নতুন করে আবারো পাসপোর্টে যুক্ত হলো ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

বাংলাদেশের পাসপোর্টে দীর্ঘদিন ধরে ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ বা ইসরায়েল ব্যতীত কথাটি উল্লেখ ছিল। তবে আওয়ামী লীগ সরকার গোপনে এই বিষয়টি পাসপোর্ট থেকে বাদ দিয়েছিল। অন্তর্বর্তীকালীন সেই কথাটি আবার পাসপোর্টে যুক্ত করল।

রোববার (১৩ এপ্রিল) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগ থেকে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপসচিব নীলিমা আফরোজ বলেন, পাসপোর্টে নতুন করে ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ বিষয়টি বহাল করা হয়েছে। এ নিয়ে একটি প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে।

আগে বাংলাদেশের পাসপোর্টে লেখা থাকত, ‘এই পাসপোর্ট বিশ্বের সব দেশের জন্য বৈধ, ইসরায়েল ব্যতীত’। তবে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ২০২০ সালে দেশে নতুন ই-পাসপোর্ট চালু করলে সেই পাসপোর্টগুলো থেকে এই লেখা বাদ দেয়। এমনকি এ বিষয়ে কোনো ঘোষণাও দেওয়া হয়নি।

এর আগে, শনিবার (১২ এপ্রিল) ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশের কর্মসূচি ‘মার্চ ফর গাজা’র ঘোষণাপত্রে বাংলাদেশের পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ (ইসরায়েল ব্যতীত) লেখাটি আবারও উল্লেখ করার দাবি জানানো হয়েছিল।




‘মার্চ ফর গাজা’র ঘোষণাপত্র ও অঙ্গীকারনামায় যা রয়েছে

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত বর্বর গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে ঘোষণাপত্র ও অঙ্গীকারনামা পাঠ করা হয়েছে।

শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণজমায়েতে ঘোষণাপত্র ও অঙ্গীকারনামা পাঠ করেন দৈনিক আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।

প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ আয়োজিত এই কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি মুহাম্মদ আবদুল মালেক। তাঁর মোনাজাতের মাধ্যমে অল্প সময়ে সম্পন্ন হয় গণজমায়েত।

মাহমুদুর রহমানের পাঠ করা ঘোষণাপত্র ও অঙ্গীকারনামাটি নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো-

বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম। আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি পরাক্রমশালী, যিনি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাকারী, যিনি মজলুমের পাশে থাকেন, আর জালেমের পরিণতি নির্ধারণ করেন।

আজ আমরা, বাংলাদেশের জনতা-যারা জুলুমের ইতিহাস জানি, প্রতিবাদের চেতনা ধারণ করি-সমবেত হয়েছি গাজার মৃত্যুভয়হীন জনগণের পাশে দাঁড়াতে। আজকের এই সমাবেশ কেবল প্রতিবাদ নয়, এটি ইতিহাসের সামনে দেওয়া আমাদের জবাব, একটি অঙ্গীকার, একটি শপথ।

এই পদযাত্রা ও গণজমায়েত থেকে আজ আমরা চারটি স্তরে আমাদের দাবিসমূহ উপস্থাপন করব-

আমাদের প্রথম দাবিগুলো জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি।

যেহেতু-জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সকল জাতির অধিকার রক্ষার, দখলদারিত্ব ও গণহত্যা রোধের সংকল্প প্রকাশ করে;

এবং আমরা দেখেছি, গাযায় প্রতিদিন যে রক্তপাত, যে ধ্বংস চলছে, তা কোনো একক সরকারের ব্যর্থতা নয়-বরং এটি একটি আন্তর্জাতিক ব্যর্থতার ফল; এবং এই ব্যর্থতা শুধু নীরবতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়-বরং পশ্চিমা শক্তিবলয়ের অনেক রাষ্ট্র সরাসরি দখলদার ইজরায়েলকে অস্ত্র, অর্থ ও কূটনৈতিক সহায়তা দিয়ে এই গণহত্যাকে দীর্ঘস্থায়ী করেছে; এবং এই বিশ্বব্যবস্থা দখলদার ইজরায়েলকে প্রশ্নবিদ্ধ না করে বরং রক্ষা করার প্রতিযোগিতায় নেমেছে; সেহেতু আমরা জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি জোরালো দাবি জানাচ্ছি।

