সংবিধান সংস্কার মতামতে ডাক পেলেন আলেমও

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

সংবিধান সংস্কার বিষয়ে সব শ্রেণিপেশার মতামত নিতে বৈঠকের আয়োজন করেছে কমিশন। এরকম গুরুত্বপূর্ণ কোনো বৈঠকে এই প্রথম ডাক পড়েছে আলেমদের। এ বৈঠকে অংশ নিতে ডাক পেয়েছেন কবি, দার্শনিক ও আলেম মুসা আল হাফিজ। ১২ নভেম্বর (মঙ্গলবার) দুপুর ১২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ-পশ্চিম ব্লকের দ্বিতীয় লেভেলের কেবিনেট কক্ষে এ বৈঠক হবে।

সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ স্বাক্ষরিত ৬ নভেম্বরের ওই আমন্ত্রণপত্রটি মুসা আল হাফিজ তার ফেসবুকে শেয়ার করেছেন।

মুসা আল হাফিজকে পাঠানো ওই আমন্ত্রণপত্রে বলা হয়, কমিশন সুপারিশ তৈরির লক্ষ্যে অংশীজনদের মতামত গ্রহণের প্রক্রিয়া হিসেবে সংবিধান সংস্কার বিষয়ে সমাজের সব স্তরের মানুষের মতামত সংগ্রহ করবে। এই উদ্দেশ্যে কমিশন সংবিধান সংস্কার বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

একটি সূত্রে জানা গেছে, মুসা আল হাফিজসহ ওই বৈঠকে তিনজন আলেম অংশগ্রহণে আমন্ত্রণ পেয়েছেন। তাৎক্ষণিক অপর দুই আলেমের পরিচয় জানা যায়নি।

এর আগে ৩ নভেম্বর জাতীয় সংসদের একটি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংবিধান সংস্কার কমিশন। ওই সম্মেলনে জানানো হয়- সংবিধান সংস্কারের সুপারিশ তৈরির জন্য অংশীজনদের মতামত ও প্রস্তাব নেবে সংবিধান সংস্কার কমিশন। আগামী সপ্তাহ থেকে রাজনৈতিক দল বাদে অন্য অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করবে তারা। তবে যেসব ব্যক্তি, সংগঠন, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান বা রাজনৈতিক দল জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানের সময় সক্রিয়ভাবে হত্যাকাণ্ডে যুক্ত থেকেছে, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে হত্যাকাণ্ড ও নিপীড়নকে সমর্থন করেছে, ফ্যাসিবাদী কার্যক্রমকে বৈধতা দিতে সাহায্য করেছে, তাদের সংস্কার প্রস্তাবের সুপারিশ তৈরিতে যুক্ত না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এ কমিশন।

এ সময় সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ সাংবিধানিক সংস্কারের সাতটি উদ্দেশ্যের কথা তুলে ধরেন। এতে সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।




রমজানের নিত্যপণ্য আমদানিতে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে : উপদেষ্টা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, চাল-চিনি-গমসহ রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সার আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে, যেন শিগগির এগুলো আনা হয়। এসব পণ্য আমদানিতে পর্যাপ্ত অর্থের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমারা নিশ্চিত করেছি চাল গমসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, যেমন রোজার জন্য ডাল ও খেজুরের জন্য বরাদ্দের সমস্যা হবে না। কোনো ব্যাপারেই যেন ভোগ্যপণ্য বা ভোক্তাদের কোনো সমস্যা না হয়।’

আজ বুধবার সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির (এফপিএমসি) সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব বলেন।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন খাদ্যদ্রব্য মনিটরিং একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা বলেছি, কোন কোন পণ্যের মজুত কী অবস্থায় আছে, কী কী আমদানি করতে হবে, সেগুলো নিয়ে কাজ করতে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি বাড়াতে বলে দিয়েছি। তারা দ্রুত পণ্য আনতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘চাল-গমের বিষয়ে যতটুকু মজুত আছে, যতটুকু আমদানি দরকার, তার চেয়ে কিছুটা বেশি আমদানি ও সংগ্রহ করতে নির্দেশনা দিয়েছি। প্রয়োজন যদি এক্স হয়, তবে টার্গেট এক্স প্লাস ওয়ান করতে বলেছি।’

