সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার খবর ‘অতিরঞ্জিত’: মোদিকে ড. ইউনূস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা অতিরঞ্জিত করে কোনো কোনো প্রতিবেদনে প্রচার করা হচ্ছে বলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শুক্রবার এক ফোনালাপে তিনি মোদির কাছে ভারতীয় সাংবাদিকদের বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানান। যাতে তারা সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ইস্যুতে সরেজমিনে রিপোর্ট করতে পারেন।

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এসব তথ্য জানানো হয়।

এতে উল্লেখ করা হয়, মোদি সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার প্রসঙ্গ তুললে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তার সরকার সংখ্যালঘুসহ দেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের সুরক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

টেলিফোন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। যদিও এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এক টুইট বার্তায় লিখেছিলেন, মুহাম্মদ ইউনূসের কাছ থেকে ফোন পেয়েছিলেন তিনি।

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে আরও জানানো হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেয়ায় মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

১৫ অগাস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও নাগরিকদের অভিনন্দন জানান অধ্যাপক ইউনূস।

দুই দেশের মানুষের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তাদের কল্যাণে ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেন মোদি।

ড. ইউনূসের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্ব বাংলাদেশের মানুষের জন্য ভালো ফল বয়ে আনবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আলাপকালে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে এবং জীবনযাত্রাও স্বাভাবিক হয়ে আসছে।

রাষ্ট্রের সকল অংশকে সচল ও কার্যকর করা এবং প্রত্যেক নাগরিকের মানবাধিকার নিশ্চিত করার ব্যাপারে সরকারের অঙ্গীকারের কথাও তুলে ধরেন তিনি।




‘জুলাই গণহত্যা’র বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে: আসিফ নজরুল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যা ও গুলিবর্ষণের ঘটনার বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। এ ছাড়া সাবেক সরকারপ্রধানসহ ‘জুলাই হত্যাকাণ্ডে’ যাদের নাম আসবে, তাদের সবার বিচার হবে বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি।

আজ (বুধবার) সকালে সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে  আসিফ নজরুল বলেন, ‘গণহত্যা ও গুলি বর্ষণের ঘটনায় বিচারের জন্য ইতোমধ্যে কিছু মামলা হয়েছে। আমরা নিজেরা, রাজপথে থাকা বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন, মানবাধিকার সংগঠন, জনগণের বিভিন্ন গোষ্ঠী দাবি করেছেন যে, এটাকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে বিচার করার সুযোগ আছে কি না। আমরা সেটা খতিয়ে দেখেছি।’

তিনি বলেন, ‘১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন আছে, সেটা পরে ২০০৯ ও ২০১৩ সালে সংশোধনী হয়েছে। সেই আইনে আমরা ‘জুলাই গণহত্যা’; আগস্টের প্রথম পাঁচদিনের গণহত্যাও বোঝাচ্ছি। এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য ইতোমধ্যে ছোটখাটো গবেষণা করেছি। আমরা দেখেছি, এই আইনের অধীনে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তি ও যারা আদেশ দিয়েছেন এবং যারা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন, তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনা সম্ভব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একটি ইনভেস্টিগেশন টিম আছে, প্রসিকিউশন টিম আছে। এগুলোকে আমরা রিঅর্গানাইজড করার চেষ্টা করছি, আদালতটা একটু পরে করব। ইনভেস্টিগেশন আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে করার চেষ্টা করছি। জাতিসংঘ থেকে বারবার আমাদের সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। বিচারের সত্যিকারের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘের সর্বাত্মক তত্ত্বাবধানে আমাদের ইনভেস্টিগেশন টিম কাজ করবে। সেটার লক্ষ্যে সব উদ্যোগ গ্রহণ করব।’

তিনি জানান, ‘ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধির সঙ্গে মিটিং করার সিদ্ধান্ত হয়েছে, তারিখ চূড়ান্ত হয়নি। সহযোগিতা চাইবো। এ ছাড়া, আমাদের আরও উচ্চ পর্যায় থেকে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট সংস্থা আছে, উনাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। আশা করছি, দ্রুত এটা শুরু করতে পারব।’

গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বিচার করব।’

আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমরা সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে বিচার বিভাগীয় সব কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের দেশে-বিদেশে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব বিবরণী আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।’

