দুর্গাপুরে ইমাম দম্পতিকে নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

মসজিদের ইমাম দম্পতিকে রাতভর নির্যাতনকারী আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবীতে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে ঈমান আক্বিদা সংরক্ষণ কমিটির আয়োজনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

পৌরশহরের ঈদগাহ মাঠে ঘন্টাব্যাপি সমাবেশে, আল্লামা জিয়া উদ্দিন সাহেবের সভাপতিত্বে, মাওলানা ওলি উল্লাহ্ এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপি‘র সাবেক সহ:সভাপতি আলহাজ¦ ঈমাম হাসান আবুচান, উপজেলা বিএনপি‘র সভাপতি জহিরুল আলম ভুইয়া, মাওলানা আব্দুর রউফ, মুফতি মামুনুর রশীদ, মুফতি হাবিবুর রহমান, হাফেজ রুহুল আমীন সিরাজী প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, দুর্গাপুর উপজেলার বাকলজোড়া ইউনিয়নের সুতিয়াপাড়া নূরানি ও হাফিজিয়া মাদরাসার শিক্ষক আব্দুল্লাহ্ আল মামুন সহ তার স্ত্রীকে রাতভর নির্যাতন ও শ্লীলতাহানীর বিষয়টি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, দেশের জাতীয় দৈনিক ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশ হওয়ায় প্রধান আসামী জহিরুল ইসলাম কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই মাদরাসার শিক্ষক অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মামলা করায়, আড়াল থেকে ওই শিক্ষককে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রাণনাশের হুমকী দিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। শুধু তাই নয়, ওইদিন রাতে মাদরাসার হুজুরের কাছে চাঁদাদাবী করে, মাদরাসার কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরও মারধোর করা হয়েছে।

বক্তারা আরো বলেন, আমাদের শিক্ষকের কোন দোষ ছিলনা। কেনো ওনাকে নাজেহাল করা হলো, কেনো একজন মাদরাসার শিক্ষকের উপর হাত তোলা হলো কেনো, আমরা এর জবাব চাই। অনতিবিলম্বে অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। নইলে পরবর্তিতে কঠোর কর্মসুচী দেয়া হবে। আলোচনা শেষে বিভিন্ন এলাকার মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে এক বিক্ষোভ মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে, ঈদগাঁ মাঠে দেশ ও জাতীর কল্যানে এবং শিক্ষক আব্দুল্লাহ্ আল মামুনের জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়। ওই মোনাজাত পরিচালনা করেন, আল্লামা জিয়া উদ্দিন সাহেব।




প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ ইস্যুতে জাতীয় সেমিনার শনিবার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ পরিপন্থী সকল সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে জাতীয় সেমিনারের আয়োজন করেছে জাতীয় মূল্যবোধ সংরক্ষণ পরিষদ।

আগামী শনিবার (২৫ অক্টোবর) বেলা ২টা থেকে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এই সেমিনার শুরু হবে।

সেমিনারে অতিথি হিসেবে থাকবেন- মুফতি সৈয়দ মুহা. রেজাউল কারীম; পীর সাহেব চরমোনাই, আমির, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

ওলানা সাজিদুর রহমান, মহাসচিব, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সেক্রেটারি জেনারেল, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

সালাহ উদ্দিন আহমদ, স্থায়ী কমিটির সদস্য, বিএনপি

মাওলানা মামুনুল হক, আমির, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস।

ড. আহমদ আবদুল কাদের মহাসচিব, খেলাফত মজলিস।

মাওলানা মাহফুজুল হক, মহাসচিব, বেফাকুল মাদারিস।

মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি, মহাসচিব, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম।

নুরুল হক নুর, সভাপতি, গণঅধিকার পরিষদ।

হাসানাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক, এনসিপি।

মাওলানা আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাযযাক, পরিচালক, আদ দাওয়াহ ইলাল্লাহ।




মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, মৃত্যুদণ্ডের ফয়সালা আদালতের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

মাদারীপুরে আলোচিত মাদ্রাসাছাত্রী দীপ্তি (১৫) ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ইজিবাইকচালক মো. সাজ্জাদ হোসেন খানকে মৃত্যুদণ্ডের ফয়সালা দিয়েছেন আদালত।

একই সঙ্গে আসামিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে মাদারীপুর আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শরীফ এ এম রেজা জাকের এ রায় ঘোষণা করেন।

