ভেটো দিচ্ছে। যার ফলে এত রক্ত ঝরছে। এত অন্যায় হচ্ছে, এত অবিচার হচ্ছে। জননিধন, মানবতার নিধন সারা পৃথিবী দেখছে। সারা পৃথিবীর সাধারণ মানুষ তার বিরুদ্ধে সোচ্চারও হচ্ছে। সরব প্রতিবাদ সারা পৃথিবীতে হচ্ছে। জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ সরব প্রতিবাদ করেছে। আমরা রাজ্য জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের পক্ষ থেকে এরইমধ্যে দু’দফায় প্রতিবাদ মিছিল করেছি। এর সমাধান দ্রুত হওয়া দরকার, যদি এর সমাধান না হয় তাহলে জটিলতা আরও বাড়বে, সারা পৃথিবী তাতে অস্থির ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে’ বলেও মন্তব্য করেছেন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের পশ্চিমবঙ্গের সম্পাদক মুফতি আব্দুস সালাম।#

সূত্র: পার্সটুডে




ইসরাইলকে টিকিয়ে রাখতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করছে আমেরিকা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি বলেছেন, দখলদার ইসরাইলকে টিকিয়ে রাখার জন্য মার্কিন সরকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। দখলদার ইসরাইলকে যেসব দেশ অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করে আমেরিকা তার প্রধান।

সৌদি আরবে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা বা ওআইসির বিশেষ জরুরি বৈঠকে যোগদান শেষে আজ (রোববার) সকালে দেশে ফিরে বিমানবন্দরের সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে ওআইসির এ বিশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইল বর্বর গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ চালানোর মধ্যে সৌদি আরবে ওআইসি’র এই বিশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো।

সম্মেলনে দেয়া বক্তৃতায় ইরানি প্রেসিডেন্ট বলেন, গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইল যে বর্বর আগ্রাসন ও অপরাধযজ্ঞ চালাচ্ছে তার পেছনে মূল অপরাধী হচ্ছে আমেরিকা।

ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের দৃঢ় দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট রায়িসি বলেন, “সৌদি সফরে আমি ইরানি জাতি এবং যারা রাস্তায় ফিলিস্তিনিদের অধিকার নিয়ে স্লোগান দিচ্ছে তাদের কণ্ঠস্বর হওয়ার চেষ্টা করেছি।”

প্রেসিডেন্ট রায়িসি বলেন, “ইসলামী বিপ্লব বিজয়ের পর থেকে ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার সম্পর্কে ইরানের সুস্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, একইসাথে ইসরাইল সরকারকে একটি ভুয়া এবং দখলদার সরকার বলে বিবেচনা করে তেহরান।”#

সূত্র: পার্সটুডে




ফিলিস্তিনি শ্রমিকদের সরিয়ে ১ লাখ ভারতীয় শ্রমিক নেওয়ার পরিকল্পনা ইসরাইলের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইহুদিবাদী ইসরাইলি নির্মাণ সংস্থাগুলো তাদের সরকারকে বলেছে যে তারা ৯০ হাজার ফিলিস্তিনির পরিবর্তে ১ লাখ ভারতীয় শ্রমিক নিয়োগ করতে চায়। তাদের এ জন্য অনুমতি দেওয়া হোক।

গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরাইলে কর্মরত ৯০ হাজার ফিলিস্তিনি শ্রমিকের পারমিট বাতিল করা হয়েছে। এ কারণে ইসরাইলে নির্মাণ সংক্রান্ত যাবতীয় কাজে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। প্রসঙ্গত, ভারতীয় শ্রমিকরা উপসাগরীয় দেশগুলোতে আধুনিক শহর গড়ে তুলেছেন, এজন্য ইসরাইলি সংস্থাগুলো তাদের পরিশ্রমে আস্থা রেখেছে। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের পাঠানো হবে কী না তা স্পষ্ট হয়নি।

