দুর্গাপুর প্রেসক্লাবের নির্বাহী কমিটিকে সংবর্ধনা

নেত্রকোনার দুর্গাপুর প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত নির্বাহী কমিটিকে সংবর্ধিত করেছে স্থানীয় সাহিত্য সংগঠন ‘‘পথ পাঠাগার’’। সোমবার নানা আয়োজনে ৯ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহী কমিটিকে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়। এ উপলক্ষে দুর্গাপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিক কে.এস বাবু‘র সঞ্চালনায় পথ পাঠাগার এর সভাপতি কবি নাজমুল হুদা সারোয়ার এর সভাপতিত্বে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ শেষে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা করেন, পথ পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, সম্মানীত সদস্য পলাশ সাহা, প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাহাদাত হোসেন কাজল, প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত সভাপতি এস.এম রফিকুল ইসলাম-রফিক, সাধারণ সম্পাদক মোঃ জামাল তালুকদার, নির্বাহী সদস্য ধনেশ পত্রনবীশ প্রমুখ।

উপস্থিত ছিলেন, প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত সহ-সভাপতি তোবারক হোসেন খোকন, সাংগঠনিক সদস্য সম্পাদক পল্টন হাজং, যুগ্ন-সম্পাদক রাখী দ্রং, নির্বাহী সদস্য আ.ফ.ম সফিউল্লাহ। প্রেসক্লাবের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইকেল প্রদীপ বাউল, নির্মলেন্দু সরকার বাবুল, সাংবাদিক রাজেশ গৌড়। আলোচনা শেষে নির্বাচিত কমিটির সদস্যদের উত্তরীয় ও সকলকে স্ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়।

 

নেত্রকোনা, দুর্গাপুর/ এইচ.এম  সাইদুল ইসলাম




বিশ্ব ভালোবাসা দিবস আজ

আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ বা বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। পুরুষরা লাল পাঞ্জাবি আর নারীরা লাল-সাদা শাড়ি বা অন্য পোশাক পরে বেরিয়ে পড়েন দিনটিকে বিশেষভাবে উদযাপনের জন্য।

বছরজুড়ে ভালোবাসা চললেও দিনটি যেন একটু বেশি করেই ভালোবাসার। এদিনে নিজের ভ্যালেন্টাইনকে প্রপোজ করা, বিভিন্ন উপহারের পাশাপাশি লাল গোলাপ দেওয়া, তাকে নিয়ে ঘুরতে বের হওয়াসহ নানা কর্মকাণ্ডে মেতে ওঠেন তরুণ-তরুণীরা।

বিশ্বজুড়ে কেনো এই ভ্যালেন্টাইন ডে উদযাপন করা হয়-এর পুরো ইতিহাস সম্পর্কে হয়তো অনেকের জানা নেই। আবার অনেকেরই হয়তো মনে প্রশ্ন জাগে, ভ্যালেন্টাইন ডের জন্ম বা উৎপত্তি কখন, কবে আর কোথায় হয়েছিল? বাংলাদেশেই বা এ দিবসটি কবে থেকে উদযাপিত হয়ে আসছে। পাঠক, চলুন ভালোবাসা দিবসের অদ্যোপান্ত জেনে নিই।

বাংলাদেশে ভালোবাসা দিবস প্রবর্তন করেন সাংবাদিক শফিক রেহমান। ১৯৯৩ সালে শফিক রেহমান তার সম্পাদিত মাসিক যায়যায়দিন পত্রিকায় ১৪ ফেব্রুয়ারিকে উপলক্ষ করে ‘ভালোবাসা সংখ্যা’ নামে একটা বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করেন। সে সংখ্যার পুরোটাজুড়ে ছিল দেশের নানা প্রান্ত থেকে পাঠানো লেখকের ভালোবাসার গল্প। তখনও বা কে জানতো, একদিন বাংলাদেশে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে ভালোবাসা দিবস রীতিমত উৎসবে রূপ নেবে!

রোমানরা খ্রিস্ট ধর্মে দীক্ষিত হওয়ার আগে প্যাগান (পৌত্তলিক) ধর্মের অনুসারী ছিলেন।প্যাগান ধর্মের লোকজন খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকে পূর্বপুরুষদের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত ফেব্রুয়ালিয়া পূজা পালন করতেন। এই ফেব্রুয়ালিয়া অনুষ্ঠানের নামানুসারে পরবর্তীতে ইংরেজি মাসের নামকরণ করা হয় ফেব্রুয়ারি।তখন ফেব্রুয়ারি মাসের ১৩ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত এই পূজা হতো।পূজার উদ্দেশ্য ছিল দেবতার সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে পুণ্যতা, উর্বরতা ও সমৃদ্ধি লাভ করা। অনুষ্ঠানের মাঝের দিনটি ছিল খুবই আকর্ষণীয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি দেবীরাণী জুনোর সম্মানে পবিত্রতার জন্য কুকুর আর উর্বরতার জন্য ছাগল উৎসর্গ করা হতো।উৎসর্গীকৃত কুকুর ও ছাগলের রক্তে রঞ্জিত হয়ে যুবকেরা চামড়ার তৈরি সামান্য পোশাক পরতো।তারপর চামড়ার বেত দিয়ে দেবীর নামে তরুণীদের শরীরে আঘাত করতো।