এ সময় মামলার সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট শরীফ সাইফুল কবির উপস্থিত ছিলেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাজ্জাদ মাদারীপুর সদর উপজেলার পূর্ব খাগদী এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে। আসামি এর আগে ১৯৯২ সালে শিশু হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজা খেটে ২০১১ সালে মুক্তি পান।

মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৩ জুলাই মাদারীপুর শহরের পূর্ব খাগদী এলাকার একটি পরিত্যক্ত পুকুর থেকে অজ্ঞাত এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন নিহতের বাবা মজিবর ফকির মরদেহ শনাক্ত করেন এবং তার মেয়ে দীপ্তির মরদেহ বলে জানান।

পরে মজিবর ফকির বাদী হয়ে মাদারীপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনাটি নিয়ে তদন্তে নামে র‌্যাব-৮’র সদস্যরা। তাদের তদন্তে বেরিয়ে আসে, ইজিবাইকচালক সাজ্জাদ হোসেন খান দীপ্তিকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে।

নিহত দীপ্তি মাদারীপুর সদর উপজেলার চরনচনা গ্রামের মজিবর ফকিরের মেয়ে। তিনি বলাইরচর শামসুন্নাহার বালিকা মাদ্রাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।

র‌্যাবের তদন্তে জানা যায়, সাজ্জাদ হোসেন পূর্বে শিশু হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ছিলেন এবং ২০১১ সালে মুক্তি পান। ২০১৯ সালের ১১ জুলাই বৃষ্টির দিনে জেলা শহরের ইটেরপুল থেকে চরমুগরিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে দীপ্তি তার ইজিবাইকে ওঠেন। এ সময় অন্যকোনো যাত্রী না থাকার সুযোগে দীপ্তিকে জোর করে পূর্ব খাগদি এলাকায় নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ ও হত্যা করেন। পরে মরদেহ বিদ্যুতের তার দিয়ে বেঁধে কয়েকটি ইটসহ পুকুরে ফেলে দেন। দুই দিন পর লাশটি ভেসে উঠলে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও দ্রুত বিচারের দাবিতে ফেটে পড়ে স্থানীয়রা।

দীপ্তির বাবা মজিবর ফকির রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আমার মেয়ের হত্যাকারী আজ আইনের কাছে জবাবদিহি করেছে। আমরা এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার পেয়েছি।

মামলার পিপি শরীফ সাইফুল কবীর বলেন, মামলায় একমাত্র আসামি সাজ্জাদ হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। দীর্ঘ ছয় বছর বিচারিক কার্যক্রম শেষে আদালত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেছেন। এটি ছিল অত্যন্ত নৃশংস একটি হত্যা ও ধর্ষণ মামলা। আমরা রায়ে সন্তুষ্ট।




ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মসজিদের অজুখানা নিয়ে সংঘর্ষ : আহত ২০, গ্রেফতার ৪

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কাইয়ুমপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামে মসজিদের অজুখানা নির্মাণকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ১২ জনকে প্রথমে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরবর্তী অবস্থার অবনতি হলে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে ৬ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকালে উপজেলার কাইয়ুমপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর পূর্বপাড়া জামে মসজিদের সামনে ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই মসজিদের অজুখানা নির্মাণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল। সোমবার দুপুরে দুলাল মিয়া (৬০), পুলিশ নিয়ে এসে অজুখানার কাজ বন্ধ করে দেন। এ সময় আলম মিয়া (৬০), ফজলু মিয়া (৫৫) ও সাইদ মিয়া (৬৫) সহ নসু হাজির পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তখন দুলাল মিয়ার অনুসারীরা পুলিশের সামনেই অতর্কিত হামলা চালায়।

এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।

কসবা থানার ওসি রিপন দাস জানান, মসজিদের অজুখানা নির্মাণকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে আছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।




জামায়াতের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

পিআর নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর আন্দোলনকে ‘একটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক প্রতারণা’ বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।

নাহিদ বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর শুরু করা তথাকথিত “প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) আন্দোলন” একটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই না।’

ঐকমত্য কমিশনের সংস্কার প্রক্রিয়াকে লাইনচ্যুত করতে এবং জনগণের অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্র ও সংবিধান পুনর্গঠন প্রশ্নে জাতীয় আলোচনাকে ভিন্ন খাতে সরিয়ে দিতেই ইচ্ছাকৃতভাবে এর নকশা করা হয়েছে’, বলেন তিনি।