ড. সালেহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা ধান ও চাল সংগ্রহের দাম ঠিক করে দিয়েছি। সেটা যেন ভোক্তা ও কৃষকদের জন্য যুক্তিপূর্ণ হয়। আমরা একটা দাম ঠিক করব আর বাজারে এর থেকে বেশি ব্যবধানে বিক্রি হবে, এমন যেন না হয়। তাহলে বাজারে মধ্যস্বত্বভোগীরা সুবিধা নেবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আসন্ন রমজানে যেন পণ্যের দাম না বাড়ে- সে লক্ষ্যে দ্রুতই আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম। ছোলা, ডাল, চিনি, তেল এবং খেজুর যেন দেশে ঠিক সময় আমদানি হয়।’




আগামীকালকের রাজধানীর মহাসমাবেশ সফল করার আহ্বান বৃহত্তর উত্তরা ওলামা পরিষদের

dnbnews desk:

আগামীকাল ৫ নভেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামা-মাশায়েখের উদ্যোগে তাবলীগ,কওমি মাদরাসা এবং দ্বীন রক্ষার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিতব্য ইসলামী মহাসম্মেলন সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন বৃহত্তর উত্তরার সাত থানার আলেমদের সম্মিলিত প্লাটফর্ম বৃহত্তর উত্তরা ওলামা পরিষদ।

সোমবার (৪ নভেম্বর) সকালে উত্তরা বাইতুল মুমিন মাদরাসা মিলনায়তনে বৃহত্তর ওলামা পরিষদ-এর এক মতবিনিময় সভায় এ আহ্বান জানান তারা।
বক্তারা বলেন, দাওয়াত ও তাবলীগের শান্তিপূর্ণ কাজে বিশৃংখলা তৈরির জন্য মাওলানা সাদ সাহেবের অনুসারীরা তাকে ইজতেমায় আনা এবং প্রথম পর্বে ইজতেমা করার পায়তারা করছে।

এসব বিষয় সামনে রেখে দেশের নতুন পরিস্থিতিতে দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনত, কওমি মাদরাসাগুলোর হেফাজত ও দ্বীনি জিম্মাদারী আরো সুচারুরূপে রক্ষণাবেক্ষণের লক্ষ্যে দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামা-মাশায়েখদের আহ্বানে আগামীকাল ৫ নভেম্বর সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহাসিক এক ইসলামী মহাসম্মেলন।

তারা বলেন, মঙ্গলবারের ইসলামী মহাসম্মেলন সফল করার মধ্য দিয়ে আমাদের ঐক্যবদ্ধ জোরালো অবস্থান ও সিদ্ধান্তের জানান দিতে হবে। সাংবিধানিকভাবে ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণের স্বাধীনতা সকল নাগরিকের রয়েছে। এখানে অযাচিত হস্তক্ষেপ করতে কাউকে সুযোগ দেওয়া হবে না। আমাদের সামনে বৃহৎ প্রতিবেশী হিন্দু অধ্যুষিত ভারতের কওমি মাদ্রাসা পরিচালনা পদ্ধতির নজির রয়েছে।

মহাসম্মেলনে দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমগণ উপস্থিত থেকে ধর্মপ্রাণ সবাইকে সুচিন্তিত দিক-নির্দেশনা দেবেন বলেও জানান তারা।




নতুন বাংলাদেশ গড়তে সাংবাদিকদের অবদান রাখতে হবে : পিআইবি মহাপরিচালক

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ গত শুক্রবার রাতে বগুড়া প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। বগুড়া প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক ওয়াসিকুর রহমান বেচানের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম-আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদের পরিচালনায় এ সভায় বক্তব্য দেন, দৈনিক করতোয়ার সম্পাদক মোজাম্মেল হক লালু, প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি রেজাউল হাসান রানু, সাংবাদিক ইউনিয়ন

