জাতীয়করণ হচ্ছে ৫৫০ ইমাম-মুয়াজ্জিনের চাকরি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

দেশের ৩৫০টি সরকারি কলেজ মসজিদের ৫৫০ জন ইমাম-মুয়াজ্জিন ও খাদেমের চাকরি জাতীয়করণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

রোববার (৩০ নভেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে কলেজে কর্মরত এসব ধর্মীয় কর্মীর নামের তালিকা ও নিয়োগ-সংক্রান্ত কাগজপত্র সাত কর্মদিবসের মধ্যে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চাহিদা অনুসারে সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমদের চাকরি আত্তীকরণের (জাতীয়করণ) লক্ষ্যে ‘মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা’ অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় নথি পাঠাতে হবে।

নির্দেশনা অনুযায়ী, ৩৫০টি সরকারি কলেজ মসজিদে কর্মরত মোট ৫৫০ জন সংশ্লিষ্ট কর্মীর পূর্ণাঙ্গ নামের তালিকা এবং তাদের নিয়োগ-সংক্রান্ত কাগজপত্র আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে মাউশিতে পাঠাতে হবে। এজন্য সরকারি কলেজের অধ্যক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।




তাবলিগ জামাতের পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমায় সাথীদের ঢল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

তাবলিগ জামাতের পুরানো সাথীদের নিয়ে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে চলছে পাঁচ দিনের জোড়। এতে তাবলিগের সাথীদের ঢল নেমেছে। পরিবেশ, প্রস্তুতি ও মেহমানদের আগমন—সব মিলিয়ে যেন জোড় নয়, বিশ্ব ইজতেমার আবহই সৃষ্টি হয়েছে মাঠজুড়ে।

আল্লাহর রাস্তায় দাওয়াত, তালিম ও আত্মশুদ্ধির উদ্দেশ্যে আয়োজিত এ পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা ঘিরে দেশজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক আগ্রহ। ৬৪টি জেলা থেকে প্রায় দুই লাখ পুরাতন সাথী ও তাবলিগের সময় লাগানো ওলামায়ে কেরাম ইতোমধ্যেই উপস্থিত হয়েছেন।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ি নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান।

তিনি বলেন, ‘তাবলিগের কাজের সৌন্দর্য বড় আয়োজন নয়—বরং সবার ইখলাস, নিঃস্বার্থ নিয়ত, খেদমত ও দাওয়াতি ত্যাগ। জোড় ইজতেমায় শুধু তিন চিল্লার সাথী ও কমপক্ষে এক চিল্লা সময় দিয়েছেন এমন ওলামায়ে কেরামের মিলনমেলা হলেও নতুন–পুরনো সবাইকে আত্মগঠনের এক অনন্য সুযোগ এনে দেয়।’

এখানে গত এক বছর তারা কী মেহনত করেছেন এর কারগুজারি বড়দের শোনান  এবং মুরব্বিরা কারগুজারি শোনার পরে তাদের আগামী এক বছর কীভাবে মেহনত করবে তার দিক নির্দেশনা বা রাহাবারি দেন।

এবারের জোড় ইজতেমায় ১৯টি দেশের মোট ৭০০ জন বিদেশি মেহমান বর্তমানে টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে অবস্থান করছেন।

উপস্থিত দেশসমূহ হলো— পাকিস্তান, ভারত, কিরগিস্তান, কানাডা, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, ইয়েমেন, চীন, সৌদি আরব, তিউনিসিয়া, যুক্তরাজ্য, ইতালি, নাইজার, আফগানিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, জাপান, সিংগাপুর ও অস্ট্রেলিয়া।

হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, বিদেশি মেহমানদের জন্য বিশেষ ভাষাগত তালীম, নিরাপত্তা এবং মৌলিক সেবাসহ সবধরনের ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হয়েছে, যাতে তারা নির্বিঘ্নে দাওয়াতি কার্যক্রমে অংশ নিতে পারেন।

আধ্যাত্মিক পরিবেশে মুখর টঙ্গী, ময়দানের প্রতিটি খিত্তায় বয়ান, চলছে এখান থেকে নগদ চিল্লার জামাত বের করার প্রস্তুতি।