সে সময়ের মানুষ বিশ্বাস করতো, এই আঘাতের কারণে দেবী ওই তরুণীদের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেবেন।দিনটির আরও একটি বিশেষত্ব হলো, এ দিনেই পরবর্তী এক বছর আনন্দ দেওয়ার জন্য দেবীর ইচ্ছায় লটারির মাধ্যমে তরুণরা তাদের তরুণী সঙ্গীকে বেছে নিতেন। প্রথানুযায়ী বড় একটি বাক্সে তরুণীদের নাম লিখে রাখা হতো। সেখান থেকে তরুণরা একেকটি নাম তুলে পরবর্তী বছর লটারি হওয়া পর্যন্ত নির্বাচিত যুগল একসঙ্গে থাকার সুযোগ পেতেন।

এরই মাঝে ২৬৯ সালে ঘটে যায় একটি বিরল ঘটনা।সে সময় রোমান সম্রাট ছিলেন ক্লাডিউয়াস।খ্রিস্টান ধর্মযাজক, সমাজসেবক ও চিকিৎসক স্টিভ ভ্যালেন্টাইন নামের এক যুবক ধর্ম প্রচারকালে রোমান সম্রাট ক্লাডিউয়াস এর নানা আদেশ লঙ্ঘনের দায়ে গ্রেপ্তার  হন। এই আদেশের অন্যতম একটি ছিল, রোমান সম্রাট ক্লাডিউয়াস কর্তৃক যুবক সেনাদের বিয়ে করা নিষেধ করে দেওয়া।

স্টিভ ভ্যালেন্টাইন সম্রাটের এই আদেশের বিপরীতে গিয়ে যুবক সেনাদের বিয়ের জন্য উদ্বুদ্ধ করতেন ও গোপনে বিয়ে দিয়ে দিতেন। এছাড়া জনগণকে ধর্মদ্রোহী করা, সম্রাটের বিপক্ষের যুদ্ধাহত খ্রিস্টান সৈন্যদের চিকিৎসা করা এবং রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকাণ্ডের জন্য সম্রাটের রোষানলে পড়ে গ্রেপ্তার হন বিদ্রোহী যুবক স্টিভ ভ্যালেন্টাইন।

ভ্যালেন্টাইনকে কারাগারে পাঠানোর পর জনগণের কাছে তিনি আরও জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।এই সাহসী এবং জনপ্রিয় যুবককে দেখার জন্য প্রতিদিন অগণিত মানুষ কারাগারে যেতেন। এর মধ্যে এক কারারক্ষীর অন্ধ মেয়ে ‘জুলিয়া’ ও ছিলেন। ভ্যালেন্টাইনের সঙ্গে তিনি প্রায়ই কারাগারে দেখা করতেন এবং দীর্ঘসময় তারা এক সঙ্গে কাটাতেন।

এর মধ্যে ঘটে যায় আশ্চর্যজনক এক ঘটনা।স্টিভ ভ্যালেন্টাইন তার আধ্যাত্মিক চিকিৎসার মাধ্যমে অন্ধ জুলিয়াকে সুস্থ করে তোলেন এবং তাকে খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত করেন। এক সময় ভ্যালেন্টাইন ও জুলিয়া একে অন্যের প্রতি গভীর ভালোবাসায় জড়িয়ে পড়েন। এই সংবাদ শোনার পর সম্রাট ক্লাডিউয়াস আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং ২৭০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি, দিনের কোনো এক সময়ে, হাজারো মানুষের সামনে স্টিভ ভ্যালেন্টাইনকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেন। নির্বিকার, সাহসী যুবক স্টিভ ভ্যালেন্টাইন ফাঁসিকাষ্ঠে যাওয়ার আগে, তার ভালোবাসার মানুষ জুলিয়াকে একটি চিঠি লিখে যান। যে চিঠির শেষে লেখা ছিল ‘তোমার ভ্যালেন্টাইনের পক্ষ থেকে’।