নাহিদ বলেন, ‘ভোটের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ওপর ভিত্তি করে উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠার মূল সংস্কারের দাবিকে একটি সাংবিধানিক সুরক্ষা হিসাবে কল্পনা করা হয়েছিল। আমরা এই ধরনের মৌলিক সংস্কারগুলোর ওপর ভিত্তি করে একটি আন্দোলন গড়ে তুলতে এবং বিস্তৃত জাতীয় ঐকমত্যের মাধ্যমে জুলাই সনদের আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলাম।’




শাপলা চত্বর ও মোদিবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ৭৭ পরিবার পেল অনুদানের চেক

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বিগত ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞে শহীদ ৫৮ জন এবং ২০২১ সালের মার্চে নরেন্দ্র মোদিবিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচিতে শহীদ ১৯ জনের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে অনুদানের চেক হস্তান্তর করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। মোট ৭ কোটি ৭০ লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এই আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

প্রধান অতিথি আসিফ মাহমুদ বলেন, ২০১৩ সালে হেফাজত ইসলামের আন্দোলনেই ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল। সেদিন সরকার নিরপরাধ ও নিরীহ হেফাজত কর্মীদের হত্যা করে ভেবেছিল, দেশ থেকে ইসলামকে নিশ্চিহ্ন করা যাবে। জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে গণমানুষের আন্দোলনকে স্তব্ধ করে হত্যা করা যাবে। কিন্তু এই অনুষ্ঠান প্রমাণ করে, জুলুম ও নির্যাতন কখনো স্থায়ী হয় না।

উপদেষ্টা বলেন, হেফাজত ইসলামের সেই আন্দোলনের সূত্র থেকেই ২০২৪ সালে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের জন্ম। ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে ফ্যাসিবাদের নেত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হন।

উপদেষ্টা আরও বলেন, ২০১৩ সালে নবম শ্রেণিতে পড়তাম। টেলিভিশনে দেখেছি লাখো জনতা কিভাবে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। কিন্তু সেদিনের প্রকৃত তথ্য জাতিকে জানানো হয়নি।

তিনি আরও জানান, হেফাজত ইসলামের শহীদদের নামের তালিকা সম্বলিত একটি স্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভ শাপলা চত্বরে তৈরি করা হবে। এতে এই আন্দোলন আগামী প্রজন্মের জন্য প্রেরণা যোগাবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন বলেন, ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে হেফাজত কর্মীদের নৃশংসভাবে হত্যা করে তৎকালীন সরকার মনে করেছিল জুলুম-নির্যাতন বিরোধী আন্দোলন দমন করা যাবে।

ওই আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের একটি তালিকা প্রস্তুত করার হেফাজত ইসলামের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এ বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় সব ধরনের সহযোগিতা করবে বলেও আশ্বাস দেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, সেদিন শাপলা চত্বরে সাত হাজারের বেশি পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির সদস্যরা হেফাজত কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছিল। প্রায় দেড় লক্ষ গুলি খরচ করা হয়েছিল। তারপরও ইতিহাস থেকে সেই ঘটনা মুছে ফেলা যায়নি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব রেজাউল মাকসুদ জাহিদী।

আরও উপস্থিত ছিলেন হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের আমির মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী, মহাসচিব মাওলানা মাজেদুর রহমান, জামাত ইসলামের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার, খেলাফতে ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হক, গণধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর প্রমুখ।

শহীদ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়াকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান মাওলানা মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী।




জুলাই জাতীয় সনদে ২৫ দল ও জোটের যে সকল নেতা স্বাক্ষর করেছেন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ২৫টি রাজনৈতিক দল ও জোটের নিম্নোক্ত প্রতিনিধিরা স্বাক্ষর করেছেন।

১। লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি

ড. রেদোয়ান আহমেদ, মহাসচিব

ড. নেয়ামূল বশির, প্রেসিডিয়াম সদস্য

২। খেলাফত মজলিস

মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ, আমীর, খেলাফত মজলিস

ড. আহমদ আবদুল কাদের, মহাসচিব, খেলাফত মজলিস

৩। রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন

হাসনাত কাইয়ুম, প্রধান সমন্বয়ক

সৈয়দ হাসিবউদ্দীন হোসেন, মিডিয়া সমন্বয়ক

৪। আমার বাংলাদেশ পাটি (এবি পার্টি)

মোহাম্মদ মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু, চেয়ারম্যান

ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, সাধারণ সম্পাদক

৫। নাগরিক ঐক্য

মাহমুদুর রহমান মান্না, সভাপতি

শহীদুল্লাহ কায়সার, সাধারণ সম্পাদক

৬। জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)