আগামী ২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এবারের ৫ দিনের জোড় ইজতেমা সমাপ্ত হবে।




আবুল সরকারের শাস্তির দাবিতে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

বাউল আবুল সরকারের মহান আল্লাহ, কুরআন ও ইসলাম নিয়ে চরম কটূক্তির প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিপুলসংখ্যক তৌহিদি জনতা অংশগ্রহণ করেন।

শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) বাদ জুমা রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর পল্টন জোনের উদ্যোগে এই সমাবেশ ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হেফাজতের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব বলেন, আবুল সরকার যে ধৃষ্টতা দেখিয়েছে, তা কোনো মুসলমান কখনো মেনে নিতে পারে না। এটি শুধু ধর্ম অবমাননা নয়, বরং মুসলমানদের ঈমানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য আঘাত। আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল জোনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুফতি জুবায়ের রশিদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী ও মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মাস‌উদ খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়।

আরো বক্তব্য রাখেন, মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, মাওলানা মুহিউদ্দীন রব্বানী, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মুফতি ফখরুল ইসলাম,মুফতি জাবের কাসেমী, মাওলানা মুহাম্মদ ফয়সাল, মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা হোসাইন আকন্দ, মুফতি খলিলুর রহমান, মাওলানা জুবায়ের আহমদ, মাওলানা আব্দুর রহমান, মাওলানা দেলাওয়ার আজমী, মুফতি আসাদুল্লাহ জাকির প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, যারা এই অপরাধীকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে, কিংবা তৌহিদী জনতার বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা দিয়েছে, তাদেরকেও মনে রাখতে হবে—এই দেশের ঈমানদার জনতা নিঃশব্দে বসে থাকবে না। যদি অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার ও আবুল সরকারের বিচার না হয়, তাহলে তৌহিদী জনতা রাজপথে নামবে এবং প্রয়োজনে দেশ অচল করে দেওয়া হবে।

বক্তারা সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ধর্মদ্রোহীদের রক্ষা করা মানেই ইসলামবিদ্বেষীদের মদদ দেওয়া। মুসলমানরা তা কখনো মেনে নেবে না। ইনশাআল্লাহ, এই জাতি উপযুক্ত জবাব দিতে জানে।




দাওরায়ে হাদিস সনদধারীদের কর্মসংস্থানে তিন মন্ত্রণালয়কে ধর্ম উপদেষ্টার ডিও লেটার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ ডিগ্রি দাওয়ায়ে হাদিসকে ২০১৮ সালে মাস্টার্স সমমান দিয়েছে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। তবে সাত বছরেও এই সনদ কার্যকারিতা পায়নি। সরকারি কিছু দফতরে এই সনদ গ্রহণ করার কথা থাকলেও সেটা করা হয়নি। সনদের স্বীকৃতি দেওয়া আওয়ামী লীগ সরকার ইতোমধ্যে বিদায় নিয়েছে গণঅভ্যুত্থানে। প্রায় দেড় বছর ধরে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায়। এই সরকারের আমলে কওমি সনদের স্বীকৃতি বাস্তবায়নের দাবি উঠছে নানা মহল থেকে। কিছু ক্ষেত্র নির্ধারণ করে এই সনদের কার্যকারিতার সুপারিশ করেছে কওমি মাদরাসার বোর্ডসমূহের সর্বোচ্চ অথরিটি আল-হাইয়্যাতুল উলয়া লিল-জামিয়াতিল কওমিয়াও।

এবার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে মূল্যায়ন এবং কিছু ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে উদ্যোগী হয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। যদিও বিষয়টি তার মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন নয়, তবু তিনি এর কার্যকারিতার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। এই ধারাবাহিকতায় তিনি তিন মন্ত্রণালয়ে ডিও লেটার বা আধা সরকারি চিঠি পাঠিয়েছেন।

ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে তিনটি ডিও লেটার পাঠিয়েছেন। সেখানে তিনি দাওরায়ে হাদিসের সনদধারীদের কর্মসংস্থানের ব্যাপারে সুপারিশ করেছেন।

শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরারকে লেখা চিঠিতে ধর্ম উপদেষ্টা উল্লেখ করেন-

আপনি নিশ্চয় অবগত রয়েছেন যে, বাংলাদেশে প্রায় ২০ হাজারের অধিক কওমি মাদরাসা রয়েছে। এসকল মাদরাসা হতে প্রতি বছর উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিক্ষার্থী দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) এর সনদ লাভ করে থাকেন। গত ১০/০৯/২০১৮ খ্রি. মহান জাতীয় সংসদে ‘আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীন কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) এর সমমান প্রদান আইন, ২০১৮’ পাস হয় এবং তা একই তারিখে বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রকাশিত হয়।

আপনার মন্ত্রণালয়াধীন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ইসলাম শিক্ষা’ পাঠ্য বই চালু আছে। মাধ্যমিক স্তরে ইসলাম শিক্ষা পাঠদানের জন্য ‘সহকারী শিক্ষক (ধর্ম)’ নিয়োগদান করা হয়ে থাকে। আরবি বা ইসলাম শিক্ষা বিষয়ে চার বছর মেয়াদি স্নাতক (সম্মান) বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীদেরকে বর্ণিত পদে নিয়োগ দানের বিধান রয়েছে। উল্লিখিত পদে নিয়োগ লাভের যোগ্যতা হিসেবে কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) এর সনদকে অন্তর্ভুক্ত না করার কারণে দাওরায়ে হাদিস সনদধারীরা উক্ত পদে নিয়োগ লাভের জন্য আবেদন করতে পারছেন না। ফলে ‘আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীন কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) এর সমমান প্রদান আইন, ২০১৮’ এর কোনো সুফল দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) এর সনদধারীরা অদ্যাবধি পাননি। এতে আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে এবং কওমি অঙ্গনের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বর্ণিতাবস্থায় ‘আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীন কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) এর সমমান প্রদান আইন, ২০১৮ বাস্তবায়ন এবং দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) এর সনদধারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে আপনার মন্ত্রণালয়াধীন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে ‘সহকারী শিক্ষক (ধর্ম)’ বা অনুরূপ পদসমূহে নিয়োগদানের ক্ষেত্রে দাওরায়ে হাদিস সনদধারীদের নিয়োগ দানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে আপনার ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও সহযোগিতা কামনা করছি।

একই বিবরণ সম্বলিত আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলকে লেখা চিঠিতে বলা হয়, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) বিধিমালা, ২০০৯ অনুসারে নিকাহ রেজিস্ট্রারের লাইসেন্স প্রদান করা হয়ে থাকে। উল্লিখিত বিধিমালায় নিকাহ রেজিস্ট্রারের লাইসেন্স পাবার যোগ্যতা হিসেবে সরকার কর্তৃক স্বীকৃত কোন বিশ্ববিদ্যালয় বা মাদরাসা বোর্ড কর্তৃক নিবন্ধিত কোন মাদরাসা হতে আলিম সার্টিফিকেটধারী হওয়ার বিধান রয়েছে। নিকাহ রেজিস্ট্রারের লাইসেন্স পাবার ক্ষেত্রে প্রচলিত বিধানের পাশাপাশি কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) এর সনদকে অন্তর্ভূক্ত করা হলে দাওরায়ে হাদিস সনদধারীরাও উক্ত লাইসেন্সের জন্য আবেদন করার সুযোগ পাবেন।

বর্ণিতাবস্থায় ‘আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীন কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) এর সমমান প্রদান আইন, ২০১৮ বাস্তবায়ন এবং দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) এর সনদধারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে আপনার মন্ত্রণালয়াধীন নিকাহ রেজিস্ট্রারের লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে দাওরায়ে হাদিস সনদধারীদেরকে অগ্রাধিকার দেয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে আপনার ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও সহযোগিতা কামনা করছি।

আর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আশরাফ উদ্দিনকে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়-