বগুড়া’র সভাপতি গনেশ দাস, সাবেক সভাপতি মীর্জা সেলিম রেজা ও সৈয়দ ফজলে রাব্বী ডলার, সাধারণ সম্পাদক এস এম আবু সাঈদ, সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুর রহীম বগ্রা, প্রতীক ওমর প্রমুখ।

বগুড়াকে ব্র্যান্ডিং করার আহ্বান জানিয়ে পিআইবি মহাপরিচালক বলেন, বগুড়ার অনেক ইতিহাস, ঐতিহ্য লুকিয়ে রয়েছে। অবহেলা, অনাদরে ইতিহাস-ঐতিহ্যগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। এসব ইতিহাস-ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে স্থানীয় সাংবাদিকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। বগুড়ার বিশিষ্ট

ব্যক্তিদের সামনে এনে জেলার ব্র্যান্ডিং করতে হবে। মহাপরিচালক আরো বলেন, ৫ আগষ্টের বিপ্লব একদিনে হয়নি। দীর্ঘ সময় দেশের মানুষ জুলুম-নির্যাতন সহ্য করে এই আন্দোলনের ভিত গড়েছিল। ছাত্র-জনতার জীবনের বিনিময়ে সেই আন্দোলন পূর্ণতা পেয়েছে।




পশ্চিমা আগ্রাসন প্রতিরোধে মোহাম্মদপুরে মানববন্ধন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

রাজধানীর মোহাম্মাদপুরের বসিলা রোড সংলগ্ন আন নূর ইসলামিয়া নৈশ মাদরাসার ছাত্র সংসদের উদ্যোগে পশ্চিমা আগ্রাসন প্রতিরোধে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১নভেম্বর) দুপুরে মুহাম্মাদ ইয়ামিনের পরিচালনায় বসিলা রোডে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

এ মানববন্ধনে বক্তারা বলেন- মানবাধিকার ভালো জিনিস কিন্তু মানবাধিকারের নামে যদি মানবাধিকার পরিষদের প্রস্তাবিত ওই কার্যালয় থেকে সমকামিতা ও ইসলাম সমর্থন করে না এমন কর্মকাণ্ড সমাজে ছড়িয়ে দেওয়া হয় তাহলে আমরা মেনে নেবো না। আমরা চাই বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের কার্যালয় না হোক।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, সংগঠন সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ ইয়ামিন, মুহাম্মদ নাইম, মুহাম্মাদ আশরাফ প্রমূখ।




দুর্গাপুরে বনবিভাগের গাছ করাত কলে, জানেন না বন কর্মকর্তা দেওয়ান আলী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের মাধবপুর এলাকা থেকে বন বিভাগের শাল-গজারি গাছ কেটে বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। অভিযোগ রয়েছে, বিট কর্মকর্তা ও বন বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগ সাজশে চলছে গাছ কর্তন। তবে বিষয়টি জানেন না বলে দাবি করেছেন দুর্গাপুর বন কর্মকর্তা দেওয়ান আলী।

স্থানীয়রা জানান, দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগাড় ইউনিয়নের বিজয়পুর, মাইজপাড়া ও মাধবপুর এলাকায় রয়েছে বনবিভাগের বিশাল সেগুন ও গজারী বাগান। প্রতিবছর বর্ষা ও শীতকালীন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে কাটা হয় বাগানের গাছ। তবে অধিকাংশই বন বিভাগের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে হয়ে থাকে। এ বছরও বন বিভাগের কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে কাটা গাছগুলো ক্রয় করেছেন ডাকুমারা এলাকার কাঠ ব্যবসায়ি শাহআলম ও দুলাল মিয়া। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মাইজপাড়া এলাকার বাগান থেকে বেশ কিছু শাল-গজারি গাছ কেটে ডাকুমারা এলাকায় এক করাত কলের পিছনে এনে রাখেন শ্রমিকরা। এছাড়া মাধবপুর গ্রামের আব্দুল করিমের বাড়ীর সামনে এনে রাখা হয়েছে বেশ কিছু সদ্য কাটা গজারী গাছ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গাছকাটা শ্রমিক জানান, আজ নিয়ে তিন দিন ধরে পাঁচজনে মিলে প্রায় ৫০টি গাছ কেটেছেন। বিভিন্ন বাগান থেকে বাকি আরও ৫০টি‘র মতো গাছ কাটবেন। রাতের আঁধারে গাছ গুলো কেটে এলাকার বিভিন্ন বাড়ীতে রাখা পর্যন্ত তাদের দায়িত্ব। আরেক গ্রæপ রয়েছে ওই বাড়ী গুলো থেকে নদীর পাড়ে এনে দেয়। পরে গাড়ীতে করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যায়।