গণআন্দোলনে অংশ নেওয়ার ঘটনায় দায়ের মামলা প্রত্যাহার করা হবে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের পাসপোর্ট ইতোমধ্যে ফেরত দেওয়া হয়েছে। রোজিনা ইসলাম ও মাহমুদুর রহমান মান্নার বিরুদ্ধে দায়ের মামলা আগামীকালই প্রত্যাহারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইনশাআল্লাহ, আগামীকালের মধ্যে প্রত্যাহার হয়ে যাবে। এই দুটি আলোচিত মিথ্যা মামলা ছিল জন্য উল্লেখ করলাম, আরও অনেক মামলাই প্রত্যাহার করা হবে।’

গত ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেওয়া যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, ঢাকার মামলাগুলো বৃহস্পতিবারের মধ্যে এবং সারা দেশে ৩১ আগস্টের মধ্যে প্রত্যাহার করা হবে বলেও এ সময় জানান তিনি।

আয়নাঘরে যারা গুমের শিকার হয়েছেন, তাদের আইসিটিতে আসার সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্র ও যে কোনো ব্যক্তি মামলা করতে পারে। মানবতাবিরোধী যে অপরাধের যে সংজ্ঞা আছে, সেখানে গুম নামে অপরাধও অন্তর্ভুক্ত। ক্ষতিগ্রস্তরা মামলা করতে পারেন অথবা পরবর্তীতে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আমরা উদ্যোগ নিতে পারি। এটা আমরা গুরুত্ব দিয়ে ভাবিনি। আমরা জুলাই হত্যাকাণ্ডের ওপর জোর দিচ্ছি। তবে আমরা খাটো করে দেখছি না, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সহযোগিতা চাইলে আমরা অবশ্যই সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।’

গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের আইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যতগুলো নিবর্তনমূলক আইন আছে, সেটার লিস্ট করা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ সেকশনগুলো, যেগুলোর মাধ্যমে সাংবাদিকদের হয়রানি করা হয়েছে। অবশ্য সেটা আমরা বাতিল বা সংশোধন, যেটা প্রয়োজন সেটা করব।’

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে বলেও এ সময় আশ্বাস দেন তিনি।#

পার্সটুডে




প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব হলেন সাংবাদিক শফিকুল আলম

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বার্তা সংস্থা এএফপির বাংলাদেশ ব্যুরো চিফ শফিকুল আলম।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদশিক নিয়োগ শাখা থেকে জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

শফিকুল আলমকে সরকারের সচিব পদমর্যাদায় চুক্তিভিত্তিক এই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই পদে তার মূল বেতন হবে ৭৮ হাজার টাকা। এছাড়া সচিবদের মতো অন্যান্য সুবিধাও পাবেন তিনি। প্রেস সচিব হিসেবে শফিকুল আলমের মেয়াদকাল হবে প্রধান উপদেষ্টার মেয়াদকাল অথবা তার সন্তুষ্টি সাপেক্ষে (যেটি আগে ঘটে) হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

এতে আরও বলা হয়, এই নিয়োগের অন্যান্য শর্ত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে। জনস্বার্থে এই আদেশ জারি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সাংবাদিক শফিকুল আলম দুই দশক ধরে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপিতে কাজ করছেন।




পুলিশের পোশাক ও লোগো পরিবর্তনে কমিটি গঠন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশ পুলিশের লোগো ও ইউনিফর্ম পরিবর্তনের বিষয়ে দশ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সদর দফতরের জনসংযোগ বিভাগের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা কামরুল আহসান।

তিনি বলেন, ‘ইউনিফর্ম ও লোগো পরিবর্তনে উদ্যোগের অংশ হিসেবে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’ পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত ডিআইজি (লজিস্টিকস) মোহাম্মদ আতাউল কিবরিয়াকে সভাপতি করে গঠিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- অতিরিক্ত ডিআইজি (ডেভেলপমেন্ট রেভিনিউ) ড. শোয়েব রিয়াজ আলম, অতিরিক্ত ডিআইজি (ওঅ্যান্ডএম) ফারুক আহমেদ, অতিরিক্ত ডিআইজি (এপিবিএন) মোহাম্মদ শিহাব কায়সার, পুলিশ সুপার (এপিবিএন) আবদুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লজিস্টিক) মো. নুরুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নৌ পুলিশ) জুয়েল রানা, পুলিশ পরিদর্শক (সিআইডি) মো. জাহিদুল ইসলাম, উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সান্টুর রহমান ও কনস্টেবল বরকত উল্লাহ।