এবং-গাযা আমাদের জন্য এক আয়না যেখানে আমরা দেখতে পাই, কীভাবে বিশ্বাসী হওয়া মানে কেবল বেঁচে থাকা নয়, সংগ্রামে দৃঢ় থাকা; সেহেতু আমরা এই মাটির মানুষ, এই মুসলিম ভূখণ্ডের নাগরিক, এই কওমের সন্তান এবং সর্বোপরি মুসলিম উম্মাহর সদস্য-একটি অঙ্গীকার করছি:

১। আমরা সকলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বয়কট করবো-প্রত্যেক সেই পণ্য, কোম্পানি ও শক্তিকে যারা ইজরায়েলের দখলদারিত্বকে টিকিয়ে রাখে;

২। আমরা আমাদের সমাজ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রস্তুত করবো-যারা ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সকল প্রতীক ও নিদর্শনকে সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধার করবে, ইনশাআল্লাহ;

৩। আমরা আমাদের সন্তানদের এমনভাবে গড়ে তুলবো-যারা নিজেদের আদর্শ ও ভূখণ্ড রক্ষায় জান ও মালের সর্বোচ্চ ত্যাগে প্রস্তুত থাকবে;

৪। আমরা বিভাজিত হবো না-কারণ আমরা জানি, বিভক্ত জনগণকে দখল করতে দেরি হয় না।

আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকবো, যাতে এই বাংলাদেশ কখনো কোনো হিন্দুত্ববাদী প্রকল্পের পরবর্তী গাজায় পরিণত না হয়।

আমরা শুরু করবো নিজেদের ঘর থেকে-ভাষা, ইতিহাস, শিক্ষা, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, সমাজ-সবখানে এই অঙ্গীকারের ছাপ রেখে।

আমরা মনে রাখবো:

গাযার শহীদরা কেবল আমাদের দো’আ চান না-তাঁরা আমাদের প্রস্তুতি চান।

শেষকথা: 

শান্তি বর্ষিত হোক গাযার সম্মানিত অধিবাসীদের উপর-তাঁদের উপর, যাঁরা নজিরবিহীন সবর করেছেন, যাঁরা অবিচল ঈমানের প্রমাণ দিয়েছেন। যাঁরা ধ্বংসস্তূপের মাঝেও প্রতিরোধের আগুন জ্বেলেছেন।

বিশ্বের নীরবতা ও উদাসীনতার যন্ত্রণা হাসিমুখে বুকের মাঝে ধারণ করেছেন। শান্তি বর্ষিত হোক তাদের উপর, যাঁরা নাম রেখে গেছেন ইজ্জতের খতিয়ানে-

শান্তি বর্ষিত হোক হিন্দ রজব, রীম এবং ফাদি আবু সালেহ সহ সকল শহীদেরর উপর, যাঁদের রক্ত দ্বারা গাজার পবিত্রভূমি আরো পবিত্র হয়েছে, যাঁদের চোখে ছিল প্রতিরোধের অগ্নিশিখা।

শান্তি বর্ষিত হোক বাইতুল মাকদিসের গর্বিত অধিবাসীদের উপর, যাঁদের হৃদয়ে এখনো ধ্বনিত হয় ‘আল-কুদস লানা’, আল কুদস আমাদের!

গাজার জনগণকে অভিনন্দন-

আপনারা ঈমান, সবর আর কুরবানীর মহাকাব্য রচনা করেছেন। দুনিয়াকে দেখিয়েছেন-ঈমান আর তাওয়াক্কুলের শক্তি আমরা, বাংলাদেশের মানুষ-শাহ জালাল আর শরীয়াতুল্লাহর ভূমি থেকে দাঁড়িয়ে, আপনাদের সালাম জানাই, আপনাদের শহীদদের প্রতি ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা জানাই, আর আমাদের কণ্ঠে উচ্চারিত হয় এই দো’আ-হে আল্লাহ, গাজার এই সাহসী জনপদকে তুমি সেই পাথর বানিয়ে দাও, যার উপর গিয়ে ভেঙে পড়বে জায়োনিস্টদের সব ষড়যন্ত্র।

বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণের পক্ষে, প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট, বাংলাদেশ।




 ‘মার্চ ফর গাজা’ ফিলিস্তিনের পতাকায় ছেয়ে গেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ পুরো ঢাকা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ফিলিস্তিনে দখলদার ইসরায়েলিদের আগ্রাসন ও নির্মম গণহত্যার প্রতিবাদে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই যোগ দিচ্ছেন এ মুক্তির মিছিলে। প্যালেস্টাইনবাসীদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে হাজার হাজার ফিলিস্তিনের পতাকায় ছেয়ে গেছে পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।