কাকড়াকান্দা গ্রামের সমাজকর্মী আমিনুল ইসলাম বলেন, রাতের অন্ধকারে প্রায় সময়ই সরকারি সেগুন- গজারী গাছ গুলো কাটা হয়। গাছগুলো কেটে করাত কলে সাইজ কাঠ বানিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যায়। এই গাছ কাটার সাথে বন-বিভাগের অসাধু কর্মকর্তারা জড়িত আছেন। বন-বিভাগের লোকদের জিজ্ঞেস করলে তারা ওয়াকসনের গাছ কাটা হচ্ছে বলে জানান।

ডাকুমারা এলাকার করাত কলের মালিক ফরিদ আলী বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে করাত কলে আসার সময় ডাকুমারা এলাকার কাঠ ব্যবসায়ী শাহআলম ও দুলাল বেশ কিছু গজারী গাছ ঠেলাগাড়ীতে করে নিয়ে যাওয়ার সময় আমি বাঁধা দেই এবং পরবর্তিতে বন-কর্মকর্তা, স্থানীয় সাংবাদিক এবং এলাকাবাসীকে অবগত করি।

সরকারি গাছ কাটা নিয়ে কাঠ ব্যবসায়ী সাহালমের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি সরকারি গাছ ক্রয়ের কথা অস্বীকার করেন পরে, সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে এ নিয়ে পরে কথা বলবেন বলে জানান।

দুর্গাপুর বন কর্মকর্তা দেওয়ান আলী বলেন, বিষয়টি আগে জানতাম না। ঝড়ে পড়ে গিয়েছিলো এমন কিছু গাছ কেটে দুর্গাপুর রেঞ্জ অফিসে আনার কথা ছিলো। গাছ কাটার বিষয়টি জানার পর গাছ কাটতে বিট অফিসার আব্দুর রহিমকে নিষেধ করে দিয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরবর্তি ব্যবস্থা নেবো।




দুর্গাপুর মুজাহিদ কমিটি ও ফজলুল উলুম কারীমিয়া মাদ্রাসার যৌথ উদ্যোগে ওয়াজ মাহফিল ও হালকায়ে জিকির অনুষ্ঠিত

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি দুর্গাপুর উপজেলা শাখা ও ফজলুল উলুম কারীমিয়া মাদ্রাসার যৌথ উদ্যোগে ওয়াজ মাহফিল ও হালকায়ে জিকির অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল বুধবার (৩০ অক্টোবর) বাদ এশা ফজলুল উলুম কারীমিয়া মাদ্রাসা খরস এর মাঠে ওয়াজ মাহফিল ও হালকায়ে জিকির অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি, দুর্গাপুর উপজেলা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব ডাঃ মাওলানা আলী আকবর সাহেবের সভাপতিত্বে ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, দুর্গাপুর উপজেলার সভাপতি মাওলানাআজিজুল হক এর সহ-সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শায়েখে চরমোনাই নায়েবে আমিরুল মুজাহিদীন শাইখুল হাদিস হযরত মাওলানা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মামুনুর রশিদ রব্বানী, সিনিয়র সহ সভাপতি-জাতীয় উলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ, গাজীপুর জেলা, মাওলানা মুফতি নুরুল ইসলাম হাকিমী, সভাপতি – ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নেত্রকোণা জেলা, মাওলানা মুফতি ওয়ালিউল্লাহ, সহ সভাপতি-জাতীয় উলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ নেত্রকোনা জেলা, মাওলানা সাইফুল ইসলাম মুহতামীম-হিফজুল উলুম মাদ্রাসা, বারহাট্টা সহ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর জেলা ও উপজেলার নেতৃবৃন্দ।