আপনার মন্ত্রণালয়াধীন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে ‘ধর্মীয় শিক্ষক’ এর পদ রয়েছে। উল্লিখিত পদে আবেদনকারী শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক স্বীকৃত কোন মাদরাসা হতে ফাজিল পাশের কথা উল্লেখ রয়েছে। কামিল অথবা ইসলামিক স্টাডিজ, আরবি ইত্যাদি বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি পাশ। প্রার্থীদেরকে অগ্রাধিকার দেয়ার বিধান রয়েছে। উল্লিখিত পদে নিয়োগদানের ক্ষেত্রে প্রচলিত বিধানের পাশাপাশি কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) এর সনদকে অন্তর্ভূক্ত করা হলে দাওরায়ে হাদিস সনদধারীরাও উক্ত পদের জন্য আবেদন করার সুযোগ পাবেন।

বর্ণিতাবস্থায়, ‘আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীন কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) এর সমমান প্রদান আইন, ২০১৮ বাস্তবায়ন এবং দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) এর সনদধারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে আপনার মন্ত্রণালয়াধীন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে ‘ধর্মীয় শিক্ষক’ নিয়োগের ক্ষেত্রে দাওরায়ে হাদীস সনদধারীদের নিয়োগ দানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে আপনার ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও সহযোগিতা কামনা করছি।

প্রসঙ্গত, ড. মাওলানা আ ফ ম খালিদ হোসেন কওমি মাদরাসায় পড়াশোনা করেছেন। এজন্য নিজ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন না হওয়ার পরও শুরু থেকেই তিনি কওমি সনদের সরকারি স্বীকৃতি বাস্তবায়নের ব্যাপারে আন্তরিকতা প্রদর্শন করে আসছেন। তিনি কওমি মাদরাসার সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষকে বারবার অনুরোধ করেছেন, এ ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়ার।

কয়েক মাস আগে হাইয়্যাতুল উলয়ার একটি প্রতিনিধি দল ধর্ম উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে তিনি এ ব্যাপারে করণীয় বলে দেন। পরে তিনিসহ একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এবং প্রধান উপদেষ্টাকে একটি চিঠি দেওয়া হয়। সেখানে দাওরায়ে হাদিসের সনদকে কোন কোন ক্ষেত্রে কাজে লাগানো যায় সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করা হয়।




২৬ নভেম্বর, বুধবার চরমোনাই শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী বার্ষিক মাহফিল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

আত্মশুদ্ধি ও আধ্যাত্মিকতার দেশব্যাপী বিস্তৃত, সংগঠিত ও জনপ্রিয় ধারা চরমোনাই তরিকার তিন দিনব্যাপী বার্ষিক মাহফিল আগামীকাল বুধবার (২৬ নভেম্বর (বুধবার) শুরু হচ্ছে। গত শতকের ২০ এর দশকে শুরু হওয়া এই ঐতিহ্যবাহী মাহফিল প্রতি বছর অগ্রহায়ণ ও ফাল্গুন মাসে অনুষ্ঠিত হয়।

আগামীকাল জোহরের নামাজের পরে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির প্রধান আমীরুল মুজাহিদিন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই-র উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে মাহফিলের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হবে। তিন দিনব্যাপী মাহফিলে প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় মোট সাতটি প্রধান বয়ান অনুষ্ঠিত হয়।

উদ্বোধনী ও সমাপনী বয়ান পেশ করেন পীর সাহেব চরমোনাই আর মাঝের তিনটি বয়ান পেশ করেন বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম, শায়েখে চরমোনাই। এছাড়াও দেশের শীর্ষস্থানীয় উলামায়ে কেরাম বিভিন্ন সময়ে বয়ান করেন।

চরমোনাই জামেয়া রশিদিয়া আহসানাবাদ কর্তৃক আয়োজিত মাহফিলের ব্যবস্থাপনায় থাকে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি। মাহফিলের ২য় দিন ২৭ নভেম্বর সকাল সাড়ে দশটা থেকে দেশের শীর্ষ উলামায়ে কেরাম ও বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে উলামা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ৩য় দিন একই সময়ে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের ছাত্র জমায়েত অনুষ্ঠিত হবে।