শনিবার (১২ এপ্রিল) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও এর আশেপাশে এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর চারপাশ থেকে দলে দলে মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করছে মুসলমানরা। হাতে ফিলিস্তিনের পতাকা আর কপালে কালিমার পতাকা নিয়ে ফিলিস্তিন বাসীদের পক্ষে স্লোগান দিচ্ছেন তারা।

এদিকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে যখন বিক্ষোভ- প্রতিবাদের ঢেউ উঠছে, তখন বাংলাদেশেও ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’ এর ব্যানারে আয়োজিত হচ্ছে  ‘মার্চ ফর গাজা’। এটি একটি ব্যতিক্রমধর্মী গণসমাবেশ।

এই কর্মসূচির লক্ষ্য গাজার নিরস্ত্র জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ, বিশ্বজনমত গঠন, এবং মানবিক মূল্যবোধের পক্ষে সোচ্চার হওয়া।

আজ বিকেল ৩টা থেকে মাগরিবের পূর্ব পর্যন্ত রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

আয়োজকরা জানিয়েছেন, এতে বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। সারা দেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে ঢাকায় এসেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, কয়েক লাখ লোকের সমাগম হতে পারে আজকের এই আয়োজনে।

এই আয়োজনে বিশিষ্টজনদের মধ্যে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আব্দুল মালেক, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, বিশিষ্ট দাঈ শায়খ আহমাদুল্লাহ, প্রখ্যাত বক্তা মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা সৈয়দ ফয়জুল করীম, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদির, এনসিপির নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ, ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনূস আহমদ, গাজী আতাউর রহমান, জামায়াত নেতা রফিকুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম বুলবুল, শিবির সভাপতি জাহিদুর রহমান, সাদিক কায়্যিম, কবি মুহিব খান, মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মাওলানা রেজাউল কারীম আবরার, মাওলানা আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক, ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসিরসহ অনেক বিশিষ্টজন উপস্থিত থাকবেন।




মার্চ ফর গাজা কর্মসূচিতে দলমত নির্বিশেষে অংশ নেওয়ার আহবান : খতিব মুফতি আবদুল মালেক

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের চলমান বর্বর গণহত্যার প্রতিবাদে রাজধানীতে ‘মার্চ ফর গাজা’ নামে যে কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে তাতে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঈমানের তাগিদে অংশ নেওয়া আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি মুহাম্মদ আবদুল মালেক। আগামী শনিবার (১২ এপ্রিল) মুফতি মুহাম্মদ আবদুল মালেক’র সভাপতিত্বে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অভিমুখে এই কর্মসূচি পালিত হবে।

আজ (১০এপ্রিল বৃহষ্পতিবার) সোস্যাল মিডিয়া (ফেইসবুক)-এ একটি অডিও বার্তায় তিনি সবাইকে এই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।

জাতীয় মসজিদের খতিব বলেন, জায়নবাদী ইসরায়েল ফিলিস্তিনের নিরপরাধ মানুষের ওপর বিশেষ করে নারী শিশুর ওপর যে নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে একে গণহত্যা বললেও কম বলা হবে। বলার অপেক্ষা রাখে না, এর দ্বারা তারা গোটা মানবতার শত্রুতে পরিণত হয়েছে। এমন অমানবিক পরিস্থিতিতে বিশ্ব বিবেককে জাগ্রত করার লক্ষ্যে এবং বর্বরোচিত গণহত্যা ও জাতিগত নিধন বন্ধের দাবিতে আগামী শনিবার ১২ এপ্রিল প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মার্চ ফর গাজার ডাক দেওয়া হয়েছে। দল-মত নির্বিশেষে সবাই শান্তিপূর্ণভাবে এই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার চেষ্টা করি। আল্লাহ তায়ালা এই প্রচেষ্টা সফল করুন এবং কবুল করুন।
‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট, বাংলাদেশ’ শীর্ষক শিরোনামে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে দেশের শীর্ষ আলেম, দাঈ, স্কলার, ওয়ায়েজ এবং বিভিন্ন অঙ্গনের সেলিব্রেটিরা অংশ নেবেন।