গণমাধ্যমে প্রকাশ- ইসরাইলি বিল্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হাইম ফিগলিন বলেছেন, ‘আমরা ভারতের সঙ্গে আলোচনা করছি। আমরা শ্রমিকদের অনুমোদনের জন্য ইসরাইল সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছি। ভারত থেকে আমাদের ৫০ হাজার/এক লাখ শ্রমিক দরকার। ভারতীয় শ্রমিকরা ইসরাইলে গেলে সেখানে বড় পরিসরে কর্মসংস্থান হবে। এ ছাড়া তাদের পাঠানো অর্থ অর্থনীতিতে অবদান রাখবে।

কিন্তু ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওই বিষয়ে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। ভারত শ্রমিকদের ইসরাইলে যেতে দেবে কিনা তা এখনও জানা যায়নি, তাও আবার এমন সময়ে যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চল থেকে ভারতীয়দের সরিয়ে নেওয়ার অপারেশন অজয় এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। ফিগলিন বলেছেন, ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলের নির্মাণ শিল্পের প্রায় ২৫ শতাংশ। এর মধ্যে ১০ শতাংশই গাজা থেকে এসেছেন। বাকিরা পশ্চিম তীরের।

এদিকে, চলমান যুদ্ধের মধ্যে আচমকা শ্রমিকের চাহিদা বৃদ্ধি পেলেও, ইসরাইল আগে থেকেই ভারতীয় শ্রমিকদের এনে ফিলিস্তিনি শ্রমিকদের সরাতে চেয়েছিল। জানা গেছে, চলতি বছরের মে মাসে ভারত ইসরাইলের সাথে একটি সমঝোতা করেছিল, যাতে ৪২ হাজার ভারতীয় শ্রমিককে ইসরাইলে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হবে। নার্সিংয়ের পাশাপাশি নির্মাণ ক্ষেত্রেও কাজ করবেন এসব মানুষ। মে মাসে ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেনের ভারত সফরের সময় এই সমঝোতা হয়েছিল। তারপর প্রথমবারের মতো ইসরাইলের নির্মাণ খাত ভারতীয়দের জন্য উন্মুক্ত হয়। এই চুক্তি সইয়ের আগে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রস্তুতি চলছিল।

বিশ্লেষকদের মতে, ভারভারত ও ইসরাইলের মধ্যে শ্রমিকদের বা পরিসেবা ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের পাঠানোর চুক্তি শান্তিকালীন সময়ে করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে ইসরাইলের পক্ষ থেকে শ্রমিকের যে দাবি তা কর্মসংস্থানের চেয়ে ফিলিস্তিনি শ্রমিকদের শিক্ষা দেওয়ার জন্যই বেশি। বেশিরভাগ ফিলিস্তিনি শ্রমিক কাজে ফিরতে চাইলেও ইসরাইল তাদের ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করায় তারা কাজ হারিয়েছেন।#

সুত্র: পার্সটুডে




সন্ত্রাসী ইসরায়েলের ১৩৬ ট্যাংক ধ্বংস, ১০০০ সেনা নিহত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

গত ২৭ অক্টোবর রবিবার সকাল থেকে গাজা উপত্যকায় বিভিন্ন অঞ্চলে দখলদার ইসরায়েল সেনারা স্থল অভিযান শুরু করে৷
হামাস সেনারা ও তুমুল প্রতিরোধ গড়ে তুলে৷ আকাশ পথে বিমান হামলা করে ঘর বাড়ি ধ্বসিয়ে দিয়ে গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করে হামাসকে নির্মূল করতে তারা যতটা সহজ ভেবেছিল, আসলে অতটা সহজ নয়৷ হামাস যোদ্ধাদের শক্ত প্রতিরোধ এবং ফাঁদে পড়ে দখলদার সেনারা এখন বিপর্যস্ত৷

প্রতিদিনই প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির শিকার হচ্ছে৷ যদিও তারা হতাহতের সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে৷ ইসরায়েলের অফিসিয়াল হিসেবে স্থলঅভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত নিহত সেনার সংশ্যা ৩৪, ৭ ই অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত নিহত সেনার সংখ্যা ৩৫০, সাজোয়া যান ও ট্যাংক ধ্বংস হয়েছে ৩৬টি৷ কিন্ত গতকাল (৮/১১/২৩ বুধবার) আলজাজিরা ও স্টেপ নিউজ এজেন্সীর প্রতিবেদন উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য৷