১৯২৪ সালে মাহফিলের সূচনা হয়। কালক্রমে এই মাহফিল ও এই আধ্যাত্মিকধারা দেশের প্রধানতম আধ্যাত্মিকধারায় পরিণত হয়। এই ধারারই প্রধান মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মাদ ফজলুল করীম রাহিমাহুল্লাহ ১৯৮৭ সালে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন নামে প্রত্যক্ষ রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু করেন যা এখন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নামে পরিচিত। বাংলাদেশের আধ্যাত্মিকতা ও রাজনীতিতে এই মাহফিল ও ধারার শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে।

মাহফিলে আগত মুসল্লিদের সেবা ও শৃঙ্খলার জন্য সহস্রাধিক স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন। চিকিৎসার জন্য একশত শয্যার হাসপাতাল রয়েছে যেখানে দেশের শীর্ষ চিকিৎসকগণ সার্বক্ষণিক জরুরী সেবা প্রদান করবেন। দুইটি ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্সসহ পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্স থাকবে রোগীদের জরুরি স্থানান্তরের জন্য। নিরাপত্তার জন্য পুলিশ-আনসার বাহিনীর পাশাপাশি নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মী নিয়োজিত থাকবে। ফায়ার সার্ভিসের একটি দল সদাপ্রস্তত অবস্থায় থাকবে।




হিজাব নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিনব জবাব রাবি শিক্ষকের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

হিজাব নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আ. আল মামুনের বিতর্কিত মন্তব্যের অভিনব জবাব দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান। তিনি ইসলামি লেবাস পরিধান করে এবং কোরআন শরিফ বুকে নিয়ে ক্লাস নিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বেলা ১১টায় শিডিউল অনুযায়ী ক্লাস নেন তিনি।

আরবি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘যে যেই ধর্ম পালন করুক, সে সেই ধর্মের পোশাকের বিষয়ে স্বাধীন। তিনি যদি হিন্দু হন তাহলে তিনি ধুতি পরে ক্লাসে যাবেন। এ ব্যাপারে আমার কোনো ঘৃণা বা বিদ্বেষ থাকবে না। আমি একজন মুসলমান হিসেবে ইসলামিক বিধান অনুযায়ী আমার পোশাক, ধর্মগ্রন্থ নিয়ে ক্লাসে যাবো। এমন স্বাধীনতা প্রতিটা মানুষের আছে।’

এই শিক্ষক বলেন, ‘শিক্ষককে সমাজের বিবেক মানা হয়, তাদের কাছ থেকে এরকম কাজ প্রত্যাশা করা যায় না। শুধু বাংলাদেশ কেন, বিশ্বের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একজন শিক্ষক মদ নিয়ে ক্লাসে যাবেন, এটার অনুমোদন দেয় না। আমি সেই শিক্ষকের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিবাদ করছি। তাই আমি নিজে আমার ইসলামিক পোশাক এবং ধর্মগ্রন্থ আল-কোরআন নিয়ে ক্লাস নিতে এসেছি।’

এর আগে ফেসবুকে রাবির হল সংসদের নারীদের শপথ গ্রহণের ছবি দিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন অধ্যাপক মামুন। এরপর এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা রাতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন। এর জেরে সেই শিক্ষক দুঃখ প্রকাশ করেছেন।




ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

বাংলাদেশে সম্প্রতি ইসকন কর্তৃক পরিচালিত খুন, গুম এবং মুসলমানদের উপর নির্যাতন ও প্ররোচণামূলক কর্মকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ বাংলাদেশে ইসকন সংগঠনকে নিষিদ্ধের দাবিতে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সর্বস্তরের তাওহীদি জনতার ব্যানারে এক বিক্ষোভ মিছিল ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বাদ জুম্মা ভাঙ্গা ঈদগা মসজিদ প্রাঙ্গন থেকে শুরু করে ভাঙ্গা হাইওয়ে এক্সপ্রেসওয়ের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ভাঙ্গা উপজেলা চত্তরে গিয়ে এ বিক্ষোভ মিছিল ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশ মুনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।