ববি হাজ্জাজ, চেয়ারম্যান

মোমিনুল আমিন, মহাসচিব

৭। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মহাসচিব

সালাহউদ্দিন আহমেদ, সদস্য, জাতীয় স্থায়ী কমিটি

৮। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস

মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, সিনিয়র নায়েবে আমীর

মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, মহাসচিব

৯। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী

ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর

মিয়া গোলাম পরওয়ার, সেক্রেটারী জেনারেল

১০। গণসংহতি আন্দোলন

জোনায়েদ সাকি, প্রধান সমন্বয়কারী

আবুল হাসান রুবেল, নির্বাহী সমন্বয়কারী

১১। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি

শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, সাধারণ সম্পাদক

মিসেস তানিয়া রব, সিনিয়র সহ-সভাপতি

১২। গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি)

নুরুল হক নুর, সভাপতি

মো. রাশেদ খাঁন, সাধারণ সম্পাদক

১৩। বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি

সাইফুল হক, সাধারণ সম্পাদক

বহ্নিশিখা জামালী, রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য

১৪। জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট

ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, সমন্বয়ক, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও চেয়ারম্যান, এনপিপি

বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান, সভাপতি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা

১৫। ১২ দলীয় জোট

শাহাদাত হোসেন সেলিম, মুখপাত্র, ১২ দলীয় জোট ও চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ এলডিপি

১৬। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, প্রেসিডিয়াম সদস্য

মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব

১৭। গণফোরাম

বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ এডভোকেট, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি

ডা. মো. মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক

১৮। জাকের পাটি

আলহাজ্ব শহীদুল ইসলাম ভুইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান

জহিরুল হাসান শেখ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, গাজীপুর জেলা ছাত্রফ্রন্ট

১৯। জাতীয় গণফ্রন্ট

আমিনুল হক টিপু বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক

মঞ্জুরুল আরেফিন লিটু বিশ্বাস, সদস্য কেন্দ্রীয় কমিটি

২০। বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি

মাওলানা আবদুল মাজেদ আতহারী, সিনিয়র নায়েবে আমীর

মাওলানা মুসা বিন ইযহার, মহাসচিব

২১। বাংলাদেশ লেবার পার্টি

ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, চেয়্যারম্যান

খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব

২২। ভাসানী জনশক্তি পার্টি

বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম (বাবলু), চেয়ারম্যান

ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ (সেলিম), মহাসচিব

২৩। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ

মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, সহ-সভাপতি

মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, মহাসচিব

২৪। ইসলামী ঐক্যজোট

মাওলানা আব্দুল কাদের, চেয়ারম্যান

মুফতী সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মহাসচিব

২৫। আমজনতার দল

কর্নেল মিয়া মশিউজ্জামান (অব:), সভাপতি

মো. তারেক রহমান, সাধারণ সম্পাদক

এগুলো ছাড়াও শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর বাবা মীর মোস্তাফিজুর রহমান এবং শহীদ তাহির জামান প্রিয়র মা শামসী আরা বেগম জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।




ক্ষোভ-বিক্ষোভের মুখে জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামার পঞ্চম দফা সংশোধন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ব্যাপক ক্ষোভ-বিক্ষোভের মুখে জুলাই জাতীয় সনদের অঙ্গীকারনামার পঞ্চম দফা সংশোধন করেছে বাংলাদেশের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

দফাটিতে আগে ছিল, ‘গণঅভ্যুত্থানপূর্ব ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামে গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানকালে সংঘটিত সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার, শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান ও শহীদ পরিবারগুলোকে যথোপযুক্ত সহায়তা প্রদান এবং আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করব।’

সংশোধিত দফায় বলা হয়েছে, ‘গণ-অভ্যুত্থানপূর্ব বাংলাদেশে ১৬ বছরের আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামে গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান কালে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় সদস্যদের দ্বারা সংঘটিত সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার, শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান ও শহীদ পরিবারকে এবং জুলাই আহতদের রাষ্ট্রীয় বীর, আহত জুলাই বীর যোদ্ধাদের যথোপযুক্ত সহায়তা প্রদান যেমন মাসিক ভাতা, সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন ব্যবস্থা এবং শহীদ পরিবার ও আহত বীর যোদ্ধাদের আইনগত দায়মুক্তি, মৌলিক অধিকার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো।’

আজ (শুক্রবার) বেলা ২টার দিকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই সংশোধনের কথা জানানো হয়।