প্রতিবেদনটির তথ্যানুযায়ী স্থলঅভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে ৮/১১/২৩ পর্যন্ত ১৩৬ টি সামরিক যান ধ্বংস করেছে হামাস সেনারা৷ ৭অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার দখলদার ইসরায়েলি সেনাকে হত্যা করেছে৷ সামরিক গবেষক ও বিশ্লেষকদের থ্যানুযায়ী প্রতিটি ট্যাংকে ৩/৪ করে সেনা থাকে, সাজোয়া যানে থাকে অন্তত ১০/১৫ জন করে৷ সে হিসেবে হতাহতের সংখ্যা হিসেব করলে আরো বেশি হয়৷

মারকাভা ব্যাটেল ট্যাংক ইসরাইলের স্টান্ডার্ড ব্যাটেল ট্যাংক।এবং এটাকে ইসরাইলের সমর সক্ষমতার বা দম্ভের প্রতীক হিসাবে গন্য করা হয় ।১৯৮০ সালে সার্ভিসে আসার পর থেকে প্রায় ২২ বছর এই ট্যাংক ছিলো অজেয়। কিন্ত হামাস যোদ্ধাদের রকেট ও মর্টার শেলের আঘাতে তা এমনভাবে ধ্বংস হচ্ছে যা রিতীমত দখলদারদের অবাক করে দিয়েছে৷ সামরিক বিশ্লেষকরা ও ভেবে পাচ্ছেনা যে এটা কী করে সম্ভব? তবে কি আল্লাহ হামাস মুজাহীদদেরকে সাহায্য করছেন? এমনই তথ্য ওঠে এসেছে বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ এবং সাংবাদিক ও খোদ ইহুদী কমাণ্ডারদের বক্তব্য থেকে৷ তাদের দাবী, যখনি ইসরায়েল সেনারা গাযায় প্রবেশ করতে যাচ্ছে তখনি কোথা থেকে হঠাৎ যোদ্ধারা বের হয়ে ট্যাংক গুড়িয়ে দিয়ে উধাও হয়ে যাচ্ছে৷ তারা শুধু তাদের ছায়া ই দেখতে পাচ্ছে৷

গতকাল আলজাজিরা তার ইউটিউব চ্যানেলে ইজ্জুদ্দী আল-কাসাম ব্রিগেডের সামরিক মুখপাত্র, “আবু উবাইদা”র একটি ১০মিঃ ভিডিও বার্তা শেয়ার করে৷ তিনি বলেন,
আলহামমদুলিল্লাহ, আল্লাহর রহমত এবং তাঁর সাহায্য আমাদের মুজাহিদরা দখলদারদের ১৩৬ টি যুদ্ধযান পুরোপুরি বা অনেকাংশে ধ্বংসে করেছে৷ প্রচুর সংখ্যক দখলদার সেনাকে হত্যা করেছে৷

আমাদের মুজাহিদরা বিরত্বের সাথে গাজার উত্তর-পশ্চিম এবং দক্ষিণে সমস্ত স্থল আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই এবং মোকাবিলা করতে থাকবে। ফাঁদে ফেলে তারা জিরো পয়েন্ট দুরত্ব থেকে ট্যাংক ধ্বংস করছে৷ মর্টার শেল ও রকেটের আঘাতে বিল্ডিং ও দেয়ালের পাশে লুকিয়ে থাকা সৈন্যদেরকে হত্যা করছে৷ আমাদের মুজাহিদরা শত্রুদের সম্মুখ ও পিছন দিক থেকে আক্রমণ করে বিপর্যস্ত করে তুলছে৷

তিনি আরো বলেন, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের ৩৩ দিন পরেও আল-কাসাম মুজাহিদরা এখনও মোকাবিলা করতে সক্ষম৷ আমাদের মুজাহীদরা দখলদারদের আগ্রাসন প্রতিহত করার জন্য ময়দানে প্রদর্শন বীরত্ব প্রদর্শন করেছে তা প্রত্যেক আরব মুসলিম এবং পৃথিবীর সকল স্বাধীন মুসলিমদের জন্য গর্ব৷