এরপর কেটে যায় ২২৬ বছর। এক সময় লিওপারসালিয়া বা ফেব্রুয়ালিয়া পুজার নাম ও পদ্ধতি পরিবর্তন করে নিজ ধর্মের যাজক স্টিভ ভ্যালেন্টাইনের নামে অনুষ্ঠানের নামকরণ করেন তারা। সেই সময় মানে ৪৯৬ সাল থেকেই ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ বা ‘বিশ্ব ভালবাসা দিবস’ এর সূচনা। কিন্তু মধ্যযুগে এসে সমস্ত ইউরোপে ভ্যালেন্টাইন ডে উদযাপন দীর্ঘকাল নিষিদ্ধ ছিল। পরবর্তী সময়ে ইংরেজি সাহিত্যের জনক জিওফ্রে চসার’ ১৩৮২ সালে তার ‘পার্লামেন্ট অব ফাউলস’ এর মধ্যে ভ্যালেন্টাইন ডে নিয়ে লেখেন। এরপর উইলিয়াম শেকসপিয়রসহ অনেক খ্যাতিমান সাহিত্যিকরা তাদের সাহিত্যে এ বিষয়টিকে তুলে আনেন।অবশেষে ১৬৬০ সালে রাজা চার্লস-টু পুনরায় দিবসটি পালনের প্রথা চালু করেন।

স্মরণ করা যেতে পারে, ২০১৪ সালে সৌদি আরবের পুলিশ ভ্যালেন্টাইন ডে পালনের দায়ে সে দেশে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে। আর ইরান, পাকিস্তান, মালয়েশিয়ায় ভ্যালেন্টাইন ডে উদযাপন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। কেবল মুসলিম দেশ নয়, ভারত সরকারও তাদের নিজস্ব সভ্যতা, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় মূল্যবোধের সাথে সাংঘর্ষিক মনে করায় দিবসটি পালনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেয়।

এই হচ্ছে মোটামুটি ভ্যালেন্টাইন ডে বা ভালোবাসা দিবসের পেছনের ইতিহাস। আজকের এই বিশেষ দিনের প্রত্যাশা, কেবল নর-নারীর মধ্যে নয়, বিশ্বজুড়ে মানুষে মানুষে ভালোবাসা ছড়িয়ে পড়ুক। যুদ্ধ কিংবা হানাহানি নয়, ভালোবাসা দিয়েই মানুষ জয় করুক সবার হৃদয়।

আলো/সাগর 




আজ বসন্তের প্রথম দিন

শীতের রিক্ততা মুছে প্রকৃতিজুড়ে সাজ সাজ রব। বিবর্ণ প্রকৃতিতে জেগে উঠেছে নতুন প্রাণ। আজ পহেলা ফাল্গুন। ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন। কবির ভাষায়- ‘ফুল ফুটুক আর না-ই ফুটুক আজ বসন্ত’।

বসন্ত মানে নতুন প্রাণের কলরব। বসন্তে গাছে গাছে নতুন পাতা আসে। ডালে ডালে কোকিল। রঙিন ফুলে প্রকৃতি সুশোভিত হয়ে ওঠে। এই সময়ে বাতাসে ফুলের রেণু ছড়ায়। প্রকৃতি হয়ে উঠে অপরুপ।

বসন্তকে সামনে রেখে গ্রাম বাংলায় মেলা, সার্কাসসহ নানা বাঙালি আয়োজনের সমারোহ থাকবে। ভালোবাসার মানুষেরা মন রাঙাবে বাসন্তি রঙ্গেই। শীতের সঙ্গে তুলনা করে চলে বসন্তকালের পিঠা উৎসবও।

এবারের বসন্ত এসেছে এমন সময়ে যখন বিশ্বজুড়ে বিরাজ করছে করোনার ভয়াল প্রভাব। এরপরও বাংলাদেশে বসন্ত বরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে অনেক। বসন্তে তারুণ্য মেতে ওঠবে বসন্ত উৎসবে।

এবারের পহেলা ফাল্গুন আরেকটা কারণে ব্যতিক্রম। তা হলো- এবার ভ্যালেন্টাইন দিবস এবং পহেলা ফাল্গুণ একই দিনে উদযাপন হতে যাচ্ছে। এদিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি হয়ে সেই তারুণ্যের সুবাস ছড়িয়ে পড়ে শাহবাগ, রমনা বটমূল, ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বোটানিক্যাল গার্ডেন থেকে রাজধানীর পুরো শরীরে; শহরের কোলাহল ছাড়িয়ে নিভৃত পল্লীর ধুলোমাখা পথেও। দিনটিকে আরো উপভোগ্য করে তুলতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন গ্রহণ করেছে নানা কর্মসূচি।

সব কুসংস্কার পেছনে ফেলে, বিভেদ ভুলে, নতুন কিছুর প্রত্যয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার শপথ নিতে এবং বসন্তের উপস্থিতিতে বরণ করে নিতে ‘বসন্ত বরণ’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে জনপ্রিয় অনলাইন গণমাধ্যম রাইজিংবিডি ডটকমের নিজস্ব কার্যালয়েও। মাজার রোডের গণমাধ্যমটির কার্যালয়ে দুপুর আড়াইটায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