এসময় আশপাশের উপজেলা থেকে ধর্মপ্রাণ মুসুল্লি ও চরমোনাই পীরের ভক্ত-মুরিদানের উপস্থিতে মাঠ কানায় কানায় ভরে যায়।
বক্তব্য শেষে চরমোনাইর পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম দেশ ও জাতির কল্যাণে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন।




গাইবান্ধায় এইচপিভি টিকা নিয়ে ১৬ ছাত্রী অসুস্থ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে কিশোরীদের হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকা দেওয়ার পর একটি বিদ্যালয়ের ১৬ জন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। অক্টোবর বুধবার দুপুরে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অসুস্থ হয়ে পড়া সবাই উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ডা. নুরুল হক প্রি-ক্যাডেট স্কুলের ছাত্রী।

তবে চিকিৎসক বলেন, টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় নয়, তারা ভয়ে অসুস্থ হয়েছে।

দুপুরে ওই বিদ্যালয়ে এইচপিভি টিকা দেওয়া হচ্ছিল। হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ছাত্রীদের টিকা দেন। দুপুর দেড়টার দিকে কয়েকজন ছাত্রী টিকা নেওয়ার পর শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতা বোধ করে। একে একে ১৬ জন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অসুস্থ ছাত্রীরা জানায়, টিকা নেওয়ার পরই তাদের পেট ব্যথা, শ্বাসকষ্টসহ নানা উপসর্গ দেখা দেয়।

এ ব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জায়েদ জামান জিতি বলেন, ছাত্রীরা ভয় ও আতঙ্কে অসুস্থ হয়েছে। বড় কোনো সমস্যা নেই। টিকা নেওয়ার কারণে তাদের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি।




নরসিংদীর শীর্ষস্থানীয় আলেম হাফেজ মাওলানা আহমদ আলীর ইন্তেকাল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নরসিংদী জেলার শীর্ষস্থানীয় আলেমেদ্বীন, জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম গনেরগাঁও শাহী ঈদগাহ কমপ্লেক্সে মাদরাসার শায়খুল হাদিস ও মুহতামিম হাফেজ মাওলানা আহমদ আলী ইন্তেকাল করেছেন।

ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মরহুমের জামাতা মুফতি সাকিবুল ইসলাম কাসেমী আওয়ার ইসলামকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আজ মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুর সোয়া দুইটার দিকে তিনি রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬৫ বছর।
এর আগে গতরাত থেকে তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করলে আজ ভোরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।’

তিনি জানান, আজ রাত ১০টায় হাফেজ মাওলানা আহমদ আলী রহ. -এর নিজ হাতে সাজানো ইলমি বাগান জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম গনেরগাঁও শাহী ঈদগাহ কমপ্লেক্স ময়দানেই প্রবীণ এই আলেমের জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। জানাযার নামাজে ইমামতি করবেন তার একমাত্র সাহেবজাদা হাফেজ নেয়ামতুল্লাহ। এরপর মরহুমের অসিয়ত অনুযায়ী গনেরগাঁও শাহী ঈদগাহ কমপ্লেক্স কবরস্থানে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে।
হাফেজ মাওলানা আহমদ আলী রহ. মৃত্যুকালে এক ছেলে, তিন মেয়ে, অসংখ্য শাগরেদ ও গুণমুগ্ধ রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে নরসিংদীর আলেম সমাজ ও দ্বীন দরদি মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

নরসিংদী জেলার সর্বজন শ্রদ্ধেয় এ আলেমেদ্বীন ছিলেন দ্বীনি আন্দোলন-সংগ্রাম ও বুদ্ধিবৃত্তিক পদক্ষেপের অগ্রনায়ক। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নরসিংদী জেলা শাখার সাবেক সহ-সভাপতি তিনি।

তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে হলেও জীবনের প্রায় পুরোটা সময় তিনি কাটিয়েছেন নরসিংদীতে। নরসিংদী জেলার আঞ্চলিক শিক্ষাবোর্ড তানযিমুল মাদারিসিল কওমিয়ার সহসভাপতির দায়িত্বেও ছিলেন তিনি।

এছাড়া তিনি নবীনগর ওলামা পরিষদের সভাপতি, নরসিংদীর মনোহরদীর প্রাচীনতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া আশরাফুল উলুম বড় মির্জাপুর মাদরাসার শায়খুল হাদিসের দায়িত্ব পালনসহ বিভিন্ন দ্বীনি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

তিনি নরসিংদীর ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম সাহেপ্রতাপ ও রেইছা আজীজিয়া কারীমিয়া কওমিয়া মাদরাসা নবাববাড়ীরও প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন এক সময়।
তার মৃত্যুতে নরসিংদী জেলার ইলমি অঙ্গনে অপূরণীয় এক শূন্যতা তৈরি হলো।




সংবিধানের দোহাই দিয়ে ফ্যাসিবাদকে প্রতিষ্ঠার কোন সুযোগ নেই: চরমোনাই পীর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, সংবিধান মানুষের জন্যে। সংবিধানের জন্য মানুষ নয়। যে সংবিধান মানুষের জন্য কল্যাণকর নয়, এমন সংবিধান হতে পারে না। বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার নিজেদের স্বার্থে সংবিধানকে বার বার সংশোধন করেছে। এখন সংবিধান সংশোধন করলে অসুবিধা কোথায়? কাজেই সংবিধানের দোহাই দিয়ে ফ্যাসিবাদকে প্রতিষ্ঠার কোন সুযোগ নেই।

ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে চিটাগাংরোডস্থ গ্রীণ গার্ডেন মিলনায়তনে শায়েখ (রহ.) এর রাজনৈতিক দর্শন শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইউনিয়ন প্রতিনিধি সম্মেলনে পীর সাহেব চরমোনাই এসব কথা বলেন।

সংগঠনের নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি মুহাম্মাদ জোবায়ের আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবদুর রশীদের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর শরীয়াহ উপদেষ্টা মুফতি ওমর ফারুক সন্দীপী, মুফতী বদরুল আলম সিলেটী। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ এর সেক্রেটারি জেনারেল মুফতী মানসুর আহমদ সাকী। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মাওলানা দ্বীন ইসলাম, সহ সভাপতি মাওলানা শফিকুল ইসলাম, সেক্রেটারী মুহাম্মাদ জাহাঙ্গীর আলম,নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর সেক্রেটারী সুলতান মাহমুদ। এছাড়াও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের জেলা ও থানা নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, বিগত ১৬ বছরে ফ্যাসিস্ট সরকারকে দেশকে সবদিক থেকে ধ্বংস করে দিয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে দেশকে পঙ্গু করে দিয়েছে। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করার ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। তিনি পাচারকৃত টাকা ফেরত এনে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমার করার দাবি জানান। সেইসাথে পাচারকারীদেরকেও গ্রেফতার এবং সন্ত্রাস, দুর্নীতিবাজ এবং পেশীশক্তিকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার দাবি জানিয়ে এ প্রসঙ্গে আইন পাশ করার আহ্বান জানান।

ইসলামী আন্দোলনের আমীর বলেন, ফজলুল করীম রহ. রাজনীতিতে আদর্শিক ও গুণগত পরিবর্তনে কাজ করে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। তিনি ইবাদতের রাজনীতির দর্শন প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। তাঁর চিন্তা চেতনা জগৎবাসীর জন্যে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত থাকবে। জাতি তাকে আজীবন স্মরণ রাখবে।

তিনি জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠায় পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচনেই কেবল জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব। এছাড়া ফলপ্রসূ জাতীয় সরকার সম্ভব নয়। আর জাতীয় সরকার ছাড়া দেশকে ছাত্র-জনতার আগামীর বাংলা প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। দুর্নীতিবা ও চাঁদাবাজদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ দূর্নীতি করার সাহস না পায়। গণহত্যার সাথে জড়িতদের কঠোর শাস্তির বিধান পাশ করতে হবে।