দফাটি নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন নিজেদের ‘জুলাই শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধা’ পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিরা। তাঁরা গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনের মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বিক্ষোভ করেন। আজ সকালে তাঁরা জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ‘জুলাই সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানস্থলে অবস্থান নেন। দুপুরের দিকে অনুষ্ঠানের মঞ্চের সামনে থেকে তাঁদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। সেখানে অবস্থানকারীদের লাঠিপেটা করতে দেখা যায় পুলিশকে। পরে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করা হয়। ইটপাটকেল নিক্ষেপ, বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আগুন জ্বলতে দেখা যায়। এই ঘটনায় ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ কয়েকজন আহত হন। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেখা যায়।

বিক্ষোভ চলার মধ্যে দফাটি সংশোধন করা উচিত বলে আজ বেলা ১১টা ৮ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে মত দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

সালাহউদ্দিন আহমদ তার পোস্টে লিখেন, দফাটি সংশোধিত হওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন। কারণ, ছাত্র গণ-অভ‍্যুত্থান ২০২৪-এ আওয়ামী লীগ ফ‍্যাসিস্ট বাহিনী ও তাদের অনুগত কতিপয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস‍্য নিরীহ-নিরস্ত্র আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার ওপর হানাদার বাহিনীর মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে, নির্বিচারে গণহত্যা চালায়। তবে জনগণের প্রতিরোধের মুখে হানাদার বাহিনীর কিছু লোকও প্রাণ হারায় (তারা গাদ্দার, বিশ্বাসঘাতক)। জনতার আদালতে তাঁদের বিচার হয়ে গেছে। সুতরাং, যৌক্তিক কারণে তাদের বিচার গন-অভ্যুত্থানের যুদ্ধের ময়দানে সম্পন্ন হয়ে গেছে।

তাই দফাটি নিম্নলিখিতভাবে সংশোধন করা উচিত: গণঅভ্যুত্থানপূর্ব বাংলাদেশে ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামে গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান কালে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ ও তার সহযোগী কতিপয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় সদস্যদের দ্বারা সংঘঠিত সকল হত্যাকান্ডের বিচার, শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান ও শহীদ পরিবার, আহত বীর যোদ্ধাদের যথোপযুক্ত সহায়তা প্রদান যেমন মাসিক ভাতা, সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন ব্যবস্থা এবং শহীদ পরিবার ও আহত বীর যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো।

ঐকমত্য কমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই বীর যোদ্ধাদের দাবির প্রতিফলন ঘটিয়ে সনদের অঙ্গীকারনামার পঞ্চম দফা সংশোধন করা হয়েছে।

কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, জুলাই বীর যোদ্ধাদের সঙ্গে গতকালের আলোচনাসহ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫-এর অঙ্গীকারনামার পঞ্চম দফার পরিবর্তন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে জুলাই বীর যোদ্ধাদের দাবির প্রতিফলন ঘটিয়ে প্রয়োজনীয় জরুরি সংশোধন করা হয়েছে।

আজ জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় আন্দোলনরত জুলাই বীর যোদ্ধাদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন আলী রীয়াজ।

কমিশনের সহসভাপতি জানান, কমিশন এই অঙ্গীকারনামা বাস্তবায়নের ব্যাপারে সরকারকে সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্টভাবে উপস্থাপন করবে। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দল ও ঐকমত্য কমিশনের কোনো মতপার্থক্য নেই।#

সূত্র : পার্সটুডে




এবার পাসের হারে এগিয়ে মাদরাসা বোর্ড

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। ৯টি সাধারণ ও মাদরাসা এবং কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে এবার গড় পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। সব বোর্ডের মধ্যে মাদরাসা বোর্ড পাসের হারে এগিয়ে। মাদরাসা বোর্ডে পাসের হার ৭৫.৬১। যদিও এই হার গত বছরের তুলনায় কম।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১১টায় স্ব-স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ওয়েবসাইটে একযোগে এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, এবার আলিমে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৬১ শতাংশ। যেখানে গত বছর ছিল ৯৩ দশমিক ৪০ শতাংশ।

ফলে এবার শিক্ষার্থীর পাসের হার কমেছে। এছাড়া এ বছর আলিমে মোট জিপিএ পেয়েছেন ৪ হাজার ২৬৮। যেখানে গত বছর ছিল ৯ হাজার ৬১৩ জন।

সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর মধ্যে ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৬৪.৬২ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ৫৯.৪০ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৪৮.৮৬ শতাংশ, যশোর বোর্ডে পাসের হার ৫০.২০ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ৫২.৫৭ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ৬২.৫৭ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৫১.৮৬ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৫৭.৪৯ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বোর্ডে পাসের হার ৫১.৫৪ শতাংশ। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৬২.৬৭ শতাংশ।