ইতোমধ্যে এই আয়োজন সফল করতে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন দৈনিক আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, বিশিষ্ট দাঈ শায়েখ আহমাদুল্লাহ, খ্যাতিমান স্কলার মিজানুর রহমান আজহারী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক, বিশিষ্ট ওয়ায়েজ ড. আবুল কালাম আজাদ বাশার, ড. আসাদুল্লাহ আল গালিব, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মুহাম্মদ শামছুল আলম, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সমন্বয়ক হাসানাত আব্দুল্লাহ, সেলেব্রেটিদের মধ্যে আরজে কিবরিয়া, আইমান সাদিক, তামিম মৃধা, জাতীয় দলের ক্রিকেটার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাহিদ রানা প্রমুখ।

আরও ভিডিও বার্তা দিয়েছেন বিশিষ্ট স্কলার মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামজা, ড. মুখতার আহমদ, ইসলামি আলোচক মাওলানা ফখরুদ্দিন আহমদ, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের গাজী আতাউর রহমান, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, হেফাজতে ইসলামের আজিজুল হক ইসলামাবাদী, গণপরিষদ আন্দোলনের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক লতিফুর রহমান শিবলী, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি,

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. ফয়জুল হক, ইসলামিক স্কলার ড. হারুন আজিজী নদভী, শায়খ ওসমান গনি সালেহী, মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মুফতি আরিফ বিন হাবিব, ড. মুফতি ইউসুফ সুলতান, মুফতি শামসুদ্দোহা আশরাফী, মুফতী রেজাউল কারীম আবরার, শায়খ আব্দুল হাই সাইফুল্লাহ, মাওলানা সাইফুল ইসলাম, মাওলানা গাজী মুহাম্মদ সানাউল্লাহ, মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান, মাওলানা ইয়াহইয়া তাকী, আস-সুন্নাহ ট্রাস্টের উসামা খোন্দকার, মাস্তুল ফাউন্ডেশনের কাজী রিয়াজ রহমান, জুলাই আন্দোলনের সমন্বয়ক সাদিক কায়িম প্রমুখ।




জাতীয় নাগরিক পার্টির সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের বৈঠক

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

তরুণদের নেতৃত্বে নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বৈঠক করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতারা।

বুধবার (৯ এপ্রিল) সকাল ১০টায় এই বৈঠক শুরু হয়ে চলে দীর্ঘ সময়।
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা কেফায়েতুল্লাহ আজহারী আওয়ার ইসলামকে বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে বৈঠকে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে সে সম্পর্কে তিনি কিছু জানাতে পারেননি।

বৈঠকে হেফাজতে ইসলামের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সংগঠনের মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমান।
বৈঠকে হেফাজত নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, ড. আহমদ আব্দুল কাদের, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী প্রমুখ।

অপর দিকে এনসিপির নেতাদের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলম, আশরাফ মাহদী ছাড়াও কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ আগামী ৩ মে রাজধানীতে মহাসমাবেশ করবে। এর প্রস্তুতিতে পুরোদমে সময় কাটাচ্ছেন হেফাজত নেতারা। ধারণা করা হচ্ছে, সেই মহাসমাবেশ ইস্যুতেই এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০১৩ সালে শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি জোরালো করতে চায় হেফাজত। সে লক্ষ্যে এ ব্যাপারে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমর্থন আদায় করছে সংগঠনটি।




মার্চ ফর গাজা’ সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

মানবতাবিরোধী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠছে বাংলাদেশের মানুষ। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দেশটির চলমান বর্বর গণহত্যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অব্যাহত আছে। এবার এই ইস্যুতে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন দেশের শীর্ষ আলেম, দাঈ, স্কলার ও নানা অঙ্গনের সেলিব্রেটিরা। আগামী শনিবার (১২ এপ্রিল) ফিলিস্তিনের জন্য সবচেয়ে বড় মার্চ হবে ঢাকার রাজপথে। শাহবাগ থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ পর্যন্ত পালিত হবে এই কর্মসূচি।