বসন্ত যেমন আমাদের খুশির ঋতু; তেমনি বেদনারও বটে। ফাগুনে শিমুল আর কৃষ্ণচূড়ার লাল রঙ মনে করিয়ে দেয় বায়ান্নর ফাগুনের শহীদদের কথা। ফাল্গুন মনে করিয়ে দেয় ভাষা শহীদের রক্তের ইতিহাস। এই মাসেই উদযাপন করা হবে অমর একুশে ফেব্রুয়ারি। ফাল্গুনের সাথে মিশে আছে আমাদের ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসও।




সরকার সবার জন্য করোনার ভ্যাকসিন নিশ্চিত করবে: প্রধানমন্ত্রী

সবার সুরক্ষার জন্য করোনার টিকা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার সবার জন্য করোনার ভ্যাকসিন নিশ্চিত করবে।

রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কুমুদিনি ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস অ্যান্ড ক্যানসার রিসার্চের ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রথমদিকে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে থাকলেও এখন সবাই আগ্রহভরে টিকা নিচ্ছে। আমরা তিন কোটি ডোজ টিকা কিনে রেখেছি।  এছাড়া ভারত ২০ লাখ ডোজ দিয়েছে। এছাড়া অন্যান্য দেশও দিতে চাচ্ছে আমরা সবগুলো নেব, যাতে আমরা গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত সবার জন্য এই টিকার ব্যবস্থা করতে পারি।

যখন রিসার্চ চলছিল তখন টিকা পেতে সরকার অগ্রিম টাকা দিয়ে রেখেছিল জানিয়ে তিনি বলেন, এর উদ্দেশ‌্য ছিল যাতে শুরুতেই আমরা টিকা পেতে পারি।

ভ্যাকসিন দেওয়ার পরেও সবাইকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলা, মাস্ক পরা এবং নিয়মিত হাত পরিস্কার রাখার পরামর্শ দেন শেখ হাসিনা।

মেডিক্যাল গবেষণা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী মেডিক্যাল সায়েন্সের গবেষণার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, ক্যানসার এমন একটা রোগ, আজকে এমন তার প্রার্দুভাব হচ্ছে, কিন্তু দুর্ভাগ্য তার যে প্রকৃত ডায়াগনোসিস করা বা সেভাবে আমাদেশের পরিবেশ, আবহাওয়া, জলবায়ুর সঙ্গে এই ক্যানসার কিভাবে বিস্তার লাভ করে তার ওপর রিসার্স করা বা এটার চিকিৎসা করবার জন্য যে রিসার্স দরকার সেটা খুব কম আমাদের দেশে হয়।

বাংলাদেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রে নার্সদের শুধু ডিপ্লোমা নার্সিং ছিল, গ্রাজ্যুয়েশন ছিল না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বেসরকারি উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করছি। তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিচ্ছি। প্রতিটি জেলায় সরকারি অথবা বেসরকারি উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় করে দিচ্ছি, মেডিক্যাল কলেজ করে দেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছি।  উন্নত মানের হাসপাতাল করে দিচ্ছি। ডাক্তার নার্স নিয়োগ দিয়েছি। যেন আমাদের দেশের মানুষ অন্তত এই চিকিৎসাটা পায়, তার ব্যবস্থা করেছি।

নারায়ণগঞ্জের কুমুদিনী কমপ্লেক্স প্রান্তে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপেরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান, কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজীব প্রসাদ সাহা প্রমুখ।




কিশোরগঞ্জে মাদক কারবারি আটক

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে মাদক বিরোধী অভিযানে ৪শ পিস ইয়াবা ও ৩০ বোতল ফেনসিডিলসহ মো. বিপুল মিয়া (৩৫) নামে এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে র‌্যাব।

বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০ টায় র‌্যাব-১৪ এর সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার লে. কমান্ডার এম শোভন খান বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আটক মো. বিপুল মিয়া হোসেনপুর উপজেলার রানাগাঁও গ্রামের মো. আবুবক্কর সিদ্দিকের ছেলে।

কমান্ডার এম শোভন খান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় যে, একটি মাদক কারবারি চক্র মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে কিশোরগঞ্জসহ আশেপাশের জেলাগুলোতে পাইকারি ও খুচরা বিক্রয় করছে।

এই সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে হোসেনপুর উপজেলার নিমখালী বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইয়াবা ও ফেনসিডিলসহ এই মাদক কারবারিকে আটক করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে  বিপুল দীর্ঘদিন ধরে মাদক ক্রয়-বিক্রয় করার কথা স্বীকার করেছেন। এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর থানায় মামলা দায়ের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।