আইনের শাসন কাকে বলে এই নির্বাচনে দেখাতে চাই: সিইসি

ডিএনবি নিউজ আর্ন্তজাতিক ডেস্ক:

বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আসুন, একটা উদাহরণ সৃষ্টি করি এই দেশে যে আইনের শাসন কাকে বলে আমরা এই ইলেকশনে (ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন) এটা দেখাতে চাই। তাতে যা হওয়ার হবে।’

আজ (শনিবার ১১ অক্টোবার) সকালে চট্টগ্রাম নগরে ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি। ‘নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে চ্যালেঞ্জসমূহ নিরূপণ ও উত্তরণ’ শীর্ষক এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয় নগরের আসকার দিঘি এলাকার আঞ্চলিক লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণকেন্দ্র মিলনায়তনে। কর্মশালার আয়োজন করে সিবিটিইপি প্রকল্প (নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় আইসিটি ব্যবহারে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি)।

কর্মশালায় প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেন, ‘যেদিন নির্বাচন হবে, সেদিন মনে রাখবেন, আপনি হচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। আইনগতভাবে সর্বময় ক্ষমতা আপনাকে দেওয়া আছে। যদি গোলমাল করে, তাহলে ভোটকেন্দ্র বন্ধ করে দেবেন। তিনটা করলে তিনটা। দরকার হলে পুরো সংসদীয় আসন বাতিল করে দেবেন।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমরা সহজে ছাড়ার পাত্র নই। সহজে ছাড়ব না। আপনাদের পেছনে আমরা আছি। ইলেকশন কমিশন ফুল সাপোর্ট দিয়ে যাবে আপনাদের।’

নির্বাচনের বাতাস বইতে শুরু করেছে উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেন, ‘সবাই মিলে একটা সুন্দর নির্বাচন করতে হবে। এ জন্য ভোট গ্রহণের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের ক্ষমতায়িত করা হচ্ছে। সব ক্ষমতা দেওয়া হবে তাঁদের। ক্ষমতা ব্যবহার করতে হবে। যদি ক্ষমতা ব্যবহার না করেন, তাহলে অপরাধ হিসেবে ধরে নেওয়া হবে এবং যথাসময়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেন, তাহলে তা ভালোভাবে নেওয়া হবে না। ক্ষমতা থাকা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি ক্ষমতা ব্যবহারও গুরুত্বপূর্ণ। যতক্ষণ আইন ও বিধি অনুযায়ী কাজ করবেন, ততক্ষণ নির্বাচন কমিশন পাশে থাকবে।’

নির্বাচনে বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেন, ‘দেশে যখন নির্বাচন হয়, তখন বড় কিছু চ্যালেঞ্জ থাকে। যেমন প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জ, নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ, আইনগত চ্যালেঞ্জ, প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ। তবে ভোট গ্রহণের জন্য নিরাপত্তা বা সিকিউরিটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বড় চ্যালেঞ্জ। এটি বিশাল আকারে দেখা দিয়েছে এবং এটা নিয়ে সবাই দুশ্চিন্তার মধ্যে আছে। এটি মোকাবিলাটা আমাদের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়াবে।’

জাতীয় নির্বাচন করা শুধু একা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নয় বলে মন্তব্য করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন জাতীয়ভাবেই করতে হবে। এটি নির্বাচন কমিশনের একার কাজ নয়। এটি জাতীয়, দায়িত্ব সবার। প্রশাসন, পুলিশসহ সবাই মিলে করতে হবে। সবার সহযোগিতা ও সমন্বয় দরকার। সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের জন্য সমন্বয় দরকার। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে উপজেলা পর্যন্ত ইমার্জেন্সি সেল থাকবে।’

কর্মশালায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন আরও বলেন, ‘বেশির ভাগ প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হচ্ছেন শিক্ষক। তাঁদের অনেকেই ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে পরিচিত নন। তাই এ রকম মুহূর্ত তৈরি হলে কীভাবে মোকাবিলা করতে হবে, তা প্রশিক্ষণ দিতে হবে। তবে পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, গত ১৫ বছরে পুলিশকে ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট মোকাবিলায় নিয়োজিত করা হয়নি। বিশেষ বিশেষ বাহিনী দিয়ে ক্রাইসিস ম্যানেজ করা হতো। সুতরাং পুলিশের মধ্যেও ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট নিয়ে সমস্যা রয়েছে।’#

সূত্র: পার্সটুডে