ইতোমধ্যে এই কর্মসূচি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। আলেম স্কলার ও সেলিব্রেটিরা স্বতন্ত্রভাবে ভিডিও বার্তা দিয়ে সর্বস্তরের মানুষকে এতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। তাদের সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাখ লাখ মানুষ এই কর্মসূচির বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন এবং নিজেরা তাতে অংশ নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,  এই কর্মসূচি সফল করতে শায়খ আহমাদুল্লাহ, শায়খ আব্দুল হাই সাইফুল্লাহ, মাওলানা রেজাউল কারীম আবরারসহ বেশ কয়েকজনন জনপ্রিয় দাঈ ও স্কলার নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। স্মরণকালের বৃহৎ জনসমাগম ঘটানোর প্রস্তুতি চলছে। প্রত্যেকেই নিজ নিজ ভক্ত-অনুরাগীদের এতে অংশ নেওয়ার দাওয়াত দিচ্ছেন। অভিন্ন কর্মসূচিতে অনেক জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বের সম্মিলন ঘটায় সেখানে ব্যাপক জনসমাগম হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আয়োজকরা জানান, সেদিন সর্বসাধারণের ব্যাপক অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই কর্মসূচি দ্বারা তারা বিশ্ববাসীকে বার্তা দিতে চাইবেন। অবৈধ ও বর্বর রাষ্ট্র ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধের জোর দাবি জানাবেন। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের হাতে বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড এবং ফিলিস্তিনের পতাকা শোভা পাবে।

ইতোমধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করা এই কর্মসূচিতে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। সব দল-মত এবং ঘরানার মানুষ একসঙ্গে এই প্রতিবাদে জড়ো হবেন। কর্মসূচি সফল করতে আয়োজকরা দুই এক দিনের মধ্যে রাজধানীতে একসঙ্গে বসবেন বলে জানা গেছে। কর্মসূচি থেকে কী কী দাবি জানানো হবে সে ব্যাপারে আলোচনা চলছে।

আয়োজকদের সূত্রে জানা গেছে Palestine Solidarity Movement, Bangladesh শীর্ষক এই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন বরেণ্য দাঈ শায়েখ আহমাদুল্লাহ, খ্যাতিমান স্কলার মিজানুর রহমান আজহারী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক, দৈনিক আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতী রেজাউল কারীম আবরার, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সমন্বয়ক হাসানাত আব্দুল্লাহ ও সাদিক কায়িম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ প্রমুখ।




দুর্গাপুরে ছাত্রদলের দুই নেতা কে অব্যাহতি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা ও পৌর শাখা ছাত্রদলের দুই নেতাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। শনিবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যায় নেত্রকোনা জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি শামছুল হুদা শামীম এর স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

নেত্রকোণা জেলা শাখার সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) সারোয়ার আলম এলিন ও সাধারণ সম্পাদক অনিক মাহবুব চৌধুরী এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন। অব্যাহতি প্রাপ্তরা হলেন, দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক পারভেজ মোশারফ (মাসুম বিল্লাহ) এবং পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরিফুর রহমান (আরিফ মড়ল)।

এ বিষয়ে নেত্রকোনা জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সারোয়ার আলম এলিন বলেন, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ও সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ছাত্রদলের এই দুই নেতাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।




১২ ঘণ্টায় ২ কোটি টাকা টোল আদায় পদ্মা সেতুতে

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

আসছে ঈদে নাড়ির টানে ঘরমুখী হচ্ছে মানুষ। এবারের ঈদযাত্রায় পদ্মা সেতুতে গত ১২ ঘণ্টায় ১ কোটি ৯৯ লাখ ৬৩ হাজার ৯০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে।

শনিবার (২৯ মার্চ) দুপুরে পদ্মা সেতুর সাইড অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাঈদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাত ১২টা থেকে শনিবার (২৯ মার্চ) দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ টোল আদায় হয়। এ সময় ওই সেতু দিয়ে ১৮ হাজার ১২৭টি যানবাহন পারাপার হয়। এর মধ্যে মাওয়া প্রান্ত দিয়ে ১২ হাজার ৯৫৩টি ও জাজিরা প্রান্ত দিয়ে ৫ হাজার ১৭৪টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। একই সময়ে ৩ হাজার ৮৬৬টি মোটরসাইকেল পারাপার হয়েছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে গতকাল শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে গত বছর ঈদের পর সর্বোচ্চ টোল আয়ের রেকর্ড হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় ৪ কোটি ২৫ লাখ ৪১ হাজার ৩০০ টাকা টোল আদায় হয় এবং সেতু দিয়ে ৩৯ হাজার ৬৩৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে।