ঈদগাহ জামে মসজিদে জুম্মার নামাজে আগত স্থানীয় আলেম-ওলামা ও সাধারণ মুসুল্লিগণ এতে অংশগ্রহণ করেন।

সমাবেশে বক্তব্য দেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভাঙ্গায় সাবেক নেতৃত্বদানকারী ওসমান গনি আকাশ, মাজহারুল ইসলাম ও মো. লিওন মোল্লা প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘ইসকনের নামে দেশে যে ধরনের গুম, খুন এবং উসকানিমূলক ও বিদ্বেষপূর্ণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, তা বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি, শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকি।’

বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের নেতৃত্বদানকারী ওসমান গনি আকাশ বলেন, “আমরা দেশের সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও আলেম সমাজকে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। বিশেষ করে, দেশের সব মসজিদের সম্মানিত ইমাম ও খতিবদের প্রতি আমাদের অনুরোধ— “জুমার খুতবায় যেন মুসল্লিদের সামনে ইসকন কর্তৃক পরিচালিত এই সন্ত্রাস ও নির্যাতনের বিষয়টি তুলে ধরা হয়, যাতে মানুষ সত্যটি জানতে পারে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে পারে।”

বক্তাগণ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “ধর্মীয় সম্প্রীতি ও জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার্থে উগ্রবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে হবে। ইসকন একের পর এক উসকানিমূলক ও ঘৃণাবাদী জঙ্গি কার্যক্রম চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।”

দেশ ও দেশের কল্যাণে মুনাজাতের মাধ্যমে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের সমাপ্তি করা হয়।

মিছিল ও সমাবেশ চলাকালীন সময়ে ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন তার সঙ্গীয় ফোর্স সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সদস্যদের আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে তৎপর ও ডিউটি পালন করতে দেখা যায়।




দুর্গাপুরে ইমাম দম্পতিকে নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

মসজিদের ইমাম দম্পতিকে রাতভর নির্যাতনকারী আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবীতে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে ঈমান আক্বিদা সংরক্ষণ কমিটির আয়োজনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

পৌরশহরের ঈদগাহ মাঠে ঘন্টাব্যাপি সমাবেশে, আল্লামা জিয়া উদ্দিন সাহেবের সভাপতিত্বে, মাওলানা ওলি উল্লাহ্ এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপি‘র সাবেক সহ:সভাপতি আলহাজ¦ ঈমাম হাসান আবুচান, উপজেলা বিএনপি‘র সভাপতি জহিরুল আলম ভুইয়া, মাওলানা আব্দুর রউফ, মুফতি মামুনুর রশীদ, মুফতি হাবিবুর রহমান, হাফেজ রুহুল আমীন সিরাজী প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, দুর্গাপুর উপজেলার বাকলজোড়া ইউনিয়নের সুতিয়াপাড়া নূরানি ও হাফিজিয়া মাদরাসার শিক্ষক আব্দুল্লাহ্ আল মামুন সহ তার স্ত্রীকে রাতভর নির্যাতন ও শ্লীলতাহানীর বিষয়টি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, দেশের জাতীয় দৈনিক ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশ হওয়ায় প্রধান আসামী জহিরুল ইসলাম কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই মাদরাসার শিক্ষক অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মামলা করায়, আড়াল থেকে ওই শিক্ষককে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রাণনাশের হুমকী দিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। শুধু তাই নয়, ওইদিন রাতে মাদরাসার হুজুরের কাছে চাঁদাদাবী করে, মাদরাসার কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরও মারধোর করা হয়েছে।

বক্তারা আরো বলেন, আমাদের শিক্ষকের কোন দোষ ছিলনা। কেনো ওনাকে নাজেহাল করা হলো, কেনো একজন মাদরাসার শিক্ষকের উপর হাত তোলা হলো কেনো, আমরা এর জবাব চাই। অনতিবিলম্বে অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। নইলে পরবর্তিতে কঠোর কর্মসুচী দেয়া হবে। আলোচনা শেষে বিভিন্ন এলাকার মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে এক বিক্ষোভ মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে, ঈদগাঁ মাঠে দেশ ও জাতীর কল্যানে এবং শিক্ষক আব্দুল্লাহ্ আল মামুনের জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়। ওই মোনাজাত পরিচালনা করেন, আল্লামা জিয়া উদ্দিন সাহেব।