তিনি প্রতিরোধের জন্য বিশ্বমুসলিমদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা পশ্চিম তীর, গাজা এবং জেরুজালেমে এবং সমস্ত ফ্রন্ট এবং অঙ্গনে দখলদারদের প্রতি আমাদের ক্রোধ প্রতিরোধের আসন্ন নতুন কিছু ঘটার ঘোষণা করছি।”

সরকারী হিসাব মতে ৭ অক্টোবর থেকে নিয়ে এ পর্যন্ত ১৫৩৮ জনেরও বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়েছে এবং ৫৪৩১জন আহত হয়েছে। বন্দি হয়েছে ২৪২ জনেরও বেশি৷ এই বন্দিদের বিনিময়ে হামাস যোদ্ধারা দখলদারদের কাছে বন্দী থাকা শিশু ও মহিলা সহ ৬০০০ফিলিস্তিনি বন্দীদের বিনিময় করতে চায়।

যুদ্ধের ৩৩তম দিনেও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় গণহত্যা এবং ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ চালাচ্ছে, যাতে যুদ্ধের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ৪২৩৭ জন শিশু এবং ২৭১৯ জন মহিলা সহ ১০৩২৮ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছে এবং প্রায় ২৬০০০আহত হয়েছে।
এদিকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ১৬৩ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছে এবং ২২১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সূত্র: আল-জাজিরা




ইসরাইলকে থামাতে ব্যর্থ হলে আমেরিকাকে কঠোর আঘাত করা হবে: ইরান

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল আশতিয়ানির হুঁশিয়ারি

ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আমেরিকাকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন, মার্কিন সরকার যদি অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে ইসরাইলের বর্বর যুদ্ধ মেশিন বন্ধ করতে ব্যর্থ হয় তাহলে ওয়াশিংটনকে চড়া মূল্য দিতে হবে। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মাদ রেজা আশতিয়ানি গতকাল (রোববার) তেহরানে এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

তিনি বলেন, “মার্কিনীদের প্রতি আমাদের উপদেশ হচ্ছে, অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করে একটি অস্ত্রবিরতি প্রতিষ্ঠা করা হোক। তা না হলে আমেরিকার বিরুদ্ধে কঠোর আঘাত হানা হবে।” তিনি বলেন, “আমরা সব সময় ইহুদিবাদী সরকারের প্রতি সমর্থন করা থেকে বিরত থাকার জন্য আমেরিকাকে পরামর্শ দিয়ে এসেছি।”

ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, পশ্চিম এশিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বেশ কিছু কৌশলগত ভুল করেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ওয়াশিংটন ইরানকে যে বার্তা পাঠিয়েছে তা মার্কিন সরকারের ভয় ও হতাশা থেকে উৎসারিত। জেনারেল আশতিয়ানি বলেন, মার্কিনীরা এখন ইসরাইলিদের সঙ্গে [গাজা উপত্যকার] জলাভূমিতে হাবুডুবু খাচ্ছে এবং সেখান থেকে বেরিয়ে আসার জন্য তড়পাচ্ছে।

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের অভ্যন্তরে আকস্মিক অভিযান পরিচালনা করার পর ইহুদিবাদী ইসরাইল তার বর্বর যুদ্ধ মেশিন চালু করে। সেদিন থেকে এ পর্যন্ত দখলদার সেনাদের পাশবিক হামলায় ৪,৮০০ শিশু ও ২,৫৫০ নারীসহ ৯,৭৭০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজার ২৩ লাখ অধিবাসীর জ্বালানী, বিদ্যুৎ, খাদ্য ও খাবার পানির সরবরাহ লাইন বন্ধ করে দিয়েছে তেল আবিব। ইসরাইল গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করার পর ইরাক ও সিরিয়ায় অবস্থিত মার্কিন সেনা ঘাঁটিগুলোর ওপর প্রতিরোধ যোদ্ধারা ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছেন।

এদিকে, গত ১ নভেম্বর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী গাজা উপত্যকার ওপর বর্বরতা বন্ধ করতে ইসরাইলকে বাধ্য করার জন্য তেল আবিবের কাছে তেল ও অন্যান্য পণ্য রপ্তানি বন্ধ করে দিতে মুসলিম দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।#

সূত্র: পার্সটুডে