উল্লেখ্য, প্রবল গণবিক্ষোভের মধ্যে শেখ হাসিনার পদত্যাগের দিন থেকেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা-আক্রমণ ও হত্যার শিকার হন পুলিশ সদস্যরা। এরপর থেকে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে ভয় ও আতঙ্কে কাজে ফেরেননি তারা। পরে কেউ কেউ থানায় ফিরলেও তারা সাদা পোশাকে ছিল।




সকল ধর্মের মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের লক্ষ্যে হেফাজতের মতবিনিময় সভা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির ও বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষক পরিষদের সভাপতি দেওনার পীর অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী হেফাজতে ইসলাম কাপাসিয়া উপজেলা শাখার উদ্যোগে স্থানীয় বিভিন্ন মন্দির ও পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন।

সম্প্রতি কাপাসিয়া উপজেলা হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে বিভিন্ন মন্দির ও পূজামণ্ডপে সমকালীন প্রেক্ষাপটে শান্তি-শৃঙ্খলা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যে ‘মতবিনিময় সভা’ করেন।

আলোচনায় দেওনার পীর সাহেব সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের সার্বিক নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ সহবস্থানের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। পাশাপাশি দরিদ্র, অনগ্রসর হিন্দুদের সন্তানের শিক্ষার ওপর বিশেষ জোর দেন। এ ক্ষেত্রে সংখ্যালঘু দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। মতবিনিময় শেষে তিন ইউনিয়নে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিধবা, অসুস্থ, অসহায় ও প্রতিবন্ধীদের মধ্যে নগদ আর্থিক সাহায্য করেন।

পীর সাহেব দেওনা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে যারা নিহত হয়েছেন সকলের রুহের মাগফেরাত কামনায় এবং  অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেন বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারেন সেজন্য মহান রব্বুল আলামিনের দরবারে বিশেষ দোয়া করেন।

নিহতদের পরিবারদের ক্ষতিপূরণ ও আহতদের জন্য সুচিকিৎসার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।

কাপাসিয়া সদর ইউনিয়ন কালীমন্দির পরিদর্শন শেষে অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, আমরা হিন্দু-মুসলমান শতাব্দীর পর শতাব্দী শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করে আসছি, পরস্পরের সুখে-দুঃখে আমরা একে অন্যের পাশে থাকি সব সময়। জাতির ক্রান্তিলগ্নে কতিপয় রাজনৈতিক সুযোগ সন্ধানী স্বার্থান্বেষী মহল এই সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বিনষ্ট করতে চায়। এ বিষয়ে সকল ধর্মাবলম্বীদের সজাগ থাকতে হবে। পতিত সরকারের কুচক্রী মহল বিভিন্ন মন্দির এবং সংখ্যালঘুদের উপাসনালয় ও বাড়িঘরে হামলা-অগ্নিসংযোগ করে তা ভিডিও করে দেশে-বিদেশে প্রচার করে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে বলে প্রপাগান্ডার মাধ্যমে দেশ ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে। এর মাধ্যমে তারা প্রমাণ করতে চায় যে, এ দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে।

পীর সাহেব দেশ বিরোধী এ ধরনের ষড়যন্ত্রে প্রভাবিত না হয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার সাথে এহেন ঘৃণ্য চক্রান্ত প্রতিহত করার আহ্বান জানান। তিনি আরও আশ্বস্ত করেন, তাদের নৈতিক প্রয়োজনে কাপাসিয়ার উলামায়ে কেরাম পাশে থাকবেন।

অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে কাপাসিয়া উপজেলা হেফাজতে ইসলামের নেতৃবৃন্দ ও ওলামায়ে কেরাম কাপাসিয়া সদর কালীমন্দির, তরগাঁও বাঘিয়া শ্রী শ্রী লক্ষ্মী মন্দির, চিনাডুলী জালোপাড়া, তরগাঁও ঋষিপাড়া, চর খামের, চাঁদপুর তমাতলা মন্দির পরিদর্শন ও হিন্দুদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ এমন উদ্যোগের ফলে অভিভূত। তারা আশ্বস্ত হয়ে বলেন, এমন উদ্যোগ সারাদেশে নেওয়া হলে কোথাও সংখ্যালঘুরা নিজেদের অনিরাপদ মনে করবে না। তারা এমন মহতী উদ্যোগের জন্য অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরীসহ হেফাজত নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কাপাসিয়া কওমী পরিষদের সভাপতি মুফতি আজমল খান কাসেমী, কাপাসিয়া ইমাম পরিষদের সভাপতি মাওলানা জালাল উদ্দীন, উপজেলা তানযিমুল মাদারিসিল কওমিয়ার মহাসচিব মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মুফতি জাকির হুসাইন, সাবেক সদর ইউপি চেয়ারম্যান আজগর হোসেন খান, সাংবাদিক কামাল ফকির ও সাইফুল ইসলাম শাহিন, হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বক্তব্য দেন কাপাসিয়া কালীমন্দিরের সহসভাপতি চিত্তরঞ্জন সাহা, পঙ্কজ ঘোষ, মাস্টার চন্দন চক্রবর্তী, বাবু অজিত ঘোষ, রিপন চক্রবর্তী, অন্যান্য মন্দিরের পুরোহিতবৃন্দ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা ক্বারী মুহাম্মদ আনোয়ার হুসাইন, মাওলানা মজিবুর রহমান, মাওলানা নাজমুল হুসাইন, মাওলানা লুতফুর রহমান, মাওলানা সুহাইল, মাওলানা আহসান উল্লাহ, মাওলানা আতাউল্লাহ, মাওলানা আতাউল্লাহ খামেরী, মাওলানা ইলিয়াস, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাওলানা আব্দুস সালাম, মাওলানা আক্তারুজ্জামান, মাওলানা জোবায়ের, হাফেজ হেদায়াতুল্লাহ, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল গাফফার, মুফতি আব্দুল জলিল, হাফেজ উসমান গনি, মাওলানা হাবিবুর রহমান, মাওলানা মজিবুর রহমান, মাওলানা শাকের প্রমুখ।




চলমান ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম বন্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়ার সিদ্ধান্ত

চলমান অরাজকতা, অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম বন্ধের মাধ্যমে দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শক্ত অবস্থান গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাহিনীগ প্রধানগণ।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, বৃহস্পতিবার সেনা সদরে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সাথে নৌ ও বিমান বাহিনী প্রধানের উপস্থিতিতে নবনিযুক্ত পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), র‍্যাবের মহাপরিচালক এবং ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার সাক্ষাৎ করেন। এ সময় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেনাবাহিনীর সহায়তায় দেশের সকল থানার কার্যক্রম শুরু করার বিষয়ে আলোচনা হয়। এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে




অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে আলেম প্রতিনিধি : এগিয়ে ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে আলেম প্রতিনিধি থাকার আলোচনায় এগিয়ে আছেন ড. মাওলানা আ ফ ম খালিদ হোসেন।

একাধিক সূত্র এ সম্ভাবনার কথাটি জানা গেছে। সূত্রটি জানায়, আলেম সমাজের প্রতিনিধি হিসাবে ড. মাওলানা আ ফ ম খালিদ হোসেনের নাম ইতোমধ্যে তালিকাবদ্ধ হয়েছে।

নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে দেশের অন্তর্বর্তী সরকার আজ বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় শপথ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এছাড়া আরও যারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসাবে শপথ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে তারা হলেন, সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ড. আসিফ নজরুল, আদিলুর রহমান খান, ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, হাসান আরিফ, তৌহিদ হোসেন, সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান, মো. নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, জেনারেল মাহফুজ, গৌতম দেওয়ান (ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী), ব্যারিস্টার সারা হোসেন, ধীরাজ মালাকার (মুক্তিযোদ্ধা+সংখ্যালঘু), ড. মাওলানা আ ফ ম খালিদ হোসেন (আলেম সমাজের প্রতিনিধি)।

উল্লেখ্য, ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন-এর পুরো নাম হচ্ছে আবুল ফয়েজ মুহাম্মদ খালিদ হোসেন। ১৯৫৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত সাতকানিয়া উপজেলার মাদার্শা ইউনিয়নের মক্কার বাড়িতে জন্ম নেওয়া ড. খালিদ একজন বাংলাদেশি সুন্নী দেওবন্দি ইসলামি স্কলার। মাসিক আত তাওহীদের সম্পাদক, বালাগুশ শরকের সহকারী সম্পাদক এবং আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের কুরআনিক সায়েন্সেস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অতিথি শিক্ষক। তিনি ওমরগণি এমইএস কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান। এছাড়া, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের খণ্ডকালীন অধ্যাপক। বিশ্ব মুসলীম লীগের মুখপাত্র দ্যা ওয়ার্ল্ড মুসলিম লীগ জার্নাল সহ বিভিন্ন সাময়িকীতে তার দুই শতাধিক গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কর্তৃক প্রকাশিত ইসলামী বিশ্বকোষ দ্বিতীয় সংস্করণের ৩ থেকে ৯ খণ্ড ও সীরাত বিশ্বকোষ সম্পাদনা করেছেন। তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ২০ টি। এছাড়াও তিনি ৪টি জাতীয় পত্রিকার নিয়মিত লেখক।




শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনায় বসতে চায় সরকার: আইনমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গ আলোচনায় বসবে সরকার বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুর আড়াইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি একথা বলেন।

তিনি জানান, আমরা তাদের সঙ্গে বসবো। তারা যখনই বসতে রাজি হয়, আমরা সেটা যদি আজকে হয়, আজকেই বসতে রাজি আছি।




ঢাকায় আগামীকাল মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্যের প্রতিবাদে ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের ডাক দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এই ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান এমপি জানান, কোটাবিরোধী আন্দোলনের আড়ালে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মূলে আঘাত প্রতিহত করা এবং হত্যা, নাশকতা, অরাজকতা, অগ্নিসংযোগ প্রতিহত করার লক্ষ্যে স্বাধীনতার পক্ষের সব শ্রেণি-পেশার জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে তাদের প্রতিহত করার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় মুক্তিযোদ্ধা শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে বাইতুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, শ্রমিক, কর্মচারী, পেশাজীবী, বুদ্ধিজীবীসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী জনগণের এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজাম্মেল হক, সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান ও অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধা এবং শ্রমিক-কর্মচারী নেতারা।

সমাবেশে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে উপস্থিত হওয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানিয়েছেন।




ছারছীনার পীর শাহ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ এর ইন্তেকালে চরমোনাই পীরের শোক

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

আধ্যাত্মিক রাহবার বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লার আমির মাওলানা শাহ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ পীর সাহেব ছারছীনার ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করে মরহুমের মাগফিরাত কামনা করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই।

পীর সাহেব ছারছীনার ইন্তেকালে পৃথক পৃথক শোক বার্তায় দলের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই, মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, জাতীয় তাফসীর পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম শোক প্রকাশ করে মরহুমের মাগফিরাত কামনা করেন।

আজ বুধবার (১৭ জুলাই) এক শোকবার্তায় পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ‘মরহুম পীর সাহেব ছারছীনা বাংলাদেশ জমিয়াতুল মুদাররেসিনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও মসজিদে গাউসুল আজম কমপ্লেক্সের মুতাওয়াল্লি ছিলেন। তিনি লক্ষ লক্ষ পথভোলা মানুষকে আলোর পথের সন্ধান দিয়ে গেছেন। সারাদেশে শত শত মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করে নায়েবে নবী তৈরির কারাখানা গড়ে গেছেন। মহান রব্বুল আলামিন হযরত পীর সাহেব ছারছীনার সকল নেক কাজকে কবুল করুন। মরহুমের সকল ত্রুটি-বিচ্যুতি ক্ষমা করে দিয়ে জান্নাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করুন। সেই সাথে পরিবার-পরিজন, আত্মীয় স্বজন, ভক্ত-অনুরক্ত, মুরিদ, খোলাফা ও ছাত্র-শিক্ষকসহ সকল স্তরের মুহ্বিবীনদেরকে সবরে জামিল এখতিয়ার করার তাওফিক দিন, আমিন।

উল্লেখ্য, পীর সাহেব ছারছীনা বুধবার (১৭ জুলাই) রাত ২:১১ মিনিটে রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। ইন্না-লিল্লাহী ওয়াইন্না ইলাইহী রাজিউন।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টায় ছারছীনা দরবার শরীফে তার জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। ইন্তেকালের সময় মরহুমের বয়স হয়েছিল ৭০ এর কাছাকাছি। এসময় তিনি স্ত্রী, দুইপুত্র, তিন কন্যা ও অনেক নাতি নাতনি রেখে যান।

তিনি ফুরফুরার মুজাদ্দেদে জামান আল্লামা আবু বকর সিদ্দিকী আল কুরাইশী রাহিমাহুল্লাহর পৌত্র ফুরফুরার মরহুম পীর  আবুল আনসার মুহাম্মাদ আব্দুল কাহহার সিদ্দিকী আল- কুরাইশী রাহিমাহুল্লাহর বড় জামাতা ছিলেন।

দেশে ছারছীনা দারুস সুন্নাহ কামিল মাদরাসা, দারুন্নাজাত কামিল মাদরাসাসহ বহু মাদরাসা, মক্তব, খানকাহ, মাসজিদ ও দ্বীনি ইদারা তিনি প্রতিষ্ঠিত করেছেন।