আবু সাঈদ বলেন, শুক্রবার ভোর থেকে ঈদে ঘরমুখী মানুষের যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ ছিল। এতে পদ্মা সেতুতে টোল আদায় পঞ্চম সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছে। তবে গতকালের তুলনায় আজ শনিবার যাত্রী ও যানবাহনের চাপ কম।

তিনি আরও বলেন, টানা ৯ দিনের সরকারি ছুটি শুরু হওয়ায় শুক্রবার ভোর থেকে দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশপথ হিসেবে খ্যাত ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দূর পাল্লার যানবাহনের চাপ বাড়ে। তবে শনিবার ভোর থেকে ওই মহাসড়কে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ কমে এসেছে। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে ওই মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল নিয়েও ছুটছে অনেকে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৯ এপ্রিল এক দিনে টোল আদায় করা হয়েছিল ৪ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা। সে বছর ১৪ জুন আদায় হয়েছিল ৪ কোটি ৮০ লাখ ৩০ হাজার ১০০ টাকা। ২০২৩ সালে সর্বোচ্চ টোল আদায় করা হয়েছিল ৪ কোটি ৬০ লাখ ৫৩ হাজার ৩০০ টাকা।




দুর্গাপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

দুর্গাপুর(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রত্যুষে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়েছে। বুধবার দিনব্যাপি নানা আয়োজনে এ দিবস পালিত হয়।

এ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল, দুর্গাপুর পৌরসভা, সিপিবি, দুর্গাপুর প্রেসক্লাব সহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পন শেষে সুসঙ্গ সরকারি কলেজ মাঠে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ ও জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে দিবসের সুচনা করা হয়। পরবর্তিতে ইউএনও মো. নাভিদ রেজওয়ানুল কবিরের সভাপতিত্বে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেন উপজেলা প্রশাসন। এরপর দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

পরবর্তিতে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধাগন, সকল দপ্তর প্রধান, উপজেলা বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীগন, স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার প্রতিনিধি সহ স্থানীয় গন্যমান ব্যক্তিগন উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা শেষে কুচকাওয়াজে অংশনেয়া বিজয়ী প্রতিষ্ঠানদের মাঝে পুরস্কার বিতরণের পর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, বিভিন্ন মন্দির মসজিদে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও বিকেলে প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্টের মাধ্যমে দিবসের সমাপ্তি ঘটে।




জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধান উপদেষ্টার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ ২৬ মার্চ (বুধবার) বাংলাদেশের ৫৫তম মহান স্বাধীনতা দিবস ও গৌরবময় জাতীয় দিবস। দিবসটি উপলক্ষে ভোরে মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

এদিকে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে সর্বস্তরের মানুষ বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। শহীদের প্রতি শ্রদ্ধার ফুলে ভরে উঠছে স্মৃতির মিনার—সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা আয়োজনে গৌরবের এ  দিনটি পালন করছে।

রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেন, ‘স্বাধীনতার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি পরমতসহিষ্ণুতা, মানবাধিকার ও আইনের শাসন সুসংহত করতে হবে। রাষ্ট্র ও সমাজের সব ক্ষেত্রে সাম্য, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে তরুণ প্রজন্ম আমাদের স্বাধীনতার অপূর্ণ স্বপ্নগুলো পূরণে আবারও বুকের তাজা রক্ত দিয়ে গেছে। নতুন প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ, সুখী, সুন্দর ও উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা আমাদের পবিত্র কর্তব্য।’

প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বাণীতে দেশে ও প্রবাসে বসবাসরত সব বাংলাদেশিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, দেশকে আরও উন্নত ও শক্তিশালী করতে এবং স্বাধীনতার পূর্ণ সুফল জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে অন্তর্বর্তী সরকার বদ্ধপরিকর। তিনি আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রের সব ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে সুশাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, জনমুখী ও টেকসই উন্নয়ন এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

দিবসটি উপলক্ষে একটি স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত লড়াইটা শুরু হয়েছিল ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ। একাত্তরের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাঙালি জাতির ওপর হামলে পড়েছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। কিন্তু বাঙালি জাতি সর্বশক্তি দিয়ে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। স্বাধীনতার চূড়ান্ত লড়াইয়ের সূচনা করে। ৯ মাসের ধারাবাহিক রক্তক্ষয়ী লড়াই, অকাতরে আত্মদান ও বীরত্বের স্বাক্ষর রেখে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। জন্ম নেয় একটি পতাকা, একটি দেশ— স্বাধীন বাংলাদেশ।