রাশিয়ায় আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম হলেন ইরানি কারী ইসহাক আবদুল্লাহি

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক-

রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত ২৩তম আন্তর্জাতিক পবিত্র কুরআন প্রতিযোগিতায় ইরানের কোম প্রদেশের (মধ্য ইরান) একজন বিশিষ্ট ইরানি তিলাওয়াতকারী প্রথম স্থান অর্জন করেছেন।

ইসহাক আবদুল্লাহি”, কোম প্রদেশের একজন বিশিষ্ট ইরানি তিলাওয়াতকারী এবং হযরত মাসুমেহ (সা.)-এর মাজার ও জামকারান মসজিদের তিলাওয়াতকারী ও মুয়াজ্জিন।  তিনি রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত এই বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার এই পর্বে প্রথম স্থান অর্জনে সফল হয়েছেন।

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে বিশ্বের ৩০টি দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে এই প্রতিযোগিতাটি ১৫ থেকে ১৮ অক্টোবর, ২০২৫ (২৩ থেকে ২৬ মেহের, চলতি ফার্সি বছর) অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আব্দুল্লাহি প্রতিযোগিতার মান এবং বিচারকদের নির্ভুলতাকে অত্যন্ত উচ্চমানের বলে বর্ণনা করে বলেন: “বিচারকদের কঠোরতা সত্ত্বেও, আমি খুশি যে আমি ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং লেবাননের শক্তিশালী আবৃত্তিকারদের সাথে প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করতে পেরেছি।”

ইসহাক আবদুল্লাহি পবিত্র কুরআন বিষয়ক একজন শিক্ষক এবং ইরানের জাতীয় স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী বা বাসিজ ও রেড ক্রিসেন্ট কুরআন প্রতিযোগিতায়ও প্রথম স্থান অর্জন করেছেন। তিনি হযরত মাসুমা (সা.)-এর পবিত্র মাজারের প্রতিনিধি হিসেবে তৃতীয় কারবালা আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় তাহক্বিক-তেলাওয়াত (মাঝারি গতিতে তিলাওয়াত) বিভাগে চতুর্থ স্থান অর্জন করেছেন। #

সূত্র: পার্স টুডে




পবিত্র কুরআন শরীফ অবমাননাকারির ফাঁসির দাবীতে দুর্গাপুরে বিক্ষোভ মিছিল

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি :

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী অপূর্ব পাল ধর্ম নিয়ে কটূক্তি এবং পবিত্র কুরআন অবমাননার প্রতিবাদে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বিক্ষোভ  মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (০৮ অক্টোবর) বিকেলে দুর্গাপুর উপজেলার  যুবসমাজের আয়োজনে এই বিক্ষোভ মিছিল  ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সর্বস্তরের তৌহিদী জনতা অংশ গ্রহণ করেন।

বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে বক্তারা বলেন, আমরা ৯০ শতাংশ মুসলমানদের দেশে বসবাস করি। এর পরও এই দেশে সম্প্রীতি নস্ট করার জন্য, বারবার অন্য ধর্মের লোকেরাই আল কুরআন অবমাননার ঘটনা ঘটাচ্ছে। আমরা কুরআন অবমাননাকারী অপুর্ব পালের ফাঁসি চাই। এই দেশে আর কেউ পবিত্র কুরআন অবমাননা করুক আমরা তা চাই না, কুরআনকে নিয়ে কটুক্তি করুক আমরা আর শুনতে চাইনা।

সমাবেশে মুফতি নুরে আলমের সভাপতিত্বে এবং জামাল উদ্দীন কারিমী‘র সঞ্চালনায়, অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, মুফতি সাব্বির আহমেদ, যুবনেতা সম্রাট গণি, মুফতি রেজাউল করীম, মুফতি বরকত উল্লাহ্, মাওলানা ইমরান। আলোচনা শেষে দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ মাওলানা মনজুরুল হক।